Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist

Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist chamber: Only in Sylhet
But online consultation available

Assistant Professor of Psychiatry

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সাইকোথেরাপিষ্ট.
★আপনার মন ভালো আছে তো?★

মানসিক রোগ শারীরিক রোগের মতোই রোগ মাত্র
চিকিৎসায় যা ভালো হয়।মানসিক রোগ নিয়ে ভয় আর নয়।

May day, may day, may day' (m'aider) একটা এয়ারক্রাফটের মারাত্মক  সমস্যায় যেখানে এয়ারক্রাফটটি ধংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে...
13/06/2025

May day, may day, may day' (m'aider) একটা এয়ারক্রাফটের মারাত্মক সমস্যায় যেখানে এয়ারক্রাফটটি ধংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন অবস্থায় পাইলটের দেয়া কল (৩ বার দিতে হয়),কন্ট্রোল রূমকে। যাতে তারা আসন্ন বিপদের মোকাবেলা করতে রেডি থাকেন।

ভাবছিলাম, অভিজ্ঞ পাইলট 'মে ডে ' কল দিয়েছিলেন উড্ডয়নের সাথে সাথেই,কারন তিনি জানতেন এক্সাক্টলি কি ঘটতে যাচ্ছে!!

মৃত্যুর একদম সম্মুখে বসে কি ভাবছিলেন তিনি,শেষ কয়েক মিনিটে???

মৃত্যু অবধারিত, আমরা জানি না কোথায় আমাদের মৃত্যু লেখা আছে।

আল্লাহ বলেন, ‘এবং কোনো প্রাণী এটাও জানে না যে, কোন ভূমিতে তার মৃত্যু হবে।’ ( সুরা : লুকমান, আয়াত : ৩৪)।

মাঝে মাঝে মনে হয়, জীবনের এই যে এতো আয়োজন, এতো কোলাহল, সব বুঝি মৃত্যুরই অপেক্ষায়!!

*ছবিটি air india র দুই ফ্যামিলির ছবি। প্রথম ছবিতে বলবো,তবু ভালো যে বাবা মা তার সন্তানদের সহই গেছেন।যদি একটা বাচ্চা কোনোক্রমে বেঁচে যেতো,তার জীবন মৃত্যু থেকেও দূর্বিষহ হয়ে যেতো।
কারন ২য় ছবির মহিলাটি মারা গেছেন,তার স্বামী মহিলার শেষ কৃত্য করতে ইন্ডিয়া এসেছিলেন দুটি বাচ্চাকে লন্ডনে রেখে এসে,এবার তিনিও মারা গেলেন এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্টে।
ঐ বাচ্চাগুলোর ভবিষ্যৎ কিভাবে যাবে,বাবা মা ছাড়া!!

"এই রাত তোমার আমার"মুভিটি দেখলাম,ছুটির সুযোগে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর এক ছাদের নিচে  কাটিয়ে দেয়া এক দম্পতির গল্প,তাদের চাওয়া-প...
10/06/2025

"এই রাত তোমার আমার"

মুভিটি দেখলাম,ছুটির সুযোগে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দেয়া এক দম্পতির গল্প,তাদের চাওয়া-পাওয়া, সম্পর্কের সমীকরণের গল্প।

দাম্পত্য... অদ্ভূত একটা সম্পর্ক দুইটা মানুষের মধ্যে। বিয়ের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সম্পর্ক বহু উত্থান পতন আর ভালো মন্দের ভেতর দিয়ে পার করে স্বামী স্ত্রী নামক দুইটা মানুষ। স্যাক্রিফাইস, কম্প্রোমাইজ, মান -অভিমান আর রাগ অনুরাগে কিভাবে যে জীবন চলে যায় বুঝে ওঠা যায় না। জীবনের একটা সময় গিয়ে আফসোস করতে হয়,'আহা! যদি দুজনে আরেকটু সহনশীলতার সাথে,আরেকটু ভালোবাসা প্রকাশ করতাম যদি,হয়তো দাম্পত্য আরো আনন্দে কাটতো"..

দাম্পত্যে কখনো তৃতীয় মানুষের ছায়া ও নামে।
বউ শ্বাশুড়ির দন্দ্ব, সংসারে চাল ডালের হিসাব, সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তা করতে করতে জীবনের সময় গুলো ও ফুরিয়ে যায়। সব শেষে আর কেউ সঙ্গে থাকে না,শুধু সেই দুই জন মানুষই থাকে একসাথে ,সেই দুই জন,যারা বিবাহ নামক সম্পর্কের মাধ্যমে গাঁট ছড়া বেধেঁছিলো।

মুভিটিতে অভিনয় করেছেন অপর্ণা সেন আর অঞ্জন দত্ত,দুজন অসাধারণ অভিনতা। আমি অঞ্জন দত্তের অভিনয় দেখে মুগ্ধ,আগে দেখা হয় নি তেমন। অঞ্জন দত্তের অভিনয় যেন আমাদের সমাজেরই দায়িত্ববান পুরুষদের ছায়া।

আসলে কি, পুরুষরা কেন জানি তাদের অনুভূতি গুলো পুরোপুরি প্রকাশ করেন না,করতে চান ও না কেন জানি। তাদের কষ্ট, পাওয়া,না পাওয়া গুলো পবিবারের সাথে তারা শেয়ার করতে চান না। নিজের ব্যাথা বেদনা, এমনকি কষ্ট পেলে কান্নাটাও যেন তাদের লুকোতে হবে, কারন তারা পুরুষ!!তাদের সবসময় কেন যেন দেখাতে হবে তারা অনেক শক্ত,তারাই সবাইকে ছায়া দিয়ে রাখবে,তাদের যেন কারো উপর নির্ভরতার দরকার নেই! সমাজই তাদের এভাবে গড়ে তুলেছে।

কিন্তু ব্যাপারটা ভুল।
প্রতিটা মানুষেরই শেয়ারিং এর দরকার,
প্রতিটি মানুষ চায় তাদের কেউ জিজ্ঞেস করুক, ভালোবাসুক,
প্রতিটি মানুষই চায়, কেউ তার মাথায় একটু হাতটা রেখে বলুক,'আমি আছি তো'!

বাঙালী পুরুষদের ও এই অনুভূতি গুলো প্রকাশ করা উচিৎ। নয়তো ভেবে দেখুন, যত বয়স হয়,তত তারা একা হতে থাকে। কখনো বৃদ্ধকালে সংসারে থেকেও তারা থাকেন বহিরাগতদের মত,মেহমান হয়ে।





#দাম্পত্য

বচন কত প্রকার,জানেন তো 🫢?না জানলে জেনে নিন!পিক:সংগৃহীত
03/06/2025

বচন কত প্রকার,জানেন তো 🫢?

না জানলে জেনে নিন!



পিক:সংগৃহীত

 #এংজাইটি_টেনশন_মানসিক_চাপ,  কিভাবে কমাবেন?১.দুশ্চিন্তা, টেনশন বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ কেন হচ্ছে? ব্যাপারটা খেয়াল করুন। ন...
01/06/2025

#এংজাইটি_টেনশন_মানসিক_চাপ, কিভাবে কমাবেন?

১.দুশ্চিন্তা, টেনশন বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ কেন হচ্ছে? ব্যাপারটা খেয়াল করুন। নিজের সাথে প্রথমে বুঝুন,কোন বিষয়টি আপনাকে চাপে ফেলছে এবং কেন।
মাঝে মধ্যে দেখা যায় অতি ক্ষুদ্র বিষয়ে আমরা টেনশন করি,বড় করে দেখি,যেটা আমাদের মানসিক চাপে ফেলে দেয়....কিন্তু একটু চেষ্টা করে কারন খুঁজে বের করলে এর প্রতিকার সম্ভব।

২. জীবনে একটা ফোকাস রাখুন।একটা ফিউচার প্ল্যান রাখুন,জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে শুরু করুন।

যেমন আপনি ছাত্র। সো সামনের পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের একটা ছক তৈরি করুন,এবং বৃহদাকারে মূল পরীক্ষায় একটা ভালো সিজিপিএ এর জন্য টার্গেট করুন।তার পর কি করবেন প্ল্যান করুন। এতে আপনি ব্যস্ত থাকবেন,আপনার জীবনের টার্গেট পূরনে সহজ হবে, বাড়তি মানসিক চাপ বা "কি করবো' এ নিয়ে চাপ বোধ করবেন না।

৩. জীবনকে একটি রুটিনের ভেতরে নিয়ে আসুন। খাওয়া, ঘুমানো, কাজ এবং নিজের পছন্দের কাজ-সবকিছুর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। রাত ১১ টার মধ্যেই ঘুমোতে যান,সকাল সকাল উঠুন। তাহলে সময়কে বেশি বেশি কাজে লাগাতে পারবেন।

৪. নিজের সমস্যা বা এংজাইটি, টেনশনের বিষয় বা মানসিক চাপের কারণ নিয়ে পরিবার বা কাছের কারো সাথে কথা বলুন। হয়তো তিনি আপনাকে ভালো উপদেশ দিয়ে সহায়তা করবেন।

৫. স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে যোগ ব্যায়াম, শ্বাসের ব্যায়াম, সকাল বা বিকেলে এক্সারসাইজ ইত্যাদি পদ্ধতি মনকে স্থির বা রিলাক্স করে,তাই এগুলো নিয়মিত করুন।

৬. পৃথিবীর সবকিছু আপনার পছন্দ মতো হবে না। জীবনের সব ঘটনা আপনার পক্ষে না ও যেতে পারে। তাই কিছু ব্যাপার accept করতে শিখুন। পরিবার,বন্ধুত্ব,নতুন পরিবেশে পরিবেশ অনুযায়ী এডজাস্ট করতে,কখনো কম্প্রোমাইজ, কখনো স্যাক্রিফাইস করতে শিখুন।তাহলে কষ্ট কম হবে।

৭.নিজেকে সময় দিন।নিজের পছন্দের কাজ করুন দিনের একটা সময়।দেখবেন ফুরফুরে লাগবে।

৮.দুশ্চিন্তা, টেনশন বা স্ট্রেস অত্যধিক মনে হলে সাইকিয়াট্রিষ্ট এর পরামর্শ নিন।

ভালো থাকুন।


Assistant Professor
Psychiatry

**মানসিক রোগ এবং তার লক্ষন নিয়ে জানতে পেইজের লেখা দেখুন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু জানতে প্রয়োজনে whatsapp মেসেজ দিন 01772-134828.

অনলাইন বা সরাসরি দেখাতে সিরিয়ালের প্রয়োজনে: 01772 134828

চেম্বার:
সিলেট মনোরোগ হসপিটাল, বাগবাড়ি,সিলেট।

#টেনশন #মানসিক_চাপ #স্ট্রেস
#দুশ্চিন্তা #এংজাইটি #ডিপ্রেশন #সাইকিয়াট্রিস্ট
#সাইকোলজি

এই ছবিটা গতকাল থেকে চোখের সামনে থেকে সরাতে পারছি না। একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, একজন মা তার ৯ জন সন্তানের মৃতদেহ সামনে নিয়ে বসে...
26/05/2025

এই ছবিটা গতকাল থেকে চোখের সামনে থেকে সরাতে পারছি না।

একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, একজন মা তার ৯ জন সন্তানের মৃতদেহ সামনে নিয়ে বসে আছেন। গা/ যা য় তিনি যখন তার কর্মস্থলে ব্যস্ত,তখন ইস/রায়ে/লি বাহিনী তার বাড়ির দিকে বোমা/ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তার ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই মারা যায়,বাকি একজন গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে, উনার হাজব্যান্ড ও আইসিইউ তে।

মানে কি এগুলা!! এ কেমন জীবন??

মনে হলো,পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টের দৃশ্যটি দেখলাম।আমার প্রিয়জন,সকল মানুষ,....এমনকি আমার শত্রুদের ও যাতে এতো কষ্টের মধ্যে পড়তে না হয় জীবনে।

স্পেসশিপে যাওয়ার জন্য রেডি!!.... এমনটা মনে হচ্ছে না তো? ভেবে বের করতে পারবেন,কবে-কখন-কোথায়  দেখেছিলেন এমন উদ্ভট ড্রেস পর...
22/05/2025

স্পেসশিপে যাওয়ার জন্য রেডি!!.... এমনটা মনে হচ্ছে না তো?
ভেবে বের করতে পারবেন,কবে-কখন-কোথায় দেখেছিলেন এমন উদ্ভট ড্রেস পরা মানুষদের?

কিভাবে যে দিন কেটে যায়!!!

আসলে জীবনটা অনেক ছোট,অনেক ছোট। কখন যে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে,আমরা কেউই জানি না।

তাই জাস্ট হেসে খেলে , বা ব্যস এমনি এমনিই জীবনটা পার করা উচিৎ না মনে হয়। একটা মিনিং থাকা উচিৎ জীবনের,একটা পজিটিভ টার্গেট বা লক্ষ্য থাকা উচিৎ। আমার কেন জানি মনে হয়,মানুষের জন্য,দেশের জন্য বা সৃষ্টির জন্য ভালো কিছু করার মধ্যেই জীবনের মাহাত্ম্য, জীবনের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে।

মনে আছে,করোনার সময়ের কথা?? চারিদিকে লক ডাউন,যেখানে আগে ছিলো আলো ঝলমলে রাস্তা,সন্ধ্যা হতেই সে সময় সেখানে ঘুটঘুটে অন্ধকার সব,রাস্তায় নেই কোনো মানুষের আনাগোনা। প্রতি দিন লাখো আক্রান্তের খবর,প্রতি দিন হাজার হাজার মৃত্যু। প্রায় দেড়-দুই বছর একটানা চলেছে তান্ডব।

ডাক্তাররা সব সময়ই মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ
করে (আল্লাহর ইচ্ছেয়) ।কিন্তু করোনার সময় একেবারে সম্মুখ যুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারটা ছিলো অন্যরকম। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি মারাত্মক করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া ব্যাপারটা ছিলো একেবারে অন্যরকম চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমি কৃতজ্ঞ সৃষ্টি কর্তার কাছে, আমাকে এই সুযোগ দেয়ার জন্য,সৃষ্টির জন্য কিছু করার এমন দূর্লভ সুযোগ দেয়ার জন্য। আমি বা আমরা,যারা সুযোগ পেয়েছি,তারা সৌভাগ্যবান।

এই সময়ই আমার বাবা মা ভাই ও আক্রান্ত হয়েছিলো করোনায় USA তে। ওখানকার ডাক্তাররা যথেষ্ট আন্তরিক ছিলো চিকিৎসায়। আসলে পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে মানুষ বড় অসহায় থাকে।
তবে,বাকিরা ফিরে আসলেও আমার আব্বুকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারিনি করোনার কবল থেকে।

এক দেশে মেয়ে করোনা ইউনিটে করোনা রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ছিলো নিয়োজিত। আরেক দেশে বাবা সেই করোনায়ই আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন কয়েক মাস পর।

জীবনটা কি বিচিত্র, না??


Assistant Professor
Psychiatry

17/05/2025

♦ #এংজাইটি বা #টেনশনজনিত রোগের লক্ষন:
--------------------------------
✔ মাথাব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা,মাথা গরম হয়ে থাকা।

✔ বুক ধড়ফড় করা, বুকে চাপ লাগা বা শ্বাস নিতে অসুবিধা লাগা।
✔ অস্থির লাগা, অশান্তি লাগা, শরীর দূর্বল বোধ করা।

✔ ঘুমের সমস্যা হওয়া , বিরক্তি বা রাগ লাগা, ক্ষুধা কমে যাওয়া।

✔ মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঠান্ডা বা অতি গরম অনুভব করা।

#এংজাইটি বা #উদ্বেগ,কিংবা #টেনশন যে নামেই জানেন,এই সমস্যাগুলো সাধারণত শারীরিক লক্ষন দিয়ে প্রকাশ পায়, সাথে মানসিক লক্ষন থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ শারীরিক রোগ মনে করে ভুল করে।

যদি আপনি এসব সমস্যায় ভুগেন,আর ডাক্তার দেখিয়ে বা টেস্ট করে তেমন সমস্যা ধরা পড়েনি বলে মনে করেন,তখন একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান।

তাছাড়া অন্যান্য মানসিক রোগের লক্ষন:

📍 ওভারথিংকিং, বারবার একই চিন্তা আসা বা কাজ করা,কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে বা কারো ক্ষতি হয়ে যাবে এই ভয়ে থাকা,বারবার ধোয়াধুয়ি করা,সন্দেহ করা কোনো কাজ সঠিকভাবে হয়নি,ধর্ম বা অন্য ব্যাপারে আজবাজে চিন্তা আসা।

📍 আক্রমণাত্মক আচরন, মানুষকে অহেতুক সন্দেহ,অস্বাভাবিক বা এলোমেলো কথাবার্তা বা আচরণ।

📍 অতিরিক্ত রাগ,জেদ,নিজেকে আঘাত করার প্রবণতা বা আত্মহত্যার প্রবনতা।

📍 তাছাড়া বারবার অজ্ঞান বা ফিট হওয়া,এডিকশন,ইন্টারনেট এডিকশন,মহিলাদের সেক্সুয়াল সমস্যা ইত্যাদি।

🔴 সঠিক চিকিৎসায় মানসিক যে কোনো রোগ,এংজাইটি বা এংজাইটি জনিত রোগ,যেমন generalized anxiety disorder,প্যানিক এট্যাক,সোশ্যাল এংজাইটি, মৃত্যু ভীতি বা যে কোনো ভীতি,ওসিডি বা শুচিবাই,অহেতুক ভয় ইত্যাদি মানসিক সমস্যায় আক্রান্তরা ভালো ও সুস্থ থাকেন।

🔻 মানসিক রোগ নিয়ে তথ্য পেতে .Rezwana Habiba- Psychiatrist এই পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন।

🔷✅ রোগ নিয়ে বা চেম্বার বিষয়ক তথ্য জানতে মেসেজ দিন 01772-134828


Assistant professor,
Psychiatry.

[For appointment in Sylhet : 01772 134828

 #মা_কন্যা_বউ_শ্বাশুড়ি  : সম্পর্কের বদল! নাকি সম্পর্কের চক্র?আমার আম্মু বলতেন,আব্বু বাসায় আসার পর আমরা যেন চুপ থাকি,হৈ হ...
11/05/2025

#মা_কন্যা_বউ_শ্বাশুড়ি : সম্পর্কের বদল! নাকি সম্পর্কের চক্র?

আমার আম্মু বলতেন,আব্বু বাসায় আসার পর আমরা যেন চুপ থাকি,হৈ হুল্লোড় না করি...একটা মানুষ সারাদিন বাইরে থেকে অফিস-জ্যাম-শব্দ-ধুলোময়লা -ক্ষুধা নিয়ে ঘরে আসার পর মনে হয় মনটা এবার একটু প্রশান্ত হোক!!! তাকে সেই প্রশান্তি টুকু দেয়া ঘরের মানুষদের দায়িত্ব।তাদেরকে ভালো রাখতেই তার বাইরে এতো পরিশ্রম। অথচ পুলিশ ভদ্রলোকটি কি সেই প্রশান্তি পেয়েছিলো?

যার কথা বলছিলাম। সম্প্রতি একজন ঊর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা, যেখানে পৌঁছানো লাখো মানুষের স্বপ্ন থাকে,যেখানে পৌঁছাতে হাজার হাজার বিনিদ্র রাত জেগে পড়ার পরিশ্রম করতে হয়,পরিবারের ও এক দীর্ঘ স্যাক্রিফাইস করতে হয় সন্তানকে ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে... সেই মানুষটিকে নিজেকে শেষ করে দিতে হলো পরিবারের বউ শ্বাশুড়ির দ্বন্দ্বে। ক্যান য়ু ইমাজিন!!!

মা,বউ,কন্যা,শ্বাশুড়ি.. এই সম্পর্কগুলো ভীষণভাবে এক সুতোয় গাঁথা। প্রায় শতভাগ নারীই তার জীবনে এই চারটা স্টেজ পার করেন। আজ মা দিবসে এই মা'দের নিয়ে কথা বলি। পড়ার ধৈর্য আছে?

একজন মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল হিসাবে আমাকে প্রতিনিয়ত মানুষের মন নিয়ে ডিল করতে হয়। মানুষের জীবন সম্পর্কে জানা ও আমাদের চিকিৎসার একটা পার্ট। অদ্ভূত এক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে সম্পর্কগুলো পার হচ্ছে।কারো প্রতি কারো বিশ্বাস নেই,কেউ কাউকে দেখতে-সহ্য করতে পারেনা।সবাই শুধু নিজেকেই ভালোবাসে আর নিজেকেই একদম সঠিক মনে করে।

📌মেয়ে, বড় আদরের সন্তান বাপ মায়ের। সেই মেয়ের যখন ২৫/২৬ বছর বয়স পার হতে থাকে,সেই আদরের মেয়ের উপর প্রেশার ক্রিয়েট হয় বিয়ের জন্য। আর ২৮/৩০ পার করলে তো বাপ মাই বোঝা মনে করেন মেয়েকে। আমি তো জেনে বলছি,আপনি বিশ্বাস না করলে বিভিন্ন নারী,ফিমেল গ্রুপে ঢুকুন,দেখুন।

--আবার সেই অতি আদরের মেয়েটি যদি ডিভোর্সড হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসে,তাহলে তো রক্ষা নেই! এই মেয়ে সবচেয়ে নাজেহাল আর লাঞ্ছিত হয় তার পরিবার দ্বারাই।মেয়েকে তার পরিবারেই তখন আশ্রিতা হিসাবে থাকতে হয় বাপ-মা-ভাইয়ের গলগ্রহ হয়ে।আবার মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকলে অনেক মেয়ের সংসারই মেয়ের মা কণ্ট্রোল করেন।

তাহলে বুঝা গেলো,যত আদরের মেয়েই হোক,সময়ের সাথে সাথে তার স্ট্যাটাস চেঞ্জ হয়,সে সবসময় আদরের রাজকন্যা হয়ে থাকে না।

📌এবার আসি শ্বাশুড়ির বিষয় এবং ছেলেদের নিয়ে।সাউথ এশিয়ান দেশগুলোতে ছেলে সন্তানের গুরুত্ব অনেক।এখন সময় বদলেছে,গুরুত্ব আগের মতো না দেখালেও একেবারে কম না। কারন একটা ছেলে মানে, সে ভবিষ্যতে বাবা-মা-পরিবারকে দেখবে,সম্পত্তিগুলোর মালিক হবে,ফলে সম্পত্তি বেহাত হবে না ইত্যাদি।

ছেলে বড় হলে মা বাবা অধীর হয়ে পুত্র বধুঁ খুঁজতে থাকেন,সেই আদরের পুত্র বঁধুকে ঘরে আনার পর অনেকেই আর দেখতে পারে না।মনে করে,বউ তার পুত্রকে নিয়ে গেলো,যে পুত্র বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত মায়ের আচঁল ধরে থেকেছে,ছেলের ফার্স্ট প্রায়োরিটি ওলঅয়েজ ছিলো যে মা,কিভাবে মা সহ্য করবে প্রায়োরিটি চেঞ্জ হয়ে যাওয়াটা।বিন্দু বিন্দু করে গড়ে তোলা সংসার,যেখানে পুরোটাই তার নির্দেশে চলেছে,সেখানে আরেকজনের অনুপ্রবেশ কিংবা অধিকার সেটা মেনে নেয়ার চাপ অনেক মা-ই সামলাতে পারেন না।অনেক শ্বাশুড়ি আবার থাকেন ছেলেকে মিথ্যা মন্ত্রনা দিতে,চান ছেলে ও বউ আলাদা থাকুক।তখন দ্বন্দ্ব শুরু হয় বউয়ের সাথে ছেলেকে কন্ট্রোলের রিমোট কার হাতে থাকবে এটা নিয়ে,সাথে ছেলের ভূমিকা সাপেক্ষে সে শত্রু কি মিত্র চিহ্নিত করা হয়।

আবার ছেলে বউ ছেলেকে যন্ত্রনা দিচ্ছে,সংসারে অশান্তি করছে, আলাদা হতে চাপ দিচ্ছে... অনেক শ্বাশুড়ি ছেলের এই কষ্ট সহ্য করতে পারেন না,আলাদা করে দেন ছেলেকে,এমনটা ও আছে পরিবার গুলোতে।

যদিও এখানে ছেলের একটা ইম্পর্ট্যান্ট ভূমিকা থাকে,বেশিরভাগ ছেলেরা সেই ভূমিকাটা পালন করতে পারেনা,সম্পর্কের ব্যালেন্স করতে পারেনা।তাই সমস্যাটা আরো বাড়ে।

📌 শ্বশুর বাড়ি আসার পর যে মেয়েটি শ্বাশুড়িকে প্রতিপক্ষ ভেবে কিংবা নেগেটিভ আচরনে কিংবা এম্নিই নিজের প্রাইভেসি চেয়ে শ্বশুর বাড়ি-শ্বাশুড়ি ভালো লাগে না বলে স্বামী নিয়ে আলাদা হতে চায়,সেই মেয়েটি যখন সন্তানের মা হয়,তখন সে বুঝে, বাচ্চা পালতে এতো কষ্ট,একা পালা কত কষ্ট!! তখন সে বুঝে সন্তান কি জিনিস,কি সাধনার ধন।

📌মেয়েটির ভাই বিয়ে করে যখন,যখন দেখে ভাইয়ের বউ তার মাকে বাবাকে যথেষ্ট করছে না,সেই মেয়েটিই ফুঁসলে উঠে, তার বাপ মায়ের কষ্টে তার অন্তর পুড়তে থাকে। মেয়ের বিয়ের পর মেয়ের শ্বাশুড়িকে আলাদা করে দেয়ার মন্ত্রনা দেয় যে মেয়ের মা,সেই মা-ই আবার ছেলের বিয়ের পর বউয়ের আলাদা হয়ে যাওয়া বা এডজাস্ট না হওয়া নিয়ে কষ্ট বোধ করেন।

এতটুকু পড়তে পারলে একটু দেখুন,কিভাবে একই সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে বারবার বদলে যায়,সম্পর্কের আবেগগুলো ও বদলে যায়। আসলে কখনো সম্পর্ক বদলে যায় এক নিমিষেই।

এখানে ভূমিকা কার, কোথায়,কতটুকু রাখতে হবে সেটা জানা জরুরী। সম্পর্কের বাউন্ডারী কতটুকু সেটা জানতে হবে।আর থাকতে হবে সহনশীলতা, এডজাস্টমেন্ট করার মানসিকতা, কিছু ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করার মানসিকতা।

এটা মেনে নিতে হবে,মেয়ে বিয়ে দিয়ে অন্য পরিবারে যায়,ছেলে বিয়ে করে বউ তার পরিবারে আনে।এখানে সমাজ ও আইনে কিভাবে সম্পর্ক সেইম থাকবে? এখানে একপক্ষের এডজাস্টমেন্ট নিশ্চিতভাবেই বেশি। আর আরেক পক্ষের মেনে নেয়ার,স্পেস দেয়ার মানসিকতার জরুরি বেশি।

বিয়ে মানে শুধু স্বামী না,স্বামীর পরিবারেই আপনি আসবেন,তাই আপনাকে সবার সাথে মিশে চলার মানসিকতা নিয়েই বিয়ে বসতে হবে। নতুবা ঘর জামাই করে নিজের মায়ের বাসায় স্বামীকে রাখতে হবে,বা এতিম ছেলে বিয়ে করতে হবে।

একটা ছেলে বিয়ে করে স্ত্রীর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়,তাই বউয়েরা মুখ বড় করে বলে,'আমার টাকা আমার টাকা,জামাইর টাকা ও আমার টাকা"!

এটা বলতে কম শোনা যায় তখন,আমার মা আমার মা,জামাইর মা ও আমার মা। তুমি কিন্তু কেউ ছিলে না,শুধুমাত্র আইনের অধিকারে তুমি স্বামীর সম্পত্তি আত্মা সব কিছুর অধিকার পেয়ে গেলে!! আর যে মা জন্ম দিলো,পেলে বড় করলো,তুমি বলছো সে কেন অন্য কোথাও গিয়ে থাকে না?

আশ্চর্য!

পলাশ সাহার ঘটনায় নারীরা এসব কথা বলছেন,
"মা কেন সব ছেলের বাসায় পালাক্রমে থাকেনা"?
" মা কেন পড়ে আছে ছেলের সংসারে"
"মা নাকি বউয়ের প্রতি সেক্সুয়াল জেলাসি ফীল করে"!

এসব নারীরা কোন পরিবারে কি শিক্ষা পেয়ে বড় হয়েছে আমার জানতে ইচ্ছে করে।মা কি জলে ভাসা পদ্ম? যাযাবর? মা তার ঘর সংসার থেকে, তার ছেলের ঘর থেকে সে বের হয়ে যাবেন,কারন বউয়ের সাথে বনিবনা হয়নি তাই!!!

শেষ কথা:
যে কোনো সম্পর্ক তৈরী করতে সময় দিতে হয়। বাসে ট্রেনে কোথাও গেলে আপনার পাশে সিটে বসা যাত্রীর সাথে কয়েক ঘন্টার জার্নিতেও তো আপনার কিছুটা এডজাস্ট করে নিতে হয়,আর হোষ্টেলে থাকলে রূম মেটের সাথে।

তাহলে স্বামী-স্ত্রী, বউ-শ্বাশুড়ির মতো দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে সময়,এফোর্ট,সহনশীলতা, এডজাস্টমেন্ট, কিছু কম্প্রোমাইজ কেন আমরা একেবারেই করতে চাই না?

বিয়ের পর ছেলেকে মা খাইয়ে দিলে আপনার মনে হয় আদিক্ষ্যেতা! অথচ নিজে মায়ের বাড়ি বেড়াতে গেলে মা মুখে তুলে খাইয়ে দিলে ইমোশনাল ভিডিও দেন।

আপনি বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে নিজের সম্পত্তি ভেবে নেন,ভেবে নেন স্বামীর টাকা পয়সা সব আপনার, আর কারো কোনো অধিকার নেই!

আবার অনেক শ্বাশুড়ি ভাবেন বউ বিনে পয়সার কাজের বুয়া।
ভুলে যান,তিনিও বউ ছিলেন।

উপরের এই দুই মেন্টালিটিই জঘন্য ও নোংরা।

সম্পর্ক গড়ুন। সম্পর্ক ভাঙার জন্য নতুন সম্পর্কে যাবেন না। কারন আজ আপনি মেয়ে,কাল বউ,পরশু সেই আপনি ই কিন্তু শ্বাশুড়ি। একই রোল সবাইকেই প্লে করতে হয়,হবে।এটা মনে রাখলেই হয়তো ভালো থাকবেন।

আর মা'কে মা'দের নিয়ে এতটা খারাপ কথা বলবেন না,এতটা পঁচাবেন না। পৃথিবীতে এখনো একমাত্র নি:স্বার্থ সম্পর্ক হচ্ছে মায়ের সাথেই।একজন মা শ্বাশুড়ি হিসাবে আজ কাঠগড়ায়, কিন্তু তালি কি এক হাতে বেজেছিলো?

#মা_কন্যা_বউ_শ্বাশুড়ি : সম্পর্কের বদল! নাকি সম্পর্কের চক্র?


Assistant Professor
Psychiatry

* এই বিখ্যাত পরিবারে বউ শ্বাশুড়ি ননদের বিতর্কিত সম্পর্কের কথা সবাই জানে।তাই লেখার টপিক বুঝাতে এই ছবি দেয়া।

#মা_দিবস ্বাশুড়ির_যুদ্ধ

একজন বিসিএস ক্যাডার,একজন পুলিশ অফিসার,একজন মেধাবী মানুষ...আত্ম/হত্যা করলেন। নি:সন্দেহে কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে তার সু...
08/05/2025

একজন বিসিএস ক্যাডার,
একজন পুলিশ অফিসার,
একজন মেধাবী মানুষ...

আত্ম/হত্যা করলেন। নি:সন্দেহে কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে তার সুইসাইড নোট ঘিরে,সেটা হচ্ছে...

১) বউ শ্বাশুড়ির দ্বন্দ্ব

আর যেটা উত্থাপিত হওয়া দরকার ছিলো জোরেশোরে,কিন্তু হয় নি। সেটা হচ্ছে

২)'মানসিক স্বাস্থ্য " নিয়ে।

ফেইসবুক থেকে জানলাম পরিবারে বউ শ্বাশুড়ির যুদ্ধ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

কিন্তু তিনি কোনো মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট নিয়েছিলেন কি- না কেউ জিজ্ঞেস করেনি!!! অথচ এটা জিজ্ঞেস করা কি উচিৎ ছিলো না ?

ঘরে ঘরে ্বাশুড়ির_যুদ্ধ এর মতো চিরন্তন দ্বন্দ্ব নিয়ে সাধারণত কোনো পুরুষ আত্মহত্যা করে কি? এসব ক্ষেত্রে ছেলেদেরই সমস্যার সমাধান করতে হয়,কারন দুজনেই তার আপন।

হয়তো অফিসার #পলাশ_সাহা এতটাই বিপর্যস্ত ছিলেন,হয়তো মানসিক চাপ আর নিতে পারছিলেন না। সেক্ষেত্রে মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট নেয়ার কথা ভাবলে হয়তো ঘটনাটি এরকম না ও হতে পারতো।। জানিনা,তিনি কোনো সাপোর্ট নিয়েছিলেন কি না।

আচ্ছা,বিভিন্ন পোস্টে হাজারো কমেন্ট দেখলাম,বিশেষত মেয়েদের,ব্যাপারটা এমন ---"শ্বাশুড়িদের উচিৎ ছেলের বিয়ের পর তাদের আলাদা করে দেয়া,ছেলেকে নিয়ে পড়ে না থাকা,শ্বাশুড়ি বউ এক বাড়িতে না থাকা"।তাইলেই নাকি বউ শ্বাশুড়ি দ্বন্দ্ব আর থাকবে না!!

আচ্ছা!!

আমাদের দেশের কয়টা বাপ মায়ের ক্ষমতা আছে,বাচ্চাকে কষ্ট করে পালবে, আবার ছেলেদের বউদের জন্য আলাদা বাড়ি বা ফ্ল্যাট রেডি করে রাখবে।যেহেতু বউয়ের সাথে ঝগড়া হবে,আর একসাথে থাকতে পারবে না, এজন্য!!

আর যে ছেলে বিয়ে করে তার তো প্রথম দিকে সীমিত ইনকামই থাকবে,যদি মধ্যবিত্ত -নিম্নমধ্যবিত্ত হয়।তাই না? তাহলে সে বিয়ের আগেই বাপ মা আর বউয়ের জন্য আলাদা বাড়ি/ফ্ল্যাট কিভাবে মেইনটেইন করবে?

না কি সে ঘরে শান্তির জন্য বিয়ের রাতেই মা'কে বিসর্জন দিয়ে দিবে?

বাপ মা কষ্ট করে সন্তান পালন করবে,বউ এসে বলবে 'আলাদা' হয়ে যাবে,ক'জন মা সেটা সহ্য করবে?

যদিও বেশ কিছু শ্বাশুড়ি ও থাকেনই খুব বউ কাঁটকি।

তাহলে সমাধান কি?

"সহনশীলতা ".

আর এই সহনশীলতা পরিবারেই চর্চা করতে হবে।
আমাদের সমাজে যে বিবাহপ্রথা প্রচলিত,সেখানে মেয়েরা যেহেতু বিয়ে হয়ে নতুন পরিবারে আসে,সেখানে তার এডজাস্টমেন্ট বা স্যাক্রিফাইস সামান্য বেশি থাকে, এটাই স্বাভাবিক। বিয়ে করা মানে শুধু কি স্বামীকে নিয়ে থাকা?? সামাজিক প্রথা অনুযায়ীই তো হাজার বছর ধরে স্বামীর বাড়ির সবার সাথে মেয়েরা আজীবন মিলেমিশে, আনন্দ আর বেদনায় পার করেছে। এখন এই নিয়ম কে নিয়ে আসলো বিয়ে মানে শুধু দুজনের বিষয়,শুধু দুজনে থাকা? তাহলে পরিবার আর সমাজের জায়গা কোথায়?

এখানে ছেলের বিয়ের ব্যাপারে, মা'কে একটু সময় দিতে হবে ছেলে সন্তানের নতুন জীবনের সাথে নিজেকে এডজাস্ট করে নেয়ার জন্য,একইভাবে বউকে ও স্পেস দিতে হবে নতুন সংসারে এডজাস্টমেন্টের জন্য।

একজন মা তার সন্তানকে ছাড়তে পারবেন না। আর স্ত্রী ও ছেলেটির জীবনের অন্য একটা পার্ট।এখানে মা বড় না বউ বড় প্রসঙ্গ কোনো ভাবেই আসবে না।একেবারেই ভিন্ন সম্পর্ক দুটো। তবে কম্পেয়ার করলে মা'ই তো আগে আসবেন, তাই না? আজ যে ছেলেটা মৃত্যু বরন করলো,তার স্ত্রী যে কিছুদিন পর অন্য কারো স্ত্রী হবেন না,এটার তো নিশ্চয়তা নেই। সো,মায়ের সাথে স্ত্রীকে কখনোই কম্পেয়ার করবেন না। এটাই সবচেয়ে বাজে লাগে আমার কাছে।।।

যেটা করতে পারেন,ছেলে বিয়ে দেয়ার আগে,আর মেয়েটি বিয়ে করার আগে সময় নিন। বিয়ে মানে হালদি নাইট,মিউজিক নাইট,মেহেন্দি নাইট আর ছবি তোলা নয়,বিয়ে মানে কোন জামাই কত ভরি স্বর্ন দিলো,কোন বউয়ের বাপ কি কি মাল মসলা দিলো,এটা নয়।

#বিয়ে একটা আইনগত সম্পর্ক।
এটা আজীবনের রেসপনসেবলিটি।

বিয়ে করার আগে ছেলে মেয়ে উভয়ে সময় নিয়ে দেখুন,আপনি কি এই রেস্পনসিবিলিটি নেয়ার যোগ্য??

সাইকিয়াট্রি /মনোরোগবিদ্যা কিংবা ব্রেইন,মানসিক যেটাই বলুন,আপনারা সবচেয়ে ভয় পেয়ে যান যে বিষয়ে,সেটা হচ্ছে "ওষুধ"...আমরা প্র...
01/05/2025

সাইকিয়াট্রি /মনোরোগবিদ্যা কিংবা ব্রেইন,মানসিক যেটাই বলুন,আপনারা সবচেয়ে ভয় পেয়ে যান যে বিষয়ে,সেটা হচ্ছে "ওষুধ"...

আমরা প্রেস্ক্রিপশনে ওষুধ লেখা শুরু করার সাথে সাথেই প্রশ্নবান শুরু হয়,
" ম্যাম,ওষুধ খেতেই হবে?"
"রোগীর কোনো ক্ষতি হবে"?
" সারাজীবন খেতে হবে?"

ইত্যাদি ইত্যাদি......

তাই আজ মানসিক রোগের "ওষুধ" নিয়ে আপনার সঙ্গত প্রশ্ন করুন "কমেন্টে",ইনশাআল্লাহ উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।


Assistant Professor
Psychiatry

For any information,call: 01772 134828

মেয়েরা আর কতকাল "ভিক্টিম" রোল প্লে করবে?পারভেজ  হত্যার উস্কানিদাতা সহ প্রত্যেক অপরাধী সমান শাস্তি প্রাপ্য।আসামী মেয়েদুইট...
20/04/2025

মেয়েরা আর কতকাল "ভিক্টিম" রোল প্লে করবে?

পারভেজ হত্যার উস্কানিদাতা সহ প্রত্যেক অপরাধী সমান শাস্তি প্রাপ্য।

আসামী মেয়েদুইটা সহ বাকি আসামী দের ফ্যামিলির পক্ষ থেকে মৃত ছেলেটির মা-বাবার আজীবন খরচ, ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ।

মানুষের জীবনকে এতটাই ছেলেখেলা মনে করে এরা!!?

*মনে রাখতে হবে,সব মেয়েই বিবেকবান আর মমতাময়ী হয় না। ঘষেটি বেগম ও এদেশেরই মানুষ ছিলো। সে তার বংশধর রেখে যাবে,এটাই স্বাভাবিক।

Address

Sylhet

Telephone

+8801772134828

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist:

Share