18/12/2023
আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন Gallbladder operation এর পর কি খাব???
Gallbladder operation এর পর এ হজমের সমস্যা, ডায়ারিয়া বা পেট ফুলে থাকা এই জাতীয় সমস্যা খুব ই দেখা যায়। কখনো কখনো কিছু সপ্তাহ থেকে কিছু মাস এই সমস্যা থেকে যায়।তাই আমাদের বুঝতে হবে শরীরের মেকানিজম।
Gallbladder/পিত্তথলির কাজ হলো পিত্ত জমা রাখা;concentrate করা এবং যখন আমরা খাবার খাই তখন পিত্ত নিঃসৃত করে ফ্যাট জাতীয় খাবার হজম করা। কিনতু Gallbladder operation/cholecystectomy তে Gallbladder/পিত্ত থলি কেটে বাদ দেওয়া হয়.ফলতঃ পিত্ত জমা থাকা বা কনসেনট্রেটেড হওয়া কোনটা ই সম্ভব হয়না।তাই সবসময় ই পিত্ত intestine এ নিঃসৃত হতে থাকে।এর দুটি সমস্যা রয়েছে:
১. অনেক টা খাবার একসাথে খেয়ে নিলে হজম হতে চায়না
২. পিত্ত র একটা laxative ইফেক্ট আছে।যার ফলে ডায়ারিয়া বা তেল জাতীয় পায়খানা হয়
এ গুলো থেকে মুক্তি পেতে নিম্নোক্ত কিছু পদ্ধতি মেনে চললে ভালো থাকা যাবে
১.অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়া. কখনো ই একসাথে বেশি খাওয়া যাবেনা। প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া
২.ক্যাফেইন/চকোলেট/দুধ/কমপ্লেইন/হরলিকস/ দুগ্ধজাত খাবার/মিষ্টি /পেস্ট্রি/কুকিজ এড়িয়ে চলুন
৩. ভাত-রুটি ধীরে ধীরে খাওয়া শুরু করতে হবে। মাঝেমাঝে বিকল্প হিসাবে ওট্স বা ডালিয়ার খিচুড়ি খেতে পারেন সব্জি দিয়ে।
৪.প্রথম দিকে শাক-সব্জি না খাওয়াই ভাল। ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সব্জি যাতে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, সেগুলি প্রথম দিকে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। শাক খেলেও পেট ফোলার সমস্যা হয় অনেকের। তাই নিজের হজম ক্ষমতা কতটা, তা বুঝে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে হবে এই ধরনের খাবারের।
৫. ডুবো তেলে ভাজা খাবার,junk food,
মেয়োনিজ বা অনেকটা চিজ দেওয়া খাবার যাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, তা খাওয়া চলবে না। গল ব্লাডার না থাকলে ফ্যাট হজম করতে অসুবিধা হয়। তাই এই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকাই ভাল।
৬.খাসি মাংস বা যেকোনো রেড মিট, বড়ো মাছ ,ডিম ,বাদাম,নারিকেল এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে
৭.খুব বেশি তেল মশলা দেওয়া খাবার বা বাইরের ফাস্ট ফু়ড একদমই খাওয়া ছাড়তে হবে।
৮. অনেকটা জল নিয়মিত খেতে হবে। গলব্লাডার না থাকায় শরীরের হজম ক্ষমতায় যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রত্যেক দিন ৩ থেকে ৩.৫ লিটার জল খেতেই হবে।সঙ্গে সুগার এর সমস্যা না থাকলে যথেচ্ছ পরিমাণে ORS খেতে পারেন
৯.পাতিলেবু/কমলালেবু/আমলকী ইত্যাদি vit c সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে.
এইসব এর পরেও যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডক্টর এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে.