11/09/2025
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি.?
এছাড়াও জানুন PFT থেকে ECG পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টেস্টগুলো সম্পর্কে
আজকের ব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরের কথা ভাবার সময় পান না। কিন্তু নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শরীরের ভেতরের সমস্যা আগেই বুঝতে সাহায্য করতে পারে। অনেক রোগ প্রথমে বুঝতে সমস্যা হয়, এবং উপসর্গ প্রকাশ পেলে তা তখন অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। এই কারণেই PFT, ECG, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, ব্লাড টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• PFT (Pulmonary Function Test) – শ্বাসনালির সমস্যা যেমন অ্যাজমা বা ফুসফুসের রোগ আগেই শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
• ECG (Electrocardiography) – হৃদ্যন্ত্রের ছন্দের সমস্যা, হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আগেই বুঝতে পারে।
• আল্ট্রাসোনোগ্রাফি – শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরীক্ষা করে বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ।
• ব্লাড টেস্ট – শরীরের হিমোগ্লোবিন, সুগার, কোলেস্টেরল ইত্যাদি পরীক্ষা করে ভবিষ্যৎ রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।
• ডিজিটাল এক্স-রে – হাড় ও জয়েন্টের সমস্যা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
• স্টুল ও স্পুটাম টেস্ট – পাচনতন্ত্র বা শ্বাসতন্ত্রের রোগ আগেই শনাক্ত করতে পারে।
• সিমেন, ইউরিন ও উরোফ্লোমেট্রি টেস্ট – পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও কিডনি-সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয়ে সহায়ক।
• ইকোকার্ডিওগ্রাফি – হৃদ্যন্ত্রের কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে শুধু রোগ ধরা পড়ে না, বরং জীবনধারায় পরিবর্তন এনে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব হয়। অনেকেই মনে করেন, পরীক্ষা করানোর দরকার শুধু অসুস্থ হলে। আসলে সুস্থ থাকা অবস্থাতেই পরীক্ষা করালে সমস্যা আগেই বোঝা যায় এবং বড় রোগ হওয়ার আগেই চিকিৎসা শুরু করা যায়।
আপনি যদি নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের প্রতি দায়িত্বশীল হতে চান, তবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা শুরু করুন। ছোট পরীক্ষা থেকেই বড় রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। মনে রাখবেন, রোগের আগে সচেতন হওয়াই স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রথম ধাপ।
আরও বিস্তারিত জানতে বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে ~
📞 আমাদের ফোন নাম্বার - 9089016161 / 8575092597
📍 আমাদের ঠিকানা - কর্নেল চৌমুহনী, আগরতলা, পশ্চিম ত্রিপুরা