Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist

Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist chamber: Only in Sylhet
But online consultation available

Assistant Professor of Psychiatry

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সাইকোথেরাপিষ্ট.
★আপনার মন ভালো আছে তো?★

মানসিক রোগ শারীরিক রোগের মতোই রোগ মাত্র
চিকিৎসায় যা ভালো হয়।মানসিক রোগ নিয়ে ভয় আর নয়।

নিউজিল্যান্ডের একটা ঘটনা। খুব খেয়াল করে দেখেন, পড়েন। লিংক দিয়েছি। কিছু কি মিল পান?আসলে গত কয়েক মাসে,মা তার সন্তানকে মেরে...
24/09/2025

নিউজিল্যান্ডের একটা ঘটনা। খুব খেয়াল করে দেখেন, পড়েন। লিংক দিয়েছি। কিছু কি মিল পান?

আসলে গত কয়েক মাসে,মা তার সন্তানকে মেরে ফেলেছেন এমন অনেকগুলো নিউজ পড়েছি,আপনারা ও পড়েছেন। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, যখন মায়েরা ছোট শিশুদের মেরে ফেলে তখন নারীদের একটা গ্রুপকে সেই মায়ের প্রতিই প্রচন্ড সংবেদনশীল দেখা যায়। সেই সব নারীরা কাহিনী পড়েই নিশ্চিত হয়ে যান , সেই মা'টি পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনে আছেন,এবং তারা এ-ও বলেন মহিলাটি অনেক কষ্টে আছেন বা ছিলেন,সেই থেকে ডিপ্রেশনে গিয়ে বাচ্চা মেরে ফেলেছে,আর তারা নিজেরা ও সেই সব সময় পার করেছেন বলেন। আমি গত কয়েকটা নিউজ এবং তার আপডেট মনোযোগ দিয়ে ফলো করেছি,মনোযোগ দিয়ে কমেন্টগুলো পড়েছি,দেখেছি সেই সব নারীদের মধ্যে হতভাগ্য বাচ্চাটার জন্য তেমন কোনো দু:খবোধ নেই,তাদের বেদনা সব হত্যাকারী মহিলার জন্য এবং তাদের কমেন্টে মনে হয় যেন ডিপ্রেশনে মহিলাটি বাচ্চাকে মারতেই পারেন!!! এবং এটাই নরমাল!!

এই সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে শেষ করে দিচ্ছে! সাধু থেকে শয়তান,অশিক্ষিত থেকে উচ্চশিক্ষিত সবাই ফেইসবুকে নিজের মতামত জাহির করতে ব্যস্ত।সেই মতের সাথে কতটা বাস্তবতা বা সত্য আছে তা পুরোটাই প্রশ্ন সাপেক্ষ।

২/৩ মাস আগে অনলাইন পোর্টালে পড়লাম,এক মহিলা বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে যায়,তারপর খালি হাতে আসে আর বলে কে জানি চোখে স্প্রে মেরে বাচ্চা নিয়ে গেছে। শুনে খুব খারাপ লেগেছিলো,অসহায় বাবার বাচ্চার ছবি দেখিয়ে কান্নার দৃশ্য ও চোখে ভাসছে। অথচ মাত্র দু'দিন পরই জানা গেলো বাচ্চাটিকে মা নিজেই পানিতে ফেলে দিয়ে এসে গল্প ফেঁদেছে। তারপর এক গ্রুপ নারী মহল সেই মহিলাকে পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন বলে ডায়াগনোসিস করেন এবং লেখালেখি করেন মহিলাটি সাংসারিক চাপে ছিলো বলে ডিপ্রেশনে গিয়ে বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে!!

যে মা তার বাচ্চাকে মেরে এসে মিথ্যা গল্প ফেঁদে পরিবার ও দেশ বাসীকে বোকা বানাতে পারেন,সে কিভাবে ডিপ্রেশনে আমি সত্যি জানিনা। নিশ্চয়ই আইন সেটা বুঝবেন, আর সাইকিয়াট্রিক এসেসমেন্টে সাইকিয়াট্রিস্টরা বুঝবেন,আর সেই সব নারী মহলদের ধরে এনে সেই উত্তর চাওয়া হোক।

এবার আসুন,নিউজিল্যান্ডের খবরে।মহিলার স্বামী কয়েকমাস আগে মারা গিয়েছেন,তারপর সে বাচ্চাদের মে'রেছে। বাংলাদেশ হলে আইনের বিচারের আগেই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালেই হয়তো পাব্লিক মহিলার ডিপ্রেশন ডায়াগনোসিস করে এতোবড় হত্যাকে জাস্টিফাই করে ফেলতে চাইতো। ধন্যবাদ জানাই নিউজিল্যান্ডের আইনকে।

আমি পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন নিয়ে লিখবো কিছুদিনের মধ্যে।আমি জানি বেশিরভাগই পড়বেন না,তারপরও লিখবো,দায়িত্ববোধ থেকে। পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন থেকে হোমিসাইড বা হত্যা একেবারেই যে রেয়ার তা নয়,হয়,বাট কিছু ক্ষেত্রে এবং সেটা খুবই সামান্য।

এখন আপনারা যদি প্রত্যেক হত্যাকারী মায়ের হত্যাকে জাস্টিফাই করার জন্য তাদের পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন বানিয়ে ফেলেন,সাইকিয়াট্রিস্ট এর এসেসমেন্ট এর আগেই,বিচার কার্য শুরু হওয়ার আগেই!!
তাহলে,এদেশ বাচ্চাদের জন্য আসলেই নিরাপদ থাকবে না ভবিষ্যতে। ভবিষ্যতে যে কেউ বাচ্চাকে মেরে ডিপ্রেশনের দোহাই দিতে চাইবে। কে জানে,এর পরবর্তী টার্গেট হয়তো আপনার ঘরেই আছে!


Assistant Professor
Psychiatry

ভদ্রমহিলার পাঁচ ছেলে! উনার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম সারাজীবন হয়তো তিনি এক প্রচ্ছন্ন অহংকারের মধ্য দিয়ে পার করেছেন পাঁচ পাঁচট...
22/09/2025

ভদ্রমহিলার পাঁচ ছেলে! উনার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম সারাজীবন হয়তো তিনি এক প্রচ্ছন্ন অহংকারের মধ্য দিয়ে পার করেছেন পাঁচ পাঁচটা ছেলে সন্তানের মা হয়ে। হয়তো ভেবেছিলেন শেষ বয়সে ছেলেরা মা'কে নিয়ে টানাটানি করবে নিজেদের সাথে রাখার জন্য! কিংবা হয়তো ভেবেছিলেন পাঁচ ছেলে,ছেলেদের বউ আর নাতি নাতনীদের কোলাহলে ভরে থাকবে ঘর! কিংবা, কে জানে!

