ডাঃ আইরিন ইস্তিয়াক

ডাঃ আইরিন ইস্তিয়াক MBBS, FCPS (Obs & Gynae), BCS (Health), CMU (BTEB)
MS (Thesis Part, Dhaka Medical College Hospital) MRCOG (Final Part, London, United Kingdom)

যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে সব পুরুষই চায়। প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের ...
04/09/2022

যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে সব পুরুষই চায়। প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের যৌনস্বাস্থ্য এবং যৌন মিলন করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পৃথিবীতে অধিকাংশ দম্পতিই কোনো না কোনো এক সময় এই অভিযোগটা করেন, যে বিয়ের কিছু বছর পরেই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে যায়।

সাধারনত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলন কাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন। তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।

সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা। নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা। অনেক ক্ষেত্রে কুত্‍সিতও! বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোম্যান্টিক ডেট, রোম্যান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে। অনেকেই মনে করেন, বিয়ে তো হয়েই গেছে! এখন আর এসব করে কী লাভ? আরে, বিয়ের পরই তো এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুন মানসিক ও শারীরিক ভাবে। প্রেম ও যৌনতার দুনিয়া, দুটোকেই ভরিয়ে রাখুন নতুনত্বে। এবার এক নজরে দেখে নিন যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার আরো কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে।

মাঝে মাঝে একটু দুরত্ব বজায় রাখুন : একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাঁকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।

সবসময় আগোছালো থাকা: আচ্ছা, প্রতিদিন আপনার ঘরে পরার পোশাকটি কি খেয়াল করে দেখেছেন কখনও? বেশির ভাগ মানুষই ঘরের মাঝে নিজেকে গুছিয়ে রাখেন না। ভুলে যান যে প্রিয় মানুষটি আপনাকে এই ঘরের মাঝেই দেখছে। তাই নিজেকে একটু গুছিয়ে রাখুন। একটা বিচ্ছিরি পোশাকের চাইতে একটু টিপটপ পোশাক পরুন, চুলটা আঁচড়ে রাখুন। দেখতে সুন্দর দেখালে আকর্ষণটা অটুট থাকবে চিরকাল।

খিটখিটে হয়ে যাওয়া : একটা জিনিষ সব সময় মনে রাখবেন যে, তিনি আপনার স্ত্রী বা স্বামী হলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার আপনি রাখেন না। বরং তার সঙ্গেই করতে হবে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার। কী বা যাবে আসবে, বিয়েই তো করেছি। এই ভাবনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন।

মনের যৌন উত্তেজনা কম করুণ: প্রত্যেক যুবক যৌবনবতী নারীর দিকে তাকাতে বা তার সঙ্গে মিশতে ভালবাসে। এই তাকানোর মধ্যে একপ্রকার যৌনোত্তেজনা মনে জাগে যদি কোন সুন্দরী নারীর দেহের কিছুটা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে উত্তেজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আধুনিককালে মেয়েরা, যুবতীরা যে ভাবে দেহের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ অনাবৃত রেখে জামাকাপড় পরে তাতে পুরুষের যৌন উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সিনেমায়, সিনেমার বিজ্ঞাপনে, টেলিভিশনে, স্নানের ঘাটে অথবা সমুদ্রতীরে, বিজ্ঞাপনে অর্ধ নগ্ন নারীদেহ নিয়তই পুরুষের মনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনার ক্রমাগত আঘাত পুরুষের স্নায়ুচক্রের অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়। তাই, পুরুষ যখন কোন জীবন্ত নারীর নগ্নদেহের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে বা খারাপ ছবি দেখে কিংবা চটি গল্প পড়ে-তখন তাঁর মধ্যে যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, সেই উত্তেজনাই তাঁর স্নায়ুদের বিকল এবং অনুভূতিহীন করে দেয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ উত্তেজনা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু পুরুষ মাত্রকেই 'চরম উত্তেজনা' এবং 'মাত্রামতো উত্তেজনা' এর মাঝে সীমারেখা টানতে শিখতে হবে। মনে উত্তেজনার শিহরণ যত কম হবে পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা তত বেশী শক্তিশালী হবে। এমন অনেক অবিবাহিত বা সদ্যবিবাহিত যুবক আছেন-যারা যৌন জীবনের সঙ্গিনীর কাছে গেলেই লিঙ্গ থেকে কামরস ক্ষরণ হতে শুরু করে-তারপর সঙ্গিনী যখন মিলন কামনা করে তখন লিঙ্গে উত্তেজনা হয় না।

