
30/08/2025
গবেষণায় দেখা গেছে ওজন বেড়ে গেলে বিশেষ করে পেটের চারপাশে, লোয়ার ব্যাকের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডকে সামঞ্জস্যহীন অবস্থায় রাখে, ডিস্কে চাপ পড়ে এবং পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। মাত্র ৫ কেজি অতিরিক্ত ওজনও ক্রনিক ব্যাক পেইনের ঝুঁকি ২০–৩০% পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
অতিরিক্ত পেটের চর্বি কেন্দ্রীয় ভারসাম্যকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। মেরুদণ্ডকে সামঞ্জস্য রাখতে হলে পিছনের পেশী ও ডিস্কে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে ব্যথা, টেনশন, অস্বাভাবিক বাঁক ইত্যাদি হতে পারে। তবে ভাল খবর হলো ওজন কমানো, সঠিক ভঙ্গিমাতে বসা, এবং ব্যায়াম ব্যাকপেইন অনেকাংশে কমাতে পারে। গবেষণা দেখিয়েছে যে লাইফস্টাইলে এমন ছোট পরিবর্তনও উল্লেখযোগ্য আরাম এবং ব্যথা হ্রাস দিতে পারে।
সূত্র: PubMed, 2022–2023 clinical studies...
আপনার ওজন কোন পর্যায়ে আছে সেটা জানার উপায় হলো BMI (Body Mass Index)। ওটি বের করার সূত্র খুবই সহজ।
BMI সূত্র:
ওজন কেজিতে লিখুন
_____________________
(উচ্চতা মিটারে লিখুন)^২
উদাহরণ: ওজন = 70 কেজি, উচ্চতা = 1.75 মিটার
BMI =
70 / (1.75)^2
= 70 / 3.0625
= 22.9
BMI ফলাফল 18.5 এর নিচে আসলে আপনার ওজন কম। বাড়াতে হবে।
BMI ফলাফল 18.5 থেকে 24.9 এর মধ্যে আসলে আপনার ওজন স্বাভাবিক। নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
BMI ফলাফল 25 থেকে 29.9 এর মধ্যে আসলে আপনার ওজন বেশি। কমাতে হবে।
BMI ফলাফল 30 এর বেশি আসলে আপনার ওজন অস্বাভাবিক বেশি বা স্থূলকায়। দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
BMI একদম সাধারণ মানুষ যিনি ভারী ব্যায়াম করেন না এবং যার পেশিবহুল শরীর নেই তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একজন এ্যাথলেট যদি পেশিবহুল শরীর নিয়ে BMI এর থেকে বেশি ওজন ধারন করেন সেক্ষেত্রেও তার শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না কারন পেশি মজবুত হলে হাড়ের ওপর চাপ কমে যায় ফলে ইন্জুরি হবার সমস্যা কমে।
অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পেইজে মেসেজ করুন।
আমাদের অনলাইন 2 দিনের ট্রায়াল ক্লাসে যুক্ত হতে Registration করুন মাত্র Rs 99/- এ।