Dr Bipul Ghosh Trauma Care

Dr Bipul Ghosh Trauma Care হাঁড়-ভাঙ্গা, হাঁড়-জোড়া, বাত-ব্যাথা,পঙ্গুও প্যারালাইসিস রোগ বিশেষজ্ঞ।

🔊 জয়েন্টে ক্র্যাকিং শব্দ – স্বাভাবিক না চিন্তার বিষয়?..........................................— হাড়ের শব্দ কি বিপদের লক...
26/07/2025

🔊 জয়েন্টে ক্র্যাকিং শব্দ – স্বাভাবিক না চিন্তার বিষয়?..........................................

— হাড়ের শব্দ কি বিপদের লক্ষণ, নাকি নিঃশব্দ সতর্ক সংকেত?

আমরা অনেকেই শুনি:
👉 হাঁটু বেঁকালে "খট" শব্দ
👉 আঙুলে টান দিলে "কড় কড়"
👉 ঘাড় বা কোমর নড়ালে "পট পট"

এগুলো অনেক সময় স্বাভাবিক আবার অনেক সময় অস্বাভাবিক, কারণটা নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর।

✅ কখন জয়েন্টে শব্দ স্বাভাবিক (Benign)?

আঙুলে টান দিলে ‘কড় কড়’ শব্দ:
👉 এটি গ্যাস বাবল (gas bubble) ভেঙে যাওয়ার কারণে হয়।
👉 এটি কোনো হাড় ক্ষয় বা ব্যাধি নয়।

সকালে হাঁটুতে সামান্য শব্দ:
👉 দীর্ঘ সময় নাড়াচাড়া না করার কারণে জয়েন্ট সারফেস শুকিয়ে যায়, তাই শব্দ হতে পারে।

ব্যায়াম বা ওজন কমানোর পর শব্দ কমে গেলে:
👉 মুভমেন্ট ঠিক হচ্ছে, ব্যথা নেই — তাহলে চিন্তার কিছু নেই।

❌ কখন চিন্তার বিষয়?

প্রতিবার নড়াচড়ায় জয়েন্টে খটখট শব্দ হয় এবং ব্যথাও থাকে

➡️ অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা কার্টিলেজ ক্ষয় ইঙ্গিত হতে পারে।
শব্দের সাথে জয়েন্ট লক করে যায় বা জ্যাম হয়ে যায়

➡️ লিগামেন্ট টিয়ার বা মেনিসকাস ইনজুরি হতে পারে (বিশেষ করে হাঁটুতে)।
শব্দের পর জয়েন্ট ফুলে যায় বা চলাচলে অসুবিধা হয়।

➡️ ইনফ্ল্যামেটরি বা সংক্রমণজনিত সমস্যা হতে পারে।
শব্দের সাথে দুর্বলতা বা ভারী ভাব অনুভব হয়।

➡️ মাসল ডিসব্যালান্স বা জয়েন্ট ডিসঅর্ডার ইঙ্গিত দেয়।

🧠 কেন শব্দ হয় – সহজ ব্যাখ্যা:

শব্দের উৎস ব্যাখ্যা :

গ্যাস বাবল ফেটে যাওয়া harmless, বেশি টান দিলে হয়।
কার্টিলেজ ক্ষয় ঘর্ষণ বেড়ে গেলে হয়.
লিগামেন্ট বা টেন্ডন স্ন্যাপ জয়েন্ট মুভ করার সময় টেন্ডন সরে গিয়ে শব্দ করে
জয়েন্ট ডিসঅর্ডার যেমন: TMJ ডিসঅর্ডার বা প্যাটেলা ট্র্যাকিং সমস্যা।

🩺 চিকিৎসকের কাছে কবে যাবেন?

# ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা জয়েন্ট লক হলে।

# শব্দের পর স্বাভাবিক চলাচলে বাধা পেলে।

#ঘন ঘন একই জয়েন্টে সমস্যা হলে।

# বয়স ৪৫+ এবং হাঁটুর শব্দ বেড়ে গেলে।

✅ করণীয়:

# সঠিক ব্যায়াম করা।

# জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া।

#ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

#পুষ্টিকর খাবার খাওয়া (ভিটামিন D, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩)।

📌 শেষ কথা:

সব ‘খট খট’ শব্দ মানেই রোগ নয়, কিন্তু ব্যথা বা চলাচলের অসুবিধা থাকলে তা সতর্ক সংকেত হতে পারে।
সময়মতো চিকিৎসা নিলে সহজেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

19/07/2025

🦴 শিশুদের হাড়ের সমস্যা হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

— অবহেলা নয়, সচেতনতাই শিশুর সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে

শিশুদের হাড় নরম ও নমনীয় হয়। তাই স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার সময় কিছু ব্যথা বা অস্থিরতা হওয়া স্বাভাবিক। তবে কিছু লক্ষণ গুরুতর হাড়ের সমস্যা ইঙ্গিত দিতে পারে — যা সময়মতো না ধরলে ভবিষ্যতে বিকলাঙ্গতা বা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে।

👶 যে লক্ষণগুলোতে অবহেলা নয় — চিকিৎসকের পরামর্শ নিন তৎক্ষণাত:

১. শিশু হেঁটে ব্যথা পায় বা খুঁড়িয়ে হাঁটে

➡️ এটি হিপ জয়েন্ট বা হাঁটুতে সমস্যা হতে পারে।

২. এক বা দুই পা বাঁকা মনে হয় (bow legs/knock knees)

➡️ নির্দিষ্ট বয়সের পরেও থাকলে হাড়ের গঠনগত ত্রুটি হতে পারে।

৩. সাধারণ আঘাতে হাড় ভেঙে যায়

➡️ হাড় দুর্বলতা (rickets বা অস্টিওপোরোসিস) ইঙ্গিত হতে পারে।

৪. হাঁটতে দেরি করা বা চলাফেরায় অসামঞ্জস্য

➡️ নিউরো-মাস্কুলার বা অস্থি সংক্রান্ত জটিলতা থাকতে পারে।

৫. হাঁটু, কোমর বা পিঠে ঘন ঘন ব্যথা

➡️ ইনফ্ল্যামেটরি সমস্যা বা গ্রোথ প্লেট ইনজুরি হতে পারে।

৬. হাত-পা বা আঙুল অস্বাভাবিকভাবে বাঁকা বা বড়/ছোট দেখা যাওয়া

➡️ কনজেনিটাল হাড়ের সমস্যা বা হরমোনাল ডিসঅর্ডার হতে পারে।

৭. ছোট থেকে শিশুর উচ্চতা না বাড়া বা শরীরের গঠন বিকৃত মনে হওয়া

➡️ হাড়ের জিনগত বা হরমোনজনিত রোগ হতে পারে।

✅ অর্থোপেডিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার উপকারিতা:

রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হয়

সঠিক এক্স-রে বা স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া যায়

ওষুধ, ভিটামিন, ফিজিওথেরাপি বা প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারে ভালো ফল পাওয়া যায়

শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত হয়

💡 সতর্ক হোন যদি:

আপনার সন্তান খেলাধুলা করতে ভয় পায়

ক্লাসে বসে বা ব্যাগ বহন করতে কষ্ট হয়

চুপচাপ ব্যথা সহ্য করে থাকে — কারণ শিশুরা সব সময় ব্যথা জানায় না!

📣 শেষ কথা:

"শিশুরা ছোট হলেও হাড়ের সমস্যা ছোট নয়।"
প্রথম লক্ষণেই অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আগেভাগে ধরা পড়লে ৯০% হাড়ের সমস্যারই কার্যকর সমাধান সম্ভব।

04/05/2025

↙️ হাড় ভাঙলেই কি প্লাস্টার করতে হবে? ........................................................

আমরা অনেক সময়ই রোগীর কাছ থেকে শুনি –
“ডাক্তার সাহেব, এক্স-রে তে হালকা ভাঙা দেখাচ্ছে। এখন কি প্লাস্টার লাগবে?”
বা
“প্লাস্টার না করলে কি ঠিকমতো জোড়া লাগবে না?”

এই প্রশ্নগুলো খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু উত্তরটা এক কথায় দেওয়া কঠিন।
সব হাড় ভাঙা এক রকম নয়। তাই সব ক্ষেত্রে প্লাস্টারও দরকার হয় না।

# চলুন বিষয়টা সহজ করে দেখি #—

১. হাড় ভাঙার ধরন বুঝতে হবে:.............................................

a) Fracture (সরল ভাঙন): হাড় দু’টুকরো হয়েছে, কিন্তু স্থানচ্যুতি নেই — প্লাস্টার বা স্লিং দিলেই ভালো হয়।

b) Displaced fracture (স্থানচ্যুত ভাঙন): হাড় সরে গেছে — আগে সেট করে (reduction) তারপর প্লাস্টার বা অপারেশন লাগতে পারে।

c) Hairline fracture (হেয়ারলাইন): হালকা ফাটল — অনেক সময় শুধু বিশ্রামই যথেষ্ট।

d) Compound fracture (খোলা ভাঙন): হাড় চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে গেছে — এটি জরুরি অবস্থা, অপারেশন দরকার হয়।

২. রোগীর বয়স ও অবস্থাও বিবেচ্য:...................................................

শিশুদের হাড় দ্রুত জোড়া লাগে, তাই অনেক ক্ষেত্রে প্লাস্টারেই সমাধান হয়।

বয়স্কদের হাড় দুর্বল থাকায় বাড়তি সাবধানতা দরকার।

ডায়াবেটিস বা অন্য অসুস্থতা থাকলে অপশন ভিন্ন হতে পারে।

৩. আজকাল প্রযুক্তির উন্নয়নে বিকল্প আছে:...............................................................

ফাংশনাল ব্রেস বা স্প্লিন্ট দিয়ে অনেক হাড় ভালো হয়।

অপারেশনের মাধ্যমে ইমপ্ল্যান্ট (প্লেট/স্ক্রু) দিলে প্লাস্টারের দরকারই পড়ে না অনেক সময়।

শেষ কথা:................

প্লাস্টার একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে না।
কোনটা লাগবে, সেটা নির্ভর করে হাড় ভাঙার ধরণ, রোগীর বয়স ও জীবনযাত্রার ওপর।
নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

ডা: বিপুল চন্দ্র ঘোষ
সিনিয়র কনসালটেন্ট (অথো')

04/05/2025

অস্টিওআর্থ্রাইটিস: হাঁটুর ব্যথার নীরব ঘাতক....................................
— আপনি বুঝতে না বুঝতেই ক্ষয়ে যাচ্ছে হাঁটুর জয়েন্ট!

আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন, যারা বলেন—
“হাঁটুটা মাঝে মাঝে ব্যথা করে, কিন্তু আবার ঠিক হয়ে যায়।”
“সিঁড়ি উঠতে কষ্ট হয়, মনে হয় হাঁটুতে শক্তি নেই।”
“অনেকক্ষণ বসে থাকলে উঠে দাঁড়াতে পারি না ঠিকমতো।”

এসব আসলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এটি হলো হাঁটুর জয়েন্টের একটি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাওয়া অসুখ, যা আমরা অনেক সময় অবহেলা করি।

# অস্টিওআর্থ্রাইটিস কি? ..................................

এই রোগে হাঁটুর জয়েন্টে থাকা কার্টিলেজ (জয়েন্টের কুশন) ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায়। ফলে হাড়ের সঙ্গে হাড় ঘষা খায় এবং ব্যথা, শক্ত ভাব, চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়।

# কেন হয় এই রোগ?

√ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
অতিরিক্ত ওজন (ওজন বাড়লে হাঁটুর উপর চাপ বাড়ে)।

√ আগের কোনো আঘাত বা ফ্র্যাকচার।

√ দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ।

√ পারিবারিক ইতিহাস (জেনেটিক ফ্যাক্টর)।

# লক্ষণগুলো কি ?...........................

√ হাঁটুতে ব্যথা, বিশেষ করে সকালে বা অনেকক্ষণ বসে থাকার পর।

√ সিঁড়ি উঠা-নামায় কষ্ট।

√ হাঁটুতে শক্ত ভাব বা বেঁকে যাওয়া।

√ মাঝে মাঝে ‘খট’ শব্দ হওয়া।

√ হাঁটু ফুলে যাওয়া।

# চিকিৎসা ও প্রতিকার:..................................

√ ভয়ের কিছু নেই, তবে অবহেলা নয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে:

√ ওজন কমানো।

√ নিয়মিত ব্যায়াম (ডাক্তার অনুমোদিত)।

√ সাপোটি'ভ জুতা ও হাঁটার স্টিক।

√ ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি।

# অবস্থার অবনতি হলে:....................................

√ ইনজেকশন থেরাপি (যেমন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড অথবা স্টেরয়েড)।

√ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি — আধুনিক ও নিরাপদ।

#কি করা উচিত? ..........................
√ প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটাহাটি করা।

√ বসে থাকার সময় মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ানো।

√ হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলা।

# "হাঁটু ব্যথার ভুল ধারণা" (Myth vs Truth)....................................

"হাঁটুর জন্য উপকারী খাবার:"

√ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D যুক্ত খাবার (দুধ, ডিম)।

√ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (মাছ, বাদাম)।

√এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার (হলুদ, আদা, সবুজ শাকসবজি)।

শেষ কথা:................

অস্টিওআর্থ্রাইটিস ধীরে ধীরে আপনার হাঁটু “খেয়ে ফেলে” — তাই আগেভাগে সচেতন হন।
প্রাথমিক লক্ষণ দেখলেই একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, সময়মতো ব্যবস্থা নিলে অপারেশনের প্রয়োজনই নাও হতে পারে!

ডা: বিপুল চন্দ্র ঘোষ
সিনিয়র কনসালটেন্ট
(অথো'পেডিক সাজা'রি)

04/05/2025

# # ব্যাক পেইন # #............................

আজকাল অনেক কম বয়সেই মানুষ পিঠের ব্যথা নিয়ে ভোগে। অফিসের চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ভুল ভঙ্গিতে মোবাইল দেখা বা ভারী কাজ করার কারণে পিঠের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

পিঠের ব্যথার প্রধান কারণগুলো:...............................................

👌ভুল ভঙ্গিতে বসা বা হাঁটা

👌ল্যাপটপ/কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘসময় থাকা।

👌ভারী জিনিস তোলা ভুল কায়দায়।

👌ম্যাট্রেস বা বালিশের সমস্যাজনিত ঘুমের অভ্যাস।

👌স্পাইনাল ডিস্কের সমস্যা।

👌আঘাত বা দুর্ঘটনা।

👌স্ট্রেস ও মানসিক চাপ (কখনো পিঠে ব্যথা বাড়াতে পারে)।
👌দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল করা।

কখন চিন্তিত হবেন?.............................

👌ব্যথা যদি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।

👌পা বা পায়ের আঙুলে ঝিনঝিন অনুভূতি বা অবশ লাগা।

👌মূত্র নিয়ন্ত্রণের সমস্যা।

👌রাতে ব্যথা বেড়ে গেলে।

👌এমন হলে দেরি না করে অর্থোপেডিক স্পেশালিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পিঠের ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়:..............................................

👌সঠিক ভঙ্গিতে বসুন এবং হাঁটুন।

👌প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পরপর চেয়ার থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটুন।

👌সঠিক উচ্চতার টেবিল ও চেয়ারে কাজ করুন।

👌হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করুন।

👌ঘুমানোর জন্য মাঝারি নরম বিছানা ব্যবহার করুন।

👌অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।

চিকিৎসা পদ্ধতি:...........................

👌ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি।

👌স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম থেরাপি।

👌সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে অপারেশনের দরকার পড়ে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

শেষ কথা:...............
👌পিঠের ব্যথা হালকা মনে হলেও অবহেলা নয়।
👌প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতন হলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক অভ্যাস এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা — এটাই সুস্থ পিঠের মূলমন্ত্র।

ডা: বিপুল চন্দ্র ঘোষ
সিনিয়র কনসালটেন্ট
(অথো'পেডিক সাজা'রি)

04/05/2025

অস্টিওপোরোসিস: নীরবে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার রোগ......................................আপনি বুঝে ওঠার আগেই আপনার হাড় হয়ে যাচ্ছে ভঙ্গুর!

আমরা অনেকেই হঠাৎ সামান্য আঘাতে বা পড়ে গিয়ে হাড় ভেঙে যাওয়ার কথা শুনি।
অনেক সময় দেখি বয়স্ক মানুষ হাঁচি দিতে গিয়েও কোমরের হাড় ভেঙে ফেলছেন!
এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে এক ভয়ংকর অথচশুভ নীরব রোগ – অস্টিওপোরোসিস।

অস্টিওপোরোসিস কী?..................................

অস্টিওপোরোসিস মানে "হাড়ের ঘনত্ব (density)" কমে যাওয়া এবং হাড়ের গঠন দুর্বল হয়ে যাওয়া। ফলে হাড় এতটাই ভঙ্গুর হয়ে যায় যে সামান্য চাপ বা আঘাতেও ভেঙে যেতে পারে।

কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন?.........................................

💧৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীরা (বিশেষ করে menopause-এর পর)তার

💧যাদের পারিবারিক ইতিহাস আছে

💧দীর্ঘদিন স্টেরয়েড সেবন করেছেন

💧ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D ঘাটতি আছে

💧অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান করেন

💧স্থির জীবনযাপন করেন (কম চলাফেরা)

লক্ষণ ...............
💧প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় লক্ষণহীন।

💧হাঁচি বা হালকা ধাক্কায় হাড় ভেঙে যাওয়া

💧পিঠ বাঁকা হয়ে যাওয়া (Stooped posture)

💧উচ্চতা কমে যাওয়া

💧দীর্ঘদিন পিঠে ব্যথা

সাধারণত যে হাড়গুলো ভাঙে...........................................

💧মেরুদণ্ড (spine)

💧কব্জি (wrist)

💧হিপ জয়েন্ট (কোমরের হাড়)

চিকিৎসা ও প্রতিকার:................................

💧 পুষ্টি ও সাপ্লিমেন্ট:

প্রতিদিন পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম (দুধ, দই, ছোট মাছ)

ভিটামিন D (সূর্যালোক ও প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট)

💧প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

💧ব্যায়াম:

ওজন বহনকারী ব্যায়াম (হাঁটা, সিঁড়ি ওঠা)

ব্যালান্স ও স্ট্রেংথ ট্রেনিং

💧চিকিৎসা:

DEXA স্ক্যান করে হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয়

প্রয়োজনমতো ওষুধ (Bisphosphonates, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি)

নিয়মিত চিকিৎসক পরামর্শ

প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা!........................................

অস্টিওপোরোসিস একবার হলে পুরোপুরি সারানো যায় না, তবে ঝুঁকি কমানো ও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
তাই এখনই সচেতন হোন, বিশেষ করে ৪০-এর পর নিয়মিত হাড়ের যত্ন নিন।

27/04/2025
Osteoarthritis...
22/04/2025

Osteoarthritis...

অস্টিওআর্থ্রাইটিস: হাঁটুর ব্যথার নীরব ঘাতক....................................
— আপনি বুঝতে না বুঝতেই ক্ষয়ে যাচ্ছে হাঁটুর জয়েন্ট!

আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন, যারা বলেন—
“হাঁটুটা মাঝে মাঝে ব্যথা করে, কিন্তু আবার ঠিক হয়ে যায়।”
“সিঁড়ি উঠতে কষ্ট হয়, মনে হয় হাঁটুতে শক্তি নেই।”
“অনেকক্ষণ বসে থাকলে উঠে দাঁড়াতে পারি না ঠিকমতো।”

এসব আসলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এটি হলো হাঁটুর জয়েন্টের একটি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাওয়া অসুখ, যা আমরা অনেক সময় অবহেলা করি।

# অস্টিওআর্থ্রাইটিস কি? ..................................

এই রোগে হাঁটুর জয়েন্টে থাকা কার্টিলেজ (জয়েন্টের কুশন) ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায়। ফলে হাড়ের সঙ্গে হাড় ঘষা খায় এবং ব্যথা, শক্ত ভাব, চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়।

# কেন হয় এই রোগ?

√ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
অতিরিক্ত ওজন (ওজন বাড়লে হাঁটুর উপর চাপ বাড়ে)।

√ আগের কোনো আঘাত বা ফ্র্যাকচার।

√ দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ।

√ পারিবারিক ইতিহাস (জেনেটিক ফ্যাক্টর)।

# লক্ষণগুলো কি ?...........................

√ হাঁটুতে ব্যথা, বিশেষ করে সকালে বা অনেকক্ষণ বসে থাকার পর।

√ সিঁড়ি উঠা-নামায় কষ্ট।

√ হাঁটুতে শক্ত ভাব বা বেঁকে যাওয়া।

√ মাঝে মাঝে ‘খট’ শব্দ হওয়া।

√ হাঁটু ফুলে যাওয়া।

# চিকিৎসা ও প্রতিকার:..................................

√ ভয়ের কিছু নেই, তবে অবহেলা নয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে:

√ ওজন কমানো।

√ নিয়মিত ব্যায়াম (ডাক্তার অনুমোদিত)।

√ সাপোটি'ভ জুতা ও হাঁটার স্টিক।

√ ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি।

# অবস্থার অবনতি হলে:....................................

√ ইনজেকশন থেরাপি (যেমন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড অথবা স্টেরয়েড)।

√ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি — আধুনিক ও নিরাপদ।

#কি করা উচিত? ..........................
√ প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটাহাটি করা।

√ বসে থাকার সময় মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ানো।

√ হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলা।

# "হাঁটু ব্যথার ভুল ধারণা" (Myth vs Truth)....................................

"হাঁটুর জন্য উপকারী খাবার:"

√ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D যুক্ত খাবার (দুধ, ডিম)।

√ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (মাছ, বাদাম)।

√এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার (হলুদ, আদা, সবুজ শাকসবজি)।

শেষ কথা:................

অস্টিওআর্থ্রাইটিস ধীরে ধীরে আপনার হাঁটু “খেয়ে ফেলে” — তাই আগেভাগে সচেতন হন।
প্রাথমিক লক্ষণ দেখলেই একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, সময়মতো ব্যবস্থা নিলে অপারেশনের প্রয়োজনই নাও হতে পারে!

ডা: বিপুল চন্দ্র ঘোষ
সিনিয়র কনসালটেন্ট
(অথো'পেডিক সাজা'রি)

Address

Sylhet

Opening Hours

Monday 16:00 - 20:30
Tuesday 16:00 - 20:30
Wednesday 16:00 - 20:30
Saturday 04:00 - 20:30
Sunday 16:00 - 20:30

Telephone

+8801317429880

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Bipul Ghosh Trauma Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category