22/07/2025
বিষয় - কম্বাইন্ড চিকিৎসার প্রজ্ঞাপন দিয়ে জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত প্রসজ্ঞে।
বরাবর,
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,
ঔষধ প্রশাসন,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ,
সরকারি হোমিওপ্যাথি কলেজ, মিরপুর ১৪,
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি কলেজ, জয়কালি মন্দির, ঢাকা।
বিষয় - কম্বাইন্ড চিকিৎসার প্রজ্ঞাপন দিয়ে জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত প্রসজ্ঞে।
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক, উল্লেখিত দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রশাসন কর্তৃপক্ষের নিকট, আমার সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা সবাই অবগত আছি যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে এলোপ্যাথি মতে জরুরী চিকিৎসা সেবা চলছে, মাইলস্টোন ট্রাজেডির দগ্ধ জীবনের।
আমার উল্লেখিত, দুটি হোমিওপ্যাথি প্রতিষ্ঠানে অনেক DHMS, BHMS, চিকিৎসক আছেন। হোমিওপ্যাথি মতে আগুনে দগ্ধ রোগীদের জ্বালা নিবারণে, মৃত্যুহার কমাতে এবং পরবর্তীতে দ্রুত আরোগ্য করতে ক্যান্থারিস সহ বেশ কিছু অতীব দ্রুত কার্যকর ঔষধ আছে, এই সকল ঔষধ Q, 3x, 30, 200, 1M, M2, যে শক্তিতেই দেয়া হোক না কেন, ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে ঔষধের ফলাফল পাওয়া যায়, রোগীর যন্ত্রণা কমতে থাকে। রেফারেন্স হিসেবে, দেশি বিদেশি - হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা, অভিজ্ঞ চিকিৎসক দের বই সমুহ উল্লেখযোগ্য। আমাদের হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ সমূহের অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী সহ যারা নিয়মিত চেম্বারে রোগী দেখেন আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত পোষণ করি যে, আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এলোপ্যাথি চিকিৎসা পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি সহ কম্বাইন্ড চিকিৎসায়, ইমার্জেন্সি ও ক্রিটিকাল ক্ষেত্রে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আপনাদের হয়ত মনে আছে, করোনাকালীন সময়ে আমাদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ চিকিৎসা দিয়ে শুরুতে তাচ্ছিল্যের শিকার হলেও পরে ভারতের আয়ুষ বোর্ডের প্রজ্ঞাপণ পেয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে মানুষ এতই আগ্রহ দেখায় যে, পাইকারি বাজারে ঔষধ সংকট দেখা দেয়। আমি নিজেও ICU রোগীদের চিকিৎসা দেই, যারা এখনো বেঁচে আছেন।
হয়ত, বেশীরভাগই মারা যাবে, এরমধ্যেও যদি অন্তত কিছু রোগী বেঁচে যায় বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়, তাতেই আমাদের চিকিৎসা শিক্ষা সার্থকতা। রাষ্ট্রীয় জরুরী মুহুর্তে আমাদের এই জ্ঞান কাজে না লাগলে, এই শিক্ষার উপযুক্ততা কোথায়, জানাবেন। বাদশা আকবর এর ২০ হাজার বই ছিল, কিন্তু তিনি ছিলেন, নিরক্ষর। আর আমাদের মাথায় বই আর জ্ঞান থাকলেও আমাদের জ্ঞানের প্রয়োগ নেই। প্রয়োজনের সময় যে জ্ঞান কাজে লাগে না, সে জ্ঞান অর্জনের সার্থকতা কোথায়? জানাবেন।
আমি একজন DHMS চিকিৎসক হিসেবে, আমার লব্দ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে রাষ্ট্রের দুর্যোগে নিজেকে নিয়োজিত করতে সদা প্রস্তুত।
এমতাবস্থায়, রাষ্ট্রীয় দুর্যোগে MBBS সমমানের BHMS চিকিৎসক সহ অভিজ্ঞ DHMS সমন্বয়ে চিকিৎসা টীম গঠন করে, আগুনে দগ্ধ রোগীদের কম্বাইন্ড চিকিৎসা প্রদানের জন্য জরুরী প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে, আপনাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিবেদক,
হোমিও ডা. মো: জাকির হোসেন মাসুদ, ডিএইচএমএস
গ্রীন হোমিও হল, শান্তিনগর, ঢাকা।
01533038886
অব্যর্থ হোমিও
01711-201018
++++++++
বিদ্র: বিমানের বিপুল জ্বালানী একত্রে বিষ্ফোরণের ধাক্কায় এক ঝলকে যে শিশু যেভাবে বেঞ্চে বসে ছিল সেভাবেই কয়লা হয়ে গেছে। আর যারা বেচে ছিল তাদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। সাধারণ একটু আগুনের ছ্যাকা খেলে আমরা অনেক যন্ত্রণা পাই, তাহলে, যাদের শরীর ঝলসে গেছে, তাদের অবস্থা একবার কল্পনা করুন।
++++++++
যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনটি পৌঁছাতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কমেন্ট ও শেয়ার করুন।