28/10/2023
ফ্রেশ ডেন্টাল সার্জারী-২
"সুস্থ দাঁত, সুস্থ আমি"
সুস্থ দাঁতের জন্য করণীয়
১। প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে সঠিক নিয়মে ২/৩ মিনিট দাঁত ব্রাশ করুন।
২। দাঁতের মাজন হিসেবে টুথ পাউডার, করলা, শুন, ছাই, মাটি, লবন ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ২/৩ মাস পর পর পেস্টের ব্র্যান্ড বদলানো উচিৎ।
৩। দাঁতে জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করতে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন।
৪। পান, সুপারি, সাদাপাতা, জর্দা, চুন, গুল, বিড়ি, সিগারেট, মাদক দ্রব্য ইত্যাদি সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো মুখের ক্যান্সার এবং দুর্গন্ধের অন্যতম কারন। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে / মুখে দুর্গন্ধ হলে / দাঁত অল্প নড়ে গেলেই ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন
৫। দাঁতের গর্ত / ক্ষয় রোগের একমাত্র চিকিৎসা ফিলিং করা। ব্যথা হওয়ার পূর্বেই ফিলিং করতে হয়, ব্যথা হয়ে গেলে রুট ক্যানাল করতে হয় যা সময় ব্যয় সাপেক্ষ।
৬। রুট ক্যানাল চিকিৎসার পর ক্যাপ / ক্রাউন করে নেয়া ভাল। তাতে দাঁত ভাঙ্গার সুযোগ কম থাকে।
দাঁতের উপকারী খাদ্য
১। আঁশযুক্ত খাদ্য (ফল, শাক সবৃদ্ধি ইত্যাদি)।
২। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (দুধ,পনির,দধি ইত্যাদি) ।
৩। ভিটামিন সি (আমলকি, লেবু, টমেটো, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি)।
৪। ভিটামিন ডি (দুধ, ডিমের কুসুম, কলিজা, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি)।
দাঁতের অপকারী খাদ্য
১। মিষ্টি ও অন্যান্য আঠালো শর্করা জাতীয় খাদ্য (বিস্কুট, পটেটো চিপস, পাউরুটি, চা, কফি, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি)।
২। তামাক সমৃদ্ধ দ্রব্য (বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি)
মুখের আর্দ্রতার জন্য প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন ।
মনে রাখবেন
১। দন্ত চিকিৎসা কেন্দ্র ও হাতুড়ে চিকিৎসকের অভাব নেই। তাই চিকিৎসা গ্রহনের পূর্বে চিকিৎসক সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিতে হবে। অন্যথায় আপনি অপচিকিৎসার প্রতারিত হবেন।
২। দাঁতের পোকা বলে কিছু নেই। দাঁতে গর্ত / বাধা হলে ফেলে না দিয়ে ব্যথামুক্ত অবস্থায় রাখা যায় ।
৩। স্কেলিং / ওয়াশ করালে দাঁত নড়ে যায় বা ক্ষতি হয় এ ধারনা ভুল বরং দাঁতের মাড়ি আরও মজবুত হয়।
৪। দাঁত ফেললে চোখের ক্ষতি হয় না।
৫। ভাঙ্গা ও অস্বাস্থ্যকর দাঁত মুখের ক্যান্সারের অন্যতম কারন।
৬। প্রতি ৬ মাস অন্তর দত্ত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহনে অনেক রোগ অল্প অবস্থায় ধরা পরে এবং অল্প খরচে চিকিৎসা করা যায়।
রোগীর জন্য করণীয়
১। দাঁতের চিকিৎসা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অনুগ্রহপূর্বক ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন।
২। আপনি যদি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই ডাক্তারকে জানান।
৩। আপনি যদি গর্ভবতী মহিলা হন তা ডাক্তারকে অবহিত করুন।
৪। একটি সুষিত দাঁত শরীরের নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি করে এবং অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলোর (ব্রেইন, ফুসফুস, হার্ট, লিভার ও কিডনী ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই দ্রুত দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫। সব ধরণের মাজন বর্জন করুন। মাজন দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। ফলে ঠাণ্ডা ও গরম পানি ব্যবহারে দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয়।
আপনার আস্থা
ডা: শরিফ মাহবুবুল আলম (বি ডি এস ডেন্টাল সার্জন)
Sharif Mahbubul Alam
ফ্রেশ ডেন্টাল সার্জারী
পাঁচ মাথা মোড়, সৈয়দপুর, নীলফামারী।