09/04/2022
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ডোম (PCOS) :
আজকাল পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিসের সংখ্যা প্রচুর। এটি সাধারনত ১৮-৪০ বছরের মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। PCOS মহিলাদের হরমোনের অসামঞ্জস্যতার জন্য দেখা যায়। PCOS মহিলাদের সাধারনের থেকেও বেশী মাত্রায় পুরুষ হরমোনগুলো শরীরে উৎপত্তি হয় , ওভারিতে সিস্ট দেখা যায় . হরমোনের অসামঞ্জস্যতা মেন্সট্রুয়াল পিরিয়ডস কে বাধা দেয়। PCOS এর ফলে বেশীর ভাগ মহিলার চুল ওঠা , মুখে - শরীরে অতিরিক্ত লোম গজানো, সিস্টিক অ্যাকনে , ডার্ক প্যাচ , মারাত্মক খুসকির সমস্যা , ওজনবৃদ্ধি , অনিয়মিত পিরিয়ডস , কখনও সাধারনের থেকেও বেশী মাত্রায় পিরিয়ডস , বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়।
অতিরিক্ত অ্যান্ড্রোজেন হরমোন দায়ী হয় এই চুল ওঠা , অনিয়মিত পিরিয়ডস ,অ্যাকনে , অতিরিক্ত লোম গজানোর জন্য. ইনসুলিন হরমোন সাধারণত কোশে গ্লুকোজের শোষনে সাহায্য করে কিন্তু PCOS এ ইনসুলিনের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং শরীরে ব্লাড গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে শরীরে আরও ইনসুলিন তৈরী হয়। অতিরিক্ত ইনসুলিন আবার অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রাকে বাড়ায়।অনেক মানুষের ঘারে বা গলায় কালো দাগ দেখা যায় তা কিন্তু অপরিচ্ছন্নতার জন্য হয় না . শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিনের মাত্রা থাকায় বা poor insulin resistance এর জন্য হয়ে থাকে। PCOS এ প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমে যায় যা অনিয়মিত পিরিয়ডসের জন্য দায়ী।
PCOS শুধুমাত্র যে স্থূলকায় বা মোটা মানুষদের হয় তা নয় ,সব মহিলাদের যে অ্যান্ড্রোজেন ডিপেন্ডেন্ট PCOS হয় তা নয় , ইস্ট্রোজেনের আধিপত্যেও হতে পারে , থাইরইয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারনেও হতে পারে। ভবিষ্যতে এই অনিয়ন্ত্রিত PCOS থেকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস দেখা যায়। .
Guidelines for PCOS :-
👉PCOS কে দূরে রাখতে গেলে প্রথমত ওজন বজায় রাখতে হবে - তাই নিয়মিত শরীরচর্চার বিশেষ প্রয়োজন।
👉লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার যেমন ফাইবার যুক্ত খাবার , ফল - শাকসব্জিকে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে বেশী করে।
👉কোনো মিল স্কিপ করা যাবে না। সব সময় মাথায় রাখতে হবে এই মন্ত্রটা - " Eat breakfast like a king , lunch like a queen and dinner like a pauper ."
👉কিছু খাবার কম মাত্রায় খাওয়া উপকারী তা হল -
১. চিনি - কারন চিনি empty calorie দেয় . চিনি থেকে আর কোনো পরিপোষক পাওয়া যায় না।
২. গ্লুটেন প্রোডাক্ট - ময়দা বা ময়দা দিয়ে প্রস্তুত জিনিস - কেক - পেস্ট্রি ইত্যাদি।
৩. জাঙ্কফুড
৪. ঘি - বাটার - তেল - চিজ - ক্রিম - ডালডা
৫. থাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্যতা থাকলে সোয়া প্রোডাক্ট যেমন - সোয় মিল্ক , সোয়াবিন , টোফু ইত্যাদি খাওয়া অনুচিত।
৬. রেডি টু ইট ফুড - প্রসেসড মিট , প্রসেসড ফুড , ক্যানড ফুড ইত্যাদি।
৭. অ্যালকোহল
৮. কফি
৯.স্ন্যাক্স হিসাবে বাইরের খাবার না খেয়ে স্প্রাউট স্যালাড , ফ্রুট স্যালাড খেতে পারেন যা তৈরী করতেও সময় কম লাগবে এবং উপকারী হবে। তেলে ভাজা খাবারের বদলে যদি বেকড খাবার খাওয়া যায় তা হবে অনেকটা উপকারী।