Life logo

Life logo Life-Logo Mental Health Support & Life Skills Training Unit

Unlock your Passion & Potentiality

30/03/2025

ঈদ মোবারক!
প্রতিটি মুহুর্ত সুন্দরভাবে উদযাপনের মানসিক শক্তি থাকুক সবার মনে।

প্যানিক ডিসঅর্ডার (Panic Disorder):কোন ব্যক্তির মধ্যে যখন হঠাৎ খুব ভয়,অস্বস্তি বা খারাপ লাগা কাজ করে এবং এক মিনিট বা কয...
22/01/2025

প্যানিক ডিসঅর্ডার (Panic Disorder):
কোন ব্যক্তির মধ্যে যখন হঠাৎ খুব ভয়,অস্বস্তি বা খারাপ লাগা কাজ করে এবং এক মিনিট বা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এই খারাপ লাগার অনুভূতি তীব্র আকার ধারণ করে, তখন ব্যক্তির মধ্যে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির মনে হতে পারে সে মারা যাচ্ছে। যখন কোন ব্যক্তির মধ্যে এ ধরনের সমস্যা বার বার হয় এবং এক মাসের মধ্যে ব্যক্তি সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে যে, কখন জানি তার আবার সেই ভয়ংকর অনুভূতির সম্মুখীন হতে হয়! ব্যক্তির এ ধরনের শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতিকে প‍্যানিক ডিসঅর্ডার বলে।
লক্ষণ :
* হঠাৎ করে ব্যক্তির মনে হয় তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে
* বুক ধরফর করছে
* দম বন্ধ হয়ে আসছে
*মাথা ঘুরছে
*গলায় কিছু আটকে আছে এবং ব্যক্তির মনে হচ্ছে যে, সে কথা বলতে পারবে না
* ব্যক্তির পেটে খুব অস্বস্তি কাজ করে,পেট ফেপে যায়
*হাত,পা ঠান্ডা হয়ে আসে
*এ সময় ব্যক্তির মনে হয় তার নিজের উপর কোন কন্ট্রোল নেই,ব্যক্তির মনে হতে থাকে সে মাথা ঘুরে পড়ে যাবে এবং সে বোধ হয় মারা যাবে।
প্যানিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা :
*ব্যক্তির মনে হতে থাকে তার খুব কঠিন কোন অসুখ হয়েছে।
*সাধারণত ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়, সারাদিন ঘরে আবদ্ধ থাকতে চায়, ব্যক্তির মনে হতে থাকে ঘর থেকে বের হলে এবং অনেক মানুষের মধ্যে গেলে তার এ রোগ বেড়ে যেতে পারে।
* মার্কেটে বা যেখানে লোকসমাগম বেশি হয় সেসব জায়গা ব্যক্তি এড়িয়ে চলতে চায়।
পারিপার্শ্বিক অবস্থা:
কোন ব্যক্তি যখন প‍্যানিক ডিসঅর্ডারের আক্রান্ত হয়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তীব্র অসুস্থ বোধ করে,তখন ব্যক্তিকে তার পরিবার কখনো হার্টের ডাক্তার, কখনো মেডিসিনের ডাক্তার,কখনো গ্যাস্ট্রিকের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। যখন দেখা যায় কোথাও কোন সমস্যা ধরা পড়ছে না, কিন্তু ব্যক্তি মাঝে মাঝে এরকম শারীরিক এবং মানসিকভাবে হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তখন ব্যক্তি এবং তার পরিবার খুব অসহায় বোধ করে। কি করবে বুঝতে পারে না। আশেপাশের মানুষজন অনেকেই বলতে থাকে মনে হয় ব্যক্তির উপর কেউ যাদু টোনা করেছে, এ সময় বিভিন্ন জন বিভিন্ন পরামর্শ দেয় । ব্যক্তি বুঝতে পারে না এখন সে কি করবে! ব্যক্তি শুধু ভাবতে থাকে সে বুঝি আর কখনো ভালো হবে না। তার বাকি জীবনটা মনে হয় এভাবেই কাটাতে হবে।সে কখনোই সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে না।
চিকিৎসা :
চিকিৎসা করালে প্যানিক ডিসঅর্ডার অবশ্যই ভালো হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসা নিলে ব্যক্তি অবশ্যই সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। প্যানিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তার অসুস্থতার তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। তীব্রতা বেশি হলে ডাক্তার মেডিসিন দেন এবং মেডিসিনের পাশাপাশি তাকে কাউন্সিলিং করা হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তির মধ্যে যদি প‍্যানিক ডিসঅর্ডারের সমস্যা থাকে,তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
Writer :
Sabina Islam
B.Sc & M.Sc: Child Development & Social Relations.(DU)
M. Sc in Psychology (Cont.)-DU
Mental Health Expert (Psychological Counselor)-Life Logo
Expertise: CBT, DBT,TA, Parenting, Drug Addiction & Counseling

Let's connect even from a distance 🫶🫶দূরে থেকেও কাছে আছি প্রত্যেয়ে লাইফলোগোর আরেকটি প্রজেক্ট। অনেকেই দূর থেকে আসার ভয়ে ম...
19/01/2025

Let's connect even from a distance 🫶🫶

দূরে থেকেও কাছে আছি প্রত্যেয়ে লাইফলোগোর আরেকটি প্রজেক্ট। অনেকেই দূর থেকে আসার ভয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাদের জন্য কাছে আছি আমরা।দুরত্ব কোনো বাধা নয় কাছে থাকার জন্য। কাছে আছি, কাছে থাকুন সবসময় 🙏❤️❤️

17/01/2025

আমাদের,আপনাদের লাইফলোগোতে আবারও সক্রিয় হচ্ছি খুব শীগ্রই!👊 পাশেই থাকুন 🙏

16/12/2024

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 🇧🇩

For good mental health
29/10/2024

For good mental health

11/09/2024

"মানসিক স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনা" হলো একটি প্রক্রিয়া বা পদক্ষেপের সমষ্টি, যা মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা বা অসুস্থতা পরিষ্কার করতে বা মনের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে কাজ করে। এটি সাধারণত একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা এবং প্রক্রিয়ার সমন্বয় থাকে, যা মনের স্বাস্থ্যের সমস্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সমাধানগ্রস্ত উপায়ে কাজ করে। এটি অন্যান্য উপায়ের মধ্যে নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী হতে পারে:

মানসিক স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনা করার জন্য কিছু প্রধান পদক্ষেপ রয়েছে:
১. সম্পর্কযোগ্য সহযোগিতা: মানসিক স্বাস্থ্য পেতে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহায়তা সরবরাহ করা। পরিবার, বন্ধু, এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক বিস্তার করা এবং এই সমর্থনটি পাওয়া উচিত বলে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
২. মানসিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ: প্রয়োজনে মনের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে এবং প্রফেশনাল পরামর্শ পেতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার জন্য সময় নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পরিস্থিতি পরিবর্তন: মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য পরিবেশ ও দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন এনে দেওয়া প্রয়োজন। উপযুক্ত পরিবেশে থাকা, নির্দিষ্ট কাজে যোগদান এবং নিজের নিশ্চিত সময় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৪. প্রতিবেদন এবং মূল্যায়ন: প্রতিবেদন করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য অগ্রগতি বা সমস্যার পরিস্থিতি নিরীক্ষণ এবং মূল্যায়ন করা হয়। এটি পরবর্তী পরিচালনার জন্য দরকারী তথ্য প্রদান করে।
৫. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পুরস্কারপ্রাপ্ত খাবার, শক্তিশালী নিয়ম অনুসরণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই সমস্যা সমাধানের পরিপ্রেক্ষিতে, সঠিক সমর্থন ও সম্পর্কযোগ্য পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধারের পথে সহায়ক।

Md. Rasidul Alam, Psychologist at Lifelogo

21/08/2024

অহেতুক ভীতি বা ভয়(Phobia)

ভীতি বা ভয় মানুষের একেবারে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে এই ভীতি যদি অযৌক্তিক হয়, তখন সেটিকে বলা হয় ফোবিয়া বা অহেতুক ভীতি।
অহেতুক ভীতি বা ভয় হল এক ধরনের উদ্বেগজনিত ব্যাধি যা একটি বস্তু বা পরিস্থিতির প্রতি মানুষের প্রতিরোধের অক্ষমতা এবং অসহনীয় ভয় দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
অহেতুক ভীতিতে আক্রান্ত ব্যক্তি গভীর ভয় বা আতঙ্কের অনুভূতি অনুভব করতে পারে, যখন তারা তাদের ভয়ের উৎসের মুখোমুখি হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি সাধারণভাবে ভয়ঙ্কর বা ভীতিজনক নয় তবুও কিছু মানুষ বিশেষ কিছু পরিস্থিতি, বস্তু বা প্রাণী থেকে অযৌক্তিক ভয় পেয়ে থাকে, যেমন– টিভিতে সাপ দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার করা, উঁচু জানালা থেকে বাইরে তাকালে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি। এছাড়াও যারা মানুষের ভিড় বা খোলা জায়গায় ভয় পায়- তারা দাওয়াতে যায় না, বাজারে যায় না।
আবার যারা বদ্ধ জায়গায় ভয় পায়- তারা সব সময় ঘরের দরজা খোলা রাখে, লিফটে ওঠে না।

সাধারণভাবে ফোবিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়–

সুনির্দিষ্ট ফোবিয়াঃ
কোনো বস্তু বা বিশেষ পরিস্থিতির প্রতি অহেতুক, অযৌক্তিক ভয়। যেমন কোনো বিশেষ প্রাণী বা পোকার প্রতি ফোবিয়া, সাপের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন হওয়া, উঁচু জায়গায় উঠে ভয় পাওয়া ইত্যাদি।

সামাজিক ফোবিয়াঃ
সামাজিক অনুষ্ঠান, সভা, দাওয়াতে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে, নিজেকে প্রকাশ করতে ভীষণভাবে অস্বস্তি বোধ করে। সে কারণে সে সামাজিকতা এড়িয়ে চলে।

অ্যাগোরাফোবিয়াঃ
উন্মুক্ত খোলা জায়গা, জনবহুল এলাকা, বাজার, বাস, ট্রেন ইত্যাদিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফলে সে এগুলো এড়িয়ে চলে।

কারণঃ • কোনো বিষয়ে ভয় পাওয়ার পিছনে অতীতের কোনো ঘটনা থাকে।
• কোনো তিক্ত বা কষ্টকর অভিজ্ঞতা থেকে।
• অনেক সময় অপছন্দনীয় বা বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে ও ভয়ের উদ্ভব হয়ে থাকে।
• শৈশবের ঘটনা-দুর্ঘটনা।
• একজন মানুষের বেড়ে ওঠা।
• মানুষের মনের গড়ন, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি।


লক্ষণঃ • হার্টরেট বেড়ে যাওয়া
• গলা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া • বমিবমি ভাব
• বুকে ব্যথা • পেশিতে টান, কাপুনি
• প্রচণ্ড ঘাম নির্গত হওয়া
• পেটে অসুবিধা, ডায়রিয়া
• মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
• চিৎকার করা
• অস্বাভাবিক আচরণ করা
• বাইরের লোকজন এড়িয়ে চলা আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
• হতাশ লাগা

চিকিৎসাঃ
ফোবিয়ার চিকিৎসায় প্রধানত সাইকো থেরাপি,কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ইত্যাদির একটু ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা করালে ভালো ফল পাওয়া যায়। যে বিষয় বা পরিস্থিতির প্রতি ফোবিয়া আছে, তা এড়িয়ে না চলে ধাপে ধাপে সেটির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করাতে হবে; প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

Israt Jahan Laboni
Psychologist, Life logo
MS in School Psychology, DU

চলমান  সময়ে আমরা সবাই একটি কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছি। বিশেষ করে যারা সরাসরিভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছেন...
01/08/2024

চলমান সময়ে আমরা সবাই একটি কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছি। বিশেষ করে যারা সরাসরিভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছেন তারা এবং তাদের পরিবার উদ্বিগ্নতা, শংকায় ট্রমাটাইজ হয়ে পড়েছেন।

যেসব পরিবারের লোকজন তাদের স্বজনকে হারিয়েছে তারা ভীষণ রকম মানসিক বিপর্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও আমরা যারা সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে স্ক্রল করে আন্দোলনের খবর জানার জন্য তারা সংঘর্ষে আহত,নিহতদের ছবি,ভিডিও দেখে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার অভিজ্ঞতা হচ্ছে।

সংকটময় এই পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের মধ্যে যেসকল শারীরিক ও মানসিক লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে-
১• উচ্চ রক্তচাপ
২• হার্টরেট বেড়ে যাওয়া
৩• প্রচণ্ড ঘাম নির্গত হওয়া
৪• গলা,মুখ,জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া ৫• বমিবমি ভাব
৬• ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করা
৭• বারে বারে উচ্চস্বরে চিৎকার করা ৮• কান্নায় ভেঙ্গে পড়া
৯• হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ১০• মাথা ব্যথা,মাথা ভার হয়ে থাকা ১১• অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
১২• অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলা ইত্যাদি।

উপরে বর্ণিত পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কাজঃ

১• যথাসম্ভব ঠান্ডা ও কোলাহল মুক্ত জায়গায় বসে বারে বারে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেওয়া।
২• পানি পান করা।
৩• নিজের মধ্যে যতবেশি সম্ভব আত্মবিশ্বাস তৈরী করা।
৪. অতীতের কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন সেইটা নিয়ে ভেবে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
৫• নিজের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা তৈরী করা। ৬• মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে মেডিটেশন করা। ৭• স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা।
৮• যথাসম্ভব পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ৯• সঠিক প্রমাণ না পেয়ে, ইন্টারনেট থেকে প্রকাশিত কোনো খবর দেখে আবেগপ্রবণ বা উৎকন্ঠাপ্রবণ না হওয়া।
১০• নিজের যত্ন নেওয়া, মন ভালো থাকে এমন কাজ বেশি করা।
১১• বাড়িতে গাছপালা বা পশুপাখি থাকলে সেগুলোর যত্ন নেওয়ায় সময় ব্যয় করা।
১২• প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।

Israt Jahan Labonee
Psychologist, Life logo
MS in School Psychology(DU)

01/08/2024

চলমান বর্তমান সময়ে আমরা সবাই একটি কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছি। বিশেষ করে যারা সরাসরিভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করেছে তারা এবং তাদের পরিবার উদ্বিগ্নতা, শংকায় ট্রমাটাইজ হয়ে পড়েছে। যেসব পরিবারের লোকজন তাদের স্বজনকে হারিয়েছে তারা ভীষণ রকম মানসিক বিপর্যস্ততার মধ্যে আছে। এছাড়া ও আমরা যারা সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে স্ক্রল করে যাচ্ছি আন্দোলনের খবর জানার জন্য তারা ও সংঘর্ষে আহত,নিহতদের ছবি,ভিডিয়ো দেখে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের মধ্যে যেসকল শারীরিক ও মানসিক লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে- ১• উচ্চ রক্তচাপ
২• হার্টরেট বেড়ে যাওয়া
৩• প্রচণ্ড ঘাম নির্গত হওয়া
৪• গলা,মুখ,জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া ৫• বমিবমি ভাব
৬• ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করা
৭• বারে বারে উচ্চস্বরে চিৎকার করা ৮• কান্নায় ভেঙ্গে পড়া
৯• হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ১০• মাথা ব্যথা,মাথা ভার হয়ে থাকা ১১• অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
১২• অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলা

উপরে বর্ণিত পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কাজঃ
১• যথাসম্ভব ঠান্ডা ও কোলাহল মুক্ত জায়গায় বসে বারে বারে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেওয়া।
২• পানি পান করা।
৩• নিজের মধ্যে যতবেশি সম্ভব আত্মবিশ্বাস তৈরী করা।
৪. অতীতের কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন সেইটা নিয়ে ভেবে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। ৫• নিজের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা তৈরী করা। ৬• মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে মেডিটেশন করা। ৭• স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা।
৮• যথাসম্ভব পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ৯• সঠিক প্রমাণ না পেয়ে, ইন্টারনেট থেকে প্রকাশিত কোনো খবর দেখে আবেগপ্রবণ বা উৎকন্ঠাপ্রবণ না হওয়া।
১০• নিজের যত্ন নেওয়া, মন ভালো থাকে এমন কাজ বেশি করা।
১১• বাড়িতে গাছপালা বা পশুপাখি থাকলে সেগুলোর যত্ন নেওয়ায় সময় ব্যয় করা। ১২• প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।

Israt Jahan Labonee Psychologist, Life logo
Ms in School Psychology(DU)

31/07/2024

অনেক সময় জীবনে এমন সব ঘটনা ঘটে যা আমাদের জন্য একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। তখন আমরা সম্মুখীন হই প্রতিকূল অবস্থার । আর এই পরিবর্তিত প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হলেই তৈরি হয় মানসিক চাপ, যাকে বলা হয় স্ট্রেস (Stress)।
মানসিক চাপের ফলে আমরা খুব সহজেই ধৈর্য হারাই, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় আর অমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিকূল অবস্থাটাকে আরো প্রতিকূল করে তুলি। এ সময় আমাদের আবেগীয় মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে এবং লজিক্যাল মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্ক থাকে না। আমরা খুব সহজেই আবেগীয় ও লজিক্যাল মস্তিষ্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে চাপ মোকাবেলা করতে পারি এবং নিতে পারি সঠিক সিদ্ধান্ত।
এজন্য প্রথমেই আরামদায়ক স্থানে বসুন, দুই হাত উরুর উপর রাখুন। এখন লম্বা করে একটি শ্বাস নিন কিছুক্ষণ ধরে রাখুন ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে কয়েক জোড়া শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। এ সময় লক্ষ্য রাখবেন শ্বাস ছাড়ার ব্যাপ্তি যেন শ্বাস নেওয়ার ব্যক্তি থেকে বেশি হয়।

Md. Shahin Alam
Psychologist, Life Logo
Ms in Educational Psychology (DU)

মানসিক রোগ:যখন কোনো ব্যক্তির আচরণ, ব্যবহারে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে, তাঁর নিজের ভালো মন্দ সম্পর্কে অবগত থাকেনা, নিজের দায়ি...
29/07/2024

মানসিক রোগ:
যখন কোনো ব্যক্তির আচরণ, ব্যবহারে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে, তাঁর নিজের ভালো মন্দ সম্পর্কে অবগত থাকেনা, নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ পালন করতে পারে না তখন বুঝতে হবে তাঁর মানসিক অসুস্থতা রয়েছে।
মানসিক রোগ সাধারণত প্রধানত দুই প্রকার :
১. নিউরোসিস
২. সাইকোসিস

নিউরোসিস রোগ :
মানসিক চাপ ভয় দুশ্চিন্তা হতাশা ঘুমজনিত সমস্যা ট্রমা ইত্যাদি।
সাইকোসিস মানসিক রোগ:
সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার,ব্যক্তিত্বের সমস্যা, সন্দেহপ্রবনতা, তীব্র পর্যায়ের ডিপ্রেশন ইত্যাদি।
মানসিক অসুস্থ্যতার জন্য মূলত দুটি কারণ দায়ী :
১. জীনগত বা বংশগত
২. পরিবেশগত
পরিবেশগত উপাদানের মধ্যে রয়েছে :
* বিশৃঙ্খলাপূর্ন জীবনযাপন।
* মাদক গ্রহন।
* পারিবারিক অশান্তি।
* দাম্পত্য জীবনে কলহ।
* নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা।
* নেতিবাচক কর্মক্ষেত্র।
* অতিরিক্ত চাহিদা।
* সন্তান মা বাবার আদর স্নেহ থেকে দুরে থাকলে।
মানসিকভাবে অসুস্থ্যতার লক্ষন :
★ মানসিকভাবে অসুস্থ হলে পড়াশোনা বা কাজের প্রতি মনোযোগ থাকেনা।
★ ঘুম কমে যাবে বা বেড়ে যাবে।
★ খাওয়া দাওয়া কমে যাবে।
★ মেজাজের পরিবর্তন হবে।
★ নেশা শুরু করতে পারে।
★ আত্মহত্যার প্রবনতা দেখা দেবে।
★ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
★ সব সময় একাকি থাকার প্রবনতা বৃদ্ধি পাবে।
★ সব সময় মন মরা থাকবে।

উপরিউক্ত লক্ষণগুলো কোন ব্যক্তির মধ্যে প্রকাশ পেলে তাকে দ্রুত কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা মনোবিজ্ঞানীর কাছে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করতে হবে।

Address

Uttarati

Telephone

+8801716919271

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Life logo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Life logo:

Share