Faysal Mahmud

Faysal Mahmud General Physician

11/10/2025
দেশে এখন আমড়ার সিজন, যেটাকে আমরা বরিশালী আমড়া বা মিষ্টি আমড়া বলি । দেশের সমস্ত এলাকায় বাজারে, হাটে,স্কুলের সামনে দেখ...
04/10/2025

দেশে এখন আমড়ার সিজন, যেটাকে আমরা বরিশালী আমড়া বা মিষ্টি আমড়া বলি । দেশের সমস্ত এলাকায় বাজারে, হাটে,স্কুলের সামনে দেখবেন আমড়া বিক্রি হচ্ছে। এই আমড়া খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কারণ এতে আছে ভিটামিন-সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে; আয়রন, যা রক্তশূন্যতা দূর করে; এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি হাড়, ত্বক ও হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। বাচ্চাদেরকে চকলেট চানাচুর ড্রিংকস এনার্জি ড্রিংকস এগুলোর পরিবর্তে বাজার থেকে ভালো ফলমূল যেমন আমড়া, পেয়ারা এগুলা খাওয়ান।
তবে এসব ফলমূল বাজারে না খেয়ে বাসায় নিয়ে নিজে কেটে ভালো পানি দিয়ে ধুয়ে খাবেন। কারণ রাস্তাঘাটে যেভাবে অপরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে আপনাদের টাইফয়েড, ডায়রিয়া, জন্ডিস এইসব পানিবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আমড়া খাওয়ার উপকারিতা:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।

হজম ভালো রাখে:
এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।

রক্তশূন্যতা দূর করে:
আমড়ায় থাকা প্রচুর আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে, যা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি:
এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা সার্বিক হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ত্বক ও হাড় সুস্থ রাখে:
আমড়া ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

বার্ধক্য প্রতিহত করে:
এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে বার্ধক্য প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে এবং বয়সজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ:
কাঁচা আমড়ায় চিনির পরিমাণ খুব কম থাকে, তাই এটি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ ফল।

Faysal Mahmud
03/10/2025

Faysal Mahmud

23/09/2025

বাচ্চাকে মোবাইল বা কার্টুন দেখিয়ে খাওয়ানো হলে হজমের সমস্যা, মনোযোগের অভাব, ভাষার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া, চোখের ক্ষতি, ওজন বৃদ্ধি, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, এবং আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অভ্যাসটি শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি তৈরি করে।
শারীরিক সমস্যা
হজমের সমস্যা: খাবার খাওয়ার সময় মোবাইল বা কার্টুন দেখলে শিশু খাবারের দিকে মনোযোগ দিতে পারে না, ফলে খাবার সঠিকভাবে চিবানো হয় না এবং খাবার গিলে ফেলা হয়। এতে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও ওজন বৃদ্ধি: স্ক্রিনের সামনে বসে থাকার কারণে শিশুর শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায়, যা ফ্যাট জমা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
চোখের ক্ষতি: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর চাপ পড়ে, চোখ শুষ্ক হয়, ঝাপসা দেখা দিতে পারে এবং কম বয়সে চশমা পরার প্রয়োজন হতে পারে।
অন্যান্য শারীরিক রোগ: অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
মানসিক ও আচরণগত সমস্যা
মস্তিষ্কের বিকাশ ও মনোযোগের অভাব: ছোটবেলায় মোবাইল বা কার্টুনের প্রতি আসক্তি শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি ও আচরণগত বিকাশে জটিলতা সৃষ্টি করে এবং মনোযোগের অভাব ঘটায়।
আচরণগত সমস্যা: অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুর আচরণগত সমস্যা তৈরি করে এবং এটি অটিজমের মতো সমস্যার সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে।
ভাষার বিকাশে বাধা: মোবাইল দেখিয়ে খাওয়ানো হলে ভাষা শেখার গতি ধীর হয় এবং বাক্য গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক চাপ: মোবাইল থেকে দূরে থাকলে শিশুরা উদ্বিগ্ন হতে পারে এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Address

Sylhet
Sylhet
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Faysal Mahmud posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Faysal Mahmud:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category