medhub pharmacy and and Sathi clinic

medhub pharmacy and and Sathi clinic Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from medhub pharmacy and and Sathi clinic, Medical and health, m, Kaliachak.

22/09/2025


মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন্তঃস্রাবী গ্রন্থিগুলির মধ্যে একটি হলো থাইরয়েড গ্রন্থি। এটি গলার সামনের অংশে অবস্থান করে এবং শরীরের বিপাক (Metabolism), শক্তি উৎপাদন, ও বৃদ্ধি-উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড গ্রন্থি মূলত থাইরক্সিন (T4) ও ট্রাই-আয়োডো-থাইরোনিন (T3) নামক হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোনগুলির উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত TSH (Thyroid Stimulating Hormone)। তাই থাইরয়েডের কার্যকারিতা বোঝার জন্য Thyroid Function Test (TFT) করা হয়।

থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট হলো রক্ত পরীক্ষার একটি সেট, যার মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রন্থি কতটা সঠিকভাবে কাজ করছে তা বোঝা যায়। এতে সাধারণত তিনটি প্রধান হরমোন পরীক্ষা করা হয়:

1. TSH (Thyroid Stimulating Hormone)
2. T4 (Thyroxine – Total/Free)
3. T3 (Triiodothyronine – Total/Free)

🛡️✍️ থাইরয়েড হরমোন বেশি বা কম হলে দেহের বিভিন্ন কার্যক্রমে সমস্যা হয়। TFT এর মাধ্যমে—

*থাইরয়েড স্বাভাবিক কাজ করছে কি না (Euthyroid)।
*অতিরিক্ত কাজ করছে কি না (Hyperthyroidism)।
*কম কাজ করছে কি না (Hypothyroidism)।
*থাইরয়েড চিকিৎসার ফলাফল পর্যবেক্ষণ।

🚨⚠️থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট সাধারণত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে করা হয়:

*দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, অবসাদ, দুর্বলতা।
*ওজন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
*চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হওয়া, ফোলা।
*মাসিক অনিয়ম বা বন্ধ্যাত্ব।
*হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া।
*থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়া রোগীদের চিকিৎসার অগ্রগতি দেখার জন্য।

✍️✍️Normal Range :

🏷️TSH: 0.4 – 4.0 mIU/L
🏷️Free T4 (FT4): 0.8 – 2.0 ng/dL
🏷️Free T3 (FT3): 2.3 – 4.2 pg/mL

1️⃣ TSH (Thyroid Stimulating Hormone)
• পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে তৈরি হয় এবং থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণ করে।
• বেশি থাকলে: হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড কম কাজ করছে)।
• কম থাকলে: হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড বেশি কাজ করছে)।

2️⃣ T4 (Thyroxine)
• থাইরয়েড গ্রন্থির প্রধান হরমোন।
• কম থাকলে: হাইপোথাইরয়েডিজম (অলসতা, ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঠান্ডা সহ্য না হওয়া)।
• বেশি থাকলে: হাইপারথাইরয়েডিজম (অতিরিক্ত ঘাম, ওজন কমে যাওয়া, নার্ভাসনেস, দ্রুত হার্টবিট)।

3️⃣ T3 (Triiodothyronine)
• সক্রিয় হরমোন, শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে।
• কম থাকলে: হাইপোথাইরয়েডিজম।
• বেশি থাকলে: হাইপারথাইরয়েডিজম।

☘️রোগ নির্ণয়☘️
1. TSH ↑, T3 ↓, T4 ↓ → Hypothyroidism
2. TSH ↓, T3 ↑, T4 ↑ → Hyperthyroidism
3. TSH ↑, কিন্তু T3/T4 নরমাল → Subclinical Hypothyroidism
4. TSH ↓, কিন্তু T3/T4 নরমাল → Subclinical Hyperthyroidism

থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা, যার মাধ্যমে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নির্ণয় করা যায়। এটি শুধুমাত্র রোগ শনাক্ত করতে নয়, বরং চলমান চিকিৎসা ঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তাও পর্যবেক্ষণে সাহায্য করে। সঠিক সময়ে এই টেস্ট করালে জটিল রোগ যেমন গয়টার, থাইরয়েড ক্যান্সার, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ফার্মেসি ও মেডিকেল সায়েন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিমার্জনে!
Md Dilwar Hossain
B pharm

  (Complete Blood Count) রিপোর্ট থেকে কী কী বোঝা যায়?CBC বা Complete Blood Count হলো সবচেয়ে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি র...
21/09/2025

(Complete Blood Count) রিপোর্ট থেকে কী কী বোঝা যায়?

CBC বা Complete Blood Count হলো সবচেয়ে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি রক্ত পরীক্ষা। এটি রক্তের প্রধান তিনটি উপাদান—
1. লাল রক্তকণিকা (RBC)
2. সাদা রক্তকণিকা (WBC)
3. প্লেটলেট

একটা পেশেন্টের CBC রিপোর্ট থেকে কি কি বোঝা যায়?

1️⃣ Hemoglobin (Hb) & Hematocrit (Hct)
• রক্তে অক্সিজেন বহনের ক্ষমতা কেমন, সেটা বোঝা যায়।
• কম থাকলে: অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা), অপুষ্টি, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
• বেশি থাকলে: ডিহাইড্রেশন, কিছু ক্রনিক রোগ, পলিসাইথেমিয়া।

2️⃣ Total White Blood Cell (WBC) Count
• শরীরে সংক্রমণ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন আছে বোঝায়।
• বেশি থাকলে: ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, প্রদাহ, কিছু ক্যান্সার।
• কম থাকলে: ভাইরাল ইনফেকশন, ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, বোন ম্যারো সমস্যা।

3️⃣ Differential Count (Neutrophil, Lymphocyte, Monocyte, Eosinophil, Basophil)
• সংক্রমণ/অ্যালার্জি/ইমিউন সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়।
• Neutrophil ↑ = ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ
• Lymphocyte ↑ = ভাইরাল সংক্রমণ
• Eosinophil ↑ = অ্যালার্জি বা পরজীবী সংক্রমণ
• Monocyte ↑ = কিছু ক্রনিক ইনফেকশন
• Basophil ↑ = খুব বিরল, তবে কিছু অ্যালার্জি বা ব্লাড ডিজঅর্ডার

4️⃣ Platelet Count
• রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বোঝায়।
• কম থাকলে: ডেঙ্গু, ভাইরাল ইনফেকশন, কিছু বোন ম্যারো রোগ।
• বেশি থাকলে: প্রদাহ, কিছু ব্লাড ডিজঅর্ডার।

5️⃣ RBC Count, MCV, MCH, MCHC
• রক্তকণিকার সংখ্যা ও গুণমান বোঝায়।
• কোন ধরনের অ্যানিমিয়া (Iron deficiency, Vitamin B12 deficiency, Chronic disease ইত্যাদি) সেটা ধারণা পাওয়া যায়।
*RBC Count: মোট লাল রক্তকণিকার সংখ্যা।
*MCV (Mean Corpuscular Volume): RBC-এর আকার।
*MCH/MCHC: RBC-তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ও ঘনত্ব।
➡️ এগুলো দেখে বোঝা যায় অ্যানিমিয়ার ধরন—

Iron deficiency anemia → MCV কম
Vitamin B12 / Folate deficiency → MCV বেশি
Chronic disease anemia → RBC স্বাভাবিক বা কিছুটা কম

6️⃣ ESR (Erythrocyte Sedimentation Rate) – যদি থাকে
• শরীরে প্রদাহ বা ইনফেকশনের প্রাথমিক ধারণা দেয়।

✔️ CBC শুধু রোগ নির্ণয়ের জন্য নয়, চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতেও করা হয়।
✔️ ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি চলাকালে CBC নিয়মিত চেক করা হয়।
✔️ যেকোনো অপারেশনের আগে রুটিন টেস্ট হিসেবেও CBC করা হয়।

CBC রিপোর্ট একজন রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্য, সংক্রমণ, রক্তশূন্যতা, অ্যালার্জি এবং ইমিউন সিস্টেমের অবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়।

®️ফার্মেসি ও মেডিকেল সায়েন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিমার্জনে!
Md Dilwar Hossain

21/09/2025
Dr Mohidur Rahaman MBBS DNB PGT General medicine Location: sathi pharmacy kaliachak Master para Mob :7076211530
21/09/2025