মানুষ যা ভাবে,তা কি পায়!!

ভালোভাবে তাকালাম বৃদ্ধা মহিলার দিকে।জীর্ণ শীর্ণ শরীরটা যেন লেগে আছে কেবিনের ছোট বিছানার সাথে। তিনি খুব জেদ করেন,ওষুধ খেতে চান না,গোসল করতে চান না। উনার ছেলে আসলেই নাকি তিনি গোসল করবেন,তার আগে নয়। নার্সরা আয়াদের সাথে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন,কিন্তু মহিলা অনড়। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। মাঝেমধ্যে কল দিলে আমি দেখে আসি। সিজোফ্রেনিয়ার রোগী,সাথে বৃদ্ধ,বেশ কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষার ও দরকার।বাট এটেন্ডেন্ট মহিলা বলে দিয়েছেন,তাকে এক্সট্রা কোনো টাকা পয়সা দেয়া হয়নি।তাই টেস্ট করা সম্ভব না। একবার এক পরিচিত লোককে দিয়ে কিছু টাকা পাঠিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন উনার এক ছেলে। হয়তো ডিসচার্জের বিলটা ও কাউকে দিয়ে পাঠিয়ে দেবেন।

উনার সাথে থাকা এটেন্ডেন্ট মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম,কোথায় উনার ছেলেরা,কিংবা ছেলে বউরা? কেউ এসে গোসল করিয়ে দিলেও তো পারেন।নাকি উনারা দেশে নেই?

মহিলা যা বললো তাতে ভীষণ অবাক হলাম,হলাম লজ্জিত, কুন্ঠিত। এ লজ্জা মানুষ হবার লজ্জা!!জানিনা পশু সমাজেও এমন আছে কি না!

পাঁচ ছেলের প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত। কেউ চাকরি জীবি কেউ ব্যবসায়ী, একজন হয়তো দেশের বাইরে। এই শহরেই থাকেন তিন জন।বাট তাদের বা তাদের স্ত্রীদের কারো এক ফোঁটা সময় হয়নি মা'কে এসে দেখার। কারন তারা ভীষণ ব্যস্ত,বড় মানুষ। হয়তো অসুস্থ মা'কে দেখতে আসতেও লজ্জা লাগে তাদের।তাই এক মাসেও ছেলেদের কারো বা তাদের স্ত্রী সন্তানদের কারো ঠেকা পড়েনি এই শীর্ণকায় মহিলাকে দেখতে আসার। যে মহিলা সাথে আছেন তিনি গৃহকর্মী, তিনিই থাকেন একা বাড়িতে মহিলার সাথে।

ভাবছিলাম,আজকাল মানুষ মানবাধিকারের ব্যাপারে অনেক সচেতন। নারীরা তাদের অধিকারের ব্যাপারে অনেক বেশিই সচেতন। নারী অধিকার আর বউয়ের অধিকার নিয়ে রিলস,লেখা আর ওয়াজে ফেইসবুক সয়লাব। এই সব বৃদ্ধ মা বাবারা কি কোনো মানবাধিকারের রুলের মধ্যে পড়েন না? মায়েরা কি নারী নয়? বাবা মায়েদের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব কি এখন শুধু বইয়ের কথা,আর ধর্মের কথা?

যে মা তার সন্তানদের তিল তিল করে মানুষ করলো তার সুখ শান্তি ভুলে,বৃদ্ধ বয়সে তাদের কি এটাই পাওনা?

যদি ছেলে মেয়েদের বিবেক না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ হোক জোরেশোরে।
বাস্তবে বাপ মা কি পায় আসলে সন্তানদের কাছ থেকে?
বেশির ভাগ সন্তান সামান্য কিছু টাকা পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করে।
তাদের আসলে সেই টাকায় হচ্ছে কি না,কে খবর রাখে! তারা তাদের বউ বাচ্চা/স্বামী সন্তান নিয়ে ব্যস্ত!

বাবা মায়ের সাথে প্রতিদিন বসে তাদের কিছুটা সময় দেয়া,এটা যে কত জরুরী,আর বৃদ্ধ কালে সন্তানদের কাছে পাওয়ার আকুতি থাকে বাবা মায়েদের কাছে প্রচন্ডভাবে, এটা কি তারা জানে না?

সন্তানরা আসলে কি করে বাবা মায়েদের জন্য?

কিছু না,কিছুই করে না। সন্তানের মতো প্রিয়,আর সন্তানের মতো স্বার্থপর বোধ করি পৃথিবীতে আর কেউ হয় না।

#সায়াহ্নে

#জীবনের_গল্পগুলো : ৮



গল্পগুলো কারো জীবন থেকেই নেয়া।হয়তো লেখার প্রয়োজনে সামান্য নাম ইত্যাদি বদলানো হয়।

হানিয়া আমিরকে নিয়ে মোটামুটি ৪০/৪২  টার মতো পোস্ট চোখে পড়লো এই দুই দিনে ,কিছু রিলস সামনে আসলো।হানিয়া আমিরের রূপে মুগ্ধ হয়...
21/09/2025

হানিয়া আমিরকে নিয়ে মোটামুটি ৪০/৪২ টার মতো পোস্ট চোখে পড়লো এই দুই দিনে ,কিছু রিলস সামনে আসলো।

হানিয়া আমিরের রূপে মুগ্ধ হয়ে যেসব পোস্ট গুলো,তার বেশিরভাগই পুরুষদের করা। অবশ্য ছেলেরা আজীবন মেয়েদের রূপে পাগলপারা থাকে,থাকবে,এ বিষয়টি নরমাল। আর হানিয়া নায়িকা হয়েছেন সুন্দর বলেই,এবং তিনি অবশ্যই সুন্দর।

কথা বলছিলাম,অন্য আরেকটি বিষয় নিয়ে। কিছু মানুষ হানিয়াকে স্বর্গের অপ্সরা মনে করছেন,তার সৌন্দর্যের কাছে নাকি সব তুচ্ছ!!! হানিয়ার স্কিন টোন ফর্সা,এটা উনার জন্য বাংলাদেশী পাগলপারা ফ্যান পেতে বেশি সাহায্য করেছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখলাম,হানিয়া ফ্যানরা তার রূপে পাগল হয়ে বাঙালী মেয়েদের অবমাননা করছে! সেটাই আশ্চর্য! একজন নায়িকা,সে যে দেশেরই হোক,তার আবেদন থাকবে,মানুষ ভালোবাসবে.... ঠিকাছে। বাট নিজেদের ছোট দেখিয়ে নয়!

গতকালের একটা ছবি দেখুন,সামিরা মাহির সাথে হানিয়া। আমার কাছে নায়িকা হিসাবে মাহিকেও নায়িকা সুলভ যে আবেদন, সেটা আছে বলে মনে হয়েছে।বাট সেই পোস্টের কমেন্টগুলো দেখলাম গতকাল! যা তা বলা হচ্ছে!! কুৎসিতভাবে এট্যাক করা হয়েছে মাহিকে।

এখন বলতে পারেন,কিছু মানুষ এগুলো বলবেই! ইগনোর!

আসলে ইগনোর করতে গিয়েও পারা যায়নি। এদেশের পুরুষদের কাছে একমাত্র সাদা স্কিন টোনই মারাত্মক ম্যাটার করে। ইউরোপ আমেরিকার সাদা চামড়ার যে কোনো মেয়েকেই তাদের কাছে আরাধ্য দেবী,প্রিন্সেস মনে হয়,হবে...অথচ সে মেয়েটি হয়তো সেই দেশের ভবঘুরে,হোমলেস কিংবা আরো খারাপ কিছু ও হতে পারে। খালি সাদা রঙ দেখে পাগল পারা হয়ে যাওয়া,কবে থেকে শুরু হলো,কে জানে!!

সালমান শাহ'র ওয়াইফকে (সামিরা) আমার ছোটবেলা থেকে তেমন দেখার সুযোগ হয়নি। এখন বেশ চোখে পড়ছে, সম্ভবত উনি তৃতীয় বিয়ে করার পর থেকে এদেশেই আছেন,সেজন্য। উনি ধবধবে ফর্সা। যেটা একেবারেই বাঙালী স্কিনের সাথে যায় না।পরে জানলাম,উনার মা উপজাতি ছিলেন।উনি উনার মায়ের স্কিন টোন পেয়েছেন।বাট ছোটবেলা থেকেই এটা শুনেই বলতে গেলে বড় হয়েছি,"সামিরা অসম্ভব সুন্দর".
আমি তো দেখি উনার একেবারেই অন্যান্য উপজাতিদের মতোই স্বাভাবিক চেহারা,গায়ের রঙ! যদিও তার পজিটিভ দিক তিনি স্টাইলিশ & ফ্যাশন সচেতন।

এই যে,এদেশের পুরুষদের,মানুষদের "সাদা" রঙের প্রতি এই এডিকশন,হয়তো সেই জায়গা থেকেই এদেশের মেয়েদের সাদা হবার মেকাপ করতে আগ্রহী হবার চল শুরু (যদিও অনেক মেয়েই নিজের জন্যই সাজে,তবে সেটা খুব বেশি নয়)।আজকাল এভারেজে সব মেয়েরা মেকাপ করে বাইরে বের হয়,মেকাপ বলতে মেকাপই। ১৫/২০ বছর আগেও মেয়েরা বড়জোর কাজল,হালকা লিপস্টিক আর বেশি সচেতন মেয়েরা ফেস পাউডার দিয়ে বাইরে বের হতো।এখন ফুল মেকাপ না করে কলেজ ভার্সিটির বেশিরভাগ মেয়েরা ক্লাসে যায় না। সে দেখতে যেমনই হোক,মেকাপে তাকে পরীর মতো সুন্দর লাগতে হবে,এমন টেনডেন্সি হয়ে গেছে একটা বড় সংখ্যক মেয়েদের। কতজন মেয়ের সামর্থ্য আছে হাজার হাজার টাকা দিয়ে মেকাপ আইটেম কেনার! তাই বাজার সয়লাব,সস্তা আর নকল মেকাপ আইটেম আর ফর্সাকারী ক্রিম দিয়ে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে মেয়েদের স্কিনের কি ক্ষতি হচ্ছে,চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।

অথচ,মানুষ যেমন আছে তেমনই সুন্দর।উচিৎ হচ্ছে পরিপাটি থাকা,উচিৎ হচ্ছে আচরণ -ব্যবহার-সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া।তাহলে চেহারা এমনিতেই গ্লো করবে।

আর পুরুষেরা/নারীরা যতদিন *শুধু চেহারা দেখে প্রেমিকা,গার্ল ফ্রেন্ড /বয় ফ্রেন্ড পছন্দ করবেন,তার সম্পূর্ণটা না জেনে,তার অন্য সাইড না দেখে,ততদিন ঠকতেই থাকবেন।

পৃথিবীতে মানুষ কেউ ফর্সা,কেউ শ্যামলা,কেউ কালো হবে। কেউ পছন্দ করতেই পারে ফর্সা মেয়ে,যেমন অনেক ফর্সা ছেলেরা কালো মেয়ে পছন্দ করে,তাই তেমন বিয়ে করে।এতে দোষের কিছু নেই। আমি বলি,বিশেষ করে লং-টার্ম সম্পর্কে জড়াতে,বিয়ে করতে সেই মেয়েটির (ছেলেটির ও) রঙের পাশাপাশি গুণ, তার আচরন, তার ফ্যামিলি দেখা ও যে কত জরুরী, সেটা এখন যদি না বুঝেন, পরে জীবন দিয়ে বুঝতে হয়।

আমরা যেসব কাপল থেরাপি দেই,দেখা যায়,অনেক ক্ষেত্রেই সেই মেয়ে বা ছেলেটি চেহারা দেখে,লুক দেখে বিয়ে করেছে,তেমন কিছু জানতো না পার্টনার সম্পর্কে,জানার চেষ্টা ও করেনি, বিয়ের পর যখন দেখে কিছুই মিলে না,ব্যবহার -আচরণে সমস্যা, বিয়ের পর সেই সুন্দরী মেয়েটাই নিজেই একটা বোঝা আর চেহারাটাও সেরকম চার্মিং লাগে না কিংবা সুন্দর দেখতে ছেলেটিই অলস,বেকার,খাচ্চরের এক শেষ,সেই পার্টনার নিয়ে চলা জীবনে খুব সুখকর হয় না আসলে।


Assistant Professor
Psychiatry

কবিরাজ ঘটিত এই খবরটি আপনারা জানেন? এই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন? আসলে এই কবিরাজ বা Traditional faith healer বিষয়টি আমরা সাইকি...
13/09/2025

কবিরাজ ঘটিত এই খবরটি আপনারা জানেন? এই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন? আসলে এই কবিরাজ বা Traditional faith healer বিষয়টি আমরা সাইকিয়াট্রিস্টরা বোধ হয় সবচেয়ে বেশি শুনি। কারন আমাদের কাছে যেসব রোগীরা আসেন,তাদের একটা বড় অংশই আগে কবিরাজি চিকিৎসা করিয়ে আসেন।

কিছু বলতে গেলে তারা বলেন,আপনারা এগুলো বুঝবেন না ম্যাম।

অনেক সময়ই আমরা তাদের কথায় মাথা নাড়ি,বুঝাই, আমরা আসলেই বুঝি না!

তারপরও আমরা আনন্দিত হই। ভাবি, তেনারা যে কবিরাজি চিকিৎসা করানো শেষেও আমাদের কাছে দয়া করে এসেছেন,তাতেই আমরা ও মেন্টাল হেলথ সেক্টর ধন্য।

এই দক্ষিন এশিয়ার মানসিক স্বাস্থ্য,যা কি না অবিশ্বাস আর কুসংস্কারের বেড়াজালে আবদ্ধ,সেই মেন্টাল হেলথকে তিল তিল করে এগিয়ে নেয়া কতটাই যে কঠিন,যারা বুঝার তারা বুঝবেন।

মেন্টাল হেলথ নিয়ে লিখলে,সে লেখা বেশিরভাগ মানুষ তাকিয়েও দেখবে না। তাড়াতাড়ি স্ক্রল করে অন্য কিছু দেখবে।

অথচ,হয়তো তার ঘরেই ধুঁকছে মানসিক কষ্টে কিংবা মানসিক রোগে ভোগা তারই প্রিয়জন।



#মানসিক_স্বাস্থ্য

12/09/2025

📌📌📌আপনাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন আছে। উত্তর দিলে খুশী হবো।

• ♦️ আপনার জীবনের লক্ষ্য কি ছিলো?
• ♦️ সেগুলো কি পূর্ণ হয়েছে?
• ♦️ লক্ষ্য পূরণ না হলে,সেটা আপনার মনে কি ক্ষত তৈরি করেছে? নাকি এগিয়ে গেছেন প্ল্যান বদলে?
• ♦️ জীবনের উদ্দেশ্য আসলে কি বলে আপনি মনে করেন?

আমারটা ও আমি জানাবো কখনো। এখন দেখি শুধু....

দিন যায়,রাত আসে,
রাত যায়,দিন আসে.....

কিভাবে যেন জীবন থেকে সময় দৌঁড়ে যাচ্ছে। এই একটা একটা দিন করে জীবন থেকে কতটা বছর হারিয়ে গেলো!!

শুক্র,শনিবার ছাড়া নিজের মতো কাটানোর একটা বিকেল পাই না।অথচ ছোটবেলায় বিকেলে সারা উঠান দৌঁড়ে বেড়াতাম।আজানের আগে বাসায় ঢুকে যেতে হতো।

ছোটবেলায় মনে হতো,কবে বড় হবো।!!

এখন মনে হয়,বাবা মায়ের সাথে ছেলেবেলায় ফিরে যেতে চাই। চাই আমার সেই নির্ভাবনার দিনগুলোতে ফিরে যেতে।

মাঝেমধ্যে উদাস লাগে।ভাবি,জীবনে যা চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি কি? যা এখনো চাই,সেটা পেতে কিভাবে নিজেকে তৈরি করছি!

জীবনের উদ্দেশ্য কি,সেটা কেন জানি খুঁজে বেড়াই...

02/09/2025

আজ ভীষণ মন খারাপ।

মন খারাপের কারন, একজন রোগী।

১৪/১৫ বছরের মেয়ে। বাবা মায়ের শেষ বয়সে হওয়া একমাত্র সন্তান,সে তীব্র মানসিক রোগে আক্রান্ত। বাবা মা বুঝতেই পারেননি।এখন বুঝতে পেরে দিশেহারা অবস্থা।

কি ছিলো তার লক্ষন?:::

সারাদিন ঘরবন্দী হয়ে থাকা।
একা একা কথা বলা।
সবাই তাকে ফলো করছে,এমনটা বলা।
সারারাত জেগে থাকা।
কিছু বললে রাগ করা।
স্কুলে যায় না।

এমনটা ছিলো এক বছর ধরে। বাবা মা ভেবেছেন, মেয়ে হয়তো প্রাইভেসি চায়, কিংবা টিনেজাররা তো এমন হয়ই!

গত একমাস থেকে ঘরেই পটি করে দিচ্ছে।কোনো কথা বার্তা নেই,মনে হয় যেন তার আবেগ অনুভূতি কিছুই নেই।
ঘুম তো নেইই। রাগ বেড়ে গেছে।
এখন এসেছেন,কি করণীয় জানতে।
তারা মনে করছেন,এটা অতিরিক্ত মোবাইল দেখার কারনে হচ্ছে। আমাকে শুরুতে বলেছেন,মোবাইল এডিকশনের রোগী।

আহ!

কষ্ট হয় ভীষণ!

এমন কত কত পেশেন্ট যে আমরা পাই!
বছরের পর বছর ধরে রোগী অসুস্থ।পরিবার বুঝতে পারে না।তারা মনে করে,তাদের মেয়ে/ছেলেটি জেদ করছে কিংবা অন্য কিছু!!

তাছাড়া অনেকেই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আনেন না,স্টিগমার কারনে।ভাবেন "আমার রোগী কি পাগল!!"

মানসিক হোক,বা শারীরিক রোগ হোক,আপনি যত তাড়াতাড়ি রোগীকে চিকিৎসায় আনবেন,তত তাড়াতাড়ি তার সুস্থতার সম্ভাবনা থাকবে,স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।

সন্তান,আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া এক অসাধারণ গিফট আপনার জন্য। তাকে অবহেলায় ছেড়ে দেবেন না।তার পেছনে লেগে থাকুন,তার ভালোর জন্য। সে কোথায় যায়,কি করে,কেন করে জানুন,বুঝুন। আপনার ১০ টা সন্তান থাকলেও প্রতিটি সন্তানকে সমান নজরে দেখা,সমান গুরুত্ব দেয়া.... এটা তার অধিকার।আর আপনার জন্য এটাই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা।

মানসিক সমস্যার লক্ষনগুলো সবসময়ই দেয়া হয় পেইজে। দেখুন, জানুন,যার সমস্যা আছে বলে মনে হয়,তাকে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান। যত আগে ডাক্তার দেখাবেন,সম্পূর্ণ সুস্থ হবার সম্ভাবনা তত বেশী থাকবে।

ভালো থাকুন সবাই।

প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন সিরিয়াল বা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জানতে 01772 134828..

ও হ্যাঁ, সরকারী হাসপাতালে মাত্র ১০ টাকার টিকেটে মানসিক চিকিৎসক দেখানো যায়।এটা জানেন? সাধারণ মানুষ,যারা কি না প্রাইভেটে রোগী দেখানো এফোর্ড করতে পারেন না,তাদের জন্য দেশের সরকারী হাসপাতাল, NIMH (dhaka) ও BMU, D haka তে দেখানোর সুবিধা আছে।


Assistant Professor
Psychiatry

30/08/2025

সবসময় #মাথা_ব্যাথা, #অশান্তি, #বুক_ধড়ফড় করে? বুঝতে পারছেন না,কেন হচ্ছে এমন? জেনে নিন,এংজাইটি বা উদ্বেগের লক্ষন।

♦ #এংজাইটি বা #উদ্বেগ বা #টেনশনজনিত রোগের লক্ষন:
--------------------------------
• মাথাব্যথা, শরীর ব্যাথা,মাথা গরম হয়ে থাকা।

• বুক ধড়ফড় করা, বুকে চাপ লাগা বা শ্বাস নিতে অসুবিধা লাগা।

• অস্থির লাগা, অশান্তি লাগা, শরীর কাঁপা বা শরীর দূর্বল বোধ করা।

• ঘুমের সমস্যা হওয়া , বিরক্তি বা রাগ লাগা, ক্ষুধা কমে যাওয়া।

• মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বা গরম অনুভব করা।

#এংজাইটি বা #উদ্বেগ,কিংবা #টেনশন যে নামেই জানেন,এই সমস্যাগুলো সাধারণত শারীরিক লক্ষন দিয়ে প্রকাশ পায়, সাথে মানসিক লক্ষন থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ শারীরিক রোগ মনে করে ভুল করে।

যদি আপনি এসব সমস্যায় ভুগেন,আর ডাক্তার দেখিয়ে বা টেস্ট করে তেমন সমস্যা ধরা পড়েনি বলে মনে করেন,তখন একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান।

🔴 কারন সঠিক চিকিৎসায় এংজাইটি বা এংজাইটি জনিত রোগ,যেমন generalized anxiety disorder,প্যানিক এট্যাক,সোশ্যাল এংজাইটি, মৃত্যু ভীতি বা যে কোনো ভীতি,ওসিডি বা শুচিবাই,অহেতুক ভয় ইত্যাদি মানসিক সমস্যায় আক্রান্তরা ভালো ও সুস্থ থাকেন।

ব্রেইন,মানসিক, স্নায়বিক ও এডিকশন রোগ বিশেষজ্ঞ ও সাইকোথেরাপিস্ট ডা: রেজওয়ানা হাবীবা,রোগী দেখছেন সিলেট মনোরোগ হসপিটাল, বাগবাড়ি,সিলেটে।

✅সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন : 01772 134828

01772-134828 প্রয়োজনে সিরিয়াল নিতে মেসেজ দিতে পারেন।

♦️📌অনলাইনেও রোগী দেখা হয়।

🔻 মানসিক রোগ নিয়ে তথ্য পেতে .Rezwana Habiba- Psychiatrist এই পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন।


Assistant professor,
Psychiatry.

[For appointment in Sylhet : 01772 134828 ]

 #অনলাইনে রোগী দেখার বিষয়ে অনেকে জানতে চান।জ্বি,দেশ -বিদেশের সব জায়গা থেকেই অনলাইনে রোগী দেখা হয়। সিলেট থেকে খুলনা,কিংবা...
25/08/2025

#অনলাইনে রোগী দেখার বিষয়ে অনেকে জানতে চান।

জ্বি,দেশ -বিদেশের সব জায়গা থেকেই অনলাইনে রোগী দেখা হয়। সিলেট থেকে খুলনা,কিংবা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, ইংল্যান্ড (UK) থেকে ইউরোপ, আমেরিকা।

অনলাইনে রোগী দেখাতে আগে তথ্য জেনে নিন 01772-134828 এই whatsapp এ মেসেজ দিয়ে।

*WhatsApp এ শুধু মেসেজ দিবেন।

✅ব্রেইন,মানসিক,স্নায়ুবিক ও এডিকশন রোগ বিশেষজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ রেজওয়ানা হাবীবা নিয়মিত সিলেট মনোরোগ হসপিটাল-এ এবং অনলাইনে রোগী দেখছেন।

ডা:রেজওয়ানা হাবীবা
সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট
সহকারী অধ্যাপক,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট।

সিরিয়াল নিতে: 01772 134828
কলে না পেলে,সরাসরি whatsapp এ মেসেজ দিয়ে ও সিরিয়াল নেয়া যাবে। অনলাইনে দেখানোর জন্য ও সেইম নিয়ম।

🟩✅যে সকল রোগী দেখে থাকেন- 👇

📌 #প্যানিক_এট্যাক: বুক ধড়ফড় করা,অশান্তি,শ্বাস নিতে অসুবিধা, হাত পা কাঁপা-ঠান্ডা হয়ে আসা,মরে যাচ্ছি এমন অনুভূতি হওয়া।

✪✪অতিমাত্রায় #দুশ্চিন্তা, হতাশা, মানসিক অশান্তি, অস্থিরতা, বুক ধড়ফড় করা।

✪ #মাথাব্যাথা,মাথা ঘোরানো,শরীর জ্বালা-পোড়া,শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা।

✪ #ডিপ্রেশন বা #বিষন্নতা: ঘুম না হওয়া,দূর্বলতা, ভুলে যাওয়া,খাবারে অরুচি,হতাশা বোধ,মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা।

✪বিভিন্ন বিষয়ে #ফোবিয়া বা ভয়,প্যানিক ডিসওর্ডার।

✪ঘুম না হওয়া,ঘুমের সমস্যা।

✪ #হিস্টেরিয়া, অজ্ঞান হওয়া, খিচুনি/মৃগী,আলগা দোষ।

✪মহিলাদের যৌন সমস্যা,যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া।

✪ #সিজোফ্রেনিয়া, #ম্যানিয়া, #বাইপোলার রোগ সহ বিভিন্ন প্রকার ব্রেইনের রোগ (মানসিক রোগ)

✪ #অতিরিক্ত_রাগ,বারবার আত্মহত্যার চিন্তা বা চেষ্টা এবং অন্যান্য পারসোনালিটি ডিসওর্ডার।

✪ #ওসিডি ( OCD) বা অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে/শুচিবাঈ রোগ

✪ #ডিমেনশিয়া/স্মৃতিভ্রংশ রোগ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া

✪যেকোন ধরনের মাদক ও #নেশাদ্রব্যে আসক্তি

✅ শিশুদেরঃ
#অতি_চঞ্চলতা, কথা না শোনা,বড়দের সাথে বেয়াদবি,বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা,ইন্টারনেট এডিকশন , অটিজম,এডিএইচডি এবং অন্যান্য আচরণ জনিত সমস্যা সহ শিশু-কিশোরদের মানসিক সমস্যা ও মানসিক রোগের আওতাধীন সকল রোগের চিকিৎসা (ঔষুধ ও সাইকোথেরাপি/কাউন্সেলিং) সেবা দেয়া হয়।

✪✪✪এছাড়া #সাইকোথেরাপি (কাউন্সিলিং থেরাপি)
দেয়া হয় যেসব বিষয়ে--
বিষন্নতা বা ডিপ্রেশনে,ওসিডি,দাম্পত্য (রিলেশনশিপ সমস্যা)সমস্যা, অতিরিক্ত রাগ,অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ,ফোবিয়া।এছাড়া শিশুদের ইন্টারনেট এডিকশন নিয়ে এবং প্যারেন্টিং ট্রেনিং ও দেয়া হয়।


Assistant professor
Psychiatry

"আপনার জীবনে যদি এমনটা ঘটতো ,তাহলে আপনি কি করতেন?"অথবা"আপনার জীবনে কি এমনটা ঘটেনি"?রোগীদের সাথে যখন কাউন্সিলিং এ বসি,অনে...
21/08/2025

"আপনার জীবনে যদি এমনটা ঘটতো ,তাহলে আপনি কি করতেন?"
অথবা
"আপনার জীবনে কি এমনটা ঘটেনি"?

রোগীদের সাথে যখন কাউন্সিলিং এ বসি,অনেক ক্ষেত্রেই অনেক নারী,সে যে বয়সেরই হোক,কখনো উপরের প্রশ্ন করে বসেন।

তারা আসলে অ্যাশিওর হতে চান, তাদের জীবনের কোনো ঘটনা অন্য কারো জীবনেও ঘটেছিলো,বা ঘটেছে,এ তুলনা করে তারা অনেক সময় শান্তি পান।

আমি হাসি কখনো,কখনো উত্তর দেই....বলি,

দেখুন,পৃথিবীতে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের বাস। এর মধ্যে ছোট্ট এই বাংলাদেশেই ১৮/২০ কোটি মানুষ। কোটি কোটি মানুষ হওয়া স্বত্ত্বেও যেখানে এক জনের সাথে আরেকজনের চেহারা মিলে না,সেখানে আচরণ কিংবা সমস্যা মিলে যাবে এটা কেন আশা করি আমরা! আর সমস্যা কিছুটা মিলে গেলেও সমাধান কে কিভাবে করবে সেটা ইউনিক। আমি যেভাবে করবো,সেভাবে হয়তো আপনি করবেন।না।

প্রতিটি মানুষের জীবন ধারন পদ্ধতি আলাদা।এমনকি এক পরিবারে,এক মায়ের পেটের ভাইবোনদের মধ্যে ও আচরণে, স্বভাবে, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে বিস্তর ফারাক।

তাই পাশের জনের সাথে কখনো নিজেকে মেলাতে যাবেন না। আমরা যখন নিজেকে তুলনায় নিতে যাই কারো সাথে, সমস্যাটা তখনই শুরু হয়।

একই ড্রেস পরলেও দুই বোনকে,দুইটা মানুষকে কি সেইম লাগে?

না তো!

সেভাবে আমার সাথে অন্য কারো তুলনায় যাচ্ছি কেন আমরা? এই তুলনাগুলোই কিন্তু কষ্ট দেয়,হীণমন্যতা বাড়ায়,হিংসা বিদ্বেষ বাড়ায়।

তাই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা না করি।
আমার সমস্যাগুলো,একান্তই আমার,সেটার সমাধান আমার নিজস্ব উপায়েই করতে হবে।

অমুক কিছু ডিমান্ড করলে,চিৎকার চেঁচামেচি করে সেটা আদায় করে নেয় বলে আমিও তার দেখে সেটা শিখে নিবো?

আমাকে বিবেচনায় নিতে হবে...
ঘটনার প্রেক্ষাপট,
আমার সমস্যার গভীরতা,
আমার জীবনে এর প্রভাব,
উচিৎ অনুচিত বোধ,
নিজের প্রয়োজন,
আমার পারিপার্শ্বিকতা,
সর্বোপরি নিজের বিবেককে জাগ্রত রাখতে হবে।


Assistant professor
Psychiatry

গত ক'দিনের ঘটনা যদি বলি,চার সন্তানের মা'কে তার হাজব্যান্ড মেরে ফেলেছে! অথচ মেয়েটি তার বাবা মা'কে বারবার বলেছিলো,সে পারছে...
15/08/2025

গত ক'দিনের ঘটনা যদি বলি,চার সন্তানের মা'কে তার হাজব্যান্ড মেরে ফেলেছে! অথচ মেয়েটি তার বাবা মা'কে বারবার বলেছিলো,সে পারছে না, অত্যাচারী স্বামী থেকে ডিভোর্স চায় । বাবা মা বলেছেন,"মানিয়ে নাও,মানিয়ে নিতে হয়"! অথচ তারা বুঝেন নি,একটা মেয়ে কোন অবস্থায় আসলে চার সন্তান সহ ডিভোর্স চায়!!!

