30/11/2024
মাঙ্গলিকঃ
লগ্নে ব্যায়ে চ পাতালে,
চতুর্থে অষ্টমে কুজে।
কন্যায়াঃ পতিহন্তি,
পুংসাং ভার্য্যা বিনশ্যতি।।
(লগ্নে,দ্বাদশে,সপ্তমে,চতুর্থে ও অষ্টমে কুজগ্রহ থাকিলে জাতক বা জাতিকার ভৌমদোষ বা মাঙ্গলিক দোষ হয়)
[এর ফলে পুরুষের পত্নিহানি ও কন্যার পতিহানি যোগ দৃষ্ট হয়।]
কন্যার সপ্তমে রবিগ্রহ থাকিলে
পতির পরিত্যক্তা,
শনিগ্রহ থাকিলে অন্যূঢ়া হয়।
প্রতিপ্রসবঃ
১)কন্যার জন্মরাশি বা লগ্নের সপ্তমস্থানে যদি কোনোও শুভগ্রহ বা সপ্তমাধিপ অবস্থান করেন,তাহলে কন্যার অনপত্যযোগ এবং বিষাঙ্গনাজন্য বৈধব্য দোষ হয় না।
২)কন্যার লগ্ন,চতুর্থ, পঞ্চম,সপ্তম,নবম,দশম ইহাদের অন্যতমভাবে বৃহস্পতি গ্রহ অবস্থান করেন,
সপ্তম ও অষ্টমে পাপগ্রহ থাকিলেও সেই কন্যা গুণবতী,পুণ্যবিভূতিযুক্তা,সাধ্বী,সুসন্তান-প্রসবিনী ও সুখিনী হয়।ঐরূপ শুক্র থাকিলেও বহু অশুভ যোগ নাশ হয়,ও শুভফল দেয়।।
[পূর্ণচন্দ্র পঞ্জিকা জ্যোতিষ বচনার্থঃ
কন্যার বালবৈধব্য যোগ থাকিলে নিম্নোক্ত বিবাহগুলির একটি করিয়া সুপাত্রে দান করিলে উক্তদোষ নষ্ট হয়।এইরূপ বিবাহে কন্যার পুনর্ভৌমদোষ থাকে না।বিবাহের পূর্বে চন্দ্রতারাশুদ্ধিতে বিবাহোক্ত বিধানে কন্যাকে কুম্ভের সহিত বিবাহ দিবে,পরে দশতন্তুবিধানে উহাদের কুঙ্কুমালঙ্কৃত দেহ নির্জনগৃহে সূত্রদ্বারা বেষ্টিত করিবে,তদনন্তর কুম্ভ প্রার্থনা মন্ত্র পাঠান্তে কুম্ভটিকে জলাশয়ে নিমজ্জিত করিয়া পঞ্চপল্লব বারিদ্বারা কন্যাকে অভিষিক্ত করিবে,এইরূপে অশ্বত্থবৃক্ষের সহিত, শিবের সহিত,স্বর্ণনির্মিত বিষ্ণুর সহিত বিবাহের ব্যবস্থা আছে।]
গণনা দুইভাবে হয় লগ্নথেকে ও চন্দ্রথেকে।
লগ্নথেকেকে লগ্নকোষ্ঠী বলে।
চন্দ্রথেকেকে চন্দ্রকোষ্ঠী বলে।
দুইদিকেই ঐ স্থানগুলিতে মঙ্গল থাকা চলবে না।
মঙ্গলদোষ বিবাহিত জীবনে বাধাসৃষ্টি করে।
যদি কোনোও মাঙ্গলিক ব্যাক্তি
কোনোও মাঙ্গলিক মহিলাকে
বিয়ে করে তবে ঐ যোগ খন্ডিত হয়,ও মাঙ্গলিক দোষ কোনোও বিয়েতে প্রভাব ফেলে না।।প্রতিকারেরও প্রয়োজন পড়ে না।
প্রতিকারঃ
ক)পাত্র-পাত্রীদের কোষ্ঠী বিয়ের পূর্বে বিচার প্রয়োজন।
৩৬ টি কারণের ৫০ শতাংশের বেশী মিল হওয়া চা---ই।
(মাঙ্গলিক ব্যাতিরেকে)
খ)বিয়ের দিন অথবা আগেই নিম্নোক্ত ক্রিয়াগুলির ১টি করা উচিৎ।
১)কুম্ভবিবাহ,
২)বিষ্ণুবিবাহ(স্বর্ণনির্মিত),
৩)অশ্বত্থবিবাহ,
৪)কদলীবিবাহ,
৫)শিববিবাহ।
বিয়ের পর ------------------------
১)কমলারঙের গণেশপূজা নিত্য ও সঙ্গে রাখুন।
২)নিত্যহনুমানচাল্লিশা পাঠ করুন।
৩)মহামৃত্যুঞ্জয় কবচপাঠ বা ধারণ।
৪)পাখিদের কিছু খাওয়ান।
৫)বাড়িতে গজদন্ত রাখুন।
৬)অশ্বত্থবৃক্ষে জল ঢালুন।
৭)প্রবাল ৩k তামারআংটিতে অনামিকায় ধারণ করুন।
৮)লালজামা,শাড়ি,রুমাল ব্যবহার করুন।।
মঙ্গল গ্ৰহ পূজাঃ..............তিলক ধারণ,শিখাবন্ধন,আচমন,বিষ্ণুস্মরন,তান্ত্রিক আচমন,আসনসুদ্ধি,গন্ধাদি অর্চনা,জলসুদ্ধি, পুস্প শুদ্ধি,ঋষ্যাদিন্যাস করন্যাস,অঙ্গন্যাস,ব্যাপকন্যাস,ধ্যান,বিশেষার্ঘ্য, সূর্য পূজা ও সূর্যাঘ,স্বস্তিবাচন,সংকল্প,পঞ্চদেবতাপুজা,পীঠপূজা,ধ্যান,আবাহন,গায়ত্রী,পূজা,মন্ত্রজপ,তর্পণ, অভিষেক,বলি,ধ্বজ,ষড়ঙ্গপূজা,প্রণাম,অস্ত্রপূজা,অধিদেবতা,প্রত্যধিদেবতা,অধিষ্ঠাতৃদেবী,অবতার,শিলা,অবশিষ্ট গ্রহদের পূজা,দক্ষিণা,পিতৃপূজা,তিথিপূজা,অগ্নিপূজা,দেশপূজা জাতিপূজা,বর্ণপূজা,হোম,ব্রাহ্মণভোজন,ভিক্ষুকভোজন,দক্ষিণান্ত,অচ্ছিদ্রাবধারণ,বৈগুণ্যসমাধান,কবচধারণ,শান্তিবারি।
১)যুগ্মবর্ষে বিবাহে বিধবা,
২)পরিঘযোগে স্বামীঘাতিনী,
৩)পৌষে স্বামীবিয়োগিনী,
৪)শ্রাবণ, ভাদ্র,আশ্বিন, কার্ত্তিক, পৌষ ও চৈত্রমাসে
সত্বর বৈধব্য,
৫) অগ্রহায়ণ ও মাঘের গোধূলিতে বিধবা,
৬)দিবাভাগে স্বামীঘাতিনী হয়,
৭)রবিবারে আদ্যঋতুতে বিধবা
৮)জ্যৈষ্ঠে আদ্যঋতুতে বিধবা,
৯)নবমীতিথিতে আদ্যঋতুতে
বিধবা,
১০)আর্দ্রায় ব্রতঘ্নী,
১১)বৈধৃতিযোগে পতিঘাতিনী,
১২)শকুনী, চতুষ্পাদ ও কিন্তুঘ্ন করণে বিধবা,
১৩)লগ্নেপাপগ্রহ থাকিলে পতিনাশ,
১৪)অপরাহ্ণে বৈধব্য হয়।
প্রতিকারঃ
গায়ত্রীপাঠকরিয়া ঘৃত,দূর্বা,তিল ও আতপচাউল প্রত্যেক দ্রব্যদিয়া ১০৮ আহুতি দেবে।
দুষ্টমাসে রজস্বলায় গুড়,তেল।
বারদোষে আতপচাল/মণি।
নক্ষত্রদোষে মণি/বৃষ।
যোগদোষে তিল ও স্বর্ণ।
তিথিদোষে গাভী/সোনা।
করণদোষে সোনা।
লগ্নদোষে বৃষ।
চক্রদোষে দই ও রজতচন্দ্রপ্রতিমা।
মাসদোষে মাষকলাই/গুড়-তেল।
দানসামগ্রী গ্রহবিপ্রকে দিবেন।। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - তান্ত্রিক জ্যোতিষ ও জ্যোতিষী শ্রী শান্তনু ব্যানার্জি (+918101183146)