𝗗𝗿 𝗨𝘀𝗵𝗮

08/09/2025

ধরুন, আজ সকালে আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, অথবা ডাক্তার আপনাকে জানালো আজ থেকে আপনি হাঁপানি রোগী...অথবা একটু আগে আপনি জানতে পারলেন আপনার এমন রোগ ধরা পড়েছে অপারেশন ছাড়া যার থেকে মুক্তি নেই ... হার্টের কোথাও একটা ব্লক ছিল জানতেনই না সকালে টেস্ট করতে গিয়ে জানতে পারলেন।
কিংবা আপনার ক্যান্সার ধরা পড়েছে.. দুরারোগ্য , জটিল...

ঠিক প্রথম মুহূর্তে কেমন হতোচকিত হয়ে যান ,না !
খুঁজে বের করতে থাকেন কারণগুলো..

গত বছরও এমনটি হয়েছিল অবহেলা কেন করলাম?
আজকে একটু বেশি মিষ্টি খেয়েছেন?
কেন একটু আগে চিকিৎসা করালাম না?
কেন বদ অভ্যাস গুলো ছাড়তে পারলাম না?
এবং শেষ কথা
আমার সাথেই কেন এমন হয়?

অনেকে আর্থিক অবস্থা,পরিবারের অসচ্ছলতা, চিকিৎসার খরচ, দীর্ঘসূত্রীতা সবকিছু নির্ণয় করে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেন
'আর বাঁচবো না!!'

ডায়বেটিস, ক্যান্সার, দীর্ঘদিনের ফুসফুসের সমস্যা ,হৃদরোগ এগুলোকে বলে নন কমিউনিকেবল ডিজিজ অর্থাৎ একজনের কাছ থেকে অন্যজন ছড়ায় না( যেমন ছড়ায় যক্ষা।)

ছড়ালেই বরং ভারমুক্ত হতেন!! এ
গুলো অন্যজনে ছড়ায় না ঠিকই কিন্তু মনের মধ্যে এমন বেশি ছড়িয়ে যায়, মন এত বেশি ভারাক্রান্ত হয়ে যায় এগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার ইচ্ছা ,আশা সব কিছু প্রায় জলাঞ্জলি দিয়ে ফেলেন অনেকেই।

✅প্রথমে জোরে সরে একটা নিঃশ্বাস নিন
রোগব্যধি জীবনের অংশ .. তাকে মন থেকে প্রথমে মেনে নিন।সাহস সঞ্চয় করুন। শারীরিক মানসিকভাবে বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন ভাবে অসুস্থ। কেউ জানে কেউ জানে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আপনার রোগটি ধরা পড়েছে। আরো দেরি করে ধরা পড়লে হয়তো চিকিৎসার সুযোগ থাকতো না । আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্যান্সার রোগী এডভান্স স্টেজে ধরা পড়ে।
যখন আর সহ্য করতে পারে না তখনই শুধু ডাক্তারের কাছে যায় ।
রোগের কারণ খুঁজতে গিয়ে নিজেকে বেশি দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ আপাতত এই দোষ খুঁজে খুব একটা লাভ নেই।

✅ রোগ শনাক্ত হবার পরপরই চিকিৎসা শুরু করা দরকার।সঠিক জায়গা থেকে পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা করুন।
এসব দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য সুচিকিৎসা খুবই জরুরী।
অন্ধ বিশ্বাস এবং কুসংস্কার আপনার সুস্থ হওয়াকে বিলম্বিত করতে পারে।

✅চিকিৎসা নেওয়া এবং সাথে সাথে ফলোআপ করা। এই চিকিৎসায় আপনার রোগ আগে থেকে ভালো হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন । প্রচন্ড ব্যথা, অসহ্য যন্ত্রনাসহ অসুস্থতাজনিত কষ্টে অনেক সময় দ্রুত ফল না পেতেও পারেন। ধৈর্য্য ধারণ করুন।
একই সাথে তিন চারজন ডাক্তার না দেখে বুঝে শুনে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ।তবে দুই তিন জনের সাথে কনসাল্টেশন তো আপনি করতেই পারেন।
খুব ভালো হয় বাসায় গ্লুকোমিটার,BP machine থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে নেওয়া তাহলে বারবার ফলোআপ করা সহজ হবে।

