Nutritionist Sujata Sarker

Nutritionist Sujata Sarker Consultant Nutritionist

Oasis Hospital, Sylhet. Call 01797046062 for appointment. Leave a message

দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে ওজন কমানোর পরও যে কারণে ওজন আবারো বেড়ে যেতে পারে: দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে শুধু বাহ্...
21/11/2024

দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে ওজন কমানোর পরও যে কারণে ওজন আবারো বেড়ে যেতে পারে:

দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয় ,শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। যে কারণে সচেতন প্রত্যেকটা মানুষই তার কাঙ্খিত ওজনে ফিরে আসতে চায় এবং সেই ওজনটা ধরে রাখতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওজন কমানো সম্ভব হলেও তা ধরে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

ওজন কমানো এবং কাঙ্খিত ওজন ধরে রাখার জন্য যে বিষয়গুলো জরুরী তা হলো ---

১ . একটা ব্যালেন্স ডায়েট মেন্টেইন করা
______________________________________

ডায়েট মেইনটেইন করার সময়ও সব ধরনের খাদ্য উপাদান আমরা খাচ্ছি কিনা সে দিটা বিবেচনায় রাখতে হবে যেন কোন ধরনের খাদ্য উপাদানের অভাবে ওজন কমাতে গিয়ে শারীরিক অন্যকোন সমস্যা না দেখা দেয়।

২. সারা দিনে অন্তত ৫ থেকে ৬ বার খাওয়া
_______________________________________

কম ক্যালরিযুক্ত খাবার দিয়ে সারাদিনে পাঁচ থেকে ছয় বার খেলে কোন এক বেলাতে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে যাবে। যেমন : সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানের সময় গুলোতে বাদাম ,ফল,ছোলা, ঘরে তৈরি স্যুপ , এবং কখনো কখনো পরিমিত পরিমাণে হাই ফাইবার কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়া যাবে।

৩. অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার , ডুবো তেলে ভাজা খাবার, চিনিযুক্ত খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।

৪. সেই সাথে হাঁটা , এক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীরের একটিভিটি বাড়াতে হবে।

৫. সকালের খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এবং সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে খুবই জরুরী এ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

৬. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।

যে কারণে ওজন ধরে রাখা সম্ভব হয় না
____________________________________

১. খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ওজন কমানোর জার্নির সময়ে খাবারের তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত তেল চিনি ও মিষ্টি যুক্ত খাবার বাদ দেওয়া হয়। এক্সারসাইজ হাঁটা সবকিছুই মেইনটেইন করা হয় ।

কিন্তু কাঙ্খিত ওজনে পৌঁছার পর ধীরে ধীরে মানুষ আগের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে ফিরে যেতে থাকেন।
তখন ওজন আবার দ্রুত বাড়তে থাকে।

২. শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দেওয়া
_________________________________

ওজন বেশি থাকা অবস্থায় অনেকেই মনের কষ্টে ভুগতে থাকেন, তখন হাঁটা ,এক্সারসাইজ সবকিছুই চালিয়ে যান।
কাঙ্খিত ওজন পৌঁছানোর পর আবার এগুলো বন্ধ করে দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

৩. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে ফিরে আসা

_________________________________________

ওজন কমার পরপরই যদি কেউ অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার গুলো নিয়মিত খেতে থাকেন সে ক্ষেত্রে ওজন আবার খুব দ্রুতই ফিরে আসবে।

মাঝে মাঝে খেলে তা যদি অন্য বেলার খাবারের সাথে ব্যালেন্স করে নেয়া যায় তখন দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

সর্বোপরি বলা যায়, আমরা যদি সব সময়ই একটা হেলদি ডায়েট প্ল্যান মাইনটেইন করার চেষ্টা করি তাহলে দিকে অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না ,অন্যদিকে মাঝে মাঝে রিচ-ফুড খাওয়া হয়ে গেলেও তা যদি সারাদিনের ক্যালোরির সাথে ব্যালেন্স করে নেওয়া যায় তবে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহন করা হবে না।