বাইরের টেনশন ঘড়ে নয় : আপনার আর্থিক দুঃশ্চিন্তা, চাকরি বা ব্যবসা ক্ষেত্রের উদ্বিগ্ন মনোভাব, সংসারের অন্যত্র সংঘটিত কোন কলহজনিত অশান্তি, আপনার দাম্পত্যশয্যায় বয়ে নিয়ে যাবেন না। ঐ দ্বন্দ্ব কহলজাত যে উদ্বিগ্ন মনোভাব, তা পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা স্তিমিত করে দেয়, পুরুষকে উত্তেজনাহীন করে দেয়। আজকের পৃথিবীতে এত বেশী ব্লাডপ্রেসারের আমদানীর মূলও মানসিক উদ্বেগ। মানসিক উদ্বেগ দেহের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতিতে বাধা সৃষ্টি করে। দেহের প্রত্যেক বিভাগ এই উদ্বেগের জন্য আহত হয়। পাকস্থলী এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, আর যেসব স্নায়ু যৌনাঙ্গকে পরিচালনা করে তারা এর প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মধ্যবয়সী পুরুষ এই জাতের মানসিক উদ্বেগের জন্য যৌনজীবনে নিরুত্‍সাহ হয়ে পড়েন-শেষে একেবারে যৌন মিলন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন।

ধূমপান মদ্যপান বাদ দিন: যারা ধূমপান করেন তারা বোধ হয় লক্ষ্য করেছেন যে মানসিক অশান্তি বা উদ্বেগের সময় মানুষ খুব বেশী ধূমপান করে। ধূমপান করলে শরীরে যে নিকোটিনজাত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা স্নায়ুর উপরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাতে সাময়িক উদ্বেগ বাড়ে এবং স্নায়ুবিক দৌর্বল্য আধিক্য লাভ করে। তামাকের নিকোটিন মানুষের রক্তকোষের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রক্তের কোষগুলি এর প্রভাবে একটার গায়ে আর একটা আটকে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যৌন মিলন করার জন্য অবশ্যই রক্ত প্রবাহের সঠিক গতি এবং চলাচল ক্রিয়া অত্যন্ত দরকারী। আবার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যমান মানুষের স্নায়ু এবং অনুভূতি শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়।

স্নায়ুর প্রক্ষেপ নিবৃত্তকারী ওষুধ এড়িয়ে চলুন : আধুনিক যুগের জীবনযাত্রার অন্যতম প্রধান সমস্যা মানসিক দ্বন্দ্ব এবং উদ্বেগ। এই উদ্বেগ মানুষকে এত বিব্রত করে তোলে যে, এর নিবৃত্তির জন্য মানুষ চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়। কোটি কোটি উদ্বিগ্ন মানুষের জন্য তাই চিকিত্‍সাবিজ্ঞান আবিস্কার করেছে হাজার হাজার মানসিক উদ্বেগ শান্ত করার ওষুধ। সারা বিশ্বে এইসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বিড়ি সিগারেটের মতো। এইসব ওষুধ ব্যবহার করলে স্নায়ু এবং গ্রন্থিগুলি অনুভূতিশক্তি হারাতে থাকে। এরপর এমন এক সময় আসে যখন যৌন মিলন করার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে : সাধারণ ভাবে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মঠ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। দেহের স্নায়ুচক্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন ই । কারণ পুরুষের মিলন অক্ষমতার মূলে থাকে স্নায়ুতন্ত্রের অসাড়তা বা অসুস্থতা। প্রোটিন খাদ্য দেহকে শক্তিশালী এবং মজবুত করে রাখবে। যৌনমিলনে দৈহিক শক্তিরও বেশ একটা প্রয়োজনীয় স্থান আছে। খাদ্যের অভাবে, পুষ্টির অভাবে দেহ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গ্রন্থিরা ঠিকমতো পুষ্টি পায় না-ফলে যৌনমিলনে যেসব জিনিস দেহের দরকার তারা নিস্তেজ থাকায় কাজ করে না বলেই যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়।

পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাসে ব্যায়ম করুন: যৌনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য দেহের মাংসপেশীর স্বাস্থ্য যেমন দরকারি, তেমনি দরকার দেহের মধ্যে রক্তের সঠিক সঞ্চালন। আর এই দুইটির একটির জন্য দরকার নিয়মিত ব্যায়াম-অন্যটির জন্য মুক্ত বাতাস। ব্যায়াম করলে দেহের মাংসপেশীরা উপকৃত হবে, ঠিকমতো গড়ে উঠবে এবং বৃদ্ধি পাবে। আর মুক্ত বাতাস থেকে অক্সিজেন পেলে রক্ত চলাচল সঠিক হবে। যৌন উত্তেজনা হলে দেহের পেশীগুলি যেমন স্ক্রিয় হয়, তেমন রক্ত চলাচলের গতিও বৃদ্ধি পায়। চাইলে যোগ ব্যায়াম ও করতে পারেন।

স্ত্রীর সহযোগিতা : পুরুষের যৌন মিলন করার অক্ষমতা নারীর সহযোগিতা পেলে অনেকাংশে দূর হয়। যৌন জীবনের সঙ্গিনী যদি পুরুষকে সাহায্যে করে তাহলে যৌন মিলন অক্ষম পুরুষও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। যৌন মিলন যে সঙ্গীর সঙ্গেই হোক না কেন, মনকে দৃঢ় রাখতে হবে, কোন প্রকার ভীতি সংশয় বা সন্দেহ মনে দেখা দিলে যৌন অক্ষমতা অনিবার্য হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। তাই মিলন করার সময় নারীর চাওয়া পাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত।

মাসিক বা পিরিয়ডের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ তলপেটে ব্যথা। অনেক সময় এই পেট ব্যথা তীব্র রূপ ধারণ করে, যা দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটা...
04/09/2022

মাসিক বা পিরিয়ডের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ তলপেটে ব্যথা। অনেক সময় এই পেট ব্যথা তীব্র রূপ ধারণ করে, যা দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মাসিকের ব্যথা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায় এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে:

১। নিয়মিত ব্যায়াম করুন:

একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে সপ্তাহে তিনবার ৩০ মিনিটের ভারী ব্যায়াম করার ৮ সপ্তাহের মধ্যে মাসিকের ব্যথার তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২। গরম ছ্যাঁক নিতে পারেন:

ব্যথা উপশমের জন্য আপনার তলপেটে গরম পানির হট ওয়াটার ব্যাগ অথবা হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে গরম ছ্যাঁক মাসিকের ব্যথা কমানোর জন্য পেইনকিলার বা ব্যথানাশক ওষুধের মতো কার্যকর হতে পারে।

গরম পানিতে গোসল আপনার তলপেট এবং পিঠকে স্বস্তি দেয়। এটি আরামদায়ক, সাথে সাথে মানসিক চাপ উপশম করার একটি দারুণ উপায়।

৩। মানসিক চাপ কমান:

পিরিয়ডের ব্যথার সাথে কাজ এবং জীবনের চাপের সম্পর্ক রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং আপনি উপভোগ করেন এমন কিছু করে সময় ব্যয় করে জীবনের চাপ কিছুটা কমিয়ে আনুন–দেখবেন পিরিয়ডের ব্যথাও বেশ খানিকটা কমে যাবে।

৪। দৈনিক কমপক্ষে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমান:

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়। যার ফলে এসময় পিরিয়ডের ব্যথা আরো বেশি প্রভাব ফেলার সুযোগ পায়। পর্যাপ্ত ঘুম পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫। পর্যাপ্ত পানি পান করুন:

পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের শরবত, ফলের রস, আদা-লেবু-পুদিনা পাতাযুক্ত চা পান করতে পারেন।

৪। খাদ্যভ্যাসে নজর দিন:

অতিরিক্ত চিনি-লবণযুক্ত খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, তামাক ইত্যাদি দূরে থাকুন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি-১ এবং বি-৬ খাদ্যে বাড়ান। সর্বোপরি স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য খাদ্যে আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি-১২ যুক্ত খাবার ঠিকমতো খান।

গরম দুধ খেলে এই ব্যথা উপশম হতে পারে। ব্যথা কমাতে আদা চা পান করতে পারেন। এই সময় কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে সেদ্ধ করে মধু-চিনি দিয়ে দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন। কাঁচা পেঁপে খাওয়া বেশ উপকারী পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য।

৭। প্রতিদিন সকালের রোদ লাগান শরীরে:

৮। ব্যথা যদি সহ্যসীমার বাইরে চলে যায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথার ওষুধ ও ভিটামিন, আয়রন ট্যাবলেট নিতে পারেন।

আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মেয়েদের এই বিষয়টির উপর কৌতহল...
04/09/2022

আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মেয়েদের এই বিষয়টির উপর কৌতহলের যেন শেষ নেই। আজকের বিষয়টি হলো মেয়েদের স্তন টাইট করার উপায়।
আজ আমি আপনাদের এমন কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় শেয়ার করব যার সাহায্যে মাত্র ৭ দিনে ব্রেস্ট বা স্তন টাইট করতে পারবেন । চলুন এই সহজ উপায়গুলো জেনে নিই।

স্তন কেন টাইট করব ?

আমাদের অধিকাংশ পুরুষের কাছে নারীর শরীরের সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় অঙ্গ হচ্ছে তার স্তন। একজন মহিলাকে সবথেকে আকর্ষনীয় সুন্দর এবং আবেদনময়ী করে তোলে তার দুটি স্তন।

আর এই বিষয়টি প্রায় সকল নারীই জানে। তার শারীরিক সৌন্দর্য ঠিক রাখার জন্য এবং নিজেকে কাছের পুরুষটির কাছে আকর্ষণীয় করে রাখার জন্য স্তন টাইট রাখা মেয়েদের জন্য এক প্রকার চ্যালেঞ্জ।

প্রথমত……

বিবাহিত মেয়েদের বিয়ের কিছুদিন পরেই তাদের স্তন ঝুলে যায়। আগের মত টাইট ফিট থাকে না। স্বামীর কাছে তার স্ত্রীকে অতঃপর আর আকর্ষণীয় বলে মনে হয় না।

তখন মহিলাদের প্রয়োজন স্তনকে সুন্দর এবং সুদৃঢ় করে রাখা। বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা মেডিসিন ব্যবহার করে মেয়েরা এজন্য।

এরপর………

আবার কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের আগে অল্প বয়সে তাদের স্তন ঝুলে গেছে।

তাদের জন্য আজকে আমাদের কিছু টিপস যে…..

কিভাবে ঘরে বসে স্তন ঝুলে পড়া সমস্যা থেকে আপনারা মুক্তি পেতে পারেন……

কিভাবে স্তন কে অনেক বেশি টাইট এবং সুদৃঢ় রাখতে পারবেন,………
স্তন ঝুলে পড়া রোধ করতে এবং স্তনের সেফ ঠিক রাখার টিপসঃ

প্রথমে একটি বাটি নিব। তারপর বাটি তে একটা ডিম ভেঙ্গে নিন। ডিম ভাঙার পর এর সাদা অংশটা বাদ দিয়ে শুধু কুসুম নেন। এবারে কুসুমের ভিতর একটি চা চামচ এর তিন চামচ এর এক ভাগ শশার রস ঢেলে ভালোভাবে মিক্স করেন।

তারপর একটি প্যাক তৈরি করুন।এরপর যখন আপনি গোসল করতে যাবেন তখন কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে এই প্যাকটি আপনি আপনার স্তনে লাগিয়ে নিন।৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

এরপর যখন খুব ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে তখন আপনি আলতোভাবে পানি দিয়ে ঘষে ঘষে স্তন ধুয়ে ফেলুন।

মাত্র ৭ দিন আপনি এই প্যাকটি আপনার দুই স্তনে যদি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার স্তনের যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন।

স্তন টাইট রাখার দ্বিতীয় টিপসের জন্য প্রয়োজন হবে ছোট ছোট বরফের টুকরো।

আপনার বাসায় যদি ফ্রিজ থাকে তাহলে বরফের ছোট ছোট টুকরো তৈরি করা আপনার জন্য খুব সহজ হবে।

আপনি গোসল করার আগে এই ছোট ছোট চার-পাঁচটা বরফের টুকরা একটা কাপড় নিয়ে আপনার স্তনের চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
টানা সাত থেকে দশ দিন আপনি যদি এরকম ৫ থেকে ১০ মিনিট বরফের টুকরো দিয়ে আপনার স্তন ম্যাসাজ করতে পারেন, খুব অল্প সময়ে আপনার স্তন ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে।
এছাড়াও আপনি অবশ্যই আরো কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন,
যেমন আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে ডিম, দুধ, ডাল রাখতে পারেন।

এছাড়াও ভিটামিন,ক্যালসিয়াম এর মত পুষ্টিগুণ রয়েছে এরকম খাবারগুলো খেতে হবে। যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপ্‌ টমেটো,গাজর ইত্যাদি।
অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় এ ধরনের খাবার গুলো রাখতে হবে।

যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন। সাঁতার কাটলে আপনার স্তনের যে পেশী গুলো রয়েছে সেগুলো শক্ত হতে সাহায্য করে।

এছাড়া আপনাকে খেতে হবে প্রচুর পানি। দিনে অন্তত ৪থেকে ৫ লিটার পানি পান করা উচিত। এতে করে মেয়েদের স্তনের চামড়া যে কুঁচকে যায় সেই চামড়া বা ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।
অনেকে আবার স্তনের আকৃতি বা শেপ ঠিক রাখার জন্য দিন রাত সারাক্ষন ব্রা পড়ে থাকে এতে উপকার তো হবেই না, বরং উল্টো ক্ষতি হয়।

আপনি বাইরে যখন বের হবেন তখন অবশ্যই ব্রা পড়বেন, কিন্তু আপনি যখন বাসায় রিলাক্স করবেন, কিংবা রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন, তখন অবশ্যই ব্রা খুলে ঘুমাবেন। এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন।
স্তন ঝুলে যাওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হচ্ছে অত্যাধিক ভাবে ওজন বেড়ে যাওয়া ।অথবা শরীরের চর্বি জমা। তাই আপনার যদি হঠাৎ করে অত্যাধিক ওজন বেড়ে যায়, এতে করে আপনার স্তন ঝুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিজের স্তনের সৌন্দর্য ঠিক রাখার জন্য নিজের ওজনের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন। স্তন ঝুলে যাওয়া সমস্যা ঠিক করার জন্য কোন ধরনের মেডিসিন নেবেন না।

ইগুলো উপকার তো করেই না বরং অনেক বেশী ক্ষতি করে।

সুতরাং……

স্তনের সেফ ঠিক রাখার জন্য প্রথমে দুটি কৌশল উল্লেখ করলাম। এবং যে খাদ্যের কথাগুলো বললাম এগুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে মাত্র ৭ দিনে আপনার স্তন অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করতে পারবেন।

কার্যকরি জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা খুবই জরুরী সেই সকল দম্পতিদের জন্য যারা শীঘ্র গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ভীত যেহেতু তারা এবিষয়...
04/09/2022

