Dr hye dermatologist

  • Home
  • Dr hye dermatologist

Dr hye dermatologist Professor of Dermatology as well as Deputy Director (Finance) in JRRMC For appointment pl call
01712 291 887 from 9:30 pm to 9:00pm.

আরিয়ানের পোড়া শরীর এবং কিছু কথা …………………………………………মাইলস্টোন ট্রাজেডির প্রতিকী ছবি এটাই। পরনের বস্ত্রসহ শরীর পুরোটাই পড়ে ...
23/07/2025

আরিয়ানের পোড়া শরীর এবং কিছু কথা
…………………………………………

মাইলস্টোন ট্রাজেডির প্রতিকী ছবি এটাই। পরনের বস্ত্রসহ শরীর পুরোটাই পড়ে গেছে। তবুও শিশুটি মা বাবার খুজে দৌড়াচ্ছে। এর ছেয়ে ভয়ানক কোন ছবি হতেই পারে না। এ ছবি দেখার পর পুরো একদিন আমি ঘোরের মধ্যে ছিলাম।। এই ছোট্ট শিশু এত কষ্ট কেমন করে সহ্য করল।
আমার চিকিৎসক জীবনে পোড়া রোগী অনেক দেখেছি। প্রতিটি রোগীর শারীরিক ও মানসিক কষ্ট আমি নানাভাবে উপলব্ধি করেছি। শরীরের এক পারসেন্ট বা দু পারসেন্ট পোড়ে গেলে ও কষ্ট সহ্য করতে পারা দুঃসাধ্য । পুরো জ্বলন্ত শরীর নিয়ে শিশুটির দৌড়ের চিত্রটি চোখের রেটিনা থেকে কখনো মুছে যাবে না।

ত্বকরোগের একজন ছাত্র হিসেবে মাঝে মাঝে মনে হয়, ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো আগুন। মহান সৃষ্টিকর্তা এত নিপুন দক্ষতার সাথে মানুষের ত্বক তৈরি করেছেন,-- এর গঠন শৈলী অধ্যয়ন করলে অবাক হতে হয়। ত্বকের কোষ কলা কতটা গভীর প্রকৌশলে নির্মিত । প্রতিদিন ত্বকের কোষগুলো মরে ঝরে যায়, আবার পুরো একটা কোষদল প্রতিদিন সমপরিমাণ নতুন কোষ তৈরি করছে, কোন কোন কোষ বাইরে থেকে কোন জীবাণু বা ক্ষতিকর পদার্থ ঢুকার সাথে সাথেই পাকড়াও করছে, কোন কোন কোষ থেকে ত্বকের সুরক্ষার জন্য মেলানিন তৈরি হচ্ছে , কোনটা আবার ত্বকের কোমল স্পর্শ অনুভবের কাজ করছে।। বেশি গরম লাগলে, ঘর্মগ্রন্থী ঘাম নিঃসরণের মাধ্যমে ত্বককে শীতল করে দিচ্ছে, শরীর রুক্ষ হয়ে গেলে, তৈলগ্রন্থি থেকে নিঃসরিত শিবাম ত্বককে মোলায়েম করে দিচ্ছে । কিন্তু ত্বকের সব স্তর পুড়ে যাওয়া মানে বেশিরভাগ কার্যক্রম চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। ত্বক তখন ত্বক নয়, যেন শুধুই একটি আবরণ মাত্র।তবে ত্বকের শুধু উপরের অংশ পুড়ে গেলে ত্বক তার গঠনশৈলীকে পুরোপুরি পুনঃনির্মাণ করতে পারে। যাইহোক পোড়া রোগীর কষ্ট, সারা জীবনের কষ্ট। এসব রোগীদের চিকিৎসা সব সময়ই বেশ ব্যয় সাপেক্ষ ও দীর্ঘমেয়াদি।
আরিয়ান নামে ছবির ছেলেটি মরে গিয়ে বেঁচে গেছে। বেঁচে থাকলে এ পোড়া বাংলাদেশে বেঁচে থাকা বেশ কষ্টকর হতো।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, আমাদের দেশে এখনো পোড়া রোগীর চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। পোস্ট বার্ন কন্ট্রাকচার অর্থাৎ পুড়ে যাওয়ার কয়েক মাস বা বছর পর শরীরের ত্বকে যখন টান ধরে যায়, তখন বেশ কিছু সার্জারি প্রয়োজন হয়। আমার পরিচিত বেশিরভাগ রোগীই দেশের নামি দামি হাসপাতালে সার্জারি করে জীবনের সঞ্চিত সব অর্থ ব্যয় করেও তেমন ভালো ফল পেতে আমি দেখিনি। বিদেশের বিজ্ঞ ও খ্যাতনামা চিকিৎসকরা যদি দেশে চিকিৎসা দিতে আসেন, তাহলে তাদেরকে নিরুৎসাহিত৷ করার কোন কারণ নেই। ওদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।

যারা এখন শুয়ে আছেন, তাদের সামনে অপেক্ষা করে আছে অনেক কষ্ট অতি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। ইউরোপ আমেরিকার অনেকগুলো বার্ন ইউনিট দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। বার্ন ইউনিটেরর সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি হচ্ছে জীবাণুমুক্ত পরিবেশ। প্রাথমিক অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধ ই সবচেয়ে বড় কাজ। পুরোপুরি স্টেরিলাইজড কাপড়চোপড়, মাক্স, ব্যান্ডেজ, ক্যাপ, স্যান্ডেল ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। চিকিৎসকরাও ইউনিটে একইভাবে ঢোকেন। আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের আইসিউগুলোতে স্টেরিলিজেশন মেন্টেইন না করা লোকজনের আনাগোনা অনেক বেশি।এ বিষয়ে সচেতনতা খুবই জরুরী। মনে রাখতে হবে এখন যারা মারা যাবে তাদের বেশিরভাগই সংক্রমনের কারণেই মারা যাবেন। এছাড়াও এখন থেকেই প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি।

তবে সবচেয়ে যা প্রয়োজন সেটা হল, আগুনে পোড়া প্রতিরোধ করতে হবে। আরিয়ানদের মৃত্যু জন্য দায়ী মূলত আমরা সবাই। যে যুদ্ধ বিমানটি ক্রয় করা হয়েছিল সেটা ছিল ওই কোম্পানির সর্বশেষ বিমান। এরপর এ মডেল তারা তৈরি করেনি। এ ধরনের বিমান কেনার অর্থ হচ্ছে পরবর্তী মেনটেনেন্স সার্ভিস যথাযথভাবে না পাওয়া। ওই কোম্পানি তখন এ বিমান টি না কিনে অন্য মডেল ক্রয় করার পরামর্শ দিয়েছিল। এক হয়ে যদি কোন দুর্নীতি বা টেকনিকের ঘাটতি থেকে থাকে , তবে অবশ্যই এটাকে জবাবদীর আওতায় আনা অবশ্যই উচিত। কুর্মিটোলা রান ওয়ের একদম মাথায় এরকম একটি স্কুল যারা নির্মাণ করেছেন, এবং যারা এ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন তারাও দায়ী। প্রশিক্ষণ বিমান চালানোর জন্য সারা বিশ্বেই নির্জনতম কিছু স্থান পছন্দ করা হয়। বাংলাদেশে চরাঞ্চল অথবা কম জনগোষ্ঠী পূর্ণ এলাকায় এ ধরনের একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা যেত। কিন্তু আমাদের মানসিকতা হচ্ছে আমাদেরকে ঢাকার কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকতে হবে। এজন্য পুরো বাহিনীর দায় রয়েছে। এভাবে হিসাব করলে আরো অনেককেই দায়ী করা যাবে। এতগুলো নিষ্পাপ শিশুর এত কষ্টকর মৃত্যুর জন্য যারাই দায়ী, তাদেরকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন। মনে রাখতে হবে ভুক্তভোগীর পরিবারবর্গ যদি ওদের ক্ষমা না করেন তবে ওদেরকেও দুনিয়া বা আখেরাতে এরচেয়ে ভয়ঙ্কর কষ্ট পেয়ে মরতে হবে।

।।।।।।।।।।।।অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ হাই। ২৩।০৭।২০২৫।।।।।।।।।।।।।।

26/06/2025

বিশ্ব শ্বেতী দিবস:
শ্বেতী রোগীদের জীবন ও চিকিৎসা নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত কথন
……………………………………

প্রতি বছর ২৫ শে জুন বিশ্ব শ্বেতী দিবস পালন করা হয়ে থাকে।মূলত শ্বেতীরোগ বিষয়ে জনসচেতনতার জন্যই এ দিবসটি উৎপত্তি। এ বছরে দিবসটির মূল থিম বা প্রতিপাদ্য হলো–Beyond the surface: Redefining Vitiligo. সহজ কথায় এ বছরের প্রতিপাদ্য হল- -শ্বেতীরোগে শুধু ত্বকের উপরিভাগের চিত্রই আসল নয়, রোগীর মনোজগতে ও সামাজের গভীরে এর গুরুত্ব নতুন ভাবে অনুধাবন করতে হবে।

এ রোগ সবারই হতে পারে। জাতি বর্ণ ধর্ম গুষ্টি ধনী গরিব শিশু বুড়ো – নির্বিশেষে সবখানেই এ রোগ দেখা যায়। ২৫ শে জুন কে বিশ্ব শ্বেতী দিবস নির্ধারণ করার পেছনে একটি কারণ রয়েছে। সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন শ্বেতী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি খোলাখুলি এ রোগের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তার জন্মদিন ২৫ শে জুনই বিশ্ব শ্বেতী দিবস।

শ্বেতী রোগীদের নিয়ে আমার দু ধরনের গবেষণা রয়েছে - ডারমাটোলজিক্যাল ও সামাজিক। পেশাগত জীবনে এসব রোগীদের আমি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেই এবং প্রতিটি ফলোআপে রোগীর অগ্রগতি বা অবনতি নিয়ে রোগীদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করি। সব সময় চেষ্টা করি , চিকিৎসা কার্যক্রমে রোগীর পরিবারকে পুরোপুরি সম্পৃক্ত করতে। সব সময় রোগীকে এ বলে আমি আশ্বস্ত করি যে, এ রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসক হিসাবে রোগীর পাশে আমিও একজন সহযোদ্ধা।
প্রতিজন রোগীর আলাদা আলাদা গল্প রয়েছে : বেশিরভাগই সামাজিক বিড়ম্বনার গল্প, হতাশার গল্প। অনেকের চাকুরী হচ্ছে না, কারো বিয়ে হচ্ছে না, কারো হয়তো বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু এখন শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনায় অতিষ্ঠ। শ্বেতী রোগীকে চিকিৎসা করতে গিয়ে কতবার যে রোগীনির স্বামীর সাথে, কখনো এমন কি শাশুড়ির সাথে কাউন্সিলিং করেছি, তা বলে শেষ করা যাবে না।

কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কিছু মজার ঘটনা ঘটেছে। এক অবিবাহিত সুন্দরী তরুণী চিকিৎসা শেষে পুরোপুরি ভালো হয়ে গেছেন। বিদেশি উচ্চশিক্ষিত এক ভালো পাত্রের সাথে বিয়েও ঠিক হয়েছে। বিয়ের পর নারীটি স্বামীসহ বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন, সন্তান হয়েছে, এবং এখন স্বামী সন্তান নিয়ে সুখের সংসার।। কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার কাছে ফোন এলো। সুখের জীবনের তাল লয় ছিড়ে গেছে , কারণ পুরনো রোগটি আবার ফিরে এসেছে। তিনি এখন আবার চিকিৎসা শুরু করতে চান আমার মাধ্যমে, তাও স্বামী ও স্বামীর পরিবারকে না জানিয়ে। লুকিয়ে বিদেশ থেকে ফোন করা, ফিসফিস করে কথা বলা, হোয়াটসঅ্যাপে আক্রান্ত ত্বকের ছবি পাঠানো - সব মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটাই তখন এক ধরনের অস্বস্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় । দুঃখ হয় যখন দেখি, শিক্ষিত স্বামী ও তার পরিবার ও এ রোগটাকে সহজ ভাবে নিতে পারছেন না।

সবকিছু মিলে শ্বেতী রোগ আমার কাছে এক কষ্টের মহাকাব্য হয়ে আছে।

সবাইকে সব সময় বলি, সময় মত এলে শ্বেতি রোগের ভালো চিকিৎসা দেশেই রয়েছে। প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি।

যে কোন কারণেই হোক,আমার রোগীদের মধ্যে শ্বেতীরোগীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। আবার এ রোগীদের বড় অংশই সিলেটের বাইরে থাকেন। তো এ রোগীদের মধ্যে একধরনের এসোসিয়েসন হয়ে গেছে। তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করেন। অনেক সময় নিজেরা সংগটিত হয়ে এক সাথে আমার চেম্বারে চলে আসেন। আমি এটাকে অনুমোদন করি, উৎসাহিত করি। কারন সংগটিত হলে সাহস বাড়ে, কনফিডেন্স বাড়ে। নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের সুযোগ create হয়।

শ্বেতী রোগীরা, দেশে বিদেশে যেখানেই থাকো, ভালো থেকো। বিশ্ব শ্বেতী দিবস উপলক্ষে তোমাদের অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।

রোগীদের জন্য এ রোগ বিষয়ে দুটি ভিডিও সন্নিবেশিত করলাম। আশা করি উপকারে আসবে।

15/06/2025
ডায়েট ও ব্যায়ামে মধ্যপন্থা …………………………….তারকারা তো বটেই ইদানিং সামর্থ্যবানদের অনেকেই  অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছ...
10/06/2025

ডায়েট ও ব্যায়ামে মধ্যপন্থা
…………………………….

তারকারা তো বটেই ইদানিং সামর্থ্যবানদের অনেকেই অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছেন।। কীভাবে আরো তরুন হয়ে উঠা যায়, যৌবন অটুট রাখা যায়, সেই চেষ্টার যেন শেষ নেই। ইদানিং বড় বড় শহরে সিক্স প্যক বডি গড়ে তোলার জন্য।প্রচুর জিম, হেলথ সেন্টার জড়িত ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। প্রকাশনা জগতে ও যেন বিপ্লব ঘটে গেছে। বড়ে বড়ে লাইব্রেরীগুলো হেলথ-ফিটনেস জাতীয় বই ম্যাগাজিনে সয়লাব। বেশির ভাগ লেখাই মুলতঃ ফিটনেস ধরে রাখার জন্য কঠিন কঠিন সব ডায়েট ও ব্যায়ামের বিশদ বর্ণনায় পূর্ণ।
আমি গত ২৫ বছরের ডাক্তারী জীবনে অজস্র রোগী পেয়েছি, যারা মূলত অতিরিক্ত ডায়েটিং বা বেশী স্ট্রেসফুল ব্যায়ামের কারনে নানা জটিলতায় ভূগছেন। অনেকে এসবের কারনে তারুন্য ধরে রাখার বদলে উল্টো অকাল বার্ধক্য ডেকে এনেছেন।
এ বিষয়ে প্রখ্যাত cardiac surgeon ডা.দেবি শেটির একটি লেখা আমার ভাবনার সাথে ভীষণ মিলে গেছে। লেখাটির বাংলা তরজমা সবার উদ্দেশ্যে পেশ করলাম। আশা করি সবাই উপকৃত হবেন।
………………………………………..

#গত কয়েক বছরে আমার ৮/৯ জন প্রিয় পরিচিত জন এবং কিছু সেলিব্রেটিকে চিরতরে হারিয়েছি। তারা চল্লিশের ঘরে ছিলেন এবং 'শারীরিকভাবে ফিট' থাকার অতিরিক্ত চেষ্টার কারণে তারা মারা গেছেন।

দুর্ভাগ্য হলো - তারা শুধু দেখতেই ছিলেন সুঠাম, সিক্স প্যাক বা এরকম।

জীবনে যা কিছু হোক-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মধ্যপন্হা।

"জিরো ফিগার' বা একশোর বাড়াবাড়ি কোনোটাই ঠিক না।

প্রতিদিন মাঝারি পরিমান ব্যায়াম দরকার-২০ মিনিট মত। সবকিছুই খেতে হবে, কোনো বিষাক্ততা অপসারণের দরকার নেই (no detoxification), কোনো কিটো মটো ডায়েট দরকার নেই, আপনার পূর্বসূরীরা যা খেতেন, সব খান, আপনার শহরে পাওয়া যায় এমন সব স্থানীয় এবং মৌসুমি খাবার - তবে অল্প পরিমানে। বিদেশি কিউই ফল, ক্যাল বা জলপাই তেলের দরকার নেই। ৭ ঘন্টার নিবিড় ঘুম চাই, শরীরের চাহিদা পূরণ প্রয়োজন তবে সেটা স্টেরয়েড বা ক্ষমতাবর্ধক ড্রাগের মাধ্যমে হওয়া চলবে না।

বেড়ে ওঠার সময় যা খেয়েছেন, সবই খান, তবে অল্প পরিমাণে; বিশ / তিরিশ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন আর একটু হাঁটুন নিয়মমত আর সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বাদ দিন।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন আমার বার্তা? কিছুই না, শুধু মধ্যপন্হা।

দিনে কিছু সময়ের নীরব ধ্যান যোগ করুন রুটিনে।

একটা খুব জরুরি বিষয় হলো - শরীরের ভাষা শোনা, বোঝা এবং শরীরকে গুরুত্ব দেয়া। । বুঝতে হবে, নিজের শরীর, নিজের দায়িত্ব।

৪০ এর পর বেশ কিছু শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তন শুরু হয়, ৫০ এর পর আরো বেশি, ৬০ এর পর শরীর শিথিল হতে থাকে, ৭০ এর পর বন্ধ হতে থাকে, ৮০ এর পর প্রতিটি বছর হলো বোনাস। তাই ৬০ মানে নতুন করে ৪০ বা বয়স হলো শুধুই একটি সংখ্যা - এসব কথা বলা বন্ধ করুন। এগুলো ঠিক কথা নয়। ৪০ বা ৫০ পরবর্তী সময়ে আপনার স্বাস্থ্য অটুট থাকলে কৃতজ্ঞতা অনুভব করুন, কিন্ত কাজের গতি একটু কমান যাতে হৃৎপিন্ডের গতি বহাল থাকে।

দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন - অবসরের সময় নির্ধারণের যৌক্তিক কারণ আছে। একসময় আপনার শরীর আর মন যে চাপ বইতে পারতো এখন আর ততটা পারবে না। বাহ্যত চমৎকার আছেন, ধন্যবাদ আপনার 'জিন' কে (genes), কিন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের (organs) অভ্যন্তরীণ ক্ষয় তো হচ্ছেই।

সুখী সুন্দর হোন, বাহ্যিক ভাবে নয়, অন্তর্গত ভাবেও।

How to take care of colored hair. Published in Daily Desh Rupanthor.
04/06/2025

How to take care of colored hair. Published in Daily Desh Rupanthor.

অতিরিক্ত ঘাম কী কোন বড় রোগের লক্ষণ :………………………………গরমে ঘর থেকে বেরোলে, একটু আধটু হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে ঘাম আসতেই পারে। এট...
21/05/2025

অতিরিক্ত ঘাম কী কোন বড় রোগের লক্ষণ :
………………………………

গরমে ঘর থেকে বেরোলে, একটু আধটু হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে ঘাম আসতেই পারে। এটা পুরোই স্বাভাবিক। কারো ঘাম একটু কম হয়, কারো একটু বেশি হয় : এটা ব্যক্তিবিশেষে তারতম্য হতে পারে। জেনেটিক কারণে অনেকের শরীরে ঘাম কমবেশি হয়। আবার কিছু কিছু রোগ যেমন থাইরয়েডের অসুখ, নিউরোলজিক্যাল কিছু ডিজিজ ইত্যাদি কারণে শরীরের ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কিন্তু কেউ হঠাৎ করে দর দর করে ঘামছেন - এটা অনেক সময় গুরুতর রোগের লক্ষণের পর্যায়ে পড়ে। অনেকেই গরমের ঘাম ভেবে বিষয়টি চেপে যান। এতে করেই আকস্মিক দুঃসংবাদ শুনতে হয় আজকাল। মনে রাখতে হবে হঠাৎ করে বেশি ঘাম হওয়াটা একটা মারাত্মক লক্ষণ।

গরম ছাড়াও অন্য যেসব কারণে কারণে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে :

*হার্টের সমস্যা-
ঘামের সঙ্গে বুক ধড়ফড়, বুকে ব্যথা, কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং বুকে চাপ অনুভব ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলে সেটি হার্টের রোগের লক্ষণ। হার্টের সমস্যা থাকলে উপরিউক্ত লক্ষণসমূহ ও প্রচণ্ড ঘাম প্রাণঘাতী হতে পারে। আবার কখনও হঠাৎ করে হার্টের গতি কমে হার্টরেট নেমে গেলে বা হার্টের গতি অনেক বেড়ে গিয়ে প্রচণ্ড ঘাম দিতে শুরু করে। ঘামের সঙ্গে সাময়িকভাবে অজ্ঞান হলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হওয়া দরকার।
হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘামজনিত সমস্যা হয়। রোগী তখন কার্ডিওজেনিক শকে চলে যায় অর্থাৎ সিস্টোলিক প্রেশার খুব কমে গিয়ে ৯০ এর মধ্যে নেমে যায়। তখন হার্ট শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত রক্ত পাম্প করে শরীরকে প্রদান করতে পারে না, ফলে রোগীর দেহে প্রচণ্ডমাত্রায় ঘাম হয় এবং ত্বক শীতল হতে থাকে।

**ব্লাড সুগার ও থাইরয়েডের ওঠানামা-
ডায়াবেটিস রোগীদের অতর্কিতভাবে ব্লাডসুগার কমে গেলে শরীরে অস্বস্তির সঙ্গে প্রচুর ঘামের সৃষ্টি হয়। থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার কারণে বেশি ঘাম হতে পারে। হাইপার থাইরয়েডের জন্য মানুষের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়, ফলে রোগীর খিদে বেড়ে যায় কিন্তু তারপরও সে রোগা হতে শুরু করে, ওজন কমতে থাকে এবং প্রচণ্ড ঘামের প্রবণতা বেড়ে যায়।

***সংক্রমণ ছড়ালে-
সেপসিস অর্থাৎ আচমকা রক্তে কোনও প্রকার ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে শরীরকে উত্তপ্ত হয়। এ সময় ব্লাড প্রেশার ও নেমে যেতে পারে। তখন ঘামের পরিমাণ বাড়তে থাকে।।

****ব্রেন স্ট্রোক-
আচমকা মাথার যন্ত্রণা, শরীরে প্যারালাইসিসের মতো অনুভূতি হলে প্রচুর ঘাম হয়। সেই পরিস্থিতি স্ট্রোকের কারণেও হতে পারে।

*****নিউরোলজিক্যাল সমস্যা-
মাথায় টিউমার, খিচুঁনির মত যেকোন নিউরোলজিক্যাল সমস্যার অগ্রিম পর্যায়ে অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণ অবশ্যম্ভাবী। শুধু সঠিক সময়ে তা বুঝতে পারলে গুরুতর শারীরিক ক্ষতির থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

******টেনশন ও ভয়-
শরীরে কোনও স্ট্রেস, টেনশন বা ভয়ের কারণ হলে অ্যান্ড্রিনালিন ও নন্-অ্যান্ড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয়ে যায় এবং ঘামের সৃষ্টি করে। যদিও এই ধরনের ঘাম খুব বিপজ্জনক হয় না।

কী করবেন?

মাত্রাতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ সাধারণত প্রয়োগ করা হয় না, কিন্তু ঘাম হওয়ার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড বুকে ধড়ফড়ানি হলে উপেক্ষা না করে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এমন ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে কিছু মৌলিক কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয় এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্ট্রেস বা উদ্বেগের কারণে রোগীর সর্বদা বেশি ঘাম হলে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং-এর দ্বারা সমস্যাটি প্রতিরোধ করা যায়।
হাইপার থাইরয়েড থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণে রাখলে অতিরিক্ত ঘামের অস্বস্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ঘাম বেশি হলে শরীর থেকে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম বাই- কার্বোনেট বেরিয়ে যায়, ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে দুর্বল ও অস্থির অনুভূত হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, সরবত খেয়ে শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি।

এটা মনে রাখতে হবে যে, হঠাৎ অতিরিক্ত ঘাম হলে, কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে গুরুতর বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Copyright@prof.dr.mohammad.a.hye

চুল নিয়ে যত ভুল :…………………..চুলের যত্ন নিয়ে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যা মোটেই  সত্যি নয়। সে সব মেনে হয়তো লাভের বদলে ...
18/05/2025

চুল নিয়ে যত ভুল :
…………………..

চুলের যত্ন নিয়ে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যা মোটেই সত্যি নয়। সে সব মেনে হয়তো লাভের বদলে চুলের ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। সেগুলি কী, জেনে নিন।

১) ন্যাড়া হলে চুল ঘন হয়: ন্যাড়া হলেই যে ঘন চুল হবে, তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। চুল গজায় ফলিক্‌ল থেকে। তা মাথার তালুর কয়েক মিলিমিটার নীচে থাকে। চুল কামানোয় ফলিক্‌লের উপর কোনও ভাবেই প্রভাব পড়ে না।

২) বার বার চুল কাটলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে: নিয়মিত চুল কাটলেই চুল বাড়বে, এ ধারণা ভুল। কয়েক মাস অন্তর চুল কাটতে বলা হয় কারণ চুলের ডগা ফেটে গেলে চুলের নীচের দিকটা খুব পাতলা হয়ে যায়। তখন দেখতেও ভাল লাগে না। চুল গোঁড়ার দিক থেকে বাড়ে। আর সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে আপনার জিনের উপর আর আপনি কতখানি চুলের যত্ন করছেন তার উপর।

৩)প্রতিদিন তেল লাগালে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে: অনেকেই মনে করেন, রোজ নিয়ম করে মাথায় তেল লাগালে তাড়াতাড়ি চুল বাড়বে। এমনটা একেবারেই নয়। মাথার তালু তৈলাক্ত হয়ে থাকলে তাতে ধুলো-ময়লা বেশি জমবে এবং তাতে চুল পড়া বাড়বে বইকি কমবে না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তেল মালিশ করলেই যথেষ্ট। তাতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে। তেল লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।

৪) পাকা চুল তুললে আরও বেশ গজায়: একটি পাকা চুল টেনে তুললে আরও চুল পেকে যাবে, এমন প্রমাণ কোনও গবেষণায় পাওয়া যায়নি। প্রতিটি চুল পৃথক হেয়ার ফলিকল থেকে গজায়। তাই একটি পাকা চুল তুললে পরে সেই ফলিকলটি থেকে যেই নতুন চুল গজাবে সেটিও সাদা হবে। তবে এর কারণে অন্য ফলিকলগুলির উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। তাড়াতাড়ি চুল পাকার কারণ মূলত জিনগত এবং কিছুটা জীবনযাপনে নানা ভুলত্রুটির জন্য।

৫) চুলের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়: কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল তৈলাক্ত হয় না। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পরও কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন।

জীবনের দুই প্রান্ত …………………..একটা ছোট্ট শিশুর জীবনে কি প্রয়োজন? —- খাবার, বাবা-মায়ের কোল, স্নেহ ভালোবাসা, কিছু হাসি খেল...
07/05/2025

জীবনের দুই প্রান্ত
…………………..
একটা ছোট্ট শিশুর জীবনে কি প্রয়োজন?
—- খাবার, বাবা-মায়ের কোল, স্নেহ ভালোবাসা, কিছু হাসি খেলা।

তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের জীবনের রং বদলায়, প্রয়োজন বদলায়।

কিন্তু শেষ বয়সে এসে একজন মানুষের কি প্রয়োজন?
–খাদ্য -পানীয়, ঔষধ, বিশ্রাম এবং সর্বোপরি প্রিয়জনের সান্নিধ্য ও ভালোবাসা। এতোটুকুই। একটা শিশুর জীবনের প্রয়োজনের চেয়ে আর কতটুকুই বা বেশি?

জীবনের শুরু এবং শেষের রেখা ঘুরে ঘুরে একটি বৃত্তের মতো একই বিন্দুতে মিলে যায়। জীবন আসলে ঘুরে ফিরে একটি বৃত্তই। শুরু এবং শেষের মধ্যকার জীবনের অজস্র রং-খেলা শেষ বয়সে একটি বিভ্রম ছাড়া কিছু মনে হয় না । সঞ্চিত অর্থবিত্ত, বিলাস বহুল গাড়ি- বাড়ি, জুয়েলারি, সামাজিক পজিশন এবং অন্যান্য সবকিছু অনেক শ্রম, কষ্ট-, সারা জীবনের পরিশ্রমে অর্জিত। কিন্তু চলৎ শক্তিহীন একজন অশীতিপর বৃদ্ধের জীবনে এসবের মূল্য কতটুকু? বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অতি গৌণ, বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয়। এটাই আসলে জীবনের এক নির্মম ট্রাজেডি।

তবে জীবনের শুরু ও শেষের মধ্যে অল্প কিছু পার্থক্য আছে। জীবনের শুরুতে ভালো কোন স্মৃতির প্রয়োজন নেই বা থাকে না। কিন্তু শেষ জীবনে এর প্রয়োজন অনেক। সারা জীবনের সঞ্চিত কিছু সুখ স্মৃতি শেষ বয়সে মানুষের শান্তি ও সুখের উৎস হয়ে উঠে। সুখ স্মৃতিগুলো আসে পরিবার প্রিয়জনের সাথে কাটানো ভালোলাগার মুহূর্তগুলো থেকে, ভালো কিছু কাজের উৎস থেকে। জীবনের অন্য সব সঞ্চয় থেকে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে যাপিত সুখ ও আনন্দের মুহূর্ত গুলি সবচেয়ে বড় সঞ্চয় হয়ে উঠে।

সবার শেষ বয়স কাটুক প্রিয়জনের সান্নিধ্য, ভালবাসা ও সুখ স্মৃতির মধ্য দিয়ে।

Copyright : prof.dr.mohammad.a.hye

পুরুষের মেনোপজ বা এন্ড্রপজ!! আমরা সবাই জানি একটা নির্দিষ্ট বয়সে সব মহিলারই  মাসিক স্রাব  স্থায়ী  ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এ...
03/05/2025

পুরুষের মেনোপজ বা এন্ড্রপজ!!

আমরা সবাই জানি একটা নির্দিষ্ট বয়সে সব মহিলারই মাসিক স্রাব স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থাকে মেডিকেল পরিভাষায় মেনোপজ বলে। এ মেনোপজের কারণে মহিলারা বেশ কিছু সমস্যায় ভুগেন, যেমন শরীরে জ্বালাপোড়া, ডিপ্রেশন, যৌন চাহিদা কমে যাওয়া, হাড়ের ক্ষয় ইত্যাদি। শরীরের এই পরিবর্তনগুলো ঘটে ইস্ট্রোজেন নামক শরীরের বিশেষ একটি হরমোনের হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে।

ইদানিং অনেক গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, শুধুমাত্র মহিলারাই হরমোন পরিবর্তনের প্রভাবে ভোগেন না, মেনোপজে মহিলারা যে লক্ষণগুলি অনুভব করেন, পুরুষরা ও একটি বয়সে হরমোন পরিবর্তনের কারণে একই রকম লক্ষণ অনুভব করছেন। এ অবস্থাকে অনেকে বিজ্ঞানী 'পুরুষ মেনোপজ 'বলে অভিহিত করেন। কিছু ডাক্তার এই সমস্যাটিকে অ্যান্ড্রোজেন (টেস্টোস্টেরন) হ্রাস বা হাইপো টেস্টোস্টেরন হিসাবে অভিহিত করেন।

পুরুষের মধ্যে মেনোপজ জাতীয় সমস্যা নারিদের মত সুনির্দিষ্ট ভাবে বা নির্দিষ্ট কিছু বয়সে হঠাৎ করে পরিলক্ষিত হয় না। তবে এটা লক্ষণীয় যে, পুরুষের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বয়সের সাথে সাথে হ্রাস পায়। সাধারণত বয়স ২৫ এর পরে বছরে গড়ে ১% থেকে ২ পার্সেন্ট হারে হরমোনের ন লেভেল কমতে থাকে। বয়স ৪৫ এর পরে এই মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পায়। হরমোনের এই নেমে যাওয়ার প্রভাবে শরীরে কিছু প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। যেমন যৌন চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়া, শরীরের মাংসপেশি দৃঢ়তা কমে যাওয়া,সময় অসময়ে হঠাৎ মেজাজ বিগড়ে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু এ অবস্থাকে আমরা কখনোই অস্বাভাবিকতা বলি না। মানুষের জীবনে এই অস্বাভাবিকতাই আবার এক ধরনের স্বাভাবিকতা। প্রাকৃতিক নিয়মেই জীবনে এ ধরনের কিছু ঘটনা ঘটবেই, এগুলোকে মেনে নিতে হবে। তবে সব ক্ষেত্রেই এসব প্রাকৃতিক নিয়ম ধরে ঘটেনা। কিছু কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস, অপিয়েট ও কেমোথেরাপিউটিক ড্রাগ, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে কম বয়সেও হরমোনের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। আবার হরমোন স্বল্পতার কারণেই অনেক বয়স্ক পুরুষের মধ্যে নেমে আসে তীব্র কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যা, যেমন ডিপ্রেশন, যৌন চাহিদা বেশি পরিমাণ কমে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও অবসন্নতা, কাজকর্মে উৎসাহের অভাব ইত্যাদি। যদিও অনেক বিজ্ঞানী টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাসের সাথে এই লক্ষণগুলির সরাসরি সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। তবে এসব ক্ষেত্রে বেশ কিছু ম্যাডিক্যাল ট্রয়ালে টেসটোস্টেরন দিয়ে হরমোন থেরাপি গ্রহণকারীরা পুরুষ-মেনোপজের সাথে যুক্ত এসব উপসর্গের উপশমের কথা জানিয়েছেন।

মহিলাদের মেনোপজের সাথে পুরুষ মেনোপজের মূল পার্থক্য হল - যেখানে মহিলাদের হরমোন উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেটা ঘটে না, বরং টেস্টোস্টেরন হ্রাস একটি ধীর প্রক্রিয়ায় ঘটে । মহিলাদের ডিম্বাশয়ের মত পুরুষের অণ্ডকোষ হঠাৎ করে হরমোন তৈরীর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে না। ফলে মহিলারা যেখানে বস ৪৭ থেকে ৫০ এর মধ্যেই সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, সুস্থ পুরুষরা সেখানে তাদের ৮০ বা তার পরে ও ভালভাবে শুক্রাণু তৈরি করতে সক্ষম।

* কিভাবে পুরুষ "মেনোপজ" নির্ণয় করা হয়?

পুরুষ মেনোপজ নির্ণয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট তেমন কোন পরীক্ষা নেই। রোগীর উপসর্গ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস ও স্থুলতা এক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখে।

রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরিমাপ এ রোগ নির্ণয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

*পুরুষ "মেনোপজ" চিকিত্সা করা যেতে পারে?

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে, টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন থেরাপি উপসর্গগুলো উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

মনে রাখতে হবে, মহিলাদের মধ্যে হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির মতোই, টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন থেরাপির ও সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার রয়েছে বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন থেরাপি প্রয়োগ করা উচিত নয়। এ থেরাপি হৃদরোগের ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ও বাড়াতে পারে।

তাই হরমোন রিপ্লেসমেন্ট এর পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। চিকিৎসক আপনার সমস্যা গুলো খুব হবে বিশ্লেষণ করবেন এবং হরমোনের স্বল্পতার সাথে এর সমস্যাগুলোর সম্পর্ক কতটুকু তা নির্ধারণ করবেন। সমস্যার তীব্রতা ও ঔষধের ঝুঁকি বিবেচনা করেই তিনি রোগীকে হরমোন থেরাপীর পরামর্শ দিতে পারেন । আপনার ডাক্তার পুরুষ মেনোপজের লক্ষণগুলি কমাতে নির্দিষ্ট জীবনধারা বা অন্যান্য পরিবর্তনের সুপারিশ ও করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে:
-ডায়েট
-ব্যায়াম ও
-ওষুধ, যেমন এন্টিডিপ্রেসেন্ট।

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এখন মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বয়স্ক পুরুষ। তাই বয়স্ক পুরুষদের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় এখন আলাদাভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। পরিপূর্ণ বয়সে পুরুষরা কিভাবে আরো প্রোডাক্টিভ থাকতে পারেন, সে গবেষণা এখন পুরো মাত্রায় চলছে।

প্রতিটি পুরুষই সারাটি জীবন তার পৌরুষত্ব ও শক্তি নিয়ে বাঁচতে চায়। আপনিও আপনার হরমোন মাত্রার পরিবর্তন জনিত সমস্যা গুলোর দিকে নজর দিন এবং সঠিক চিকিৎসা নিন।

Copyright..dr.mohammad.hye

মিছিল অনেক ধরনেরই হয় –---বিক্ষোভ মিছিল, আনন্দ মিছিল, মৌন মিছিল ইত্যাদি। এ জীবনে কত সহস্র মিছিল দেখলাম, নিজেও কত মিছিলে ...
01/05/2025

মিছিল অনেক ধরনেরই হয় –---বিক্ষোভ মিছিল, আনন্দ মিছিল, মৌন মিছিল ইত্যাদি। এ জীবনে কত সহস্র মিছিল দেখলাম, নিজেও কত মিছিলে স্লোগান দিয়েছি। সম্প্রতি পুরনো একটি মিছিলের ছবি দেখলাম :২০০৪ সালের সিলেটের রাজপথে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল। এ ছবিটি শেয়ার করার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক নয়। এ মিছিলের অনেকেই আমার ভালোবাসার মানুষ। এই ছবিটা দেখে আমার মনটা কিছুটা শোকাহত। এ ছবি আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে – মানব জীবনের চিরন্তন এক পরিণতির কথা । এ মিছিলে সামনের সারিতে কারা ছিলেন? এরা এখন কোথায়? উত্তর সহজ। দু একজন ছাড়া সবাই কবরে।

মানব জীবনেও আসলে এক ধরনের মিছিল। এই মিছিলের সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত একটি গন্তব্য আছে। সেটা হচ্ছে কবর। আমরা সবাই সেদিকেই এগোচ্ছি, কিন্তু মানব জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো, আমরা আমাদের গন্তব্য নিয়ে সব সময় গাফিল থাকি।

যারা পরপারে আছেন সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। পৃথিবী এখন দিন দিন তার বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। মানবিকতা, পরমত সহিষ্ণুতা, গণতন্ত্র –সবকিছুই এখন বিলুপ্তির পথে। আপনারা বরং ওপারেই থাকুন। ভালো থাকুন।

।।।।।।মোহাম্মদ হাই।। ০১।০৫।২০২৫।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

আকস্মিক চুল পড়ার রোগ 'এলোপেসিয়া এরিয়াটা' নিয়ে সিলেটের বাইরের একটি জেলা থেকে  এ রোগী আমার কাছে প্রথম এসেছিলেন চার মাস...
29/04/2025

আকস্মিক চুল পড়ার রোগ 'এলোপেসিয়া এরিয়াটা' নিয়ে সিলেটের বাইরের একটি জেলা থেকে এ রোগী আমার কাছে প্রথম এসেছিলেন চার মাস আগে।
চিকিৎসার পর রোগী এখন অনেক সন্তুষ্ট। যদিও এ রোগে বেশিরভাগ রুগী অপচিকিৎসার সম্মুখীন হন এবং নানা ধরনের জটিলতায় ভোগেন।
তাই রোগীদের প্রতি পরামর্শ, অপচিকিৎসা নয়, সঠিক চিকিৎসা নিন

প্রথম দুইটি টি ছবি চিকিৎসার আগের,পরের ২ টি চিকিৎসার একমাস পর এবং শেষ তিনটি চিকিৎসার চার মাস পর।

কানাডার নির্বাচন এবং একজন Mark Carney.............................................................. কানাডার ইতিহাসে এমন ...
28/04/2025

কানাডার নির্বাচন এবং একজন Mark Carney..............................................................

কানাডার ইতিহাসে এমন টানটান উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচন অতীতে কখনো দেখা যায়নি। রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার এমন মোড় বদল ও আগে কখনো হয়নি।

গত চারদিন ধরে অগ্রিম ভোট হয়ে গেছে। 7.3 মিলিয়ন ভোট কাস্ট হয়েছে। অগ্রিম পুলে এত বেশি ভোট পড়া- এটাও একটি রেকর্ড।

কে হবেন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে শেষ মুহূর্তের গবেষণায় মেতে উঠেছে কানাডা। ভোটের ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। কে হচ্ছেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী? এর আগে গত কয়েক মাস পূর্বের রাজনৈতিক দৃশ্যপটের দিকে থাকানো উচিত।

গত জানুয়ারিতে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পপুলারিটি একেবারেই তলানিতে ঠেকলে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা তখন বলতে গেলে প্রায় শূন্য এর কাছাকাছি।

বিরোধীদলীয় নেতা পিয়েরে পলিয়েভের পপুলারিটি:তখন বলতে গেলে প্রায় 100%। অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পলিয়েভ কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এটা সবাই ধরেই নিয়েছিল ।

এরই মধ্যে ঘটনা ঘটলো। আমেরিকান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডাকে কোনঠাসা করার সব ব্যবস্থাই করলেন। উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করলেন, দু দেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসলেন এবং এক পর্যায়ে কানাডাকে একান্নতম স্টেইট বানাতে চাইলেন। তখনই অভিজ্ঞ জাস্টিন ট্রুডো সাহস ও দূরদর্শিতার সাথে আমেরিকার মুখোমুখি হলেন। কানাডিয়ানদের উদ্দিপ্ত করার জন্য তিনি যে আবেগ ঘন বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা সবার হৃদয় স্পর্শ করেছিল। রাতারাতি লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা প্রায় ২০% বেড়ে যায়।

তারপর দৃশ্যপটে আসেন টুডুর উত্তরসূরী মার্ক কারনি। রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা খুব একটা না থাকলেও প্রফেশনাল জীবনে তার দক্ষতা সারা পৃথিবীতে বিরল। কানাডার এই সংকটময় মুহূর্তে তিনি ধৈর্য, অভিজ্ঞতার সাথে যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবেলা করলেন, তা এক কথায় অনন্য। এখন বলতে গেলে মার্ক কার্নির জনপ্রিয়তা অনেকটা আকাশচুম্বী।

অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ারে পলিয়েভের দিকে আসা যাক। তিনি একজন প্রফেশনাল রাজনীতিবিদ। গত ২৫ বছর ধরে রাজনীতি করছেন, দু দুটি নির্বাচনে হেরেছেন। তারমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছায়া রয়েছে। তার কথাবার্তায় উগ্রতার ছাপ স্পষ্ট, প্রতিপক্ষকে আঘাত করে তিনি কথা বলেন। তিনি যতই কানাডাকে পরিবর্তনের কথা শোনাচ্ছেন, জনগণ তা খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। মানুষ এখন অনেক আধুনিক। গতানুগতিক রাজনৈতিক গলাবাজি মানুষ এখন আর পছন্দ করে না। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী তাকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করলেও তা যথেষ্ট নয়।

এখন অনেকটাই স্পষ্ট, কে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে সেই যোগ্য ব্যক্তিটির নাম । পৃথিবী বদলাচ্ছে এখন শুধু গলাবাজি নয়, মেধা ও প্রকৃত যোগ্যতাই হবে যোগ্যতার মাপকাঠি।

পৃথিবীর দেশে দেশে যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্বের আবির্ভাব হোক, এটাই কামনা।
।।।।।।।অধ্যাপক মোহাম্মদ হাই।। ২৮।০৪।২০২৫।।।।।।।

Address


Opening Hours

Monday 18:00 - 22:00
Tuesday 18:00 - 22:00
Wednesday 18:00 - 22:00
Thursday 18:00 - 22:00
Saturday 18:00 - 22:00
Sunday 18:00 - 22:00

Telephone

+8801711737043

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr hye dermatologist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr hye dermatologist:

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram