হোমিওবাংলা

হোমিওবাংলা ❤️স্বাস্থ আপনার হাতের মুঠোয়❤️
অসুস্থতার সমাধান একটি ক্লিক এই

 #হোমিওবাংলা
08/06/2024

#হোমিওবাংলা

💔কি চুল ঝরে মাথা কি পুরো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে?💔তাহলে এই প্রতিবেদন টা আপনার জন্য।* আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল কেন ঝরে যায় আর তার...
05/06/2024

💔কি চুল ঝরে মাথা কি পুরো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে?💔
তাহলে এই প্রতিবেদন টা আপনার জন্য।
* আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল কেন ঝরে যায় আর তার প্রকার ভেদ কি কি।
আসলে চুল ঝরে যাওয়ার নানা রকম প্রকার ভেদ আছে যেমন -

* Alopecia areata - মাথার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা থেকে গোল গোল করে চুল উঠে যাওয়া।

* Alopecia Totalis- পুরো মাথার চুল ঝরে যাওয়া বা টাক পড়ে যাওয়া।

* Alopecia universalis - মাথার চুলের সাথে সাথে ভ্রু, দাড়ি বা শরীর এর যে কোনো অংশের চুল একসাথে ঝরে যাওয়া।

* Alopecia barbae - শুধু মাত্র দাড়ি থেকে চুল ঝরে যাওয়া

এছাড়া male pattern, female pattern ছাড়া ও অনেক ধরণের চুল ঝরার প্রকার ভেদ আছে। তবে উপরে বর্ণিত প্রকার গুলো বেশী দেখা যায়।

🥀🥀চুল ঝরে যাওয়ার কারন সমূহ 🥀🥀
* অপুষ্টি অর্থাৎ সুষম খাদ্যের অভাব
* রেডিয়েশন বা কেমো থেরাপি
* কিডনি জনিত রোগ
* এলার্জি, পুড়ে যাওয়া, আঘাত লাগা, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জনিত ইনফেকশন এবং বংশ গত কারণ এ ও চুল ঝরে যেতে পারে

🎀🎀 প্রতিকার 🎀🎀
চুল ঝরা শুরু হলে অনেকে গুরুত্ব দেন না তাই পরবর্তীতে তার ফলাফল হয় অন্য রকম যেখান থেকে আর ফেরার রাস্তা থাকে না। তাই শুরুতেই চিকিৎসা নিলে সমস্যা সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি তে অনেক মেডিসিন আছে তবে সেগুলো র মধ্যেথেকে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যে গুলো খুব ভালো কাজ করে বা যে মেডিসিন গুলো আমি আমার রুগীর উপর প্রয়োগ করে ভালো ফল পেয়েছি তাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।

১। একটু চুল আঁচড়ালেই যদি চুল পড়ে - Borax, Vinc. M, Psorinum

২। চুল ঝরা সাথে মাথায় যদি অতিরিক্ত চুলকায় এবং তার ফলে মাথা দিয়ে চট চটে রস বেরোয় তাহলে Vinc. Min

৩। যাদের চুল কোঁকড়ানো দেখতে তাদের চুল ঝড়লে Thuja

৪। যাদের চুল সোজা তাদের ক্ষেত্রে Nat. Mur

৫। যদি কোনো বড়ো ধরণের রোগ যেমন ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড জ্বরে র পরে চুল ঝরা শুরু হলে carb.v, Thellium, Mancinella

৬। মাসিক এর সময় চুল পড়লে China

৭। কোনো ওষুধ খেয়ে তার সাইড ইফেক্ট হিসাবে চুল পড়লে Nux.v

৮। সামনের দিক থেকে টাক পড়া শুরু হলে Selenium

৯। মাথার পিছনে দিকে টাক পড়া শুরু হলে Bar.carb

১০। সামনের দিক থেকে অর্ধ বৃত্তাকার ভাবে টাক পড়া শুরু হলে Thuja

১১। গোল গোল চাকতি র মতো চুল পড়লে যেটাকে অনেক সময় টাক পোকা বলা হয় Bacillinum, Phosp, Selenium, sulph, kali.sulph, fluric.ac, vinc.মিনিট

🚫 বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটি শুধু মাত্র একটি শিক্ষা মূলক প্রতিবেদন। তাই নিজের চিকিৎসা নিজে করতে যাবেন না কারণ হোমিওপ্যাথি ওষুধ এবং তার প্রটেন্সি নির্বাচন সম্পূর্ণ রূপে রুগীর রোগ লিপি এবং মায়াজম এর উপর নির্ভর করে। তাই অবশ্যই অবশ্যই একজন গভঃ স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি ডক্টর এর থেকে চিকিৎসা নিন এবং সুস্থ থাকুন।

♨️♨️পোস্টের নিচে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন চেপে আপনারা সরাসরি হোয়াটস্যাপ sms (সন্ধে ৭ টা - রাত ১১ টা ) এর মাধ্যমে আমাদের থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন। ♨️♨️

31/01/2024

A 56 yr female pt suffering from dry scaly eruption with intense itching in palm & sole since 7 months.
Modalities :
Agg~ afternoon, evening, night & open air.
Amel~ scratching while.
Associated with soreness & ulceration in mouth.
H/O External application & taking verious kind of allopathic drugs but no relief.

M/H/O : 3 yr ago she is suffering from breast CA (Lt side). Mastectomy done. after doing 35 time radiation,
16 time.

Resent blood report: Hb% :7 mg%, leucocyte are very low in count.

P/G: Appearance: Thin, emaciated, pale face.
Appetite: Less with nausea.

What is your selective medicine??

26/07/2023
19/07/2023

🏵️🏵️ডেঙ্গু জ্বর ও তার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসা (তৃতীয় পর্ব )🏵️🏵️

বর্তমান সময়ে গোটা ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে এবং ডেঙ্গু পরবর্তী সমস্যা থেকে বাঁচতে হোমিওপ্যাথি কি ভাবে আরোগ্য করে আসুন জেনে নেওয়া যাক ---

-Dr. P. Barman

19/07/2023

🏵️🏵️ডেঙ্গু জ্বর ও তার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসা (দ্বিতীয় পর্ব )🏵️🏵️

বর্তমান সময়ে গোটা ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে এবং ডেঙ্গু পরবর্তী সমস্যা থেকে বাঁচতে হোমিওপ্যাথি কি ভাবে আরোগ্য করে আসুন জেনে নেওয়া যাক ---

-Dr. P. Barman

19/07/2023

🏵️🏵️ডেঙ্গু জ্বর ও তার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসা 🏵️🏵️

বর্তমান সময়ে গোটা ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে এবং ডেঙ্গু পরবর্তী সমস্যা থেকে বাঁচতে হোমিওপ্যাথি কি ভাবে সাহায্য করে আসুন জেনে নেওয়া যাক ---

-Dr. P. Barman

🏵️🏵️নখ কুনি বা প্যারোনিচিয়া ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা 🏵️🏵️🏵️প্যারোনিচিয়া কি প্যারোনিচিয়া হল নখের চারপাশে ত্বকের সংক্র...
12/07/2023

🏵️🏵️নখ কুনি বা প্যারোনিচিয়া ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা 🏵️🏵️

🏵️প্যারোনিচিয়া কি
প্যারোনিচিয়া হল নখের চারপাশে ত্বকের সংক্রমণ যেখানে নখ এবং ত্বক মিলিত হয়। এটি নখ বা পায়ের নখের চারপাশের ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে হয়। এই সংক্রমণ হঠাৎ ঘটতে পারে এবং 2-3 দিনের মধ্যে সমাধান করতে পারে (তীব্র প্যারোনিচিয়া) বা ধীরে ধীরে বিকাশ করতে পারে এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থায়ী হতে পারে (ক্রনিক প্যারোনিচিয়া)। প্যারোনিচিয়ার হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারগুলি লালভাব, ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং পুঁজ-নির্গত করার ক্ষেত্রেও কার্যকর।

🏵️🏵️কারণসমূহ
এর পিছনে প্রধান কারণ নখের চারপাশে ত্বকের সংক্রমণ। ব্যাকটেরিয়া বা ক্যান্ডিডা ইস্ট থেকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এই উভয় সংক্রামক এজেন্ট একসাথে এই সংক্রমণের ফলে। বেশিরভাগ তীব্র প্যারোনিচিয়া ব্যাকটেরিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী প্যারোনিচিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বাসংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট হয়। এতে জড়িত ব্যাকটেরিয়াগুলির মধ্যে প্রধানত স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস এবং স্ট্রেপ্টোকক্কাস পাইজেনস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ব্যাকটেরিয়া নখের চারপাশের অংশে প্রবেশ করার প্রবণতা থাকে যখন এই এলাকায় কিছু আঘাত, আঘাত বা ত্বকের ক্ষতি হয়। নখ কামড়ানো, নখ কাটা বা চিবানো এবং স্প্লিন্টার থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এটি ম্যানিকিউরের জন্য ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জাম থেকে দুর্ঘটনাক্রমে আহত হতে পারে। খুব ছোট নখ কাটাও এই সংক্রমণের প্রবণতা। যাদের ঝুলন্ত নখ আছে বা ইনগ্রাউন নখ আছে তারাও এই সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। হ্যাংনেইল বলতে বোঝায় ক্ষুদ্র ত্বক যা ছিঁড়ে গেছে এবং নখের চারপাশে আলগা হয়ে ঝুলছে। হাতের আঙ্গুলের নখ বা পায়ের নখ দুটোরই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আছে । ইনগ্রোউন নখ একটি খুব সাধারণ এবং বেদনাদায়ক যেখানে নখ বৃদ্ধি পেয়ে নখের পাশের ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে এবং যন্ত্রনা হয়।

আরেকটি ঝুঁকির কারণ হল আর্দ্রতার সাথে হাতের অত্যধিক এক্সপোজার (যেমন যারা দীর্ঘ সময় ধরে জলে কাজ করে বা বারবার হাত ধোয়) এবং রাসায়নিকের সাথে হাত বা পায়ের ঘন ঘন সংস্পর্শ। এটি আঙুলের নখ বা পায়ের নখের চারপাশের ত্বককে ধ্বংস করে যাকে কিউটিকল বলে। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক এর সংখ্যাবৃদ্ধি এবং সংক্রমণের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরী করে । যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম (মাদক দ্বারা প্ররোচিত) তারাও এর ঝুঁকিতে রয়েছে।

🏵️🏵️লক্ষণ

এসব ক্ষেত্রে নখের চারপাশের ত্বকে লালভাব দেখা দেয়। নখের চারপাশের ত্বকের ফোলাভাব, তাপ, ব্যথা এবং কোমলতাও থাকে। এই এলাকায় চুলকানিও হতে পারে। এই আক্রান্ত স্থানে পুঁজ ভর্তি হতে পারে। আকৃতি এবং রঙের পরিবর্তনের সাথে নখ কঠিন , শক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিকৃত হতে পারে। নখের গঠনও পরিবর্তন হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে নখের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নখ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে আলাদা হতে পারে।

🏵️🏵️নখ কুনি বা প্যারোনিচিয়া ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা 🏵️🏵️

নখ কুনি তে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথি ওষুধ গুলির তালিকা নিচে দেওয়া হল -

বেলাডোনা: পুঁজ স্থির হওয়ার আগে প্রদাহের প্রাথমিক পর্যায়ে বেলাডোনার পরামর্শ দেওয়া হয়। আক্রান্ত আঙুলের নখের ভাঁজ লাল, কোমল এবং ফোলা। বিকল্প লালভাব এবং ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব হলে বেলাডোনা দেওয়া যেতে পারে ।

গ্রাফাইটস: যখন রোগীর নখ ফাটা সহ প্যারোনিচিয়া থাকে তখন গ্রাফাইট দেওয়া হয়। পায়ের নখ বিকল। নখ ভঙ্গুর এবং সহজেই ভেঙ্গে যায়। এটি রোগীর নখের বিকৃতি থাকলে যা বেদনাদায়ক, কালশিটে, পুরু এবং নখ পঙ্গু হয়ে গেলে ব্যাবহার করা হয় ।

ফ্লুরিক অ্যাসিড: ফ্লুরিক অ্যাসিড প্যারোনিচিয়ার একটি প্রতিকার বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য। আঙুলের জয়েন্টগুলোতে প্রদাহ হয়। নখের নীচে খুব ব্যাথা এবং সংবেদনশীল । নখ ভেঙ্গে যায়। নখ খুব দ্রুত বাড়ে এবং ছত্রাকের সংক্রমণে ভেঙে যায়।

হেপার সালফ: পায়ের নখ সামান্য চাপে ব্যথা করে। অনুষঙ্গী কাঁটা ব্যথা সহ ফোড়া। অস্বাস্থ্যকর ত্বক: প্রতিটি সামান্য আঘাত ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকায় না এবং অল্পতেই পুঁজ জমে যায় . এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী এবং বারবার হলে ।

ট্যারেন্টুলা কিউবেনসিস: ট্যারেন্টুলা কিউবেনসিস একটি টক্সামিক ওষুধ এবং সেপটিক অবস্থার জন্য। এটি সবচেয়ে গুরুতর ধরণের প্রদাহ এবং ব্যথার সাথে অভিযোজিত হয়। বিশেষ করে বার্ধক্যজনিত আলসারের জন্য উপযোগী।

Silicea: পুঁজ, সংক্রমণ এবং নখের তীক্ষ্ণ ব্যথা সহ প্যারোনিচিয়ার জন্য সহায়ক। এটি দেওয়া হয় বিশেষ করে যদি নখের উপর সাদা দাগ দেখা যায়। এটি পায়ের নখ গজানোর জন্যও খুব ভাল প্রতিকার। রোগী শীত কাতর এবং হাতের ও পা এর তলা ঘামতে থাকে।

Myristica Sebifera: মহান অ্যান্টিসেপটিক ক্ষমতা সহ একটি প্রতিকার। আঘাতজনিত সংক্রমণ, phalanges এর ফোলা সঙ্গে নখের মধ্যে ব্যথা। এবং অতিরিক্ত জল ব্যবহার করার ফলে নখের সংক্রমণ হলে ব্যবহৃত হয় ।

♨️বি.দ্রঃ আমি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসাবে আপনাদের কে এটাই পরামর্শ দেবো যে - নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে যাবেন না। অবশ্যই অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর কাছে যান এবং আপনার রোগের বিবরণ তাকে জানান। তিনি আপনার রোগ লিপি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঔষধ এবং তার নির্দিষ্ট শক্তিমাত্রা নির্বাচন করবেন। এবং সেটা গ্রহণ করলে আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।♨️

♨️♨️পোস্টের নিচে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন চেপে আপনারা সরাসরি হোয়াটস্যাপ sms এর মাধ্যমে আমাদের থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন। ♨️♨️

