
11/04/2022
#কুড়িয়ে_পাওয়া_পাখির_বাচ্চার_যত্ন_নিবেন_কীভাবে?
আমরা অনেক সময় হঠাত করেই ছোট পাখির বাচ্চা বা পাখি পেয়ে যাই। কিন্তু জানিনা কিভাবে এদের খাওয়াতে হবে ও যত্ন নিতে হবে।এক্ষেত্রে আপনার যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে সেটা হল বাচ্চাটি এখন পুরোপুরিভাবে খাবারের জন্য আপনার উপর নির্ভরশীল।
বাজারে পাখির বাচ্চাকে হ্যান্ড ফিডিং করানোর জন্য হ্যান্ড ফিডিং ফর্মুলা কিনতে পাওয়া যায়,যেমনঃ
♦KAYTEE hand feeding formula
♦Nutribird A19/A21
♦Deli nature start+
♦Cede hand feed formula
আপনি ইচ্ছা করলে নিজেই ঘরে বসে খাবার বানাতে পারেন।
#তৈরির_প্রনালীঃ
♦একটি কসমস বিস্কিট গুড়া করে একটি ডিমের কুসুমের সাথে মিশাবেন। এর মাঝে ২~৩ চামচ গরম দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানাবেন। ব্যাস সিরিঞ্জ দিয়ে মুখে পুরে দিবেন। দিনে সাত/আটবার ১~২মিলি করে খাওয়াতে পারেন।
♦অল্প লেয়ার ফিড+ একটু ডিমের কুসুম+ অল্প একটু আদা + হিউম্যান মাল্টিভিটামিন & মাল্টিমিনারেল সিরাপ ১ ফোঁটা(যেমন Livwel৷/Zovia Gold ) সবগুলো উপকরণ হালকা পানি দিয়ে মিক্স করতে হবে। আটা যেমন খামির হয় তেমন। একদম ই পাতলা না। শুকনো ও ড্রাই থাকতে হবে।খাওয়া শেষে অল্প একটু পানি ড্রপার দিয়ে ওর মুখের সামনে ধরলেই ও খেতে পারবে।
♦ডিমের কুসুম,বিস্কুটের গুঁড়া,ছোলা(খোসা ছাড়া)/বুটের ডাল যে কোন একটি পেস্ট করে সাথে হাল্কা পানি মিক্স করে দিতে পারেন।
♦ উপরের এগুলো না ব্যবস্থা করতে পারলে,আপনি “corn flour”/ গুড়ো দুধ এর সাথে হাল্কা পানি মিক্স করে খাওয়াতে হবে...মাঝে মাঝে ভেজা পাওরুটিও খেতে দিতে পারেন।
#করনীয়ঃ
১/খাবার খুব ভাল ভাবে মিক্স করে দেয়া যেন কোন শক্ত অংশ না থাকে।কেননা শক্ত থাকলে তা পাখির গলায় আটকে যেতে পারে।
২/খাবারের সাথে পানি মিক্স করবার পূর্বে তা হাল্কা কুসুম গরম করে নিবেন।
৩/প্রয়োজনে বেশি পরিমাণে তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তবে সেটা গরম পানির উপরে একটি বাটিতে বসিয়ে হালকা গরম করে নিয়ে খাওয়াতে হবে। কিন্তু সবচেয়ে ভাল হয়, একবারে বেশি করে না বানিয়ে প্রতিবার খাওয়ানোর পূর্বে পরিমান মত করে বানিয়ে খাওয়ানো।
৪/পাখির বাচ্চাকে হ্যান্ড ফিডিং করানোর সময় খাবার থলির দিকে লক্ষ রাখতে হবে যেন বেশি পূর্ণ না হয়ে যায়।
ক্ষুধা লাগলে ও নিজেই ডাকাডাকি করে । তখন খেতে দিতে হয়। সাধারণত ওরা ৩০-৬০ মিনিট অন্তর অন্তর খায়। তবে ২-৩ ঘন্টা পরে পরেও দিতে পারেন।
৫/খাবার খাওয়ানোর জন্য একটি বিশেষ ধরনের সিরিঞ্জ পাওয়া যায় সেটি বাজারে কিনে নিতে পারেন।এছাড়াও ২০ মি.লির যে সিরিঞ্জগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন এগুলো সাধারনত ফার্মেসির দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া ফিডিং এর জন্য বিশেষ আকৃতির চামচ পাওয়া যায়।
৬/ পাখিটি যদি দূর্বল থাকে তাহলে তাকে নিয়মিত গ্লুকোজ বা স্যালাইন খাওয়াতে পারেন।
#পাখির_বাসাঃ
বাচ্চাকে যদি বাবা-মা’র সাথে রাখা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে-
♦পাখির বাচ্চার জন্য এমন একটি থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে যেটি বিড়াল/ইঁদুর/চিকা/ টিকটিকি/তেলাপোকার উপদ্রব থেকে সম্পূর্ণরুপে মুক্ত।
♦যেকান মাটির পাত্রে টিস্যু পেপার দিয়ে এর উপর তুলা দিয়ে দিবেন যেন একটু গরম পায়।বাচ্চা রাখার জন্য এমন পাত্রের ব্যবস্থা করতে হবে যেখান থেকে যেন বের হয়ে অন্যত্র যেতে না পারে।
♦পাখির বাচ্চা যেন সঠিক তাপমাত্রা পায় সেজন্য লাইটের ব্যবস্থা করা।শীতকাল/বৃষ্টির দিনে এটির আবশ্যকতা জরুরী।কেননা বাচ্চা যখন তার বাবা-মা’র সাথে থাকে তখন তারা সঠিক তাপমাত্রা পেয়ে থাকে।কিন্তু বাইরে থাকলে এটা সম্ভব হয় না। তাপমাত্রা রেগুলেট করতে না পারলে মারা যাবে।
#সতর্কতাঃ
♦বাচ্চা পাখিকে কখনোই ভাত/চাল খাওানো যাবে না।
♦কখনোই জোর করে টিপে টিপে খাওানো যাবে না।
♦উষ্ণ যায়গাতে রাখুন।
♦প্রতিদিন ১২-১৫ মিনিটের জন্য রোদে রাখুন।
♦ঠান্ডা অবস্থায় খেতে দেয়া যাবে না।
(লেখাটি সংগৃহীত)