Dr Mohidur Rahaman
MBBS
DNB PGT
General medicine
Location: sathi pharmacy kaliachak Master para
Mob :7076211530

21/09/2025

🦠 হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) ইনফেকশন:

🦠গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের নেপথ্যের খলনায়ক – H.Pylori - সঠিক চিকিৎসায় নির্মূল সম্ভব।

পেটের গোলমাল, গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা অনেকেই এর জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাস বা লাইফস্টাইলকে দায়ী করি।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর পেছনে লুকিয়ে থাকে এক নীরব ঘাতক—হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) নামক একটি ব্যাকটেরিয়া।

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত, যদিও বেশিরভাগই তা জানেন না। এটি সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে শুরু করে পেপটিক আলসার এমনকি পাকস্থলীর ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগেরও কারণ হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।

🦠 হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) কী?

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি হলো এক ধরনের সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া, যা পাকস্থলীর ভেতরের প্রতিকূল ও অ্যাসিডিক পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। এটি পাকস্থলীর ভেতরের মিউকাস স্তরে আশ্রয় নেয় এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ইউরিয়েজ (Urease) নামক এক ধরনের এনজাইম তৈরি করে, যা পাকস্থলীর অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

🔸 এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর প্রতিরক্ষামূলক আস্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে শক্তিশালী পাচক অ্যাসিড সরাসরি পাকস্থলীর প্রাচীরে আঘাত হানে।

🔸 এর ফলে পাকস্থলীতে প্রদাহ (Gastritis), ক্ষত বা ঘা (Peptic Ulcer) এবং দীর্ঘমেয়াদে আরও জটিল সমস্যা তৈরি হয়।

🔸 এটি কেবল হজমের সমস্যা নয়, এটি একটি সুনির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ।

🦠 H. pylori সংক্রমণের কারণ ও ঝুঁকির কারণসমূহ :

এই ব্যাকটেরিয়া মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। প্রধান ঝুঁকির কারণগুলো-

👉 অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: দূষিত পানি পান করা বা ভালোভাবে রান্না না করা খাবার খাওয়া এর সংক্রমণের প্রধান কারণ।

👉 ব্যক্তিগত সংস্পর্শ: সংক্রমিত ব্যক্তির লালা, বমি বা মলের সংস্পর্শে এলে এটি ছড়াতে পারে। এক প্লেটে খাওয়া বা এক গ্লাসে পানি পানের মাধ্যমেও এটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

👉 পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের কারো এই সংক্রমণ থাকলে অন্যদেরও হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

👉 নিম্নমানের জীবনযাত্রা: অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করলে এর সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

👉 শৈশবের সংক্রমণ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ শৈশবে ঘটে এবং কোনো লক্ষণ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে শরীরে থাকতে পারে।

🦠 H. pylori সংক্রমণের লক্ষণসমূহ:

অনেকের ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে যখন ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর প্রাচীরের ক্ষতি করতে শুরু করে, তখন নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়:

👉 পেটে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া: পেটের উপরের অংশে ভোঁতা বা জ্বালা করার মতো ব্যথা হওয়া, যা খালি পেটে বা রাতের বেলা বেড়ে যায়।

👉 পেট ফাঁপা ও গ্যাস: অল্প খেলেই পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি এবং অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া।

👉 ঘন ঘন ঢেকুর ওঠা: কোনো কারণ ছাড়াই বারবার ঢেকুর ওঠা।

👉 বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া: প্রায়শই বমি ভাব এবং মাঝেমধ্যে বমি হওয়া।

👉 ক্ষুধামন্দা: খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া।

👉 অকারণে ওজন হ্রাস: কোনো চেষ্টা ছাড়াই শরীরের ওজন কমে যেতে থাকা।

👉 কালো বা আলকাতরার মতো মল: পেপটিক আলসার থেকে রক্তক্ষরণের কারণে মলের রঙ কালো হতে পারে, যা একটি গুরুতর লক্ষণ।

💊 চিকিৎসা ও প্রতিকার:
H. pylori সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো বিকল্প নেই।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন উপসর্গ কমাতে পারলেও ব্যাকটেরিয়াকে পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে না।

✅ রোগ নির্ণয়:

👉 ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট (Urea Breath Test).

👉 স্টুল অ্যান্টিজেন টেস্ট (Stool Antigen Test) বা এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে বায়োপসি পরীক্ষা করে এই সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়।

✅ অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি:

সাধারণত "ট্রিপল থেরাপি" বা "কোয়াড্রপল থেরাপি"র দেওয়া হয়। এতে দুটি বা তিনটি ভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের (যেমন: Amoxicillin, Clarithromycin, Metronidazole) সাথে একটি অ্যাসিড কমানোর ওষুধ (Proton Pump Inhibitor - PPI) ১৪ দিনের জন্য দেওয়া হয়।

✅ কোর্স সম্পন্ন করা:

ব্যাকটেরিয়াকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে এবং এর প্রতিরোধ ক্ষমতা (Antibiotic Resistance) ঠেকাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা অপরিহার্য।

✅ ন্যাচারাল ও লাইফস্টাইল ব্যবস্থাপনা:

প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো মূল চিকিৎসাকে সহায়তা করে, নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

👉 প্রোবায়োটিক গ্রহণ: অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপির সময় এবং পরে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: ঘরে পাতা টক দই) খেলে অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরে আসে এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমে।

👉 ব্রোকলি স্প্রাউট: এতে থাকা সালফোরাফেন (Sulforaphane) নামক উপাদান H. pylori ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

👉 গ্রিন টি ও মধু: গ্রিন টি এবং মানুকা হানি (Manuka Honey)-এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

👉 প্রদাহরোধী খাবার: রসুন, হলুদ, আদার মতো প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী খাবার পাকস্থলীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

👉 যা এড়িয়ে চলবেন: ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার এবং ক্যাফেইন পাকস্থলীর ক্ষতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুধু উপসর্গ উপশম নয়, বরং মূল কারণকে দূর করে রোগীর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করে।

🌿 শেষ কথা:

H. Pylori - হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি সংক্রমণ একটি সাধারণ হলেও নীরব ঘাতক, যা অবহেলা করলে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে দিনের পর দিন অ্যান্টাসিড খেয়ে মূল রোগকে চেপে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে পেপটিক আলসার বা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

👉 তাই পেটের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি প্রকাশ পায়, তবে লজ্জা বা ভয় না পেয়ে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের পরামর্শ নিন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসাই আপনাকে এই নীরব শত্রুর হাত থেকে স্থায়ী মুক্তি দিতে পারে।

সচেতন থাকুন, আপনার পাকস্থলীর যত্ন নিন এবং সুস্থ থাকুন।

21/09/2025

🔹 Epulis কী?

Epulis (এপুলিস) এটি মূলত দাঁতের মাড়িতে (gingiva) দেখা দেওয়া একধরনের সীমিত টিউমার সদৃশ্য ফোলা/গুটিকা। এটি সত্যিকার অর্থে টিউমার নয়, বরং reactive hyperplasia অর্থাৎ দাঁতের মাড়িতে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা বা ইনফ্ল্যামেশনের কারণে কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে গুটি তৈরি করে।

🔹 কেন হয়? (কারণ):

1. দীর্ঘদিনের local irritation.

👉 দাঁতে calculus / টারটার জমা।

👉 দাঁতের ধারালো প্রান্তে লাগা।

👉 ফিট না করা ডেন্টার।

👉 দাঁতের ফিলিং বা ক্যাপের ধারালো অংশ।

2. Chronic gingivitis বা পেরিওডন্টাল সমস্যা।

3. Hormonal পরিবর্তন:

👉 গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত কারণে Pregnancy Epulis (Granuloma gravidarum) হতে পারে।

4. খুব কম ক্ষেত্রে fibrous tissue বা vascular tissue এর অতিবৃদ্ধি।

🔹 লক্ষণ:

👉 মাড়িতে সীমাবদ্ধ, সাধারণত দাঁতের চারপাশে বা ইন্টারডেন্টাল প্যাপিলায় দেখা দেওয়া গোলাকার বা ডিম্বাকার গুটি/সোয়েলিং।

👉 মাড়ির রঙ লালচে, বাদামি বা দাঁতের মাড়ির রঙের মতো হতে পারে।

👉 সাধারণত ধীরে ধীরে বড় হয় এবং ব্যথাহীন।

👉 দাঁতের সাথে নড়াচড়া করে না, তবে দাঁতের পৃষ্ঠে চাপ দিতে পারে।

👉 মাড়িতে ছোট থেকে বড় গুটি (single বা multiple হতে পারে)।

👉 সাধারণত ব্যথাহীন, তবে মাঝে মাঝে ইনফেক্টেড হলে ব্যথা/রক্তপাত হতে পারে।

👉 দাঁতে চাপ দিলে হালকা নড়াচড়া বা অস্বস্তি।

👉 দাঁত ব্রাশ করতে বা শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হতে পারে।

🔹 ধরণ:

1. Fibrous epulis – শক্ত ও ফাইব্রাস টিস্যুর বৃদ্ধি।

2. Granulomatous epulis – নরম, লালচে ও সহজে রক্তপাত হয়।

3. Pregnancy epulis – গর্ভাবস্থায় হরমোনের কারণে সাময়িকভাবে হয়।

4. Giant cell epulis (Peripheral giant cell granuloma) – বেগুনি/নীলচে গুটি।

👉 Epulis হলো মাড়ির সীমাবদ্ধ টিউমার সদৃশ্য গুটি, যা মূলত দীর্ঘদিনের ইনফ্ল্যামেশন বা লোকাল উত্তেজনার কারণে হয়। এটি সাধারণত ক্ষতিকারক নয়, তবে রোগীকে অস্বস্তি দেয়।

20/09/2025

🔹 Rivotril কেন রোগীকে দেওয়া হয়?

এই ওষুধটি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে কাজ করে। ডাক্তাররা সাধারণত নিচের সমস্যাগুলোতে দিয়ে থাকেনঃ

1. খিঁচুনি (Seizure / Epilepsy):

বিভিন্ন ধরনের খিঁচুনির রোগে, বিশেষ করে absence seizure, myoclonic seizure, akinetic seizure ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়।

2. আতঙ্কজনিত সমস্যা (Panic Disorder / Severe Anxiety):

হঠাৎ ভয় পাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট বা অস্থিরতার মতো Panic Attack এ দেওয়া হয়।

3. Severe anxiety বা tension:

যেখানে রোগী অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা ভয়-আতঙ্কে ভুগছে।

4. Sleep disorder (অনিদ্রা):

যদিও এটি মূলত ঘুমের ওষুধ নয়, তবুও অনিদ্রায় বা রাতে অতিরিক্ত অস্থিরতায় ডাক্তাররা কখনো কম ডোজে ব্যবহার করেন।

🔹 Rivotril কিভাবে কাজ করে?
এটি মস্তিষ্কের GABA (Gamma Aminobutyric Acid) নামক রাসায়নিকের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়, খিঁচুনি ও ভয়-আতঙ্ক কমে।

🔹 সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

ঝিমুনি, মাথা ঘোরা, ভুলে যাওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া।

দীর্ঘদিন খেলে আসক্তি (Dependence) তৈরি হতে পারে।

হঠাৎ বন্ধ করলে Withdrawal Symptoms (অস্থিরতা, খিঁচুনি, ঘুমের সমস্যা) দেখা দিতে পারে।

ড্রাইভিং, ভারী কাজ করার সময় বিপদ হতে পারে।

লিভার বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানে ব্যবহার করা লাগে।

👉 তাই Rivotril কখনোই নিজে থেকে খাওয়া উচিত নয়। এটি শুধুমাত্র নিবন্ধিত চিকিৎসক (Doctor/psychiatrist/neurologist) এর প্রেসক্রিপশনে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী খেতে হয়।

20/09/2025

(Complete Blood Count) রিপোর্ট থেকে কী কী বোঝা যায়?

CBC বা Complete Blood Count হলো সবচেয়ে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি রক্ত পরীক্ষা। এটি রক্তের প্রধান তিনটি উপাদান—
1. লাল রক্তকণিকা (RBC)
2. সাদা রক্তকণিকা (WBC)
3. প্লেটলেট

একটা পেশেন্টের CBC রিপোর্ট থেকে কি কি বোঝা যায়?

1️⃣ Hemoglobin (Hb) & Hematocrit (Hct)
• রক্তে অক্সিজেন বহনের ক্ষমতা কেমন, সেটা বোঝা যায়।
• কম থাকলে: অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা), অপুষ্টি, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
• বেশি থাকলে: ডিহাইড্রেশন, কিছু ক্রনিক রোগ, পলিসাইথেমিয়া।

2️⃣ Total White Blood Cell (WBC) Count
• শরীরে সংক্রমণ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন আছে বোঝায়।
• বেশি থাকলে: ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, প্রদাহ, কিছু ক্যান্সার।
• কম থাকলে: ভাইরাল ইনফেকশন, ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, বোন ম্যারো সমস্যা।

3️⃣ Differential Count (Neutrophil, Lymphocyte, Monocyte, Eosinophil, Basophil)
• সংক্রমণ/অ্যালার্জি/ইমিউন সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়।
• Neutrophil ↑ = ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ
• Lymphocyte ↑ = ভাইরাল সংক্রমণ
• Eosinophil ↑ = অ্যালার্জি বা পরজীবী সংক্রমণ
• Monocyte ↑ = কিছু ক্রনিক ইনফেকশন
• Basophil ↑ = খুব বিরল, তবে কিছু অ্যালার্জি বা ব্লাড ডিজঅর্ডার

4️⃣ Platelet Count
• রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বোঝায়।
• কম থাকলে: ডেঙ্গু, ভাইরাল ইনফেকশন, কিছু বোন ম্যারো রোগ।
• বেশি থাকলে: প্রদাহ, কিছু ব্লাড ডিজঅর্ডার।

5️⃣ RBC Count, MCV, MCH, MCHC
• রক্তকণিকার সংখ্যা ও গুণমান বোঝায়।
• কোন ধরনের অ্যানিমিয়া (Iron deficiency, Vitamin B12 deficiency, Chronic disease ইত্যাদি) সেটা ধারণা পাওয়া যায়।
*RBC Count: মোট লাল রক্তকণিকার সংখ্যা।
*MCV (Mean Corpuscular Volume): RBC-এর আকার।
*MCH/MCHC: RBC-তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ও ঘনত্ব।
➡️ এগুলো দেখে বোঝা যায় অ্যানিমিয়ার ধরন—

Iron deficiency anemia → MCV কম
Vitamin B12 / Folate deficiency → MCV বেশি
Chronic disease anemia → RBC স্বাভাবিক বা কিছুটা কম

6️⃣ ESR (Erythrocyte Sedimentation Rate) – যদি থাকে
• শরীরে প্রদাহ বা ইনফেকশনের প্রাথমিক ধারণা দেয়।

✔️ CBC শুধু রোগ নির্ণয়ের জন্য নয়, চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতেও করা হয়।
✔️ ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি চলাকালে CBC নিয়মিত চেক করা হয়।
✔️ যেকোনো অপারেশনের আগে রুটিন টেস্ট হিসেবেও CBC করা হয়।

CBC রিপোর্ট একজন রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্য, সংক্রমণ, রক্তশূন্যতা, অ্যালার্জি এবং ইমিউন সিস্টেমের অবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়।

®️ফার্মেসি ও মেডিকেল সায়েন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিমার্জনে!
Md Dilwar Hossain
B pharm

19/09/2025

Aspirin+Clopidogrel💊
এই ওষুধ ২টাকে বলা হয় Anti-platelate drugs

প্লেটিলেট, বাংলায় যাকে বলে অনুচক্রিকা। আমাদের ৩ ধরণের রক্ত কণিকার মধ্যে এটা অন্যতম যার প্রধাণ কাজ হচ্ছে কোথাও কেটে গেলে, ক্ষত তৈরি হলে সেখানে যাতে অনেক বেশি ব্লিডিং না হয়, সেখানে যাতে দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধে তা নিশ্চিত করে। তারমানে এরা খুবই উপকারের কাজ করে।

কিন্তু মাঝে মাঝে platelet গুলো জমাট বেঁধে Clot তৈরি করে যা রক্তনালী বন্ধ করে দিতে পারে। আর সেই রক্তনালি যদি হার্টের কিংবা ব্রেইনের হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

তাই ওষুধটি স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হয়। যাতে রক্ত জমাট বেঁধে সমস্যা তৈরি করতে না পারে।

১) Aspirin ওষুধটা অনুচক্রিকা কোষের ভিতরে cyclooxygenase নামক এনজাইমকে বন্ধ করে দেয় যাতে সেখান থেকে Thromboxen A2 তেরি করতে না পারে। Thromboxen A2 এর কারণেই অনুচক্রিকাগুলো কাছে এসে জমাট বাঁধে। Aspirin সেই কাজ করার আর সুযোগ দেয় না। কিন্তু কোথাও রক্ত জমাট বেঁধে গেলে জমাটাবাধা রক্ত Aspirin দ্বারা ঠিক করা সম্ভব না। এই ওষুধটা প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

২) আবার ঐদিকে Clopidogrel একটা prodrug যা এক্টিভ হয়ে platelet এ থাকা ADP নামক রিসেপ্টরে গিয়ে বসে, ফলে একইভাবে তখন আর রক্ত জমাট বেধে ক্লট তৈরি করতে পারে না।

৩) আর এই দুইটা ওষুধ যদি কম্বিনেশন আকারে ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই ভালো কাজ করবে।

ওষুধটিতে aspirin 75mg, clopidogrel 75mg থাকে। ওষুধটা দিনে ১বার ব্যবহার করতে হয় এবং খাবার খাওয়ার পরে খেতে হয়।

সাইড ইফেক্টঃ যেহেতু এই ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ করে দিচ্ছে, তাই কোথাও কেটে গেলে সেখানে ব্লিডিং টাইম বেড়ে যাবে। এছাড়াও পেটে ব্যথা, বমি এসব সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে।

19/09/2025

ঘুম আমাদের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। ঘুমের সময় শরীর বিশ্রাম নেয়, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয়, কোষ মেরামত হয় এবং মস্তিষ্ক দিনের ক্লান্তি দূর করে। তবে অনেকেই ঘুমানোর সময় অজান্তে লালা ঝরান। এ দৃশ্য অনেক সময় বিব্রতকর মনে হলেও, এর পেছনে শারীরবৃত্তীয় কারণ রয়েছে। লালা ঝরাকে সাধারণত স্লিপ হাইপারসালিভেশন (Sleep drooling বা Sialorrhea) বলা হয়। এটি সবসময় রোগের লক্ষণ নয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে শরীরের অন্তর্নিহিত সমস্যারও ইঙ্গিত দিতে পারে।

🛑🚨কেন ঘুমের সময় লালা ঝরে?

1. শোয়ার ভঙ্গি – পাশ ফিরে বা পেটের উপর শুলে লালা সহজেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
2. মুখ খোলা রেখে ঘুমানো – নাক বন্ধ বা শ্বাসকষ্ট থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়, এতে লালা বেরিয়ে আসে।
3. নাকের সমস্যা – সর্দি, সাইনাস ইনফেকশন বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়।
4. অতিরিক্ত লালা উৎপাদন – গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স, দাঁতের ইনফেকশন বা কিছু ওষুধের কারণে লালা বেশি তৈরি হতে পারে।
5. স্নায়বিক রোগ – পারকিনসনস ডিজিজ, স্ট্রোক বা নার্ভজনিত সমস্যায়ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লালা পড়ে।
6. অতিরিক্ত ক্লান্তি – শরীর বেশি ক্লান্ত থাকলে ঘুম গভীর হয়, ফলে মুখের পেশি ঢিলে হয়ে যায় এবং লালা বেরিয়ে আসে।

⚠️🛡️সমস্যাটি কখন গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত?

1. যদি প্রতিদিন ঘুমের সময় অতিরিক্ত লালা পড়ে এবং বালিশ ভিজে যায়।
2. যদি এর সাথে নাক বন্ধ, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, দাঁতের ব্যথা ইত্যাদি থাকে।
3. যদি লালার সাথে রক্ত মেশে।
4. যদি রোগী স্ট্রোক, পারকিনসনস বা অন্য স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হন।

📌🎗️করণীয়:

1. শোবার ভঙ্গি পরিবর্তন করুন – পাশ ঘুমানো এড়িয়ে চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
2. নাকের সমস্যা সমাধান করুন – সর্দি, সাইনাস বা অ্যালার্জির চিকিৎসা করুন।
3. বিছানার আগে ভারী খাবার কম খান – বিশেষত ঝাল-মশলাদার খাবার এড়ান।
4. ডাক্তারকে পরামর্শ নিন – যদি সমস্যা নিয়মিত হয় বা স্নায়বিক/শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সাথে যুক্ত হয়।
5. দাঁতের যত্ন নিন – মুখগহ্বরের সংক্রমণ বা দাঁতের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করান।

🩺🩺চিকিৎসা:

🏷️যদি সর্দি/নাক বন্ধ থাকে → ডিকঞ্জেস্ট্যান্ট / অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে (ডাক্তারের পরামর্শে)।
🏷️GERD থাকলে → অ্যান্টাসিড বা PPI (যেমন Omeprazole 20mg OD before breakfast)।
🏷️অতিরিক্ত লালা উৎপাদন হলে → অ্যান্টিকোলিনার্জিক ওষুধ (যেমন Glycopyrrolate 1–2 mg/day in divided doses) ডাক্তার প্রেস্ক্রাইব করতে পারেন।
🏷️স্নায়বিক সমস্যায় → নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
🏷️ক্রমাগত সমস্যা থাকলে ENT ডাক্তার দেখানো জরুরি।

💊🎗️ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ:

🏷️1. Glycopyrrolate:

*Adults: 1–2 mg orally, 2–3 times/day (সর্বোচ্চ 8 mg/day)
*Children: 0.02 mg/kg orally, 2–3 times/day

🏷️2. Scopolamine (Hyoscine) Transdermal Patch:

*1 patch (1.5 mg) প্রতি 72 ঘন্টা অন্তর পরিবর্তন করতে হয়।
*সাধারণত বয়স্ক রোগী বা স্নায়বিক সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।

🏷️3. Atropine drops (sublingual, off-label use):

*1% ophthalmic solution, 1–2 drops under the tongue, 2–3 times/day

🏷️4. Botulinum toxin injection (Specialist use):

*Salivary gland-এ ইনজেকশন দেওয়া হয় (ENT/Neurologist করেন) → দীর্ঘমেয়াদে drooling কমে যায়।

⚠️ সতর্কতা:

1. এই ওষুধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (মুখ শুকিয়ে যাওয়া, দৃষ্টির অস্পষ্টতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাবের সমস্যা) হতে পারে।
2. তাই অবশ্যই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।

ঘুমের সময় লালা পড়া অনেকের কাছেই সাধারণ ঘটনা, যা প্রায়শই শারীরিক অবস্থান বা সাময়িক সমস্যার কারণে হয়। তবে এটি যদি নিয়মিত বা অতিরিক্ত হয়, তাহলে শরীরের ভেতরে লুকানো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই প্রথমে জীবনযাপনের পরিবর্তন আনা জরুরি, প্রয়োজনে ডাক্তারকে দেখিয়ে সঠিক কারণ নির্ণয় করা উচিত।

®️ফার্মেসি ও মেডিকেল সায়েন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিমার্জনে!
Md Dilwar Hossain
B pharm

🍀 হজমে সাহায্য করেগ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজম, ডায়রিয়া ও আমাশয়ে উপকারী।🍀স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্ক শক্তিশালী করেনিয়মিত সে...
18/09/2025

🍀 হজমে সাহায্য করে
গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজম, ডায়রিয়া ও আমাশয়ে উপকারী।
🍀স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে
নিয়মিত সেবনে মনোযোগ বাড়ে, পড়াশোনায় সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
🍀ক্ষত ও ঘা শুকাতে সহায়তা করে
কাটা-ছেঁড়া বা ঘায়ের জায়গায় পাতা বেটে লাগালে দ্রুত শুকায়।
🍀রক্ত পরিষ্কার করে
শরীরের টক্সিন দূর করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে।
🍀 লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
🍀ত্বকের যত্নে উপকারী
ব্রণ, ফোঁড়া, একজিমা ও বিভিন্ন চর্মরোগে কার্যকর।
🍀শরীর ঠান্ডা রাখে
গরমকালে শরীরের অস্বস্তি ও গরমজনিত রোগে আরাম দেয়।
🍀রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়।
👉 তবে একসাথে বেশি খাওয়া উচিত নয়। অল্প অল্প করে নিয়মিত খেলে ভালো ফল পাওয়া

Md Dilwar Hossain
B pharm

Address

M
Kaliachak
732201

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when medhub pharmacy and and Sathi clinic posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram