Dr.Md.Mafizul karim

Dr.Md.Mafizul karim MBBS,
DA,(BSMMU)
FIPM(pain medicine,India)
CMU,DMUD,
special training on MSK USG
pain interventionist

Dr.Md.Mafizul karim MBBS,DA,FIPMDMUD,training on MSK ultrasound Assistant Professor Department of anesthesia, Pain Medic...
09/01/2025

Dr.Md.Mafizul karim
MBBS,DA,FIPM
DMUD,training on MSK ultrasound
Assistant Professor
Department of anesthesia, Pain Medicine &ICU
East West Medical College,Uttara,Dhaka

Chamber address:
Uttara General Hospital
House no:65,Road no:13
Uttara Sector -10
Dhaka-1230
Every day :5pm to 9pm

অস্টিওপোরোসিস:
অস্টিওপোরোসিস হাড়ের এমন একটা অবস্থা যাতে হাড়গুলি সেগুলোর ঘনত্ব হারায় এবং ভঙ্গুর (পলকা) হতে শুরু করে। এই হাড়ের দুর্বল হওয়া এবং পরিণতিস্বরূপ জটিলতাগুলি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। অস্টিওপোরোসিস-এর সবচেয়ে পরিচিত কারণগুলির মধ্যে আছে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া (মেনোপজ) যা হরমোন-সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলির দিকে নিয়ে যায়, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র অভাব, এবং অন্যান্য রোগের উপস্থিতি যা হাড়ের দুর্বলতা ঘটায়। অস্টিওপোরোসিস থাকা ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে আঘাত এবং পতন থেকে হাড়ে চিড় ধরা (হাড়ভাঙা)। অস্টিওপোরোসিস থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে যাওয়া হাড় এবং এছাড়া বাঁকা হাড়গুলির কারণে একটা ত্রুটিপূর্ণ অঙ্গবিন্যাস খুব দেখা যায়। হরমোন থেরাপি, খাদ্যগত পরিপূরক এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা চিকিৎসার প্রধান অবলম্বন গঠন করে। যদি প্রথমদিকে রোগের লক্ষণ চিহ্নিত হয়, হাড়গুলি অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে এবং হাড়ভাঙ্গার বিপদ কমানো যেতে পারে।

অস্টিওপোরোসিস এর উপসর্গ -
গোড়ার পর্যায়গুলিতে অস্টিওপোরোসিস চিহ্নিত করা কঠিন কারণ তখন কোনও বৈশিষ্ট্যগত লক্ষণ থাকেনা যা বিপদসংকেত স্পষ্ট করতে পারে। সম্ভাব্য উপসর্গগুলি যেগুলি অনুভূত হতে পারে সেগুলি অত্যন্ত সাধারণ এবং ব্যথা বা চাপের একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে বিভ্রান্তি হতে পারে। এটা শুধুমাত্র রোগটা ভালোমত বৃদ্ধি পেলে তখন একটা সম্ভাবনা থাকে যে মানুষ সজাগ হয় এবং লক্ষ্য করে। অস্টিওপোরোসিস থাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলির মধ্যে আছেঃ

১.ক্রনিক পিঠব্যথা, যা বিছানা ছাড়ার সময় সবচেয়ে স্পষ্টলক্ষিত হয়। হাঁটা বা দাঁড়ানোর সময় ব্যথাটা সাধারণতঃ সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকে। পিঠে হঠাৎ, প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে আর একটা পরিচিত অভিজ্ঞতা। পিঠ ব্যথা কোনও কোনও সময়ে মেরুদণ্ডে অস্থিসন্ধির সংকোচনের কারণে অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে। এগুলো হয়তো, যাই হোক, কখনও কখনও কোনও উপসর্গ সৃষ্টি করেনা।
২.অস্টিওপোরোসিস-এ ভোগার সময়ে শরীরের নমনীয়তা হারানোর প্রবণতা হয়। সাধারণ কাজকর্ম যার মধ্যে আছে ঝোঁকা, মোচড় দেওয়া এবং শরীর প্রসারিত করা, কঠিন হয়, কিংবা (এগুলো) যখন করা হতে থাকে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে।
হাড়ভাঙ্গা হল অস্টিওপোরোসিস-এর পরিচিত উপসর্গ। হাড়ভাঙ্গার ঘটনা, বিশেষ করে ছোটখাট পতন এবং আঘাতের পর, হচ্ছে একটা সুস্পষ্ট লক্ষণ। হাড়ভাঙ্গার সবচেয়ে পরিচিত জায়গাগুলির মধ্যে আছে মেরুদণ্ড, নিতম্ব, এবং কবজি। ব্যাগ ওঠানো, গাড়ির ভিতরে ঢোকা এবং বেরোনো এবং একটা নীচু টুল বা চেয়ারে বসে থাকার মত রোজকার সাধারণ কাজকর্ম বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
৩.অস্টিওপোরোসিস-এর ফলে শরীরের বিন্যাস পীড়িত হবার প্রবণতা থাকে। ব্যক্তিটি ঝুঁকতে শুরু করেন এবং এছাড়া এটা লক্ষ্য করা গেছে যে কিছু মানুষ রোগটার ফলে উচ্চতা হারাতে পারেন।
একবার কোনও ব্যক্তির ওজন কমে গেলে, তিনি লক্ষ্য করতে পারেন যে শরীরের উর্দ্ধভাগ নীচের দিকে বেঁকে যেতে শুরু করেছে। মেরুদণ্ডের এই বক্রতা, ডাওয়েজার্স হাম্প হিসাবে পরিচিত, দেহভঙ্গী দুর্বল করায় এবং ঝোঁকাটাকে অত্যন্ত স্পষ্ট করে। বক্র মেরুদণ্ডের এই অবস্থাকে বলে কাইফোসিস।

Stay pain free
19/12/2024

Stay pain free

27/11/2024
22/10/2024
23/04/2024

Dr.Md.Mafizul karim
MBBS,DA,FIPM
DMUD,training on MSK ultrasound
Assistant Professor
Department of anesthesia, Pain Medicine &ICU
East West Medical College,Uttara,Dhaka

ট্রিগার ফিঙ্গার হলে কী করবেন:

আপনার আঙুল কি সোজা করতে গেলে হঠাৎ বাঁকা হয়ে যায় বা আটকে যায়? আক্রান্ত আঙুল সোজা করতে চাইলে ব্যথা অনুভূত ও শব্দ হয়? চাপ দিলে আঙুলের গোড়ায় শক্ত গোটার মতো অনুভব করেন? এমন হওয়ার কারণ, ট্রিগার ফিঙ্গার যা স্টেনোসিং টেনোসাইনোভাইটিস বা ফ্লেক্সর টেনডোনাইটিস নামেও পরিচিত।

এ রোগে আঙুলের আক্রান্ত অংশটুকু দ্রুত সোজা হয়, অনেকটা বন্দুকের ট্রিগার টান দেওয়া ও ছেড়ে দেওয়ার মতো, তাই এর নাম ট্রিগার ফিঙ্গার। এতে আঙুলের টেন্ডনের চারপাশের স্থানটি স্ফীত হয় বা ফুলে যায়।

ট্রিগার আঙুলের লক্ষণ:

আঙুল শক্ত হওয়া ও ব্যথা করা।

আঙুল সোজা করতে না পারা।

আক্রান্ত আঙুলের নিচের তালুতে কোমলতা অনুভব করা।

বাঁকানো আঙুল হঠাৎ বেরিয়ে আসে ও সোজা হয়ে যায়।

আঙুল নড়াচড়া করার সময় শব্দ বা সংবেদন সৃষ্টি হয়।

কারণ:-

ট্রিগার আঙুলের কারণ টেনোসাইনোভিয়ামের প্রদাহ। আঙুল বাঁকানো বা সোজা করার সময় টেনোসাইনোভিয়াম টেন্ডনকে মসৃণভাবে সরাতে সাহায্য করে। যখন প্রদাহ হয়, তখন তা বাধাগ্রস্ত হয়।

কারা ঝুঁকিতে:

যাঁরা কোনো কাজ বা খেলার সময় দীর্ঘক্ষণ হাত ও কবজি নাড়াচাড়া (একই রকমের বা পুনরাবৃত্তিমূলক) করেন, তাঁদের ট্রিগার ফিঙ্গার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে একই ধরনের কাজ করায় শ্রমিকদের, বিশেষ করে পোশাকশ্রমিকদের এ সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

যাঁদের অন্যান্য রোগ যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস মেলাইটাস, বারবার আঘাত বা ট্রমা ও টিবির মতো রোগ রয়েছে, তাঁদের ট্রিগার ফিঙ্গার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

05/04/2024

Dr.Md.Mafizul karim
MBBS,DA,
FIPM (pain Medicine,India)
DMUD,training on MSK USG
Assistant Professor
Department of Anesthesia,Pain medicine &ICU
East West Medical College Uttara,Dhaka

হাতের কব্জির ব্যথা :

কব্জির ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। হঠাৎ ইনজুরির কারণে কব্জিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে। মচকে গেলে কিংবা হাড় ভেঙে কব্জিতে বেশ ব্যথা হয়। তবে অনেক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্য কব্জিতে ব্যথা হতে পারে, যেমন- বারবার কব্জিতে চাপ, বাত ও কারপাল টানেল সিনড্রোম। যেহেতু অনেক কারণে কব্জিতে ব্যথা হতে পারে, তাই কখনো কখনো দীর্ঘমেয়াদি কব্জির ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। সঠিক রোগ নির্ণয় করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার ওপর নির্ভর করে আপনার কব্জির ব্যথার সঠিক চিকিৎসা।

কব্জির ব্যথার উপসর্গ বিভিন্ন ধরনের হয়। এটি নির্ভর করে ঠিক কী কারণে ব্যথা হচ্ছে তার ওপর। যেমন- অস্টিও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ঠিক ভোঁতা ধরনের দাঁত ব্যথার মতো, অথচ টেনডনের প্রদাহ বা টেনডিনাইটিসের ব্যথা সাধারণত তীক্ষ� ও ধারালো ধরনের।

কব্জির ব্যথার কারণ:

কব্জি বা রিস্টজয়েন্ট হলো একটি জটিল সন্ধি যা তৈরি হয়েছে কয়েকটি হাড়ের সমন্বয়ে যেমন রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং আটটি ছোট ছোট কারপাল হাড়। এই কারপাল হাড়গুলো দুই সারিতে সাজানো। লিগামেন্টের শক্ত ব্যান্ড কব্জির হাড়গুলোকে একে অন্যের সাথে, রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং হাতের হাড়গুলোকে সংযুক্ত করে। টেনডনগুলো হাড়ের সাথে মাংসপেশিকে সংযুক্ত করে। কব্জির যেকোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা হতে পারে এবং হাত ও কব্জির ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কব্জি ব্যথার সাধারণ কারণগুলো হল:

১. ইনজুরি:
হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনের দিকে পড়ে গেলে কব্জিতে খুব বেশি ইনজুরির ঘটনা ঘটে। এ ক্ষেত্রে কব্জি মচকে যায়, কব্জিতে টান পড়ে এবং কব্জির হাড় ভেঙেও যায়। কব্জির বুড়ো আঙ্গুলের দিকে হাড়টির নাম স্কাফয়েড। এটি অনেক সময় ভেঙে যায়। এ ধরনের হাড় ভেঙে গেলে সাথে সাথে সেটা এক্স-রেতে নাও দেখা যেতে পারে। ব্যথা অনেক দিন থাকে, কব্জি নাড়াচাড়া করলে ব্যথা বাড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে হাত দিয়ে কাজ করা যায় না। প্লাস্টার করেও ব্যথার উপশম হয় না। অপারেশন করতে হয়। অনেক সময় স্কাফয়েড হাড় ভাঙলে হাড়ের মধ্যে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় এবং হাড়ের জোড়া লাগতে সমস্যা হয় যার ফলে ব্যথা হয় ও কব্জি নাড়তে অসুবিধা হয়। তখন অপারেশনের প্রয়োজন হয়। হাতের ওপর ভর দিয়ে পড়ে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কলিস ফ্রাকচার হয়। এ ক্ষেত্রে রেডিয়াসের নিচের অংশ ভেঙে যায়। কব্জি ফুলে যায়।

কব্জি বারবার নাড়াতে হয় এমন যেকোনো কাজ যেমন- টেনিস বল খেলা থেকে শুরু করে বেহালা বহন করতে করতে কব্জির সন্ধির চার পাশের টিস্যুতে প্রদাহ হতে পারে কিংবা হাড় ভেঙে যেতে পারে। বিশেষ করে কোনো বিরতি ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা কব্জির কাজ করলে। বারবার চাপের ফলে হাতের কব্জির ব্যথার আরেকটি কারণ হলো ডি কোয়ার ভেইন’স ডিজিজ। ব্যথা বুড়ো আঙ্গুলের মূলে অনুভূত হয়। ডি কোয়ার ভেইন’স ডিজিজে কব্জি নাড়তে খুব ব্যথা হয়, কাজ করতে অসুবিধা হয় এবং অনেক সময় কাজের পর ব্যথা বেশ বেড়ে যায়। বুড়ো আঙ্গুলে চাপ দিলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।

২. আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা:

অস্টিও আর্থ্রাইটিস:
সাধারণত কব্জিতে অস্টিও আর্থ্রাইটিস খুব কম হয়। কোনো লোকের কব্জিতে আগে ইনজুরি হয়ে থাকলে পরে অস্টিও আর্থ্রাইটিস হয়। এ ক্ষেত্রে কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি ছিঁড়ে যায় বা ক্ষয় হয়।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তার নিজস্ব টিস্যুগুলোকে আক্রমণ করে। কব্জিতে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস খুব বেশি পরিলক্ষিত হয়। যদি একটি কব্জি আক্রান্ত হয়, তাহলে সাধারণত অন্য কব্জিতেও এটি ঘটে।

৩. অন্যান্য রোগ ও অবস্থা:

কারপাল টানেল সিনড্রোম:
আপনার কব্জির তালুর দিকের অংশে একটি পথ রয়েছে যার নাম কারপাল টানেল; এর মধ্য দিয়ে মিডিয়ান নার্ভ অতিক্রম করে। মিডিয়ান নার্ভে চাপ পড়লে কব্জি ও হাতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এ অবস্থার নাম কারপাল টানেল সিনড্রোম।
গ্যাংলিয়ন সিস্ট: কব্জির ব্যথার অন্যতম কারণ হলো এক ধরনের টিউমার জাতীয় ফোলা বস্তু থাকে যাকে গ্যাংলিয়ন বলে। এটি ওঠে টেনডনের আবরণী থেকে কব্জির পেছনে অথবা সামনের দিকে। কব্জি নাড়লে ব্যথা হয়। বড় গ্যাংলিয়ন সিস্টের চেয়ে ছোটগুলো বেশি ব্যথা সৃষ্টি করে।
কিয়েন বক্স ডিজিজ : এটি সাধারণত তরুণদের হয়। এ ক্ষেত্রে কব্জির লুনেট নামের ছোট হাড়টিতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে হাড়টি কোলাপস করে। লুনেট হাড়ের ওপরে চাপ দিলে ব্যথা লাগে এবং রোগী হাত মুঠো করে ধরতে পারে না।
কব্জি ব্যথার ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো হল:

কারো হাতের কব্জিতে ব্যথা হতে পারে- তা অল্প কাজ করুক কিংবা বেশি কাজ করুক না কেন। কিন্তু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের কারণে এ ব্যথা বেড়ে যেতে পারে, যেমন-
খেলাধুলা করা: বিভিন্ন খেলাধুলায় কব্জিতে ইনজুরি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে বোলিং, গলফ, জিমন্যাস্টিক, টেনিস প্রভৃতি।
বারবার কাজ করা: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাত ও কব্জির যেকোনো কাজ বারবার করলে কব্জির ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। যেসব মহিলা হাঁড়ি-পাতিল ধোয়াধুয়ি করেন বা বুননের কাজ করেন তাদের কব্জির ব্যথা বেশি হয়। যারা চুল কাটার কাজ করেন তাদেরও কব্জির ব্যথা বেশি হয়। যারা কম্পিউটার কিবোর্ডে টাইপ করেন, কম্পিউটার মাউস ব্যবহার করেন, হ্যান্ডবল খেলেন, সেলাই করেন, আঁকাআঁকি করেন, লেখালেখি করেন বা ভাইব্রেটিং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন তাদের কব্জির ব্যথা বেড়ে যায়। আবার যাদের ডায়াবেটিস, লিউকেমিয়া, স্ক্লেরোডার্মা, লুপাস থাকে কিংবা থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করে তা হলে তাদের কব্জির ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

টেনিস এল্বো (কনুইয়ের ব্যথা) কি?একটি টেনিস এল্বো (কনুইয়ের ব্যথা), যা চিকিৎসাগতভাবে ল্যাটেরাল এপিকন্ডিলাইটিস নামে পরিচিত, ...
21/03/2024

টেনিস এল্বো (কনুইয়ের ব্যথা) কি?

একটি টেনিস এল্বো (কনুইয়ের ব্যথা), যা চিকিৎসাগতভাবে ল্যাটেরাল এপিকন্ডিলাইটিস নামে পরিচিত, এটি এমন একটি অবস্থা যাতে কনুইয়ে অতিরিক্ত ও পুনরাবৃত্তিমূলক চাপের কারণে কনুইয়ের জয়েন্টের অগ্রবাহু পেশিগুলির সঙ্গে যুক্ত রগ জ্বালা করে এবং ফুলে যায়। বেশ কিছু খেলাধুলার সময় রগের উপর বারবার চাপ দেওয়ার কার্যকলাপ সাধারণভাবে লক্ষ করা হয়, যেমন টেনিস বা অন্যান্য শ্রমসাধ্য খেলা এই অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। ক্রিকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন এবং স্কোয়াশের খেলোয়াড়দের মধ্যে এটি একটি সাধারণ অবস্থা।

এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গ:

টেনিস এল্বোর উপসর্গগুলি ধীরে ধীরে সময়ের সাথে বাড়ে এবং উপেক্ষা করলে আরও খারাপ হয়। এই অবস্থার উন্নয়নশীল সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি হল

কনুইয়ের জয়েন্টের বাইরে এবং চারপাশে একভাবে ব্যথা।
মুষ্টির দৃঢ়তা হারানো।
কনুইয়ের জয়েন্টের নড়াচড়ার সাথে যুক্ত ছোটখাটো কাজ করলে যন্ত্রণা হওয়া এবং পেশী কঠিন হয়ে ওঠা।
কনুইয়ের জয়েন্টের উপর ফুলে যাওয়া এবং লাল হয়ে যাওয়া।
এর প্রধান কারণ:

একটি টেনিস এল্বোর বিকাশের প্রধান কারণ হল কনুইয়ের জয়েন্টের উপর বারবার কঠোর কর্ম সঞ্চালন করা, যা লিগামেন্টের ক্ষতি করে। এই অবস্থা বিকাশের অন্যান্য কারণগুলি হল:

যেসমস্ত খেলাধুলাগুলিতে উপরের বাহুর শক্তির প্রয়োজন, যেমন, টেনিস, স্কোয়াশ।
অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ, যেমন জাভেলিন থ্রো, ডিসকাস থ্রো, এবং বাগান-পরিচর্যায় জড়িত কাজ।

ফ্রোজেন শোল্ডার (FROZEN SHOULDER) – ফ্রোজেন শোল্ডার মানে কাঁধের কব্জাটি জমে আড়ষ্ট (FROZEN) হয়ে যাওয়া। এই রোগের প্রধান লক...
11/03/2024

ফ্রোজেন শোল্ডার (FROZEN SHOULDER) –

ফ্রোজেন শোল্ডার মানে কাঁধের কব্জাটি জমে আড়ষ্ট (FROZEN) হয়ে যাওয়া। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল কাঁধে ব্যথা। ব্যথা দিনে দিনে বাড়তে থাকে, পরের দিকে ব্যথা চিরস্থায়ী হয় – রাতে ঘুমানো মুশকিল হয়ে ওঠে। কিছুদিন পরে দেখা যায় যে কাঁধের কব্জাটি আড়ষ্ট হয়ে জমে গেছে (FROZEN) বা আটকে গেছে – ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম সব কিছুই ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে ওঠে। মাঝবয়সী বা বয়স্ক মানুষরাই সাধারণত ফ্রোজেন শোল্ডার রোগে কষ্ট পান – তবে প্রায় যেকোন বয়সেই এই রোগ হতে পারে।

ফ্রোজেন শোল্ডার কেন হয়?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কোনোরকম কারণ ছাড়াই ফ্রোজেন শোল্ডার শুরু হয়। বিশেষ করে, যে সব বয়স্ক মানুষ ডায়াবেটিস রোগে ভোগেন – তাঁদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও, যে কোন রকম চোট, আঘাত বা সংক্রমণ (Infection) থেকে ফ্রোজেন শোল্ডার হতে পারে। কোন কোন কাঁধের অসুখে বা অস্ত্রোপচারের পরেও কাঁধের কব্জা আটকে যেতে পারে – বিশেষ করে যদি কাঁধ অনেকদিন ব্যান্ডেজ করে আটকে রাখা থাকে।

ফ্রোজেন শোল্ডার হলে কি করে বুঝবেন ?
এই রোগটির প্রধান লক্ষণ হল ব্যথা। সাধারণতঃ ব্যথা ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। প্রথমে নিয়মিত কাঁধের চারপাশে অল্পস্বল্প ব্যথা হয়। পরের দিকে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং ব্যথা ঘাড়ে, পিঠে, কনুই-এর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে থাকে।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল হাতের আড়ষ্টতা। রোগীর অলক্ষ্যে, হাতের সাধারণ নড়াচড়ার পরিমাণ কমতে থাকে এবং কাঁধের কব্জা ধীরে ধীরে আটকে যায়। চুল আঁচড়াতে, পিঠ চুলকাতে বা পেছনের পকেটে হাত ঢোকাতে সমস্যা হয়। মাথার উপরে হাত তুলে কোন কাজ করা যায় না (যেমন বাস-ট্রেনের হাতল ধরা, দড়িতে জামাকাপড় মেলা, কিছু ছোঁড়া ইত্যাদি)। পরের দিকে, হাতের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে – হাতের জোরও কমে যায়।

08/03/2024

হাঁটুর ব্যথা - Knee Pain
Dr.Md.Mafizul karim
MBBS,DA(BSMMU)
FIPM(pain Medicine,India)
CCD,DMUD
Trained on Musculoskeletal USG
Assistant Professor,Department of Anesthesia,pain medicine &ICU
East West Medical College,Uttara,Dhaka

প্রবীণদের মধ্যে হাঁটুতে ব্যাথা খুবই সাধারণ রোগ। মানুষ যখন বিশ্রাম নেয় বা হাঁটাহাঁটি করে বা দৈনন্দিন কাজকর্ম করে তখন হাঁটুর গাঁটের ব্যাথাকে এই নামে অভিহিত করা হয়। বেশিরভাগ সময়ে বয়স বাড়লে পারিপার্শ্বিক টিস্যুর গঠন ক্রমাগত ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এই সমস্যা হয়। আবার, দুর্ঘটনার ফলে হাঁটুর গাঁটে কোনও আঘাত অথবা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার সম্পূর্ণ ইতিহাস, রক্ত পরীক্ষা, এবং কিছু রেডিওলজি পরীক্ষা যেমন এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করে খুব সহজেই হাঁটুর ব্যাথার কারন নির্ণয় করা সম্ভব। যন্ত্রণার অন্তর্নিহিত সমস্যার সমাধান করে, যেমন যাঁরা খুব মোটা তাঁদের ওজন ঝরিয়ে উপসর্গ কমানো, আঘাতের স্থলে বরফ দেওয়া বা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে হাঁটুর ব্যাথার চিকিৎসা করা যেতে পারে। হাঁটুর ব্যাথায় চিকিৎসার অন্যান্য বিকল্প যেমন ফিজিওথেরাপির পরামর্শও দেওয়া যেতে পারে। এই সব চিকিৎসা সত্ত্বেও যদি হাঁটুর ব্যাথা না কমে তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। হাঁটুর ব্যাথা ভাল হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি, তবে যদি সঠিক সময়ে নির্ণয় না করা যায় তাহলে হাঁটুর ব্যাথা আরও বেড়ে যাওয়া বা হাঁটুর সন্ধিস্থল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার মত জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্ম, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, খেলাধূলা করা, এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করার জন্য হাঁটুর সন্ধিস্থল গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুতরাং, হাঁটু সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আগে, ব্যাথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হাঁটুর ব্যথা হওয়ার কারণ: অনেক কারনে হাঁটুর ব্যাথা বেড়ে যায় । যেমন:

শারীরিক আঘাত
পথ দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে আহত হলে বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে হাঁটুর সন্ধিস্থলের পারিপার্শ্বিক টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা অস্থিকাঠামো জখম হয়। এই ধরনের আঘাত থেকে হাঁটুর ব্যাথা শুরু হয়। খেলোয়াড়দের হাঁটুর সন্ধিস্থলে যে আবরণ থাকে তা ছিড়ে যাওয়া, যাকে মেনিস্ক্যাল ছিড়ে যাওয়াও বলে, তা হল হাঁটুর ব্যাথার অন্যতম সাধারণ কারণ।

সংক্রমণ:
হাঁটুর সন্ধিস্থলে সংক্রমণ থেকেও হাঁটুর ব্যাথা হয়।

বেকার’স সিস্ট:
হাঁটুর সন্ধিস্থলে সাধারণভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে তরল মজুত থাকে। তাকে সিনোভিয়াল ফ্লুইডও বলা হয়, যা ঘর্ষণ এড়াতে সাহায্য করে এবং সহজে সন্ধিস্থল নড়াচড়া করা যায়। কোনও কোনও সময়ে এই সিনোভিয়াল ফ্লুইড বেশি উৎপাদন হওয়ার ফলে তা হাঁটুর পিছনদিকে জমে যায়। এই ফ্লুইড জমা হয়ে গেলে সেখানে একটি সিস্ট গঠিত হয়ে জায় যাকে বেকার’স সিস্ট বলা হয়। তা থেকে সন্ধিস্থল শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যাথা শুরু হয়।

অস্টিওআর্থারাইটিস:
এই অবস্থায় টিস্যু শক্ত হয়ে যায় এবং সন্ধিস্থলের কোমলাস্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যাথা শুরু হয়।

রিউমটয়েড আর্থারাইটিস:
এটি একটি অটোইমিউন (অনাক্রম্যরোহিত) অবস্থা, যখন সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের নিজস্ব ক্ষমতা শরীরের বিপরীতে কাজ করতে থাকে তখন শরীর নিজেই শরীরের নিজস্ব টিস্যু ধ্বংস করে, ফলত যন্ত্রণা হয় এবং সারা শরীরে বিভিন্ন সন্ধিস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থায় দুটি হাঁটুর সন্ধিস্থল যুক্ত থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আঙুলের সন্ধিস্থল (ইন্টারফ্যালানজিল) প্রথমে আক্রান্ত হয় এবং যত রোগের প্রকোপ বাড়ে, হাঁটুর সন্ধিস্থল, গোড়ালি এবং মণিবন্ধও আক্রান্ত হয়।

বাত:
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে সন্ধিস্থলে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয় যাকে বাত বলে।

Address

Uttarati

Telephone

+8801673639809

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Md.Mafizul karim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Md.Mafizul karim:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category