এতে ওজন কমানোর পরও আমরা কাঙ্ক্ষিত ওজন ধরে রাখতে পারব।

সংকলন ও সম্পাদনা :

সুজাতা সরকার
কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট
ওয়েসিস হসপিটাল, সিলেট।
----------------------------------------------
🔳 অনলাইনে সার্ভিসের জন্য কল করুন 01797046062 অথবা ম্যাসেজ দিন ফেইসবুক পেইজে।

শীতে স্যুপের উপকারিতা--------------------------------------শীতের আমেজে গরম গরম স্যুপ খাওয়ার মজাই আলাদা। এমনিতেই এই সময় ব...
14/12/2023

শীতে স্যুপের উপকারিতা
--------------------------------------

শীতের আমেজে গরম গরম স্যুপ খাওয়ার মজাই আলাদা। এমনিতেই এই সময় বাজার ভরা থাকে নানা ধরনের মৌসুমী সবজিতে। আর সেই সব সবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খাওয়ার রয়েছে নানা উপকারিতা। আর সেই সব সবজিগুলো নিয়েই তৈরি স্যুপের গুনাগুন ও পুষ্টিমূল্য তুলে ধরা হলো :

১. শীতের সবজি বললে প্রথমেই নাম আসে ফুলকপির। পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরি যুক্ত ফুলকপির স্যুপ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ তথা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস। তাই বাড়িতে বানিয়ে নিতেই পারেন ফুলকপির স্যুপ। এছাড়াও ফুলকপির সাথে শীতকালীন অন্যান্য সবজি, যেমন:- বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, মটরশুঁটি, কর্ণ দিয়ে মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপও বানানো যেতে পারে।

২. সুস্বাদু ও পুষ্টিকর স্যুপের মধ্যে অন্যতম হলো মাশরুমের স্যুপ। মাশরুমে ক্যালোরি কম, কিন্তু পুষ্টি গুণে ভরপুর। এমনকি, যাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায়, তাঁদের জন্য এই স্যুপ বিশেষ উপকারি। কারণ, মাশরুম প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম এর একটি উৎকৃষ্ট উৎস।

৩. স্যুপ প্রেমীদের মধ্যে চিকেন স্যুপ বরবরই জনপ্রিয়। কারণ এটি খেলে পেট আর মন দুটোই ভরে। চিকেনের মধ্যে থাকা ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট স্যুপের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং প্রয়োজনীয় ক্যালোরি ও পুষ্টি যোগায়। এই স্যুপের মধ্যেও যোগ করে নেয়া যায় শীতকালীন বিভিন্ন কালারের সবজি। চিকেনের সাথে চিংড়ি, ডিম, কর্ন , বিনস্ যুক্ত করে স্যুপকে আরো আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু করে তোলা যায়।

৪. যে কোনো ভারী খাবার/ মেইন মিল গ্রহণ করার আগে ক্লিয়ার স্যুপ খেয়ে নিলে এতে কম ক্যালোরি থাকায় শরীরের ওজনও বাড়ায় না। বিকেলের নাস্তার সময় ও এই ধরনের স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।

৫. টমেটোর স্যুপ ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। সঙ্গে ক্যালোরি কম ও পেট ভরা রাখে অনেক্ষণ। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এটি বিশেষ উপকারি। এই স্যুপের সাথেও গাজর, চিকেন, চিংড়ি, বিনস্, কর্ন মিক্স করলে স্যুপের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুটোই বেড়ে যায়।

পরিশেষে বলা যায়, ওজন কমাতে এবং সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজিগুলো দিয়ে তৈরি স্যুপের কোন বিকল্প নেই।

সংকলন ও সম্পাদনা :

সুজাতা সরকার
কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট
ওয়েসিস হসপিটাল, সিলেট।
----------------------------------------------
🔳 অনলাইনে সার্ভিসের জন্য কল করুন 01797046062 অথবা ম্যাসেজ দিন ফেইসবুক পেইজে।

