Dr. Md. Ashraful Islam Munna

02/05/2025

🦠 স্ক্যাবিস (Scabies): ক্ষুদ্র এক পরজীবী, বড় এক যন্ত্রণার নাম
স্ক্যাবিস কী?
স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা Sarcoptes scabiei নামক অতিক্ষুদ্র এক পরজীবীর কারণে হয়। এই মাইট ত্বকের নিচে গর্ত করে বাসা বাঁধে, যার ফলে তৈরি হয় অস্বস্তিকর চুলকানি ও প্রদাহ।
🔬 যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় দ্রুত।

🔍 মূল লক্ষণসমূহ:
✅ রাতের বেলা বেশি চুলকানি
✅ আঙুলের ফাঁকে, কবজি, কোমর, নাভি, বগল ও যৌনাঙ্গে লাল ফুসকুড়ি বা দানা
✅ আঁচড়ের দাগ, রক্তপাত বা সংক্রমণ
✅ শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা, মুখ ও পায়েও প্রভাব পড়তে পারে

📌 স্ক্যাবিস ছড়ায় যেভাবে:
➡️ ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে
➡️ একসাথে বিছানা, পোশাক, তোয়ালে ব্যবহারে
➡️ স্কুল, হোস্টেল বা নার্সিং হোমে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে

🩺 চিকিৎসা ও করণীয়:
🧴 চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত মলম ও প্রয়োজনে মুখে খাওয়ার ওষুধ ব্যবহার করুন
👨‍👩‍👧 পরিবারের প্রত্যেক সদস্য বা সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের একসঙ্গে চিকিৎসা নিশ্চিত করুন
🧺 ব্যবহৃত জামাকাপড়, বিছানা ও তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে ভালোভাবে শুকান
🚫 অন্তত ৭২ ঘণ্টা রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে দূরে থাকুন

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ:
স্ক্যাবিস “নোংরা” মানুষের রোগ নয়।
এটি একটি পরজীবীঘটিত সংক্রমণ, যা পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যেও দেখা যেতে পারে। সময়মতো চিকিৎসাই একমাত্র সমাধান।

👨‍⚕️ চিকিৎসকের কথা:
ত্বকে অস্বাভাবিক চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বেশি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
সচেতনতা ও যত্নই স্ক্যাবিস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র।

24/04/2025

গরম পড়েছে বটে, তবে সুস্থ থাকাটাই আসল!

গরমের সময় শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অতিরিক্ত তাপমাত্রা ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক ও দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।

নিম্নোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি এবং আপনার পরিবার থাকতে পারেন নিরাপদ ও সুস্থ: ⬇️

🥤 পানি? যত বেশি, তত ভালো! প্রতিদিন ২.৫–৩ লিটার পানি পান করুন।

🍉 মৌসুমি ফল যেমন তরমুজ, আম ও শশা খান, শরীর-মন ঠান্ডা রাখুন।

🥦 প্রতিদিন সবজি – রোগ প্রতিরোধে জাদুর মতো কাজ করে।

☕ চা-কফিকে একটু ছুটি দিন।

🧢 সূর্যের আলোতে বের হলে টুপি ব্যবহার করুন । ছাতা সঙ্গে রাখুন, স্টাইল আর স্বাস্থ্য – দুটোই।

🧘 হালকা ব্যায়াম করলেই মন থাকবে চনমনে, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন ।

👕 হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরুন – যেন শরীরও নিঃশ্বাস নিতে পারে ।

গরম শুধু রোদের নয়, সচেতনতারও সময়! 💡

এখনই স্বাস্থ্য সচেতন হোন! আপনার সুস্থতাই আমাদের অগ্রাধিকার।

এই গরমে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করুন এবং সুস্থ থাকুন! 💪

01/03/2025

Ramadan 2025

18/08/2024

Attention!!!

21/01/2024

সাধারিত, সাধারণ ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে হয় এমন সাধারিত ঠান্ডা জ্বরের চিকিৎসা মূলত নিম্নলিখিত দিকে হতে পারে:

বিশ্রাম এবং পূর্ণ আরাম:
প্রথমে মৌখিক হাওয়ায় অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়াতে এবং শরীরের ক্ষমতা বাড়াতে বিশ্রাম এবং পূর্ণ আরাম গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যাপ্ত পানি:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এটি শরীরের হাওয়া তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং স্নায়ুসংযোজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

উচ্চতর মাত্রার ভিটামিন C:
কিছু ফল এবং সবজি ভিটামিন C ধারণ করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

মৌখিক যন্ত্রাদি ব্যবহার করা:
মৌখিক স্প্রে বা হট শাওয়ার ব্যবহার করা হতে পারে সহায়ক হতে পারে শিরাসংযোজন সমাধানে।

মাংসপেশী বা সাধারিত প্রবৃদ্ধি হওয়া দরকার:
মাংসপেশী বা সাধারিত প্রবৃদ্ধি হওয়া দরকার এবং মাংসপেশী বা ব্যায়াম করতে অনুমতি দেওয়া হওয়া দরকার যাতে শরীরে তাপ বাড়াতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

সংক্ষেপে, ঠান্ডা জ্বর সাধারিত একটি মাধ্যমিক ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে না এবং এটি সাধারিতভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে সমাধান করতে হতে পারে। তবে, যদি অবস্থা মানেই হোলে বা কোনও সময়ে উত্তরাধিকারী চিকিৎসা প্রয়োজন হোক, তবে একজন চিকিৎসকে দেখাতে হবে।

21/01/2024

Cold or Flu the most common problems during winter

23/07/2023

14/07/2023

11/07/2023

08/03/2023

Learn what to do when infected with chicken pox and ensure proper treatment-

23/09/2022

সুস্বাস্থ্যের জন্য সতর্কতা জরুরী

20/09/2022

______________ #চোখ_ওঠা ___________________

মেডিকেল টার্মঃ কনজাংটিভাইটিস
অনেকসময় পিংক-আই ও বলা হয়।
হুমমমম আজকের পোস্ট এই বিষয় নিয়ে।
কেন??
কারন যদি আপনি আশেপাশে/বাসা/প্রতিবেশি/রাস্তাঘাট/যানবাহন/অফিস বা স্কুল কলেজের দিকে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই সমস্যার প্রকোপ বাড়ছে এখন।
আজকের সচেতনতা হবে আপনার জন্য সাবধানতা ও সুরক্ষা কবজ।
আসুন ঝটপট করে জেনে রাখি বিষয়টা।

#প্রকারভেদঃঃ ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল, এ্যালার্জিক।

োনটা_বেশি_হচ্ছেঃঃ ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস এই সিজনে বেশি হচ্ছে।

#কোন_ভাইরাসঃঃ এডেনো, হারপিস সিমপ্লেক্স

#লক্ষণঃঃ
১।চোখের যে সাদা অংশ আছে সেই অংশ পিংক/লাল/লালচে কালার হয়।
২। চোখ থেকে পানি পরা।
৩। চোখ খচখচ করা, কখনো আবার জ্বালাপোড়া করা।
৪। চোখের পাতা ফুলে যায়।
৫। রোদে তাকাতে সমস্যা হয়।
৬। চোখে হালকা ব্যথা, মাথাব্যথা, নাক থেকে পানি পরা হতে পারে।
৭। ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় ময়লা জমে থাকা বা চোখে আঠালো হলুদ/সবুজাভ পদার্থ (ডিসচার্জ বলা হয়)
#করনীয়ঃঃ
১।। কালো চশমা ব্যবহার করা।
২।। কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিস্কার করা, চোখের পাতায় যেন ময়লা না থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩।। চোখে হাত না দেয়া।
৪।। আগুন-রোদ-ধুলাবালি থেকে দুরে থাকুন।
৫।। পরিবারের সকলের জিনিস আলাদা রাখা এবং আলাদাভাবে ব্যবহার করবে।
৬।। চোখে একটু পরপর পানির ঝাপটা দেয়া এবং নরম টিস্যু দিয়ে মোছা।
৭।। ব্যথা বা চুলকানি হলে ঔষধসেবন।
৮।। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া।
৯।। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবেন।
১০।। সাথে টিস্যু ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার রাখুন।
#কি_করবেন_নাঃঃ
✍️ বারবার চোখ রগড়াবেন না, যখন-তখন চোখে হাত দিবেন না।
✍️ চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে ঐ হাত দিয়ে অন্যকিছু না ধরা যেমন-কারো সাথে হ্যান্ডসেক, টিভি/এসির রিমোট, মোবাইল, বিছানা, অন্যের ব্যবহৃত টাওয়েল বা চশমা ইত্যাদি ।
✍️আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবেন।
✍️পুকুরে বা নদীতে গোসল না করা।
✍️ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ ব্যবহার করা যাবেনা।
✍️অতিরিক্ত আলো বা টিভি থেকে দুরে থাকুন।
এটা একটা ছোঁয়াচে/সংক্রামিত রোগ, আপনার চোখের পানি মুছে ঐ হাতে আরেকজনের সাথে হ্যান্ডসেক বা কোন জিনিস স্পর্শ করলে সেখান থেকে এটা ছড়াবে।

াক্তারের_কাছে_যাবেনঃঃ
চোখ থেকে হলুদ বা সবুজাভ শ্লেষ্মা বের হচ্ছে, এবং এগুলো দিয়ে চোখ আটকে আসছে, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।

#নোটঃঃ
✍️ এটা কোনো ভয়ংকর সমস্যা নয়, এটা যেহেতু ছোঁয়াচে সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করুন।
✍️ উল্টাপাল্টা ড্রপ দিয়ে চোখের ক্ষতি করবেন না।
✍️ ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস ৭-১০দিনের মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়ে যায়। তবে এর থেকেও যদি বেশি সময় লাগে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
✍️ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস বুঝবেন কিভাবে?
ভাইরালে চোখে সমস্যার সাথে নাক থেকে পানিপরা ও জ্বর থাকে এবং এটা ৭-১০দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আর ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে চোখে পানির পরিবর্তে ঘন হলুদ/সবুজাভ ডিসচার্জ হয়, ব্যথা থাকে, চোখের পাতা আটকে থাকে, চোখ খুলতে সমস্যা হয়, চোখ ফুলে যায়, তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হয়।