কার্যকরি জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা খুবই জরুরী সেই সকল দম্পতিদের জন্য যারা শীঘ্র গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ভীত যেহেতু তারা এবিষয়ে এখনই প্রস্তুত নয়।যদিও সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাব্যবস্থাপনার কিছু কৌশল আছে, তবুও এটি মনে রাখা প্রয়োজন প্রতিরোধ সবসময় সব চেয়ে ভালো বিকল্প।সকল স্বাস্থ্য-কর্মীদের দ্বারা এটি ভীষণ ভাবে সুপারিশ করা হয় যে,আপনার একটা জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন যার উপর নির্ভর করে এগিয়ে যাবেন। কিন্তু পুরুষ ও মহিলাদের জন্য প্রাপ্ত এতগুলি বিকল্পের মধ্যে আপনার জন্য কোনটি সঠিক বিকল্প হবে? কিছু পদ্ধতি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজন নাও হতে পারে যখন অন্যগুলি দারুণ ভাবে কার্যকরি হবে।বিভিন্ন ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পরিমাপের সাথে আসে বিভিন্ন খুঁটিনাটি দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যকারিতার ভিন্ন মাত্রা। এক্ষেত্রে জন্ম-নিয়ন্ত্রণের অনেক ধরণের গ্রহণযোগ্য অনুশীলন রয়েছে যেগুলি সমাজে ব্যবহৃত হয়, যেগুলি সর্বদা নিরাপদ ও কার্যকরি রূপে বিবেচিত হয় না।এখানে আমরা আলোচনা করেছি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জন্ম-নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন বিকল্পগুলি সম্পর্কে যেগুলি বেশীর ভাগ স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বিবেচিত নিরাপদ হিসেবে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ কি?
গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে বা এর সম্ভাবনাকে হ্রাস করতে ব্যবহৃত যেকোনো কৌশল বা পদ্ধতিকেই বলা হয় জন্মনিয়ন্ত্রণ; এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ কৌশল আছে। সেগুলির মধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে বিবেচিত নয় অথবা ধর্মীয় ভাবাবেগ সমন্নিত, গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে সেরকম একটি হল রোজমেরীর ব্যবহার। তবে এটি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে,যেকোনোরকম জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের আগে একবার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

কিছু ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আছে যেগুলি কম এলার্জিকারক, জন্মনিয়ন্ত্রণের এইপ্রকার গুলি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জনতে অনুগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করুন।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ যে কোনো পদ্ধতিতে হতে পারে, ডিভাইস অথবা ঔষধ ব্যবহৃত হয় গর্ভধারণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে অনেক পদ্ধতি আছে যেগুলি গর্ভনিরোধের জন্য চিকিৎসাগতভাবে বিশ্বাসযোগ্য এবং বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত, যেগুলি কম ঝুঁকি সম্পন্নও হয়। এগুলির মধ্যে এমন একটি আপনার নির্বাচন করা প্রয়োজন যেটি আপনার স্বাস্থ্য এবং সন্তান নেওয়ার ইচ্ছের উপর নির্ভর করে, এবং যৌনবাহিত রোগ সমূহ থেকেও প্রয়োজনীয় রক্ষা দেয়।

কোনটি সব চেয়ে ভালো জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি?
এখানে এমন কোনো একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই যাকে বলা যেতে পারে সবচেয়ে ভালো জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির রূপক। এক্ষেত্রে অসংখ্য কার্যকরি উপাদান আছে যেগুলি জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রভাবিত করবে,এবং যদি আপনার সঙ্গী থাকে, এমনকি তাদের পছন্দগুলি এবং স্বাস্থ্য-ও জন্মনিয়ন্ত্রণের পছন্দের কারণ হবে। যদি আপনি খুশি হন জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি এখন ব্যবহার করে, তার এটিই সম্ভাবনা থাকে যে, আপনি এই পদ্ধতি টি পরিবির্তন করতে পারেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী এবং পরিবর্তনের অগ্রাধিকার অনুযায়ী। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পছন্দের ক্ষেত্রে যে কারণগুলি প্রভাব বিস্তার করে সেগুলি হল-

যখন এবং যদি আপনি সন্তান চান
পদ্ধতিটির কার্যকারিতা
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আপনার যৌন ক্ষমতা
আপনার স্বাস্থ্য
এই পদ্ধতির সাথে আপনার সুবিধার মাত্রা
জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি প্রয়োগের স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে এই সকল বিষয় নিয়ে ভালোভাবে কথা বলে নেবেন।যদি আপনার পছন্দের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আপনার অসুবিধাজনক লাগে অথবা এই ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আপনি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পান তবে সেক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মনে রাখবেন আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও আপনার নিয়মিত STD চেকের রুটিনকে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়, এই পরীক্ষাগুলি কঠিন আপনার ও আপনাকে ঘিরে যারা থাকেন তাদের সুরক্ষার জন্য।এটি সুপারিশ করা হয় যে,আপনি প্রতি 3 মাসে STD এর রুটিনের একটি প্যানেল করুন যখন আপনার যৌনকার্য আরো রুটিন মাফিক হবে সেই সময়ের।

জন্ম-নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ধরণের বিকল্প-পুরুষ ও মহিলাদের জন্য
জন্মনিয়ন্ত্রণকে বিস্তৃতভাবে ভাগ করা যায় দুটি প্রধান ভাগে।

1. কন্ট্রাসেপশন
কন্ট্রাসেপশন হল জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পদ্ধতি, এটির সহজপ্রাপ্যতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কম হওয়ার কারণে এই পদ্ধতিটি নিশ্চিত করে যে ডিম্বাণুটি শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয় না।

2. কন্ট্রাজেশন
এটি জরুরী গর্ভনিরোধক হিসেবে বেশী পরিচিত। মর্নিং আফটার পিল গ্রহণের কারণে নিষিক্ত ডিম্বাণু নিজেকে জরায়ুর দেওয়ালে প্রতিস্থাপিত করতে প্রতিহত করে, যা গর্ভাবস্থা রোধ করে।

পুরুষদের জন্য জন্ম-নিয়ন্ত্রণ বিকল্প
মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই জন্মনিয়ন্ত্রণের কিছু বিকল্প রয়েছে। যাই হোক, পুরুষদের জন্য বিকল্প গুলি কিছুটা কম ধরণের হয় মহিলাদের যতটা সহজলভ্য হয় তার তুলনায়।এটি সবসময় সুপারিশ করা হয় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিভিন্ন ধরণগুলি সম্মিলিত ভাবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে, যা প্রতিরোধের গভীর সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করে, এটি ঘটে, সেই মুহূর্তের জন্য, ফল পাওয়া যায় আপনার সঙ্গী কন্ডোম পরিধান করলে, আপনি পিল বা বড়ি সেবন করলে এবং যৌন মিলনের সময় বাইরে নির্গমনের পদ্ধতি ব্যবহার করলে।

এটা প্রশ্ন করা যেতে পারে আজকাল বাজারে যে সকল জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিকল্প সহজেই পাওয়া যায় সেগুলির মধ্যে কোনগুলি উভয় লিঙ্গের জন্যই নিরাপদ? এখানে কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দেওয়া হল যেগুলি পুরুষেরা ব্যবহার করেন।

1.আউটারকোর্স
আউটার কোর্স খুব সাধারণ একটি শব্দ যেটি যোনিতে যৌনমিলন ছাড়া যেকোনো রকম যৌনকর্মের ক্ষেত্রে বোঝায়।এটি ওরাল-সেক্স বা মৌখিক মিলনকেও বোঝায়। সুতরাং এক্ষেত্রে যোনিতে কোনরকম প্রবেশ ঘটেনা, ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা দূর্দান্ত ভাবে কমে যায়।

সুবিধা

আউটার কোর্সের সময় আপনার সঙ্গী অনেকটা বেশী সময় নিতে পারবে একে অন্যের পছন্দগুলি বোঝার জন্য এবং যা তাদের যৌন আনন্দ দেবে
যোনিতে কোন রকম প্রবেশ না ঘটায় গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
এক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাবে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না
যৌনরোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করে।

অসুবিধাগুলি
*যদি পূর্বনির্গমন ঘটে বা যোনি অঞ্চলে ভুলবশত নির্গমন হয়ে পড়ে তবে সেক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে
*উদ্দীপনার পরে যোনিতে প্রবেশ করানো থেকে সংযত হওয়া আপনার সঙ্গীর পক্ষে কঠিন হবে।

2.কন্ডোম
ল্যাটেক্স থেকে কন্ডোম গুলি প্রস্তুত হয় এবং লিঙ্গের উপরের দিকে এগুলি দ্বারা আবৃত করা হয়। এটি লিঙ্গের চামড়া এবং যোনির মধ্যে বাধার সৃষ্টি করে।যার অর্থ কোনো শুক্রাণু যোনিতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধা পায়।

সুবিধা
গর্ভনিরোধের ক্ষেত্রে কন্ডোম উচ্চমাত্রায় কার্যকরি
কন্ডোম হল এক সঙ্গীর থেকে অন্য সঙ্গীর মধ্যে যৌন রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সবচেয়ে ভালো উপায়।
এগুলি সস্তা এবং সহজলভ্য
অন্য সঙ্গীর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটায় না।
অসুবিধা

জনসংখ্যার খুব কম শতাংশ লোকেরই ল্যাটেক্স-এ (যা থেকে অধিকাংশ কন্ডোম প্রস্তুত হয়)এলার্জি থাকে।
যেভাবে কন্ডোমটি পূর্ণ হয় তা কিছু পুরুষ পছন্দ করেন না।
কন্ডোমে অনেক সময় ফাটল হয় যার সাধারণ অর্থ হল নির্গমন পদ্ধতিটির বিফলতা।
3.উইথড্রল ( প্রত্যাহার )
এটি বহিঃনির্গমনের একটি অন্যতম পুরানো পদ্ধতি। উইথড্রল পদ্ধতিতে লিঙ্গ-কে বের করে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় নির্গমনের ঠিক আগের মুহূর্তে।

সুবিধে

সঙ্গী যোনিতে যৌনমিলনে আনন্দ উপভোগ করতে পারে কোনও রকম বাধা ছাড়াই।
যোনিতে নিঃসরণের আগেই লিঙ্গকে বের করে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় যা গর্ভধারণ রোধ করে।
অসুবিধে

বহিঃনির্গমনের পুর্বে সামান্যতম শুক্রাণুর উপস্থিতিও মহিলাদের গর্ভধারণের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
যদি পুরুষের অপরিণত বহিঃনিঃসরণের ইতিহাস থাকে, তবে সেক্ষেত্রে সঠিক সময়ে দ্রুত বাইরে বের করে আনা কষ্টকর হতে পারে।
এই পদ্ধতিটি আপনাকে কোনো রকম যৌনবহিত রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে না।
4.ভ্যাসেক্টোমি
গর্ভনিরোধের ক্ষেত্রে ভ্যাসেক্টোমি একটি স্থায়ী ও প্রায় 100% কার্যকরি একটি পদ্ধতি।এটি লিঙ্গের টিউবটিকে বন্ধ করতে বা আটকে দিতে ব্যবহৃত হয়, যার দায়িত্ব শুক্রাণু বহন করা।এক্ষেত্রে পুরুষটির শরীর ছেড়ে যাওয়ার সম্মতি পায় না শুক্রাণু এবং সেটি তার নিজের শরীরের মধ্যেই শোষিত হয়ে যায়।আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন যে, ভ্যাসেক্টোমি বিপরীত প্রক্রিয়াতেও কাজ করতে পারে।

সুবিধা

ভ্যাসেক্টোমি প্রায় 100% কার্যকরি হয়
এটি সেই সকল পুরুষদের জন্য আদর্শ যারা আর কখনও কোনো সন্তান না নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
পদ্ধতিটি খুব সাধারণ এবং আপনার ডাক্তারখানায় এটি 20 মিনিটের মধ্যে করানো হয়।
আপনার কোনও হরমোনে প্রভাব পড়ে না।
পদ্ধতিটি বিপরীতমুখী।

অসুবিধা

পদ্ধতিটি তৎক্ষনাৎ কার্যকরি হয়না যেহেতু লিঙ্গে ইতিমধ্যেই কিছু শুক্রাণু গঠিত হবে সেগুলি দূরিভূত করতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
এই পদ্ধতিটি আপনাকে বা আপনার সঙ্গীকে যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণের থেকে সুরক্ষা দিতে পরে না।
কোনো নির্দিষ্ট ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধিতি ব্যবহারের আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।সকল প্রকার ঝুঁকি এবং উপকারিতাগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে সঠিক পদ্ধতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার সুবিধে হবে।

মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিকল্পগুলি
মহিলাদের জন্য বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি রয়েছে।এগুলি সবকটি সুরক্ষিত এবং আপনি সঙ্গম করলেও গর্ভবতী হবার সম্ভবনা কম। এর কোন্টাই আপনার ডিম্বানুর ক্ষতি করে না,ফলে আপনি ভবিষ্যতে চাইলে সন্তান ধারণ করতে পারেন। যৌন সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য এবং যাতে কোনোভাবে গর্ভসঞ্চার না হয় তার জন্য আপনার সঙ্গীকেও গর্ভনিরোধক যেমন কন্ডোম ব্যবহার করতে বলুন। এখানে কয়েকটি মহিলা গর্ভনিরোধকের আলোচনা করা হল।

1. জন্ম নিয়ন্ত্রক পিল বা বড়ি
মনে করা হয় এগুলো হল মহিলাদের গর্ভনিরোধকের সবচেয়ে ভাল উপায়।

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো শত শত গর্ভনিরোধক পিল বা বড়ি বাজারে বিক্রি করে, এবং প্রত্যকেই দাবী করে নানা গুণের অধিকারী কিন্তু আসলে এগুলো মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথম ধরনের গুলো হল দুটি হুরমোন ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টিন এর সমন্বয়।আর দ্বিতীয় ধরনের গুলো হল শুধুমাত্র প্রোজেস্টিন থাকে।আপনি অবশ্যই আপনার ডাক্ত্রবাবু বা গাইনোকলজিস্ট এর সাথে কথা বলে নেবেন কোনটা আপনার জন্য সবথেকে ভাল হবে।

সুবিধাগুলি

এটি হল মহিলাদের জন্য সব থেকে কার্যকরি গর্ভনিরোধক পদ্ধতি।
রজস্রাবের সময়কার লক্ষণের ব্যাপকতা কমায়।
এই পদ্ধতিতে কোনো জিনিস শরীরে প্রবেশ করাতে বা ইমপ্ল্যান্ট করতে হয় না।
অসুবিধাগুলি

যেহেতু পিল গুলো আপনার হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন ঘাটায় তাই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
কিছু পিল আছে যেগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হয় অনেক মহিলার কাছে এটা শক্ত ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
যে সকল মহিলারা ব্লাডসুগার, ব্লাডক্লট, লিভার এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন না।
2.ফিমেল কন্ডোম
এটা একটা উলটানো থলি বিশেষ যা যোনিতে পড়তে হয় এবং এটি নির্গত হওয়া পদার্থকে সংগ্রহ করে এবং শুক্রাণুকে যোনিতে প্রবেশে বাঁধা দেয়।এটা অপসারন যোগ্য এবং সঙ্গমের আট ঘন্টা আগে পড়তে হয়।

সুবিধাগুলি

দেহের হরমোনের মাত্রায় কোনো পভাব ফেলে না।
এটা যৌন সংক্রামক ব্যাধি থেকে কিছুটা রক্ষা করে।
এটা খুব সহজলভ্য
অসুবিধাগুলি
এটা জন্ম নিয়ন্ত্রণের সেরা উপায় নয়।
ফিমেল কন্ডোম ল্যাটেক্স দিয়ে তৈরী যার ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জি দেখা যায়।
এতে শব্দ হয়।
3. ডায়াফ্রাম
এটা সারভিক্সের ওপর সঙ্গমের ঠিক আগে লাগাতে হয়।এটা রাবারের তৈরী হয় এবং দেখতে গম্বুজের মত।এগুলো স্পার্মিসাইডের সাথেও ব্যবহার করা হয়।

সুবিধাগুলি
এটা খুব সস্তার,একটা ডায়াফ্রাম দুই বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
এতা শরীরের হরমওনের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না।
কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
সস্তা এবং খুব সহজেই পাওয়া যায়
অসুবিধগুলি

দূর্ভাগ্যবশত এটি আপনাকে যৌন সংক্রামক ব্যাধিগুলো থেকে সুরক্ষা দেয় না।তাই অপরিচিত বা অল্পপরিচিত কার অ সাথে যৌনসঙ্গম না করাই ভাল।
আপনাকে ডাক্তারবাবুর কাছে যেতে হবে এটাকে লাগাতে।
এটার অসফ্লতার হার 16%
ঋতুস্রাবের সময় ব্যব হার করলে শক সিন্ড্রোমের সম্ভবনা বেড়ে যায়।

বর্তমান দিনে শতকরা নব্বই ভাগ মহিলারাই অনিয়মিত পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন। কারও ডেট এগিয়ে যাচ্ছে, কারও পিছোচ্ছে,...
04/09/2022

বর্তমান দিনে শতকরা নব্বই ভাগ মহিলারাই অনিয়মিত পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন। কারও ডেট এগিয়ে যাচ্ছে, কারও পিছোচ্ছে, কারও খুব কম হচ্ছে তো আবার কারও বেশি। বিশেষ করে অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, চিকিৎসার মাধ্যমে এই জাতীয় সমস্যা মোকাবিলা করা গেলেও, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এই সমস্যা আরও বেড়ে চলেছে। কারণ, এই সমস্যার মূলে রয়েছে অত্যাধিক মানসিক চাপ।

অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়ে ভুগে থাকেন অধিকাংশ নারী। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। পরবর্তীতে সন্তানধারণে সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে! এমন সমস্যায় ভুগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি সচেতন হতে হবে নিজেকেও।

২৮ দিন পরপর পিরিয়ড হলে তাকে একটি স্বাস্থ্যকর মাসিক চক্র হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু ২৮ দিনের সাত দিন আগে বা সাত দিন পরে পিরিয়ড হলেএবং পিরিয়ডের মেয়াদ ৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে তা অনিয়মিত বলে ধরা হয়। আবার, দেরিতে পিরিয়ড হওয়া বা মিস করাও অনিয়মিত মাসিক চক্রের মধ্যেই পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের ধরন, কাজের ধরন, ক্লান্তি, চিন্তা ও মানসিক অবসাদ, থাইরয়েড, ওজন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদির কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে সুস্থ থাকার কিছু উপায় বাতলে দিয়েছে বোল্ডস্কাই। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মানসিক চাপ অনিয়মিত পিরিয়ডের বড় কারণ হতে পারে। তাই নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে মন ভালো থাকে এমন কাজ করুন। যে কাজগুলো করতে বেশি ভালোলাগে তা-ই করে সময় কাটান।

পিরিয়ডের চক্রকে ঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা ও মেডিটেশন করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক চিন্তা থেকেও মুক্তি পাবেন। রোজ মিনিট বিশেক বা তার বেশি সময় ধরে হাঁটুন এবং বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করুন। সমস্যা দূর হবে সহজেই।

অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খান। প্রচুর শাক-সবজি, বীজ জাতীয় শস্য ও ফল রাখুন খাবার তালিকায়। প্রোটিন, ভিটামিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেতে হবে প্রতিদিন। পানি পান করতে হবে প্রচুর।

এসব নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। কারণ সমস্যা শনাক্ত করা জরুরি। নিজের প্রতি যত্নশীল হলে অসুখ-বিসুখ থেকে সহজেই দূরে থাকতে পারবেন।

-ডাঃ আইরিন ইস্তিয়াক

Address

Somewhere In Sylhet
Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডাঃ আইরিন ইস্তিয়াক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category