Dr. Rooh-E-Zakaria

Dr. Rooh-E-Zakaria MBBS | FCPS | FMAS | FACS
Infertility Trained (NUH, Singapore)
Gynaecologist & Laparoscopic/Infertility Specialist
Asst.
(1)

Prof., Obs & Gynae (SSMCH)

Chamber:
Popular Shyamoli: Sat/Sun/Mon/Wed ( 5–7 PM)
Labaid Mirpur-1: 8–10 PM (Fri: Closed)

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।কোন জটিলতা না থাকলে নরমাল ডেলিভারি করাই সবচে ভালো । ক...
08/12/2025

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।কোন জটিলতা না থাকলে নরমাল ডেলিভারি করাই সবচে ভালো । কেননা স্বাভাবিক ডেলিভারি অর্থাৎ যোনিপথে শিশুর জন্ম মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী।

স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিলে মায়ের শরীরে বুকের দুধ তৈরি সাধারণত দ্রুত ও সহজে শুরু হয়। অন্যদিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির পর অনেক মায়ের ক্ষেত্রে দুধ আসতে দেরি হয় বা পর্যাপ্ত দুধ না হওয়ার অভিযোগ দেখা যায়। ফলে বাধ্য হয়ে ফর্মুলা দুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে যেসব ক্ষেত্রে মা বা শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকে, সেখানে সিজারিয়ান অপারেশন করাই সবচেয়ে নিরাপদ সিদ্ধান্ত—এতে ভয় বা দ্বিধার কোনো কারণ নেই। শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রসবের সময় মা ও শিশুর সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৩৩ শতাংশ গর্ভবতী নারী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়ানো যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ কম রাখা জরুরি। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা অকাল প্রসব এবং কম ওজনের শিশুর ঝুঁকি বাড়ায়। এজন্য নেতিবাচক পরিবেশ এড়িয়ে চলা, মেডিটেশন ও হালকা যোগব্যায়াম উপকারী।

খাদ্যাভ্যাসের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ফল, শাকসবজি, শস্য, লিন প্রোটিন ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। গাঢ় সবুজ শাকসবজি যেমন—পালং, ব্রকলি, কেল, ব্লুবেরি, পেঁপে এবং লেবু জাতীয় ফল বেশি করে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার এবং প্রেনাটাল ভিটামিন গ্রহণেরও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত চিনি, অর্গান মিট, কিছু সামুদ্রিক খাবার ও রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীরের সহনশীলতা বাড়ে, পেশি শক্তিশালী হয় এবং শিশুর সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। নিয়মিত হাঁটা ও হালকা শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রসব বিষয়ে আগে থেকেই ধারণা রাখা প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বই পড়া, প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং ভয়ানক অভিজ্ঞতার গল্প এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনো উদ্বেগ থাকলে তা চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে বলা হয়েছে।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। বাম কাতে শোয়া, বালিশ ব্যবহার, কম আলো ব্যবহার এবং ঘুমের আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি পরিবার ও জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা নিশ্চিত করাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসবের সময় মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্য কাছের মানুষদের উপস্থিতি সহায়ক ভূমিকা রাখে।

চিকিৎসকের সঙ্গে আগেভাগেই খোলামেলা আলোচনা করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের পছন্দ ও জন্মপরিকল্পনার বিষয়গুলো চিকিৎসককে জানালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয় বলে তারা মত দিয়েছেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি। প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কম পান করার কথাও বলা হয়েছে।

গর্ভাবস্থায় সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়ে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হওয়া উচিত মা ও শিশুর নিরাপদ ও সুস্থ জন্ম।

#মাতৃত্ব

#বাংলাদেশ

হঠাৎ মাসিক অনিয়ম হয়ে যাওয়া, মুখে বা শরীরে অস্বাভাবিকভাবে লোম বেড়ে ওঠা, ত্বকে ব্রণ বৃদ্ধি, দ্রুত ওজন বাড়া, মাথার চুল পাতল...
06/12/2025

হঠাৎ মাসিক অনিয়ম হয়ে যাওয়া, মুখে বা শরীরে অস্বাভাবিকভাবে লোম বেড়ে ওঠা, ত্বকে ব্রণ বৃদ্ধি, দ্রুত ওজন বাড়া, মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া কিংবা দীর্ঘদিন গর্ভধারণ না হওয়া—এসব সমস্যাকে অনেকেই আলাদা আলাদা বিষয় হিসেবে দেখে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই লক্ষণগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে তা কোনো সাধারণ সমস্যা নয়; বরং এটি হতে পারে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোনজনিত রোগ।

বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)। বর্তমানে এটি প্রজননক্ষম বয়সী নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দেওয়া হরমোনগত সমস্যাগুলোর একটি। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে প্রায় একজন কোনো না কোনোভাবে PCOS–এ আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে এ রোগে ভুগছেন প্রায় ৫০ লাখ নারী এবং প্রতি বছর PCOS শনাক্ত ও চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশেও কিশোরী, তরুণী ও প্রজননক্ষম বয়সী নারীদের মধ্যে এই সমস্যার হার ক্রমেই বাড়ছে।

PCOS–এ আক্রান্ত নারীদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে মাসিক অনিয়ম, ওভুলেশন সমস্যা, শরীরে অতিরিক্ত লোম, ব্রণ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া এবং দ্রুত ওজন বাড়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ছোট সিস্ট দেখা যায়, যা এই রোগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

অনেক নারী এসব সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলেও চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলছেন—এগুলো উপেক্ষা করার মতো নয়। কারণ সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এমনকি এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।

PCOS–এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে পরিবারে কারও PCOS থাকা, অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এই সমস্যার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শারীরবৃত্তীয়ভাবে দেখা যায়, ইনসুলিন ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে শরীরে অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হয়, যা ডিম্বাণুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পূর্ণতা লাভে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে ওভুলেশন ব্যাহত হয় এবং মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমেই জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ওপর জোর দেওয়া হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, অ্যান্ড্রোজেন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ধীরে ধীরে মাসিক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। গর্ভধারণে সমস্যা থাকলে রোগের মাত্রা ও রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন।

তবে, PCOS কোনো সাময়িক সমস্যা নয়; এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি। তবে নিয়মিত ফলোআপ, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অনেক নারী চিকিৎসা নেওয়ার পর স্বাভাবিক মাসিক চক্র ফিরে পেয়েছেন এবং সফলভাবে গর্ভধারণও করেছেন। তাই মাসিক অনিয়ম, অতিরিক্ত লোম গজানো, ব্রণ, দ্রুত ওজন বৃদ্ধি কিংবা গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

#নারীস্বাস্থ্য
#পিরিয়ডসমস্যা

শীতকালে গর্ভবতী নারীদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কেননা খাদ্য শুধু রুচির বিষয় বরং সরাসরি প্রভাব ...
03/12/2025

শীতকালে গর্ভবতী নারীদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কেননা খাদ্য শুধু রুচির বিষয় বরং সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভের শিশুর বিকাশ ও প্রসবের ঝুঁকিতে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীত মৌসুমে ভিটামিন-D, ভিটামিন-C, তাজা সবজি ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছের গ্রহণ কমে যাওয়ায় বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

শীতে সূর্যালোক কম পাওয়ার কারণে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ভিটামিন-D ঘাটতি বেড়ে যায়। ভিটামিন-D কম থাকলে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, প্রি-টার্ম জন্ম ও শিশুর কম ওজন নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিছু র‌্যান্ডমাইজড ট্রায়ালে দেখা গেছে, প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন-D সাপ্লিমেন্ট এই ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে। তবে WHO এই সাপ্লিমেন্ট সব গর্ভবতীকে রুটিন হিসেবে দিতে পরামর্শ দেয় না—ঘাটতি নির্ণীত হলে তবেই গ্রহণের সুপারিশ।

শীত মৌসুমে সবজি ও ভিটামিন-C–সমৃদ্ধ ফলের ব্যবহার কমে গেলেও গবেষকদের মত, সঠিক খাদ্য নির্বাচন করলে ঘাটতি কমানোর সুযোগ থাকে। কমলা, মালটা, পেয়ারা, টমেটো ও লেবুর মতো ফল-সবজি শীতে সহজলভ্য এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভিটামিন-C সরবরাহ করে।

অন্যদিকে শীতকালে মাছ খাওয়ার প্রবণতা কমে গেলে ওমেগা-৩ (DHA/EPA) গ্রহণ কমে যেতে পারে। Cochrane-এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ বলছে, গর্ভাবস্থায় ওমেগা-৩ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে প্রি-টার্ম জন্ম ও নবজাতকের কম ওজনের ঝুঁকি হ্রাস পায়। গবেষকরা সপ্তাহে অন্তত দুইবার ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ (স্যামন, সারডিন, ম্যাকারেল) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে হাই-মারকিউরি মাছ যেমন শার্ক বা কিং-ম্যাকারেল এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

এ সময় আয়রন ও ক্যালসিয়ামের দিকেও সতর্ক থাকতে হবে। শীতে লাল মাংস, শাকসবজি ও ডালজাতীয় খাবার তুলনামূলক কম খাওয়া হলে গর্ভকালীন অ্যানিমিয়া বাড়তে পারে। WHO প্রতিটি গর্ভবতী নারীর জন্য প্রতিদিন ৩০–৬০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণের সুপারিশ পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে ক্যালসিয়াম ও আয়রন একসঙ্গে খেলে শোষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে—তাই আলাদা সময়ে গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শীতে এনার্জি-ডেন্স খাবার যেমন বাদাম, খেজুর, দুধ, ডিম ও ওটস প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি জোগায়। তবে ডায়াবেটিস বা উচ্চঝুঁকি গর্ভাবস্থায় এসব খাবার গ্রহণ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।

শীতকালীন ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত ANC-চেকআপ, প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা (Vitamin-D, Hb, Iron, Folate) এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি সুষম খাদ্য, ভালোভাবে রান্না করা মাছ-মাংস এবং পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস বজায় রাখাও জরুরি বলে জানান তারা।




#গর্ভাবস্থাসতর্কতা #ডায়াবেটিস

02/12/2025

Part 10

02/12/2025

Part 9

02/12/2025

Part 8

02/12/2025

Part 7

02/12/2025

Part 6

02/12/2025

Part 5

02/12/2025

Part 4

02/12/2025

Part 3

02/12/2025

Part 2

Address

Mirpur 1
Uttara
1230

Telephone

+8801912335039

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Rooh-E-Zakaria posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category