Natural ACU Trading Center

14/11/2025

🤔 প্যানক্রিয়াস: পেটের আড়ালে লুকিয়ে থাকা "নীরব রাজকুমার"👑 ও তার আসল "বস" (Gut)! 💥

আপনি হয়তো ভাবছেন, ডায়াবেটিস, ক্রনিক গ্যাস, কিংবা পেটের মাঝামাঝি অসহ্য যন্ত্রণা—এগুলো কি শুধু মিষ্টি খাওয়া বা খারাপ লাইফস্টাইলের ফল! 😔

⚠️ কিন্তু পর্দার আড়ালে আসল খেলাটা খেলছে আপনার সেই পুরনো 'বন্ধু-শত্রু' পেট (Gut)! ঠিক যেমনটা লিভার, কিডনি, পিত্তথলির ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঘটেছিল, আপনার Pancreas (অগ্ন্যাশয়)-এর স্বাস্থ্যও কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে আপনার অন্ত্রের অলি-গলি! এ এক ভয়ানক "গোপন সমঝোতা" — যার নাম Gut-Pancreas Axis! 🤝

🔰প্রথমে আমরা প্যানক্রিয়াসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জেনে নেই

📘প্যানক্রিয়াস কি ও কেন!??
Pancreas (অগ্ন্যাশয়) হলো আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা পরিপাকতন্ত্র (Digestive System) এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার (Endocrine System) — দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

🧿Pancreas এর অবস্থান:
প্যানক্রিয়াস আমাদের পেটের ভেতরে, পাকস্থলীর (stomach) পিছনে অবস্থিত। এটি লম্বা, চেপ্টা আকৃতির এক ধরনের গ্রন্থি (gland)।

📘🧿Pancreas এর মূল কাজ দুটি:👇

1️⃣ পরিপাকতন্ত্রে ভূমিকা (Exocrine function): প্যানক্রিয়াস প্রতিদিন “প্যানক্রিয়াটিক জুস” নামে একধরনের তরল তৈরি করে, যাতে বিভিন্ন পরিপাক এনজাইম থাকে। এই এনজাইমগুলো ক্ষুদ্রান্ত্রে গিয়ে খাদ্যের(শর্করা, আমিষ ও চর্বি) কে
ভেঙে শরীরে শোষণযোগ্য করে তোলে।
🧿প্রধান এনজাইমগুলো হলো —
Amylase (শর্করা ভাঙে)
Lipase (চর্বি ভাঙে)
Trypsin / Chymotrypsin (প্রোটিন ভাঙে)

2️⃣ হরমোন উৎপাদন (Endocrine function): প্যানক্রিয়াসের “Islets of Langerhans” নামে বিশেষ কোষগুচ্ছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি হয়,
যেমন —
Insulin: রক্তে গ্লুকোজ কমায়
Glucagon: রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায়
Somatostatin: অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে

📘🏭 "শরীর নামক শহরে" প্যানক্রিয়াসের ভূমিকা👇
চলুন, আবার আমাদের সেই "শরীর নামক শহরে" ফিরে যাই!
প্যানক্রিয়াস (Pancreas) হলো: শহরের "পাওয়ার হাউস" ও "ডাবল এজেন্টের" মতো! এর দুটো প্রধান কাজ:
এন্ডোক্রাইন (Endocrine): ইনসুলিন ও গ্লুকাগন তৈরি করে রক্তের শর্করা (Blood Sugar) নিয়ন্ত্রণ করা। (যেমন: শহরের বিদ্যুত সরবরাহকারী)।
এক্সোক্রাইন (Exocrine): খাবারের চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট হজমের জন্য শক্তিশালী এনজাইম (যেমন: অ্যামাইলেজ, লাইপেজ) তৈরি করে ছোট অন্ত্রে পাঠানো। (যেমন: শহরের প্রধান রসায়ন গবেষণাগার)।
সংক্ষেপে, প্যানক্রিয়াস ছাড়া খাবার হজম এবং রক্তে সুগার কন্ট্রোল—দুটোই অসম্ভব!

📘🚨 প্যানক্রিয়াসের বিপদ সংকেত: এগুলি কি শুধু মিষ্টির দোষ?
যদি নিচের লক্ষণগুলো দেখেন, তবে আপনার Gut-Pancreas Axis-এ গোলমাল চলছে!
🔺 বারবার হজম না হওয়া, বিশেষত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর?
🔺 মলের সাথে তেল বা চর্বির উপস্থিতি (Steatorrhea বা ফ্যাটযুক্ত মল)?
🔺 পেটের ওপরের দিকে বা মাঝখানে অসহ্য যন্ত্রণা যা পিঠের দিকেও ছড়িয়ে যায়?
🔺 ক্রমাগত বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা এবং গ্যাস?
🔺 হুট করে ওজন কমে যাওয়া (ডায়াবেটিস না থাকা সত্ত্বেও)?

📘💥 Gut–Pancreas Axis: পর্দার আড়ালের যুদ্ধ ⚔️
আপনার অন্ত্র (Gut) ও প্যানক্রিয়াসের মধ্যে যোগাযোগ দুই দিকেই চলে—কিন্তু বেশিরভাগ সমস্যার জন্ম হয় পেটে! পেটে যখন খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বাড়াবাড়ি হয় (Dysbiosis), তখনই প্যানক্রিয়াসে বিপর্যয় নামে:

১. 🦠 "লিকি গাট" (Leaky Gut) — প্রদাহের আগুনের গোলা:
আপনার অন্ত্র যখন "লিক" হয়, তখন ক্ষতিকর টক্সিন ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার অংশ (LPS) রক্তে ঢুকে পড়ে।
ট্র্যাফিক জ্যাম: এই টক্সিনগুলো সরাসরি প্যানক্রিয়াসে গিয়ে মারাত্মক প্রদাহ (Inflammation) সৃষ্টি করে।
এনজাইম বিপর্যয়: এই প্রদাহের কারণে প্যানক্রিয়াসের কোষগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং এনজাইম তৈরি ও নিঃসরণের ক্ষমতা কমে যায়।
ফল: এই প্রদাহ থেকেই জন্ম নিতে পারে প্যানক্রিয়াটাইটিস (Pancreatitis) বা দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিসের ঝুঁকি!

২. 📉 "পাওয়ার হাউস" এর দুর্বলতা:
খারাপ ব্যাকটেরিয়ারা (বিশেষ করে SIBO) হজমের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, ফলে Pancreas-কে আরও বেশি এনজাইম তৈরি করতে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়।
ডাবল শিফট: Pancreas তখন অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠে এবং দুর্বল হয়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে, এই অতিরিক্ত চাপই কোষের ক্ষতি করে।
ডায়াবেটিস যোগসূত্র: Gut Dysbiosis সরাসরি অন্ত্রের হরমোনকে প্রভাবিত করে, যা ইনসুলিন নিঃসরণকেও বিগড়ে দেয়। এটি টাইপ ১ ও ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. 🛡️ সুরক্ষার অভাব:
সুস্থ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ারা প্যানক্রিয়াসকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ও টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যখন সেই "ভালো বাহিনী" দুর্বল হয়ে পড়ে, প্যানক্রিয়াস হয়ে ওঠে আক্রমণের সহজ লক্ষ্য।

📘🌿✅ প্যানক্রিয়াস ও হজমকে বাঁচাতে ৫ ধাপের Gut মেরামত!
প্যানক্রিয়াসের সুস্থতা নিশ্চিত করতে আপনার Gut-কে মেরামত করতেই হবে! যখন Gut সুস্থ হবে, প্রদাহ কমবে, তখনই Pancreas তার স্বাভাবিক কাজ ফিরে পাবে।

১. খারাপ "জ্বালানি" বন্ধ করুন 🚫 প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি, ট্রান্স ফ্যাট, ফাস্টফুড ও জাঙ্ক ফুড, আজেবাজে সব খাবার, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও কৃত্রিম সুইটনার ত্যাগ করুন। এগুলো খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে শক্তিশালী করে ও প্যানক্রিয়াসে সরাসরি চাপ সৃষ্টি করে।

২. হজমের এনজাইম সাহায্য দিন খাওয়ার সাথে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার বা লেবুর রস পান করুন। এটি Pancreas-কে অতিরিক্ত এনজাইম নিঃসরণের চাপ থেকে মুক্তি দেয় ও হজমে সাহায্য করে।

৩ "লিকি গাট" মেরামত 💪 Bone Broth (হাড়ের স্যুপ) এবং L-Glutamine সমৃদ্ধ খাবার খান। ওমেগা-৩ (ফ্ল্যাক্স সিড, ছোট মাছ) যুক্ত করুন। Gut-এর দেয়াল মেরামত ও সার্বিক প্রদাহ কমাতে অপরিহার্য।

৪ পরিচ্ছন্ন কর্মী বাড়ান 🦸 প্রতিদিন প্রোবায়োটিকস (টক দই, কেফির, ফার্মেন্টেড খাবার) ও প্রিবায়োটিকস (পেঁয়াজ, রসুন, ওটস, কাঁচাকলা) খান। এরা Gut-এ ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে প্রদাহ সৃষ্টিকারী টক্সিন কমায়।

৫ "ধীরে খাও, শান্ত থাকো" খাবার তাড়াহুড়ো না করে অন্তত ২০ বার চিবিয়ে খান। খাওয়ার সময় স্ট্রেস বা মোবাইল ব্যবহার করবেন না।

📢 শেষ কথা: শুধু লক্ষণ নয়, মূলে আঘাত হানুন!
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বারবার পেটের মাঝখানে ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়, তবে শুধু বিভিন্ন রকমের ওষুধে আটকে থাকবেন না। মনে রাখবেন, ওষুধ সাময়িক উপশম দিতে পারে, কিন্তু আপনার Gut Dysbiosis ও Inflammation থেকেই যায়।

প্যানক্রিয়াসের মূল সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত: Gut-কে সুস্থ করে Pancreas-কে তার স্বাভাবিক কাজ করতে দেওয়া!

📘✅আপনার করণীয়: এখনই অ্যাকশন নিন!
যদি মনে করেন আপনার Pancreas-এ সমস্যা হতে পারে, একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এনজাইম পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাফি করান। গুরুতর কোনো রোগ (যেমন: একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস) হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

আর যদি রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে, তবে দ্বিধা না করে—
🍃Gut-First পদ্ধতি শুরু করুন: উপরিউক্ত ৫টি ধাপ মেনে আপনার অন্ত্রের প্রদাহ কমান এবং প্যানক্রিয়াসকে সুস্থ রাখুন।

"আপনার অন্ত্রকে ভালোবাসুন, আপনার প্যানক্রিয়াস আজীবন শান্তিতে ও সচল থাকবে!

🌿শেষ কথা: নিজের শরীরের কথা শুনুন!
মনে রাখবেন, যখন আপনার পেট বা অন্ত্র ক্রমাগত অস্বস্তির সংকেত পাঠাচ্ছে, তখন শুধু গ্যাস-অম্বলের ওষুধ খেয়ে তাকে চাপা দেবেন না। এই সংকেতটি হতে পারে আপনার শরীরের ভেতরের 'পাওয়ার প্ল্যান্ট' (প্যানক্রিয়াস) থেকে আসা কোনো জরুরি বার্তা।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক প্রশান্তি এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ—এই তিনটির মাধ্যমেই আপনি আপনার গাট-প্যানক্রিয়াস অ্যাক্সিস-এর গোপন সম্পর্ককে আবার ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারেন।

সচেতন থাকুন, নিজের প্রতি যত্নশীল হোন এবং একটি নিরোগ, স্বস্তিদায়ক জীবন ফিরে পান। ✅💚

07/11/2025

🌿 তিয়ানশি ফ্রুক্টুলিগোস্যাকারাইড (FOS) — আপনার হজম স্বাস্থ্যের প্রাকৃতিক সহায়ক!

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই প্রিবায়োটিক এখন আপনার হাতের নাগালে। এটি অন্ত্রের মাইক্রোইকোলজিক্যাল ভারসাম্য বজায় রাখে, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। 💪

কম ক্যালোরি ও কম চিনি — স্বাস্থ্য সচেতন, সৌন্দর্যপ্রেমী ও ডায়েট অনুসারীদের জন্য এক আদর্শ পছন্দ! 💧

🛒 এখন পাওয়া যাচ্ছে! (Available Now)
নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য আজই সংগ্রহ করুন।


01979661109

05/10/2025

05/10/2025

04/10/2025

Jashore Power Up Program

26/04/2025

👉ফলমূলে ফরমালিন আপনি কি বাচ্চাকে ফলমুল খাওয়ানো নিয়ে চিন্তিত?

👉শাকসবজিতে পেস্টিসাইড আপনি কি তা খাওয়া নিয়ে চিন্তিত?

👉আপনি কি চিন্তিত মাছ মাংস খাওয়া নিয়ে, যা উচ্চমাত্রায় বিভিন্ন কেমিক্যাল ও ভিটামিন দিয়ে দ্রুত মোটাতাজা করা?

😭হয়তো আপনি চাইলেই বাজারে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাবেন না।

আপনি কি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে চান? তাহলে এই মেশিনটি অবশ্যই আপনার পরিবারের জন্য প্রয়োজন, যেটা আপনার পরিবারের বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত করবে 👍

04/02/2023

অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও মুক্তি দেয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়া...

30/06/2022

টিয়েন্স রক্ত সঞ্চালন সংবাহন যন্ত্র- বিসিএম

ব্যবহার নির্দেশিকা-

০১. শরীরে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
০২. ০৫ কিলোমিটার জগিং এবং ০২ ঘন্টা ব্যায়ামের সমতুল্য।
০৩. সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ উদ্দীপিত করে তোলতে সহায়তা করে।
০৪. হার্ট, কিডনি, লিভার, অগ্ন্যাশয়, ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
০৫. হজমের উন্নতি ঘটায়।
০৬. জমে থাকা টক্সিন অপসারণ করে পুরো শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।
০৭. শারীরিক বৃদ্ধি উন্নয়ন করতে সহায়তা করে।
০৮. হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, প্যারালাইসিস, ব্রেন হেমারেজ এবং সমস্ত গুরুতর অসুস্থতা থেকে দূরে রাখে।
০৯. মস্তিষ্ক এবং শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে।
১০. খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
১১. থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখে।
১২. শরীরে রক্তচাপ এবং চিনির মাত্রা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
১৩. রক্তের জমাট বাঁধা দূর করতে সাহায্য করে।
১৪. জয়েন্টের ব্যথা, পিঠের ব্যথা, কাঁধের ব্যথা, পেশী ব্যথা উপশম করে।
১৫. নিয়মিত ব্যবহার ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
১৬. আর্থ্রাইটিস উপশমে সহায়ক।
১৭. ঘুমের উন্নতি ঘটিয়ে অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে।

ব্যবহার সময়কাল: ৩-১৫ মিনিট, দিনে ২/৩ বার।

📞-Hotline: +8801979661109
🏡-Company Name: Tianshi Bangladesh Co. Ltd
🏡 Location: House No.41, Road No.24, Gulshan-1, Dhaka 1212 Dhaka, Dhaka Division, Bangladesh.

12/09/2021

11/08/2021

ঃকরোনা চিকিৎসায় ভেষজ উদ্ভিদে শতভাগ সাফল্যঃ

করোনাভাইরাসে বিশ্ব যখন বিপর্যন্ত, টিকা আবিষ্কার করা হলেও দ্রুত মানুষের চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে না; ঠিক এ সময়ে শতভাগ কার্যকর একটি উদ্ভিদের সন্ধান দিয়েছেন দেশের একজন কৃষি বিজ্ঞানী। উদ্ভিদটি গ্রাম অঞ্চলে ‘দুধস্বর’ নামে ব্যাপক পরিচিত। বাংলায় উদ্ভিতটি মনসাসিজ নামে পরিচিত যার বৈজ্ঞানিক নাম Euphorbia nerifolia Linn.। উদ্ভিদটির সন্ধ্যান দাতা কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. এনায়েত আলী প্রামানিকের দাবি, করোনায় আক্রান্ত কয়েক হাজার মানুষের উপর এ উদ্ভিদটির পাতা প্রয়োগ করে শতভাগ সফলতা পেয়েছেন।

চীনের চাইনিজ একাডেমী অব সাইন্স থেকে পিএইচডি করা ড. এনায়েত আলী প্রামানিক বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বরেন্দ্র কেন্দ্র, রাজশাহীতে কর্মরত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, উদ্ভিদটির পাতার রস ব্যবহার করে করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী শতভাগ সফলতা পেয়েছেন। এই পাতার রস এ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস রোগের প্রতিষেধক হিসাবেও কাজ করে।

ব্যবহারের বিষয়ে ড. এনায়েত আলী বলেন, পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রোগের মাত্রানুযায়ী দৈনিক ২-৩ টি পাতা চিবিয়ে রস খেতে হবে। এভাবে পুরোপুরি আরোগ্য হওয়ার পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা এভাবে ব্যবহার করলে হাসপাতালে যেতে হবে না বলেও দাবি করেন ড. এনায়েত আলী।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হলে আমার দুই ভাই, মেয়ে এবং আমি নিজেও উদ্ভিদটির পাতা ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি। এরপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তাকে দিলে তিনিও সফলতা পান। এরপর আমার পরিচিতদের পাশাপাশি বরেন্দ্র এলাকায় অনেকেই এটি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন। এটি সেবনে এখন পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

উদ্ভিদটি কেমন ও কোথায় পাওয়া যায়, ব্যবহার এবং কার্যয়কারিতা:

উদ্ভিদটির বাংলায় বলা হয় মনসাসিজ। এর ইংরেজী নাম Indian spurge tree এবং এটি Euphorbiaceae পরিবারের অর্ন্তভূক্ত একটি উদ্ভিদ। উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম Euphorbia nerifolia Linn.। গাছটি দেখতে অনেকটা ক্যাকটাসের মতো। এর কাটা যুক্ত কান্ড ট্রাংক এবং শাখা-প্রশাখা রুপান্তরে মাধ্যমে অনিয়মিত (৪-৫ টি ধার) আকার ধারণ করে। সাধারণত গাছের অনুজ অংশ থেকে পাতা বের হয়। পাতা মাংশল প্রকৃতির এবং চিরসবুজ। তবে Euphorbiaceae পরিবারের অধিকাংশ উদ্ভিদ খুবই বিষাক্ত। কিন্তু E. nerifolia এর পাতায় বিষাক্ত কিছু নেই, এটি সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালশিয়ায় এটি বেশি পাওয়া যায়। এটি চেনার উপায় হচ্ছে পাতাটি ডিম্বাকৃতির এবং পাতার বোটার নীচে কান্ডের সাথে দুটি কাঁটা থাকবে।

উদ্ভিতের পাতার রসের কার্যকরীতার বিষয়ে ড. এনায়েত আলী বলেন, করোনা ভাইরাসের S প্রোটিন ফুসফুসের কোষের এনজিওটেনসিং হিউমান কনভারটিং এনজাইম রিসেপটর-২ এর মাধ্যমে ভিফিউশন পদ্ধতিতে কোষে প্রবেশ করে। এরপর মেসেঞ্জার আরেএনএ (mRNA) এর দুটি সাব-ইউনিট ৪০s এবং ৬০s এর মধ্যে ৪০s সাবইউনিটের সাথে কমপ্লেক্স তৈরি করে জেনোমিক ভাইরাল আরএনএ সিনথেসিস শুরু করে। এ অবস্থায় আক্রান্ত রোগী যদি E. nerifolia এর পাতার রস খাওয়া শুরু করে তাহলে এটি প্রত্যক্ষভাবে ভাইরাল প্রোটিন সিনথেসিসে বাধা প্রদান করে।

ড. এনায়েত আলী আরো জানান, উদ্ভিদটিতে রয়েছে প্রায় ২৩ প্রকারের ডাই-টারফিনয়েড ও এক ধরনের গ্লাইকোসাইড। এর মধ্যে ৩ বেটা ফ্রাইডেনাশল সবচেয়ে বেশী কার্যকরী এবং এই টারফিনয়েডের রয়েছে দারুন এন্টিভাইরাল কার্যকরিতা। উদ্ভিদের কিছু টারফিনয়েড HIV NL4 ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোষের প্রতিকারে সাফল্যজনকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। করোনা ভাইরাসে প্রায় ২৭টি রিকাম্বিন্যান্ট আর এনএ থাকার কারণে প্রতিনিয়ত এর প্রতিটি ষ্ট্রেইন মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস অতি দ্রুত নিউমোনিয়া দ্বারা আক্তান্ত হয় এবং ফুসফুসের ভিতর দিয়ে যে রক্তকনিকা প্রবাহিত হয় তা জমাট বাধার মাধ্যমে ক্ষুদ্র দলার সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন অংগে রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করে হঠাৎ ষ্ট্রোক ঘটায়। যার ফলশ্রুতিতে, দ্রুত দ্রুত মানুষের মৃত্যু ঘটছে।