গাঙ্গুলী ফার্ম্মেসী / Ganguly Pharmacy

  • Home
  • India
  • Habra
  • গাঙ্গুলী ফার্ম্মেসী / Ganguly Pharmacy

গাঙ্গুলী ফার্ম্মেসী / Ganguly Pharmacy HOMOEOPATHY AND BIOCHEMIC MEDICINE SHOP

Collected
01/07/2025

Collected

 #ডাঃ_বিধানচন্দ্র_রায় স্বনামধন্য চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। #জন্মঃ ১লা জুলাই, ১...
01/07/2025

#ডাঃ_বিধানচন্দ্র_রায়
স্বনামধন্য চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

#জন্মঃ ১লা জুলাই, ১৮৮২
#মৃত্যুঃ ১লা জুলাই, ১৯৬২

তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চিকিৎসক হিসেবেও তাঁর বিশেষ খ্যাতি ছিল। ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড থেকে এফ.আর.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুলে (বর্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ) শিক্ষকতা ও চিকিৎসা ব্যবসা শুরু করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট সদস্য, রয়্যাল সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন ও আমেরিকান সোসাইটি অফ চেস্ট ফিজিশিয়ানের ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রভাবে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন।
তিনি পরে কলকাতা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ডাকে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত হন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থীরূপে আইনসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালে গ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পাঁচটি নতুন শহরের দূর্গাপুর, বিধাননগর, কল্যাণী, অশোকনগর-কল্যাণগড় ও হাবরা। তাঁর চোদ্দো বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রভূত উন্নতি সম্ভব হয়েছিল। এই কারণে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রূপকার নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৬১ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান #ভারতরত্নে ভূষিত হন। মৃত্যুর পর তাঁর সম্মানে কলকাতার উপনগরী সল্টলেকের নামকরণ করা হয় বিধাননগর। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিন (১ জুলাই) সারা ভারতে “ #চিকিৎসক_দিবস” রূপে পালিত হয়।
(তথ্য সংগৃহীত হয়েছে রোজদিন পত্রিকা থেকে)

 #ডাঃ_স্যামুয়েল_হ্যানিম্যান(ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান)তিনি জার্মান বংশোদ্ভূত ফরাসি চিকিৎসক, শিক্ষাবি...
02/07/2024

#ডাঃ_স্যামুয়েল_হ্যানিম্যান
(ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান)

তিনি জার্মান বংশোদ্ভূত ফরাসি চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জনক।

প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
(তথ্য সংগ্রহে- সুব্রত গাঙ্গুলী)

#জন্ম- ১০ই এপ্রিল, ১৭৫৫
#মৃত্যু- ২রা জুলাই, ১৮৪৩

জার্মানির স্যাক্সনি প্রদেশে মেসেন শহরে ১৭৫৫ সালের ১০ই এপ্রিল মধ্য রাতের পর জন্মগ্রহণ করেন। এজন্য ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে কোথাও কোথাও তার জন্ম তারিখ ১১ই এপ্রিল বলে উল্লেখিত ও উদযাপিত হয়ে থাকে। তিনি ১৭৯৯ সালে ডক্টরেট অব মেডিসিন বা এম ডি ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি ২ টি বিয়ে করেন, প্রথম স্ত্রী হলো #জোহনা_হেনরিয়েটি_লিওপোলডিনি_কুসলার ও
দ্বিতীয় স্ত্রী #মেরী_মেলানী_ডি_হারভিলী।

তিনি ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালু করেন।

১৮১০ সালে চিকিৎসা নিয়মাবলী গ্রন্থ অর্গানন অব রেসনাল হেলিং আর্ট (Organon der rationellen Heilkunde)জার্মানি ভাষায় প্রকাশ করেন পরবর্তীতে যা #অর্গানন_অব_মেডিসিন নামে প্রকাশিত হয় অর্গানন গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

১৮১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর হতে ১৮২১ সাল পর্যন্ত লিপজিগ বিশ্বিবিদ্যালয়ে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে শিক্ষা দান করেন।। কথ্বেনে এসে সাফল্য পান।

১৮৩৫ সালের জুন মাসে জার্মানি ছেড়ে প্যারিসে বসবাস শুরু করেন এবং ১৮৪৩ সালে সালে প্যারিসেই মৃত্যুবরণ করেন।।

তিনি জার্মানির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন, তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবিষ্কারক।

#বাল্য_কাল
জামুয়্যেল হ্যানেমান (জার্মান উচ্চারণ) জার্মানির সাক্সনী রাজ্যের ড্রেসড্রেন শহরের নিকটে মিশেনে জন্মগ্রহণ করেন।

#পিতা ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রিড হ্যানিম্যান ( Christian Gottfried Hahnemann চীনামাটির পাত্রের জন্য বিখ্যাত শহর মিশেন এ একজন চীনামাটির পাত্রের ডিজাইনার ও পেইন্টার ছিলেন। তিনি পিতা মাতার ৫ জন সন্তানের মধ্য ৩য় ছিলেন এবং শিশু বয়সেই বিজ্ঞান ও ভাষা শিক্ষায় দক্ষতা প্রদর্শন করেন।

#মাতা- জোহানা ক্রিশ্চিয়ানা (Johonna Christiana) ছিলেন তার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার গর্ভে স্যামুয়েল হ্যানেমান ছাড়াও অগাস্ট হ্যানেমান (August Hahnemann), চার্লোটি হ্যানেমান (Charlotee Hahnemann) ও মিনা হ্যানেমান (Minna Hahnemann) নামে এক ভাই ও দু’ বোনের জন্ম হয়।

#পিতামহ- ক্রিস্টফ হ্যানিম্যান (Christoph Hahnemann) তিনি জার্মানির লচেস্টেডে
রং-তুলির কাজ করতেন।

যুবক বয়সেই হ্যানিম্যান বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি ইংরেজি, ফরাসি, ইতালীয়, গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষার ব্যুৎপত্তি লাভ করেন. এবং শেষ পর্যন্ত অনুবাদক ও ভাষার শিক্ষক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তিনি এ ছাড়াও "আরবি, সিরিয়াক, চ্যাডউইক এবং হিব্রূ" ভাষাতে দক্ষতা অর্জন করেন।

#শিক্ষা_জীবন
স্যামুয়েল হ্যানেমান এর বাল্যশিক্ষা ও লেখাপড়ায় হাতে খড়ি হয় বাবা-মায়ের কাছ থেকে। ১৭৬৭ সালের ২০শে জুলাই ১২ বছর ২ মাস ১০ দিন বয়সে তাকে মিসেনের টাউন স্কুলে ভর্তি করা হয়। অতঃপর তিনি ১৭৭৪ সালের ২০শে নভেম্বর ১৯ বছর বয়সে ফার্স্টেন অ্যাডল্যান্ডে স্কুল সেন্ট আফ্রা স্কুল তে ভর্তি হন। এখানে তিনি হিপোক্র্যাটিসের লেখার সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি ল্যাটিন, গ্রীক ও হিব্রু ভাষা এবং ইতিহাস, পদার্থবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যা শিক্ষা করেন। চিকিৎসা বিদ্যা ছিল তার প্রিয় বিষয়। ১৭৭৫ সনে বিশ বছর বয়সে তিনি লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি এ প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা ও কম সুযোগ সুবিধার জন্য অস্বস্তি বোধ করেন। মেডিসিন শিক্ষার্থীদের জন্য লিপজিগ না ছিল ক্লিনিক, না ছিল হাসপাতাল। হ্যানিম্যান লিপজিগ এ ঔষধ নিয়ে দুই বছর পড়াশোনা করেন। তার আয় কম থাকার কারনে তিনি অর্থের বিনিময়ে ইংরেজি হতে বই অনুবাদ এবং ধনী গ্রীকদেরকে ফ্রেঞ্চ ভাষা শিখানোর কাজ শুরু করেন। এভাবেই হানেম্যান এর নিয়মিত ছাত্রজীবনের ইতি ঘটে।

পরবর্তীতে ১৭৭৭ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার লিওপোল্ডস্টট জেলার ব্রাদার্স অব মার্সি হাসপাতালে চিকিৎসা বিদ্যা শিখতে আসেন। এখানে তিনি হিপোক্রিটাস, গ্যালেন ও স্টোয়ার্কের লেখাগুলিা সম্পর্কে ভালভাবে জানতে পারেন। এছাড়াও প্রখ্যাত চিকিৎসক জে ভন কোয়ারিনের প্রত্যক্ষ সহানুভূতি লাভ করে তার কাছে হাতে কলমে রোগী দেখার শিক্ষা পান। এ হাসপাতালে নয় মাস থাকার পর ছাত্রাবাস হতে হ্যানেমানের অর্থ চুরি যাবার ফলে ও দারিদ্রতার কারণে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন প্রফেসর জে ভন কোয়ারিনের সহযোগিতায় তিনি ট্রানসেলভ্যানিয়ার গভর্নর ব্যারণ এস ভন ব্রউঁকেনথল এর সাথে হার্মানস্ট্যাটে চলে যান। এখানে তিনি গভর্নরের মুদ্রা ও চিত্রকর্মের সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক, লাইব্রেরিয়ান ও পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। একই সাথে হাতে কলমে বাইরের রোগী দেখার ও ব্যাপক পড়াশুনার সুযোগ পান। এরপর আবার ১ বছর ৯ মাস পরে ১৭৭৯ সালে এরল্যাঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। এরপর আবার ১ বছর ৯ মাস পরে ১৭৭৯ সালে এরল্যাঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। এখানে তিনি হেফ্রাথ স্কেবারের কাছে এসে উদ্ভিদবিদ্যায় পারদর্শী হন এবং ১৭৭৯ সালের ১০ই আগস্ট চিকিৎসাবিদ্যায় ডক্টরেট অব মেডিসিন বা এম.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। এ ডিগ্রী লাভের জন্য হ্যানিম্যান “ আপেক্ষিক রোগের কারণ ও এর চিকিৎসা” (Conspectus adfectuum spasmodicorum aetiologicus et therapeuticus) বিষয়ে ২০ পৃষ্ঠা ব্যাপী একখানা ছাপানো গবেষণাপত্র পেশ করেছিলেন।

#ভাষাবিদ_অনুবাদক_ও_লেখক
স্যামুয়েল হ্যানেমান ২২ বছর বয়সে ১১টি ভাষায় সুপন্ডিত হন, যেমন- জার্মান, গ্রীক, ল্যাটিন, ইংরেজি, ইতালীয়, হিব্রু, সিরিয়ান, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি ও চ্যাডউইক। মিসেনের টাউন স্কুলে পড়ার সময় তিনি তার নিচের শ্রেনীর শিক্ষার্থীদেরকে গ্রীক ভাষা শেখাতেন। সেন্ট আফ্রা বিদ্যালয় হতে বিদায়ের সময় “মানুষের হাতের অদ্ভূদ গড়ন” শিরোনামে ল্যাটিন ভাষায় প্রবন্ধ লেখেন। লিপজিকে পড়ার সময় রাতে ধনী গ্রীক সন্তানদেরকে জার্মান ও ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখাতেন।

তিনি একজন নামকরা অনুবাদক ছিলেন। বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষিবিদ্যা, দর্শন, সাধারণ সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ভাষা হতে জার্মান ভাষায় অসংখ্য বই পত্র অনুবাদ করেন।
যেমন-
(১) ইংরেজি ভাষা হতে ১৫ টি বইয়ের মোট ২১ খন্ড (১৭৭৭-১৮০০),
(২) ফ্রেঞ্চ বা ফরাসি ভাষা হতে ৬ টি বইয়ের মোট ৯টি খন্ড (১৭৮৪-১৭৯৬),
(৩) ইতালীয় ভাষা হতে ১ টি (১৭৯০) ও
(৪) ল্যাটিন হতে ১ টি বই (১৮০৬)। তার এ অসাধারণ ভাষাজ্ঞান ও অনুবাদ-কর্ম পরবর্তী কালে নিজের অসংখ্য লেখার উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। নিজেও তা থেকে ব্যাপক জ্ঞান লাভ করেন। এমনকি ১৭৯০ সালে উইলিয়াম কুলেন (১৭১০-১৭৯০) এর ইংরেজি লেখা “ এ টিয়েটাইজ অব মেটেরিয়া মেডিকা” এর দ্বিতীয় খন্ড অনুবাদ কালে তিনি হোমিওপ্যাথির আরোগ্য নীতি “লাইক কিউর লাইক” আবিষ্কার করেন। তিনি ১৮০৪ সালে দেশাউতে অবস্থানকালে প্রচলিত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা প্রদান হতে বিরত থাকেন এবং কেবল মাত্র লেখার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এই সকল অজানা চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা আমার রোগভোগকারী ভাইদেরকে চিকিৎসা করতে আমার বিবেক আমাকে সহজেই অনুমোদন দেয় না। চিন্তাধারা এমনদিকে যাচ্ছিল যেন আমি একজন অনিষ্টকারী খুনি অথবা মানুষের অমঙ্গলসাধক, সুতরাং আমি আমার বিয়ের প্রথম বছরেই এই ভয়ানক চিকিৎসা পদ্ধতি ছেড়েই দেই এবং নিজেকে রসায়ন শাস্ত্র ও অনুবাদকের কাজে নিয়োজিত করি”। এছাড়া ১৭৭৯ সাল থেকে ১৮৪৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য মৌলিক রচনাদি, বই পত্র, পত্রিকায় প্রবন্ধ রচনা করেন।

#হ্যানিম্যানের_রচনাবলী

#বই
১) ফ্রাগমেন্ট দ্য ভিরিবাস মেডিকামেন্টোরাম পজিটিভিজ সিভ ইন স্যানোকর্পোরি হিউম্যানো অবজার্ভেটিস -১৮০৫.
২)অর্গানন অব আর্ট অব হেলিং -১৮১০.
৩) মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা-১৮১১.
৪) রেপার্টরিয়াম -১৮১৭.
৫) ক্রণিক ডিজিজেস, দেয়ার পিকিউলিয়ার নেচার এন্ড হোমিওপ্যাথিক কিউর -১৮২৮.
৬) স্ক্রফিউলা ক্ষত ও এর চিকিৎসা
৭) যৌন রোগে সার্জনদের প্রতি নির্দেশনা -১৭৮৯.

#প্রবন্ধ
১) ডা. ক্রেব এর চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা -১৭৮১.
২) পুরাতন ক্ষত ও আলসার রোগের নির্দেশনা -১৭৮৪.
৩) চিকিৎসা বিদ্যার পুনর্জন্মের প্রয়োজন
৪) আর্সেনিকের বিষক্রিয়া, এর চিকিৎসা ও বিচার বিভাগীয় সত্য উদঘাটন -১৭৮৬.
৫) পিত্ত ও পিত্তপাথুরী
৬) পচন নিরোধক একটা অসাধারণ শক্তিশালী ঔষধ -১৭৮৮.
৭) স্বাস্থের বন্ধু-১৭৮৯.

এছাড়াও যা উল্লেখযোগ্য-
১) ঔষধ প্রুভিং রিপোর্টের ওপর লেখা ১০ খন্ড বই।
২) রসায়ন ও চিকিৎসা বিদ্যার ওপর লেখা ৭০টি মৌলিক রচনা।
৩) ২৪ জন লেখকের ইংরেজি, ল্যাটিন, ফরাসি ও ইতালীয় ভাষার লেখা থেকে জার্মান ভাষায় অনূদিত ২৩ খানা বইয়ের সর্বমোট ৩২ খন্ড রচনা সম্ভার।
৪) রোগীর কেস রেকর্ড বই-৫৪ টি।

#শিক্ষকতা
ছাত্র জীবনের হ্যানেমান বিভিন্ন ভাষা শেখানের শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার করার পর, হোমিওপ্যাথি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের জন্য হোমিওপ্যাথি হাসপাতালের সংলগ্ন কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তবে তা সফল হয় নি। ১৮১১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ৬ মাস ব্যাপী শিক্ষা কোর্সের জন্য এক বিজ্ঞপ্তি দেন কিন্তু তা ছাত্রদের উৎসাহের অভাবে কার্যকর হয় নি। অতঃপর ১৮১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হতে ১৮২১ সাল পর্যন্ত লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ছয় মাস ধরে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে বক্তৃতা দিতেন। প্রত্যেক শনি ও বুধবার বিকাল ২টা হতে ৩টা পর্যন্ত এ ক্লাশ চলত। তার এ ক্লাশে ছাত্র, চিকিৎসক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, যুবক, বৃদ্ধ প্রভৃতি ধরনের লোকের সমাবেশ ঘটে।

#রসায়নবিদ_ও_ঔষধ_প্রস্তুতকারক
রসায়নবিদ হিসেবে হ্যানেমানের সুখ্যাতি ছিল। তিনি সর্ব প্রথম পারদ[২৪] এর শক্তিকরণ (Dynamization) ও ব্যবহার পদ্ধতি আবিস্কার করেন। হ্যানেমান এ সমন্ধে অনেক প্রবন্ধ ও বই রচনা করেন। অনেক বই অনুবাদও করেন। তার এসব অবদানের জন্য ক্রেল, গটলিং, স্কিরার, টম্স ডর্ফ, ক্রাউস, গমেলিন প্রমূখ বিখ্যাত প্রফেসর ও প্রখ্যাত রসায়নবিদ বার্জেলিয়াস ভূয়সী প্রশংসা করেন। হ্যানেমান শুধু রসায়নবিদই ছিলেন না, তিনি নিজেই ঔষধ আবিস্কার, প্রস্তুত ও রোগীদেরকে প্রয়োগ করতেন। কিন্তু এ নতুন ঔষধ প্রস্তুত ও প্রচলন এবং একজন চিকিৎসক হয়ে নিজের ঔষধ নিজে প্রস্তুত করায় লিপজিকের অ্যালোপ্যাথি ঔষধ প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা হ্যানেমানের চরম বিরোধিতা করেন। এমনকি তাকে লিপজিগ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন।