স্কুলপড়ুয়া শিশুর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরিতে যা করণীয়----------------------------------------------------শিশুরা স্ক...
19/11/2023

স্কুলপড়ুয়া শিশুর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরিতে যা করণীয়
----------------------------------------------------

শিশুরা স্কুলে যাওয়া শুরু করলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খুবই জরুরী। যেহেতু এই সময়ে দীর্ঘক্ষণ স্কুলে কাটাতে হয়, তাই খুব সচেতন ভাবে তাদের সারা দিনের ডায়েট-প্ল্যান বাড়ি এবং স্কুল উভয় জায়গার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করতে হবে।

শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা বেশ কঠিন । তা নিয়ে প্রত্যেক বাবা-মাকেই অনেক টেনশনে থাকতে দেখা যায় । বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে খুব সহজেই অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরিতে সাহায্য করবে, শিশুদের জন্য এমন চারটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য শ্রেণি নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:

১. ফল ও সবজি

ভিটামিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলের জন্য আঁশযুক্ত শাক-সবজি, পানি ও ফলমূল বিশেষ প্রয়োজন। এগুলো বর্তমানে ও জীবনের পরবর্তী সময়ে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে ও শরীর গঠনে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। সাধারণত বেশিরভাগ শিশুর কাছে ফল ও বেশি সবজি দিয়ে রান্না করা খাবার তেমন পছন্দের না। তাই অবশ্যই তাদের বিভিন্ন রঙ ও স্বাদের ফলমূল ও সবজি খেতে উৎসাহিত করতে হবে।

স্কুল টিফিনে আপেল, পেয়ারা, কলা, কমলা ও আঙুরের মতো ফল ছাড়াও কাঠবাদাম এবং কাজুবাদাম দেয়া যায় ।

বাচ্চারা ফলের সালাদ বেশ পছন্দ করে। এটি পুষ্টিকর।

অনেক রঙের ফল একসাথে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইনে কেটে সালাদ তৈরি করে বাড়িতে বা স্কুল-টিফিনে দেওয়া যায়।

২.শস্যজাতীয় খাবার

বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা, বিকাশ ও শেখার জন্য শক্তির প্রয়োজন। সঠিকভাবে বিকাশের জন্য তাদেরকে পাস্তা, ভাত, ওটস, বার্লির মতো দানাদার বা শস্যজাতীয় খাবার দেওয়া অপরিহার্য। যে কোন শস্যজাতীয় খাবারের সবচেয়ে ভালো দিক হলো দীর্ঘ সময় শিশুর পেট ভরা থাকে। এই খাবারগুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে শিশু সক্রিয় ও উদ্যমী থাকে।

৩. দুগ্ধজাত পণ্য/খাবার

প্রোটিন ও ক্যালশিয়ামের একটি বড় উৎস দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাবার যেমন, দুধ, পনির, দই ইত্যাদি। এগুলো শিশুর জন্য আদর্শ স্বাস্থ্যকর খাবার। শিশুদের নিয়মিত দুধের তৈরি খাবার খেতে উৎসাহিত করা উচিৎ। এর মধ্যে তরল দুধ, কয়েক টুকরো পনির বা এক বাটি দই থাকতে পারে।

৪. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

শিশুদের পেশীর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চর্বিছাড়া মাংস, মাছ, মুরগি, মটরশুঁটি, ডিম ও মসুর ডালের মতো খাবারে প্রোটিন ছাড়াও আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-১২ এর মতো বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আছে। শিশুদের শেখার এবং মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য মাছের তেল ও চর্বিহীন লাল মাংস থেকে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের টিফিনের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের একটা লম্বা সময় স্কুলে কাটাতে হয়৷ স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তাদের শক্তি অটুট রাখে এবং সারা দিনের পুষ্টির যোগান দেয়।

স্বাস্থ্যকর প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানগুলোর সঙ্গে তথাকথিত কোমল পানীয় পান না করে শুধু পানি পান করা ভাল। শিশুদের চাহিদা মেটানোর জন্য, কোমল পানীয়ের বিকল্প হিসেবে কম চিনি দিয়ে ঘরে বানানো ফলের জুস তাদের জন্য দারুণ উপযোগী হতে পারে।

যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও চিনি থাকে সেসব খাবার গ্রহণ করলে শিশুদের স্থূলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও, এই খাবারগুলো অতিরিক্ত খেলে অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

অবশ্যই, কোমলমতি শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত রাখা একেবারেই অসম্ভব। তাই এই খাবারগুলো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যেন শিশুরা কেবল মাঝেমধ্যে, পিতামাতার উপস্থিতিতে সেগুলো খায়।

নিচে কয়েকটি স্বাস্থ্যসম্মত স্কুল-টিফিনের মেনু উল্লেখ করা হলো :

১. ভেজিটেবল, এগ / পনির / চিকেন স্যান্ডউইচ।
২. ভেজিটেবল, এগ /চিকেন, পনির মিক্স পাস্তা।
৩. ডিম দিয়ে চিড়ার পোলাও
৪. ভেজিটেবল, এগ, চিকেন, বাটার দিয়ে তৈরি ফ্রাইড রাইস।
৫. চিকেন মোমো।
৬. ভেজিটেবল এন্ড এগ/ চিকেন দিয়ে তৈরি নুডুলস।
৭. কাস্টারড পুডিং / পুডিং।
৮. ক্যারামেল পুডিং ।
৯. ভেজিটেবল প্যান্ কেক।
১০. ভেজিটেবল রোল।
১১. ডাল-সবজি পাকোড়া।
১২. ওটস-ভেজিটেবল পাকোড়া।
১৩. ওটস, দুধ, কলা , ডিম দিয়ে তৈরি প্যানকেক।
১৪. মাছের কাবাব।
১৫. মাংসের কাবাব।
১৬. ডিম, ময়দা, দুধ এর তৈরি পিঠা/ প্যানকেক।
১৭. গাজরের হালুয়া।
১৮. গাজরের পায়েস।
১৯. বুটের ডালের বরফি।
২০. সুজির বরফি।
২১. বাদাম, কিসমিস, খেজুর, ওটস এবং বিভিন্ন সিডস মিক্স করে বরফি।
২২. সবজি খিচুড়ি।

এছাড়াও রুটি ও মাংস, রুটি ও ডিমভাজি, রুটি ও সবজি এগুলো তো থাকছেই।

পরিশেষে বলবো, একটু ধৈর্য ধরে পরিকল্পনা করে শিশুর খাদ্য তালিকা তৈরি করুন এবং তাকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।

সংকলন ও সম্পাদনা :

সুজাতা সরকার
কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট
ওয়েসিস হসপিটাল, সিলেট।
----------------------------------------------
🔳 অনলাইনে সার্ভিসের জন্য কল করুন 01797046062 অথবা ম্যাসেজ দিন ফেইসবুক পেইজে।

বর্ষার সময় কীভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে?____________________________________১.  ভিটামিন ডি কেন গুরুত্বপূর্ণ?ভিটামিন ডি...
22/08/2023

বর্ষার সময় কীভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে?
____________________________________

১. ভিটামিন ডি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভিটামিন ডি মানব দেহের জন্য অত্যাবশক একটি উপাদান। এটা ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে যা শরীরের হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধির প্রধান উপাদান। তাছাড়া ভিটামিন ডি শরীরের মাংসপেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রমে মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি অত্যাবশ্যক।

আমাদের শরীরের চামড়া সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হয়। এভাবে প্রায় সবাই কমবেশি ভিটামিন ডি পেয়ে থাকেন।

২. সূর্যের আলো না পেলে কী হবে

যেহেতু আমরা এখন বর্ষার মৌসুম অতিবাহিত করছি, তাই সরাসরি সূর্যের আলো পাওয়া প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে। যাহোক, শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ডের জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন ডি সকলেরই প্রয়োজন। তাই, সূর্যের আলো না পাওয়া গেলে কি করতে হবে, সে সম্বন্ধে নিচে কিছু পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হল।

৩. এক্ষেত্রে ডায়েটের ভূমিকা

পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পাওয়া গেলে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন ডি বেশি পাওয়া যায়। নদীর পানির মাছে ভিটামিন ডি তুলনামূলক কম থাকে। এছাড়া হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন আইটেম, যেমন ডিমের কুসুম, মাশরুম ও পনির -- ভিটামিন ডি কম হলেও -- বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে।

৪. ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট

আপনার ডায়েট যদি শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত না হয় অথবা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি জনিত লক্ষণ রয়েছে সেক্ষেত্রে ভিটামিন ডি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সংকলন ও সম্পাদনা :

সুজাতা সরকার
কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট
ওয়েসিস হসপিটাল, সিলেট।
----------------------------------------------
🔳 অনলাইনে সার্ভিসের জন্য কল করুন 01797046062 অথবা ম্যাসেজ দিন ফেইসবুক পেইজে।

যদি একশজন বাঙালীকে প্রশ্ন করা হয়,  আপনার প্রিয় খাবার কি? উত্তরে নব্বই জনই বলবেন মাছ। মাছের সাথে বাঙালীর একটা ইমোশন জড়...
03/07/2023

যদি একশজন বাঙালীকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার প্রিয় খাবার কি? উত্তরে নব্বই জনই বলবেন মাছ। মাছের সাথে বাঙালীর একটা ইমোশন জড়িয়ে আছে। বলা বাহুল্য, মাছ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার।

রুই, কাতল, ইলিশ, চিংড়ি এধরনের কিছু মাছ নিয়ে আলোচনা করব। আলোচনা করব এদের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এবং কাদের ক্ষেত্রে এই মাছ খাওয়া উচিত না সে সম্বন্ধে।

রুই মাছ
--------

রুই মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি মাছ। একজন মানুষের সারাদিনে ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন আর ১০০ গ্রাম রুই মাছে ক্যালসিয়াম থাকে ৬৫০ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ সারাদিনে যদি আপনি এক পিস রুই মাছ খেয়ে থাকেন, রুই মাছের থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম আপনার হাড় , দাঁত এবং দাঁতের মাড়িকে সুস্থ রাখে।

১০০ গ্রাম ভাতে থাকে ১৩০ ক্যালোরি, কিন্তু ১০০ গ্রাম রুই মাছে ক্যালোরি থাকে মাত্র ৯৭ ক্যালরি। তাই ওজন কমাতে চাইলে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রুই মাছ রাখতে পারেন। এই মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড যা আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেলের সাথে লড়াই করতে সক্ষম। রুই মাছের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ আপনার চোখ, চুল এবং ত্বকের জন্য যথেষ্ঠ উপকারী।

এমন কিছু মাছ রয়েছে, যে মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মার্কারি থাকে। তবে রুই মাছে এই মার্কারি বা পারদ থাকে না বলে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

কাতল মাছ
----------

কাতল মাছে অন্যান্য মাছের তুলনায় কম পরিমাণে সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাতল মাছের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান ভিটামিন-এ চোখের জন্য উপকারী।

আয়োডিন, জিংক, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম এরকম ধরনের পুষ্টিগুন রয়েছে কাতল মাছের মধ্যে। যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কাতল মাছ অবশ্যই রাখতে পারেন।

ইলিশ মাছ
----------

ইলিশের স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য বাঙ্গালীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছ। সেই সাথে মাছটির পুষ্টিগুণ রয়েছে অসীম। ইলিশ জিংক-সমৃদ্ধ মাছ যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ইলিশ মাছের মধ্যে থাকা জিংক অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য ও শিশুদের জন্য বিশেষ উপকারী। ইলিশ মাছের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে সেলিনিয়াম আমাদের শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি করে, আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে সেল ডেমেজের হাত থেকে রক্ষা করে।

ইলিশ মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড এর "ইমিউন মডিউলেটারি প্রপার্টি" রয়েছে যা অস্টিও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। এটি হার্ট-হেলথ এর জন্য উপকারী, তার সাথে সাথে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।

মেজর ডিপ্রেশনের (বিষন্নতা) রোগীদের উপর নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ সকল রোগীদের শরীরে আরজেনিনের মাত্রা খুবই কম। ইলিশ মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আরজেনিন যা ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।

চিংড়ি মাছ
----------

এখন আমরা আলোচনা করব চিংড়ি মাছ নিয়ে। চিংড়ি মাছ হল ভিটামিন-B12 এর ভান্ডার। মানুষের শরীরে যদি ভিটামিন-B12 এর ঘাটতি ঘটে তখন রক্তশূন্যতা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। আর সে সমস্ত সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম ভিটামিন-B12 যা চিংড়ি মাছে রয়েছে।

১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছের মধ্যে ক্যালরি রয়েছে মাত্র ১১৫ ক্যালোরি এবং ফ্যাট রয়েছে মাত্র 1.72 গ্রাম। তাই ওজন কমাতে চাইলে আপনার ডায়েটে চিংড়ি মাছকে অবশ্যই যোগ করতে পারেন। চিংড়ি মাছের মধ্যে থাকা সেলেনিয়াম ক্যান্সার সেলের সাথে লড়াই করতে সক্ষম।

চিংড়ি মাছের ভিটামিন-ই ত্বককে সুন্দর এবং রিংকল-ফ্রি করে রাখতে সক্ষম। এই মাছের ক্যালসিয়াম আমাদের হড়, দাঁত এবং দাঁতের মাড়িকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে সাথে চিংড়ি মাছ আমাদের ইমিউনিটি-পাওয়ারকে বাড়াতে সাহায্য করে।

কিন্তু এই চিংড়ি মাছের বেশ কিছু নেগেটিভ দিকও রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু টক্সিক কম্পাউন্ড রয়েছে, তাই যদি বেশি পরিমাণে চিংড়ি মাছ খাওয়া হয় তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যেতে পারে। তার সাথে সাথে চিংড়ি মাছকে বলা হয় কোলেস্টেরল-বুম। অর্থাৎ চিংড়ি মাছের মধ্যে অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক গুণ বেশি কোলেস্টরল রয়েছে। তাই যদি কারো হার্টের সমস্যা বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চিংড়ি মাছ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

এই চিংড়ি মাছ খুব সহজেই বাতাস থেকে এবং জলের থেকে দূষণকে তাড়াতাড়ি শোষণ করে নিতে পারে। তাই সমুদ্রজাত যে সমস্ত চিংড়ি মাছ রয়েছে সে সমস্ত চিংড়ি মাছ না খাওয়াই ভাল। কারণ সে সমস্ত চিংড়ি মাছের মধ্যে মার্কারি বা পারদের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

যে সমস্ত নদী বা পুকুরের পানি অত্যন্ত দূষিত বা নোংরা হয়ে গেছে, ঐ নোংরা জলের মধ্যে পলিক্লোরিনেটেড বাই-ফিনাইল নামক এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়, বিশেষ করে শিশুদের বেলায় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই শিশুদের চিংড়ি মাছ খাওয়ানোর আগে আরও একবার ভেবে নিতে হবে।

ছোট মাছ
---------

পুষ্টিগুণের দিক থেকে বড় মাছ বা মাঝারি ধরনের মাছের থেকে কোন অংশে কম নয় ছোট মাছ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ছোট মাছ শিশুদের ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য খুবই উপকারী। এর থেকে ভিটামিন-এ পাওয়া যায় যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

বেশিরভাগ মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড, যা হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। তবে প্রত্যেকটি মাঝে রয়েছে কম-বেশি কোলেস্টেরল, তাই যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাঁরা নির্দিষ্ট মাত্রায় মাছ খেতে পারেন। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সপ্তাহে ২০০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাছ খেতে পারেন।

পরিশেষে বলবো, কিডনির সমস্যা থাকলে অবশ্যই পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
সংকলন ও সম্পাদনা :

সুজাতা সরকার
কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট
ওয়েসিস হসপিটাল, সিলেট।
--------------------------------------

🔳 অনলাইনে সার্ভিসের জন্য কল করুন 01797046062 অথবা ম্যাসেজ দিন ফেইসবুক পেইজে।

প্রতিদিন দুটো খেজুর খেলে যা হয় :খেজুরে যথেষ্ঠ মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গায় সুপার-মার্...
25/04/2023

প্রতিদিন দুটো খেজুর খেলে যা হয় :

খেজুরে যথেষ্ঠ মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গায় সুপার-মার্কেটে এটা পাওয়া যায়।

খেজুরের বিশেষ কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হল:

১. ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন এ প্রকাশিত এক স্টাডিতে দেখা গেছে, তিন সপ্তাহ ব্যাপী প্রতিদিন ৭টা খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।
এতে রয়েছে যথেষ্ঠ মাত্রায় ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে সাহায্য করে। খেজুর বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে, যেমন স্মুদি বানিয়ে, দই বা সালাদে যোগ করে , ওটস ও দুধের সাথে খাওয়া যেতে পারে।

২. এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কিছু ক্রনিক রোগ, যেমন ক্যান্সার, হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস ও আলজাইমার ডিজিস হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,
পটাশিয়াম এবং জিংক যা মানব শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।

৩. সাদা চিনির বিকল্প

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ রয়েছে, যা অন্য খাবারের সাথে মেশালে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টির যোগান দেয়, ফলে চিনি মেশাতে হয় না।
চায়ের কাপে সাদা চিনি না মিশিয়ে খেজুর মেশালে মিষ্টির স্বাদ তো পাওয়া যায়ই, সেই সাথে
এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে। সাদা চিনির খারাপ দিকগুলোর মুখোমুখি হতে হয় না।

৪. রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে

খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক কম, কাজেই রক্তের সুগার লেভেলকে বেশি বাড়ায় না।

একটি স্টাডিতে ১০০ জন ডায়াবেটিক রোগীকে ষোল সপ্তাহব্যাপী প্রতিদিন তিনটা করে খেজুর খেতে দেওয়া হয়েছিল ।পরবর্তীতে তাদের রক্তের সুগার লেভেল টেস্ট করে দেখা গেছে, তাদের রক্তের সুগারের মাত্রা পরিবর্তন হয় নাই। কাজেই যারা ডায়াবেটিস রোগী অথবা যারা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন, তাদের জন্য খেজুর চিনির একটি অসাধারণ বিকল্প ।

৫. মস্তিষ্কের সুস্থতা

এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় খেজুর মস্তিষ্কের সুস্থতা বৃদ্ধি করে।

৬. সন্তান প্রসবকালে সহায়ক

সন্তান প্রসবকালে অক্সিটোসিন (Oxytocin) এর কার্যকারিতা খেজুর বৃদ্ধি করে। তাই নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা সহায়ক। একটি স্টাডিতে ২০০ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ডেলিভারির চার সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন ৬টি করে খেজুর খেতে দিয়ে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা ২০ % বৃদ্ধি পেয়েছে।

৭. হাড়ের সুস্থতা

হাড়ের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মিনারেল ও ভিটামিন যেমন সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ হওয়ায় খেজুর হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

খেজুর আমাদের শরীরের ইমুন-সিস্টেমকে সুস্থ রাখে, ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পরিশেষে বলা যায়, বিভিন্নভাবে খেজুর খাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই তা নির্দিষ্ট মাত্রায় হতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। বিশেষ কোন সমস্যা যেমন কিডনির রোগ থাকলে পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।

সংকলন ও সম্পাদনা :

সুজাতা সরকার
কনসালটেন্ট নিউট্রিশনিস্ট
ওয়েসিস হসপিটাল, সিলেট।
--------------------------------------

🔳 অনলাইনে সার্ভিসের জন্য কল করুন 01797046062 অথবা ম্যাসেজ দিন ফেইসবুক পেইজে।

Address

Oasis Hospital, Subahanighat
Sylhet
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Sujata Sarker posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nutritionist Sujata Sarker:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category