আবার সেদিন মেডিকেলের যে মেয়েটা পড়ার চাপে আত্মাহুতি দিয়েছে,সে ও নাকি নিজ ইচ্ছেয় নয়, পিতামাতার ইচ্ছেয় ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হয়েছিলো।

এই হচ্ছে আমাদের দেশের বাপ মা।

কিছু বাবা মায়ের আশা আর প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট কিছু সন্তানেরা....
আজকাল এ বিষয়টা যেন ভীষণ কমন। আবার বাবা মা খেয়াল করে না,সন্তানের মন বুঝে না মতামতের মূল্য দেয় না,এটাও আনকমন না। এক অদ্ভূত বৈপরীত্যের মধ্যে চলছে এদেশের মানুষের মনস্তত্ত্ব!!!

এদেশের বাপ মায়েদের আদিকাল থেকেই প্যারেন্টিং এ গন্ডগোল। তারা সন্তান জন্ম দিয়েই মনে করেন সন্তান এবার এমনি এমনি ঠিকঠাক চলবে,শুধু ভালো স্কুল আর ভালো পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিলেই খেল খতম!

সন্তানের মন বুঝা,সে তো বহু দূর!!তারা বলে, 'সন্তানের আবার মন কি"!! আমরা যা বলবো,তাই সঠিক,কারণ আমরা তাদের বাবা মা!!

আমি যখন বা যে বয়সে মেডিকেলে প্রথম বর্ষে ভর্তি হই,তখন আমার সমবয়সী সেইম এইজের মানুষেরা তখন মাত্র স্কুল পাশ দিয়ে এইচ এস সি তে মানে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আমি অনেক অল্প বয়সে অনেক বেশী পড়াশোনা করছিলাম।পড়াশোনা জীবনেও চাপ মনে হয়নি। তবে মেডিকেলে ভর্তি হবার পর,বয়সে বড়দের সাথে পড়ছি,কেন জানি এই চাপ টা নেয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো। আমার সাথে আমার ক্লাসমেট দের সাথে এইজ ডিফরেন্স বেশ ছিলো। আমি বাবা মা'কে বললাম,আমি সারাজীবন পড়েছি বড়দের সাথে,আর না। মাত্র ক্লাস শুরু হয়েছে,আমি এক বছর গ্যাপ দিয়ে পরের বছর থেকে ক্লাস শুরু করি ? আমি উনাদের সাথে পড়তে পারবো না,আনকম্ফোর্টেবল লাগে আমার।

আমার বাপ মা আমার কথা শুনে নাই। তারা ধরে নিয়েছে,আমি হয়তো পড়াশোনার চাপ নিচ্ছি বেশি।তারা একদমই বুঝেনি আমার কিশোর মনটা,আমার মানসিক চাপের বিষয়টা। কখনোই বুঝে নাই।

আমার বাপ মা অনেক দিক থেকেই অসাধারণ। কিন্তু সন্তানের মন বুঝে চলার ক্ষেত্রে বাকি সব বাপ মায়ের মতোই অতি সাধারণ।

এটা ঘর ঘরকা কাহিনী।

প্যারেন্টিং নিয়ে লিখি মাঝেমধ্যে।কিন্তু মানুষের আগ্রহ খুবই কম।

সোশ্যাল মিডিয়ায়, কোনো ঘটনা ঘটলে -ভাইরাল হলে,কোনো উপযুক্ত ব্যাখ্যা কেউ শুনতে চায় না,ভেতরের সমস্যা গুলো জেনে কিভাবে সমাধান করা যায় নিজের জীবনে, এটাও জানতে চায় না। শুধু নিজের মনে নিজে যা বুঝে,নিজের জীবনের সাথে, নিজের চিন্তাভাবনার সাথে মিলিয়ে সব ঘটনা বিবেচনা করতে চায়। এটাকে মনোবিদ্যার ভাষায় বলে 'কগনিটিভ বায়াস".আরো স্পেসিফিকলি বললে 'fundamental attribution error ' বলে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এ বিষয়টি কমন।

কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না।সবাই মনে করে তারা নিজেরাই সব জানে। অন্য কারো কথা শোনা ও বুঝার মতো সময় ও ধৈর্য কারো নেই!

এই ক'দিন আগে কাছাকাছি বয়সী জয়া আহসান ও বিপাশা হায়াতকে নিয়ে সে কি ভাইরাল নিউজ! বিপাশার চুল সাদা,কারন তিনি নাকি সংসার করতে করতে সময় পান না সাজগোজের। আর জয়া নাকি ডিভোর্সি আর সন্তান নাই,তাই তিনি খুব ইয়াং রাখেন নিজেকে।
আজব!!
কাউকে বলতে শুনলাম না,চুল গ্রে রাখা,এটা বিপাশার বর্তমানের স্টাইল হয়তো,তিনি একজন আর্টিস্ট, ছবি আকেঁন, এক্সিবিশনে এসেছেন,হয়তো এটাই তার বর্তমানের স্টাইল! তার ১ বছর আগের ছবি কেউ দেখেছেন?

একই কথা খাটে ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার সুনেহরার ক্ষেত্রে। ২০০ টাকার শাড়ি পরায় সে নাকি ওয়াইফ ম্যাটারিয়াল!!
ভাই,তার ভিডিওগুলোয় যে মেকাপ সে নিয়েছেন বা নেন,একেকটা প্রোডাক্ট এর মূল্য ৫ হাজার থেকে শুরু। তাছাড়া ফ্যাশন সেন্স থাকলে ২০০ টাকাতেও নিজেকে চমৎকারভাবে ক্যারি করা যায়, তার ভ্লগে এটাও দেখানোর চেষ্টা ছিলো হয়তো!

আবার একজন মা তার একমাত্র ছেলের বিয়েতে একটু জাঁকজমক সেজেছেন, লেহেঙ্গা পরেছেন। মা হয়ে সাজার অপরাধে অপরাধী বানিয়ে উনাকে নিয়ে সমানে ট্রল করা হচ্ছে!!

আশ্চর্য! কত সহজেই না নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছি সবাই। এরাই তো ভবিষ্যতের বাবা মা।তাদের চিন্তাভাবনাগুলো কি দূরদর্শিতা দেখায়?

একজন মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল হিসাবে,আজ কোনো পরামর্শ নয়।আমাদের, বাপ মায়েদের,অন্যান্য মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করলাম। যখন আমাদের শিক্ষা, ও আমাদের পরিবার আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাবে পজিটিভভাবে, কোনো ঘটনার অন্য প্রান্ত বুঝার ক্ষমতা বাড়াবে, যাকে নিয়ে ট্রল করছি তার পয়েন্ট অফ ভিউ বুঝার চেষ্টা করবো....তখনই বুঝতে হবে আমরা জাতিগতভাবে ম্যাচিউর ও সত্যিকারের শিক্ষিত হচ্ছি। তার আগে নয়!

এই স্বপ্নচারিনী মেয়েটি পৃথিবীতে আর নেই! মেডিকেলে পড়ার চাপ সে নিতে পারে নাই!সন্তানকে মেডিকেলে পড়ানো ব্যাপারটা বাংলাদেশের ...
14/08/2025

এই স্বপ্নচারিনী মেয়েটি পৃথিবীতে আর নেই! মেডিকেলে পড়ার চাপ সে নিতে পারে নাই!

সন্তানকে মেডিকেলে পড়ানো ব্যাপারটা বাংলাদেশের বাবা মায়েদের কাছে একটা নেশার মতো,শুধু বাবা মা নয়,একটা বিশাল সংখ্যক মেয়েদেরও মেডিকেলে পড়ার প্রতি কি যেন একটা অবসেশন কাজ করে! অনেকে বাড়ি-জমি বিক্রি করে হলেও সন্তানদের মেডিকেলে পড়াতে চান। অথচ সন্তানের ইচ্ছা আছে কি না,সেই ক্যাপাসিটি আছে কি না সেটা কমই ভাবেন।

বাবা মায়েরা মনে করেন সন্তান মেডিকেলে ভর্তি হলেই জীবন ঠিকঠাক ভবিষ্যতে । সামনে শুধু নাম,খ্যাতি, টাকা,সাথে ভালো বর,বড় ঘর তো আছেই।

অথচ মেডিকেলের পড়া পৃথিবীতে অসম্ভব কঠিন পড়াশোনা বা কারিকুলামের একটা। শুধু MBBS নয়,পরে পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন করার চাপ,পাশ করা,ফেলের ভার..... সব কিছুই খুব কঠিন।

প্যাশন,আকর্ষণ আর ডেডিকেশন ছাড়া ডাক্তারি পড়া আর ডাক্তারি করা সম্ভব নয় ভাই!

আপনি সফলদের আপনার সামনে দেখছেন। তার অগোচরে কত হাজার হাজার ডাক্তারের হাহাকার,টাকা পয়সা নাই,বিয়ে হচ্ছে না,ডিগ্রী নাই ইত্যাদি নিয়ে মানসিক চাপে জর্জরিত অবস্থা দেখছেন না৷ দেখছি আমরা,জানি আমরা।

ছবির এই মেয়েটি দেশের একটা টপ মোষ্ট মেডিকেলের স্টুডেন্ট, তাকে ও জীবন দিতে হলো,কারন চাপ সামলাতে পারেনি।

আসলে সবাই পারে না।
ডাক্তারি পাশ করে শত শত ডাক্তার দেশে বেকার,কেউ হাউজ ওয়াইফ, কেউ অন্য কিছু করছে। কেউ বিদেশে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে জীবন নির্বাহ করছে,কেউবা দেশের বাইরে নার্সিং জব এ সুইচ করছে,কেউ হেলথ এসিস্ট্যান্ট!!! এগুলো জানেন?

তাই আপনার নিজের ফ্যান্টাসি বাদ দিয়ে সন্তানকে জিজ্ঞেস করুন সে কি চায়,কেন চায়,সে কি কন্টিনিউ করতে পারবে?

প্র‍্যাগনেন্সী বা গর্ভাবস্থায় অনেক রোগীই মানসিক রোগের ওষুধ বন্ধ করে দেন। যুক্তি দেখান,গর্ভকালীন সময়ে ওষুধ খেলে...📌বাচ্চা...
10/08/2025

প্র‍্যাগনেন্সী বা গর্ভাবস্থায় অনেক রোগীই মানসিক রোগের ওষুধ বন্ধ করে দেন। যুক্তি দেখান,গর্ভকালীন সময়ে ওষুধ খেলে...
📌বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে।
📌বাচ্চার ক্ষতি হবে।কিংবা
📌মায়ের ক্ষতি হবে।

ব্যাপারটা সত্যি নয়। মানসিক রোগের প্রকৃতি গর্ভাবস্থায় বাড়ে,তাই এ সময় ওষুধ বন্ধ করে দেয়া মানে,বাচ্চা ও মা, উভয়ের ক্ষতি করা। সেদিন আমার দুজন রোগী এসেছিলেন ফলো আপে,একজনের বাচ্চার অলরেডি ৬ মাস বয়স,তিনি চমৎকার আছেন, পুরো প্র‍্যাগনেন্সীতে মানসিক সমস্যার ওষুধ খেয়েছেন।এখন ওষুধ ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

আরেকজনের প্রেস্ক্রিপশন এর পিক দেয়া,Borderline Personality Disorder এ ভুগছেন,গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ওষুধ খেয়ে ভালো ছিলেন,এখন এসেছেন পরবর্তীতে কি করণীয়,বা বাচ্চা দুধ খায়, সেক্ষেত্রে ওষুধ কিভাবে খাবেন,এ বিষয়ে।

বাচ্চা নিয়ে এসে দেখিয়ে গেছেন। প্রেস্ক্রিপশনের ছবি তুলে রাখলাম,আপনাদের জন্য।যারা গর্ভবস্থায় খারাপ রোগীর ও ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন,তাদের জন্য।

শুনুন,আপনার রোগী গর্ভকালীন অবস্থায় বা আগে থেকে মানসিক রোগে ভুগতে পারেন।এতে ওষুধ বন্ধ করবেন না। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান,তিনিই বলে দেবেন কি খেতে হবে,আর কোনটা খাওয়া যাবে না।

মনে রাখবেন,প্র‍্যাগনেন্সী অবস্থায় ওষুধ বন্ধ রেখে,রোগীর চিকিৎসা বন্ধ রেখে আপনি গর্ভের বাচ্চার ও মায়ের দুজনের ক্ষতি করছেন।এই দায় কি আপনি এড়াতে পারেন?


Assistant Professor
Psychiatry

For serial: 01772 134828

Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist

Address

Sylhet

Telephone

+8801772134828

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Rezwana Habiba- Psychiatrist:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram