সরলা হোমিও চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র

  • Home
  • Bangladesh
  • Sylhet
  • সরলা হোমিও চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র

সরলা হোমিও চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from সরলা হোমিও চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র, Medical and health, Sylhet.

With Nirupoma Bikash – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
25/10/2025

With Nirupoma Bikash – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

07/10/2025

Miss u Baba,❤️🙏❤️

মম চিত্তে তব শৌর্য বীর্য বহে,মানুষ মানবতার কল্যানে তব শিক্ষা,অনন্ত দ্বীপ হয়ে যেন অহর্নিশ জ্বলে-আর্শীবাদ রেখ তব রূপান্তরে...
29/09/2025

মম চিত্তে তব শৌর্য বীর্য বহে,
মানুষ মানবতার কল্যানে তব শিক্ষা,
অনন্ত দ্বীপ হয়ে যেন অহর্নিশ জ্বলে-
আর্শীবাদ রেখ তব রূপান্তরে।(পুত্র কন্যা)
❤️🙏❤️

I got 6 reactions on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you....
28/09/2025

I got 6 reactions on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

★হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ছবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বলতে গিয়ে,

পিতাশ্রী বলতেন,
মনেকর তোমাকে একজন লোক বাড়ি এসে তালাশ করে ফিরে গেল।তুমি যখন বাড়ি আসিলে,জানিতে পারিলে, যে এসেছিল থাকে বাড়ির কেহই চিনে না,
তবে তার রং কালো,লোকটি বেটেপনা এবং মোটাসোটা ও ঢেবঢেবে প্রকৃতির বেশ ধীরে ধীরে কথা বলে,মুখে তাহার বয়োব্রণ এবং ভ্রুদয়ের মধ্যে একটা কাটা বর্ণের আঁচিল ইত্যাদি বর্ণনা শুনিয়া তুমি সহজেই নিশ্চীত হলে,হ্যা গনেশ এসেছিল।তেমনি আমাদের হোমিওপ্যাথিক ভেষজ ছবিও ঠিক সেই প্রকার।প্রত্যেক ভেষজেরই কিছু অদ্ভুত অসাধারণ লক্ষনাবলী রয়েছে।তাই প্রত্যেক ভেষজের ছবিজ্ঞান জানা অত্যান্ত আবশ্যক।এই ভেষজ ছবিজ্ঞান জানা থাকলে সুনির্দিষ্ট সুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগ করা সহজ হয়ে যায়।দেখবে হোমিওপ্যাথিক ছবিজ্ঞানের সাথে রোগীর কষ্টকর যন্ত্রনাময় লক্ষনাবলী বর্ণিত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে দুই তিনটি ভেষজের ছবি অবশ্যই তোমার মানসপটে উদিত হবে বা ভেসে উঠবে আর তখনই তুলনামূলক পার্থক্য বিচার পূর্বক একটি মাত্র সুনির্বাচিত ভেষজ খুজে নেওয়া সহজ ও সম্ভব হবে।

I gained 2,749 followers, created 16 posts and received 268 reactions in the past 90 days! Thank you all for your contin...
28/09/2025

I gained 2,749 followers, created 16 posts and received 268 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

Big thanks to Happy Dasfor all of your support! Congrats for being top fans on a streak 🔥!
28/09/2025

Big thanks to Happy Das

for all of your support! Congrats for being top fans on a streak 🔥!

Big shout out to my newest top fans! 💎 Happy DasDrop a comment to welcome them to our community,  fans
11/09/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Happy Das

Drop a comment to welcome them to our community, fans

03/09/2025

🙏

চতুর্থ পর্ব-🔯উত্তরাধিকার

অধ্যায়-১১♦️জীবনের প্রথম চিকিৎসা,

শরতের নীল আকাশ, গোধুলীরা খেলা করে সূর্যকে প্রনাম জানাবার সংকল্প মনে পিতা পুত্র হাটতেছি মহাদেব মন্দিরের দিকে।এমন সময় গ্রামের এক লোক দৌড়ে আসতে লাগলেন আমাদের দিকে,আমাদের পাশে যেতেই বললেন লোকটির পুত্র,কিশোর বালক জ্বরে কাহিল হয়ে নীরব নিস্তব্ধ পড়ে আছে,কোন কথাই বলতেছে না।দয়াকরে আমাদের বাড়িতে আসুন।আমি আর বাবা তাদের বাড়ি যাই।

বাড়ি গিয়ে শিশুটির মাথায় হাত রেখে অনুভব করলাম-জ্বরে শরীর জ্বলছে,অথচ চোঁখ দুটো তৃষ্ণায় জলের জন্য ছলছল করছে তবুও কিছু বলতে চায় না,মৃতের মত শুয়ে আছে।

বাবার দিকে থাকিয়ে বাবাকে বললাম,
-"বাবা,এ তো শুধু জ্বর নয়,তৃষ্ণাও খুব প্রবল বেড়েছে।"

বাবা মৃদু হাসলেন আর বললেন,
আজ তুই ঔষধ নির্বাচন করে দেবে আমি দেখব।
পিতাশ্রী বললেন,রোগকে আয়নায় ভাল করে দেখ,তারপর তোর মন,বিবেচনা ও বিশ্লেষণ যা বলবে তাই সঠিক পথ হবে।"

আমি রোগীকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম।রোগীর বাবা মায়ের কাছ থেকে জানলাম, কিভাবে কখন কি কারনে জ্বর এল এবং জ্বরের হ্রাস বৃদ্ধি জেনে ঔষধ নির্বাচন করে বাবাকে বলেছিলাম এবং ছোট ব্যাগ থেকে একটি ঔষধের গ্লবিউলস বড়ি খাইয়ে দিলাম আর দেখলাম অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়ল।পরদিন জানতে পারলাম শিশুটির জ্বর আর আসে নাই।

শুনে আমার চোঁখে এক বিশ্বাসের উদ্ভুত আলো ফুটে উঠেছিল। আমি বাবাকে বলেছিলাম,
-"বাবা আমি পেরেছি।"

💠পিতাশ্রী আনন্দ আর সন্তোষ নিয়ে বলেছিলেন,
-"হ্যা প্রিয় পুত্র,তুই কেবল ঔষধ দিসনি,তুই আত্মার ভাষা প্রকৃতি চিহ্ন বুঝতে পেরেছিস আর এই অভিজ্ঞতাই হলো চিকিৎসার আসল পাঠ।"

অধ্যায়-১২♦️আত্মার আরগ্য

সন্ধ্যার ছায়ানামে এলো মেলো হাওয়া,তারারা মিটিমিটি জ্বলছে,পিতা পুত্র বসে আছি এক সবুজ মাঠে।

বাবার নীরবতা ভেঙে বললাম-
-"বাবা আজ মনে হচ্ছে হোমিওপ্যাথি কেবল চিকিৎসা নয়,এটা এক দর্শন -যেখানে মানুষকে ভেতর থেকে বুঝতে ও উপলব্ধি করে জানা যায়।

পিতাশ্রী উত্তরে বললেন,
-"হ্যা ঠিক তাই।মনে রেখ ঔষধ হল সহায়ক।আসল চিকিৎসক হলো আত্মা নিজেই।যখনই আত্মা নিজের ভারসাম্য খুজে পায়,তখন দেহ মন সুস্থ হয়ে উঠে।"

আমি অনন্তের পানে থাকিয়ে দেখছিলাম আর বাবার কথা গুলো হৃদয়ে মনে বারবার বুঝতে চেষ্টা করছিলাম।আর মনে হচ্ছিল আত্মানুসন্ধানই জীবনের মূল ও প্রতীক।

সেদিন বাবার হাতধরে দ্বীপ্ত কন্ঠে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম,আমি শুধু শরীর নয়, মানুষের আত্মাকে বোঝার চেষ্টা করে যাব এবং করব।আমি শিখব ক্ষুদ্রশক্তি দিয়ে মানুষের অন্তরে সুখ সন্তোষ ও প্রশান্তি দেওয়া যায়।

বাবা সেদিন আমাকে দুহাতে জরিয়ে চুম্বন করে আর্শীবাদ করলেন আর বললেন-
-"আজ থেকে তুই-ই আমার উত্তরাধিকার। আত্মার আরগ্যের পথে চলতে তুই আমার আলো আর জীবনের দর্পন।

💠জ্যোন্সার আলোয় ভরে উঠছে চারপাশ পিতা পুত্র একসাথে মহাদেবের মন্দির ত্রিনাথ গানে সুরে মন মজিয়ে দিলাম।।

"আত্মার আরগ্য" সমাপ্ত হল।

🙏সুধী পাঠক লেখায় ভূল ত্রুটি আছে থাকবে,
সংস্কার চলবে।জীবন চলার পথে ভূল হবে হয় আর এই ভূল থেকেই আমরা সত্যকে খুজে পাই।
সত্যের আত্ম সন্ধানে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরু অপরিহার্য। গুরু-ই অন্ধকারে আলো জ্বেলে পথ দেখায় সত্যকে চেনায় আর রোগ ভোগকারী দেহ ও মনে প্রকৃতির চিহ্নকে জেনে বুঝে নির্মল আরগ্য দানে গুরুই জীবনকে দিশা দেয়।
আমার লেখা "আত্মার আরগ্য" আপনাদের কেমন লাগল জানাতে সবিনয় অনুরোধ রইল।
আপনারা সকলের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবনের শুভকামনা করি,🙏

03/09/2025

তৃতীয় পর্ব
"আত্মদর্শনের পথ"

অধ্যায়-৮♦️অদৃশ্য শক্তি,
একরাতে আকাশ ভরা তারা,আমি মুগ্ধ নযনে তাখিয়ে দেখলাম,আর ভাবনায় তারার আলো মগজে একটা প্রশ্নের সৃষ্টি করল,
বাবাকে বললাম,
-"বাবা,এত আলো এল কোথা থেকে?আমিতো তারাদের ভেতর কোন আগুন দেখতে পাই না!"

💠বাবা হাসলেন,আর শান্ত স্বরে বললেন,
-"শক্তি সবসময় চোঁখে দেখা যায় না।কিন্তু তার প্রভাব অনুভব করা যায়। তারার আলো যে করে দূর আকাশ থেকে আমাদের ছুঁয়ে যায়, তেমনি হোমিওপ্যাথির অদৃশ্য শক্তিও আমাদের ছুঁয়ে যায়।"
কিছুক্ষণ চুপ হয়ে রইলাম,ভাবনার অতল গহ্বরে
হারিয়ে গেলাম। মন প্রশ্নকরে তাই বাবাকে বললাম,
-"তাহলে মানুষতো কেবল দৃশ্য মান দেহ নয়,অদৃশ্য শক্তির সাথে ও গড়া?"
পিতাশ্রী বললেন,
-"হ্যা একদম তাই।দেহ হল প্রদীপ, আত্মা হলো শিখা,আর প্রাণশক্তি হলো অদৃশ্য আলো-যা আমাদের বাচিয়ে রাখে।''

🙏মহাপঞ্চভূতের অপার রহস্যময় তারাগুলো যেন কথাগুলোকে মন্ত্রের মত প্রতিধ্বনি করেছিল।

অধ্যায়-৯♦️অভ্যন্তরের অসংগতি,
পিতা পুত্র একদা গ্রামের এক মেটোপথ ধরে হাটছিল দূরের মহাদেব মন্দির থেকে ভজনের সুর ভেসে আসছিল, বাবাকে বললাম -
-"বাবা এত মধুর লাগছে এ সুরটা!"
বাবা গভীর ভাবে সুরের ভাবনায় বিভোর ছিলেন, আমার প্রশ্ন শুনে বললেন,
-"এই সুরটাই হল জীবনের প্রতীক। যখন সুর ঠিক থাকে,তখন মন শান্ত থাকে।কিন্তু সুর যদি বেসুরা হয় তখনই রোগ জন্ম নেয়।"

আমি চিন্তত হয়ে সবিনয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-"তাহলে ঔষধ কি আমাদের জীবনের সুর মেলাতে সাহায্য করে?''

পিতাশ্রী সহাস্যে বলতে লাগলেন,
-"হ্যা পুত্র, হোমিওপ্যাথি হল এক মহাসঙ্গীতের ন্যায়,কোন যন্ত্রের ভাঙ্গা তার মেরামত করে না,বরং তারের টানটা এমন ভাবে ঠিক করে,
যাতে গানের সুর নিজে থেকেই ফিরে আসে।
ঔষধ ঢেউ থামায় না,কেবল ভেতরের সুরকে জাগায়।"

💠আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম-সত্যিইতো হোমিওপ্যাথিক এক প্রকার সঙ্গীত,যার শ্রোতা হল আত্মা।

অধ্যায়-১০♦️শান্তির পাঠ
গ্রামের বাজারে যেখানে বহু দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে লোকজন বিভিন্ন প্রকার ফল ফসলাদি নিয়ে বসে,মানুষ হাটকরে। আমি আর বাবা হাটছিলাম হঠাৎ দেখলাম দুজন মানুষ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করছে একে অপরকে গালাগাল দিচ্ছে। ভিড় জমে উঠল-
ভীত হয়ে বাবার হাত চেপে ধরলাম,
-"বাবা এরে ঝগড়া করে একে অপরকে কষ্ট দিচ্ছে কেন?''

পিতাশ্রী শান্ত কন্ঠে বললেন-
-"রোগ শুধু শরীরের নয়, সমাজেরও আছে। দ্বন্দ্ব হল মানুষের সম্মেলিত রোগ।যখন ভেতরের শান্তি হারিয়ে যায়, তখনই বাহিরে লড়াই শুরু হয়।"

পিতাশ্রী দুজনকে ডেকে শান্ত করলেন আর বললেন,
-"তোমরা ভেতরে শান্তি জাগাও,আর বুঝতে চেষ্টা কর কেন এ ঝগড়া,এর পরিনাম কি?দা থেকে তোমরা কি লাভ করেছ? যদি তা অনুধাবন করতে পার দেখবে ঝগড়া আর নেই শান্ত হয়ে যাবে।''

💠আমি অবাক বিস্ময়ে বাবাকে দেখলাম আর বুঝলাম,শান্তিই আসল ঔষধ, যা শরীরে না বোতলে - শুধু অন্তরে পাওয়া যায়।

✅এভাবেই তৃতীয় পর্ব শেষ হলো।
এখন গল্প শেষ অধ্যায়ের দিকে এগুবে,আমি চিকিৎসার পথে পা বাড়াব চিকিৎসা মন্ত্রে মানুষ মানবতার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করব,এবং পিতার কাছ থেকে আত্মদর্শনের উত্তরাধিকার লাভ করব।

28/08/2025

🙏দ্বিতীয় পর্ব শুরু করছি,

🔯 "মানুষের কাহিনী "
অধ্যায়-৫ ♦️ গ্রামের অসুস্থ বৃদ্ধা,
শরতের ভোর।হালকা কুয়াশায় মোড়া গ্রামের গলিপথ দিয়ে পিতা-পুত্র হাটতেছি।হঠাৎ এক ঘর থেকে কান্না ও গোঙানির শব্দ শুনতে পেলাম।ঘরের ভেতর গিয়ে দেখলাম আমাদের সেই চিরপরিচিত বৃদ্ধা শয্যাশায়ী,
শরীর মুখ ফোলা,কন্টস্বর দূর্বল।ক্লান্ত শরীর দূর্বল,চুপচাপ গুটিসুটি মেরে পড়ে আছে।

বৃদ্ধার কন্ঠে ক্লান্তি,
-"বাবা আমার শরীর ভার হয়ে গেছে।ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।কেবল অনেকক্ষণ পর পর জল খেয়ে বেঁচে আছি,বুকে সূচ ফুটানো ব্যাথা,নড়া চড়া করতে ইচ্ছে হয় না।শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। "

পিতাশ্রী বৃদ্ধার নাড়ি ধরলেন,মুখে আশ্বাস ঝরালেন।
-"চিন্তা করবেন না,প্রকৃতি নিজেই আপনাকে সুস্থ করবেন,আমি কেবল।তাকে পথ দেখিয়ে দিচ্ছি।"
ঔষধ খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পর বৃদ্ধার চোঁখে। মুখে এক সন্তোষ ও প্রশান্তির চিহ্ন প্রকাশ ঘটল।আমি অবাক বিস্ময়ে থাকিয়ে রইলাম।
পিতাশ্রী শান্তস্বরে বললেন,

-"ঔষধ কেবল শরীরের ভার তোলল না,বরং আত্মার ভেতরের ভারসাম্য ফিরিয়ে দিল।দেহ তাই নিজেই নিজের ভারসাম্য ফিরে পেয়েছে।

🔯সেদিন আমি উপলব্ধি করেছিলাম -চিকিৎসা মানে শুধু শরীরকে নাড়া দেওয়া নয়,আত্মাকে ছুয়ে দেওয়া।

অধ্যায়-৬ ♦️ শিশুর কান্না
একদা গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী গরিব পরিবারে ছোট্র শিশু সারারাত ধরে কেঁদে চলছে।কোন কিছুতেই থামার উপায় নাই।আমরা গিয়ে দেখলাম,জ্বর আর ক্ষুধা হীনতায় ক্লান্ত তবুও কান্না থামছে না,খুব অস্থির ছটফট করতেছে।শিশুটিকে দেখে মন মমতায় ভরে উঠল,তার কষ্ট হৃদয়কে ছোঁয়ে গেল,

-"বাবাকে বললাম,সে এতো কাঁদছে কেন?"
পিতাশ্রী শিশুর কপালে হাত রাখলেন।ছোট্র বোতল থেকে একটি গ্লোবিউলস দানা মুখে দিলেন,কিছুক্ষণ পর শিশুটি ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়লেন।

আমি বিস্মিত নয়নে বললাম,
-"এতো ক্ষুদ্র ডোজে এমন শান্তি কিভাবে এলো?"
পিতাশ্রী উত্তরে বললেন-
-"শিশু প্রকৃতির সবচেয়ে কোমল সৃষ্টির এক শ্রেষ্ঠ উপহার।তাই তার আত্মা ক্ষুদ্রতম স্পর্শেও সারা দেয়। হোমিওপ্যাথিও কোমলতার ভাষায় কথা বলে,যেখানে শক্তি নয়,সুরই কাজ করে।"

🔯শিশুর ঘুমন্ত মুখের দিকে থাকিয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা ও সংকল্প করেছিলাম-এই কোমল শক্তির উৎস ও ভাষা একদিন আমিও শিখব।

অধ্যায়-৭♦️অসহায় কৃষক
বিকালের পড়ন্ত রোদে গরুর গাড়ি ঠেলে নিয়ে আসছিল এক কৃষক। শরীর কাহিল,বল শক্তি দূর্বল।

মুখ শুকনো কাছে গিয়ে বাবা জিজ্ঞেস করলেন-
-"কি রে,হল কি?

কৃষক হেসে ফেলল তিক্তভাবে।
-"ক্ষেতে ফসল নেই,শরীরে শক্তি নেই,ঘরে স্রী পুত্র কন্যাদের খাওয়াতে পারছি না,আর খাওয়াবই বা কি?"

আমি বাবাকে প্রশ্ন করলাম-
-" বাবা এতো কেবল অসুখ নয়,এতো দুঃখ ভরা দারিদ্র?"

পিতাশ্রী দীর্ঘশ্বাস ফেললেন,আর বললেন-
-" হ্যা পুত্র।রোগ কেবল শরীরের নয়,জীবনেরও।
দারিদ্র্য, দুঃচিন্তা,অবহেলা -সবই আত্মাকে দূর্বল করে।ঔষধ আমরা দেই সত্য কিন্তু আসল আরগ্য আসে তখনই,যখন মানুষ আশার আলো ফিরে পায়।"
পিতাশ্রী কৃষককে সামান্য ঔষধ দিলেন,সাথে ভরসার কথা শুনালেন।কৃষকের চোঁখ অশ্রুুর জলে ভরে উঠল,যেন ভেতরে নতুন সাহসের পুনর্জাগরণ ঘটল।

🔯 আমি উপলব্দি করেছিলাম-চিকিৎসা কেবল শরীরের নয়,মানুষকে আশা জাগানোও চিকিৎসার অংশ।

👉এভাবেই দ্বিতীয় পর্ব শেষ হলো।
এখন গল্প ধীরে ধীরে দর্শনের গভীরে প্রবেশ করবে- প্রানশক্তি,অভ্যন্তরের সংগতি,আর মানুষের ভেতরের শান্তি নিয়েই এগোবে আগামীতে,

27/08/2025

💠 প্রথম পর্ব: প্রকৃতির পাঠশালা

অধ্যায় ১.♦️ নদীর ধারে
বিকালের সোনালী আলো নদীর বুকে ঝিলিক দিচ্ছে। হাওয়ার দোলা যেন নদীটিকে গান গাইতে শিখিয়েছে। নদীর ঘাটে বসে আছেন পিতা,পাশে তার কিশোর পুত্র।পুত্র কিছুক্ষণ পাথর ছুঁড়ে জলকে অশান্ত করে তোলল।ঢেউ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল।আর বলতে লাগল,
-"বাবা দেখ ঢেউগুলো কীভাবে ছোট থেকে বড় হচ্ছে।''
বাবা মৃদু হাসলেন।
"আর বললেন ঠিক এমনি করে মানুষের ভেতরেও অশান্তি ছোট থেকে বড় হয়,আর তখনই রোগের প্রকাশ ঘটে।যখন ভেতরের প্রানশক্তি শান্ত থাকে,তখন জীবন নদীর মতোই স্বচ্ছ স্নিগ্ধ। কিন্তু ভেতরে অশান্তি এলে ঢেউ উঠে, শরীর আর মন দুটোই কষ্ট পায়।"
পুত্র চিন্তিত মুখে জিজ্ঞেস করলেন,
"তাহলে ঔষধ কি ঢেউ থামায়?"
-"না পুত্র,ঔষধ ঢেউ থামায় না।ঔষধ শুধু ভেতরের সুরকে টিউন করে দেয়, যাতে নদী আবার নিজেই শান্ত হয়ে যায়।"

⚛️নদীর বুক জুরে তখন ☀ সূর্যাস্তের রঙ।পিতা-পুত্র দুজনেই যেন নীরবে আত্মায় নদীর স্রোতধ্বনি শুনছিল।

অধ্যায়-দুই ♦️বীজ ও অঙ্কুর

কয়েদিন পর পিতা পুত্র একসাথে হাটতে বেরুলেন।হাটতে হাটতে অনেক দৃশ্য অবলোকন করে ক্ষেতের দিকে চললেন,জমিতে শুকনো মাটিতে বীজ পড়ে আছে।তা দেখে বিস্ময়ে পুত্র বলে উঠল,
"এই বীজগুলো মৃত মনে হয়, অথচ বৃষ্টি এলেই অংকুর গজায়।"
বিচক্ষণ দার্শনিক পিতা একমুঠো বীজ হাতে নিলেন এবং বললেন-
"এটাই জীবন শক্তির রহস্য। বাইরে শুকনো মনে হলেও ভেতরে সুপ্ত প্রান লুকিয়ে আছে। হোমিওপ্যাথিও তাই শেখায়,দেহের ভেতর অদৃশ্য প্রানশক্তি আছে।ক্ষুদ্রতম শক্তি যখন থাকে স্পর্শ করে,তখনই সে সাড়া দেয়।"
প্রিয় পুত্রের চোঁখ চকচক করে উঠল।
-তাহলে ছোট জিনিসও বড় প্রানশক্তি জাগাতে পারে?"
হ্যা প্রিয় পুত্র,যেমন এক বিন্দু অগ্নিশিখা হাজার প্রদীপ জ্বালাতে পারে,তেমনি এক ক্ষুদ্রতম ডোজ বা মাত্রা জীবনের গভীরে আলো জ্বালাতে সক্ষম।"

⚛️বাতাসে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে মনে হলো মাঠের প্রতিটি দানা যেন নীরবে একই সত্য প্রকাশ করছে।জীবনে সুস্থতা নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকাই প্রকৃতি ও ফসলের ধর্ম।

অধ্যায়-তিন ♦️আয়নার রহস্য

রাতে চাঁদের আলোয় আঙ্গিনায় বসেছিল পিতা-পুত্র।
আলাপ চারিতার ফাঁকে হঠাৎ পুত্র প্রশ্ন করে উঠল আমি অসুস্থ হলে শরীর ও মন খারাপ হয়ে যায় কেন?"
পিতা হেসে উঠলেন আর বললেন যথার্থই বলেছ পুত্র-
-"কারণ দেহ আর মন আলাদা নয়।রোগ হল ভেতরের ছায়া, আর উপসর্গ হল আয়নায় তার প্রতিফলন। তুমি যখন আয়নায় মুখ দেখ,সেখানে কেবল ছায়া থাকে।রোগও তেমনই-"শরীরে যা দেখা যায়, তা ভেতরের অসামঞ্জস্যতারই প্রতিচ্ছবি।"পুত্র কিছুটা দ্বিধায় পরে গেল এবং আবার প্রশ্ন করলেন-
-"তাহলে ঔষধ কি আয়না পাল্টে দেয়?"
পিতা হাসলেন আর বললেন।
-"না প্রিয় পুত্র,আয়না পাল্টানো যায় না।আলো ঠিক করলে প্রতিফলনও বদলে যায়।" হোমিওপ্যাথি কেবল আলো ঠিক করে দেয়,-আত্মা নিজেই তার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে

⚛️চাঁদের আলোয় পুত্রের মুখে যেন নতুন সম্ভবনার আলো ফুটে উঠল।

অধ্যায়- চার ♦️ফুল ও সুবাস

কয়েকদিন পর পিতা-পুত্র বাগানে হাটতে গেলেন।বাগানের মকুলিত,প্রস্ফুটিত ফুলের বাগানে ঘুরতে ঘুরতে পুত্র একটি জুঁই ফুল তোলে নাকের কাছে ধরল।
আর বলল,
-"বাবা ফুলের গায়েতো আমি সুবাস দেখতে পাই না তবে নাকে তাই পাই কেন?"

পিতা প্রশ্নশুনে আশ্চর্য হলেন আর খুশি মনে বললেন,
-"সুবাস অদৃশ্য তবুও অনুভব যোগ্য। হোমিওপ্যাথির শক্তিও তেমনই।ঔষধে দৃশ্যমান কিছু না থাকলেও তার অদৃশ্য প্রভাব থাকে।"
পুত্র ভাবলেশহীন মনে প্রশ্ন করলেন,
-"তাহলে কি রোগও অদৃশ্য?"
পিতা বললেন হ্যা,রোগের আসল রূপ অদৃশ্য-শুধু উপসর্গ গুলো দেখা যায়।ফুল যেমন সুবাসে নিজের আসল সত্তা প্রকাশ করে,রোগও তেমনি উপসর্গে নিজের প্রমান দেয়।"

⚛️ফুলের সুবাসে বাতাস ভরে উঠল।মনে হলো অদৃশ্য কোন শক্তি নীরবে হৃদয় ছুয়ে যাচ্ছে।

👉এখানেই প্রথম পর্ব শেষ হলো।এখন থেকে গল্প ধীরে ধীরে মানুষের বাস্তব কাহিনীতে প্রবেশ করবে।
-গ্রামের অসুস্থ মানুষের বাস্তব জীবন কাহিনীতে জানতে পারবেন,'অসুস্থ মানুষ,তাদের দুঃখ,আরগ্যের গল্প এবং আত্মদর্শনের শিক্ষা।
নিয়ে আসছে আগামীতে,,,,
শুভরাত্রী,
স্মরণ স্মৃতি,

27/08/2025

"আত্মার আরগ্য"
(পিতা-পুত্রের হোমিওপ্যাথিক আত্মদর্শন)
♦️ভূমিকা
মানুষ শুধু শরীর নয়,মানুষ হল মন,প্রান ও আত্মার সমন্বয়।দেহে রোগ যেমন দেখা দেয়,তেমনি অন্তরে আত্মায় অসামঞ্জস্যতাও দেখা দেয়।হোমিওপ্যাথি সেই অসামঞ্জস্যতাকে গভীর ভাবে উপলব্ধি করে-রোগকে কেবল উপসর্গে দেখে না,দেখে অন্তরের ভাষায়। এই বই "আত্মার আরগ্য" মূলত এক আধ্যাত্মিক যাত্রার গল্প।এখানে এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও আত্মদর্শী পিতার কিশোর পুত্র প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন ও মানুষের ভেতরের ব্যাথা দেখে শেখে উঠা জীবনের আসল মর্ম ও দর্শন ফুটে উঠেছে।
-নদীর ঢেউ,বীজের অংকুর,ফুলের সুবাস-
সবকিছু হয়ে উঠে তার আত্মদর্শনের প্রতিক।

বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে গল্প আছে,কিন্তু প্রতিটি গল্পই এক একটি গভীর সত্য শেখায়---
✅রোগ দেহে নয়,আত্মায় প্রথম জন্ম নেয়।
✅ক্ষুদ্রতম শক্তিও প্রান শক্তিকে জাগিয়ে তোলতে পারে।
✅উপসর্গ হল আয়নার মতো,আসল রোগ হল অদৃশ্য।
✅চিকিৎসা মানে আত্মার সঙ্গতি ফিরিয়ে আনা।

এই গন্থে চিকিৎসা শাস্ত্রের তত্ত্বও দর্শনের সাথে যুক্ত হয়েছে।সহজ ভাষা,যাতে সাধারণ পাঠকও বুঝতে পারে--
"হোমিওপ্যাথি কেবল ঔষধ নয়,
এক গভীর মানবতাবাদী দর্শন"।

আশাকরি পাঠকগন এই গ্রন্থ পড়ে শুধু চিকিৎসা শাস্ত্র নয় নিজের অন্তর্গত সুরও খুঁজে পাবেন।

লেখনিতে,
স্মরণ স্মৃতি

Address

Sylhet
3100

Telephone

+8801721041135

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সরলা হোমিও চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram