Jasodhara Chaudhuri -Neurologist

Jasodhara Chaudhuri -Neurologist Neurologist and Pediatric Neurologist
specialized in Pediatric epilepsy, movement disorder, sleep di

অনেক অনেক দিন আগে Paris শহরে ছিল Quasimodo বলে একজন, তার পিঠে ছিল এক মস্ত কুঁজো, সে হাটতো এঁকে বেঁকে। তাকে তথাকথিত কুৎসি...
08/07/2025

অনেক অনেক দিন আগে Paris শহরে ছিল Quasimodo বলে একজন, তার পিঠে ছিল এক মস্ত কুঁজো, সে হাটতো এঁকে বেঁকে। তাকে তথাকথিত কুৎসিত বলে কেউ কেউ তাচ্ছিল্য করতো, কেউ বা করতো দয়া। Notre Dame র চার্চ এ সে বাজাতো ঘন্টা। গরিব, কুৎসিত quasimodo র দিন কোনো রকমে কেটেই যাচ্ছিলো। তারপর সে একদিন পড়লো প্রেমে।Esmerelda বলে এক অপরূপা র। Hunchback Quasimodo কোনোদিন তার প্রেমকে সার্থক হতে দেখেনি, এক নীরব প্রেমে র করুণ কাহিনী হলো সেই classic Hunchback অফ Notre Dame। এখনো Paris র Notre Dame দেখলে গা ছমছম করে।
কিন্তু scoliosis বা শিরদাড়া র সমস্যা কিন্তু এখন ঠিক সময়ে ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসা মাধ্যমে ঠিক করা যায়। আপনারা কি জানেন Ussain Bolt ৪০ ডিগ্রী scoliosis নিয়ে দৌড়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন, অথবা যাঁর সৌন্দর্য ভুবন কে কাত করেছিল সেই Elizabeth Taylor ও scoliosis থেকে ভুগতেন।
বেড়ে ওঠা বাচ্ছা যদি বলে রোজ কোমর পিঠে ব্যাথা তাহলে বয়স সন্ধিকালে অবশ্যই দেখতে হবে যে সে ধীরে ধীরে scoliosis আক্রান্ত হচ্ছে কিনা।
কিছু অসুখের সাথে scoliosis বিশেষ ভাবে জড়িয়ে যেমন কি SMA, DMD, Cerebral palsy। Scoliosis র চিকিৎসা করে এদের কোয়ালিটি অফ লাইফ ভালো করা সম্ভব।
Scoliosis রিসার্চ foundation, IAP, WBAP, Cure SMA র যৌথ উদ্যোগে হলো scoliosis র ওপর এক অভিনব অনুষ্ঠান। সেখানে Scoliosis এ নিউরোলজি সংক্রান্ত কিছু কথা বললাম, কিন্তু এখনো জন মানসে এই রোগ নিয়ে সম্যক ধারণা কম, আরো মানুষের মধ্যে এই রোগ গুলি নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
Scoliosis বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের অন্তরায় হয় না।

15/06/2025

ছোটোবেলায় ইস্কুলে একটা জিনিষে সবচেয়ে বেশি চাপ লাগতো সেটা হলো, গার্জেন কল। ইস্কুলে যে কোনো শাস্তির একদম হায়েস্ট এবং অন্তিম পর্যায় ছিলো গার্জেন কল। আমাদের স্কুলে ছিলো একটা ডায়রি সিস্টেম। ক্লাসে কোনো অপরাধ করলে ডায়রিতেই লিখে দেওয়া হতো, যেমন একবার আমি ক্লাস চলাকালীন সিটি বাজিয়েছিলাম বলে- স্যার ডায়রিতে লিখে দিলো- 'গার্জেন কল করা হয়েছে, অভিভাবককে দেখা করতে অনুরোধ করা যাইতেছে।'

তখন আমি নিজেই নিজের গার্জেন সেজে নীচে লিখে দিলুম- 'ঠিক আছে, এখন কদিন ব্যস্ত আছি, পরে দেখা করবো', দিয়ে ক্লাসে স্যারকে বললুম- 'স্যার বাবা আসতে পারবে না বলছে!', ক্লাসের স্যার বিষয়টা ইগোতে নিয়ে নেয়, নীচে আবার লিখে দেয়- 'ব্যস্ত আছি মানে কী, আপনি দেখা না করলে ছেলের রেসাল্ট হাতে দেবো না', তখন আমি আবার আমার বাবা সেজে নীচে লিখে আনি- 'দরকার নেই রেসাল্টের, আই ডোন্ট মাইন্ড!'

এরপর স্যার ডাইরেক্ট বলে বসে- 'এই তোমার বাড়ির ঠিকানা দাও তো, আমি গিয়ে দেখা করবো!' এবার স্যার বাড়ি চলে এলে তো আমার শনি, এটা ধরা পড়ে যাবে যে আমি বাপের সই নকল করে ডায়রিতে বাপ সেজে লিখছি, আমি স্যারকে বলে দিই- 'তার আর দরকার নেই স্যার, বাবা কালই দেখা করবে বলেছে।', তারপর আমি পাড়ার একটা দাদাকে বাবা সাজিয়ে স্কুলে দেখা করাই। তো সেই দাদা আমার ফলস্ বাপ সেজে ইস্কুলে আসে, স্যার যা বলে চুপচাপ শুনে নেয়, আর বলে আসে- 'চিন্তা করবেন না, বাড়ি গিয়ে এর চামড়া তুলে নেবো!', স্যারও চামড়া তোলার বিষয়টা শুনে মোটামুটি মেনে নেয় যে হ্যাঁ এটা তো একটা বাপের মতো কথাই হলো বটে।

তারপর বেশ কয়েকবার আমার গার্জেন কল হয়, আর ওই পাড়ার দাদাটাই বাপ সেজে প্রক্সি দিতো, কিন্তু একদিন চাকরি পেয়ে ওই দাদাটা অন্য কোথায় একটা চলে যায়, কিন্তু আমার আবার গার্জেন কল হয়।

এবার আমি অন্য আরেকটা পাড়াতুতো কাকুকে বাবা সাজিয়ে স্কুলে নিয়ে আসি। তখন স্যার আমাকে বলে- আরে আগেরবারগুলো যখন তোমার বাবা এসেছিলো একটু অন্যরকম দেখেছিলুম মনে হচ্ছে?
আমি বলি: হ্যাঁ আমার বাবার প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে তো, তাই আলাদা লাগছে।
বাপের ভেকধরা কাকুটাও বলে: হ্যাঁ এই একটু প্লাস্টিক সার্জারি করলুম।
- কিন্তু গলাও তো আলাদা লাগছে
- হ্যাঁ ভোকাল কর্ডেও একটা সার্জারি হয়েছে আর কি।

এইভাবে আমার গার্জেন কল চলতে থাকে, আর নতুন কাকু বাপ সেজে প্রক্সি দিতে থাকে। কেউ বুঝতে পারে না। তারপর এই কাকুটার একদিন বিয়ে হয়ে অন্য জেলায় চলে গেলো শ্বশুরবাড়ি ঘরজামাই হয়ে। কিন্তু গার্জেন কল আমার আবার হলো!

আবার আমি নতুন একটা ক্লাবের দাদাকে বাবা সাজিয়ে নিয়ে গেলুম। স্যার আবার সন্দেহ করলো যে এই ভদ্রলোক তো অন্যরকম, আমি বললুম- হ্যাঁ আমার মায়ের সাথে বাবার ডিভোর্স হয়ে গেছে, এখন উনিই আমার বাবা।
স্যার আমার ফলস্ বাবাকে বললো: ওহ, তালে এ আপনার সৎ ছেলে?
বাপবেশী দাদা বললে- সৎ ছেলে তো কী হয়েছে, বাড়ি গিয়ে চামড়া গুটিয়ে দেবো!
স্যার বললো: তালে ঠিক আছে।

এভাবে অনেকদিন চলার পর আবার একদিন গার্জেন কল হলো, কিন্ত আমার বর্তমান প্রক্সি দেওয়া দাদাটার তখন পিলেজ্বর হয়েছে, সে বললে যেতে পারবে না, বদলে ওর একটা বন্ধুকে বাবা সাজিয়ে পাঠাতে পারে। আমি পড়লাম মহা সমস্যায়, বারবার বাবা বদলে গেলে তো খুব চাপ। কিন্তু এবার আমি একটা উপায় বের করলুম, কায়দা করে এবার আমি আমার নিজের বাবাকেই বললাম,
- বাবা মাস্টার মশাই তোমাকে দেখা করতে বলেছে, কিন্তু এই মাস্টারমশাই এর মাথায় একবার চোট লেগেছিলো, তাই মাঝে মাঝে উনি স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন, হট্ টেম্পার হয়ে যান, একেক সময় কী বলেন, কোনো মানে থাকে না, তাই কিছু মনে কোরো না।
বাপ বললো: ঠিক আছে।
আর স্যারকেও বললাম: স্যার আমার বাবার মাথায় একটু চোট লেগেছে, তাই মাঝে মাঝে স্মৃতি হারিয়ে ফেলে, হট্ টেম্পার হয়ে যায়, একেক সময় কী যে বলে, কোনো মানে থাকে না, তাই কিছু মনে করবেন না। কিছু এটাসেটা বললে শুনে নেবেন।
স্যার বললেন: ঠিক আছে, কিন্তু তোমার বাবা ভাগ্য দেখছি তো খুবই খারাপ!

বাবা ইস্কুলে গেলো।
তারপর ইস্কুলে স্যার আর বাবার কথোপকথন:
স্যার : আরেহ আপনি আবার কে!
বাপ: কে আবার? আমি ওর বাবা!

- কিন্তু ওর মায়ের কি আবার ডিভোর্স হয়ে গেছে?
- হেঁ হেঁ কী বলছেন কী, ডিভোর্স কেন হবে?
- ওহ আপনার তো আবার মনে নেই, আরে এর আগেও একজন বাবা ছিলো যার আবার প্লাস্টির সার্জারি হয়েছিলো!
- হেঁ হেঁ কী যে বলেন স্যার, তা আপনার মাথায় চোটটা কোথায় লেগেছিলো? খুব লেগেছিলো?
- আহা, আপনার এমন চোট লেগেছিলো, আপনার বুঝি মনে হয় পৃথিবীতে সবারই মাথায় চোট লেগেছে! তা আপনার বিয়ে কবে হলো?
- হেঁ হেঁ, বুঝতে পারছি আপনার চোটও খুব গুরুতর ছিলো!

তারপর আমার নামে স্যার বাবাকে বেশ কিছু নালিশ করে, বাবা বলে- চিন্তা করবেন না বাড়ি গিয়ে ছাল তুলে নেবো।
স্যার বলে- ঠিক আছে বেশী মারবেন না, আসলে এতবার বাবা পালটে যাচ্ছে তো ছেলের ওপর একটা মানসিক ধকল যাচ্ছে!

বাড়ি আসার সময় বাবা আমাকে বলে- মাস্টারমশাই তো ভারি আজব আজব কথা বলে, মানে যা নয় তাই!
আমি বললুম- হ্যাঁ বাবা, আসলে চোট খুবই গুরুতর ছিলো।

তারপর থেকে আমার যখনই গার্জেন কল হতো আমার নিজের বাপই যেতো, আর স্যার আর আমার বাবার কথোপকথনের কোনো মানে থাকতো না, কেউ কারো কথা বিশ্বাসও করতো না। শুধু আমি মাঝে মাঝে দুজনকেই মনে করিয়ে দিতাম- চোট আসলে খুবই গুরুতর ছিলো কিনা!
বাবা দিবসে বাবা দের গপ্প। পুরোনো। কোথায় পাওয়া মনে নেই

12/06/2025

জীবন বড়ই অনিশ্চিত। যে কদিন থাকা যায় প্রতিটা মুহূর্ত বাঁচা র মতো করে বাঁচা উচিত।
আজকের মর্মান্তিক ঘটনা সেইটি ই প্রমাণ করে দিলো।

নাহ রোজ রোগী কথায় মন ভালো হওয়ার মতো কথা থাকে না। মাঝে সাঝেই মানুষের গভীর তম দুঃখ কষ্ট গুলির সাক্ষী হয়ে থেকে যেতে হয়। সেই...
05/06/2025

নাহ রোজ রোগী কথায় মন ভালো হওয়ার মতো কথা থাকে না। মাঝে সাঝেই মানুষের গভীর তম দুঃখ কষ্ট গুলির সাক্ষী হয়ে থেকে যেতে হয়। সেই পথে হাঁটতে গিয়ে কখন যেন তাঁদের দুঃখ কষ্টের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাই।
সেদিন এরমই এক ঘটনা নাড়িয়ে দিলো আমায়। একটি বাচ্চা, তার বেশ কিছু স্নায়ু র সমস্যা আছে, আস্তে আস্তে একটু করে ভালো হচ্ছিলো। হয়ত পুরো হবে না, তাও এগোচ্ছিলো। আগের বার তার মা বাবা নিয়ে এসেছিলো। মা টিকে আমার বেশ মনে আছে। ঝলমলে এক তরুণী, কলেজ জীবনে নিশ্চয় নাম করা সুন্দরী ছিলেন।
আজ বাচ্চাটি এলো তার দাদু দিদা র সাথে। বাচ্চাটির মা আত্মহত্যা করেছেন, বাচ্চাটির সামনেই। পারিপার্শিক চাপ সহ্য করতে পারেন নি।
নিরলস ব্যঙ্গ, কুকথা না নিতে পেরে এই মোক্ষম পদক্ষেপ।
শোনার পর বেশ খানিক সময় লাগে সম্বিৎ ফিরে পেতে, দায়িত্ব এড়াতে পারিনা বলে কোনোক্রমে বাকি কাজ শেষ করি।
শুধু ভাবি, মানুষ কিভাবে অন্যের দুঃখ কে বিকৃত করে, তার আঘাত কে ঘা এ পরিণত করে তাঁকে পচনের মুখে ঠেলে দেয়।
একটি লেখা পড়ে খুব অবাক লেগেছিল। মানুষ কিভাবে মানুষ হয়ে উঠেছিল জানেন? চাকা আবিষ্কার করে? কৃষি কাজ আবিষ্কার করে?
না তা হয়তো না।
Neanderthal মানুষ র সময় র এক fossil পাওয়া গেছিলো যার একটি দিক সম্ভবত পক্ষাঘাত দুষ্ট ছিল। অথচ তার বয়স আনুমানিক ছিল ৬০ বছর। অর্থাৎ সেই আদিম মানুষ ওই বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি কে আদর যত্নে অতদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।সেই মানবিকতা র প্রকাশের দিন থেকেই হয়তো Neanderthal man আধুনিক মানুষ হয়ে উঠলেন।
চাকা আবিষ্কার থেকে মানুষ মহাকাশ অভিযান করে নিলো, কৃষিবিদ্যা আধুনিক যুগে কত সহস্র যোজন এগিয়ে গেছে।
এগোলো না যা শুধু, তা হলো মানুষের মানবিকতা।
কয়েকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়েই তা রয়ে গেলো।
সকলে অঙ্গীকার বদ্ধ হোন, উপকার করতে পারেন আর না পারেন, মানুষকে আহত করবেন না।
অনেক যুগ র পর Neanderthal man হোমো sapiens হয়েছিল। নিজের ব্যবহার এ বিবর্তন এ পিছিয়ে যাবেন না।
অনেক দুর্ভাগ্য যে চোখের সামনে একজন মা কে হারিয়ে যেতে দেখলাম। এখনো আশা করে যাবো সমাজের শুভ বুদ্ধি র উন্মোচন হোক।
#রোগীকথা

আমার পুঁচকে রোগী র হাতে আঁকা কার্ড
04/06/2025

আমার পুঁচকে রোগী র হাতে আঁকা কার্ড

একটা ছোট্ট গ্রামের মেয়ে কিছুটি পারতো না। নাম পড়ে গেছিলো বুদ্ধু ভুতুম।অনেক দিন ধরে দেখি ওকে।আস্তে আস্তে একদিন ছোট্ট করে ড...
29/05/2025

একটা ছোট্ট গ্রামের মেয়ে কিছুটি পারতো না। নাম পড়ে গেছিলো বুদ্ধু ভুতুম।
অনেক দিন ধরে দেখি ওকে।আস্তে আস্তে একদিন ছোট্ট করে ডানা মেললো।
মাধ্যমিক এ খুব ভালো করেছে সে।
আমার প্রাপ্তি তার মা বাবা র আনন্দের তৃপ্ত হাসি আর এক বাক্স মিষ্টি। আমার কাছে বড়ই মূল্যবান এই টি।
কোথাও সেই আবার হেরে যেতে যেতে জিতে যাওয়া র গল্প।
সফলতা কি?
যখন কাজ আনন্দ এনে দেয়। মাঝে মাঝে আমার এই ডাক্তারী র কাজ এমনি আনন্দ এনে দেয় কোথাও যেন মনে হয় এটা আমাদেরই জয়।
#রোগীকথা #রূপকথা

20/05/2025

পুরোনো লেখা, আবার দিলাম ভালোবাসার আয়ু
#রুগীকথা
ব ঙ্কু আমার পেশেন্ট। সেদিন বঙ্কুর ঠাকুমা র থেকে আমি খুব বকুনি খেলাম। না ডাক্তারি কারণে নয়, বংকু এখন দিব্য আছে।অনেক দিন কিছু না লেখার কারণে।ঠাকুমা ঢুকেই বললেন এ আমার মোটেই ভালো লাগছে না।বুড়ো বয়স এ একটু ফেসবুক এ লেখা টেখা পড়ি, তা সেসব পাট তো চুকিয়ে দিলে বোধয়। ওনাকে বললাম কি ছাইপাঁশ লিখতাম, আর সময় হয়না। এককালীন স্কুলের দুদে ইংরেজি শিক্ষক ঠাকুমা ঠোঁট উল্টে বলে দিলেন এলেন কত বড় লেখক রে, জানো মেয়ে আশাপূর্ণা দেবী সবাই ঘুমালে লিখতেন।রাত জেগে।আমি ওনাকে বোঝাতে চাই যে আমার লেখা র সময় আর বিষয় সেরম পাচ্ছি কই,উনি শুনবেন না।বললেন আরে বাবা আমাদের ছা পোষা গল্পও তো লিখে রাখতে পারো।কোথাও ত থেকে যাবে।ওই তোমরা কি যেনো বলনা ফেবু মেমোরি তে আসবে।ঠাকুমা কে আর কত নিরস্ত করি।ওনার কথা এ গত ক মাসের আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখে ফেলেছি।লেখাটা শুধু ওনার র আমার,উনি বলেছেন গুণগত মান নিয়ে হাসবেন না।লেখাটা গত কয়েক বছর ধরে দেখে আসা কিছু দম্পতি র গল্পই।
পল্লবী কে প্রথম দেখি যখন আমি DM করতে ঢুকি বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ Neuroscience এ। পল্লবী র তখন নতুন বিয়ে।বিয়ের একবছর ঘুরতে না ঘুরতেই IT সেক্টর এ কর্মরত স্বামী পড়লেন স্নায়ুরোগ র কবলে।কোমর থেকে পা অসার, আঙ্গুল নাড়ার ক্ষমতা টুকু ও নেই। ব্যাঙ্গালোর ঘুড়ে তারা আমাদের হাসপাতাল এ ভর্তি হন,আমরাও প্রথম প্রথম খুব হতাশা জনক কিছু ভাবিনি,ভেবেছিলাম আমাদের অতি পরিচিত NmO SD বলে এক রোগ এবং তার চিকিৎসা করলে উনি সুস্থ হয়ে যাবেন।চিকিৎসা চলা কালীন পল্লবী র সাথে নানা গল্পও হতো।আমার তখন ছেলে দের বছর।তাকে রেখে ডিউটি করা র গল্পের ফাঁকে শুনতাম ওর ও সংসার বড় করার পরিকল্পনা,ছেলে সন্তান ভালো না মেয়ে ভালো সেই কথা,বাড়ি নতুন ভাবে সাজাবে তার গল্পও। পল্লবী র স্বামী আর দশজন এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মত চিকিৎসা এ সারা দিলেন না।বাড়ি গেলেন পঙ্গু অবস্থা নিয়েই।আউটডোর এ আসতেন ওঁরা।মাঝে ধরা পড়লো হেপাটাইটিস,তার ও চিকিৎসা চললো,তারপর ও যতরকম সম্ভব ইনজেকশন,immunosuppressant চলে ,কিন্তু তিনি তাও কোমর থেকে সম্পূর্ণ রূপে পঙ্গু। পল্লবী ও একটু একটু করে নিরাশ হয়ে পড়ছিলো,তরতাজা একটি মেয়ের নতুন জীবনের শুরু থেকে ই স্বামি কে নিয়ে শুধু হাসপাতাল আর নিরলস সেবা করে যাওয়া।ইতিমধ্যে স্বামীর প্রাইভেট কোম্পানি র চাকরীটা ও গেছে। সংসার র হাল ধরতে পল্লবী কে শুরু করতে হয়েছে প্রাইভেট টিউশন।শেষবার যখন আমার সাথে দেখা হয়,প্রথম দেখার বছর চারেক পরে,সেই প্রাণোচ্ছল মেয়েটিকে আর দেখতে পাইনি,বরং দেখেছিলাম একজন কর্তব্য র ভারে ন্যুব্জ হয়ে যাওয়া স্ত্রী কে যিনি বিবাহ জীবনের আনন্দ টুকু উপভোগ করার অবকাশ ই পেলেন না, শুধু ই নিয়ে গেলেন দায়ভার। ওর স্বামীর তখন সারা শরীর এ বেড sore। তাকে প্রায় বহন করে নিয়ে আসতে আসতে পল্লবী র মুখেও বিরক্তি,কিন্তু পরমুহুর্তে আবার পরম স্নেহে স্বামীর কপালের ঘাম টুকু মুছিয়ে দেয়।বড় মায়ায় সে মননে অনাগত সন্তান র চিত্রটি অঙ্কন করেছিল,সে না আসায় এত বঞ্চনার মধ্যেও সেই স্নেহই বেরিয়ে আসে স্বামীর প্রতি এই মমতায়।কঠিনতম পরিস্থিতি তে বিবাহ বন্ধন র প্রেম ও দৃরতার প্রতীক আমার কাছে এই মানুষটি ।
বাঙ্গুর institute Of Neurology র শুক্রবার এ করতাম বোটক্স ক্লিনিক।সেখানে আলাপ সরিফুল র সাথে।স্ত্রী আর ছেলে কে নিয়ে সে আসে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য।বেশ কয়েক বছর আগে তার স্ত্রীকে গ্রামের এক অন্ধকার রাস্তায় আলের মধ্যে পরে থাকতে দেখা যায়।কিছু দুষ্কৃতী তাকে ধর্ষণ করে মৃত্যু র অপেক্ষা এ রেখে যায়। মৃত্যু র সাথে পাঞ্জা ল রাই করে তিনি জীবনে ফিরেছেন বটে,তারপর দীর্ঘ আইনি যুদ্ধ।কিন্তু তার হাত পা কাজ করে না।ব্রেন এ কিছু সময় অক্সিজেন র অভাব হয়েছিল ,তার থেকে অচল হাত পা।সেই শক্ত হয়ে যাওয়া হাত পা কে কিছু শিথিল করতে আমাদের কাছে বোটক্স ইনজেকশন নিতে আসা।আমরা বলি এত কষ্ট করে যে এলে ও কিন্তু হাঁটতে পারবে না এখনও।শরিফুল বলে টা না পারুক,একটু নরম হলে আমার স্নান করিয়ে দিতে সুবিধা হবে, ও বরাবর পরিপাটি থাকতে ভালবাসে।ছোট ছেলেটি পেছনে হুইল চেয়ার টিকে ঠেলে এগিয়ে আসে,মাকে সে আর পেলো কই,মা বলতে সেই বাবাই, সাক্ষী থেকে যাই মানুষের বর্বরতা র কাছে হারতে হারতে জিতে যাওয়া এক অত্যাশর্য দাম্পত্য প্রেমের।
গতবছর বঙ্কুর ঠাকুমা র নিউমোনিয়া হয়েছিল,ICU তে ২০ দিন ছিলেন।মাঝে ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বঙ্কু র দাদু রোজ যেতেন র বলতেন অনেক কথা বাকি আছে।পড়ে sister র কাছে শুনেছেন উনি।এখনও মাঝে মাঝে সেই সিস্টার কে পেলেই জিজ্ঞাসা করেন। ভাগ্যের এমনই পরিহাস উনি বাড়ি ফেরার দুদিন পরেই সুস্থ অবস্থায় ঘুমের মধ্যে মহা প্রস্থান র পথে হাঁটা দিলেন তাঁর স্বামী।সেই কথাগুলো আর শোনা হয়ে উঠলো না।
ঠাকুমা ইদানিং যাওয়ার সময় আমার জন্য ছোট্ট একটা চিঠি রেখে যান,এইবার তাঁর এই অসমাপ্ত কথাটি বলার সাথে যা রেখে গেলেন তাতে লেখা ছিল
- আমি তার মুখের কথা শুনবো বলে গেলাম কোথা
শোনা হলো না হলো না
আজ ফিরে এসে নিজের দেশে এই যে শুনি
শুনি তাহার বাণী আপন গানে
আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে
তাই হেরি তায় সকল খানে।
তলায় লেখা এক জীবন ভালোবাসার সাথে থেকে ও ভালোবাসার আয়ু ফুরালো না - তার জন্য কারো থেকে ক্ষমা চাইনে।

সব চরিত্র সত্যি।নাম শুধু আলাদা।
নিজের অভিজ্ঞতা।
আজকের লেখাটা শুধু ঠাকুমা র জন্য।
আমাদের চারপাশে থাকা অতি সাধারণ মানুষের অনন্য সাধারণ ভালোবাসার গল্পও।
বেঁচে থাক ভালবাসা।ভালো থাক ভালবাসা র জন্য লড়ে যাওয়া মানুষ গুলো।
© JC

সানন্দা তে আমার একখান লেখা বেরিয়েছিল। কিন্তু লেখা টা পড়ে দেখবো কি,আগের পাতা গুলো যে রোমহর্ষক।উত্তম বাবুর স্ত্রী গৌরী দেব...
19/05/2025

সানন্দা তে আমার একখান লেখা বেরিয়েছিল। কিন্তু লেখা টা পড়ে দেখবো কি,আগের পাতা গুলো যে রোমহর্ষক।
উত্তম বাবুর স্ত্রী গৌরী দেবী, প্রথমে সাবিত্রী দেবী কে খুব একচোট গালি দিয়েছেন, তারপর উত্তম বাবু যখন সুপ্রিয়া দেবীর বাড়ি চলে গেছেন, তখন আবার সাবু সাবু করে সে কি কান্না।
রাজ কাপুর নার্গিস র বিয়ে র খবরে মুহ্যমান হয়ে নেশার পাত্র হাতে নিয়ে বাথটাব এ প্রায় ডুবে যান আর কি। খেলার জগতে shane warne র বৌ হাতে নাতে তাঁকে প্রেমিকা র সাথে পাকড়াও করবেন বলে দাঁড়িয়ে আছেন।
এই সব গল্পের মাঝে আমার সাদা মাটা ডাক্তারী বিষয়ে জ্ঞান খাবি খেতে খেতে ডুবেই মরেছে।
সে যাক গে, এই যে এই কর করে প্রচ্ছদ যার নাম "পরকীয়া ", সেই নিয়ে এক বড়ই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা র সম্মুখীন আমি হই বছর দুই আগে।
শীতকাল তখন, সেদিন বেশ ঠান্ডা, ঝুপ করে বিকেল বেলায় ই সন্ধ্যে নেমে পড়েছে। শেক্সপীয়ার সরণি র আমার যে চেম্বার সেও প্রায় শেষের পথে, আর গোটা দু জন কে দেখলেই আমার ছুটি।
এমন সময় সেই ভদ্রমহিলা এলেন, বাড়ি তাঁর ঢাকা পেরিয়ে কোনো শহর এ। (বছর দুই আগে শেক্সপীয়ার সরণি র ওই চেম্বার এ আসতেন বেশ কিছু বাংলাদেশ র মানুষ জন, নানা রোগ ভোগ নিয়ে )
ভদ্রমহিলার বয়স ত্রিশের মধ্যেই, মুখটার মধ্যে বেশ একটি লাবণ্য মাখানো আছে, চোখ দুটি দীঘল।
বলতে থাকলেন তাঁর নানা অসুবিধা র কথা, মাথায় ব্যাথা, ঘাড়ে ব্যাথা, প্রভৃতি। আমাদের একটি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় এই ব্যাপার এ বড়ই সচেতন, রোগী যখন কিছু লুকাতে নানা রোগের অছিলা দেন, আমরা ঠিক বুঝতে পারি। মিনিট দশেক পর পেন টা রেখে, ওনার চোখের দিকে সটান তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ব্যাপার টা কি, আসলে হয়েছে কি আপনার, কেন এসেছেন।
সাথে সাথে তিনি সরে এসে আমার কাছাকাছি চলে এলেন। ফিস ফিস করে বললেন, জামাই আমার দেখাতে আসবে আপনার কাছে (জামাই বলতে ওরা কিন্তু বোঝায় স্বামীকে -সেটা আমার জানার পেছনে আরেকটি গল্প আছে, সে হবে অন্যদিন ক্ষণ )কিন্তু আসবে অন্য মেয়ে কে বৌ সাজিয়ে, ওর affair চলছে আমি ধরে ফেলেছি। সে India এসেছে, girlfriend রে নিয়ে, আমিও পিছু পিছু গোয়েন্দা নিয়ে এসেছি। (ওনার ভাষার dialect টা আমি ঠিক তুলে ধরতে পারলুম না )। কথা টা শুনে সম্বিৎ ফিরে পেতে কয়েক সেকেন্ড লাগলো, তারপর বললাম, আপনার স্বামী কে আপনি ধরবেন এর মধ্যে আমি কি করবো?
উনি বললেন না না ম্যাডাম পুরো টা শুনুন। ওনার মৃগী রোগ আছে, উনি আপনারে দেখাইতে আসবেন, সাথে girlfriend র মাথায় ব্যাথা ও দেখিয়ে নিয়ে যাবেন।
আমি বললাম উনি এতো জন neurologist এই ক্লিনিক এ থাকতে আমাকেই দেখাবেন আপনি কি করে জানলেন?
ভদ্রমহিলা বলেন তখন ম্যাডাম আমি না, আমি গোয়েন্দা লাগাইসি, সে ও সাথে আছে, সে বলসে।
ডাকবো ওনারে?
বাংলাদেশী আধুনিক গোয়েন্দা যিনি পরকীয়া র ওপর কাজ করেন কখনো দেখিনি। কৌতূহল হলো বৈকি। বললাম ডাকুন।
গোয়েন্দা আসবে বলতে ভাবছিলাম, ফেলুদা, ব্যোমকেশ মার্কা না হোক, নিদেন পক্ষে একেনবাবু তো হবেনি। যিনি এলেন তাঁকে দেখে ছেলের কাছে শোনা একটি গান র কথা মনে পড়ে গেলো -"ফড়িং বাবু র বিয়ে, চমচিকিতে বাজনা বাজায় টোপর মাথায় দিয়ে "। গোয়েন্দা দেখে হতাশ হওয়াটাকে যতদূর সম্ভব চেপে রেখে ফড়িং বাবু কে বললাম, যে দেখুন এই বিষয় টি তো আমার speciality তে পরে না, ওনার স্বামী র এই আচরণে ওনার ডিপ্রেশন বা anxiety জাতীয় symptoms হলে উনি বরং psychiatrist দেখান। ফড়িং বাবু বললেন, ওনার ওসব কিছুই হয়নি, আমরা এসেছি অপরাধীকে হাতে নাতে ধরবো বলে। ওনার স্বামী ছবি আপনাকে দেখাচ্ছি, ইনি হয়তো আজ ই আপনার কাছে আসবেন অন্য এক মহিলাকে স্ত্রী বলে নিয়ে। এনারা ঢুকলেই আপনি আমার নম্বর এ একটা কল দিবেন, আমরা খপাৎ করে এসে ধরবো।
এরম অদ্ভুত প্রস্তাব আমি জীবনে আগে পাইনি।
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি, এবার ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে বললেন আপু এই কাজ খান আপনারে করতেই হইবো, দয়া করেন আপনি। আমরা ওই ঘরের ভিতরে ওনাকে ধরবো, তারপর ওই ঢলানি মেয়ে মানুষের দেখবেন একটা একটা করে চুল আমি ছিঁড়ে নেবো।
শুনেই তো আমার ভয় এ গলা শুকিয়ে গেলো। মানে ওই দুই মহিলা চুলো ছুলি করবেন, collateral damage হিসেবে যে কোনো মুহূর্তে আমার পিঠেও একটি কিল বসিয়ে দিতে পারেন।
আমি বললাম দেখুন আমার চেম্বার আজ এখানেই সমাপ্ত। আপনারা এই ব্যাপার এ কর্তৃ পক্ষে র সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা কলকাতা পুলিশ র সাহায্য চান। আমি আমার বিষয় ছাড়া আর কোনো ব্যাপার এ সাহায্য করতে অপারগ, আর গোয়েন্দাগিরি টা মোটেই আসেনা।
ফড়িং বাবু তখন বললেন ঠিকাছে ম্যাডাম আজকের মতো আমরা আসছি, তবে উনি যদি আসেন একটা দয়া করে কল দেবেন, আমরা চেম্বার র বাইরেই ওনারে ধরবো।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম, কিন্তু এ ও বুঝলাম ভদ্রমহিলা চুলের মুঠি ধরার প্রতিজ্ঞা য় অনড়, তারপর কি হয়েছিল আর জানিনা, তবে ভদ্রলোকের ছবি যা দেখেছিলাম ওনার চুল নেই, অতএব চুল ধরে ওনাকে টানতে পারবে না।
পরকীয়া র সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা আর হয়নি, তবে অনেক রোগীর কাছে নানা কাহিনী তো শুনেইছি।
কিছুদিন আগেই Murakami মহাশয় র একটি বই যার নাম "Men without women"পড়লাম, তাতে উনি একটি গল্প লিখেছেন, এক সফল জাপানি ডাক্তার, ৫২ বছরে এক অত্যাশ্চর্য পরকীয়া র টানে কিভাবে মৃত্যু র কোলে ঢোলে পড়লেন।
Murakami প্রায় নোবেল জয়ী, তার প্রতিটি গল্পেই এক আশ্চর্য টান, কিন্তু এই বিশেষ কাহিনী টি আপনাকে অন্যভাবে নাড়িয়ে দেবে।
নিষিদ্ধ যা সামাজিক ভাবে তার টান হয়তো সব জীবনেই অশান্তি আর পরিশেষ এ হতাশা নিয়ে আসে।
আমার রোগী কথা অসমাপ্ত রয়ে গেলো, কারণ আমি জানতে পারিনি শেষে ভদ্রমহিলা প্রতিশোধ পেলেন না পুনর্মিলন।
#রোগীকথা #রূপকথা

কিছুদিন আগে একটি খবর বেরিয়েছিল, যে প্রাগৈতিহাসিক এক বিশেষ ভালুক কে বিজ্ঞানী রা আবার ফিরিয়ে এনেছেন।সামনের দিনে জুরসিক পার...
18/05/2025

কিছুদিন আগে একটি খবর বেরিয়েছিল, যে প্রাগৈতিহাসিক এক বিশেষ ভালুক কে বিজ্ঞানী রা আবার ফিরিয়ে এনেছেন।
সামনের দিনে জুরসিক পার্কে র মতো হয়তো dinosaur ও ফিরে আসতে পারে।
কিন্তু এখন যারা বেঁচে বর্তে আছে তাদের নিরাপদ ভাবে বাকি জীবন টা কাটানো কিন্তু যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে।
বিজ্ঞান বিশেষ করে এই gene নিয়ে নাড়া চারা করার বিজ্ঞান দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাতে যেরম ক্যান্সার র অত্যাধুনিক চিকিৎসা র আবিষ্কার হচ্ছে, যেমন কি CAR Tcell therapy, কিছু বিরল রোগ এর জন্য gene থেরাপি, আবার কিছু চিন্তার বিষয় ও হচ্ছে। যেমন ২০১৮ তে gene থেরাপি র মাধ্যমে এক চীনা বিজ্ঞানী আনলেন designer babies, অর্থাৎ বাচ্চা gene র ত্রুটি শুধরে জন্মাক। শুনতে ভালো লাগলেও এই gene therapy মানব সভ্যতা য় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সকলেই (যাদের হাতে অঢেল পয়সা )চাইবেন তাঁর বাচ্চা র গা এর রঙ অমুক হোক, দেখতে হোক উত্তম কুমার, বুদ্ধি তে Einstein।
তা সেই চীনা বিজ্ঞানী কে ওরাই ৩ বছর জেল র ঘানি টানায়।
এক বছর আগে এক rare disease SMA তে আমরা gene থেরাপি দিয়েছিলাম। বাচ্ছাটাকে বাঁচার সময় সীমা দেওয়া হয়েছিল এক বছর। সে পার করে সে এখন ভালোই আছে, ছড়া বলে, ইয়ার্কি মারে।
তাই জন্য Neuro আপডেট ২০২৫ e(basic সাইন্স IICB ও নিউরোলোজিস্টস )দের আয়োজিত সমাবেশ এ আমায় বলতে ডাকা হয়েছিল gene থেরাপি নিয়ে। Gene থেরাপি আগামী দিন এ এগিয়ে যাক অনেক, মানুষ উপকৃত হোক, চাইবো সব সময় যেন মানব কল্যাণ এ ই এর ব্যবহার হয়।
আগামী দিনে বড় সরো বিপ্লব আনতে চলেছে gene থেরাপি মাধ্যমে xenotransplantation।
অর্থাৎ যাদের অঙ্গ বিকল হচ্ছে তাঁদের মানুষের অঙ্গ পেতে অনেক সময় লাগে, অনেকে মারাও যান, তার আগে বিকল্প হিসেবে পশুর অঙ্গ থেকে প্রতিস্থাপন।
বিজ্ঞান এগিয়ে চলছে। আমরাও চলি। আমাদের মানসিকতাও চলুক

আমাদের মালতী র একদিন হঠাৎ করে মুখটা বেঁকে গেছিলো, তাতে মালতীর মা র কি কান্না, ওগো মেয়ে ছেলে মানুষের মুখ বেঁকে গেলে কে বি...
16/05/2025

আমাদের মালতী র একদিন হঠাৎ করে মুখটা বেঁকে গেছিলো, তাতে মালতীর মা র কি কান্না, ওগো মেয়ে ছেলে মানুষের মুখ বেঁকে গেলে কে বিয়ে করবে গো, তা মালতীর Bells palsy পরে ঠিক হয়ে যায়, এখন সুখে ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার করে, মালতী র বর বলেছিলো, মুখ বাঁকলেও ওকেই বিয়ে করবে।
Bells palsy বেশ সাধারণ একটি রোগ, কিন্তু স্ট্রোক হয়েছে নাকি Bells palsy সেটা নির্ধারণ করার জন্য সত্বর আপনার চিকিৎসক র সাথে যোগাযোগ করবেন। কারণ দুটোর চিকিৎসা ভীষণ আলাদা আর স্ট্রোক র চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক মুহূর্তে র ক্ষতিও মস্তিস্ক র জন্য মারাত্মক।
সানন্দা পত্রিকা কে অনেক ধন্যবাদ, আমার Bells palsy নিয়ে এক লেখা ছাপানোর জন্য।
পুনশ্চ :পত্রিকা র প্রচ্ছদ টা লক্ষ্য করবেন, এটি নিয়ে শ্বশুর মশাই কে দেখিয়েছিলাম, যে আমার লেখা বেরিয়েছে। উনি আশ্চর্য হয়ে বোধহয় ভেবেছেন যে আমি এই টপিক এও লিখে ফেলি।
তবে একটা কথা জানিয়ে রাখি পরকীয়া নিয়ে এক রোমহর্ষক রোগীকথা আমার কাছে আছে, যা আমায় প্রায় শার্লক র ছোট বোন হতে বাধ্য করেছিল, সেই ভদ্রমহিলা অনুমতি দিলে পরের রোগীকথা কিস্তিতে নাম না নিয়ে রোমহর্ষক কাহিনী টি লিখে রাখবো।

আজ Manchester এ FRCPCH UK ডিগ্রী পেলাম, RCPCH UK র।বহু কাঙ্খিত এই সম্মান বর্ধিত হলো এই শহর টায় পেলাম বলে। Manchester শুধ...
07/05/2025

আজ Manchester এ FRCPCH UK ডিগ্রী পেলাম, RCPCH UK র।
বহু কাঙ্খিত এই সম্মান বর্ধিত হলো এই শহর টায় পেলাম বলে। Manchester শুধু UK র একটি বড় শহর নয়, Industrial revolution থেকে শুরু করে modern history র নানা গতিবিধির সাক্ষ সে রেখে গেছে।
কিন্তু আমাকে নাড়া দিয়ে গেলো একটি শহরের empathy র ইতিহাস।
কাল একটি থিয়েটার দেখতে গিয়ে দেখলাম, কাল sensory শো হচ্ছে, যাদের autism আছে তাদের জন্য।
১৯৮০ নাগাদ যখন AIDS নামক এক ব্যাধি পৃথিবী কে হঠাৎ সংত্রস্ত করে তুলেছে, এবং বিশ্ব বাসী আঙ্গুল তুলেছে gay নামক সম্প্রদায় র মানুষদের দিকে, এই LGBTQ community কে আপন করে নিলো এই manchester।
আজ ceremony র পর একটি pub এ খেলাম, যেটি নাকি গতবছর ইউরোপ র শ্রেষ্ঠ pub হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে, নাম Rembrant স্থাপিত ১৮৭০ সাল এ, এই pub কর্ম সংস্থান করে শুধু মাত্র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ অথবা LGBTQ মানুষদের।
Manchester র ইতিহাস কোথাও দেখিয়ে দেয় যারা তথা কথিত পিছিয়ে পরে থাকে তাদের আগলে, বুকে করে নিয়ে কতটা এগিয়ে যাওয়া যায়।
আমি একসময় খুবই কেবলা ছিলাম, কথা বলতে পারতাম না বেশি। ইন্ট্রোভার্ট যাকে বলে আর কি, স্কুলে র ক্লাস র তথাকথিত দুজন খুব স্মার্ট মেয়ে হাসাহাসিও করতো।
এখন দেখি নিজের বিষয়ে কথা বললে বেশ কিছু মানুষ মন দিয়ে শোনেন, আর কে হাসলো কে হাসলো না, সেই বিষয় ও বেশী ভাবায় না।
আমি সবসময় তাদের সাথে আছি যারা শেষ এ শুরু করে আস্তে আস্তে এগোচ্ছে, কারণ আমি জানি পিছয়ে থাকতে থাকতে তারা একদিন জিতবেই।
আজ pediatrics জগতের সর্বোচ্চ সম্মান টি এমন একটি শহর এ পেলাম, যার আদর্শ আমার সারা জীবনের ধ্যান জ্ঞান কর্মের সাথে মিলে যায়।
পিছিয়ে থাকা ভয়ের না, এক জায়গায় আটকে থাকা ভয় র, যারা পিছয়ে আছে তাদের হাত ধরে আমরা সবাই এগিয়ে চলি।
পুনশ্চ :আমার চলার পথে মানুষ টি যাকে পেয়েছি, তিনি ছাড়া এই যাত্রা টি আমার অসম্পূর্ণ থেকে যেত Souveek Mitra

Address

Calcutta Bara Bazar

Telephone

+919874548688

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jasodhara Chaudhuri -Neurologist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Jasodhara Chaudhuri -Neurologist:

Share

Category