Naznin Ferdous - বাং

Naznin Ferdous - বাং Naznin Ferdous Shoheli
MBChB, Undergraduate, Keele University

আজকে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করবো ।ব্রেইন স্ট্রোকব্রেইন স্ট্রোক হলো একটি স্নায়বিক অবস্থা যেখানে রোগ...
20/02/2023

আজকে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করবো ।

ব্রেইন স্ট্রোক

ব্রেইন স্ট্রোক হলো একটি স্নায়বিক অবস্থা যেখানে রোগী একটি কেন্দ্রীয় ঘাটতি যেমন শরীরের অর্ধাংশের দুর্বলতার, জড়ানো কথা অথবা হঠাৎ চেতনা হারানোর মতো ঘটনা ঘটে।

স্ট্রোক তিন ধরনের হয়ে থাকে।
১. মাইল্ড স্ট্রোক
২. ইসকেমিক স্ট্রোক
৩. হেমোরেজিক স্ট্রোক।

মাইল্ড স্ট্রোকে রোগীর মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ সাময়িক বন্ধ হয়ে আবারও চালু হয়। এটি মূলত বড় ধরণের স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ।
ইসকেমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কের ও শরীরের অন্যান্য স্থানের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধে।
হেমোরেজিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কের মধ্যে অথবা আশেপাশে রক্তপাত। মস্তিষ্কের কোষগুলি মারা যায়, যখন তারা আর অক্সিজেন পায় না এবং রক্ত থেকে পুষ্টি হয় না অথবা সেখানে মস্তিষ্কের মধ্যে অথবা আশেপাশে হঠাৎ রক্তপাত শুরু হয়।

ব্রেইন স্ট্রোকের উপসর্গগুলি কী কী?

১. হাত, পা অথবা মুখের – বিশেষ করে শরীরের একটি দিকের হঠাৎ দুর্বলতা অথবা অসাড় হওয়া।
২. হঠাৎ বিভ্রান্তি, বুঝতে অথবা কথা বলতে অসুবিধা।
৩. হঠাৎ উভয় অথবা একটি চোখে দেখতে অসুবিধা।
৪. হঠাৎ মাথা ঘোরা, হাঁটতে অসুবিধা, ভারসাম্য অথবা সমন্বয় রাখতে অসুবিধা।
৫. হঠাৎ অজানা কারণে গুরুতর মাথা যন্ত্রণা।

[স্ট্রোক মস্তিস্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাই, ব্যক্তি হয়তো তার নিজের সমস্যাটি চিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ অথবা পথচারীর কাছে, স্ট্রোকের রোগীকে হয়তো অজ্ঞাত অথবা বিভ্রান্ত মনে হতে পারে, যেহেতু স্ট্রোক, বিপথগামীতা, অনুধাবন ক্ষমতা এবং চেতনা হারানো রুপে আসতে পারে]

স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণগুলি কী কী?
১. রক্তে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে।
২. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে। হৃদরোগ থাকলে।
৩. মানসিক চাপ, অতিরিক্ত টেনশন, প্রিয়জনের থেকে পাওয়া কস্ট, অবসাদের মতো মানসিক সমস্যা থাকলে ।
৪. সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে, কায়িক পরিশ্রম না করলে, ওজন অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে। আবার অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে ।
৫. অস্বাস্থ্যকর অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। বিশেষত অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার ও পানীয় খেলে।
৬. ধূমপান, তামাক-জর্দা বা অন্যান্য মাদক সেবন, মদপান। ইত্যাদি কারন হতে পারে ।

[ বিশ্বব্যাপী, 4 জন ব্যক্তির মধ্যে 1 জন ব্যক্তির সারাজীবনে ব্রেইন স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে ]

কিভাবে স্ট্রোক প্রতিরোধ করবো?
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : অর্ধেকেরও বেশি স্ট্রোক উচ্চ রক্তচাপের সাথে জড়িত। রক্তচাপ জানা এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তনের সাথে অথবা ঔষধের সাথে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা, আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।

২. প্রতি সপ্তাহে 5 বার ব্যায়াম : সমস্ত স্ট্রোক এক তৃতীয়াংশের বেশি সেই ব্যক্তিদের ঘটে যারা যথেষ্ট ব্যায়াম করেন না – প্রতি সপ্তাহে 20-30 মিনিট ব্যায়াম আপনার স্ট্রোকের হার হ্রাস করে।

৩. কোলেস্টেরল হ্রাস করা : 4 টি স্ট্রোকের 1 টি “খারাপ” এল ডি এল কোলেস্টেরলের উচ্চ স্তরের সাথে জড়িত। সম্পৃক্ত চর্বি কম খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা এবং ব্যায়াম আপনার ঝুঁকি কমাতে পারে। যদি আপনি সুস্থ কোলেস্টেরল স্তর, জীবনযাত্রা পরিবর্তন বজায় রাখতে পারেন, আপনার ডাক্তার হয়তো আপনাকে সাহায্যের জন্য ঔষধ দিতে পারেন।

