06/07/2023
🏵️টাইফয়েড জ্বর ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা🏵️🏵️
কালকে কোনো এক বন্ধু আমাকে হোয়াটস্যাপ এ জিজ্ঞাসা করলেন যে টাইফয়েড জ্বরে ভালো হোমিওপ্যাথি ঔষুধ কি আছে ,তাই আজকের এই পোস্ট
🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বর কি 🏵️🏵️
টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায় এবং জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। চলুন জেনে নিই টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে
টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তস্রোতে ও অন্ত্রনালীতে এই ব্যাটটেরিয়া অবস্থান করে এবং দুষিত খাবার ও জল গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিযা দেহে প্রবেশ করা জীবাণুগুলো গুণিতক আকারে বেড়ে গিয়ে রক্তস্রোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। আজ আমরা জানব টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।
🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরের কারণ ও ছড়ানোর মাধ্যম:🏵️🏵️
টাইফয়েড একটি জলবাহিত মারাত্মক রোগ যা দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে। (১)‘সালমোনেলা টাইফি’ এবং (২) ‘সালমোনেলা প্যারাটাইফি’। সালমোনেলা টাইফির সংক্রমণে যে জ্বর হয় তাকে টাইফয়েড জ্বর বা ‘এন্টারিক ফিভার’ বলে। আর যদি জ্বর সালমোনেলা প্যারাটাইফির নামক জীবাণুর কারণে হয় তখন তাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর বলে। প্রধানত দূষিত জল ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতার কারণেও এটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হতে আরোগ্য লাভ করেছেন কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া বহন করছেন এমন কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও এই রোগের বাহক হতে পারে। যেভাবেই হোক এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর তা বৃহদান্ত্রকে আক্রমণ করে। এছাড়া এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের পিত্তথলিতে জমা থাকে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই কেবল আক্রমণ করে।
🏵️🏵️টাইফয়েডের ঝুঁকি কাদের বেশি?🏵️🏵️
যেকোন বয়সেই টাইফয়েড হতে পারে, তবে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরীরে জীবাণু প্রবেশ করলেই টাইফয়েড হবে এমন কোন কথা নাই কারণ দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে অনেক সময়ই জীবাণু দেহে সংক্রমণ করতে পারেনা। তবে কম রোগপ্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস রোগীরা সহজেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারে। যেসব এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব জায়গায় ভ্রমণ করলেও এ রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণসমূহঃ🏵️🏵️
সাধারণত রোগ-জীবাণু শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিন পর রোগের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেতে থাকে। জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ যা প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পায় জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। এর প্রধান প্রধান লক্ষণসমূহ নিম্নরুপঃ
⭐️ ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর হওয়া।
⭐️ জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
⭐️ক্ষুধামন্দা হওয়া সহ কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
⭐️শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে।
⭐️গা ম্যাজ ম্যাজ করা সহ রোগীর কফ বা কাশি হতে পারে ।
⭐️প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
⭐️দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর পেটে ও পিঠে গোলাপি রঙের দানা দেখা দিতে পারে।
⭐️কারো কারো জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়।
⭐️হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে।
⭐️ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর থাকতে পারে।
🏵️🏵️কিভাবে টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ করা হয়?🏵️🏵️
পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কেবল চিকিৎসকগণ বলতে পারবেন যে কারও টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিনা। টাইফয়েড দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার নামক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি নমুনায় স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে প্রকার ভেদে টাইফয়েড ও প্যারা- টাইফয়েড পার্থক্য করা হয়। এছাড়া জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে “উইডাল টেস্ট” নামে এক ধরনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয় যাতে টাইটার দেখে টাইফয়েড নির্ধারণ করা হয়।
🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা পদ্ধতিঃ🏵️🏵️
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও দ্রুত চিকিৎসা না করলে জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী থাকতে পারে। এছাড়া রোগী অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার দেওয়া দরকার কারণ দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে তাঁর শরীরে জলের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তীব্র আকারে জল শূন্যতা দেখা দিলে শিরাপথে সেলাইন এর মাধ্যমেও তরলজাতীয় খাবার প্রদান করা যেতে পারে। টাইফয়েডের রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে হবে। অসুস্থতাকালীন সময়ে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতিবার বাথরুম ব্যবহারের পর হাত জল ও সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হব।
🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে করণীয়ঃ 🏵️🏵️
⭐️শাকসবজি, ফলমূল এবং রান্নার বাসনপত্র সবসময় পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে।
⭐️খাবার ভালভাবে রান্না বা সিদ্ধ করে তারপর খাওয়া উচিত।
⭐️খাবার গ্রহণ, প্রস্তত বা পরিবেশনের পূর্বে খুব ভালভাবে হাত ধৌত করতে হবে।
⭐️পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুটানো জল বা পরিশোধিত জল সংরক্ষণ করতে হবে এবং জল যাতে দূষিত হতে না পারে সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণকৃত সেই জল পান করা উচিত।
⭐️বোতলজাত, পরিশোধিত বা ফুটানো জল হতে বরফ তৈরি করা না হলে সেই বরফ মিশিয়ে জল বা অন্য কোন পানীয় পান করা হতে বিরত থাকতে হবে।
রাস্তার পার্শ্বস্থ দোকানের খাবার গ্রহণ এবং জল পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
⭐️টয়লেট সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
টয়লেট ব্যবহারের পর, শিশুকে পরিষ্কার করার পূর্বে, খাবার প্রস্তুত বা পরিবেশন করার পূর্বে, নিজে খাওয়ার পূর্বে বা শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই টাইফয়েড থেকে বাঁচার মূলমন্ত্র। যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন তাদের প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় খেতে হয়। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ জল পান এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবসময় নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না ফলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই টাইফয়েড প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করলে বাইরের খাবার খাওয়া এবং জল পান করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরে কার্যকরী হোমিওপ্যাথি ঔষধ 🏵️🏵️
শুধু মাত্র রোগের নাম দিয়ে হোমিওপ্যাথি ঔষুধ হয় না।হোমিওপ্যাথি সম্পূর্ণ রূপে লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা করে অর্থাৎ রুগীর লক্ষণ মিললে যে কোনো ঔষুধ আসতে পারে -
সাধারণত যে সমস্ত ওষুধ গুলি টাইফয়েডজ্বরে বেশি পরিমানে ব্যাবহার করা হয় সেগুলি হল -
Apis.mel : এমনি তে পিপাসা নেই কিন্ত জ্বরের সময় প্রচুর তেষ্টা,সারা গায়ে ব্যাথা ও জ্বালা ভাব,হাত পা চোখ মুখ ফুলে যাওয়া।উপসর্গ গরমে বৃদ্ধি এবার ঠান্ডা বাতাসে কমে।
Ars.alb: চুপচাপ থাকতে পারে না ছটফট করতে চায় কিন্ত শারীরিক ভাবে এতোই দুর্বল যে নড়তে পারে না।তেষ্টা প্রচুর,খাবার খেতে চায় না খাবার এর গন্ধে বমি পায়। প্রচুর মৃত্যু ভয়।গায়ে হাতে পায়ে জ্বালা কিন্তু সেটা গরম কিছু খেলে বা গরম প্রয়োগ এ ভালো থাকে।জ্বরের সাথে পাতলা পায়খানা,সমস্ত সমস্যা মধ্য রাতে বাড়ে।
Arnica: সারা গায়ে প্রচন্ড ব্যাথা একজায়গায় চুপচাপ শুয়ে থাকতে পারে না। শরীরের উপরের অংশ অর্থাৎ মাথা,মুখ, গলা প্রচন্ড গরম কিন্ত শরীর এর নিচের অংশ গুলি ঠান্ডা।চুপচাপ শুয়ে থাকলে বেশি কষ্ট হাঁটাচলা করলে আরাম পায়।
Baptisia: যে দিক ফিরে শুয়ে থাকে সেদিকে ছন ছনে ব্যাথা।প্রচুর অবসাদ কথা বলতে চায় না,মুখে জিভে গলায় ঘা হয় শক্ত কিছু গিলতে পারে না শুধু মাত্র তরল খাবার খায়। টাইফইড জ্বরের শুরুর দিকে এই ওষুধ খুব কাজে আসে।
Belladonna : প্রচন্ড জ্বর সাথে প্রলাপ বকা,ঘোরের মধ্যে ভুত প্রেত কুকুর কালো জন্তু দেখে এবং ভয় পায়।ঠান্ডা সহ্য হয় না টা শরীর ঢেকে শুয়ে থাকে,পিপাসা কম মুখ শুকিয়ে যায়,সাথে প্রচন্ড কাশি। সারা গায়ে ছোট ছোট লাল দানা বেরিয়ে যায়। টাইফয়েড জ্বরের দ্বিতীয় ধাপে এই ঔষুধ দারুন কাজে আসে।
Bryonia: প্রচন্ড জ্বর সাথে মাথা ব্যাথা, প্রচুর তেষ্টা গলা মুখ যেন শুকিয়ে যায়। চুপচাপ শুয়ে থাকতে চায় সামান্য তম নড়াচড়া তে ও বৃদ্ধি। পায়খানা শক্ত হয়।
Cantharis: টাইফয়েড জ্বরের সাথে অল্প পরিমান প্রস্রাব আর সাথে প্রচুর জ্বালা ভাব
Gelsemium: জ্বরের সাথে প্রচুর মাথা ঘোরা ও মাথার যন্ত্রনা কপালে কিছু ফিতের মতো বাঁধা আছে মনে হয়,যেটা প্রস্রাব করলে কমে যায়।জল পিপাসা কম,মেরুদন্ড এর শেষ প্রান্ত থেকে মাথার পিছন পর্যন্ত যন্ত্রনা।
Helleborus: জ্বরের সাথে বুকে,পেটে বা মাথায় জল জমা এবং গায়ে রাশ বেরিয়ে গেলে,প্রস্রাব কম এবং সেটা কালো বা লালচে রঙের হলে
Hyoscyamus: প্রচন্ড জ্বর, জ্বরে মধ্যে ভুল বকে,পাগল এর মতো আচরণ করে কামড়ে দিতে আসে,বিছানার চাদর দাঁত দিয়ে ছিঁড়তে থাকে।মাঝে মাঝে খিঁচুনি ও দেখা যায়। সমস্যা রাতে বাড়ে।
Acid. Mur : টাইফয়েড জ্বরে খুব প্রচলিত একটি ঔষুধ।প্রচন্ড অবসাদ,খুবই ঘুম ঘুম ভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা,মুখ দিয়ে নানান রকম শব্দ করে।জিভে সামনের দিকে চামড়ার মতো প্রলেপ যুক্ত,প্রস্রাব করতে গেলে পয়খানা হয়ে যায়। প্রতি ৩নং পালস বিট ইন্টারমিট করে।
Pyrogen:চুপচাপ থাকতে পারে না ছটফট করে,যেখানে শুয়ে থাকে সেটা শক্ত পাথরের মতো মনে হয়, হাড়ের মধ্যে যন্ত্রনা হয়,তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৬ পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং পালস ১৪০ থেকে ১৭০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জ্বরের সময় সারা গায়ে ঠান্ডা ঘাম হয়। জিভ পালিশ করার মতো মসৃন এবং টকটকে লাল রঙের হয়।
Acid. Phos : সেরেব্রাল টাইফয়েড বা টাইফাস জ্বরে ব্যবহৃত হয়।প্রচুর পরিমান পেনলেস ডায়রিয়া হয়,ভাইটালিটি লো হয়ে যাওয়ার ফলে চুপচাপ পড়ে থাকে নড়াচড়া করে না কাঠের গুড়ির মতো পড়ে থাকে। ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়।
এ ছাড়া ও
Lyco
Merc. Sol
Acid. Nit
Rhus. Tox
Phosp
Sulphur ইত্যাদি ওষুধ গুলি ও ভালো কাজে আসে
♨️বি.দ্রঃ আমি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসাবে আপনাদের কে এটাই পরামর্শ দেবো যে - নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে যাবেন না। অবশ্যই অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর কাছে যান এবং আপনার রোগের বিবরণ তাকে জানান। তিনি আপনার রোগ লিপি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঔষধ এবং তার নির্দিষ্ট শক্তিমাত্রা নির্বাচন করবেন। এবং সেটা গ্রহণ করলে আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।♨️
♨️♨️নিচে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন চেপে আপনারা সরাসরি হোয়াটস্যাপ sms এর মাধ্যমে আমাদের থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন। ♨️♨️