
27/06/2025
কিছু বিভ্রান্তি ও বাস্তবতা
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে, যেন এক চোর জুতা চুরি করল, অথচ মসজিদের সকল মুসল্লিকেই চোর বলা হচ্ছে। চোর হয়তো মুসল্লির বেশে মসজিদে গিয়েছিল। কিন্তু তাই বলে পুরো মুসল্লি সমাজকে দোষারোপ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? এভাবে চিন্তা করলে আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়, যা যার যার প্রেক্ষাপটে মিলিয়ে দেখা যেতে পারে।
একজনের ভুলের কারণে পুরো একটি চিকিৎসা পদ্ধতির সম্মানহানি করা এক ধরনের তথ্যসন্ত্রাস ও অন্যায়। এটি যেমন বিভ্রান্তিকর, তেমনি অমানবিকও।
আমরা সবসময়ই বলি—চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। ভুয়া ও অপচিকিৎসকের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এজন্য যেমন সরকারের ও প্রশাসনের দায়িত্ব আছে, তেমনি আমাদের সাধারণ মানুষেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
চিকিৎসা গ্রহণের আগে আমরা যেন নিশ্চিত হই—চিকিৎসক রেজিস্টার্ড কিনা, তার নৈতিকতা, অভিজ্ঞতা ও দায়িত্ববোধ কেমন। কারণ একজন প্রকৃত, রেজিস্টার্ড এবং নৈতিক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক কখনোই লোভে পড়ে অপচিকিৎসা করবেন না। ইনশাআল্লাহ, সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে না।
সর্বোপরি, একজন চিকিৎসকের (!) জন্য সম্পূর্ণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে দোষারোপ করা অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য। হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন—এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এমন অনেক নজির আছে যেখানে গতানুগতিক চিকিৎসায় সুরাহা না পেয়ে শেষমেশ হোমিওপ্যাথিতেই রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।
সংযুক্ত ছবিটি একটি প্রাসঙ্গিক উদাহরণমাত্র। এরকম শত শত বাস্তব ঘটনা আমাদের চারপাশেই বিদ্যমান। বরং স্কিন ডিজিজেই হোমিওপ্যাথি সবচেয়ে বেশি সফল।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
~ Dr. Sujan Ahmed