12/04/2018
©This post is dedicated to the..........
Astrology Learners & Researchers.
®References :---
লঘু পরাশরী (উডুদায়প্রদীপ), ভাবার্থ রত্নাকর, সারাবলী, জাতক পারিজাত, সব্বার্থ চিন্তামনি, চমৎকার চিন্তামনি, বৃহৎ জাতক, ফল দীপিকা, বৃহৎ পরাশর হোরা শাস্ত্র, Google
=================♦️==================
🔷 বৈদিক জ্যোতিষের নামে মগজ ধোলাই❗️
🔶 বৈদিক জ্যোতিষ ফলাদেশে ফেল কেন ❓
✅ ভূমিকা:-- সাধারণ জ্যোতিষ, যাকে বর্তমানে বৈদিক জ্যোতিষ বলা হচ্ছে তা আসলে পরাশরীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র। 'বৈদিক জ্যোতিষ' নামকরণ করেছিলেন K.N Rao. পরবর্তী সময়ে, "বেদে কোন জ্যোতিষ নেই" জানার পর ভুল স্বীকার করেন। তবে এর প্রয়োগই ভারতবর্ষে সর্বাধিক ভাবে হয়ে থাকে, প্রায় ৯৫%। এছাড়াও জৈমিনী জ্যোতিষ শাস্ত্র রয়েছে, যার ফলিত জ্যোতিষের সঙ্গে কোনরূপ সম্পর্ক নেই।
অপরদিকে রয়েছে ভৃগু জ্যোতিষ শাস্ত্র, যাকে 'নাড়ি জ্যোতিষ' শাস্ত্রও বলা হয়। এর কোন পাণ্ডুলিপি উপলব্ধ নয়, প্রয়োগও মাত্র ৫%। এই পদ্ধতিরই আধুনিক রূপ হল, কৃষ্ণমূর্তি পদ্ধতি, তানেজা পদ্ধতি ইত্যাদি এবং Founder হলেন, Mina1, Mina2, J.C Luthra প্রমুখ।
বর্তমান যুগে 'নাড়ি জ্যোতিষ' পদ্ধতিতেই একমাত্র Prediction সম্ভব। পরাশরী, জৈমিনী বা অন্যকোন পদ্ধতিতে Prediction করা অসম্ভব ব্যপার। কারণ- কয়েক লক্ষ সূত্র ধরে কি করে বিচার হবে? সূত্র গুলির পারস্পরিক বিরোধিতাই সমাধানের পথকে অবরুদ্ধ করবে। গ্রহ ও ভাব আসলে কি ফল দেবে, সেটা অজানাই থেকে যাবে, গ্রহদশা বিচার করা তো অনেক দূরঅস্ত ||
☑️ ব্যাখ্যা ▪▪▪
➡️ সূত্র ১. গ্রহের বলাবল বিচার •••••
দিকবল, কালবল, চেস্টাবল, স্থানবল, নৈসর্গিক বল, দৃকবল, উচ্চবল, সপ্তবর্গীয় বল, ওজাযুগ্ম বল, কেন্দ্রবল, দ্রেকান বল ইত্যাদি বল বিচার করতে করতে জ্যোতিষীর নিজের বলই খতম হয়ে যায়, তারপরেও জানা যায়না গ্রাহটা আসলে কোরবে টা কি❓
➡️ সূত্র ২. গ্রহের অবস্থা বিচার •••••
দীপ্ত, সুস্থ, মুদিত, শক্ত, দীন, বিকল, পীড়িত, খল, ভীত, শিশু, বাল্য, যৌবন, বৃদ্ধ, মৃত ইত্যাদি অবস্থা বিচার করতে গিয়ে জ্যোতিষীর নিজের অবস্থাই আশঙ্কাজনক হয়ে পরে ||
➡️ সূত্র ৩. গ্রহের শত্রুতা-মিত্রতা বিচার •••••
চন্দ্রের বন্ধু বুধ অথচ বুধের শত্রু চন্দ্র!! রামের বন্ধু শ্যাম, শ্যামের শত্রু রাম!! কি করে সম্ভব?
চন্দ্রের কোন শত্রু নেই, কিন্তু বুধ, শুক্র ও শনির শত্রু চন্দ্র!! রামের কোন শত্রু নেই, কিন্তু রাম সবার শত্রু!! কোন যুক্তি হয়? শত্রুতা করার copyright কি শুধু চন্দ্রের আছে?
মঙ্গলের ও বৃহস্পতির শত্রু বুধ, আবার বুধ এদের ব্যপারে নিরপেক্ষ। আমেরিকা ও ব্রিটেনের শত্রু আফগানিস্তান, কিন্তু আফগানিস্তান আমেরিকা ও ব্রিটেনের প্রতি নিরপেক্ষ!! গাঁজাখুরি গল্প❓
➡️ সূত্র ৪. গ্রহের রাশিগত ফলাফল বিচার •••••
মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ, মীন--- এই ১২ টি রাশিতে রবির ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানগত ফলাফল হবে= ১২ প্রকার।
সুতরাং ৯টি গ্রহের ক্ষেত্রে ফলাফল হবে =
(১২×৯) = ১০৮ প্রকার❗️
➡️ সূত্র ৫. গ্রহের ভাবগত ফলাফল বিচার •••••
১২ টি রাশির পরিপ্রেক্ষিতে ---------
🔹রবি লগ্নস্থ হওয়ার মোট ফল = ১২ প্রকার
🔹রবি ২'য়স্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৩'য়স্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৪'র্থস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৫'মস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৬'ষ্ঠস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৭'মস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৮'মস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ৯'মস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ১০'মস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ১১'শস্থ " " " = ১২ "
🔹রবি ১২'শস্থ " " " = ১২ "
সুতরাং রবির ভাবগত ফলাফল দাঁড়ালো =
(১২×১২) = ১৪৪ প্রকার।
অতএব----
৯টি গ্রহের সর্বমোট ভাবগত ফলাফল হবে =
(১৪৪×৯) = ১২৯৬ প্রকার❗️
➡️ সূত্র ৬. ভাবপতির ভাবগত ফলাফল বিচার ••••
১২'শ ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ••••
লগ্নপতির লগ্নে, ২'য়ে, ৩'য়ে, ৪'র্থে, ৫'মে, ৬'ষ্ঠে, ৭'মে, ৮'মে, ৯'মে, ১০'মে, ১১'শে ও ১২'শে অবস্থানগত ভিন্ন ফলাফল = ১২ প্রকার।
অতএব----
১২টি ভাবপতির সর্বমোটা ফলাফল হবে =
(১২×১২) = ১৪৪ প্রকার❗️
১২টি রাশির ক্ষেত্রে এই ফল ভিন্ন ভিন্ন হবে। যেমন- মেষ রাশির ক্ষেত্রে লগ্নপতির লগ্নে অবস্থানের ফল আর মীন রাশির ক্ষেত্রে লগ্ন পতির লগ্নে অবস্থানের ফল এক হবে না।
সুতরাং-----
রাশি ও ভাবের সমন্বয়ে উক্ত ফলফল দাঁড়াবে= (১৪৪×১২) = ১৭২৮ প্রকার❗️
NB★ সর্বপরি ভাব বিচারে ভাবচলিত চার্ট ব্যবহারই হয়না। রাশি চার্টেই ভাব বিচার হয়ে যায়!!
➡️ সূত্র ৭. Divitional Charts বিচার ••••••
🔹D1 (রাশি চার্ট)--- শারীরিক ও সাধারণ বিচার
🔹D2 (হোরা চার্ট)--- অর্থনৈতিক বিচার
🔹D3 (দ্রেক্কান)--- ভ্রাতা ও ভগিনী বিচার
🔹D4 (চতুর্থাংশ)--- বৈষয়িক বিচার
🔹D7 (সপ্তমাংশ)--- জনন বিচার
🔹D9 (নবাংশ)--- রাশি চার্টের বিকল্প চার্ট
🔹D10 (দশমাংশ)--- সামাজিক স্বীকৃতি বিচার
🔹D12 (দ্বাদশাংশ)---পিতা মাতা, আয়ু বিচার
🔹D16(ষোড়শাংশ)--বিলাসিতা, আনন্দ বিচার
🔹D20 (বিংশাংশ)---আধ্যাত্মিক উন্নতি বিচার
🔹D24 (চতুরবিংশাংশ)--- শিক্ষার বিচার
🔹D27(সপ্তবিমাংশ)--মানসিক ক্ষমতা বিচার
🔹D30 (ত্রিশাংশ)--- অদৃষ্ট, দুর্ভাগ্য বিচার
🔹D40(স্বাভেদাংশ)-- মাতৃকুলের উত্তরাধিকার
🔹D45 (আকাশভেদাংশ)--- পিতৃকূলের "
🔹D60 (ষষ্ঠমাংশ)--- পারব্ধ কর্ম বিচার
এরমধ্যে আবার বর্গোওম-র ব্যপার রয়েছে।
যেমন-- কোন গ্রহ রাশি চার্টে দেখা গেল নীচস্ত কিন্তু নবাংশে উচ্চ, তাহলে গ্রহটি বর্গোত্তম হবে। কিন্তু কি যে ফল দেবে সেটা কারো জানা নেই।
1 থেকে 60 টি চার্ট বিচার করতে হবে!! সমস্ত সূত্র প্রয়োগ করে!! যা কয়েক জন্মেও সমাধান হবেনা ||
➡️ সূত্র ৮. গ্রহদশা বিচার •••••
জ্যোতিষে অষ্টত্বরী দশা, জৈমিনী দশা, বিংশত্বরী দশা ইত্যাদি অনেক ধরনের দশা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু প্রয়োগ কেউ জানে না। কোন ঘটনা কোন সময় ঘটবে, কোন গ্রহদশায় ঘটবে, সময় নির্ধারণ করার কি নিয়ম, সেটা কেউ জানে না।
NB★একমাত্র 'নাড়ি জ্যোতিষে' দশা পদ্ধতির প্রয়োগ করে ঘটনার সময় নির্ধারণ করা সম্ভব।
➡️ সূত্র ৯. যোগ বিচার •••••
মাঙ্গলিক, কালসর্প, শনির সাড়েসাতী, রাজযোগ, বিপরীত রাজযোগ, বালরিষ্ট যোগ, পিতৃদোষ, পঞ্চ মহাপুরুষ যোগ-- রুচক যোগ, ভদ্রযোগ, হংসযোগ, মাল্যভ্য যোগ, শশযোগ, বিষযোগ, বুধাদিত্য যোগ, কেমদ্রুম যোগ, দৈনযোগ, গজকেশরী যোগ, সরস্বতী যোগ, মহাভাগ্য যোগ ইত্যাদি কয়েক হাজার যোগের সূত্র রয়েছে।
এগুলি অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারে লিপ্ত ভুয়ো যুক্তিহীন সূত্র। ফলিত জ্যোতিষের সঙ্গে যার কোন সম্পর্ক নেই। কাউকে পাগল বানাতে সূত্রগুলি অবশ্যই ভীষণ কার্য্যকরী হবে ||
➡️ সূত্র ১০. বিবিধ বিষয় •••••
✅ জ্যোতিষ পুস্তক গুলিতে বিবাহের সংজ্ঞাই ঠিক নেই। ব্রহ্মা বিবাহ, দৈব বিবাহ, অর্ষ বিবাহ, গন্ধর্ব বিবাহ, প্রজাপতয়ে বিবাহ, অসুর বিবাহ, রাক্ষস বিবাহ, পিশাচ বিবাহের ব্যাখ্যা রয়েছে। পিশাচ বিবাহ মানে হল- R**e, এসব কি করে বিবাহের ব্যাখ্যা হতে পারে? আশ্চর্য্য!!
🦋 বিবাহের ১টাই ব্যাখ্যা-- নারী ও পুরুষ উভয়ের স্বইচ্ছায় এবং সমাজের স্বীকৃতি পূর্বক পরিবার গঠনের উদ্দেশ্যে সম্মিলিত উপযুক্ত পদক্ষেপ।
উক্ত জ্যোতিষ পদ্ধতিতে বিবাহ বিচারের ক্ষেত্রে বলা হয়-- ১'ম লগ্ন দেখো, তারপর লগ্নপতিকে দেখো, next সপ্তম স্থান দেখো, next সপ্তম পতিকে দেখো, next সপ্তমপতির সপ্তমে যে আছে তাকে দেখো, next শুক্রকে দেখো, next শুক্রের সপ্তমে যে আছে তাকে দেখো, next মঙ্গলকে দেখো, next.... তুমি আমায় দেখো আর আমি তোমায় দেখি।
মানে এতো কিছু দেখার পরেও বলা সম্ভব নয় যে, বিবাহ কবে হবে❗️
✅ 'রাজ জটোক' কথাটা শুনতে খুব ভালো লাগে কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজ জটোক হওয়ার পরও বিবাহ বিচ্ছেদ কি করে হয়? 36 সে 36 point হলেও কেন বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে?
✅ মঙ্গল, শনির গৃহে (মকরে) যদি উচ্চস্থ হয়, তাহলে শনি, মঙ্গলের গৃহে (মেষে) কি করে নীচস্ত হয়?
✅ কোন গ্রহ উচ্চ কিন্তু বক্রী হলে কি হবে? একাধিক গ্রহ কোন গৃহে অবস্থান করলে কি ফলাফল হবে? সূর্যের সঙ্গে যেকোন গ্রহ থাকলে দগ্ধ হয়ে যায়, অথচ বুধ+রবির যুতি হলে তবেই বুধাদিত্য যোগ সৃষ্টি হয় কেন?
এরকম হাজারো প্রশ্ন আছে, যার কোন উত্তর তথাকথিত 'বৈদিক' জ্যোতিষ শাস্ত্রে নেই।
➡️ এতোকিছুর পরেও বাকি রয়ে গেল অনেক বিষয়, যেমন-----
নক্ষত্র ফল, জোটক বিচার, রাশিফল, বিন্দুফল, ষন্যাড়ি চক্র, নবতারা চক্র, সুদর্শন চক্র, কেন্দ্র, ত্রিকোণ, পনফর, অপক্লিম, উপচয়, শত্রু গৃহ, মিত্র গৃহ, দৃষ্টি, বক্রী, অস্তমিত, দগ্ধ, উচ্চস্থ, নীচস্ত প্রতিকার ব্যবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলি নিয়ে লিখলে কয়েক হাজার বই লেখা হয়ে যাবে, কিন্তু কোন সমাধান সূত্র মিলবে না, জন্ম জন্মান্তর ধরে চলতে থাকবে একই আলোচনা, অতএব শেষ করছি.......||
▶️ মতামত:-- উপরিউক্ত সূত্রগুলির সহিত ২৭ টি নক্ষত্রের সমন্বয় ঘটলে কয়েক লক্ষ সূত্রের সৃষ্টি হবে, যা একজন সুস্থ ব্যক্তিকে পাগোল করার জন্য যথেষ্ট। অতএব এই পদ্ধতিতে Prediction-র কোন নির্দিষ্ট Formulas নেই। আসল মজা হল যেকোন ঘটনা ঘটে যাবার পর কোন না কোন Formula-য় ঠিক মিলে যাবে, কিন্ত ঘটনা ঘটার আগে কোন Formula-ই কাজ করে না।
উক্ত জ্যোতিষ পদ্ধতি কেন ফেল? আশাকরি সেটা বোঝার জন্য আমার এই প্রতিবেদনটি যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে ||
=================♦️==================⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️
🔹ধন্যবাদ -----
🔹শ্রী ইন্দ্রনীল মুখার্জী ||