
12/11/2023
শীতে ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। যার প্রভাবে ত্বকে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। অনেকের পা ফাটা, ফ্রস্ট বাইট, নখ ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এটি নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। শীতে পা ফাটার প্রতিকারও রয়েছে। চলুন সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালির ত্বক অনেক শক্ত। শীতের শুষ্কতা ও ধুলাবালির প্রকোপে গোড়ালি আরও শক্ত হয়ে যায়। ফলে পা ফাটার সমস্যা শুরু হয়। নিয়মিত যত্ন ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এই যেমন, শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকলে পা ফাটা শুরু হয়। তাই প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর পানি, ফল ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন রাখুন। এ ছাড়াও আরও যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
পরিষ্কার রাখা
পা ফাটা প্রতিরোধে নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে গোসলের সময় পা পরিষ্কার করে নিতে হবে। গোসলের পানির সংস্পর্শে পায়ের ত্বক নরম হয়ে ওঠে। তখন সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এ ছাড়া বাইরে থেকে ঘরে ফিরে পা ধুয়ে ফেলতে হবে। একটি বিষয় এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পা পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে পা আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে।
মোজা ও জুতা ব্যবহারে সতর্কতা
শীতের অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই জুতা ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে পায়ে মোজা ব্যবহার করতে হয়। তবে পায়ের সুরক্ষায় সঠিক মোজা ও জুতা ব্যবহার জরুরি। বাতাস চলাচল করে এমন কাপড় বা উলের মোজা ব্যবহার করা উচিত। মোজা খুলে ফেলার পর যদি খুব ফ্যাকাসে এবং কুঁচকে যাওয়া পায়ের আঙ্গুলের চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে মোজায় খুব বেশি আর্দ্রতা জমা হয়েছে। তাই এমন মোজা বেছে নিতে হবে যা পা উষ্ণ ও শুষ্ক রাখবে। মোজার পাশাপাশি জুতাও হওয়া চাই আরামদায়ক। পা ঢাকা জুতো পরলে শুকনো বাতাসেও আর্দ্রতা হারাবে না গোড়ালি। ভেজা জুতা বা মোজা এড়িয়ে চলতে হবে।
ময়েশ্চারাইজার
গোসল বা পা ধোয়ার পর পায়ে পরিমাণ মতো ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। এতে পায়ের ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকবে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার
শীতের সময় প্রচুর পানি পান করা উচিত। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শীতকালীন ফল, শাক-সবজিগুলো এসব ভিটামিনের ভালো উৎস। তাছাড়া বাদাম, স্নেহ জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।
দ্রষ্টব্য: পায়ের সমস্যা বেশি হলের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।