Dt A S Biswas

Dt  A  S  Biswas Doctorate in Food & Nutrition
D.T. (U. K)
LifeStyle Modifier & Naturopathic Coach.
(1)

হলুদের মূল থেকে প্রাপ্ত কারকিউমিন চা, শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী যৌগ কারকিউমিনের উপস্থিতির কারণে তার...
12/07/2025

হলুদের মূল থেকে প্রাপ্ত কারকিউমিন চা, শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী যৌগ কারকিউমিনের উপস্থিতির কারণে তার সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বিখ্যাত। কারকিউমিন চা পান করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মেজাজ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় । এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস পরিচালনা, প্রদাহ কমাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতেও সাহায্য করতে পারে।
কারকিউমিন চায়ের উপকারিতা:
উন্নত মস্তিষ্কের কার্যকারিতা:
কারকিউমিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোটিন, ব্রেন-ডেরিভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF) বৃদ্ধি করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধ করে।
বর্ধিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
কারকিউমিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
মেজাজ বৃদ্ধি:
কারকিউমিন সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত নিউরোট্রান্সমিটার।
প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব:
কারকিউমিন সারা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহজনক অবস্থার লক্ষণগুলি কমাতে পারে।
হৃদরোগের স্বাস্থ্য:
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিন রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করে হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে।
ব্যথা উপশম:
কারকিউমিনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদাহের সাথে সম্পর্কিত ব্যথা, যেমন পেশী ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশম করতেও সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের স্বাস্থ্য:
কারকিউমিন এর প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাবের কারণে ত্বক পরিষ্কার করতে এবং দাগ কমাতে অবদান রাখতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়:
জৈব উপলভ্যতা:
কারকিউমিন শরীর দ্বারা সহজে শোষিত হয় না। কালো মরিচের (পাইপেরিন) সাথে মিশিয়ে খেলে অথবা চর্বির সাথে খেলে এর শোষণ বৃদ্ধি পায়।
মাত্রা:
সাধারণত নিরাপদ হলেও, অতিরিক্ত মাত্রায় কারকিউমিন (বিশেষ করে সম্পূরক আকারে) বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়ার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
মিথস্ক্রিয়া:
নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা (যেমন, পিত্তথলির সমস্যা, রক্তপাতের ব্যাধি, ডায়াবেটিস) আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়মিত হলুদ চা খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
গর্ভাবস্থা:
সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণে গর্ভবতী মহিলাদের হলুদ বা কারকিউমিনের উচ্চ মাত্রা এড়িয়ে চলা উচিত।
সংক্ষেপে, কারকিউমিন চা বিভিন্ন ধরণের সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে, তবে জৈব উপলভ্যতা, ডোজ এবং ওষুধের সাথে সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়া বা পূর্ব-বিদ্যমান স্বাস্থ্য অবস্থার বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভাত খেয়েও ওজন কমাতে পারেন। তবে কম খেয়ে ওজন কমাতে হবে তা নয়। বরং পেট ভরে ভাত খেয়েই ওজম কমবে। এখন কথা হল, কোন ভাত খেয়ে ওজন...
01/07/2025

ভাত খেয়েও ওজন কমাতে পারেন। তবে কম খেয়ে ওজন কমাতে হবে তা নয়। বরং পেট ভরে ভাত খেয়েই ওজম কমবে। এখন কথা হল, কোন ভাত খেয়ে ওজন কমবে তা জানতে হবে। ওজন দ্রুত কমানোর জন্য ভাত খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। সব চালের পুষ্টিগুণ সমান নয়। কিছু চালে ফাইবার বেশি থাকে এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কম হয়, যা ওজন কমাতে সহায়ক

কোন চালের ভাত খেলে ওজন কমবে?

ওজন কমাতে হলে এমন চাল বেছে নিতে হবে, যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। কম জিআই মানে হল, সেই চালের ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে, যার ফলে হঠাৎ করে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় না। এতে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থের গবেষণা অনুযায়ী ব্রাউন রাইস ও কালো চালের ভাত খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে।

ব্রাউন রাইসে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, ফলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতেও সাহায্য করে। ফাইবার ছাড়াও এতে ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং বি ভিটামিন রয়েছে। সাদা চালের তুলনায় ব্রাউন রাইসে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বেশি থাকে
ব্ল্যাক রাইস বা কালো চালের ভাতও খুব পুষ্টিকর। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন এবং ফাইবার থাকে। এটি হজম হতে সময় নেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। এই চালের ভাত খেলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।

তবে শুধু ভাত খেলেই যে পুষ্টি হবে, তা নয়। ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিন (যেমন - মাছ, মুরগি, ডাল, ডিম) এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি খেতে হবে। যদি ব্রাউন বা কালো চাল পাওয়া কঠিন হয়, তাহলে সাদা চালের পরিবর্তে বাসমতী চালের ভাত খাওয়া যেতে পারে। এই চালের জিআই কম, তবে ব্রাউন রাইসের মতো অতটা ফাইবার সমৃদ্ধ নয়।

পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানোর জন্য চালের ধরন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই এর পরিমাণও জরুরি। যেকোনো চালেরই অতিরিক্ত গ্রহণ ওজন বাড়াতে পারে। একবারে অল্প পরিমাণে ভাত খান।
সুষম খাবার: শুধু ভাত নয়, ভাতের সাথে পর্যাপ্ত প্রোটিন (যেমন - মাছ, মুরগি, ডাল, ডিম) এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি (ফাইবার সমৃদ্ধ) যোগ করুন। এতে পেট ভরা থাকবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাওয়া যাবে।
ঠান্ডা ভাত: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভাত রান্না করার পর ঠাণ্ডা করলে তাতে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ (Resistant Starch) তৈরি হয়, যা হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে আবার গরম করে ভাত খেলে এটি কিছুটা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ তৈরি করে।
সাদা চালের বিকল্প: যদি ব্রাউন, লাল বা কালো চাল পাওয়া কঠিন হয়, তাহলে সাদা চালের পরিবর্তে বাসমতী চাল ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এর জিআই তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে এটি ব্রাউন রাইসের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ নয়।
ওজন কমানোর জন্য মূলত কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (Low GI) সম্পন্ন চাল বেছে নেওয়া উচিত। কম জিআই মানে হলো সেই খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ে, যার ফলে হঠাৎ করে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় না এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। এর ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়।

১. ব্রাউন রাইস (Brown Rice) বা বাদামি চাল: * কেন ভালো: ব্রাউন রাইস হলো অপ্রক্রিয়াজাত চাল, যার বাইরের তুষ, ভুসি এবং অঙ্কুর (bran, germ and endosperm) অক্ষত থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, ফলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতেও সাহায্য করে। * পুষ্টিগুণ: ফাইবার ছাড়াও এতে ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং বি ভিটামিন রয়েছে। * তুলনা: সাদা চালের তুলনায় ব্রাউন রাইসে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বেশি থাকে।

২. রেড রাইস (Red Rice) বা লাল চাল: * কেন ভালো: লাল চালও অপ্রক্রিয়াজাত চাল। এটি ব্রাউন রাইসের মতোই ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা এর লাল রঙের জন্য দায়ী। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে। * পুষ্টিগুণ: ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকে। * তুলনা: ওজন কমানোর জন্য লাল চাল এবং ব্রাউন রাইস উভয়ই সমানভাবে উপকারী বলে মনে করেন অনেক পুষ্টিবিদ।

৩. ব্ল্যাক রাইস (Black Rice) বা কালো চাল: * কেন ভালো: ব্ল্যাক রাইসকে "নিষিদ্ধ চাল" (Forbidden Rice) নামেও ডাকা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন এবং ফাইবার থাকে। এটি হজম হতে সময় নেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। * পুষ্টিগুণ: ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন এবং প্রোটিনের ভালো উৎস।

৪. ওয়াইল্ড রাইস (Wild Rice): * কেন ভালো: এটি আসলে চাল নয়, এক ধরণের জলজ ঘাসের বীজ। এতে ফাইবার এবং প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সম্পন্ন এবং ওজন কমাতে সহায়ক। * পুষ্টিগুণ: ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং বি ভিটামিন।

পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানোর জন্য চালের ধরন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই এর পরিমাণও জরুরি। যেকোনো চালেরই অতিরিক্ত গ্রহণ ওজন বাড়াতে পারে। একবারে অল্প পরিমাণে ভাত খান।
সুষম খাবার: শুধু ভাত নয়, ভাতের সাথে পর্যাপ্ত প্রোটিন (যেমন - মাছ, মুরগি, ডাল, ডিম) এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি (ফাইবার সমৃদ্ধ) যোগ করুন। এতে পেট ভরা থাকবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাওয়া যাবে।
ঠান্ডা ভাত: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভাত রান্না করার পর ঠাণ্ডা করলে তাতে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ (Resistant Starch) তৈরি হয়, যা হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে আবার গরম করে ভাত খেলে এটি কিছুটা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ তৈরি করে।
সাদা চালের বিকল্প: যদি ব্রাউন, লাল বা কালো চাল পাওয়া কঠিন হয়, তাহলে সাদা চালের পরিবর্তে বাসমতী চাল ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এর জিআই তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে এটি ব্রাউন রাইসের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ নয়👍👍❤️❤️👍👍👍

দেশের বোতলজাত সয়াবিন তেলে ৬৭% ট্রান্সফ্যাট,হার্টব্লকেজ এর প্রধান কারন এটি,তাইইতো হার্টের রিং পড়ানোর ব্যবসাটা জমজমাট।.......
15/01/2025

দেশের বোতলজাত সয়াবিন তেলে ৬৭% ট্রান্সফ্যাট,
হার্টব্লকেজ এর প্রধান কারন এটি,তাইইতো হার্টের রিং পড়ানোর ব্যবসাটা জমজমাট।......

সুস্থ থাকতে ৮ বদল আনুন জীবনেফিচার ডেস্কনতুন বছরের শুরু মানে নতুন উদ্যম। তাই বছরের শুরুতে জীবনযাপনের ধরনের দিকে নজর দিতে ...
13/01/2025

সুস্থ থাকতে ৮ বদল আনুন জীবনে

ফিচার ডেস্ক

নতুন বছরের শুরু মানে নতুন উদ্যম। তাই বছরের শুরুতে জীবনযাপনের ধরনের দিকে নজর দিতে হবে। এর জন্য খুব বেশি পরিবর্তন বা কঠোর নিয়ম অনুসরণের দরকার নেই। কিছু অভ্যাস পরিবর্তনে স্বাস্থ্যে আসতে পারে বড় ইতিবাচক প্রভাব।

এক গ্লাস গরম পানি পান করুন

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা শরীরের জন্য উপকারী। এটি পাচনতন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। গরম পানি শরীর আর্দ্র রাখে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ে, ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং শারীরিক শক্তি ঠিক থাকে। এর সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’ যোগ করতে লেবু মেশাতে পারেন।

প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট মুভমেন্ট ব্রেক নিন

দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হলে প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে একটু হাঁটুন বা শরীরের কিছু সাধারণ ব্যায়াম করুন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। এ ছাড়া নিয়মিত এই অভ্যাসে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকবে।

চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন

মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ স্বাস্থ্য খারাপের অন্যতম কারণ। তাই এর বদলে বাদাম, ফল বা বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আখরোটে প্রোটিন ও ভালো চর্বি থাকে। ডালিম বা আঙুর মিষ্টির চাহিদা মেটায় রক্তে চিনির মাত্রা না বাড়িয়ে। এসব পরিবর্তন শক্তি স্থিতিশীল রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

দৈনিক ধ্যান ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন

মানসিক চাপ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই প্রতিদিন ৫-১০ মিনিটের ধ্যান কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধারণ করুন এবং ৬ সেকেন্ডে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। নিয়মিত এই অভ্যাস আপনাকে শান্ত রাখতে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে মনোযোগী থাকার জন্য সাহায্য করবে।

প্রতিদিন সূর্যের আলোয় থাকুন

শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-এর স্তর উন্নত করতে প্রতিদিন কয়েক মিনিট সূর্যের আলোয় থাকতে হবে। সকালে সূর্য ওঠার পর যে সময় পর্যন্ত সূর্যের তাপ কম থাকে, তখন বাইরে কিছু সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এই অভ্যাস শরীর ও মনের শক্তি বাড়াতে সহায়ক।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

শরীর ঠিক রাখার প্রথম পদক্ষেপ স্বাস্থ্যকর খাবার; যেমন তাজা ও অপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন

ঘুম শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি। ঘুমের সময় শরীর বিশ্রাম নেয় এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন

সুস্থ মন শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সহজ পরিবর্তন; যেমন মননশীল কাজের অভ্যাস, পছন্দের কাজে সময় কাটানো এবং প্রয়োজনে বন্ধুদের সহায়তা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লেখালেখির অভ্যাস থাকলে সেটিরও চর্চা করা যেতে পারে।

👍👍👍👍👍

12/01/2025

মৃত্যু নিয়ে ভাববেননা, মৃত্যু অনিবার্য,সুস্থতা ও রোগমুক্তি নিজের হাতে,সৃষ্টিকর্তা ও বিজ্ঞান কেউই ডাক্তারের হাতে এ দায়িত্ব দেয়নি।

12/01/2025

♦️সুখী জীবনের জন্য ২৫ টি টিপসঃ♦️
১. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন৷

২. নির্জন কোন স্থানে একাকী অন্তত ১০
মিনিট কাটান ও নিজেকে নিয়ে ভাবুন৷

৩. ঘুম থেকে উঠেই প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। সারা দিনের করণীয়গুলো সম্পর্কে মনস্থির করুন।

৪. নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরে
তৈরি খাবার বেশি খাবেন আর প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাবেন।

৫. সবুজ চা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৬. প্রতিদিন অন্তত ৩ জনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন।

৭. গালগপ্প, অতীতের স্মৃতি, বাজে চিন্তা
করে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অপচয় করবেন না। ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয় করুন।

৮. সকালের নাস্তা রাজার মত, দুপুরের খাবার প্রজার মত এবং রাতের খাবার খাবেন ভিক্ষুকের মত।

৯. জীবন সব সময় সমান যায় না, তবুও ভাল কিছুর অপেক্ষা করতে শিখুন।

১০. অন্যকে ঘৃনা করে সময় নষ্ট করার জন্য জীবন খুব ছোট, সকলকে ক্ষমা করে দিন সব কিছুর জন্য।

১১. কঠিন করে কোন বিষয় ভাববেন না। সকল বিষয়ের সহজ সমাধান চিন্তা করুন।

১২. সব তর্কে জিততে হবে এমন নয়, তবে
মতামত হিসাবে মেনে নিতে পারেন আবার
নাও মেনে নিতে পারেন।

১৩. আপনার অতীতকে শান্তভাবে চিন্তা করুন, ভূলগুলো শুধরে নিন। অতীতের জন্য বর্তমানকে নষ্ট করবেন না।

১৪. অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবন
তুলনা করবেন না।

১৫. কেউ আপনার সুখের দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই। আপনার কাজই আপনাকে সুখ এনে দেবে।

১৬. প্রতি ৫ বছরমেয়াদী পরিকল্পনা করুন
এবং ওই সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করুন।

১৭. গরীবকে সাহায্য করুন। দাতা হোন,
গ্রহীতা নয়।

১৮. অন্য লোকে আপনাকে কি ভাবছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বরং আপনি আপনাকে কি ভাবছেন সেটা মুল্যায়ন করুন ও সঠিক কাজটি করুন।

১৯. কষ্ট পুষে রাখবেন না। কারণ সময়ের
স্রোতে সব কষ্ট ভেসে যায় তাই কষ্টের
ব্যাপারে খোলামেলা আলাপ করুন ও ঘনিষ্টদের সাথে শেয়ার করুন।

২০. মনে রাখবেন সময় যতই ভাল বা খারাপ হোক তা বদলাবেই।

২১. অসুস্থ হলে আপনার ব্যবসা বা চাকুরী অন্য কেউ দেখভাল করবে না। করবে বন্ধু কিংবা নিকটাত্মীয়রা, তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন।

২২. ফেইসবুক অনেক সময় নষ্ট করে।
পোষ্টটি পড়তে পড়তেই অনেক খানি সময় নষ্ট করেছেন। ফেইসবুকে আপনার সময় নির্দিষ্টকরুন। কতক্ষণ সময় থাকবেন এখানে।

২৩. প্রতি রাত ঘুমানোর আগে আপনার জীবনের জন্য বাবা মাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিন।

২৪. মনে রাখুন জীবনের কোন কোন ভুলের জন্য আপনি ক্ষমা পেয়েছেন। সেসব ভুল আর যেন না হয় তার জন্য সতর্ক থাকুন।

২৫. আপনার বন্ধুদেরও তথ্যগুলো জানান, যেন তারাও আপনার ভাল দিকগুলো সম্পর্কে জানেন এবং আপনাকে আপনার মত করে চলতে দেয়।

সবাই লাইক ও শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।

আর ইউ সাফারিং কিডনি ডিজিজ .... আপনার কি ক্রিয়েটি নাইন হাই আছে??? তবে আজই ব্যবহার করুন   এই ধরনের চা ব্যবহার করুন.......
04/12/2024

আর ইউ সাফারিং কিডনি ডিজিজ .... আপনার কি ক্রিয়েটি নাইন হাই আছে??? তবে আজই ব্যবহার করুন এই ধরনের চা ব্যবহার করুন.......

"Beneath every craving and deficiency, there's a deeper message: nourish, don't just fill. Choose foods that add life, n...
04/12/2024

"Beneath every craving and deficiency, there's a deeper message: nourish, don't just fill. Choose foods that add life, not just calories."

If excess sugar is rusting your organs, why let it stay on the menu? Your immune system is begging you to stop the cycle...
01/12/2024

If excess sugar is rusting your organs, why let it stay on the menu? Your immune system is begging you to stop the cycle today."

এটা আমার কথা নয়    👍👍👍👍👍👍👍👍
25/11/2024

এটা আমার কথা নয় 👍👍👍👍👍👍👍👍

: ৮. আমিষ-০.৩ গ্রাম।= ভিটামিন বি-২০.০৪ মি. গ্রাম।= ভিটামিন-সি - ৪ মি. গ্রাম।৯. অন্যান্য ৩% গ্রাম।এছাড়া মধুতে রয়েছে বিভিন...
01/09/2024

: ৮. আমিষ-০.৩ গ্রাম।

= ভিটামিন বি-২০.০৪ মি. গ্রাম।

= ভিটামিন-সি - ৪ মি. গ্রাম।

৯. অন্যান্য ৩% গ্রাম।

এছাড়া মধুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টিসেপটিক এজেন্ট, এন্টিবায়োটিক এজেন্ট, হজম শক্তি বৃদ্ধিকারী এনজাইমিক এজেন্ট ইত্যাদি। এতে ২% এনজাইম রয়েছে। এ এনজাইমগুলো হলো- ডায়াস্টেজ, ইনভার্টেজ, সোকরোজ, ক্যাটালেক্স, পার-অক্সিডেস, লাইপেজ। এই এনজাইমগুলো বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন-ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্লোরিন, সালফার, ফসফরাস, আয়োডিন লবণের সাথে যুক্ত থাকে। কিছু উপকরণের রেডিয়ামের ন্যায় ধাতব উপাদানও থাকে।

রাসায়নিক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জানা গেছে, এতে এ্যলুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক ও জৈব এসিড যেমন-ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড, ভিটামিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন, এন্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, সাইটোস্ট্যাটিকস এবং পানি (১৭.৭%) ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান আছে। ভিটামিন যেমন- ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে এবং ক্যারোটিন ইত্যাদি মধুতে বিদ্যমান। এক কেজি মধুতে ৩২৫০ ক্যালরি শক্তি থাকে। ইহা সুগারের ন্যায় যা রূপান্তর ব্যতীত সরাসরি অস্ত্র থেকে রক্তে সংযোজিত হয়।

রোগ নিরাময়ে মধু ব্যবহারের ইতিহাস

গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটাস বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে মধু ব্যবহার করতেন। তিনি মধুকে অতিরিক্ত খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী গ্যালেন মধুর ঔষধি গুণাগুণ বর্ণনা করেছেন এবং এর বিষবিরোধী ধর্মও উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে মধু আন্দ্রিক রোগে উপকারী। বিশেষ করে দুর্বল শিশুদের মুখের অভ্যন্তরীণ পঁচনশীল ঘা নিরাময়ে এটি খুবই উপকারী। বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ: নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। এটি ক্ষুধা ও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শোষক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মধু পাকস্থলীর বিভিন্ন প্রকার রোগে বিশেষ উপকারি।

আল-সমরকান্দী এবং ইবনে আল-নাসিফ বিভিন্ন প্রকার মূত্র রোগে মধু ব্যবহার করতেন। আল-রাজী মূত্র পাথরীতে কালিজিরার সাথে মধু ব্যবহার করতেন। ইউনানী মধ্য যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন রোগে মধু ব্যবহার করতেন, (যেমন-পাকস্থলী ও অস্ত্রের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লাধিক্য, মুখের প্রদাহ, চোখের রোগ, চোখের পাতায় প্রদাহ, কর্ণিয়ার ক্ষত, কর্নিয়ার অস্বচ্ছতা, স্নায়ুরোগ, পক্ষাঘাত, রক্ত প্রবাহের অবরুদ্ধতাজনিত হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের রোগ, সংক্রমণজনিত ক্ষত, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি।)

মধু সম্পর্কিত জার্মানি হৃদ-রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ই-কচ-এর উক্তি ডা: ই-কচ-এর মতে, উপযুক্ত ঘাস খেয়ে ঘোড়া যেমন তেজী হয় তেমনি প্রত্যহ সকালে এক চা-চামচ করে খাঁটি মধু খেলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয়।

মধু ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে

গ্যাস্টিক, আলসার অথবা ডিওডেনাল আলসারের জন্য “হেলিকো ব্যাকটরপাইলরী" নামক ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয়। এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ক্যান্সার ও হৃদরোগ হয়। লন্ডনে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে হৃদরোগের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি প্রভাবিত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব উঠতি বয়সের মেয়েদের দেহে এ ব্যাকটেরিয়া নেই, তাদের তুলনায় যাদের এ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, তাদের দৈহিক বৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত কম। ৫৫৪ জন মেয়ের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই ফল পাওয়া গেছে। এই ব্যাকটেরিয়া নির্মূলের জন্য এন্টি- বায়োটিক ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এর আক্রমণে গ্যাস্টিক এবং ডিওডেনাল আলসারের জন্য ট্রিপল থেরাপী (Triple therapy) ব্যবহৃত হয়।

অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু সেবনে হেলিকো-ব্যাক্টর পাইলরী নামক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়। মধু সেবনে একদিকে যেমন ব্যাকটেয়িার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তেমনি এন্টি-বায়োটিকের ক্ষতিকর প্রভাব হতেও পরিত্রাণ পাওয়া : নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। এটি ক্ষুধা ও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শোষক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মধু পাকস্থলীর বিভিন্ন প্রকার রোগে বিশেষ উপকারি।

আল-সমরকান্দী এবং ইবনে আল-নাসিফ বিভিন্ন প্রকার মূত্র রোগে মধু ব্যবহার করতেন। আল-রাজী মূত্র পাথরীতে কালিজিরার সাথে মধু ব্যবহার করতেন। ইউনানী মধ্য যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন রোগে মধু ব্যবহার করতেন, (যেমন-পাকস্থলী ও অন্ত্রের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্লাধিক্য, মুখের প্রদাহ, চোখের রোগ, চোখের পাতায় প্রদাহ, কর্ণিয়ার ক্ষত, কর্নিয়ার অস্বচ্ছতা, স্নায়ুরোগ, পক্ষাঘাত, রক্ত প্রবাহের অবরুদ্ধতাজনিত হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের রোগ, সংক্রমণজনিত ক্ষত, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি।)

মধু সম্পর্কিত জার্মানি হৃদ-রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ই-কচ-এর উক্তি

ডা: ই-কচ-এর মতে, উপযুক্ত ঘাস খেয়ে ঘোড়া যেমন তেজী হয় তেমনি প্রত্যহ সকালে এক চা-চামচ করে খাঁটি মধু খেলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয়।

মধু ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে

গ্যাস্টিক, আলসার অথবা ডিওডেনাল আলসারের জন্য "হেলিকো ব্যাকটরপাইলরী" নামক ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয়। এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ক্যান্সার ও হৃদরোগ হয়। লন্ডনে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে হৃদরোগের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে। শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি প্রভাবিত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব উঠতি বয়সের মেয়েদের দেহে এ ব্যাকটেরিয়া নেই, তাদের তুলনায় যাদের এ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, তাদের দৈহিক বৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত কম। ৫৫৪ জন মেয়ের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই ফল পাওয়া গেছে। এই ব্যাকটেরিয়া নির্মূলের জন্য এন্টি- বায়োটিক ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এর আক্রমণে গ্যাস্টিক এবং ডিওডেনাল আলসারের জন্য ট্রিপল থেরাপী (Triple therapy) ব্যবহৃত হয়।

অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু সেবনে হেলিকো-ব্যাক্টর পাইলরী নামক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়। মধু সেবনে একদিকে যেমন ব্যাকটেয়িার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তেমনি এন্টি-বায়োটিকের ক্ষতিকর প্রভাব হতেও পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

১২. ক্লান্তি: ডা. মিল্টন যিনি এই গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, এক গ্লাস পানিতে আধা টেবিল চামচ মধু এবং কিছু দারুচিনি গুঁড়া গ্...
27/08/2024

১২. ক্লান্তি: ডা. মিল্টন যিনি এই গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, এক গ্লাস পানিতে আধা টেবিল চামচ মধু এবং কিছু দারুচিনি গুঁড়া গ্লাসের পানিতে ছিটিয়ে দিয়ে সকালে ব্রাশ করার পর এবং বিকেল ৩টার দিকে পান করলে সাত দিনের মধ্যে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে এবং ক্লান্তি দূর হয়।

১৩. শ্রবণ শক্তি কমে গেলে যেসব রোগী কানে কম শোনে তাদের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ মধু ও দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে সকালে ও রাতে পান করলে শ্রবণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।

১৪. পুড়ে গেলে: খাঁটি মধু পোড়ার ওপর মুক্তভাবে নিয়মিত লাগালে পোড়ার জ্বালা বন্ধ করে, ব্যথা দূর করে এবং দ্রুত উপশম হয়।

১৫. বিছানায় প্রস্রাব করলে শিশুদের ঘুমানোর আগে এক চা চামচ মধু খাওয়ালে বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ হয়।

১৬. অনিদ্রা: এক গ্লাস দুধের মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে ভালো ঘুম হয়। ঘুমের পর শরীর সতেজ হয়, কর্মে উদ্যমতা ফিরে পাওয়া যায়।

১৭. নাকের নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া এক বাটি গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে বাটির ওপর মাথা রেখে শ্বাসের মাধ্যমে গন্ধ নিতে হবে এবং বাটিসহ মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এতে অত্যন্ত ভালো ফল পাওয়া যায়।

১৮. ক্ষত : ক্ষতস্থানে মধু দ্বারা প্রলেপ দিয়ে বেঁধে দিলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে কোনো এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। (প্রথম আলো ৫-৯-২০০৪)

১৯. অস্টিওপোেরসিস : প্রতিদিন এক চা চামচ মধু পান করলে ক্যালসিয়াম ব্যবহারে সহায়ক হয় এবং অস্টিওপোেরসিস রোগের হাত হতে রক্ষা করে। বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের লোকের জন্য খুব উপকারী।

২০. মাইগ্রেন : হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মাইগ্রেন ব্যথার শুরুতে চুমুক দিয়ে পান করতে হবে। প্রয়োজনে ২০ মিনিট পর পর পান করতে হবে। এতে খুব ভালো ফল

: যায় এবং এছাড়াও রাশিয়ার বিখ্যাত ডাক্তার ক্যাভিনভিনা, তিনি মৌমাছির মধু নিয়ে গবেষণা করে বলেছেন যে, মৌমাছিরা যখন ফুল হতে অথবা অন্য কোনো স্থান হতে মধু সংগ্রহ করে, তখন ইহা উক্ত মৌমাছির মুখের লালার সাথে মিশে উক্ত মধু নতুন এক উপাদানে পরিণত হয়। যা সর্বপ্রকার রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অথবা সর্বপ্রকার ঔষধ মিশিয়ে নতুন নতুন রোগের নতুন নতুন ঔষধ তৈরি করা যায়।

বিখ্যাত হেকিম আজমল খান বলেছেন, মধু মস্তিষ্কের আর্দ্রতা দূর করে এবং ঠাণ্ডা ও কফ কাশির জন্যও ঔষধ হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।

বিখ্যাত হেকিম জালেনুস বলেছেন, মধু অধিকাংশ রোগের জন্য ঔষধ হিসেবে কাজ করে। যেমন- জন্ডিস, হাড় বাঁকা ও প্যারালাইসিস রোগ নিরাময়ের জন্য মধু বেশ উপকারী। এছাড়াও মধু চোখে লাগালে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে এবং যৌন রোগের জন্য ও যৌন রোগের ঔষধ তৈরিতে মধুর ভূমিকা অপরিসীম।

মধুর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও এর পুষ্টিমান

হাজার-হাজার সংগৃহীত ফুলের নির্যাস এবং খাদ্য দ্রব্যের সাথে মৌমাছির মুখ থেকে নিঃসৃত লালা উপাদানসমূহের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় লালারূপ ঘন আঠালো পদার্থ তৈরি হয়, তাকে মধু বলে।

১০০ গ্রাম মধুকে বিশ্লেষণ করলে নিম্নোক্ত উপাদনগুলো পাওয়া যায়।

১. গ্লুকোজ - ৩৫%; ইহা ক্লান্তি দূরীকরণের বিশেষ ভূমিকা রাখে।

২. লেভিউলোজ - ৪০%

৩. শর্করা ৩-৪%; এর উপস্থিতির কারণে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না এবং নষ্টও হয় না।

৪. পানি - ১৮%; শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে।

৫. খণিজ উপাদান ০.২% গ্রাম। (যা শারীরিক, মানসিক, স্নায়ুবিক ও স্মৃতি শক্তি বাড়ায়)

৬. ক্যালসিয়াম - ৫ মি. গ্রাম (যা দ্বারা হাড়, দাঁত, রক্ত ও অন্যান্য টিসু তৈরি হয়)

৭. লৌহ - ৯ মি. গ্রাম (যা রক্ত তৈরিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে।)

Address

Golden Spring Apartment, Stall No 12(Ground Floor), 18 Nirupama Devi Road, Gorabazar, Behind Judge Court
Berhampore
742101

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dt A S Biswas posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dt A S Biswas:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category