22/08/2025
আজ একটা গল্প বলছি। এটা হিন্দমোটরের বি.বি. ঘাটের দিকের মা… আজ সেখানে পূজা হবে।
২০২৩ সালে যখন আমার বাবা অসুস্থ হলেন, তখন কালীপূজার সময় তাঁর অপারেশন হয়েছিল এবং পরিস্থিতি খুবই গুরুতর হয়ে গিয়েছিল। ইউরিনাল ব্লাডারের সমস্যা ছিল। আজও আমার মনে আছে— কালীপূজার রাতে আমি সারারাত তারা মায়ের ছবি জড়িয়ে বসেছিলাম। পরে একটু চোখ লেগে গিয়েছিল… তখন মা-ই বলেছিলেন, বাবা বেঁচে যাবেন। সেই সময় প্রসূনদা আমার বাবার হিলিং করেছিলেন। ওনার অবদান নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তখন এই মা প্রসূনদাকে বলেছিলেন, তাঁর প্রতিমা দিতে এবং নরনারায়ণ সেবা করতে। গত বছর অন্য কেউ তারা মায়ের প্রতিমা দিয়েছিল, তাই আমরা শুধু নরনারায়ণ সেবা করেছিলাম হিন্দমোটরে। এ বছর আমি আর প্রসূনদা মিলে তারা মায়ের প্রতিমা দিলাম। আর নরনারায়ণ সেবাও হবে। মা চাইলে প্রতিবছর দেব।
জানো তো, যেখানে বিজ্ঞান শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই দেবত্ব শুরু হয়। আমার চার্ট দেখে সবাই বলেছিল আমার বাবা বাঁচবেন না… আমিও জানতাম সেটাই। আমি কী সময় পার করেছি, সেটা শুধু আমিই জানি। গুরুকৃপা আর তারা মায়ের কৃপা না থাকলে জানি না কী হতো। প্রসূনদা আমাকে সবসময় আশীর্বাদ করেছেন, তারা মায়ের আশীর্বাদও আমাকে দিয়েছেন। তাই আজ আমি এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।
আরেকটা ঘটনা শেয়ার করি। মনিরামপুরের এক প্রসিদ্ধ মন্দিরে কালীপূজায় আমি মাকে শাড়ি দিতাম। প্রায় ২০১৭–২০১৮ সালের কথা। তখন ওই মন্দিরের লোকেরা আমাকে অপমান করেছিল। যাই হোক, একদিন আমি মাকে বলেছিলাম— “তোমার পূজা আমি আর কোথাও দেব না, দরকার হলে তুমি নিজেই নেবে।” আজ ঘরে-বাইরে মা আমাদের পূজা নেন।
আমরা প্রতি অমাবস্যায় তারা মায়ের পূজা করি। মায়ের আশীর্বাদে দশমহাবিদ্যার সাধনাও করি। আজকের দিনে মা নিজে ছিন্নমস্তা, উগ্রতারা রূপে আমার কাছে আছেন। এই ছিন্নমস্তা শক্তিপীঠের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। মায়ের আদেশ নেই, তাই আমি তাঁর ছবি প্রকাশ করতে পারছি না।
এই হলো মায়ের মহিমা… মা আমাদের আশীর্বাদ করে রেখেছেন। মা না থাকলে আমরা বাঁচতাম না। অনেকেই আমার আর প্রসূনদার নাম নিয়ে নানা কথা বলেছে, খিল্লি করেছে। পাশে কেউ ছিল না, কিন্তু মা আমাদের সাহায্য করেছেন। একদিন সেই গল্পও বলব।
আর একটা কথা… কিছু লোক ভাবে আমি সব টাকা উপার্জন করি আর একাই খাই। কিন্তু আসল সত্যি তা নয়। বাস্তবতা একেবারেই আলাদা। আমি আর কিছু বলব না… যারা বোঝার, তারা নিজেরাই বুঝে নেবে।
আমরা শুধু ক্যামেরা অন করে লোক দেখানো দান করি না, আমরা সত্যিই মানুষকে সাহায্য করি—মায়ের আশীর্বাদে।
মায়ের আশীর্বাদ না থাকলে আমরা কামাখ্যার মতো জায়গায় গিয়ে তন্ত্রসাধনা করতে পারতাম না। সবই মায়ের লীলা…