ঠাকুরগাঁও শহর

ঠাকুরগাঁও শহর আমাদের উদ্দেশ্য ঠাকুরগাঁও জেলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরা

23/07/2025

আজ পবিত্র কুরআন শরীফ এর 1459 বছর পূর্ণ হলো। আলহামদুলিল্লাহ💞

22/07/2025
24/06/2025

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে ২৯ জন আক্রান্ত। সবাই সাবধানে থাকেন মাস্ক ব্যাবহার করুন।

Celebrating my 9th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
23/05/2025

Celebrating my 9th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

15/02/2025

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে। 💔

পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও মর্যাদা :ইসলামের সর্বাধিক ফযিলতপূর্ণ ও বরকতময় রজনীগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। উম...
13/02/2025

পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও মর্যাদা :

ইসলামের সর্বাধিক ফযিলতপূর্ণ ও বরকতময় রজনীগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। উম্মতে মোহাম্মদীর মর্যাদা বৃদ্ধি, রহমত ও মাগফিরাতের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে শবে বরাত এক মহানিয়ামত। পাপ-পঙ্কিলতায় জর্জরিত হতভাগ্য কোন ব্যক্তির জন্য খাঁটি তওবা করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অপূর্ব সুযোগ এ মহিমান্বিত রজনী। তাইতো বছর ঘুরে যখন শবে বরাত মুসলমানের দোরগোড়ায় উপস্থিত হয়, তখন তারা এর ফযিলত ও বরকত হাসিলে ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

আরবী শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ফার্সী ভাষায় শবে বরাতের শাব্দিক অর্থ- ভাগ্য রজনী। আল-কোরআন ও সহিহ হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী মুসলমানদের নিকট এটি ভাগ্য রজনী হিসেবেই সু-প্রসিদ্ধ। মহিমান্বিত এ রজনীর আরবী নাম হচ্ছে ‘লাইলাতুল বারাআত’ (মুক্তির রজনী)। হাদীস শরীফে এ রজনীকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ (মধ্য শাবানের রজনী) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গোটা মুসলিম জাহানে এ নাম দুটিই বেশি সমাদৃত।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন :

إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ
فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ

অর্থ্যাৎ -ঃ আমি একে নাযিল করেছি,এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
(সূরা দুখান-৩-৪ আয়াত)।

হযরত ইকরামা (রা.) ও একদল আইম্মায়ে কিরামের মতে, এ আয়াতে উল্লেখিত ‘মোবারক রজনী’ দ্বারা শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে। যদিও অনেকে একে লাইলাতুল ক্বদর বলে মনে করেন। কিন্তু এতে শবে বরাতের সম্ভাবনা একদম নাকচ হয়ে যায়নি। তাই একদল মোফাসসিরীনের মত অনুযায়ী শবে বরাত ‘মোবারক রজনী’ হওয়ায় এ রাতটি অন্যান্য রাতের তুলনায় বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে।

হাদীস গ্রন্থসমূহে শবে বরাতের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কিত অনেক হাদীস এসেছে। অত্যধিক গুরুত্ববহ এসব হাদীসের একটি হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (স.) একদা রাতে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি সেজদায় দীর্ঘ সময় থাকলেন। এতে আমার মনে হলো যে, তার ওফাত হয়ে গেছে। আমি যখন এমনটি দেখলাম তখন শয়ন থেকে উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলী নাড়া দিলাম, ফলে তিনি নড়ে উঠলেন। অতঃপর যখন তিনি সাজদা থেকে মাথা উঠালেন এবং নামায শেষ করলেন তখন বললেন, হে আয়শা তুমি কি মনে করেছিলে যে, নবী (স.) তোমার সাথে প্রতারণা করেছেন? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ, আমি এমনটি মনে করিনি। বরং আপনার দীর্ঘ সেজদার কারণে আমার মনে হয়েছে যে, আপনার ওফাত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল (স.) সম্যক জ্ঞাত। তিনি বললেন, এটি মধ্য শাবানের রাত। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে বান্দাদের প্রতি তার রহমত প্রেরণ করেন। যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদেরকে ক্ষমা করেন, যারা দয়া প্রার্থনা করে তাদেরকে দয়া করেন এবং যারা বিদ্বেষী তাদেরকে তাদের অবস্থাতেই রেখে দেন। (বায়হাক্বী, শোয়াবুল ঈমান, ৩/৩৮৩৫)

শবে বরাতের অসংখ্য নাম রয়েছে। এ নামগুলোর তাৎপর্য বিশ্লেষণে ফুটে ওঠে এ রাতের সুমহান মর্যাদা। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে নামের সংখ্যাধিক্যই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ বহন করে। যেমন, পবিত্র কোরআনের অসংখ্য নাম এ গ্রন্থের সুউচ্চ মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ। আবুল খাইর আত-তালিকানী (রহ.) শবে বরাতের ২২টি নাম উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে কয়েকটি নাম হল-লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান (মধ্য শাবানের রাত), লাইলাতুল বারাআহ (মুক্তির রাত), লাইলাতুল মোবারাকাহ (বরকতময় রাত), লাইলাতুর রাহমাহ (অনুগ্রহের রাত), লাইলাতুল ক্বিসমাহ (বণ্টনের রাত), লাইলাতুত তাকফীর (কাফফারার রাত), লাইলাতুল ইজাবাহ (দোয়া কবুলের রাত), লাইলাতুস সাক (সনদের রাত), লাইলাতুল জায়িযাহ (পুরস্কারের রাত), লাইলাতুল ক্বদর (ভাগ্য রজনী) ও লাইলাতু ঈদিল মালাইকাহ (ফিরিশতাদের ঈদের রাত) ইত্যাদি।

হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ তায়ালা এ রাতে বান্দাদের এক বৃহৎ দলের গুণাহ মাফ করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন বিধায় এ রাতকে লাইলাতুল বারাআত বা গুনাহ মুক্তির রাত বলা হয়। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (রহ.) বলেন, ট্যাক্স আদায়কারীগণ যেমন জনগণের কাছ থেকে পূর্ণ কর আদায় করে তাদেরকে বারাআত বা দায়মুক্তের সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন, আল্লাহ তায়ালাও এ রাত্রে মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সার্টিফিকেট দেন বলে এ রাতের নামকরণ হয়েছে লাইলাতুল বারাআত (তাফসীরে কাবীর)। তিরমিযী শরীফে হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, মধ্য শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে তাঁর রহমাত প্রেরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন। (তিরমিযী-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ-২৬০৬)।

ইমাম বায়হাক্বীর বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তায়ালা এ রাত্রে কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করেন। (বায়হাক্বী, শোয়াবুল ঈমান-৩/৩৮৩৭) উল্লেখ্য, এখানে কালব গোত্রের কথা এ জন্যই বলা হয়েছে যে, তখনকার সময় আরব দেশে সর্বাধিক সংখ্যক মেষ ছিল একমাত্র তাদের। উদ্দেশ্য, উক্ত রাতে আল্লাহ তায়ালার ব্যাপক ক্ষমার প্রতি উম্মতের দৃষ্টি আকর্ষণ। (যুরকানী, শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যাহ, ১০/ ৫৬০)
শবে বরাতের বিশেষ মাহাত্ম হচ্ছে, এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়া কবুল করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, পাঁচ রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। রজবের প্রথম রাত, শবে বরাতের রাত, জুময়ার রাত, ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর রাত (বায়হাক্বী, শুয়াবুল ঈমান-৩/৩৭১৩, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক- ৭৯২৭)।

ইবনে মাজাহ শরীফে হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, অর্ধ শাবানের রাত বা শবে বরাতে সুর্যাস্তের পরপরই আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হয়ে বলতে থাকেন, কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোনো রিজিক প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোনো বিপন্ন-বিপদগ্রস্থ আছে কি? আমি তার বিপদ দূর করব। এভাবে আরো ব্যক্তিকে ফযর হওয়া পর্যন্ত ডাকতে থাকেন (ইবনে মাজাহ-১৩৮৮, মিশকাত-১৩০৮)।

সেন্ট ভ্যালেন্টাইন বা সান ভালেন্তিনো ইতিহাস: প্রেম, পুরাণ, পৌত্তলিক রীতি ও সংস্কারের মিশেলপ্রাচীন রোমের লুপারকালিয়া: রক্...
13/02/2025

সেন্ট ভ্যালেন্টাইন বা সান ভালেন্তিনো
ইতিহাস: প্রেম, পুরাণ, পৌত্তলিক রীতি ও সংস্কারের মিশেল

প্রাচীন রোমের লুপারকালিয়া: রক্ত, উর্বরতা ও উৎসবের আগুন

কালের অতল গহ্বরে, যখন রোম ছিল দেবতা ও রাজাদের নগরী, তখনই জন্ম নিয়েছিল এক অদ্ভুত উৎসব— লুপারকালিয়া। প্রতি বছর ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, রোমান তরুণেরা ছুটে বেরোত নগরের পথে, হাতে থাকত বলিদান দেওয়া ছাগলের চামড়া। সেই চামড়া দিয়ে তারা ছুঁয়ে দিত নারীদের, বিশ্বাস করত— এ ছোঁয়া নারীর গর্ভকে করবে উর্বর, মাতৃত্ব দেবে আশীর্বাদের ছোঁয়া।

লাল রঙে রাঙানো ছিল এই উৎসবের প্রতীক।
লাল মানে রক্ত— প্রাণের প্রতিশ্রুতি, উর্বরতার অগ্নিশিখা, বন্য উন্মাদনার রং। দেবতা লুপারকাস বা ফাউনাস, যিনি ছিলেন প্রকৃতির রক্ষক, তিনিই ছিলেন এই উৎসবের কেন্দ্রে। বলিদানের ছাগল ও কুকুরের রক্ত দিয়ে আঁকা হতো তরুণদের কপাল, আর নগরী বয়ে যেত বাঁধভাঙা উল্লাসে।

কিন্তু এই উৎসবের পেছনে ছিল এক সুপ্ত ছন্দ, যা কালের স্রোতে এক নতুন রূপ নিতে যাচ্ছিল।

ভ্যালেন্টাইনের শহীদত্ব: প্রেমের জন্য প্রাণদান

রোম যখন শাসিত হচ্ছিল সম্রাট ক্লডিয়াস II-এর কঠোর শাসনে, তখন প্রেমের মন্দিরে জমছিল কালো মেঘ। তিনি ঘোষণা দিলেন— যুবকেরা যদি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়, তবে তারা যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই ভালোবাসার শপথ, মিলনের প্রতিশ্রুতি সবই হয়ে গেল নিষিদ্ধ।

কিন্তু এক ব্যক্তি এ আদেশ মানতে নারাজ। তিনি ছিলেন ভ্যালেন্টাইন, এক খ্রিস্টান পুরোহিত। প্রেমের শপথের সামনে শাসকের নিষেধাজ্ঞা তাঁর কাছে ছিল তুচ্ছ। তিনি গোপনে বিবাহ দিতেন প্রেমিকযুগলকে, প্রেমের পবিত্র বন্ধনে বাঁধতেন তাদের।

কিন্তু সত্য চিরকাল গোপন থাকে না। ভ্যালেন্টাইন বন্দি হলেন, শাস্তি হলো মৃত্যু।
২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার সেই যাজক রক্ত দিয়ে লিখলেন প্রেমের শেষ কবিতা।

একটি কিংবদন্তি বলে, মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর প্রিয়াকে লিখেছিলেন এক চিঠি, যার শেষে ছিল— "তোমার ভ্যালেন্টাইন"।

পৌরাণিক উৎসব থেকে খ্রিস্টীয় পবিত্রতায়

কিন্তু ভালোবাসার শপথ কি কখনো হারিয়ে যায়?

সময় এগিয়ে এলো ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দ।
পোপ গেলাসিয়াস I ঘোষণা দিলেন— "লুপারকালিয়া পাপাচার, অনৈতিক। একে বিলুপ্ত করতে হবে!"
তিনি স্থাপন করলেন ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে, যেন ভালোবাসার নামে উৎসর্গিত হয় এই দিন, কিন্তু উন্মত্ততার নামে নয়।

তবে কি রোমানদের রক্তাক্ত উৎসব মুছে গেল?
না, মুছে গেল না, বরং রূপ নিল প্রেমের এক নতুন কাব্যে।

মধ্যযুগ ও প্রেমের কবিতা

সময় গড়ালো, ইতিহাস লিখল নতুন অধ্যায়।
১৪শ শতকের কবি জিওফ্রে চসার তাঁর কাব্যে বললেন—
"১৪ ফেব্রুয়ারি, এই দিনে পাখিরা জোড়া বাঁধে, হৃদয়ে প্রেম জাগে।"
এভাবেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম হয়ে গেল প্রেমের কবিতার প্রতিচ্ছবি।

শুভেচ্ছা বিনিময়ের রীতি শুরু হলো, ভালোবাসার মানুষকে লেখা হলো প্রথম "ভ্যালেন্টাইন কার্ড"।

বাণিজ্যের ছোঁয়া: প্রেম কি শুধুই ভালোবাসা?

প্রেম কি শুধুই হৃদয়ের বিষয়, নাকি এতে বাণিজ্যের গন্ধ লেগেছে?

১৮শ-১৯শ শতকে, হাতে লেখা ভালোবাসার চিঠির জায়গা নিল ছাপানো কার্ড।
২০শ শতকে, ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠল চকোলেট, গোলাপ, হীরার আংটি।
"হলমার্ক" কোম্পানি শুরু করল বাণিজ্যের নতুন খেলা— "ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাইলে উপহার দাও!"

এখন?
ভ্যালেন্টাইনস ডে মানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি গোলাপ বিক্রি, চকোলেটের পাহাড়, দামি উপহার আর বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার।

সংস্কারের রাজনীতি: কেন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করল পৌরাণিক উৎসব?

খ্রিস্টধর্ম কি কেবল ভালোবাসার জন্যই এই দিনকে গ্রহণ করেছিল?

না, এর পেছনে ছিল রাজনৈতিক চাল খাটিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন। রোমান সাম্রাজ্য ছিল বহু সংস্কৃতির মিশ্রণ, যেখানে বহু দেবতা, বহু উৎসব। যদি এই উৎসবগুলো নিষিদ্ধ করা হতো, তবে বিদ্রোহ বাঁধতে পারত।
তাই খ্রিস্টধর্ম এক চতুর পন্থা নিল— পুরোনো উৎসবগুলোর রূপ বদলে তাদের খ্রিস্টীয় রঙে রাঙিয়ে দিল।

ঠিক যেমন—
সাতুরনালিয়া থেকে হলো ক্রিসমাস,
সামহেইন থেকে হলো হ্যালোইন,
লুপারকালিয়া থেকে হলো ভ্যালেন্টাইনস ডে।

শেষ কথা: প্রেম, ইতিহাস ও পরিবর্তনের কাব্য

ভ্যালেন্টাইনস ডে কি কেবল প্রেমের? নাকি এর মাঝে মিশে আছে ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতি ও বাণিজ্যের সূক্ষ্ম খেলা?

প্রেম কি শুধুই হৃদয়ের, নাকি এটি এক বহুমাত্রিক রঙিন ছায়া, যেখানে একদিকে ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগ, অন্যদিকে বাণিজ্যের হাতছানি?

যাই হোক, যুগে যুগে ভালোবাসা নতুন রূপ নেয়, নতুন ভাষায় কবিতা লেখে।।

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাসে প্রাচীন রোমের লুপারকালিয়া উৎসব থেকে শুরু করে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগ, সবই মিশে আছে।

লুপারকালিয়া ছিল রোমের এক প্রাচীন উর্বরতা উৎসব, যা ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হতো। এই উৎসবে পুরোহিতরা পশু বলি দিয়ে তাদের চামড়া দিয়ে নারীদের স্পর্শ করতেন, যা উর্বরতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। লাল রঙ, যা রক্ত ও উর্বরতার প্রতীক, এই উৎসবে বিশেষ গুরুত্ব পেত।

তবে খ্রিস্টধর্মের প্রসারের সাথে সাথে এই পৌত্তলিক রীতির পরিবর্তন ঘটে। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক খ্রিস্টান পাদ্রী রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশ অমান্য করে গোপনে বিবাহ সম্পন্ন করতেন। ফলস্বরূপ, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার এই আত্মত্যাগের স্মরণে পোপ জেলাসিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

মধ্যযুগে কবি জিওফ্রে চসারের লেখায় ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমের দিন হিসেবে উল্লেখ পাওয়া যায়, যা এই দিবসকে প্রেমের সাথে আরও গভীরভাবে যুক্ত করে। পরবর্তীতে, ১৯শ শতাব্দীতে বাণিজ্যিকীকরণের ফলে কার্ড, ফুল, চকলেট ইত্যাদি উপহার দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়, যা আজকের ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের রূপ নিয়েছে। সংগৃহীত।

ধুলোর শহরে রঙিন বিশ্ব ইজতেমার মাঠ 🤍
01/02/2025

ধুলোর শহরে রঙিন বিশ্ব ইজতেমার মাঠ 🤍

Address

Thakurgaon
5100

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
18:00 - 19:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801725198175

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঠাকুরগাঁও শহর posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ঠাকুরগাঁও শহর:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram