18/07/2025
⚠️ভয়ানক কালো জাদুর ফাঁদ❗
হাদিসের ব্যাখ্যা ও প্রতিকারে কুরআনি নির্দেশনা সহ, সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একজন পুরুষ ও দুইজন নারীর আকৃতির প্লাস্টিকের পুতুল। প্রতিটি পুতুলে কাফনের কাপড় মোড়ানো হয়েছে,এবং তাদের গায়ে কালো কালি দিয়ে যাদু বিভিন্ন মন্ত্র লিখা রয়েছে। এটি কোনো খেলনা বা সাজসজ্জার বস্তু নয় বরং একভয়ঙ্কর,কালো জাদুর আসল রূপ।
(এই পুতুলগুলোর বিভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে, লিখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে, এজন্য ব্যাখ্যার দিকে গেলাম না)
এটি সেই জাদুরই একটি বাস্তব রূপ; যেখানে, অসুস্থতার জাদু, বশ করার জাদু, এবং বিচ্ছেদের জাদু, যেই জাদু গুলো কে বাস্তবায়ন করার জন্য পুতুল এবং কাফনের কাপড়ের প্রয়োজন হয়, এবং এখানে এগুলোই,ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লাহ তালায় সমস্ত তান্ত্রিকদের কে ধ্বংস করে দিন, এবং তাদেরকেও যারা এই তান্ত্রিকদের কাছে যায়। আল্লাহুম্মা আমীন।
⭕এগুলো কীভাবে কাজ করে⁉️
::জাদুকর বা কবিরাজ শয়তানের সাহায্য নিয়ে মানুষের নাম লিখে বা তার ছবি কল্পনা করে একটি পুতুলে তার প্রতিচ্ছবি তৈরি করে।
::অতঃপর সেই পুতুলে গীট দিয়ে, কালি বা রক্ত দিয়ে কিছু লিখতে থাকে, এবং সেই পুতুলের উপর বিভিন্ন জাদুর মন্ত্র পাঠ করে ওপুতুলগুলেতে ফুঁ দেয়।
:: তারপর কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এই সমস্ত পুতুলগুলো,নির্জন স্থানে মাটিচাপা, ডাস্টবিন, নর্দমা বা গাছতলায় ফেলে রাখে যাতে মানুষের চোখে না পড়ে।
::এই মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের জীবনে রোগ, দাম্পত্য কলহ, সন্তানহীনতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, অশান্তি, চাকরির সমস্যা, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
📖 রাসূল ﷺ কী বলেছেন এই ব্যাপারে⁉️
مَنْ عَقَدَ عُقْدَةً ثُمَّ نَفَثَ فِيهَا فَقَدْ سَحَرَ، وَمَنْ سَحَرَ فَقَدْ أَشْرَكَ، وَمَنْ تَعَلَّقَ شَيْئًا وُكِلَ إِلَيْهِ
📚 সূত্র: সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩৯৩০ (সহীহ)
“যে ব্যক্তি গীট বেঁধে তাতে ফুঁ দেয়, সে জাদু করল; আর যে জাদু করল, সে শিরকে লিপ্ত হলো। আর যে কোনো কিছুর উপর নির্ভর করে, আল্লাহ তাকে সেই কিছুর উপরই ছেড়ে দেন।”
হাদিসের ব্যাখ্যা:
এখানে যে "গাঁট বেঁধে তাতে ফুঁ দেয়" বলা হয়েছে — এটি একেবারে ঐ জিনিসকেই বোঝায় যা ছবিতে দেখা যাচ্ছে। কাপড় বা সুতা দিয়ে গাঁট বেঁধে, তাতে কালো লেখা বা কালি দিয়ে কিছু লিখে, ফুঁ দেয়া — এই জিনিসগুলো কালো জাদুর মূল পদ্ধতি।
রাসূল ﷺ বলেন, এটা জাদু এবং জাদু হলো শিরক। কারণ এতে মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানের সাহায্য চায়। আর যে কেউ কোনো বস্তুর উপর নির্ভর করে, আল্লাহ তাকে সেই জিনিসের উপর ছেড়ে দেন — অর্থাৎ সে আর আল্লাহর সাহায্য পায় না।
---
⚠️ কী উদ্দেশ্যে এই জাদু করা হয়?
১.বিচ্ছেদ ঘটানোর জাদু: স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা বা পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটাতে।
২.অসুস্থ বানানোর যাদু: চিকিৎসায় ফল না আসা, রিপোর্টে কিছু ধরা না পড়া, অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা।
৩.মানসিক কষ্ট বশ করার জাদু: কাউকে বশ করা, তার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা।
৪. সন্তান না হওয়া বা গর্ভপাত: মহিলাদের ওপর বিশেষভাবে প্রভাব ফেলতে।
৫, মেরে ফেলার জাদু। এর মাধ্যমে যে কোন মানুষকে খুব সহজেই মেরে ফেলা যায়।
📌রুকইয়াহ ফলো করুন।
🔹 সূরা ফালাক ১১বার।
🔹 সূরা নাস ১১বার।
🔹 সূরা বাকারা ১০২ আয়াত,৩বার করে।
🔹 সূরা ইউনুস ৮১-৮২ আয়াত,৫বার করে।
🔹 সূরা আরাফ ১১৭-১১৯ আয়াত,৫বার করে।
🔹 সূরা ত্বাহা ৬৮-৬৯ আয়াত,৭ বার করে।
🔹 আয়াতুল কুরসী (বাকারা ২৫৫আয়াত) ৩ বার।
এই আয়াতগুলো পড়ে রুকইয়া করে, পানি বা তেল বা লবণের উপর ফুঁ দিয়ে তা ব্যবহার করলে ইনশাআল্লাহ জাদুর প্রভাব ধীরে ধীরে কেটে যায়।
🧼 করণীয় (যদি এমন কিছু পাওয়া যায়):
১. নিজেরা খুলবেন না, স্পর্শও করবেন না।
২. অভিজ্ঞ রাকির মাধ্যমে রুকইয়াহ করে, ধ্বংস করুন।
৩. রুকইয়াহর পানি ছিটিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিন বা গর্তে পুঁতে পচিয়ে ফেলুন।
৪. তওবা করুন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়ুন, যিকিরে থাকুন।
৫. যে বা যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে অভিশাপ করুন।
দ্রষ্টব্য।
পুতুলে লিখা, কাপড়ে মোড়ানো,গীট দিয়ে ফুঁ দেয়া, বিষয়গুলো,রাসূল ﷺ এর বর্ণনা অনুযায়ী, জাদু- বাস্তবায়নের একটি মাধ্যম। একে কোনোভাবেই খেলা বা তুচ্ছ ভাবা যাবে না। এটা সরাসরি শয়তানের ফাঁদ এবং নিজের আখেরাত ধ্বংসের এক অপচেষ্টা। নিজে বাঁচুন, পরিবারকে রক্ষা করুন, ইসলামি চিকিৎসা পদ্ধতিকে
রুকইয়াহ,কে আঁকড়ে ধরুন।
📞 আমাদের রুকইয়া সেন্টার:
Holi Healing Ruqyah & Hijama Center
🏠 House 12, Road 11, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229
📞 যোগাযোগ: 01928104339
✍️Raqi Ibn Foyez
ভিডিওটি সংগৃহীত।