Gopalnagar, Bankura

Gopalnagar, Bankura Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Gopalnagar, Bankura, SIMLAPAL, BIKRAMPUR, Bankura.

02/04/2024

#অরণ্য বাঁচান #

সচেতনতা মূলক post,
24/08/2023

সচেতনতা মূলক post,

15/06/2020

সাপের কামড়? ‘রুল অফ ১০০’ জানলেই বাঁচা সম্ভব ♦

রাতে বিছানায় উঠে আসে বিষধর কালাচ৷ কেন ওঠে? গোখরো, কেউটের কামড়ে মৃত্যু হচ্ছে আকছার৷ আর যেন কারও প্রাণ না যায়৷ তবে সাপ মারবেন না৷ ওরা শত্রূ নয়৷ জেনে রাখুন বিষধরদের মতিগতি৷ সাপ কামড়ালে ঝাড়ফুঁক নয়, ‘রুল অফ ১০০’ জানলেই বাঁচা সম্ভব৷ কীভাবে?

পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশে(ভারতে) প্রতিবছর সাপের কামড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷ বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা লক্ষাধিক৷ অথচ অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের দেশে থেকে অনেক বেশি বিষধর সাপ থাকলেও মৃত্যু হয় পাঁচবছরে সাকুল্যে দুই থেকে তিন জনের৷ আসলে আমাদের দেশে এখনও বহু মানুষ সর্পদংশনের পর ডাক্তারদের তুলনায় ওঝা, ঝাড়ফুঁকের উপর বেশি ভরসা রাখে৷ ফলে রোগী গুরুত্বপূর্ণ প্রথম কয়েক ঘণ্টা (গোল্ডেন আওয়ার) বিনা চিকিৎসায় নষ্ট হয়ে যায়৷ সমীক্ষা অনুযায়ী সাপে কাটা রোগীদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে আসেন৷ জনমানসে ভ্রান্ত ধারণার ফলেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে৷

ঘাতক
ভারতে প্রায় আড়াইশো প্রজাতির সাপ আছে, তার মধ্যে ৫২টি প্রজাতি বিষধর৷ এর মধ্যে ৪০টিরও বেশি প্রজাতির সাপ সামুদ্রিক৷ পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ছটি বিষধর প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়৷ এর মধ্যে চারটি সাপের কামড়েই বেশি মৃত্যু হয়৷

#গোখরো
ফণাধর ও নার্ভবিষযুক্ত৷ এদের ফণার পিছনে ইংরাজি ইউ অক্ষরের মতো একটি চিহ্ন� থাকে৷ যাকে খড়ম চিহ্নও বলা হয়৷ এদের কামড়ে ক্ষতস্থানে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং ক্রমাগত ফুলতে থাকে৷ এদের স্থানীয় নাম খরিস৷ এক ছোবলে ১৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ ঢালতে পারে৷

#কেউটে
ফণাধর ও নার্ভবিষযুক্ত৷ এদের ফণার পিছনে থাকে পদ্মচিহ্ন�৷ এদের স্থানীয় নাম আলকেউটে, কালকেউটে, শামুকভাঙা৷ বিষের মারণডোজ ১৫ মিলিগ্রাম৷

#চন্দ্রবোড়া
এই সাপের বিষ রক্তকণিকা ধ্বংস করে৷ এটি বাংলার একমাত্র হিমোটক্সিক সাপ৷ এই সাপ সবথেকে বেশি প্রাণ কাড়ছে বাংলায়৷ সাপটি মোটা চেহারায়৷ বাদামি বা কাঠ রঙের৷ ফণাহীন সাপ৷ গায়ে চন্দন হলুদ চাকা চাকা দাগ৷ এরা কামড়ালে রোগীর রক্ততঞ্চনের গন্ডগোল হয়৷ চিকিৎসায় দেরি হলে রোগীর কিডনি নষ্ট হতে থাকে৷ মূত্রে রক্ত এসে যায়৷

#কালাচ
এটি ভয়ংকর বিষধর৷ রহস্যময় সাপ৷ ফণাহীন মাঝারি চেহারার এই সাপটির গায়ের রং কালো, তার উপর সরু সরু সাদা ব্যান্ড৷ দিনের বেলা এদের প্রায় দেখাই যায় না৷ রাতে এরা খোলা বিছানায় উঠে আসে৷ কেন ওঠে তা আজও অজানা৷
এছাড়া আছে মারাত্মক বিষধর শাঁখামুটি সাপ৷ চেহারায় বেশ বড়৷ গায়ের রং উজ্জ্বল হলুদ আর কালোর উপর ব্যান্ড৷ এরা খুবই শান্ত প্রকৃতির৷ সাধারণত মানুষকে কামড়ায় না৷

#বিষহীন_সাপ
ঘরচিতি, কালনাগিনী, দাঁড়াশ, লাউডগা, তুতুর, লালবাড়ি বোড়া, বেত আছড়া, অজগর, জলঢোঁড়া, মেটেলি, জলমেটেলি৷

#সামুদ্রিক_সাপ
চ্যাপ্টা লেজের সামুদ্রিক সাপ ভীষণ বিষধর৷ এই ধরনের সাপ কামড়ালে প্রাণে বাঁচানো মুশকিল৷ এএসভি ইঞ্জেকশন এই সাপের কামড়ে কাজ করে না৷

প্রাথমিক চিকিৎসা
‘RIGHT’ ফর্মুলা মাথায় রাখতে হবে৷ R(Reassurance)–প্রথমে রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে৷ কারণ রোগী খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন৷ আতঙ্ক মৃত্যু ডেকে আনতে পারে৷ রোগীকে বোঝান সাপের কামড়ে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিত্সার ফলে বেঁচে উঠেছে৷ আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন৷

I(Immobilization)–যত কম নাড়াচাড়া হবে, তত কম হারে বিষ সারা শরীরে ছড়াবে৷ স্কেল বা বাঁশের টুকরো সহ হাতে বা পায়ে (যে অংশে কামড়াবে) কাপড় দিয়ে হাল্কা করে বেঁধে দিন৷ হাত বা পা যাতে তিনি ভাঁজ করতে না পারেন তাই এই ব্যবস্থা৷

GH(Go to Hospital)–ফোন করে জেনে নিন আপনার নিকটতম হাসপাতালে এএসভি, নিওস্টিগনিন, অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাড্রিনালিন আছে কি না৷ মাথায় রাখবেন, সাপের কামড়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা একটি ব্লক প্রাইমারি হেল্থ সেণ্টারেই সম্ভব৷

T(Tell Doctor For Treatment)–হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে বলুন৷ রোগীর কথা জড়িয়ে যাওয়া, নাকি সুরে কথা বলা, চোখের পাতা পড়ে আসা এগুলি লক্ষ্য করতে চিকিৎসককে জানান৷

#রুল_অফ_১০০
সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার এএসভি শরীরে প্রবেশ করালে রোগী বেঁচে যাবে৷
খেয়াল রাখুন, ডাক্তারকে বলুন
পথে আসার সময় কামড়ের জায়গায় ফোলা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ঠিক কত সময় আগে রোগী বলছেন যে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে৷ কতক্ষণ পর্যন্ত রোগী কথা বলতে পেরেছেন৷

কী করবেন
• শান্ত থাকবেন
• কাছাকাছির মানুষজনকে ডাকবেন৷
• হাতে ঘড়ি বা চুড়ি, বালা থাকলে খুলতে হবে৷
• ক্ষতস্থান যত সম্ভব স্থির রাখতে হবে৷
• যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে৷

কী করবেন না
• কোনওরকম বাঁধন দেবেন না৷
• কামড়ের জায়গায় কোনও কেমিক্যাল লাগাবেন না৷
• কামড়ের স্থানে ঠান্ডা, গরম, বরফ জল দেবেন না৷
• কেটে চিরে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না৷
• মনে রাখবেন, সাপ যখন কামড়ায় তার বিষ দাঁতের মাধ্যমে ইঞ্জেকশনের মতো শরীরের ভিতরে চলে যায়৷ বিষ পাম্প বলে একরকম অবৈজ্ঞানিক বস্তু প্রয়োগ করে ভোজবাজি দেখানো হচ্ছে৷ এগুলি সব অর্থহীন৷ উল্টে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের পর ক্ষতস্থান চিরলে মারাত্মক রক্তপাত হতে পারে৷
• রোগী নিজে দৌড়ে বা সাইকেল চালিয়ে আসবেন না৷
• সাপ ধরে হাসপাতালে আনার দরকার নেই৷

সাপ ঠেকাবেন কীভাবে?
• বাড়ির চারপাশ পরিচছন্ন রাখুন৷ কার্বলিক অ্যাসিড শরীরে লাগলে ক্ষতি হয় তাই ব্যবহার না করাই ভাল৷ চুনের সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন৷ এর ঝাঁঝালো গন্ধে সাপ আসে না৷
• রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙিয়ে শোবেন৷ দরজা-জানলার নিচে ফাঁকা জায়গা কাপড় গুঁজে ভরাট করে রাখতে পারেন৷
• অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না৷ হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে চলুন৷ হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই৷
• জুতো পরার আগে সেটা ঝেড়ে নিন৷ মাটির বাড়িতে ইঁদুরের গর্ত থাকলে তা বুজিয়ে ফেলুন৷
তথ্যসাহায্য- ডা. কৃষ্ণাংশু রায়, অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ও সৌম্য সেনগুপ্ত, স্কুল শিক্ষক৷

07/06/2020
30/05/2020

বৈজ্ঞানিকরা বলছেন ভারতে জুন, জুলাই, আগস্ট ও আগামী ছয় মাস মারাত্মক সংক্রমণ বাড়বে। এমনকি আগামী মাসে পাঁচ লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে। একটি লেখা পড়ুন ও প্লিজ পড়ান।

#সংগৃহীত

যাক এবার যেহেতু মাঠে নামতে হবে, কয়েকটা কথা যেচে বলতে চাই আমার এই ক্ষুদ্র বন্ধুসমষ্টিকে:

1. বাইরের লকডাউন শেষ , নিজের লকডাউন শুরু, কাঊকে গায়ের কাছে ঘেঁসতে দেবেন না
2. আগামী অন্ততঃ ৬ মাস আরো দ্বিগুণ সাবধান হোন,
3. মাস্কের সাথে ফেস্ শিল্ড ব্যাবহার করুন বাইরে বেরোলে, খুব কার্যকরী,
4. পকেটে সবসময় স্যানিটাইজার- প্রতি আধঘন্টা বা ঘন্টায় হাত ঘসুন
5. মোবাইলটি একটি পলিথিনে রাখুন- মোবাইল প্রধান Fomite হতে পারে- fomite এর মানে কী? গুগ্ল করুন।
6. হেডফোন- না!!!
7. স্পিকার মোডে কল রিসিভ- হ্যাঁ!
8. পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভিড় এড়ান,এটা সবথেকে রিস্কি জায়গা,
9. বাড়ির বাইরে খাওয়া এড়া ন, শুকনো high calorie snack যেমন বাদাম, শুকনো ফল অল্প রাখুন সাথে, নিজের জল তো বটেই
10. বেরিয়ে বা কাজে খাবার বা জল শেয়ারিং বন্ধ
11. অপ্রয়োজনীয় লোকসমাগম এড়িয়ে চলুন
12. বাইরে থেকে বা বাজারে পাওয়া টাকা নোট আলাদা পলিথিনে আনুন - এনে পারলে দুদিন একটা ট্রেতে রেখে দিন খোলা হাওয়াতে
13. যেখানে সেখানে হেলান দেওয়া , বসা, কনুইএ ভর দেওয়া - ভুলে যান
14. একটা ক্যাপ মাথায় থাকলে ভালো, মহিলাদের ক্ষেত্রে ওড়না
15. কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বেরোন- যা প্রায় ধোয়া যাবে- লেদার বা মোটা ক্যানভাসের ব্যাগের ফ্যাশন, স্টেটাস পরে হবে,
16. ঘড়ি- না!
17. আংটি- না( জানি অনেকেই মানবেন না)
18. জুয়েলারী- না!
19. পাবলিক ওয়াশরুম- বুঝে শুনে!
20. মাস্ক রোজ চেন্জ হবে- স্পেয়ার ক্যারি করবেন
21. গ্লাভস্ প্রয়োজন নেই যদি বারবার হাত ধুতে পারেন- বরং গ্লাভ্স্ এ জীবানু লেগে থাকার রিস্ক বেশী।
আপাততঃ এই মনে এলো। কিছু জিনিস বাড়াবাড়ি মনে হবে.. তবে তাতে আপনার নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ভালো থাকুন সবাই মিলে।
#সংগৃহীত #

 #অরণ্য বাঁচান  # সারা বিশ্ব আজ এক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।আবার আমাদের চারপাশের কিছু অশিক্ষিত, বর্বর, অসাধু, অমান...
11/04/2020

#অরণ্য বাঁচান #
সারা বিশ্ব আজ এক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
আবার আমাদের চারপাশের কিছু অশিক্ষিত, বর্বর, অসাধু, অমানবিক মানুষ জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে নিজেকে মহান মনে করছে।
এই মানুষ গুলো করোনা ভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর, এরা সমাজের ভাইরাস।
সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন এদের চিহ্নিত করুন, সমাজ থেকে এই ভাইরাস গুলি কে বিলীন করতে হবে।
আইন নিজ হাতে নিবেন না। সামনের বিট অফিসে খবর দিন। সম্ভব হলে এই অসামাজিক বর্বর মানুষ গুলোর ফটো অথবা ভিডিও করে রাখুন।
*প্রকৃতি বাঁচান_নিজে বাঁচুন_অন্যকে বাঁচতে দিন।
*অরণ্য আমাদের সম্পদ_একে রক্ষা করার দায়িত্ব নিন।

07/04/2020

অনুগ্রহ করে জঙ্গলে আগুন লাগাবেন না.....

গোপালনগর এর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।কিছু অশিক্ষিত মূর্খ মানুষ জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে নিজেকে বীর মনে করে। সবার কাছে একান্ত অন...
02/04/2020

গোপালনগর এর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কিছু অশিক্ষিত মূর্খ মানুষ জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে নিজেকে বীর মনে করে।
সবার কাছে একান্ত অনুরোধ কেও জঙ্গলে আগুন লাগাবেন না।
প্রকৃতিকে রক্ষা করুন।

09/11/2019

।। উৎকল ব্রাহ্মণদের "ষন্নিগ্রহী/সন্নিগ্রহী " পদবী বিষয়ে কিছু কথা।।
আমাদের উৎকল ব্রাহ্মণ সমাজে "ষন্নিগ্রহী/সন্নিগ্রহী" একটি বিশিষ্ট পদবী। মূলতঃ সিমলাপাল অঞ্চলেই এই পদবীধারীদের বসবাস। পশ্চিমের দিকে এই পদবীর মানুষ দেখা যায় না। নিজেদের পদবীর বানান এঁদের অনেকেই ষন্নিগ্রহী, আবার কেউ কেউ সন্নিগ্রহী লেখেন। একটি পদবীর দুই রকম বানান লেখা দেখেই মনে প্রশ্ন আসে। কি কারনে সন্নিগ্রহীর জায়গায় ষন্নিগ্রহী লেখা হচ্ছে, কেউ এ ব্যাপারে আলোকপাত করলে সুবিধা হয়। আমি এখানে অনেকের মতোই জিজ্ঞাসু মাত্র। এই রকমই আমাদের মধ্যে একই পদবীর দুই রকম বানান নায়ক/লায়েক এ দেখা যায়। ......আমি এখানে আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলি। ওড়িশায় থাকাকালীন প্রায় ২০/২১ বৎসর পূর্বে একটি ওড়িয়া মাসিক পত্রে পদবী বিষয়ে একটি লেখা চোখে পড়ে। সেখানে "সন্ধিবিগ্রহিক মহাপাত্র" পদবীটি কি রকম ভাবে অপভ্রংশ( মূল থেকে বিকৃত) হয়ে সন্নিগ্রহ-সন্নিগ্রহী-সনিগ্রহ ইত্যাদি রূপ নিয়েছে, তা লেখা হয়েছিল। প্রাচীন কাল থেকেই হিন্দু রাজগন কর্মানুসারে তাঁদের রাজ্যের কর্মচারীদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করতেন। সেই ভাবেই হোতা (যজ্ঞের পুরোহিত),ত্রিপাঠী (তিন বেদের জ্ঞাতা,অপভ্রংশ হয়ে তিআড়ি,তিহাড়ি,তেওয়ারী), পতিশর্মা (মুখ্য ব্রাহ্মণ), শতপথী/সৎপতি (শুক্ল যজুর্বেদের শতপথ ব্রাহ্মণের জ্ঞাতা), ষড়ঙ্গী (বেদের ছয় অঙ্গের জ্ঞাতা) ইত্যাদি পদবী এসেছে। এই রকম রাজদত্ত বহু পদবী ওড়িশার বিভিন্ন জাতির মধ্যে বর্তমান সময়েও রয়েছে। যেমন রাউতরায়(অশ্বারোহী মুখ্য),চম্পতিরায়(ছোট সৈন্যদলের প্রধান), শত্রুশল্য(যাঁর বাণ শত্রুর পক্ষ্যে শেল স্বরূপ), গড়নায়ক( দুর্গের প্রধান), মহারথী/মার্থী, বাহুবলেন্দ্র, বলিয়ারসিংহ,মান্ধাতা, মর্দরাজ, হরিচন্দন ইত্যাদি অনেক পদবী রয়েছে।১২০৩ খৃস্টাব্দে বঙ্গদেশ মুসলিম করতলগত হয়। তার প্রায় চারশত বৎসর পরে ১৫৬৮ খৃস্টাব্দে গজপতি মুকুন্দদেবের পতনের ফলে উৎকল দেশ পাঠান শাসনের অধীন হয়েছিল। সেদিক থেকে দেখলে উৎকল দেশ বহুকাল আপন স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পেরেছিল। স্বল্পকাল পাঠান দৌরাত্ম্যের পর উৎকল মুঘল শাসন ভুক্ত হয়। তবে স্বল্পকালের পাঠান দৌরাত্ম্য উৎকলে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। পাঠান সেনাপতি কালাপাহাড় কর্তৃক পুরীর শ্রীমন্দিরসহ ভুবনেশ্বর ও জাজপুরের বিখ্যাত মন্দিরগুলি লুন্ঠিত ও দেব মূর্তি সমূহ নষ্টিকৃত হয়। মুঘল শাসনে মহারাজ মানসিংহের সুবাদারিত্ব কালে দেশে শান্তি ফেরে। আঞ্চলিক শাসনভার তখন পূর্বতন হিন্দু শাসকগনের হাতেই থাকে।মুঘল শাসনের শেষভাগে বাংলার সুবাদার বা নবাবের হাত থেকে ওড়িশা যায় নাগপুরের মারাঠা ভোঁসলের হাতে ১৮৫১ খৃস্টাব্দে। মারাঠা থেকে ১৮০৩ খৃ. এ ব্রিটিশ ক্ষমতা দখল করে। সুতরাং হিসেব করে দেখলে উৎকল দেশ ১৫৬৮ থেকে ১৭৫১ পর্যন্ত মোট ১৮৩ বৎসর কাল সরাসরি মুসলিম শাসনের অধীন ছিল। এই শাসন কেবল মাত্র "মোগলবন্দী" অঞ্চল বা উপকূলবর্তী বৃহত্তর বালেশ্বর, কটক ও পুরী জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পাহাড় ও অরণ্য বেষ্টিত ওড়িশার দুর্গম অভ্যন্তরভাগের শাসকগণ এক প্রকার স্বাধীন ছিলেন। এই রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওড়িশায় পৌরাণিক সংস্কৃতির বা হিন্দুয়ানীর ধারাটি লুপ্ত হতে পারেনি। তাই সেখানে পূর্বতন পদবীগুলিও লোপ পায় নি। বাংলায় দীর্ঘ মুসলমান শাসন আমলে বহু নতুন নতুন পদবীর আমদানি হয়েছে, যেমন: মজুমদার, তরফদার, জমাদার, তালুকদার, খাঁ, পোদ্দার,মুন্সী, চাকলাদার,মল্লিক ইত্যাদি। ওড়িশায় এই রকম পদবী দেখতে পাওয়া যায় না। যাইহোক , আমার কথায় ধান ভানতে শিবের গীত এসে যাচ্ছে। তাই আসল কথায় আসি।......... বর্তমান ওড়িশার দক্ষিণ ভাগ পূর্বতন কলিঙ্গ রাজ্য ছিল। খৃস্টীয় ত্রয়োদশ ,চতুর্দশ শতাব্দীতে কলিঙ্গরাজ নরসিংহদেব ও নিশঙ্ক ভানুদেবের রাজত্বকালে প্রখ্যাত সংস্কৃত কবি ও "সাহিত্য দর্পন" কার বিশ্বনাথ কবিরাজ, কলিঙ্গরাজের সভাকবি ও মন্ত্রী ছিলেন। বিশ্বনাথ এবং তাঁর পিতা চন্দ্রশেখর উভয়েই কলিঙ্গ রাজ কর্তৃক "সন্ধিবিগ্রহিক মহাপাত্র " উপাধিতে ভূষিত হন। (সন্ধি =সমঝোতা, বিগ্রহ=যুদ্ধ, মহাপাত্র =মহামন্ত্রী) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই পদে থেকে তাঁরা রাজাকে যুদ্ধ ও শান্তির বিষয়ে পরামর্শ দান ও সন্ধির জন্য দৌত্য কার্য্য করতেন। জ্ঞানী ব্রাহ্মণের পক্ষে দৌত্য কার্য্য করা অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল। কারণ হিন্দু নিয়মানুসারে দূত এবং ব্রাহ্মণ অবধ্য,তাছাড়া বিদ্বান হিসেবে সর্বত্র তাঁরা বিশেষ মর্য্যাদার অধিকারী ছিলেন। তাই বিপক্ষ রাজার শিবিরে গিয়েও তাঁরা পান্ডিত্য ও যুক্তি দ্বারা তাঁদের শান্তির পক্ষে বোঝাতে সমর্থ হতেন। তৎকালীন রাজগণ প্রদত্ত এই সন্ধিবিগ্রহিক মহাপাত্র পদবীটি বংশানুক্রমিক ও কিছুটা বিকৃত হয়ে বর্তমানে সন্নিগ্রহী/ষন্নিগ্রহী রূপ ধারণ করেছে বলে আমার মনে হয়। হতে পারে বর্তমান সন্নিগ্রহী/ষন্নিগ্রহী গনের পূর্বপুরুষ উৎকলের গজপতি মহারাজার সন্ধিবিগ্রহিক মহাপাত্র ছিলেন। আমার ওড়িশায় বাস কালে "সন্ধিবিগ্রহ" পদবীরধারী বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এ ব্যাপারে অনেকেই নিজ মত প্রকাশ করবেন ,এই আশা রাখছি।.......বহুকথা হল, এখন সবাইকে নমস্কার জানিয়ে ইতি টানছি।

গোপালনগর কালীপূজা কমিটি 2016, ( Photo Collected )
14/10/2019

গোপালনগর কালীপূজা কমিটি 2016, ( Photo Collected )

17/03/2018
সবাইকে নিমন্ত্রণ
30/01/2018

সবাইকে নিমন্ত্রণ

Address

SIMLAPAL, BIKRAMPUR
Bankura
722151

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gopalnagar, Bankura posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram