Tonic - Heal A Little Every Day

Tonic - Heal A Little Every Day Exploring the fascinating realms of the mind! Anish Basu
Psychology Counselor (Adult & Child), Couple Relationship Counselor, Student Coach, Hypnotherapist

Join our Psychology Page for insightful discussions, intriguing studies, and a deeper understanding of the complexities of human behavior. ��

30/10/2025
24/10/2025

Some people don’t have peace in their own family life — there’s constant unrest at home. Yet they stay busy interfering in others’ lives — what someone did, what they ate, whether they got married or not. These people are already mentally disturbed, and they try to spread that same negativity to others. It’s best to avoid such people as much as possible; otherwise, they will spread their own unrest into your life too.

Past Life Regression (PLR): “পূর্বজন্ম দেখা” – সত্য নাকি মানসিক কল্পনা? যারা “past life regression” শব্দটা শুনে ভাবে — “...
17/10/2025

Past Life Regression (PLR): “পূর্বজন্ম দেখা” – সত্য নাকি মানসিক কল্পনা?

যারা “past life regression” শব্দটা শুনে ভাবে — “ওহ, আগের জন্মে আমি কী ছিলাম সেটা জানার কোনো পদ্ধতি আছে নাকি!” — এই লেখাটা ঠিক আপনাদের জন্যই।
©Anish
PLR-এর ধারণা আসলে কোথা থেকে এল?

“আত্মা বারবার জন্ম নেয়”— এই ধারণা বহু ধর্মে ও আধ্যাত্মিক চর্চায় পাওয়া যায়।
বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন দর্শন ও কিছু নিউ এজ স্পিরিচুয়াল প্র্যাকটিসে এই বিশ্বাস বহু পুরনো।
২০শ শতাব্দীতে কিছু ব্যক্তি এই ধারণাটিকে থেরাপির মধ্যে আনার চেষ্টা করে — সেখান থেকেই জন্ম হয় Past Life Regression Therapy (PLR) নামের একটি পদ্ধতির।

অর্থাৎ, এর মূল শিকড় ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে, কিন্তু সেটাকে মনোবিদ্যাগত একটি “প্রসেস” হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
©Anish
PLR আসলে কী?

PLR এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একজন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্ট বা গাইড কাউকে hypnotic trance বা deep relaxation অবস্থায় নিয়ে যায় —
অর্থাৎ মন সম্পূর্ণ শান্ত, শরীর শিথিল, সচেতন চিন্তাভাবনা স্তিমিত।
এই অবস্থায় অবচেতন মন বেশি কার্যকর হয়, আর মানুষ অনেক সময় এমন কিছু ছবি, অনুভূতি, দৃশ্য বা গল্প অনুভব করে — যা সে “past life memory” বলে মনে করে। এটা অনেকটা lucid dream বা guided meditation-এর মতো।
©Anish
PLR সেশন আসলে কীভাবে হয়?

একটা সাধারণ সেশন কেমন হয় তার Steps -

ধাপ ১: প্রস্তুতি ও নিরাপদ পরিবেশ

থেরাপিস্ট এমন এক জায়গায় সেশন করান যেখানে শব্দ বা বাইরের ডিস্ট্র্যাকশন নেই।

ক্লায়েন্টকে চেয়ারে বা বিছানায় আরাম করে বসতে বা শুতে বলা হয়।

ধাপ ২: Hypnotic Induction

ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, রিল্যাক্সেশন টেকনিক দিয়ে শরীর ও মনকে শান্ত করা হয়।

থেরাপিস্ট বলে: “তুমি এখন ধীরে ধীরে গভীর প্রশান্তিতে ডুবে যাচ্ছ…”

মন এই অবস্থায় suggestible বা প্রস্তাব গ্রহণে প্রস্তুত থাকে।

ধাপ ৩: Guided Visualization

থেরাপিস্ট বলে: “তুমি এখন একটা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছ… প্রতিটা ধাপে তুমি আরও গভীরে যাচ্ছ… দরজার সামনে এসেছ… এই দরজা খোলার পর তুমি চলে যাবে অতীতের কোনো জীবনে…”

ক্লায়েন্ট এই কথাগুলো কল্পনায় অনুসরণ করে।

ধাপ ৪: ‘Past Life’-এর অনুভূতি

অনেক সময় ক্লায়েন্ট মনে করে সে কোনো পুরনো শহরে বা গ্রামে আছে, অন্য পোশাক পরে আছে, নিজের নাম আলাদা, পরিবার আলাদা।

কেউ কেউ যুদ্ধক্ষেত্র দেখে, কেউ নদীতে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য, কেউ রাজপরিবারে থাকার স্মৃতি… কারও কাছে খুব স্পষ্ট ছবি আসে, কারও কাছে হালকা অনুভূতি।

এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা — এই দৃশ্যগুলো আসলে অবচেতন মনের তৈরি কল্পনার প্রতিফলন।
এগুলো ইতিহাস নয়, প্রমাণ নয়।

ধাপ ৫: Emotional Release

থেরাপিস্ট বলে: “এটা শুধু অনুভব করো… কোনো বিচার করো না।”

কেউ কেউ এই সময়ে কাঁদে, ভয় পায়, রাগ করে বা হালকা বোধ করে — কারণ সে নিজের ভেতরের চাপ, ট্রমা বা ভয়কে প্রতীকের মাধ্যমে প্রকাশ করে ফেলছে।
অনেকের মনে পরে— “আমি নাকি ওই জন্মে ডুবে মরে গেছিলাম, তাই আজ পানির ভয় পাই।”
আবার কেউ ভাবে — “আমি ওই সময়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম, তাই আজ কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না।”

ধাপ ৬: বর্তমান সময়ে ফেরা

ধীরে ধীরে থেরাপিস্ট বলে: “তুমি এখন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছ… তুমি বর্তমান সময়ে ফিরছ… চোখ খোলো।”

মানুষটিকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনা হয়।

অনেকে ভাবে যেন স্বপ্ন দেখে এসেছে, কিন্তু অনুভূতিটা হয় অত্যন্ত বাস্তব।
©Anish
🧠 বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে PLR

👉 সায়েন্টিফিকালি Past Life Regression-এর কোনো প্রমাণ নেই।
👉 মানুষের মস্তিষ্ক হিপনোসিস অবস্থায় খুব suggestible থাকে। থেরাপিস্টের বলা কথার ভিত্তিতে অবচেতন মন গল্প তৈরি করে।
👉 অনেক সময় অতীতের দেখা, শোনা, পড়া ঘটনা, সিনেমা, পুরনো স্মৃতি বা ফ্যান্টাসি — সব মিশে এক ধরনের “pseudo memory” তৈরি হয়।
👉 এই pseudo memory-কে মানুষ নিজের পূর্বজন্মের স্মৃতি বলে বিশ্বাস করে।

মনোবিজ্ঞানে এই প্রক্রিয়াটিকে confabulation বলা হয় — মানে মস্তিষ্ক যখন একটা ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে কল্পনা তৈরি করে।
©Anish
কেন মানুষ এটা বিশ্বাস করে?

👉 Spiritual faith (আধ্যাত্মিক বিশ্বাস)

👉 মৃত্যুর পর কী হয় সেটা জানার আকাঙ্ক্ষা

👉 নিজের ব্যথা বা ট্রমার একটা “কারণ” খুঁজে পাওয়ার তীব্র ইচ্ছে

👉 অজানার প্রতি আকর্ষণ ও কৌতূহল

👉 সেশনে অনুভূত বাস্তবতার তীব্রতা

বাস্তবে এই অনুভূতিগুলো এতটাই স্পষ্ট হয় যে মানুষ মনে করে “এই তো আমি আগের জন্মে!”
©Anish

ঝুঁকি ও ভুল ধারণা

PLR-এর বড় সমস্যা হচ্ছে —

অনেক অপ্রশিক্ষিত বা ভুয়া “Past life expert” 100% সত্যি বলে দাবি করে মানুষকে ভুল পথে চালায়।

অনেকে এই pseudo memory-র ওপর ভিত্তি করে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।

কিছু ক্ষেত্রে সেশন মানসিক আঘাতও তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের মধ্যে মানসিক দুর্বলতা বা ট্রমা আছে।

তাই PLR কোনো diagnostic tool বা medical therapy নয় — এটা entertainment বা symbolic experience ছাড়া কিছুই না, যদি না trained clinical hypnotherapist দ্বারা করা হয়।
©Anish
তাহলে PLR-এর কোনো উপকারিতা আছে কি?

হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে এটি symbolic healing বা guided self-awareness tool হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

মনের ভেতরের চাপ ও ভয় চেনা ও ছেড়ে দেওয়া,

নিজের আবেগগুলোকে প্রকাশ করা,

গভীর রিল্যাক্সেশন পাওয়া,

আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা হিসেবে ব্যবহার।

কিন্তু এগুলো আসলে “past life” থেকে নয়, বরং নিজের mind & emotion-এর গভীর স্তর থেকে আসা প্রতীকী অভিজ্ঞতা।
©Anish
Myth বনাম Reality -
PLR-এ পূর্বজন্ম দেখা যায় বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ নেই — এটা মনের কল্পনা
দৃশ্যগুলো ইতিহাস এগুলো অবচেতন মনের তৈরি প্রতীক
থেরাপিস্ট যা বলেন তা সব সত্য হিপনোসিসে মন খুব suggestible — সহজে প্রভাবিত হয়
PLR = মিরাকল PLR = symbolic healing বা relaxation technique
সবাই এটা করতে পারে মানসিক দুর্বলতা থাকলে বিপদ হতে পারে
©Anish
অন্ধবিশ্বাসে নয়, সচেতনতায় নিজের পথ বেছে নিন।আপনি যে গল্পটা past life বলে বিশ্বাস করছেন… সেটাই হতে পারে আপনার বর্তমান মনের সবচেয়ে গভীর সত্য।”

Past Life Regression (PLR) কে scientifically proven therapy হিসেবে বিশ্বস্ত কোনো বড়সড় বৈজ্ঞানিক বা মেডিকেল সংস্থা কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি।
বরং — অনেক আন্তর্জাতিক সাইকোলজি ও সাইকিয়াট্রি সংস্থা স্পষ্টভাবে বলেছে ➝ PLR-এর পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই এবং এটি মানুষের অবচেতন মনের কল্পনার ফল।
©Anish
👉 American Psychological Association (APA) — Position

APA হিপনোসিসকে একটি বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহৃত টেকনিক হিসেবে মানে (যেমন pain management বা anxiety কমাতে)।

কিন্তু Past Life Regression বা “recovered past life memories” কে APA কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণিত পদ্ধতি হিসেবে স্বীকার করে না।
©Anish
📎 রেফারেন্স:
👉 APA Presidential Task Force on Evidence-Based Practice (2006)
👉 APA Division 30 (Society of Psychological Hypnosis) — Position Statements

👉 APA-এর বক্তব্য: “Recovered past-life memories have no scientific validity and are most likely the result of imagination, confabulation, or suggestion during hypnosis.”

👉 Harvard Medical School / Psychiatry

Harvard psychiatrist Dr. John F. Kihlstrom (a leading expert on hypnosis) বলেছেন:

> “There is no credible scientific evidence supporting the existence of past-life memories. Hypnosis can increase suggestibility and the creation of pseudo-memories.”

📎 রেফারেন্স:
Kihlstrom, J. F. (1995). “The trauma-memory argument and recovered memory therapy.” International Journal of Clinical and Experimental Hypnosis.
©Anish
👉 British Psychological Society (BPS) — Official View

BPS বলেছে:

> “Past life regression is not a recognized or evidence-based therapeutic technique. Any memories or images are more likely products of imagination or suggestion.”

📎 রেফারেন্স:
BPS Guidelines on Hypnosis (2012)

👉 Journal of Psychiatry & Law (1996)

Michael Nash & John F. Kihlstrom-এর রিসার্চ অনুযায়ী:
👉 PLR সেশনে যে “past life memories” আসে, সেগুলোর সাথে কোনো ঐতিহাসিক বা ভৌগোলিক প্রমাণ মেলে না।
👉 এগুলো “false memory” বা “confabulated memory”।

📎 Citation:
Nash, M. R., & Kihlstrom, J. F. (1996). The Recovered Memory Controversy: Scientific Evidence and Public Policy. Journal of Psychiatry & Law.

👉 Scientific American (2018)

এই বিখ্যাত জার্নাল-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে —

> “Past-life regression is a form of hypnosis that leads people to create rich, detailed, but entirely fictional accounts of other lives. It is not evidence of reincarnation.”

📎 রেফারেন্স:
Scientific American, “Past-Life Memories: The Power of Imagination and Suggestion,” 2018.

👉 False Memory Syndrome Foundation (FMSF)

FMSF long-term study থেকে দেখায় — PLR সেশনে false memory তৈরি হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি।
Hypnosis বা suggestion-এর মাধ্যমে মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে পারে এমন কিছু জিনিস যা বাস্তবে ঘটেইনি।

📎 Citation:
Loftus, E. F. (1997). “Creating False Memories.” Scientific American, 277(3), 70–75.
©Anish
📚 Books :-

1. “The Myth of Repressed Memory” — Elizabeth Loftus & Katherine Ketcham (এই বই false memory, hypnosis ও PLR নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ)

2. “Hypnosis and Memory” — Laurence & Perry

3. “Past-Life Memories: Fact or Fantasy?” — Dr. John F. Kihlstrom (chapter contribution)

এই কারণেই PLR কে আজও “pseudoscientific” বা “unproven therapeutic technique” বলা হয়। এর ওপর নির্ভর করে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে কল্পনার ওপর নিজের বাস্তব জীবন গড়ে তোলা — যা ঝুঁকিপূর্ণ।

রাত তখন প্রায় ২টা।পুরো পাড়া নিস্তব্ধ। দূরে কুকুরের হালকা ডাক শোনা যাচ্ছে। রিমা তখন ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ মনে হলো বারান্দা দিয়...
16/10/2025

রাত তখন প্রায় ২টা।
পুরো পাড়া নিস্তব্ধ। দূরে কুকুরের হালকা ডাক শোনা যাচ্ছে। রিমা তখন ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ মনে হলো বারান্দা দিয়ে কেউ হাঁটছে — পা টেনে টেনে।
©Anish
প্রথমে ভেবেছিল স্বপ্ন। কিন্তু আওয়াজটা স্পষ্ট হচ্ছিল. তার বুকের ভেতর কেমন কেঁপে উঠল। গলা শুকিয়ে গেল। সাহস করে পর্দাটা একটু সরিয়ে তাকাতেই — কেউ নেই। তবুও পায়ের আওয়াজ যেন কান থেকে সরে না।

এই প্রথম নয়। গত তিনদিন ধরে একই সময়, একই আওয়াজ। কিন্তু আজকের মতো ভয় সে আগে পায়নি।
©Anish
তখন হঠাৎ ওর ঠাকুমার কথা মনে পড়ে গেল—“রাতে পা টেনে হাঁটার শব্দ শুনলে ভূত আসে।”

এই কথাটা ছোটবেলা থেকে ওর মাথায় গেঁথে গেছে। হয়তো তেমন গুরুত্ব পেত না, যদি ভয়টা আস্তে আস্তে শরীর-মন দখল না করত।

সেদিনের পর থেকে রিমা একটা ritual বানিয়ে ফেলল—
ঘুমোতে যাওয়ার আগে চারদিকে আলোকিত করে রাখা, দরজাগুলো টেনে টেনে দেখা, বারান্দার জানালা বন্ধ করা, আর বারান্দার দিকে না তাকানো।

দিনের বেলা সে স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু সূর্য ডুবলেই তার শরীরে হালকা কাঁপুনি, মনে অজানা এক চাপা ভয় এসে যেত। আওয়াজটা হয়তো কোনো কাঠের খসখসানি ছিল, কিন্তু তার মস্তিষ্ক সেই আওয়াজকে “ভূতের উপস্থিতি” হিসেবে রেজিস্টার করেছিল।
©Anish
এক রাতে ওর ভয় এত বেড়ে গেল যে, জানালা দিয়ে হাওয়া লাগতেই সে চমকে উঠে বুক ধড়ফড় করতে থাকে। শ্বাসকষ্ট, ঘাম, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া — যেন কোনো অদৃশ্য শক্তি তাকে ঘিরে ধরেছে।

সেই ভয়ই পরের দিন থেকে তার আচরণ পাল্টে দিল। অফিস থেকে ফিরেও কারো সঙ্গে গল্প করে না, ফোন ধরতে ইচ্ছা করে না, নিজের ঘরটাকেই যেন সন্দেহ করে।

এভাবেই অন্ধবিশ্বাস কোনো একদিন হুট করে ভয় তৈরি করে না— ধীরে ধীরে চুপিচুপি মন দখল করে নেয়।

ভয় আর বিশ্বাস — মস্তিষ্কে তৈরি হয় গোপন পথ. রিমার মধ্যে তৈরি হয়েছিল conditioned fear। ছোটবেলার একটা cultural belief (“রাতে ভূত আসে”). একটা হঠাৎ sensory input (আওয়াজ). আর তার মধ্যে years ধরে গড়া ভয়।
এই তিনটে মিলে মস্তিষ্কে এক নতুন “truth” তৈরি করল — “আওয়াজ = ভূতের আগমন।”
©Anish
Amygdala নামের মস্তিষ্কের অংশ ভয়কে ধরে রাখে। আর ভয় ধরা পড়লে শরীরে adrenaline নিঃসৃত হয় → হৃদস্পন্দন বাড়ে → ঘাম হয় → panic বাড়ে।
এই অনুভূতি মানুষকে বোঝায় “হ্যাঁ, কিছু একটা আছে।”

তারপর Confirmation Bias কাজ করে — মানে মানুষ সেই ঘটনার মধ্যেই প্রমাণ খুঁজে বেড়ায় যে ভূত সত্যি আছে। যেমন: “ওইদিন আওয়াজ হয়েছিল, তারপরই আমি অসুস্থ হলাম।”

সমাজ ও পরিবারও যদি একই বিশ্বাসে বড় হয়ে থাকে, তবে ভয়টা আরো শক্ত হয়।
রিমা যেমন যখন মাকে বলেছিল,- “রাতে আওয়াজ পাই।” মা বলেছিল, “হ্যাঁ, এই সময়গুলোই খুব খারাপ, সাবধানে থাকিস।”
এই একটা লাইন ওর ভয়কে Strong করে দিল।

এরপর থেকে ওর ঘরে আলো জ্বালিয়ে না ঘুমালে panic হয়। রাত ২টার শব্দ সে নিজের কল্পনায় “একটা অদৃশ্য ছায়া” হিসেবে দেখতে শুরু করল।
কাজে মন বসে না, মন খারাপ লেগে থাকে, বন্ধুরা বলে— “তুই বদলে গেছিস।” এই অবস্থাকে বলে — maladaptive belief system। মানে —
©Anish
🌀 ভয় → অন্ধবিশ্বাস → আচরণ পাল্টানো → ভয় আরো বাড়া।

রিমা একা নয়। সমাজে অসংখ্য মানুষ এমন ভয় নিয়ে বাঁচে—
🔸 রাতের আওয়াজ,
🔸 অশুভ দিন,
🔸 কালো বিড়াল রাস্তা পার হওয়া,
🔸 কারো ছায়া না দেখা,
🔸 জ্যোতিষ ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যি মনে করা।

এগুলো সবই psychological loop — মস্তিষ্কের তৈরি করা ছায়া।

• Psychological Pathology -

1. Childhood Conditioning — ভয় দেখানো কথা শিশুমনে imprint হয়।

2. Amygdala Activation — ভয় পাওয়ার সময় শরীর প্রতিক্রিয়া করে, যা “বাস্তব প্রমাণ” বলে মনে হয়।

3. Confirmation Bias — ভয়ের সাথে মিল পাওয়া ঘটনা গুলো মনে থাকে বেশি।

4. Social Reinforcement — আশেপাশের মানুষ একই বিশ্বাসে ভয়কে legitimize করে।

5. Scientific Gap — ভয়কে rational explanation না দিলে superstition জায়গা নেয়।

©Anish

• Therapy / Intervention — ভয় ভাঙার পথ

✅ Psychoeducation: মানুষকে বোঝানো যে ভয়টা বাস্তব ভূত নয়, conditioned response।

✅ CBT (Cognitive Behavioral Therapy): Irrational belief চিনে ফেলা, Reality check করা, নতুন logical belief তৈরি করা

উদাহরণ: “ভূত এসেছে” → “ওটা বাতাস বা কাঠের আওয়াজ।”

✅ Exposure Therapy: ধীরে ধীরে ভয় পাওয়া পরিবেশে (light off, একা থাকা) নিজের মস্তিষ্ককে “reprogram” করা।

✅ Grounding & Relaxation Techniques:
ভয় পেলে শ্বাস নেওয়া, ঘরের জিনিস গোনা, গায়ে চাপ দিয়ে বাস্তবে ফেরা।

✅ Family / Community Awareness:
যদি পরিবারই belief টাকে পোক্ত করে, তবে ওদের educate করা জরুরি।
©Anish
অন্ধবিশ্বাস দুর্বলতার চিহ্ন নয়।
👉 এটা সেই জায়গা যেখানে ভয় আর বিশ্বাস মিলে মস্তিষ্ককে বেঁধে ফেলে।
👉 আর যে ভয়কে মস্তিষ্ক বানায়, সেই ভয়কেই আবার মস্তিষ্ক ভাঙতেও পারে।

যেদিন মানুষ ভয় পেয়ে বিশ্বাস না করে— বোঝার চেষ্টা করবে, সেদিন superstition ধীরে ধীরে গলে যাবে।

14/10/2025

While doing couple relationship counselling, one common mindset is often noticed — many men believe that a partner’s role is only to do household chores, keep the home clean, take care of the elders, and look after the husband.
This kind of mindset creates the most problems for women in relationships. Today, there are many options, and if the relationship is not balanced, it often leads to the tendency of one partner drifting away. That’s why, before getting married, ask yourself honestly why you want to get married. And if your main reason is to have someone do housework — then please, don’t get married. Hire domestic help instead.

12/10/2025

The one who stays frustrated all day will only speak to you from their frustration.
The one who lives only in the past and the future, unable to step beyond what they see, will never be able to teach you how to live in the present. The one who doesn’t understand their own needs but tries to follow others will only give you incomplete reasoning. In short, a person can only give what their mindset allows. So, think carefully before accepting someone’s words. Before taking anyone’s advice, ask yourself whether that person truly wants your lifelong growth or just a temporary improvement.

10/10/2025

If you feel alone even in a group of friends, then you should make your own path and move forward

অদেখা ভয় আর অজানা হাতের ফাঁদ” – এক বাস্তব মানসিক গল্পরাতের বেলায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেত মনোজ এর (নাম পরিবর্তন)। বুকের মধ্যে ...
10/10/2025

অদেখা ভয় আর অজানা হাতের ফাঁদ” – এক বাস্তব মানসিক গল্প

রাতের বেলায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেত মনোজ এর (নাম পরিবর্তন)। বুকের মধ্যে হালকা ধড়ফড়, অকারণে ঘাম, মাথার ভেতর অদ্ভুত একটা চাপ। ধীরে ধীরে এই ঘটনাটা নিয়মিত হতে থাকে। ওর মনে হতে লাগল— “কেউ বুঝি ওর ওপর খারাপ কিছু করছে… কিছু অদৃশ্য শক্তি যেন চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
©Anish
প্রথমে পরিবারে কাউকে কিছু বলেনি। চুপচাপ একা সহ্য করত। কিন্তু ভয়টা ক্রমশ জমে জমে ওর মাথার ভেতর একটা আস্ত দুর্গ গড়ে তোলে।

একদিন ওর এক বন্ধুর পরামর্শে একজন এর কাছে যায়। সে বলে — “তোমার ওপর অশুভ ছায়া আছে।” এই কথাটা শোনার পরই ভয়টা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শুরু করে একটার পর একটা জায়গায় যাওয়া — কেউ নুন-লঙ্কা ফেলে কিছু বোঝায়, কেউ আবার বিশেষ কিছু বোঝায়। মাস কেটে যায়। ভয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে আর্থিক ক্ষতি, মানসিক অবসাদ আর সামাজিক দূরত্ব। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় সবাই ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। ওর দিন কাটে শুধু চিন্তা আর আতঙ্কে— “আজকে আবার কি হবে?”
©Anish
একসময় ও নিজের ঘরের মধ্যেই আটকে যায়। কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। খিদে কমে যায়, ঘুম উধাও। পরিবার প্রথমে ভেবেছিল, হয়তো সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। শেষে ওর পরিবার বুঝতে পারে— এটা কোনো অদ্ভুত শক্তির ব্যাপার নয়। এটা ওর মনের ভেতরে তৈরি হওয়া গভীর মানসিক সংকট।

তারা মনোজকে নিয়ে আসে। প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিল — “সত্যি কি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পাগল হয়ে গেলো ?” কিন্তু ধীরে ধীরে, ধৈর্য ধরে, নিয়মিত কাউন্সেলিং আর থেরাপির মাধ্যমে ওর ভয় কমতে শুরু করে। ও শেখে কোনটা বাস্তব আর কোনটা ওর মনের ভ্রম। ধীরে ধীরে আবার ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
©Anish
এই ধরনের অবস্থাকে যেভাবে দেখা হয় -

দীর্ঘদিনের অবাস্তব ভয় (irrational fear), অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতা (paranoia), ঘুম, খিদে ও সামাজিক আচরণে পরিবর্তন. “কারও অদৃশ্য প্রভাব” বা “অদ্ভুত কিছু হচ্ছে” — এই ধরনের বিশ্বাসকে delusional belief বলা হয়।

এই ধরণের অবস্থা ভয় বা ট্রমা থেকে জন্ম নেয়, কিন্তু পরে তা নিজেই একটা মানসিক অসুখে রূপ নিতে পারে — যেমন anxiety disorder, psychotic features, বা delusional disorder।
©Anish
সব ভয়েই যে কোনো অতিপ্রাকৃত কারণ থাকে — তা নয়। অনেক সময় ভয়টা শুরু হয় মনে, তারপর ধীরে ধীরে পুরো জীবনটাকেই আঁকড়ে ধরে ফেলে। সময়মতো সঠিক মানসিক চিকিৎসা হলে এমন ভয় থেকেও মানুষ ফিরে আসতে পারে।

মাইক্রো ট্রিগারস — নীরব মানসিক প্রভাবের অদৃশ্য খেলাআমাদের জীবনে এমন অনেক ক্ষুদ্র ঘটনা প্রতিদিন ঘটে যা আমরা তেমন গুরুত্ব ...
09/10/2025

মাইক্রো ট্রিগারস — নীরব মানসিক প্রভাবের অদৃশ্য খেলা

আমাদের জীবনে এমন অনেক ক্ষুদ্র ঘটনা প্রতিদিন ঘটে যা আমরা তেমন গুরুত্ব দিই না। কারও মুখভঙ্গি, একটুখানি শব্দ, একটা ভ্রু কুঁচকানো, হালকা একটা মন্তব্য — এগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একেকটা “মাইক্রো ট্রিগার”। এই ছোট ছোট ট্রিগারগুলো অনেক সময় আমাদের মুড, চিন্তাভাবনা ও আচরণকে এমনভাবে প্রভাবিত করে — যা আমরা নিজেরাও টের পাই না।
যেমন :
✨কেউ আপনাকে কথা বলার সময় হালকা করে “হুঁ” বলল — মনে হলো সে আগ্রহী নয় - আপনি হঠাৎ নিরুৎসাহ বোধ করলেন।
✨অফিসে কারও মুখে ছোট্ট একটা ব্যঙ্গাত্মক হাসি দেখলেন - মনের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হয়ে গেল।
✨প্রিয় মানুষটার “seen” করেও রিপ্লাই না দেওয়া - অজান্তেই একধরনের নিরাপত্তাহীনতা জন্ম নিল।
©Anish
এই ছোট ছোট ঘটনাগুলোই হলো মাইক্রো ট্রিগার — এগুলো ছোট হলেও আমাদের মানসিক অবস্থায় বড় প্রভাব ফেলে।

💥 Psychology Theory/Concept বলে:

1. Implicit Memory Activation:

মাইক্রো ট্রিগারগুলো অজান্তে আমাদের অবচেতন মনে জমে থাকা পুরনো স্মৃতি বা অভিজ্ঞতাকে জাগিয়ে তোলে। যেমন — শৈশবে কেউ উপেক্ষা করত, তাই আজকের সামান্য “ignore” অনেক বড় মনে হয়।
©Anish
2. Amygdala Hijack (Daniel Goleman, Emotional Intelligence, 1995):

মস্তিষ্কের Amygdala অংশ দ্রুত ‘threat’ সনাক্ত করে প্রতিক্রিয়া দেয়। তাই মাইক্রো ট্রিগারগুলো অনেক সময় আমাদের মধ্যে অকারণ রাগ, ভয় বা অস্বস্তি তৈরি করে।

3. Mirror Neuron Effect:

অন্যের মুখভঙ্গি বা অঙ্গভঙ্গি আমাদের মস্তিষ্ক অজান্তেই নকল করে। ফলে অন্যের মুড আমাদের মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলে।
©Anish
🧘 কেন এগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ:

এগুলো নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে emotional burnout বা anxiety বাড়তে পারে। সম্পর্কের মধ্যে অযথা দূরত্ব তৈরি হতে পারে। নিজের আত্মসম্মান বা মুড বারবার ভেঙে যেতে পারে।

🌱 মাইক্রো ট্রিগার সামলানোর সহজ উপায়:

1. 🪞 Notice & Name: প্রথমে নিজের ভেতরে ট্রিগারগুলো চিনতে শিখুন — “এই অনুভূতিটা হঠাৎ কেন এল?”

2. 🧘 Pause & Breathe: ট্রিগারের পরপর প্রতিক্রিয়া না দিয়ে কয়েকটা গভীর শ্বাস নেওয়া।

3. 🧠 Reframe the Thought: নিজেকে প্রশ্ন করা — “এটা কি সত্যিই ওর উদ্দেশ্য ছিল? নাকি আমার আগের অভিজ্ঞতার ছায়া?”

4. 🫂 Communicate Calmly: প্রয়োজনে অন্যজনকে শান্তভাবে বলা — “এই ঘটনাটা আমাকে একটু অস্বস্তি দিয়েছে।”
©Anish
বড় বড় সমস্যা হঠাৎ করে জন্মায় না। ছোট ছোট অদৃশ্য অনুভূতিগুলোই ধীরে ধীরে একদিন পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়। তাই “মাইক্রো ট্রিগার” চিনে ফেলা মানে নিজের মানসিক শক্তিকে মজবুত করে তোলা।

সেই জন্য Carl Rogers বলেছেন -
“Being aware doesn’t mean controlling yourself; it means learning to understand yourself.” অর্থাৎ - সচেতন হওয়া মানে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং নিজেকে বুঝতে শেখা।

08/10/2025

To truly enjoy life, reduce your mobile usage. These days, even husbands and wives lie side by side, each lost in their own phone. Without realizing it, they’re creating emotional distance from each other.
Our brains are no longer able to absorb the little things happening around us.
So, limit your phone use unless it’s really necessary — you and your loved ones will feel happier and more connected.

রবিন (নাম পরিবর্তন)  একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। সারাজীবন ছোট চাকরি করে সংসার টেনেছে। কিন্তু তার একটা অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল — ...
07/10/2025

রবিন (নাম পরিবর্তন) একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। সারাজীবন ছোট চাকরি করে সংসার টেনেছে। কিন্তু তার একটা অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল — হস্তরেখা। সে মনে করত তার হাতের রেখায় তার ভবিষ্যৎ লেখা আছে। যদি ঠিকমতো রত্ন পরে, তবে তার ভাগ্য খুলে যাবে। তার বিশ্বাস অনুযায়ী সে একদিন ধনী, সফল আর সুখী হবে।
©Anish
একদিন একজন তার হাত দেখে বলেছিল —
“তোমার রাজযোগ আসছে, কিন্তু কিছু বাধা আছে। ওগুলো কাটাতে হলে বিশেষ রত্ন পরতে হবে।” সেই দিন থেকেই রবিনের জীবনে শুরু হয় অন্ধবিশ্বাসের রাজত্ব। সে আয়নার সামনে প্রতিদিন নিজের হাত দেখে, মনে মনে ভাবে — “এবার সব ঠিক হবে।”
কিন্তু জীবনে তখন নেমে এল ঝড়। চাকরি হারাল, শরীর খারাপ হতে লাগল, সংসারে অভাব দেখা দিল। রবিন কোনো যুক্তি বা পরামর্শ শুনল না — তার একটাই উত্তর, “এই রত্নগুলোই আমায় বাঁচাবে।” সে স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে একটি রত্ন নেয়, মেয়ের গয়না বিক্রি করে আরেকটি রত্ন নেয়। ভেবেছিল এবার ভাগ্য বদলাবে। কিন্তু কিছুই বদলাল না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে লাগল। দিন দিন তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেল। রাতের বেলা মনে হতো কেউ যেন ঘরে আছে, কেউ তাকে দেখছে।স্ত্রী কিছু বললে সে চেঁচিয়ে ওঠে, জিনিসপত্র ভাঙে। বাইরে বেরোতে চায় না, কারও সঙ্গে কথা বলে না। ভয়, সন্দেহ আর রাগ মিলেমিশে এক অজানা অন্ধকারে ডুবে গেল রবিন। যে হাত একদিনে নিজের ভবিষ্যৎ পড়ত, সেই হাত এখন কাঁপে। রেখার ভরসা যেখানে শেষ, সেখানেই শুরু হল মানসিক ভাঙন।
©Anish
রবিনের অবস্থায় একাধিক মানসিক কারণ ও অবস্থা কাজ করছে।
প্রথমত, তার মধ্যে দেখা যায় অন্ধবিশ্বাস ও “magical thinking”। সে মনে করে রত্ন প্রতিকারই তার জীবনের নিয়ন্ত্রক। একে বলে superstitious or magical belief system — যেখানে মানুষ নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

দ্বিতীয়ত, ধীরে ধীরে তার বাস্তবতা যাচাই করার ক্ষমতা নষ্ট হয়েছে। সে যুক্তি দিয়ে ভাবতে পারছে না, প্রমাণ বা তথ্যকে বিশ্বাস করছে না। এটা delusional disorder বা psychotic belief system-এর লক্ষণ। এমন অবস্থায় ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসকেই একমাত্র সত্য বলে মনে করে, বিপরীত কিছু শুনলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
©Anish
তৃতীয়ত, তার মধ্যে স্পষ্ট দেখা যায় anxiety ও paranoia। সে ভাবে কেউ তাকে নজর রাখছে, কেউ তার ঘরে আছে — এগুলো paranoid ideation বা early psychosis-এর লক্ষণ।

চতুর্থত, রাগের বিস্ফোরণ, জিনিস ভাঙা — এগুলো impulse control problem বা intermittent explosive disorder–এর দিকেও ইঙ্গিত দেয়।

পঞ্চমত, ক্রমাগত ক্ষতি, ব্যর্থতা ও অপরাধবোধ থেকে তার মধ্যে depression with psychotic features তৈরি হতে পারে। সে হয়তো গভীরে নিজেকে ব্যর্থ মনে করছে, কিন্তু তা প্রকাশ পাচ্ছে রাগ ও ভয় হিসেবে।

রবিনের মনে “control illusion” তৈরি হয়েছে —
সে ভাবে, “আমার ভাগ্য আমি রত্ন বা প্রতিকার দিয়ে বদলাতে পারব।” এই ধারণা প্রথমে সামান্য সফলতার কারণে আরও শক্ত হয়। কিন্তু যখন জিনিসগুলো ব্যর্থ হয়, তখন সে নিজের ভুল স্বীকার না করে আরও বেশি অন্ধবিশ্বাসে ডুবে যায়। একে বলে cognitive dissonance — মানে বাস্তবের সঙ্গে নিজের বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব, যা সামঞ্জস্য রাখতে সে আরও বেশি বিশ্বাসে জড়িয়ে পড়ে।
চাপ, অর্থনৈতিক সংকট, অনিদ্রা ও ভয় মিলে তার মন ধীরে ধীরে বিকৃত হয়ে যায়। বয়স বেশি হলে late-onset psychosis বা frontal lobe dysfunction–এর মতো শারীরবৃত্তীয় কারণও থাকতে পারে, যা judgment ও impulse control কমিয়ে দেয়।
©Anish
এই সমস্যার প্যাটার্ন ঠিক করার জন্য ৪ টি পদ্ধতি ঠিক করা হয় এবং সেই ভাবে সেশন স্টার্ট করা হয়.
১. CBT ও Reality Testing: বিশ্বাস আর বাস্তব প্রমাণের পার্থক্য বোঝানো।
২. Psychoeducation for family: পরিবারকে শেখানো কিভাবে অন্ধবিশ্বাস না বাড়িয়ে সহানুভূতিশীলভাবে সাহায্য করতে হয়।
৩. Insight Building: হঠাৎ বিশ্বাস ভাঙা নয় — ধীরে ধীরে যুক্তি ও আত্মনির্ভর ভাবনা ফিরিয়ে আনা।

রবিনের গল্প কল্পনা নয়,এটা সমাজের নীরব বাস্তবতা। অন্ধবিশ্বাস, ভয় আর হতাশা যখন যুক্তিকে গ্রাস করে নেয়,তখন মানুষ নিজের জীবনেরই প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।
©Anish
উপরোক্ত ঘটনার মতন বিষয়গুলো আরো ভালো ভাবে আমরা জানতে পারি এই বই গুলো পরে -

1. Believing in Magic: The Psychology of Superstition — Stuart A. Vyse (Oxford Univ. Press, 2014), Chapter 2 “The Need for Control” — ব্যাখ্যা করেছে কিভাবে মানুষ অনিশ্চয়তা বা অসহায়তার মধ্যে superstition-এ ভরসা খোঁজে।

2. The Science of Superstition — Bruce M. Hood (HarperCollins, 2009), Chapter 3 — “Why the Brain Prefers Illusions.”

3. Kaplan & Sadock’s Synopsis of Psychiatry (12th Ed., 2022), Chapter 12 — “Delusional Disorder” অংশে বলা আছে:
“The individual’s conviction is firm despite clear contradictory evidence; insight is usually absent.”

4. Case Studies in Abnormal Psychology — Thomas F. Oltmanns & Michele Martin (Wiley, 2017), Case 3: “Believing the Unbelievable.”

5. The Psychiatric Interview — Daniel J. Carlat (3rd Ed., 2016), Chapter 10 — “Assessing Psychotic Symptoms.”

6. Essentials of Abnormal Psychology — Ronald J. Comer (10th Ed., 2021), Chapter 12 — “Schizophrenia Spectrum Disorders.”

7. Abnormal Psychology — Kring, Johnson, Davison & Neale (14th Ed., 2022), Chapter on Impulse-Control and Conduct Disorders।

8. Kaplan & Sadock’s Synopsis of Psychiatry (12th Ed., 2022), Section: “Depressive Disorders with Psychotic Features.”

9. Oxford Textbook of Psychiatry (6th Ed., Gelder et al., 2021), Chapter 11 — “Mood Disorders with Psychosis.”

Address

Bachurdoba Water Tank Road
Jhargram
721507

Opening Hours

Monday 10am - 12:30pm
Tuesday 10am - 12:30pm
Wednesday 10am - 12:30pm
Thursday 10am - 12:30pm
Friday 10am - 12:30pm

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tonic - Heal A Little Every Day posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Tonic - Heal A Little Every Day:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram