21/07/2024
২১শে জুলাই এর আপডেট
জুলকারনাইন সায়ের থেকে
------------
আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় একটি দেশে গেছেন এমন একজন ব্যক্তির সাথে কথা বললাম। তিনি নিজে গত তিনদিন এবং আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত যা যা দেখেছেন তার সারসংক্ষেপঃ
১. বেক্সিমকো গ্রুপের ১টি কারখানা আজ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
২. ঢাকার বেশিরভাগ পুলিশ বক্স আন্দোলনকারীরা ধ্বংস করেছে, এবং বিভিন্ন থানায় আগুন দিয়েছে।
৩. বিক্ষোভকারীরা গেরিলা কায়দায় স্ট্রিট ফাইটে লিপ্ত হচ্ছে, বিভিন্ন অলিগলি থেকে ছোট ছোট দলে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, আক্রমণ করছে।
৪. আন্দোলনে প্রায় সকল পেশার সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়েছেন, তাদের দেখে ক্লান্ত বা পরাজিত এমন কিছুই মনে হচ্ছেনা, প্রতিদিনই নতুন উদ্যোমে তারা বিক্ষোভ করছেন।
৫. বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন থেকেই ১৮জুলাই, পুলিশ লাইভ বুলেট ব্যবহার শুরু করে। গুরুতর আহত অনেকেই পরবর্তীতে হাশপাতালে রক্ত এবং চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। মৃতের আসল সংখ্যা ঘোষিত সংখ্যার তিন থেকে চারগুন হতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
৬. হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভাকারীদের উপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ফায়ার করা হয় বলে তিনি জানান। লাইভ বুলেট ব্যবহার হয়েছে কিনা এ বিষযে তিনি নিশ্চিত নন।
৭. বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে প্রচারিত সকল টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্যই তিনি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে পরামর্শ দিয়েছেন কারণ, যারাই এসব এই মূহুর্তে অপারেট করছে তারা গোয়েন্দা বাহিনীর পরামর্শ মতো করছে, রাস্তায় বের হয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার পরিস্থিতি নেই। এমনকিছু জায়গায় গিয়ে তারা লাইভ করছে বা ভিডিও করছে যেখানে কোন বিক্ষোভকারী নেই।
৮. চলমান বিক্ষোভের সাথে যুক্তরা সরকারী চাকুরীজীবি বিশেষ করে নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য এবং সরকার দলের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের টার্গেট করে আক্রমণ করছে। সরকারী স্থাপনা, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসবে হামলা চলছে। তার মতে ঢাকা শহরের অধিকাংশ আওয়মীলীগ নেতা-কর্মী গা-ঢাকা দিয়েছে, ছাত্রলীগের কর্মীরা অনেকেই আন্ডার গ্রাউনড হয়েছেন, যারা আছেন তারা খুবই সাবধানে চলাচল করছেন।
৯. এই আন্দোলন সহসা থামার কোন লক্ষন নেই কারণ পুরো দেশেই এটা ছড়িয়েছে এবং আন্দোলনে যুক্ত সকলেই একে অপরকে সহায়তা করছেন। আজ সন্ধ্যায় তিনি দেশ থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলছিলো বলে তিনি জানান, আন্দোলনে যুক্তরা কারফিউ সেভাবে পরোয়া করছেনা। তার মতে কারফিউ না দিলে রাস্তায় চলাচল করছে এমন অনেক সরকারী কর্মচারীদের উপর আক্রমণ হতো। একই কারণে দু'দিন ছুটিও দেয়া হয়েছে।
১০. তিনি মনে করছেন বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ব্যতিত এই আন্দোলন থামানো বেশ কষ্টসাধ্য হবে। c
এখন শুধু প্রয়োজন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি এবং গণ প্রতিরোধ।। ছাত্রদের একা ছেড়ে দেবেন না