
21/05/2022
?
যখন কোনো হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে গবেষনা করা হয়, তখন সেই ঔষধ কয়েকজন সম্পূর্ন সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রয়োগ করা হয়। আমরা এলোপ্যাথির মতো ইদুর, গিনিপিগ ইত্যাদির উপর ঔষধ প্রয়োগ করে গবেষণা চালাই না। এখন সুস্থ ব্যক্তির দেহে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করার পর যে যে artificial লক্ষন গুলি তাদের শরীরে প্রকাশ পায় সেগুলি লিপিবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ যে যে লক্ষন গুলি প্রকাশ পেল, এসব লক্ষন কোনো ব্যক্তির শরীরে প্রকাশ পেলে আমরা উপযুক্ত সদৃশ ঔষধ হিসাবে সেটি ব্যবহার করে থাকি।
হোমিওপ্যাথির মূল মন্ত্র Similia Similibus Curentur অর্থাৎ Like Cure Like.
এখন প্রশ্ন হল এই সম লক্ষন হোমিও ঔষধ কিভাবে কাজ করে?
রোগীর শরীরে উৎপন্ন লক্ষনের সাথে মিল হোমিও ঔষধ প্রয়োগ।
কোনো ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস আমাদের শরীরে তখনি আক্রমণ করে যখন আপনার শরীরের Vital Force বা Resistance power বা জীবনীশক্তি দুর্বল থাকে। ধরে নিন চার জন ব্যক্তি ঠান্ডায় কাজ করছে, এদের চার জনেরই যে জ্বর সর্দি ঠান্ডা লাগবে তা নয়, যার শরীরের Resistance power কম তাদেরই খুব সহজেই জ্বর সর্দি ঠান্ডা লাগে। বাকিদের কিছু হয় না।
যার Resistance power যত বেশি থাকে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত বেশি।
এবার লজিকের দিকে আসি। হোমিওপ্যাথির ছোট্ট দানায় কি এমন অদ্ভুদ শক্তি আছে যে বড় বড় রোগকে হার মানিয়ে দেয়। আসুন জেনে নিই।
ধরে নিন কোনো ব্যক্তির কিছু রোগ লক্ষন প্রকাশ পেয়েছে যেমন, চোখের নিচের অংশ ফোলা, প্রসাব খুব কম ও জ্বলন, গরমে রোগের বৃদ্ধি, পিপাসা নাই। এসব লক্ষন দেখে আপনি সম লক্ষন হোমিও ঔষধ Apis Mel প্রয়োগ করলেন। এখন সম লক্ষন কিভাবে কাজ করে?
এখানে আপনার শরীরে যে লক্ষন তৈরী হয়েছে তা প্রকৃত লক্ষন এবং হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করার পর শরীরে যে লক্ষন উৎপত্তি হল তা Artificial বা কৃত্তিম লক্ষন। ধরি আপনার শরীরের প্রকৃত Intensity বা প্রবলতা 20%. তাহলে আপনার শরীরে 20% এর বেশি প্রবলতা প্রয়োগ করতে হবে এবং যেন 30% বেশি না হয়। 30% প্রবলতার ঔষধ দিলে সামান্য Aggravation বা বৃদ্ধি হবে যা আপনি বুঝতে পারবেন না। 30% এর বেশি প্রবলতার ঔষধ দিলে Aggravation বা বৃদ্ধি হতে পারে যার ফলে আপনি ডিস্টার্ব অনুভব করবেন। তাই এখানে 30% প্রবলতার ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
এখানে শরীরে দুটি প্রবলতা কাজ করে, প্রথমটি আপনার শরীরে উৎপন্ন প্রকৃত প্রবলতা 20% এবং দ্বিতীয়টি হোমিও ঔষধ দ্বারা সৃষ্ট কৃত্তিম প্রবলতা 30%. এখন আপনার শরীরের প্রকৃত প্রবলতা, ঔষধের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্তিম প্রবলতাকে পরাজিত করতে চাইবে। আপনার প্রকৃত প্রবলতা অর্থাৎ Vital force বৃদ্ধি পেয়ে 30% এসে কৃত্তিম প্রবলতাকে পরাজয় করে। কিছুদিন পরে Automatically ঔষধের দ্বারা কৃত্তিম প্রবলতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখন আপনার প্রকৃত প্রবলতা বা vital force এর মান 20% থেকে 30% এ এসে স্থিতিলাভ করল। অর্থাৎ আপনার প্রকৃত জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পেল। এখন এই বৃদ্ধি পাওয়া প্রকৃত Vital force বা জীবনীশক্তি সুশৃঙ্খল অর্জন করে জীবানু, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস অর্থাৎ Pathological Micro Organism গুলির সাথে যুদ্ধ করে তদের শরীরকে নর্মাল অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। এখানে আপনি হোমিওপ্যাথি ঔষধের দ্বারা কোনো জীবানু, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস অর্থাৎ Pathological Micro Organism কে মারলেন না, আপনি হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করে আপনার Vital force বা জীবনীশক্তিকে Uplift বা বৃদ্ধি করে তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হলেন। যতদিন না আপনি Vital force বা জীবনীশক্তিকে কোনো Alcohol, ড্রাগ, মানসিক ফ্যাক্টর দ্বারা নষ্ট করছেন, এই Uplift বৃদ্ধি পাওয়া Vital force বা জীবনীশক্তি সহজে নষ্ট হয় না, শরীরে অনেকদিন স্থিতিলাভ করবে।
এখন আপনার Vitality Uplift থাকলে বাইরে থেকে কোনো জীবানু প্রবেশ করলে তা এমনিতেই নষ্ট করে দেবে। আপনি হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবন করে আপনার Vitality কে Uplift করে রোগ জীবাণুর সাথে লড়াই করার মত ক্ষমতা অর্জন করে permanent Cure হলেন।
ধরে নিন, কোনো ব্যক্তির চেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হওয়ার জন্য আপনি কি করবেন?
প্রথমত আপনি ঐ ব্যক্তিকে আঘাত করে তাকে পঙ্গু বানিয়ে নিজে বেশি শক্তিশালী হবেন।
দ্বিতীয়ত কোনো আঘাত না করেই আপনি নিজের শক্তিকে বৃদ্ধি করে তার চেয়ে অধিক শক্তিশালী হবেন।
এখানে হোমিওপ্যাথি নীতি, দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনুসরণ করে।
There was no antibiotics. Homoeopathic treatment is the wonderful Science.
হোমিওপ্যাথি আপনার Vital force কে বৃদ্ধি করে পরবর্তী রোগের মোকাবিলার জন্য আপনাকে অনেক গুন শক্তিশালী করে তোলে। পুনঃরায় কোনো রোগ এলে আপনি প্রথমেই তাদেরকে পরাজিত করে ফেলবেন। এভাবেই হোমিও ঔষধ কাজ করে।
★উদাহরণঃ
যাদের ধুলোবালিতে গেলে Dust Allergy হয়। তারা এলোপ্যাথি টেবলেট খেয়ে কিছুদিন ভালো থাকেন, আবার ধুলোবালিতে গেলে আবার আক্রমণ। এলোপ্যাথিতে অনেক রোগের যেখানে কোনো permanent cure নেই। অর্থাৎ আপনার রোগের Causation বা কারনটিকে দূর করতে পারছে না। নিরুপায় হয়ে এলোপ্যাথি ডাক্তারগন আপনাকে উপদেশ দেবে, আপনি ধুলোবালি থেকে দূরে থাকবেন। অর্থাৎ তাদের কাছে এর কোনো সমাধান নাই।
কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আপনাকে আমরা আপনার লক্ষন সদৃশ ঔষধ প্রয়োগ করে আপনার Vitality বা জীবনীশক্তিকে permanent uplift বা বৃদ্ধির দ্বারা আপনাকে ধুলোবালি থেকে Dust Allergy এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য অধিক শক্তিশালী যোদ্ধাতে পরিনত করব। যে কারনে আপনি ধুলোবালিতে গেলে আর আক্রান্ত হবেন না। অর্থাৎ আপনি Dust Allergy থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাবেন।
এই জন্য হোমিওপ্যাথিতে একটি কথা বলা হয়,
"হোমিওপ্যাথিতে রোগীর চিকিৎসা করা হয়, রোগের নয়"।
This is Homoeopathy.