৪. সুস্থ ওজন বজায় রাখা : 5 টি স্ট্রোকের মধ্যে প্রায় 1 টি স্ট্রোক স্থূলতা অথবা অতিরিক্ত ওজনের সাথে জড়িত। সুস্থ দেহ ভর একক (বিএমআই) বজায় রাখা অথবা নিতম্ব – কোমর অনুপাত বজায় রাখা আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকির হার হ্রাস করতে পারে।

৫. ধূমপান বন্ধ রাখা অথবা ধোঁয়াটে পরিবেশ এড়িয়ে চলা: প্রায় 10 টি স্ট্রোকের 1 টি স্ট্রোক ধূমপানের সাথে জড়িত। ধূমপান বন্ধ করলে আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং আপনার পাশাপাশি বাস করা মানুষজনের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। ধূমপান ছাড়ার জন্য সাহায্য নিন। এটি আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

৬. আপনার মদ্যপনের সময় কমান : 1 লাখের ও বেশি স্ট্রোক অতিরিক্ত মদ্যপানের সাথে জড়িত। যদি আপনি মদ্যপান করেন, এক দিনে 1-2 এককের মধ্যে রাখুন।

৭. অলিন্দের ফাইব্রিলেশন চিহ্নিত এবং চিকিৎসা করুন:
অলিন্দের ফাইব্রিলেশন থাকা ব্যক্তিদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা সাধারণ জনগণের তুলনায় 5 গুন বেশি। যদি আপনার বয়স 50 এর বেশি হয়, আপনার ডাক্তারকে এ এফ স্ক্রিনিং এর ব্যাপারে কথা বলুন এবং সচেতন থাকুন যে চিকিৎসা আপনার ঝুঁকি কমাবে।

৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন : যদি আপনি মধুমেহ রোগী হন, আপনার স্ট্রোক হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। মধুমেহ এবং স্ট্রোক ছাড়াও খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের ঝুঁকি রয়েছে। যদি আপনার মধুমেহ রোগ থাকে, আপনার ডাক্তারের সাথে স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করার ব্যাপারে কথা বলুন।

৯. মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখুন : আমাদের ব্রেন স্ট্রোকের মধ্যে অন্যতম একটি কারন হলো মানসিক চাপ । পৃথিবীর স্ট্রোক রোগীদের ৬০ ভাগ এই মানসিক চাপের কারনে আক্রান্ত ।
তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা, বিষণ্ণতা, ক্রোধ এবং চিন্তা এই সবগুলি স্ট্রোক এর ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

স্ট্রোক হয়ে গেলে কিভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখবেন ? প্রতিকারঃ
১. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ।
২. অতিরিক্ত তেলচর্বি ও চিনি-লবনযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড এড়িয়ে পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলতে হবে।
৩. ধূমপান, জর্দা-তামাক, মাদক সেবন, মদপান এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমাতে হবে।
৫. শরীরচর্চা বা নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। ওজন ঠিক রাখতে হবে।
৬. প্রতি ছয়মাস অন্তর অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে, এবং চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

পরবর্তীতে কোন টপিকে আমার কাছে সল্প ধারনা নিতে চান অবশ্যই জানাবেন।
My Quote: ঔষধ/মেডিসিন এক ধরনের মাদক/পয়জন । প্রয়োজন ছাড়া ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন । নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমেই পৃথিবীর ৯৫ ভাগ রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব । ধন্যবাদ ।

নাজনিন ফেরদৌস
এমবিবিএস, ৪র্থ বর্ষ
কিলে ইউনিভার্সিটি, ইংল্যান্ড

19/01/2023

🔹একজন ইন্ট্রোভার্ট মানুষকে চিনবো কিভাবে?

◾ফোনের রিং শুনে আসতে আসতে লাইন কেটে গেলে এঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

◾বন্ধুর সংখ্যা নিতান্তই সীমিত।

◾কথা বলার চেয়ে শুনতে বেশি পছন্দ করেন। এঁরা বেশ ভালো মানের শ্রোতা।

◾মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন।

◾অকারণ আড্ডা এঁদের পোষায় না। তবে পছন্দের বিষয়ে কথা বলতে দিলে এঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা দিয়ে যেতে পারেন।

◾প্রতিবেশীরা এঁদের নাম না-ও জানতে পারেন।

◾এঁদের রাগের তুলনায় অভিমানের মাত্রাটা একটু বেশি-ই হয়ে থাকে।

◾সাধারণত ঘরকুনো। পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে বৃষ্টির দিনে লেপ মুড়ি দিয়ে নন-ফিকশন পড়া এঁদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের।

◾অনেক সময় আনস্মার্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

◾খুব কাছের মানুষ বাদে এঁদের বিশেষ দক্ষতা বা দুর্বলতাগুলো সম্পর্কেও তেমন কেউ জানে না।

◾এঁদের নিজস্ব কল্পনার জগৎ থাকে। আর তা আপনার ধারণার চেয়েও বহুদূর বিস্তৃত।

◾অতিথিরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে এঁদের উপস্থিতি টের পান না।

◾খুব পরিচিত কিছু মানুষ ব্যতিত কারো মেসেজের রিপ্লাই দিতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেন। এঁদের অনেকেই আবার বেশ গুছিয়ে কথা বলতে বা লিখতে সক্ষম।

◾বাসের সবচাইতে কোণার সিটখানা বা ক্লাসের শেষের দিকে বেঞ্চগুলোই এঁদের বেশি প্রিয়।

◾রাস্তায় হঠাৎ কোনো পরিচিতকে দেখতে পেলে এগিয়ে গিয়ে কথা বলার চেয়ে ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া বা টুক করে পাশের গলিতে ঢুকে পড়ার কাজটাই বেশি করে থাকেন।

22/10/2022

▒░ মেয়েদের বিলম্বিত বিয়ে ░▒

পড়াশোনা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ের পিড়িতে বসা এই শতাব্দীর ট্রেন্ডই বলা চলে।
কিন্তু এর প্রভাব পড়ছে পরবর্তী প্রজন্মের উপর।
বিলম্ব করে বিয়ে করার কারণে প্রথম সন্তান হচ্ছে ২৫-৩০ বছর বয়সে কারো ক্ষেত্রে ৩০ ও পেরিয়ে যাচ্ছে।
এটাকে মেডিকেলের ভাষায়
Elderly Primigravida বলা হয়।
এই বয়সে ২য় বা ৩য় সন্তান ঝুঁকিপূর্ণ না তবে প্রথম সন্তান এমন বয়সে ঝুঁকিপূর্ণ।

মায়ের জন্য ঝুকি সমূহঃ
✔ উচ্চরক্তচাপ
✔ডায়াবেটিস
✔রক্তস্বল্পতা
✔এক্লামশিয়া
✔গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ
সহ আরো অনেক ঝুকি

শিশুর ঝুকি সমূহঃ
✔পর্যাপ্ত বৃদ্ধি না হওয়া
✔জন্মগত ত্রুটি
ইত্যাদি
▬▬▬▬
ডাঃ এ.আর.এস শুভ

12/10/2022

ছেলেরা একবার শক্ত হলে, তাকে মানানো খুব কঠিন!

মানসিক রোগের কিছু লক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।1. যদি আপনি অনুভব করতে পারেন আগের চেয়ে আপনার মুখস্ত শক্তি কমে ...
28/07/2022

মানসিক রোগের কিছু লক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।

1. যদি আপনি অনুভব করতে পারেন আগের চেয়ে আপনার মুখস্ত শক্তি কমে গেছে পড়া মনে থাকছে না তাহলে বুঝতে হবে আপনি মানসিক সমস্যায় রয়েছেন।

2. অত্যধিক মুড সুইং,,,
ঘুমের পরিবর্তন (সাধারণত যে সময়টায় ঘুমানো উচিত সে সময় না ঘুমিয়ে অন্যসময়-এর ঘুমানো 12 13 ঘণ্টা ঘুমানো).

3. সব সময় ক্লান্তি বোধ কোনো কাজে মনোযোগ না দিতে পারা, কোন কিছুতেই ভালো না লাগা নিজেকে ছোট্ট বন্দি জায়গায় আটকে রাখা। ঘোরাঘুরি আড্ডা বিনোদন কোন কিছুতেই অনুভব না পাওয়া।

4. অত্যধিক দুশ্চিন্তা। সাধারণ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা।

5. হঠাৎ করে মুখের রুচি কমে যাওয়া কোন কিছু খেতে না চাওয়া আবার এতটাই রুচি বেড়ে যাওয়া সব সময় খাই খাই করা।

6. শুনতে উইয়ার্ড লাগলেও উপরোক্ত ডিপ্রেশন থাকলে ছেলেদের যৌন চাহিদা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায় , মেয়েদের একদম কমতে থাকে ইন্টারেস্ট।

7. মৃত্যু কামনা করা শুরু করে

8. স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কমতে থাকে

9. নিজেকে সবসময় তুচ্ছ ফেইলর মনে করা

10. সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বারবার ভাবতে থাকে এবং নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারা।

কারো যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় একদম অবহেলা না করে সাইক্রেটিক এর সাথে অ্যাসেসমেন্ট করা দরকার। কারণ মানসিক রোগের কারণে শারীরিক অনেক সমস্যা হয় যেগুলো আপনারা বুঝতে পারেন না।

Address

143 Vernon Road
Poynton
SK121YS

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Naznin Ferdous - বাং posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category