✅ অনেকেই দীর্ঘদিনের রোগব্যধির ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচন নীতিতে চলে যান ।ক্যান্সার কিডনী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমাজসেবা থেকে কিছু সুযোগ সুবিধা আছে চোখ রাখুন। আমাদের দেশে হেলথ ইন্সুরেন্স অনেক বেশি প্রচলিত নয়। universal health care অর্থাৎ সকলের সাধ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যের সবটুকু সুযোগ এখন রীতিমতো গবেষণার বিষয়।

✅ আপনার পাশে প্রতিদিন হয়তো হসপিটালে পরিবারের কেউ না কেউ থাকছে। অনেকের কেউ থাকেনা । আমি দেখেছি পাশের বেডের মানুষজন খেয়াল রাখে। অনেক সময় তাদের খাবার থেকে খাবারও শেয়ার করে।
আপনাকে অসুস্থ অবস্থায় attendant হিসেবে যিনি বা যারা যত্ন নিচ্ছেন একটু সুস্থ বোধ করলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না।

✅ প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু লক্ষ্য থাকে। পেশাগত সফলতা বাদেও মনে মনে অনেক কিছুই সে স্বপ্ন দেখে ।ছোট ছোট করে স্বপ্ন গুলোর পেছনে সময় দিন ।নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। সন্ধ্যার পরপরই রোগব্যাধি বেশি বেড়ে যায়‌। কারণ তখন চারপাশে লোকসমাগম কমতে থাকে। এই সময় ব্যস্ততা বেশি বাড়িয়ে দিন।

✅ স্রষ্টাকে স্মরণ করুন। ধর্মীয় অনুশাসন মানুন। ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম চিকিৎসা ডিসিপ্লিন বা নিয়ম অনুবর্তিতা। এটি কিন্তু কোন ডাক্তার আপনাকে তিন বেলা শেখাবে না ।এটা আপনার হাতে।

মরার আগে মরে যাবেন না প্লিজ..
আপনার আশেপাশে অনেক মানুষ আছে তার হয়তো আপনার মত রোগবালাই নেই ...কিন্তু কোন না কোন ভাবে সেও জীবনের পরীক্ষা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আপনি সৌভাগ্যবান আপনি জানেন আপনার একটি শারীরিক সমস্যা আছে ।
অনেকে তো তাও জানে না
তার জীবনের মূল সমস্যাটা কি?

life is so unpredictable..
হঠাৎ কোন রোড এক্সিডেন্ট ও হতে পারে!!

তাই ..
ডাক্তার জীবনের সময় হাতে বেধে দিয়েছে?
ঘড়ি তো আপনার হাতে...
জীবনকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে তবেই ক্ষান্ত হবেন..
আপনিই আপনার জীবনের বস..
কোনভাবেই হেরে যাবেন না...

#দীর্ঘস্থায়ী_Non_communicable_ডিজিজের_সেবা_পরামর্শ
ডা শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা

06/09/2025

Le vie Est Belle ..

03/09/2025

Live at 40000 ft above the Indian Ocean
But couldn’t post for net issue 🙄😇
Pls consider the noise rather concentrate on my words ..if u want ..

03/09/2025

পিসিওএস কি

পিসিওএসের সাথে একটা জিনিসের সম্পর্ক খুব নিবিড় – ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।

এই রিলেশনশিপটা একটু ব্রেকডাউন করিঃ

- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মানে, আপনার শরীর অল্প ইনসুলিন দিয়ে যে কাজ সারতে পারতো, সেই একই কাজ করতে তাকে বেশি ইনসুলিন প্রোডিউস করতে হচ্ছে।

- এই বেশি ইনসুলিন গিয়ে মহিলাদের ওভারিকে একটা গুঁতা দেয়। আর সেই গুঁতা খেয়ে ওভারি তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।

- যেহেতু আপনি অন্য কাজ করার টাইম পাচ্ছেন না, সেসব কাজ জমে যাচ্ছে, অর্ধেক করে আর শেষ হচ্ছে না।

দিন শেষে, এই অর্ধেক ফেলে রাখা কাজই হচ্ছে ওভারির “পলি-সিস্ট” অর্থাৎ একাধিক সিস্ট।

আরেকটু যদি ব্যাখ্যা করি, ওভারিতে কিছু “ডিম্বাণুর থলি” জন্ম নেয় যাদের কাজ ডিম্বাণু রিলিজ করা। তারা যখন এই কাজটা ঠিকমতো করতে পারে না, এই ডিম্বাণুর থলিগুলো ওভারিতে জমে থাকে, বের হয় না। এই থলিগুলোই সেই সিস্ট। (পিসিওএস = পলি-সিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।)

★★ এইটা ম্যানেজ করবেন কি করে?

পিসিওএস যদি ঠিক করতে চান, সেই সব কাজ করতে হবে, যা ইনসুলিন রেজিসট্যান্সকে ঠিক করে। যেমন-



১। স্ট্রেংথ ট্রেইনিং কিংবা ভারী এক্সারসাইজ।

এইটা আপনার ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ৫-১৫ গুণ পর্যন্ত বাড়াবে, দিস ইজ দ্য বিগেস্ট ফ্যাক্টর।

না, হাঁটাহাঁটি, সাঁতার এইসব দিয়ে হবে না। আপনি যদি আসলেই সিরিয়াস হন, কিছু ডাম্বেল কিনেন। সিরিয়াসলি ডাম্বেল ট্রেইনিং শুরু করেন।

২। ডায়েটে পর্যাপ্ত এনিম্যাল প্রোটিন রাখতে হবে।
প্রতি কেজি ওজনের জন্য অন্তত ১ গ্রাম প্রোটিন ফ্রম চিকেন, ফিশ, এগ। আরো বেশি হলে আরো ভালো।

৩। চিনির কথা ভুলে যান, কার্বোহাইড্রেট যথাসম্ভব ম্যানেজ করতে হবে..অর্থাৎ কম মিষ্টি ফল, সবজি, ওটস, ডাল – এগুলো হবে মূল কার্বোহাইড্রেট সোর্স। ভাত বা রুটি যথাসাধ্য কমিয়ে আনতে হবে।

৪। ঘুম ঠিক করেন, রাত ১১ টার মধ্যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে হবে। ঘুম ঠিক না করে যে কোন হরমোনাল ইস্যু ঠিক করা স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার সামিল।

সো এই ৪ টা কাজ আগে ঠিক করেন, ৮০% কাজ হয়ে যাবে।

Collected

01/09/2025

আজ আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস ✍️

কাকে লিখব,কি নিয়ে লিখব এখনো জানিনা..

কিন্তু প্রচুর পরিকল্পনা নিয়ে লেখালেখি আরম্ভ করলাম।
হালকা অন্ধকার শীতল কক্ষে একটু নরম আলো, পায়ের উপর কম্বল নিয়ে‌ মার্থাকে বললাম আর এক মগ কুসুম গরম পানি দিতে ।মার্থা খুবই অবাক। যেখানে সবাই দারুন সব জুস, কফি, চা পান করছে ,সেখানে আমার প্রতিবারের চাহিদা একটাই -প্লেইন ওয়াটার!

পরের চাহিদা একটা খোলা জানালা! লিখতে লিখতে জানালা দিয়ে আকাশ বাতাস প্রকৃতি পাখি দেখা আমার অভ্যাস।
আজকের জানালা কোনভাবেই খোলা সম্ভব না।
যদিও ইহা আমার ইহজীবনের সবথেকে মুগ্ধকর জানালা।

এ জানালায় যেসব দৃশ্য ফুটে উঠেছে তা আমার দুচোখ কোনদিন তো দেখেনি। কখনো ৪০০০০ ফুট উপর থেকে ভারত মহাসাগরের বিশাল জলরাশি , কখনো ইথিওপিয়ার সবুজ পাহাড়ের উপর জমে থাকা সাদা মেঘ।

যে সকল মেঘ নতুন,এখনো সুগঠিত হয়নি, শিমুল তোলার মতো ছাড়া ছাড়া,উড়ে উড়ে বেড়ায়, অতি চঞ্চলতার কারণে তাদের পোস্টিং একদম নিচে, পেরিফেরিতে। আমাদের উপজেলার পোস্টিং এর মত। সাধারণ ঝড় বৃষ্টি এদের দায়িত্ব।

এদের উপরে থাকে সিনিয়র মেঘ। সিনিয়র হিসেবে যতোটুকু ওজন থাকা দরকার তা তাদের চেহারায় বিদ্যমান। দেখতে প্রকাণ্ড এবং বেসাইজ(!) এই স্তর দিয়ে প্লেন কখনো অতিক্রম করলে প্লেনের প্রোপেলারকে এরা খুব ভদ্রভাবে তাদের অস্তিত্বের জানান দেয়! মোটামুটি এই স্তরের মধ্যে দিয়েই আমাদের ডমেস্টিক প্লেনগুলোর যাত্রা শেষ হয়।

একদম সর্বোচ্চ স্তরের মেঘ গুলো অত্যন্ত স্থির । শান্ত। এদের সাথে আজ আমার প্রথম দেখা। দূর থেকে দেখলে এক অনন্ত শুভ্র ফেনার সমুদ্র বলে মনে হয়। একরৈখিক এই স্তরেও হঠাৎ করে একটা দুটো মেঘের দলা দৃশ্যমান হয়। হয়তো মেঘ সমাজের প্রচলিত চিন্তার চেতনা কুসংস্কার ভেদ করে তারা অসীম পানে ধাবমান ‌। হয়তো আর কিছুক্ষণ পর আয়ন মন্ডলের কাছে আসলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে... তারপরও ....

ভারত মহাসাগরের উপর তেমন কোন মেঘ নেই।
জানালা জুড়ে শুধু নীল আর নীল।

সমস্ত বিজনেস ক্লাসে আমার সিনিয়র ও সহকর্মীরা গত এক সপ্তাহের সমস্ত ক্লান্তি জড়ানো চোখে ঘুমাচ্ছে তখন আমার দুই পোড়া চোখে কোন ঘুম নেই। এত নীল রেখে ঘুমানো যায় বুঝি!!

ভারত মহাসাগর, তুমি জানো না তোমার সাথে যে বঙ্গোপসাগর আছে তার বুকের মধ্যে খুব ছোট্ট একটা সবুজ বাড়ি রেখে এসেছি আমি!

তোমার শাখা জলের ধারা তার সমস্ত শরীরে আঁকি-বুকি করে পদ্মা মেঘনা যমুনার সাথে মিশে গেছে । সাথে জন্ম দিয়েছে আইলা সিডোরের মতো দুর্যোগের! আমরা আমাদের চোখের জল মুছতে পারিনি কারণ এই চোখের জল মোছার জন্য গোটা বঙ্গোপসাগরের জল মুছে ফেলতে হয়।
আর তা করতে গেলে তোমাকেও.....

তোমাকে যেমন মোছা যাবে না ঠিক তেমনি আমার সবুজ বাড়ির উর্বরতাও নিশ্চিহ্ন হবে না।যুগ যুগ ধরে তুমি আমার সবুজ বাড়ির রুপ লাবণ্য পাহাড়া দেওয়া এক অতন্দ্র প্রহরী।

জানো, হাজার অস্থিরতায় আমার সেই সবুজ বাড়ির লোকেরা যন্ত্রণাদগ্ধ মন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমায় !!
সুখের সন্ধান পেলে আর ফিরে আসে না!

কিন্তু আমি পাড়ি দিয়েছি ফিরবো বলে..
আমি যে আমার বাড়ি ছাড়া কিছুই বুঝিনা..

যদি আমি ফিরতে না পারি
যদি আমার নিথর দেহ ফেরে
তবে আমি কথা দিচ্ছি,
সেও প্রতি সেকেন্ডে সেই লাল সবুজকে সম্মানিত করবে
ইন শা আল্লাহ্!!

জানো আমরা ভীষণ অলস জাতি। নিরোর বাঁশিতে আগুন না লাগা পর্যন্ত আমরা দৌড়াই না। তার উপরে আমার বংশ আর এক ধাপ অলস প্রাচীন জমিদার বংশ। এই বংশে কেউ কখনো চাকরি করেনি। কারো অধীনস্ততা বরণ করেনি।
সেই বংশে প্রথম মুকুটধারী সন্তান হয়ে পরের অধীনে থেকে বিদেশ বিভূয়ে গমন অত্যন্ত হতাশা জনক!

কিন্তু আমি আমার জীবনকে মথুরাপুরের সাম্রাজ্যের মধ্যে রাখতে চাইনি। জীবনের যেই মুহূর্তে যুদ্ধে যাওয়া প্রয়োজন সেই মুহূর্তে আমি যুদ্ধে যেতে চেয়েছিলাম। নিজ চোখে আমি এই মেঘ এই আকাশ এই তোমাতে অববাহন করাতে চেয়েছিলাম।
কাউকে বলিনি।
স্রষ্টা কখন আমার এসব গোপন ইচ্ছা খবর নিয়েছেন।
তা আমি জানতাম না।

আমার দেশ থেকে তোমার এখানে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ৫ ঘন্টা আলো দেখতে হচ্ছে।চোখ জ্বলে পুড়ে ছারখার।
কত চেষ্টা করলাম ১২ ঘণ্টায় একটুও ঘুম আসলো না। মহাসাগরের উপর ঘুমানো যায় বুঝি?
আদ্দিস আবাবা এয়ারপোর্টে নামার পর এক ঝলক মিষ্টি বাতাস গায়ে লাগার পর অনুভব করলাম 'হাওয়া বদল' হয়ে গেছে! জানালায় আলো বদল হয়ে নেমে এলো সন্ধ্যা।

দুই তিন বার বিদ্যুৎ চমকানোর ঝলক। সিনেমার ক্লাইম্যাক্স এর মত প্লেনে বেশ কয়েকবার প্রচন্ড ঝাঁকুনি।

আশ্চর্য!এইবার ঘুম পাচ্ছে।
প্লেন এখন যেভাবে চলছে এটা আমার খুব পরিচিত।
বহু বছর ধরে যশোর খুলনা রুটের গড়াই বাসে এমন ঝাকিতে আমার দারুন ঘুম হতো!!

ঘুমিয়ে গেলাম, কেমন?

ছোটবেলার মফস্বলের দুপুরগুলোতে বিভূতিভূষণের 'চাঁদের পাহাড়' বুকে নিয়ে যেভাবে ঘুমাতাম!
কে জানতো আলভারেজের চোখে যে আফ্রিকা আমি দেখেছিলাম, তা কোনদিন সত্যি আমার চোখে ধরা দেবে!!!!

Journey begins Alvarez !
This time for Africa !

পুনশ্চ
চিঠি পোস্ট করলাম
ভারত মহাসাগরের আকাশে
প্রতি ভারত মহাসাগর
ইতি বঙ্গ কন্যা

01/09/2025

28/08/2025

Next posting
Democratic republic of Congo ..
🇧🇩🇨🇩
Pls keep me in your prayers ..

27/08/2025

It’s a long journey
It’s all about us ..

20/08/2025

ঠিকমত বাড়ছে তো আপনার শিশু?

18/08/2025

Last sign as MOCS ,
Civil surgeon Office Khulna ..
Pls keep me in your prayer ..
Next posting DG Health Dhaka ..

14/08/2025

আমরা রাতে ঘুমিয়ে গেলে আমাদের শরীর কি কি করে জানেন?

👉.রাত ৯-১১টা :
এসময় আমাদের শরীর আমাদের লসিকা গ্রন্থীদের জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশনের কাজ করে। আমাদের immune সিস্টেমকে boost up করে।

👉. রাত ১১-১টা. : এই সময় আমাদের লিভার (liver)বা যকৃত আমাদের শরীরের নানা টক্সিক পদার্থ দূরীকরণের কাজ করে , সাথে সাথে নিজেকে পুনজ্জীবিত করে পরের দিনের কাজের জন্য।

👉. রাত ১-৩টা. : এসময় আমাদের গল ব্লাডার gall bladder আমাদের শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ বের করতে শুরু করে।

👉. রাত৩-৫টা . : এসময় toxic elimination এর কাজ করে ফুসফুস Lungs .

👉. ভোর ৫-৭টা. : এসো বৃহদন্ত্র(colon) আমাদের শরীরের বজ্র পদার্থ বের করে।

এই ঘন্টাগুলো আমাদের শরীরের স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল ব্লক অনুযায়ী কাজ করতে থাকে এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই এই সময় গুলো আমাদের শরীর বিশ্রাম নেই নিজের ক্ষয় পূরণ করে বিষাক্ত জিনিস দূর করে এবং নিজেকে পুনরায় করে দিনের জন্য পুরজ্জীবিত করে।

এজন্য
✅ আপনার রাতের ঘুম ৭/৮ঘন্টা হাওয়া বাঞ্ছনীয়। এটা রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা হলে ভীষণ ভালো।

✅ রাত্রে ৮টার মধ্যে Dinner খেয়ে ফেলুন.
এতে আপনার শরীরের সারারাত ঘন্টায় ঘন্টায় যে কাজগুলো সম্পন্ন হতো এই সেগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারবে ।এসময় হেবি ফুড খেয়ে আপনার লিভার গলব্লাডার কে সারাদিনের কাজের সাথে অতিরিক্ত লোড চাপিয়ে দেবেন না।
বিকাল পাঁচটার পর থেকে আর হেভি ফুড খাবেন না।

✅কোনভাবেই রাত জাগবেন না, রাত ১-২টা যদি ঘুমাতে যান এর আগে দুই ঘন্টা liver lymph node তারা কিন্তু তাদের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারছে না। অনেকেই সপ্তাহের ছয় দিন প্রচন্ড পরিশ্রম করে ছুটির দিনে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নিতে চান। বাস্তবে দিনের কাজ দিনে না হলে সেটা পূরণ হওয়াটা খুব সহজ নয়।

✅ভোর বেলায় ওঠা অভ্যাস করুন। ভোরবেলা ওঠার হাজার উপকারীতা রয়েছে। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা আপনার এনার্জি আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় বহু গুণ। সাথে সাথে আপনার colon কে সাহায্য করুন। আপনার এই নিয়মিত অভ্যাসটি Bowel Habit সংক্রান্ত সমস্যা গুলো অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।

✅সকালে উঠেই এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেলুন ।colon এতোক্ষণ যথেষ্ট কাজ করেছে তাকে বিশ্রাম দিন। সকালের দিকে এক গ্লাস পানি আপনার colon কে পুরোপুরি পরিষ্কার করবে।পরিপাকতন্ত্রকে অনেক বেশি পুষ্টি শোষণ করতে তৈরি করবে।

✅রাতে ঘুমানোর সময় আপনার সেলফোনটি আপনার কাছ থেকে দূরে রাখুন অথবা অফ করে রাখুন। আপনার ফোন আপনার শরীরের সাথে লেগে থাকলে আপনার শরীরের এনার্জির প্রায় ২০% খরচ করে। ফোনের ব্যাটারি যদি ১০% এর কম থাকে তাহলে রেডিয়েশন হয় ১০০০ গুণ বেশি।যা অত্যন্ত বিপদজনক। তাই ঘুমের ঘোরে কম চার্জের সেলফোনে কল আসলে না ধরাই উত্তম ।

✅খাবারের পরপরই শুয়ে পড়বেন না। ৩০মিনিট হাঁটবেন এটা শুধু স্বাস্থ্য নয় ।হাদিস ও একই কথা বলে ।

✅ভোরে ফজরের নামাজের ৫-১০ মিনিট প্রচন্ড সাইন্টিফিক। ঘুম থেকে ওঠা, ব্যালেন্স অফ Hormone , মেডিটেশন আর আধ্যাত্মিক উপকারিতার কথা নাই বা বললাম। আমার জানামতে অন্যান্য ধর্মেও একই ভাবে ভোর বেলার উপকারিতার কথা বলা আছে।

আজ এ পর্যন্তই । লেখাটি লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছি কাস্টার এসওয়েল এর স্বাস্থ্য কথা থেকে।

আজ ছুটির দিন।
হাতে সময় থাকলে একটু না হয় স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খেয়াল নিলেন।