25/08/2020
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উন!
বিদায়_নিলেন_আফিয়া_সিদ্দিকা! হাজার স্যালুট জানাই বোন তোমারে।
এই_সেই_আফিয়া_সিদ্দিকা যিনি ছিলেন নিউরো সাইন্টিস্ট, যিনি ছিলেন একজন পি.এইচ.ডি. হোল্ডার এবং যিনি ছিলেন একজন কোরআনের হাফেজা, যার বুকে ধারণ করেছিলেন পবিত্র কোরআনের ত্রিশটি পারা।
এই_আফিয়া_সিদ্দিকাই কিডন্যাপ হয়েছিলেন ২০০৩ সালে যার স্থায়িত্ব ছিল ২০০৮ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান টর্চার সেলে এবং সেখানে তার উপড় চলে পাশবিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন।
কোরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে তাঁকে উলঙ্গ করে বলা হত যাও কোরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে আসো।
ঐ নরপশুরা তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে শুরু করে, খেলায় মেতে ওঠে ঐ হায়েনার দলেরা। পালাক্রমে গনধর্ষনের স্বীকার হন এই কোরআনের হাফেজা!!
নিউরো সাইন্টিস্ট ড:আফিয়া সিদ্দিকা। আমেরিকান আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষণা করে এক আমেরিকান সেনা হত্যা চেস্টার অপরাধে।
আদালতে বিচারক কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে ড:আফিয়া সিদ্দিকা বলেন, "আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেপ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার, আপনার কাছে কিছুই বলার নেই আমার"।
আমি আমার আল্লাহর কাছে গিয়েই যা বলার বলব। আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষন করা হয়েছিল। আমাকে ছেড়ে দিন, আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।"
ড:আফিয়া_সিদ্দিকার মূল অপরাধ ছিল তিনি একজন কোরআনের হাফেজা ছিলেন। এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও কেন তিনি কোরআনের দিকে ঝুঁকে ছিলেন, কেন তিনি তাঁর বক্তব্যে কোরআনের রেফারেন্স টানতেন..?
কেন তিনি দ্বীনের পথে সামিল হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছিলেন..? এক বছর নয় দুই বছর নয়, নয় নয়টি বছর তাকে একটানা ধর্ষন করা হয়েছিল ঐ অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখে। শুধু ধর্ষন নয় এর পাশাপাশি মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের বীজও তার শরীরে পুঁতে দিয়েছিল নরপশুরা।
অবশেষে বিদায় নিলেন একজন হাফেজা বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস্ট ড: আফিয়া সিদ্দিকা।ধিক্কার জানাই বিশ্ব মানবতা,,
হে আল্লাহ তুমি তোমার পবিত্র কোরআনের বাণী ধারনকৃত ড: আফিয়া সিদ্দিকাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করো, আমীন।