#চিকিৎসাবিদ্যা_অনুশীলন

#অ্যালোপ্যাথি_চিকিৎসক
হ্যানেমান তার পূর্বের আড়াই হাজার বছরের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস অধ্যয়ণ ও পর্যালোচনা করেন। তিনি ১৭৭৮-১৭৭৯ সাল পর্যন্ত ছাত্র অবস্থাতেই ট্রানসেলভেনিয়ার গভর্নরের পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। এছাড়া এসময় বাইরের রোগীও দেখতেন। কিন্তু এম.ডি ডিগ্রীধারী চিকিৎসক হিসেবে ১৭৮১ সালে তাম্রখনি অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ম্যান্সফিল্ড রাজ্যের হেটস্টেড শহরে সর্বপ্রথম চিকিৎসা পেশা শুরু করেন। ১৭৮১ সালের শেষ দিকে তিনি ম্যাগডিবার্গের নিকটবর্তী গোমেরন এ জেলা মেডিকেল অফিসার নিযুক্ত হন। এসময় তিনি প্রচলিত অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার কুফল ও অসারতা উপলব্ধি করে তার বিভিন্ন প্রবন্ধ ও বইতে এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেন। যেমন প্রবন্ধ ডা. ক্রেব এর “চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা” (১৭৮১),“ পুরাতন ক্ষত ও আলসার রোগের নির্দেশনা” (১৭৮৪), “চিকিৎসা বিদ্যার পুনর্জন্মের প্রয়োজন” ও বই “ স্ক্রফিউলা ক্ষত ও এর চিকিৎসা”। ১৭৮৫ সালে তিনি ড্রেসড্রেনে আসেন এবং ১ বছর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেন ও চিকিৎসা আইনবিদ্যায় দক্ষতা অর্জন করেন। এসময় তিনি “আর্সেনিকের বিষক্রিয়া, এর চিকিৎসা ও বিচার বিভাগীয় সত্য উদঘাটন” (১৭৮৬); “পিত্ত ও পিত্তপাথুরী” এবং “পচন নিরোধক একটা অসাধারণ শক্তিশালী ঔষধ” (১৭৮৮) নামে কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ১৭৮৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিন লিপজিকে চিকিৎসা শুরু করেন। এসময় তার “ যৌন রোগে সার্জনদের প্রতি নির্দেশনা” (১৭৮৯) পুস্তিকা প্রকাশ পায়। ১৭৮৯ সালে “স্বাস্থের বন্ধু” বইতে স্বাস্থ বিধি ও জলাতংক রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন এবং “সিফিলিস প্রসংগে” প্রবন্ধে সিফিলিসে পারদের সূক্ষ্মমাত্রা ব্যবহারের নির্দেশ দেন।

#হোমিওপ্যাথি_আবিস্কার_ও_চিকিৎসক
হ্যানেমান তার সময়ের প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি বিরূপ ছিলেন এবং ঐ চিকিৎসার উদ্দেশ্য তাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছিল। তিনি দাবি করলেন যে তাকে যে ঔষধ সম্পর্কে শেখানো হয়েছে তা রোগীর ভালর চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

“এই সকল অজানা চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা আমার রোগভোগকারী ভাইদেরকে চিকিৎসা করতে আমার বিবেক আমাকে সহজেই অনুমোদন দেয় না। চিন্তাধারা এমনদিকে যাচ্ছিল যেন আমি একজন অনিষ্টকারী খুনি অথবা মানুষের অমঙ্গলসাধক, সুতরাং আমি আমার বিয়ের প্রথম বছরেই এই ভয়ানক চিকিৎসা পদ্ধতি ছেড়ে দেই এবং নিজেকে রসায়নশাস্ত্র ও অনুবাদকের কাজে নিয়োজিত করি”।

১৭৮৪ সালের দিকে চিকিৎসা পেশা ছেড়ে দেবার পর হ্যানিম্যান লেখনী ও অনুবাদকের কাজ করে কষ্টেসৃষ্টে তার জীবন নির্বাহ এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ঔষধে বর্ণিত চিকিৎসাগত অসঙ্গতি বের করার কাজও করেন। উইলিয়াম কুলেন এর “এ ট্রিয়েট্রাইজ অন মেটেরিয়া মেডিকা” (A Treatise on the Materia Medica) বইটি অনুবাদ করার সময় হ্যানেমান পেরুভিয়ান বার্ক থেকে তৈরী ম্যালেরিয়া (malaria) জ্বরের জন্য “সিঙ্কোনা” (cinchona) নামক গাছের ছালের কার্যকারিতা দেখতে পান। হ্যানেমান বিশ্বাস করলেন যে ম্যালেরিয়া জ্বরে সিঙ্কোনা’র মত অন্যান্য সহায়ক উপাদান (astringent substances) ততটা কার্যকরী নয় এবং তাই তিনি “সিঙ্কোনা” (cinchona) গাছের বাকল এর কার্যকারীতা নিজদেহে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, দেখলেন যে এটা ম্যালেরিয়ার মত তার দেহে কম্পজ্বর উৎপন্ন করছে এবং এটা যে কোন সুস্থ দেহেই করতে সক্ষম। এ বিষয়টি তাকে একটি মৌলিক নীতির দিকে ধাবিত করে “ যা একজন সুস্থ ব্যক্তির উপর প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন লক্ষণ সমষ্টির উৎপন্ন করতে পারে, তা একই রকম লক্ষন সমষ্টি সমৃদ্ধ অসুস্থ দেহে প্রয়োগ করলে নিরাময় করতে সক্ষম” এটাই “লাইক কিউর লাইক” (like cures like) যা একটি নতুন ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচেষ্টা এবং তিনি এর নাম দেন হোমিওপ্যাথি। ১৮০৭ সালে হুফেলান্ড (Hufeland) জার্নাল এ প্রকাশিত ইন্ডিকেশনস অব দ্যা হোমিওপ্যাথিক ইমপ্লয়মেন্ট অব মেডিসিনেস ইন অর্ডিনারি প্র্যাকটিস (Indications of the Homeopathic Employment of Medicines in Ordinary Practice) নামে এক প্রবন্ধে প্রথম “ হোমিওপ্যাথি” (homeopathy) শব্দটি হ্যানেমান প্রথম ব্যবহার করেন। "২৫০০ বছরের চিকিৎসা ইতিহাসে শুধুমাত্র আলব্রেচ ফন হেলারই বুঝতে পেরেছিলেন যে এটাই প্রাকৃতিক পদ্ধতি, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং সঠিক ঔষধ প্রয়োগ পদ্ধতি যা মানুষের সঠিক স্বাস্থের উপর প্রভাব ফেলে এবং আমি তার পরবর্তী ব্যক্তি যে আবার এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি চালু করলাম"। হ্যানিম্যান পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি অ্যালোপ্যাথিকে ওল্ড স্কুল এর চিকিৎসা পদ্ধতি বলে অভিহিত করতেন।তিনি ১৭৯২ সালে টুরিংগেন জংগলে জর্জেন্থল এর পাগলা গারদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এখানে হ্যানেমান হ্যানোভার মন্ত্রী ক্লকেন ব্রিং এর বিষাদ উন্মাদ চিকিৎসা করেন। এ সময় তিনি রক্তমোক্ষণকারী চিকিৎসা ব্যবস্থা ও মানসিক রোগীর চিকিৎসার নির্যাতনমূলক পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করেন।

#হোমিওপ্যাথির_উন্নয়ন
১৮০১ সালে আরক্তজ্বরের প্রতিষেধক হিসেবে তিনি “বেলেডোনা” ব্যবহারের উপদেশ দেন। প্রুশিয়া সরকার এটা সব চিকিৎসক কে ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও হ্যানেমান ১৮১৩ সালে জার্মানিতে টাইফাস ও হসপিটাল জ্বরে যথাক্রমে “ব্রায়োনিয়া” ও “রাসটক্স” ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

তিনি হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে যে সকল পদ্ধতি প্রচলন করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

১) পরীক্ষামূলক ও আরোগ্যকারী সদৃশবিধানে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি (সিমিলিয়া-সিমিলিবাস-কিউরেন্টার),

২) সুস্থ মানব দেহে ঔষধ পরীক্ষা করে ঔষধের কার্যকরী ক্ষমতা নির্ধারণ,

৩) চিকিৎসা ক্ষেত্রে জীবনীশক্তি তত্ত্বের আবিস্কার,

৪) রোগ সংক্রমণ তত্ত্ব ও কলেরার কারণ প্রসংঙ্গে জীবাণুতত্ত্বের পূর্বাভাষ,

৫) চির বা স্থায়ী রোগ তত্ত্ব,

৬) অপরাধ তত্ত্ব ও অপরাধ প্রবণতা,

৭) রোগীর পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পদ্ধতি,

৮) মানসিক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি ও নির্যাতনমূলক চিকিৎসার বিরোধিতা,

৯) ঔষধের শক্তিকরণ ও নতুন শক্তিকরণ পদ্ধতি (৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতি),

১০) ঔষধকে শক্তিকৃত ও অবিমিশ্রিত অবস্থায় সূক্ষ্ম পরিবর্তিত মাত্রায় প্রয়োগ,

১১) পথ্যবিজ্ঞানে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি- খাদ্যতত্ত্ব ও পথ্যাপথ্যেও প্রয়োজনীয়তা,

১২) স্বাস্থ্যতত্ত্ব ও নাগরিক স্বাস্থ্য - পাগলাগারদ, এতিমখানা ও জেলের স্বাস্থ্যবিধির দুর্দশা এবং ব্যয়াম সহ স্বাস্থ রক্ষার নিয়মাবলী,

১৩) সার্জারিতে ড্রাই ড্রেসিং ও অস্থি চাঁচন পদ্ধতি,

১৪) পারদকে দ্রবীভূত করা ও এর সূক্ষ্ম উগ্রতাবিহীন প্রস্তুতি ও সফল ব্যবহার, আর্সেনিকের ক্রিয়া প্রসংগ ও চিকিৎসা আইনে রাসায়নের অবদান, মদে ভেজাল নির্ধারণ পদ্ধতি, বিষের ব্যবহার ও সংরক্ষণ বিধি, ব্যবস্থাপত্রের বিধি, ভেষজের জলীয় অংশ নিষ্কাশন, বাষ্পীয় পাতন ও তরল মাধ্যমে ভেষজের নির্যাসের বাষ্পীয়ভবন, টাটকা গাছ থেকে আরক তৈরী, ইত্যাদি। তিনি রোগ ও ঔষধের লাক্ষণিক উৎস আবিস্কার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেন।

#পরিবার_পরিজন

প্রথম স্ত্রী-
#জোহনা_হেনরিয়েটি_লিওপোলডিনি_কুসলার
যাকে হ্যানেমান ২৮ বছর বয়সে বিবাহ করেন, তখন জোহনা হেনটিয়েটির বয়স ছিল ১৯ বছর, ১৭৮২ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়। এঁর গর্ভে হ্যানেমানের ৯ কন্যা ও ২ পুত্রের জন্ম হয়। *****

দ্বিতীয় স্ত্রী
#মাদাম_মেরী_মেলানী_ডি_হারভিলী হ্যানিম্যান ৮০বছর বয়সে বিবাহ করেন, তখন ম্যালানী ডি. হারভিলীর বয়স ছিল ৩২ বছর, ১৮৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী, ধনবতী, বিশিষ্ট চিত্রকর ও নামকরা কবি। হ্যানেমানের জীবনের চরম সাফল্যের দিনগুলিতে তিনি সুযোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে যথেষ্ট অবদান রাখেন। শেষ জীবনে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন।

*****
১) প্রথম কন্যাঃ #হেনরিয়েটি , এর গর্ভে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে জন্মগ্রহণ করে।

২) প্রথম পুত্রঃ #ফ্রেড্রিক , তিনি ভাই বোনদের মাঝে দ্বিতীয় এবং হ্যানিম্যানের প্রথম ছেলে। শিশুকালে রিকেট রোগের কারণে তার বুক উচু ও মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যায়। তিনি ১৮০৮ সাল থেকে লিপজিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন এবং ২৬ বছর বয়সে চিকিৎসা বিদ্যায় ‘ডক্টরেট ডিগ্রী’ এম.ডি লাভ করেন। আর্জ পর্বতশ্রেণীর ভলকেনস্টেইন এ তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রদান আরম্ভ করেন। তিনি হল্যান্ড ও হামবুর্গে চিকিৎসা করার পর ইংলেন্ডে চলে যান। কিন্তু ১৮২৮ সালের পর তাকে আর পাওয়া যায় নি।

৩) #ভিলহেলমিনি ইনি হ্যানিম্যানের দ্বিতীয়া কন্যা, তার গর্ভে এক পুত্রের জন্ম হয়।

৪) #অ্যামেলি- অ্যামেলি ছিলেন হ্যানিম্যানের তৃতীয়া কন্যা। তার প্রথম বিবাহ হয় ডা. লিওপোল্ড সাসের সঙ্গে। তার ঔরসে লিওপোল্ড সাস হ্যানিম্যান (১৮২৬-১৯১৪) নামে এক পুত্রের জন্ম হয়। তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসা করতেন ইংল্যান্ডের ভেন্টরে। পরবর্তীকালে অ্যামেলি দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন লিবে নামক এক মিল পরিদর্শক কে। কিন্তু লিবে তাকে পরে তালাক দেন।

৫) #ক্যারোলিনি হ্যানিম্যানের এ চতুর্থা কন্যা অবিবাহিতা অবস্থায় ১৮৩১ সালের পূর্বে আততায়ীর হাতে নিহত হয়।

৬) #আর্ণষ্ট একই বছর জন্ম ও মৃত্যু। হ্যানিম্যান যখন মোল্সক্লিবেন থেকে পিরমেন্টে যাচ্ছিলেন তখন মূলহৌসেন নামক স্থানে শকট ( ঘোড়া গাড়ী) দুর্ঘটনায় তার এ দ্বিতীয় পুত্রের মৃত্যু ঘটে।

৭) #ফ্রেড্রিকি হ্যানিম্যানের এ পঞ্চমা কন্যার দু’বার বিয়ে হয়। আততায়ীর হাতে তিনি মারা যান।

৮) হ্যানিম্যানের পঞ্চমা কন্যা (১৭৯৫) ফ্রেড্রিকির সাথে অপর এক জমজ কন্যা মৃত অবস্থায় জন্মেছিল।

৯) #ইলিওনোরি তিনি হ্যানিম্যানের সপ্তম কন্যা। তার দুইবার বিয়ে হয়েছিল, প্রথম স্বামীর নাম হের ক্লেমান । দ্বিতীয় স্বামীর নাম ডা. উলফ । তবে পরে ডা. উল্ফ তাকে তালাক দিয়েছিলেন। ইলিওনোরি হোমিওপ্যাথিক এ্যাডভাইসর ফর দ্যা হোম (Homoeopathic Advisor for the Home) পুস্তক প্রকাশ করেন।

১০) #চার্লেটি হ্যানিম্যানের অষ্টমা কন্যা চার্লেটি অবিবাহিতা ছিলেন।

১১) #লুুইসি হ্যানিম্যানের নবমা কন্যা লুইসি। হ্যানিম্যানের সহকারী ডা. মসডর্ফের সাথে লুইসির বিয়ে হয়। কিন্তু মসডর্ফ তাকে তালাক দেন। হ্যানেমানের দ্বিতীয় স্ত্রী মাদাম মেলানী ডি. হারভিলির গর্ভে কোন সন্তান জন্মেনি।

#মৃত্যু
হ্যানিম্যান ১৮৪৩ সালের ২রা জুলাই রোববার ভোর ৫ ঘটিকার সময় প্যারিসে নিজের ঘরে রুই দ্য মিলান নং -১ স্থানে মৃত্যুবরণ করেন। জীবনের শেষ বিশ ( ডা. হুল ও ডা. ব্রাডফোর্ড এর মতে; দশ) বছর তিনি প্রতি বসন্তে শ্বাস নালীর সর্দি (Bronchial Catarrh)রোগে আক্রান্ত হতেন। জীবনের শেষ মূহুর্তে ১৩ ঘণ্টা ধরে ক্রমান্বয়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়ে শ্বাস রোধ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে। ১৮৪৩ সালে প্যারিসের মন্টমার্টরী পর্বতের সমাধিক্ষেত্রে তাকে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে ৫৫ বছর পর ১৮৯৪ সালে তাকে খ্রিষ্টান মতে পিয়ের ল্যাসেইসি সিমেটেরিতে দাফন ও বিভিন্ন স্থানে মুর্তিসহ ৯টি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়।

(তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া)

 #ডাঃ_মহেন্দ্রলাল_সরকারস্বনামধন্য ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, সমাজ সংস্কারক।তাঁর প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।🙏🙏🙏...
23/02/2024

#ডাঃ_মহেন্দ্রলাল_সরকার

স্বনামধন্য ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, সমাজ সংস্কারক।

তাঁর প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
#জন্ম- ২রা নভেম্বর, ১৮৩৩
#মৃত্যু- ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪
(তথ্যাদি সংগ্রহে- সুব্রত গাঙ্গুলী)

#বাল্যকাল
মহেন্দ্রলাল সরকার কলকাতার কাছে একদা ব্রিটিশ বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত হাওড়া জেলার পাইকপাড়া(মুন্সিরহাট) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম তারকনাথ সরকার। খুব ছোট বয়সে তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিলেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা ও আট বছর বয়সে মাতৃহারা হন। বাবাকে হারাবার পর মহেন্দ্রলাল সরকারকে মা কলকাতার নেবুতলায় মাতুলালয়ে নিয়ে চলে যান এবং সেখানেই বড় হয় ওঠেন।

#শিক্ষা_জীবন
বাংলা শিক্ষার জন্য তিনি গিয়েছিলেন "গুরুমশাই" এর কাছে। আর এক গুরু ঠাকুরদাস দে মহাশয় তাকে ইংরেজি ভাষাটা খুব ভাল করে শেখান। । ইংরেজিতে জ্ঞান লাভ করার সুবাদেই তিনি ১৮৪০ সালে হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৪৯ সালে তিনি জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তখন হিন্দু কলেজে বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ না থাকায় তাকে মেডিসিন নিয়ে পড়ার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। মেডিকেল কলেজে পাঠরত অবস্থায় তার জ্ঞানের উৎকর্ষতা এতোটাই প্রতিভাত হয়েছিল যে তাকে দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রছাত্রীদের একাধিক বক্তৃতা দিতে আহ্বান করেছিলেন অধ্যাপকরা। কলেজ জীবনে তিনি অনেক কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন এবং ১৮৬০ সালে মেডিসিন, শল্যচিকিৎসা ও Midwifery তে অনার্স সহ চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ১৮৬৩ সালে তিনি এমডি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। তিনি এবং জগৎবন্ধু বসু ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় এমডি চন্দ্রকুমার দে মহাশয়ের পরে।

#কর্ম_জীবন
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সাইন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ১৮৭৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে ভারতে বিজ্ঞান প্রসারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর পরামর্শে সরকারি বিবাহবিধি প্রণয়নে মেয়েদের বিবাহের বয়স ন্যূনপক্ষে ১৬ বছর নির্ধারণ করেছিলেন। ১৮৮৮ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে তিনি সভাপতিত্ব করেন। এই সম্মেলনে অসমের চা শ্রমিকদের দুরবস্থা সম্বন্ধে প্রস্তাব নেয়া হয়। মহেন্দ্রলাল শ্রমিকদের অপমানসূচক 'কুলি' শব্দ ব্যবহারে আপত্তি করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো, অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট, কলকাতার শেরিফ (১৮৮৭) এবং বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন।

(তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া)

Jene rakha bhalo.
13/02/2023

Jene rakha bhalo.

Address

Jessore Road, Habra Opp. Kalika Hall
Habra
743263

Opening Hours

Monday 10am - 1pm
5pm - 9pm
Tuesday 10am - 1pm
5pm - 9pm
Wednesday 10am - 1pm
5pm - 9pm
Friday 10am - 1pm
5pm - 9pm
Saturday 10am - 1pm
5pm - 9pm
Sunday 10am - 1pm
5pm - 9pm

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গাঙ্গুলী ফার্ম্মেসী / Ganguly Pharmacy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram