04/10/2025
দেশে এখন আমড়ার সিজন, যেটাকে আমরা বরিশালী আমড়া বা মিষ্টি আমড়া বলি । দেশের সমস্ত এলাকায় বাজারে, হাটে,স্কুলের সামনে দেখবেন আমড়া বিক্রি হচ্ছে। এই আমড়া খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কারণ এতে আছে ভিটামিন-সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে; আয়রন, যা রক্তশূন্যতা দূর করে; এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি হাড়, ত্বক ও হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। বাচ্চাদেরকে চকলেট চানাচুর ড্রিংকস এনার্জি ড্রিংকস এগুলোর পরিবর্তে বাজার থেকে ভালো ফলমূল যেমন আমড়া, পেয়ারা এগুলা খাওয়ান।
তবে এসব ফলমূল বাজারে না খেয়ে বাসায় নিয়ে নিজে কেটে ভালো পানি দিয়ে ধুয়ে খাবেন। কারণ রাস্তাঘাটে যেভাবে অপরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে আপনাদের টাইফয়েড, ডায়রিয়া, জন্ডিস এইসব পানিবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমড়া খাওয়ার উপকারিতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
হজম ভালো রাখে:
এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
রক্তশূন্যতা দূর করে:
আমড়ায় থাকা প্রচুর আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে, যা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি:
এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা সার্বিক হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ত্বক ও হাড় সুস্থ রাখে:
আমড়া ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বার্ধক্য প্রতিহত করে:
এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে বার্ধক্য প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে এবং বয়সজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ:
কাঁচা আমড়ায় চিনির পরিমাণ খুব কম থাকে, তাই এটি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ ফল।