Nevs Homoeo Care

Nevs Homoeo Care Classical & Constitutional Homoeopathic Treatment

আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum) হলো একটি বহুল ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। এটি মূলত সিলভার নাইট্রেট (Silver Nitra...
08/09/2025

আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম (Argentum Nitricum) হলো একটি বহুল ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। এটি মূলত সিলভার নাইট্রেট (Silver Nitrate) থেকে তৈরি হয় এবং বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
আর্জেন্টাম নাইট্রিকামের প্রধান ব্যবহার:
আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম বিশেষ করে এমন রোগীদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের মধ্যে উদ্বেগ, ভয়, এবং মানসিক চাপজনিত শারীরিক লক্ষণ দেখা যায়। এর প্রধান ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলি হলো:
* উদ্বেগ ও স্নায়বিক দুর্বলতা: এটি স্নায়ু দুর্বলতা, উদ্বেগ, অস্থিরতা, এবং আতঙ্ক বা ভীতির (phobias) জন্য খুব কার্যকর। বিশেষ করে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার (যেমন- পরীক্ষা, জনসমক্ষে বক্তৃতা, সাক্ষাৎকার, ইত্যাদি) আগে যে মানসিক চাপ ও শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন- পেটে অস্বস্তি, বুক ধড়পড় করা, ডায়রিয়া, ইত্যাদি, সেগুলোর চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
* হজমজনিত সমস্যা: এটি পেটের গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজম, অম্বল (heartburn) এবং স্নায়ুজনিত ডায়রিয়ার চিকিৎসায় সাহায্য করে।
* চোখের সমস্যা: এটি চোখ লাল হওয়া, চোখে চুলকানি, পানি পড়া এবং কনজাংটিভাইটিসের (conjunctivitis) মতো সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
* শ্বাসনালীর সমস্যা: গলা ব্যথা, স্বরভঙ্গ, শ্বাসকষ্ট এবং ঠাণ্ডা লাগার কারণে বুকে কফ জমাট বাঁধার মতো সমস্যার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হতে পারে।
* মাথাব্যথা: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
* হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কার্যকারিতা নির্ভর করে রোগীর সামগ্রিক লক্ষণ ও শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ওপর।
* কোনো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহারের আগে একজন যোগ্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তারা রোগীর লক্ষণ, শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ঔষধ ও মাত্রা নির্ধারণ করে থাকেন।
* হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাত্রা (Potency) বিভিন্ন রকম হয় (যেমন - 6CH, 30CH, 200CH ইত্যাদি)। আপনার জন্য কোন মাত্রাটি উপযুক্ত, তা শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকই বলতে পারবেন।
সতর্কতা:
* নিজের ইচ্ছামতো কোনো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।
* যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বা লক্ষণগুলি খারাপ হয়, তবে অবিলম্বে ঔষধ সেবন বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* হোমিওপ্যাথি একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য এটি প্রচলিত চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা, তা চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

16/04/2025

মেডোরিনাম নিয়ে আর একটি গল্প দেওয়া হলো :

সুমনা, বছর পঁচিশের এক তরুণী, বেশ কিছুদিন ধরেই অদ্ভুত কিছু সমস্যায় ভুগছিল। তার প্রধান সমস্যা ছিল ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট এবং বুকে চাপা লাগা অনুভূতি। রাতের বেলা এই সমস্যাগুলো আরও বাড়ত, দমবন্ধ লাগার মতো অবস্থা হত। সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে উঠত সে।
শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি সুমনার মনেও একটা অস্থিরতা কাজ করত। সবকিছুতেই যেন তার একটা তাড়া থাকত, কোনো কিছুতেই স্থির হতে পারত না। খুব দ্রুত কথা বলত, দ্রুত হাঁটত এবং সবকিছু চটজলদি শেষ করতে চাইত। মাঝে মাঝে তার মনে হত যেন দম ফেলারও সময় নেই।
একদিন সুমনার মা তাকে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। ডাক্তারবাবু খুব মনোযোগ দিয়ে সুমনার কথা শুনলেন। তার শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিক অস্থিরতা এবং তাড়াহুড়োর ভাবনার কথাও তিনি জানতে চাইলেন। সুমনার অতীত রোগের ইতিহাসও তিনি খুঁটিয়ে দেখলেন।
সুমনা জানালো ছোটবেলায় তার প্রায়ই টনসিলের সমস্যা হত এবং একবার মারাত্মক শ্বাসকষ্টের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছিল। তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হাঁপানি বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে।
ডাক্তারবাবু সুমনার লক্ষণগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে মেডোরিনাম নামক একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্বাচন করলেন। তিনি সুমনাকে ওষুধের শক্তি (পোটেন্সি) এবং খাওয়ার নিয়মাবলী বুঝিয়ে দিলেন এবং কিছুদিন পর আবার দেখা করতে বললেন।
কিছুদিন পর যখন সুমনা আবার ডাক্তারের কাছে এলো, তখন তার চেহারায় একটা স্পষ্ট পরিবর্তন দেখা গেল। সে জানালো তার শ্বাসকষ্ট অনেক কমেছে, রাতের বেলা দমবন্ধ লাগার অনুভূতিও আর নেই। তার অস্থিরতা এবং তাড়াহুড়োর ভাবটাও আগের থেকে অনেক শান্ত হয়েছে। এখন সে ধীরে-সুস্থে কাজ করতে পারে এবং কোনো কিছুতেই তার আর সেই অসহ্য তাড়া অনুভব হয় না।
সুমনা আরও জানালো যে আগে তার মিষ্টি ও ঝাল খাবারের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল, কিন্তু এখন সেই প্রবণতাও কমে গেছে। রাতের বেলা তার পায়ের তলায় যে জ্বালা করত, সেটাও এখন আর নেই।
ডাক্তারবাবু সুমনার উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেন এবং তাকে আরও কিছুদিন ওষুধটি চালিয়ে যেতে বললেন। ধীরে ধীরে সুমনা তার আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল। তার শ্বাসকষ্ট এবং মানসিক অস্থিরতা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এলো।
এই গল্পটি মেডোরিনাম নামক হোমিওপ্যাথিক ওষুধের একটি সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরে। তবে প্রতিটি রোগীর লক্ষণ এবং শারীরিক গঠন আলাদা হওয়ার কারণে, একই ওষুধ সকলের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
মনে রাখবেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি সামগ্রিক পদ্ধতি। এখানে শুধু শারীরিক লক্ষণ নয়, রোগীর মানসিক ও আবেগিক দিকগুলোও বিবেচনা করা হয়।

14/04/2025

মেডোরিনাম রোগী চিত্রের উপর একটি গল্প নিচে দেওয়া হলো :

শ্যামল নামের বছর পঁয়ত্রিশের যুবকটি চেহারায় বেশ রোগা এবং ফ্যাকাশে। তার চোখমুখে সবসময় একটা ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। আজ সে ডাঃ সেনের চেম্বারে এসেছে তার দীর্ঘদিনের কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা নিয়ে।
"আসুন, শ্যামলবাবু," ডাঃ সেন অভ্যর্থনা জানালেন। "আপনার কী অসুবিধা হচ্ছে বলুন তো?"
শ্যামল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "আসলে ডাক্তারবাবু, আমার মনে হয় আমার শরীরে কোনো স্থায়ী রোগ বাসা বেঁধেছে। ছোটবেলা থেকেই নানা রকম সমস্যা লেগেই আছে। কখনো সর্দি-কাশি, কখনো পেটের গন্ডগোল, আবার কখনো অসহ্য মাথাব্যথা। মনে হয় কোনো কিছুই আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে না।"
ডাঃ সেন মনোযোগ দিয়ে শ্যামলের কথা শুনছিলেন। "আপনার কি মনে হয় এই সমস্যাগুলোর কোনো বিশেষ ধরণ আছে? যেমন, কখন বাড়ে বা কমে?"
শ্যামল কিছুক্ষণ ভেবে বলল, "হ্যাঁ, একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি। আমার ঠান্ডা লাগার ধাতটা খুব বেশি। সামান্য আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আর একটা ব্যাপার হলো, আমার মিষ্টি খাবারের প্রতি খুব লোভ। সবসময় মনে হয় একটু মিষ্টি কিছু খাই।"
"ঘুম কেমন হয় আপনার?" ডাঃ সেনের পরবর্তী প্রশ্ন।
"ঘুমটা তেমন ভালো হয় না। রাতে অনেকক্ষণ জেগে থাকি, সহজে ঘুম আসতে চায় না। আর সকালে ঘুম থেকে উঠলেও মনে হয় যেন ঘুমাইনি। সবসময় একটা দুর্বলতা লেগেই থাকে," শ্যামল উত্তর দিল।
ডাঃ সেন এবার শ্যামলের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইলেন। শ্যামল জানালো তার বাবারও ছোটবেলা থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল।
শারীরিক পরীক্ষার পর ডাঃ সেন কিছু লক্ষণ বিশেষভাবে লক্ষ্য করলেন। শ্যামলের ত্বক বেশ রুক্ষ এবং তার শরীরে কিছু আঁচিলের মতো দেখা গেল। তার মধ্যে একটা অস্থিরতাও লক্ষ্য করা গেল, যেন সে এক জায়গায় স্থির থাকতে পারছে না।
সব তথ্য এবং লক্ষণ মিলিয়ে ডাঃ সেনের মেডোরিনামের কথা মনে হলো। এই ওষুধটি সাধারণত সেইসব রোগীদের জন্য প্রযোজ্য যাদের মধ্যে একটা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ইতিহাস থাকে, ঠান্ডা লাগার ধাত বেশি থাকে, মিষ্টি খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখা যায় এবং ঘুমের সমস্যা থাকে। এছাড়াও, বংশগতভাবে শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো অ্যালার্জির ইতিহাসও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ডাঃ সেন শ্যামলকে মেডোরিনামের একটি নির্দিষ্ট শক্তি এবং মাত্রায় ওষুধ দিলেন এবং কিছু নিয়মাবলী বুঝিয়ে দিলেন। তিনি শ্যামলকে ধৈর্য ধরতে বললেন কারণ এই ধরনের ওষুধ ধীরে ধীরে কাজ করে।
কয়েক সপ্তাহ পর শ্যামল আবার এলো। তার চেহারায় আগের সেই ক্লান্তিভাবটা অনেকটাই কমে গেছে।
"কেমন আছেন এখন, শ্যামলবাবু?" ডাঃ সেন আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
শ্যামল হাসিমুখে বলল, "আমি এখন অনেক ভালো আছি, ডাক্তারবাবু। ঠান্ডা লাগার প্রবণতাটা অনেক কমেছে। রাতে ঘুমও এখন আগের চেয়ে অনেক শান্তিতে হয়। আর মিষ্টি খাবারের সেই তীব্র আকাঙ্ক্ষাও আর তেমন নেই।"
ডাঃ সেন সন্তুষ্টির হাসি হাসলেন। মেডোরিনাম শ্যামলের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করেছে। শ্যামল বুঝতে পারলো, সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই গল্পটি একটি কাল্পনিক চিত্রায়ণ, এবং মেডোরিনাম বা অন্য কোনো হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

© Nevs Homoeo Care

12/04/2025

শ্যামলী দেবীর বয়স পঞ্চান্ন বছর। শান্ত, স্নিগ্ধ চেহারার এই মহিলাটি এসেছেন ডাক্তারের কাছে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে। তবে তার সমস্যাগুলোর থেকেও বেশি লক্ষণীয় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। শ্যামলী দেবীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো আঘাত বা ধাক্কা লাগার পরে তার শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা। সামান্য আঘাতেই তার শরীরে কালশিটে পড়ে যায়, পেশিতে ব্যথা হয় এবং মনে একটা চাপা ভয় বা অস্থিরতা কাজ করে।
শ্যামলী দেবী যখন ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করলেন, তখন তার চোখেমুখে একটা ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। তিনি ধীরে ধীরে চেয়ারে বসলেন এবং মৃদু স্বরে তার সমস্যার কথা বলতে শুরু করলেন। কিছুদিন আগে রান্নাঘরে কাজ করার সময় সামান্য হোঁচট খেয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর থেকেই তার কোমরে অসহ্য ব্যথা, সারা শরীরে একটা দুর্বলতা এবং রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না।
ডাক্তার যখন তার শরীরে আঘাতের চিহ্নের কথা জিজ্ঞাসা করলেন, তখন শ্যামলী দেবী একটু ইতস্তত বোধ করলেন। তিনি বললেন, "হ্যাঁ ডাক্তারবাবু, পড়ে তো গিয়েছিলাম, তবে তেমন কিছু লাগেনি।" তার এই কথা বলার ধরণেই বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি হয়তো আঘাতের গুরুত্বটা লুকাতে চাইছেন অথবা নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করছেন।
শারীরিক পরীক্ষার সময় দেখা গেল শ্যামলী দেবীর কোমরের কাছে হালকা কালশিটে দাগ রয়েছে। তিনি সামান্য স্পর্শেই ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছিলেন। ডাক্তারবাবু যখন তার মানসিক অবস্থার কথা জানতে চাইলেন, তখন শ্যামলী দেবী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "মনে একটা অস্থিরতা লেগেই আছে ডাক্তারবাবু। সামান্য শব্দেও চমকে উঠছি, রাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে।"
শ্যামলী দেবীর এই লক্ষণগুলো আর্নিকা মন্টানার একটি সুস্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। আর্নিকা মন্টানা সেইসব রোগীদের জন্য প্রযোজ্য যাদের সামান্য আঘাতেই শরীরে কালশিটে পড়ে, পেশিতে ব্যথা হয় এবং একটি চাপা অস্থিরতা বা ভয় কাজ করে। তারা সাধারণত তাদের অসুস্থতার কথা সহজে প্রকাশ করতে চান না এবং মনে করেন তাদের তেমন কিছুই হয়নি।
শ্যামলী দেবীও তেমনই। তার শান্ত ও চাপা স্বভাবের মধ্যে একটি দুর্বল মন লুকিয়ে আছে, যা সামান্য আঘাতেই কাবু হয়ে পড়ে। তিনি হয়তো ভাবছেন তার সমস্যাগুলো তেমন গুরুতর নয়, তাই ডাক্তারের কাছে আসতেও কিছুটা দ্বিধা বোধ করছিলেন। কিন্তু তার শারীরিক ও মানসিক লক্ষণগুলো স্পষ্টতই নির্দেশ করছে যে তার আর্নিকা মন্টানার মতো ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
ডাক্তারবাবু শ্যামলী দেবীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং তার লক্ষণগুলো বিবেচনা করে আর্নিকা মন্টানা খাওয়ার পরামর্শ দিলেন। তিনি শ্যামলী দেবীকে আশ্বস্ত করলেন এবং সঠিক বিশ্রাম নেওয়ার কথা বললেন। শ্যামলী দেবী ডাক্তারের কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হলেন এবং ধীরে ধীরে চেম্বার থেকে বেরিয়ে গেলেন। তার শান্ত মুখের উপর যেন এক ক্ষীণ আশার আলো দেখা গেল – হয়তো এই ওষুধের মাধ্যমেই তিনি তার শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আর্নিকার বিশেষ বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল: * আঘাত ও ট্রমা: আর্নিকা মূলত আঘাত, থেঁতলে যাওয়া, মোচ...
12/04/2025

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আর্নিকার বিশেষ বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল:

* আঘাত ও ট্রমা: আর্নিকা মূলত আঘাত, থেঁতলে যাওয়া, মোচড়, পেশী এবং হাড়ের আঘাতের জন্য একটি প্রধান ওষুধ। এটি শল্য চিকিৎসার পরেও ব্যবহার করা হয়।
* ব্যথা ও বেদনা: শরীরে ব্যথা, বিশেষ করে মনে হয় যেন মারধর করা হয়েছে বা থেঁতলে গেছে। স্পর্শে অসহ্য ব্যথা এবং ব্যথার স্থানে কালশিটে দাগ দেখা যেতে পারে।
* কালশিটে: আঘাতের ফলে বা এমনিতেই কালশিটে পড়ার প্রবণতা থাকলে এটি উপযোগী।
* ফোলা: আঘাতের স্থানে বা শরীরের অন্য কোনো অংশে প্রদাহ ও ফোলা থাকলে আর্নিকা ব্যবহার করা হয়।

* মানসিক লক্ষণ:

* রোগী মনে করে সে সম্পূর্ণ সুস্থ, যদিও সে অসুস্থ থাকে।
* কাউকে কাছে আসতে বা স্পর্শ করতে দিতে চায় না।
* বিরক্ত ও খিটখিটে মেজাজ।
* মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার প্রবণতা।

* শারীরিক লক্ষণ:

* মনে হয় যেন বিছানা খুব শক্ত, তাই রোগী বারবার পাশ ফেরে।
* মাথার দিকে গরম এবং শরীরের নিচের দিকে ঠান্ডা অনুভব হতে পারে।
* নাক, মুখ বা অন্য কোনো অঙ্গ থেকে রক্তপাত হতে পারে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

* সাধারণ বৈশিষ্ট্য:

* আঘাত বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পরে অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
* বিশ্রামে কিছুটা উপশম বোধ হয়।

দয়া করে মনে রাখবেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা আপনার নির্দিষ্ট লক্ষণ ও শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সঠিক ওষুধ ও ডোজ নির্ধারণ করতে পারবেন।

Address

Kolkata

Opening Hours

Monday 10am - 1pm
6pm - 9pm
Tuesday 10am - 1pm
6pm - 9pm
Wednesday 10am - 1pm
6pm - 9pm
Thursday 10am - 1pm
6pm - 9pm
Friday 10am - 1pm
6pm - 9pm
Saturday 10am - 1pm
6pm - 9pm
Sunday 10am - 1pm
6pm - 9pm

Telephone

+918942825031

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nevs Homoeo Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nevs Homoeo Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram