
30/10/2024
ভাইরাস নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ হয়। ইহা সংক্রামক ব্যাধি।
Clinical Feauters (রোগশয্যা সম্বন্ধীয় বৈশিষ্ট্য):
(ক) হঠাৎ করে অসাচ্ছন্দ্যবোধ এবং মাথা ব্যথা। (খ) সর্বশরীরে ব্যথা (গ) ক্ষুধামন্দা, কতকসময় বমি বমি ভাব, মি। (ঘ) জ্বর ১০৪' পর্যন্ত। ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে এবং কাঁপে। মাঝে মাঝে জ্বরাদির পূর্বে কাঁপুনি দিয়া জ্বর আসে। (৪) তালু, টনসিল, অস্বাভাবিকভাবে রক্তসঞ্চয়ের জন্য অসুস্থ হতে পারে। (চ) কাশ অনুৎপাদিত ও শ্রুতিকটু হতে পারে। (ছ) জটিল অবস্থা হতে পারে ব্রঙ্কাইটিস, ব্রহ্মোনিউমোনিয়া, ব্রক্কোলাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জার পর দুর্বলতা, অবসাদ। (জ) মুখ লাল হয়।
লক্ষণ
বাংলাদেশে 'সাধারণত: তিন প্রকারের ইনফুয়েঞ্জা দেখা যায়। যথা-
(ক) জ্বর সংক্রান্ত (ফেবরাইল টাইপ): ইহার প্রধান লক্ষণ জ্বর এবং ইহা হঠাৎ আরম্ভ হয়। ইহা প্রাথমিক অবস্থায় মাথা ধরা, শীত অনুভব হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। জ্বরের মাত্রা দ্রুত বাড়ে। প্রায় সপ্তাহ খানিক এই
জ্বর থাকে।
(খ) শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত (রেসপিরেটরি টাইপ): এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীর জ্বর বৃদ্ধি পায় এবং
তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়। কাশি অত্যধিক বৃদ্ধি পায়, শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে। কাশের জন্য বুকে ব্যথা হয়। সময় মত
চিকিৎসা না হলে ধীরে ধীরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। (গ) কঠিন আকার (মেলিগন্যান্ট টাইপ) ইনফুয়েঞ্জা যখন মহামারী আকারে দেখা দেয় তখন এই ধরনের রোগ দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে রোগী কোলাপস হয়।
ইনফুয়েঞ্জার পর রোগীর অন্যান্য বহুবিধ রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
উপদেশ: রোগ যাতে ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করতে না পারে তাই রোগীকে ভিন্নভাবে রাখা উচিত।