🏵️🏵️আরও একটি হোমিওপ্যাথির সাফল্য 🏵️🏵️রুগীর বয়স : ২৪ বছরনাম : খুশিলাল সরকার    জয়নগর,দক্ষিণ ২৪ পরগনা হাতের কব্জি তে একটি ...
08/07/2023

🏵️🏵️আরও একটি হোমিওপ্যাথির সাফল্য 🏵️🏵️

রুগীর বয়স : ২৪ বছর
নাম : খুশিলাল সরকার
জয়নগর,দক্ষিণ ২৪ পরগনা

হাতের কব্জি তে একটি খুবই শক্ত গ্যাংলিয়ন এবং সেটাতে ব্যাথা এই সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে হোয়াটস্যাপ এ এপয়েন্টমেন্ট ফিক্সড করে। সময় মতো আমি ফোন করে ওনার কেস নিয়ে সিম্পটম টোটালিটি করে common salt 1M তিনটি dose এবং তারপর ২০ দিনের জন্য Nihilinum 250 খেতে বলি।
৩ দিন ওষুধ খাওয়ার পরে রুগী আমাকে ফোন করে জানায় ফোলা অনেকটা বেড়েছে এবং ব্যাথার জায়গায় যন্ত্রনা শুরু হয়েছে ।
তখন আমি তাকে জানাই ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই যন্ত্রনা র ওষুধ দেওয়া আছে। যদি খুব বেশি যন্ত্রনা হয় তাহলে Nihilinum 250 ওষুধ টি দিনে ১ বারের পরিবর্তে দিনে ২ বার করে যেন খায় এবং ২১ দিন পরে কেমন আছে যেন আমাকে জানায়।

২১দিন পরে উনি আমাকে আবার হাতের ফটো পাঠায় সেটা নিচে দেওয়া হল এবং ওনার সাথে হোয়াটস্যাপ চ্যাট এই সামান্য অংশের ছবি দেওয়া হল।

রুগী অনেক ভালো থাকায় Nihilinum 300 আবার ২১ দিনের জন্য দিয়েছি আশা করছি এবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন।

হোমিওপ্যাথি তে টিপস বলে কিছু হয় না এবং রোগ ভিত্তিক কোনো ওষুধ হয় না। হোমিওপ্যাথি পুরোটাই লক্ষণ ভিত্তিক। রোগ সারানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক কেস টেকিং এর সেই সিম্পটম মিলিয়ে নির্দিষ্ট একটি ঔষধ তাহলেই সাফল্য সম্ভব।

আমি আগে গ্যাংলিয়ন ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নামক টপিক নিয়ে এই পেজে যে লেখা টি প্রকাশ করেছিলাম সেখান গ্যাংলিয়ন এ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যে ওষুধ গুলো ছিল তারমধ্যে কিন্তু common salt এর নাম ছিল না। তাই বলে যে গ্যাংলিয়ন এ common salt ব্যাবহার করা হয় না সেটা আমি বলছি না। এই কথা গুলি বলার একটাই উদ্দেশ্য - যে কোনো রোগে যে কোনো ঔষধ আসতে পারে যদি সেটা সঠিক সিম্পটম এর সাথে মিলে যায়।

তাই আবারও সবার কাছে একটি অনুরোধ -

♨️বি.দ্রঃ আমি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসাবে আপনাদের কে এটাই পরামর্শ দেবো যে - নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে যাবেন না। অবশ্যই অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর কাছে যান এবং আপনার রোগের বিবরণ তাকে জানান। তিনি আপনার রোগ লিপি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঔষধ এবং তার নির্দিষ্ট শক্তিমাত্রা নির্বাচন করবেন। এবং সেটা গ্রহণ করলে আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।♨️

♨️♨️পোস্টের নিচে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন চেপে আপনারা সরাসরি হোয়াটস্যাপ sms এর মাধ্যমে আমাদের থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন। ♨️♨️

🏵️টাইফয়েড জ্বর ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা🏵️🏵️কালকে কোনো এক বন্ধু আমাকে হোয়াটস্যাপ এ জিজ্ঞাসা করলেন যে টাইফয়েড জ্বরে ভালো ...
06/07/2023

🏵️টাইফয়েড জ্বর ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা🏵️🏵️

কালকে কোনো এক বন্ধু আমাকে হোয়াটস্যাপ এ জিজ্ঞাসা করলেন যে টাইফয়েড জ্বরে ভালো হোমিওপ্যাথি ঔষুধ কি আছে ,তাই আজকের এই পোস্ট

🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বর কি 🏵️🏵️
টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায় এবং জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। চলুন জেনে নিই টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে

টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তস্রোতে ও অন্ত্রনালীতে এই ব্যাটটেরিয়া অবস্থান করে এবং দুষিত খাবার ও জল গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিযা দেহে প্রবেশ করা জীবাণুগুলো গুণিতক আকারে বেড়ে গিয়ে রক্তস্রোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। আজ আমরা জানব টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।

🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরের কারণ ও ছড়ানোর মাধ্যম:🏵️🏵️

টাইফয়েড একটি জলবাহিত মারাত্মক রোগ যা দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে। (১)‘সালমোনেলা টাইফি’ এবং (২) ‘সালমোনেলা প্যারাটাইফি’। সালমোনেলা টাইফির সংক্রমণে যে জ্বর হয় তাকে টাইফয়েড জ্বর বা ‘এন্টারিক ফিভার’ বলে। আর যদি জ্বর সালমোনেলা প্যারাটাইফির নামক জীবাণুর কারণে হয় তখন তাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর বলে। প্রধানত দূষিত জল ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতার কারণেও এটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হতে আরোগ্য লাভ করেছেন কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া বহন করছেন এমন কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও এই রোগের বাহক হতে পারে। যেভাবেই হোক এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর তা বৃহদান্ত্রকে আক্রমণ করে। এছাড়া এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের পিত্তথলিতে জমা থাকে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই কেবল আক্রমণ করে।

🏵️🏵️টাইফয়েডের ঝুঁকি কাদের বেশি?🏵️🏵️

যেকোন বয়সেই টাইফয়েড হতে পারে, তবে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরীরে জীবাণু প্রবেশ করলেই টাইফয়েড হবে এমন কোন কথা নাই কারণ দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে অনেক সময়ই জীবাণু দেহে সংক্রমণ করতে পারেনা। তবে কম রোগপ্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস রোগীরা সহজেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারে। যেসব এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব জায়গায় ভ্রমণ করলেও এ রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণসমূহঃ🏵️🏵️

সাধারণত রোগ-জীবাণু শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিন পর রোগের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেতে থাকে। জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ যা প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পায় জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। এর প্রধান প্রধান লক্ষণসমূহ নিম্নরুপঃ

⭐️ ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর হওয়া।
⭐️ জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
⭐️ক্ষুধামন্দা হওয়া সহ কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
⭐️শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে।
⭐️গা ম্যাজ ম্যাজ করা সহ রোগীর কফ বা কাশি হতে পারে ।
⭐️প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
⭐️দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর পেটে ও পিঠে গোলাপি রঙের দানা দেখা দিতে পারে।
⭐️কারো কারো জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়।
⭐️হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে।
⭐️ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর থাকতে পারে।

🏵️🏵️কিভাবে টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ করা হয়?🏵️🏵️

পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কেবল চিকিৎসকগণ বলতে পারবেন যে কারও টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিনা। টাইফয়েড দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার নামক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি নমুনায় স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে প্রকার ভেদে টাইফয়েড ও প্যারা- টাইফয়েড পার্থক্য করা হয়। এছাড়া জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে “উইডাল টেস্ট” নামে এক ধরনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয় যাতে টাইটার দেখে টাইফয়েড নির্ধারণ করা হয়।

🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা পদ্ধতিঃ🏵️🏵️

টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও দ্রুত চিকিৎসা না করলে জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী থাকতে পারে। এছাড়া রোগী অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার দেওয়া দরকার কারণ দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে তাঁর শরীরে জলের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তীব্র আকারে জল শূন্যতা দেখা দিলে শিরাপথে সেলাইন এর মাধ্যমেও তরলজাতীয় খাবার প্রদান করা যেতে পারে। টাইফয়েডের রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে হবে। অসুস্থতাকালীন সময়ে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতিবার বাথরুম ব্যবহারের পর হাত জল ও সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হব।

🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে করণীয়ঃ 🏵️🏵️

⭐️শাকসবজি, ফলমূল এবং রান্নার বাসনপত্র সবসময় পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে।
⭐️খাবার ভালভাবে রান্না বা সিদ্ধ করে তারপর খাওয়া উচিত।
⭐️খাবার গ্রহণ, প্রস্তত বা পরিবেশনের পূর্বে খুব ভালভাবে হাত ধৌত করতে হবে।
⭐️পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুটানো জল বা পরিশোধিত জল সংরক্ষণ করতে হবে এবং জল যাতে দূষিত হতে না পারে সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণকৃত সেই জল পান করা উচিত।
⭐️বোতলজাত, পরিশোধিত বা ফুটানো জল হতে বরফ তৈরি করা না হলে সেই বরফ মিশিয়ে জল বা অন্য কোন পানীয় পান করা হতে বিরত থাকতে হবে।
রাস্তার পার্শ্বস্থ দোকানের খাবার গ্রহণ এবং জল পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
⭐️টয়লেট সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
টয়লেট ব্যবহারের পর, শিশুকে পরিষ্কার করার পূর্বে, খাবার প্রস্তুত বা পরিবেশন করার পূর্বে, নিজে খাওয়ার পূর্বে বা শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।


পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই টাইফয়েড থেকে বাঁচার মূলমন্ত্র। যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন তাদের প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় খেতে হয়। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ জল পান এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবসময় নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না ফলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই টাইফয়েড প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করলে বাইরের খাবার খাওয়া এবং জল পান করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

🏵️🏵️টাইফয়েড জ্বরে কার্যকরী হোমিওপ্যাথি ঔষধ 🏵️🏵️

শুধু মাত্র রোগের নাম দিয়ে হোমিওপ্যাথি ঔষুধ হয় না।হোমিওপ্যাথি সম্পূর্ণ রূপে লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা করে অর্থাৎ রুগীর লক্ষণ মিললে যে কোনো ঔষুধ আসতে পারে -
সাধারণত যে সমস্ত ওষুধ গুলি টাইফয়েডজ্বরে বেশি পরিমানে ব্যাবহার করা হয় সেগুলি হল -

Apis.mel : এমনি তে পিপাসা নেই কিন্ত জ্বরের সময় প্রচুর তেষ্টা,সারা গায়ে ব্যাথা ও জ্বালা ভাব,হাত পা চোখ মুখ ফুলে যাওয়া।উপসর্গ গরমে বৃদ্ধি এবার ঠান্ডা বাতাসে কমে।

Ars.alb: চুপচাপ থাকতে পারে না ছটফট করতে চায় কিন্ত শারীরিক ভাবে এতোই দুর্বল যে নড়তে পারে না।তেষ্টা প্রচুর,খাবার খেতে চায় না খাবার এর গন্ধে বমি পায়। প্রচুর মৃত্যু ভয়।গায়ে হাতে পায়ে জ্বালা কিন্তু সেটা গরম কিছু খেলে বা গরম প্রয়োগ এ ভালো থাকে।জ্বরের সাথে পাতলা পায়খানা,সমস্ত সমস্যা মধ্য রাতে বাড়ে।

Arnica: সারা গায়ে প্রচন্ড ব্যাথা একজায়গায় চুপচাপ শুয়ে থাকতে পারে না। শরীরের উপরের অংশ অর্থাৎ মাথা,মুখ, গলা প্রচন্ড গরম কিন্ত শরীর এর নিচের অংশ গুলি ঠান্ডা।চুপচাপ শুয়ে থাকলে বেশি কষ্ট হাঁটাচলা করলে আরাম পায়।

Baptisia: যে দিক ফিরে শুয়ে থাকে সেদিকে ছন ছনে ব্যাথা।প্রচুর অবসাদ কথা বলতে চায় না,মুখে জিভে গলায় ঘা হয় শক্ত কিছু গিলতে পারে না শুধু মাত্র তরল খাবার খায়। টাইফইড জ্বরের শুরুর দিকে এই ওষুধ খুব কাজে আসে।

Belladonna : প্রচন্ড জ্বর সাথে প্রলাপ বকা,ঘোরের মধ্যে ভুত প্রেত কুকুর কালো জন্তু দেখে এবং ভয় পায়।ঠান্ডা সহ্য হয় না টা শরীর ঢেকে শুয়ে থাকে,পিপাসা কম মুখ শুকিয়ে যায়,সাথে প্রচন্ড কাশি। সারা গায়ে ছোট ছোট লাল দানা বেরিয়ে যায়। টাইফয়েড জ্বরের দ্বিতীয় ধাপে এই ঔষুধ দারুন কাজে আসে।

Bryonia: প্রচন্ড জ্বর সাথে মাথা ব্যাথা, প্রচুর তেষ্টা গলা মুখ যেন শুকিয়ে যায়। চুপচাপ শুয়ে থাকতে চায় সামান্য তম নড়াচড়া তে ও বৃদ্ধি। পায়খানা শক্ত হয়।

Cantharis: টাইফয়েড জ্বরের সাথে অল্প পরিমান প্রস্রাব আর সাথে প্রচুর জ্বালা ভাব

Gelsemium: জ্বরের সাথে প্রচুর মাথা ঘোরা ও মাথার যন্ত্রনা কপালে কিছু ফিতের মতো বাঁধা আছে মনে হয়,যেটা প্রস্রাব করলে কমে যায়।জল পিপাসা কম,মেরুদন্ড এর শেষ প্রান্ত থেকে মাথার পিছন পর্যন্ত যন্ত্রনা।

Helleborus: জ্বরের সাথে বুকে,পেটে বা মাথায় জল জমা এবং গায়ে রাশ বেরিয়ে গেলে,প্রস্রাব কম এবং সেটা কালো বা লালচে রঙের হলে

Hyoscyamus: প্রচন্ড জ্বর, জ্বরে মধ্যে ভুল বকে,পাগল এর মতো আচরণ করে কামড়ে দিতে আসে,বিছানার চাদর দাঁত দিয়ে ছিঁড়তে থাকে।মাঝে মাঝে খিঁচুনি ও দেখা যায়। সমস্যা রাতে বাড়ে।

Acid. Mur : টাইফয়েড জ্বরে খুব প্রচলিত একটি ঔষুধ।প্রচন্ড অবসাদ,খুবই ঘুম ঘুম ভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা,মুখ দিয়ে নানান রকম শব্দ করে।জিভে সামনের দিকে চামড়ার মতো প্রলেপ যুক্ত,প্রস্রাব করতে গেলে পয়খানা হয়ে যায়। প্রতি ৩নং পালস বিট ইন্টারমিট করে।

Pyrogen:চুপচাপ থাকতে পারে না ছটফট করে,যেখানে শুয়ে থাকে সেটা শক্ত পাথরের মতো মনে হয়, হাড়ের মধ্যে যন্ত্রনা হয়,তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৬ পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং পালস ১৪০ থেকে ১৭০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জ্বরের সময় সারা গায়ে ঠান্ডা ঘাম হয়। জিভ পালিশ করার মতো মসৃন এবং টকটকে লাল রঙের হয়।

Acid. Phos : সেরেব্রাল টাইফয়েড বা টাইফাস জ্বরে ব্যবহৃত হয়।প্রচুর পরিমান পেনলেস ডায়রিয়া হয়,ভাইটালিটি লো হয়ে যাওয়ার ফলে চুপচাপ পড়ে থাকে নড়াচড়া করে না কাঠের গুড়ির মতো পড়ে থাকে। ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়।

এ ছাড়া ও
Lyco
Merc. Sol
Acid. Nit
Rhus. Tox
Phosp
Sulphur ইত্যাদি ওষুধ গুলি ও ভালো কাজে আসে

♨️বি.দ্রঃ আমি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসাবে আপনাদের কে এটাই পরামর্শ দেবো যে - নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে যাবেন না। অবশ্যই অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর কাছে যান এবং আপনার রোগের বিবরণ তাকে জানান। তিনি আপনার রোগ লিপি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঔষধ এবং তার নির্দিষ্ট শক্তিমাত্রা নির্বাচন করবেন। এবং সেটা গ্রহণ করলে আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।♨️

♨️♨️নিচে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন চেপে আপনারা সরাসরি হোয়াটস্যাপ sms এর মাধ্যমে আমাদের থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন। ♨️♨️

🎉আবারও হোমিওপ্যাথির সাফল্য 🎉মেয়েটির বয়স ১৩ বছর, স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুল বাসের সিটের হ্যান্ডেল এ ধাক্কা লেগে বাম দিকের চো...
04/07/2023

🎉আবারও হোমিওপ্যাথির সাফল্য 🎉

মেয়েটির বয়স ১৩ বছর, স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুল বাসের সিটের হ্যান্ডেল এ ধাক্কা লেগে বাম দিকের চোখে এই ভাবে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসা নেওয়ার ১৫ দিন পরে ব্যাথা কমে গেলেও চোখে জমাট বাঁধা রক্ত একই রকম ভাবে থেকে যাওয়ায় হসপিটাল থেকে শল্যচিকিৎসক দের থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য পাঠায়।

সেখানে না গিয়ে পরবর্তী তে রুগী আমাদের কাছে আসে আঘাত লাগার প্রায় ২০ দিন পর। মাত্র ২ মাত্ৰা হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার ৭ দিন পর চোখে জমে থাকা রক্তের প্রায় ৯০ শতাংশ মিলিয়ে গেছে। প্রথম দিনের ছবি ও ৭ দিন পর ফলো আপ এর ছবি নিচে দেওয়া হল।

কেস টি ছোট হলেও আজকের পোস্ট টি তাদের জন্য যারা ভাবেন হোমিওপ্যাথি ওষুধ কোনো কাজ করে না কিংবা হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর কার্য ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, তাদেরকে আবারও বলবো

" অধিক ঔষধ এ জটিল ব্যাধি
একটি ঔষধ এই হোমিওপ্যাথি "

🎉🎉🎈🎈যে কোনো রকম শারীরিক অসুস্থতায় পরামর্শ এবং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পেতে পোস্টার নিচে ডান দিকে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন এ ক্লিক করুন। Sms এর মাধ্যমে জানান আপনার অসুস্থতার বিবরণ এবং সমাধান পেয়ে যান সাথে সাথেই 🎉🎉🎈🎈

🎉🎉গ্যাংলিয়ন ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা🎉🎉🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্ট কী?🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্ট হল একটি ফোলা বা ফ্লুইড-ভরা নরম টিস্য...
02/07/2023

🎉🎉গ্যাংলিয়ন ও তার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা🎉🎉

🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্ট কী?🏵️🏵️

গ্যাংলিয়ন সিস্ট হল একটি ফোলা বা ফ্লুইড-ভরা নরম টিস্যুর পিণ্ড যা শরীরের নির্দিষ্ট অংশের উপর বা তার চারপাশে দেখা যায়। গ্যাংলিয়ন সিস্টের সাধারণ অবস্থানগুলির মধ্যে রয়েছে কবজি, আঙুলে গ্যাংলিয়ন সিস্ট, পা, হাঁটু এবং গোড়ালি। এর মধ্যে নতুন মায়েদের মধ্যে কবজিতে গ্যাংলিয়ন সিস্ট সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

গ্যাংলিয়ন সিস্টের আকার, চেহারা এবং আকৃতি অবস্থান এবং অবস্থার দীর্ঘস্থায়ীতা অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্টের কারণ কী?🏵️🏵️

গ্যাংলিয়ন সিস্টের কারণগুলির মধ্যে কোনও একটি নির্দিষ্ট প্যাথলজি বা প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত নয়। এর সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

* দৈনন্দিন কাজের সময় শরীরের একটি অংশের * * * অতিরিক্ত ব্যবহার
* পুনরাবৃত্তিমূলক টান
* ট্রমা বা আঘাত
* একটি শক্ত পৃষ্ঠের সাথে যোগাযোগের কারণে জ্বালা বা ঘর্ষণ
* অস্টিওআর্থারাইটিস

🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্টের উপসর্গগুলি🏵️🏵️

গ্যাংলিয়ন সিস্টের উপসর্গগুলি শরীরের যেখানে সিস্ট থাকে সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

* ব্যথা এবং অস্বস্তি
* শিরশিরানি অনুভুতি
* দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে অসুবিধা বা, কিছু ক্ষেত্রে, অক্ষমতা
* গ্যাংলিয়ন সিস্টের কাছাকাছি বা স্নায়ুতে টন টন করা অসাড়তা অনুভব করা যেতে পারে

🏵️🏵️একজন ডাক্তার কীভাবে একটি গ্যাংলিয়ন সিস্ট নির্ণয় করেন?🏵️🏵️

একটি গ্যাংলিয়ন সিস্টের নির্ণয় উপসর্গের সূত্রপাত এবং ব্যক্তির দ্বারা করা দৈনন্দিন কার্যকলাপের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে হয়। এর থেকে প্রভাবিত এলাকায় ফোলা এবং ব্যথা শুরু হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ জানা যাবে।

ডাক্তার রোগনির্ণয় নিশ্চিত করার জন্য কিছু পরীক্ষা করাতে বলতে পারেন , যেমন:

* এক্স-রে
* এমআরআই
* আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজিং
* সিস্টের মধ্যে ফ্লুইডের বিশ্লেষণ

🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্টের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা🏵️🏵️

গ্যাংলিয়ন সিস্ট সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যায় তবে ব্যথা এবং ফোলার মতো লক্ষণগুলির জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

1. Ruta
2. Cal. Fluor
3. Benzoic acid
4. Silicea
5. Cal. Carb
6. Graphites
7. Rhus. Tox
8. Rhododendron
9. Arnica. Mont
10. Causticum
সাধারণত এই সমস্ত ঔষধ গুলি হোমিওপ্যাথি তে গ্যাংলিয়ন নির্মূল করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

♨️বি.দ্রঃ আমি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসাবে আপনাদের কে এটাই পরামর্শ দেবো যে - নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে যাবেন না। অবশ্যই অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর কাছে যান এবং আপনার রোগের বিবরণ তাকে জানান। তিনি আপনার রোগ লিপি পর্যালোচনা করে আপনার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঔষধ এবং তার নির্দিষ্ট শক্তিমাত্রা নির্বাচন করবেন। এবং সেটা গ্রহণ করলে আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন।♨️

🏵️🏵️সতর্কতা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা🏵️🏵️
আক্রান্ত অংশটিকে ন্যূনতম কার্যকলাপ, সহায়ক বন্ধনী এবং আইসিং-এর মাধ্যমে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। পা এবং গোড়ালিতে গ্যাংলিয়ন সিস্টের জন্য আরামদায়ক জুতো পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাঁটুতে গ্যাংলিয়ন সিস্ট এবং কবজির গ্যাংলিয়ন সিস্টের জন্য কবজি এবং হাঁটু বন্ধনী পাওয়া যায়।

তবে, চিকিৎসার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

🏵️🏵️গ্যাংলিয়ন সিস্ট কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?🏵️🏵️

গ্যাংলিয়ন সিস্টের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি হল:

* একটি নির্দিষ্ট জয়েন্টে পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়া এড়িয়ে চলুন।
* পেশি এবং জয়েন্টে টান এড়াতে ঘন-ঘন বিরতি নিন।
* নতুন মায়েদের অবশ্যই তাদের বাচ্চাদের সামলানোর জন্য এর্গোনমিক পরিবর্তনগুলি গ্রহণ করতে হবে, যেমন সাপোর্ট এবং ক্রিব ব্যবহার করা।
* শক্ত পৃষ্ঠের সাথে পুনরাবৃত্তিমূলক যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন যা ঘর্ষণে আঘাতের কারণ হতে পারে

♨️♨️আপনাদের যদি কারো এমন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পোস্টের নিচে থাকা হোয়াটস্যাপ বটন এ ক্লিক করে আপনারা সরাসরি হোয়াটস্যাপ ম্যাসেজ এর মাধ্যমে আমাদের থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা পেতে পারেন। ♨️♨️

Address

ইন্ডিয়া
Jaynagar-Majilpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হোমিওবাংলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram