Shastri Shri Hrishikesh

Shastri Shri Hrishikesh All Products related to Astrology Ecosystem and Angel are Supplied according to Order.

কুঞ্জিকাস্তোত্রম্*শিব উবাচ,শৃণু দেবি প্রবক্ষ্যামি কুঞ্জিকাস্তোত্র মুত্তমম্।যেন মন্ত্রপ্রভাবেন চণ্ডীজপশুভং ভবেৎ।। ১কবচং ন...
12/11/2024

কুঞ্জিকাস্তোত্রম্*
শিব উবাচ,
শৃণু দেবি প্রবক্ষ্যামি কুঞ্জিকাস্তোত্র মুত্তমম্।
যেন মন্ত্রপ্রভাবেন চণ্ডীজপশুভং ভবেৎ।। ১
কবচং নার্গলাস্তোত্রং কীলকং ন রহস্যকম্।
ন সূক্তং নাপি ধ্যানং চ ন ন্যাসং ন চ বাহর্চনম্।। ২
কুঞ্জিকাপাঠমাত্রেণ দুর্গাপাঠফলং লভেৎ।
অতি গুহ্যতরং দেবি দেবানামপি দুর্লভম্।। ৩
গোপনীয়ং প্রযত্নেন স্বযোনিবচ্চ পার্বতি।
মারণং মোহনং বশ্যং স্তম্ভনোচ্চাটনা দিকম্।। ৪
পাঠমাত্রেণ সংসিদ্ধিং কুঞ্জিকাস্তোত্রমুত্তমম্।।
অথ মন্ত্রঃ-
ওঁ শ্রূং শ্রূং শ্রূং শং ফট্ ঐঁ হ্রীঁ ক্লীঁ জ্বলোজ্জ্বল-প্রজ্বল
হ্রীঁ হ্রীঁ ক্লীঁ স্রাবয়
স্রাবয় শাপং নাশয় নাশয় শ্রীঁ শ্রীঁ শ্রীঁ জূঁ সঃ আদয়ে স্বাহা ।।
নমস্তে রূদ্ররূপায়ৈ নমস্তে মধুমর্দিনি। নমস্তে কৈটভারি চ নমস্তেমহিষমর্দিনি।। ১
নমস্তে শুম্ভহন্ত্রী চ নিশুম্ভাসুরপ্রান্তনী।নমস্তে জাগ্রতে দেবি জপসিদ্ধিং কুরুষ্ব মে।। ২
ঐঁ কারীসৃষ্টিরূপায়ৈ হ্রীং কালী চ প্রপালিকা।
ক্লীঁ কালী কালরূপিণ্যৈ বীজরূপে নমোহস্তু তে।। ৩
চামুণ্ডা চণ্ডঘাতী চ যৈঁকারী বরদায়িনি।
বিচ্চেনে ভয়দা নিত্যং নমস্তে মন্ত্ররূপিণি।। ৪
ধাং ধীং ধূং ধূর্জটেঃ পত্নী বাং বীং বূং বাগীশ্বরী তথা।
ক্রাং ক্রীং ক্রূং কুঞ্জিকা দেবী শাং শীং শূং মে শুভং কুরু।।
হূং হূং হুংকাররূপায়ৈ জাং জীং জূং ভালনাদিনি।। ৫
ভ্রাং ভ্রীং ভ্রূং ভৈরবী ভদ্রে ভবান্যৈ তে নমো নমঃ।
ওঁ অং কং চং টং তং পং সাং বিদুরাং সাং বিদুরাং বিমর্দয় বিমর্দয় হং
ক্ষাং ক্ষীং স্ত্রীং জীবয় জীবয় ত্রোটয় ত্রোটয় জম্ভয় জম্ভয় দীপয় দীপয়
মোচয় মোচয় হূং ফট্ জাং বৌষট্ ঐঁ হ্রীঁ ক্লীঁ রঞ্জয় রঞ্জয় সংজয় সংজয় গুঞ্জয় গুঞ্জয় বন্ধয় বন্ধয় ভ্রাং ভ্রীং ভ্রূং
ভৈরবি ভদ্রে সকুঞ্চ সকুঞ্চ সঞ্চল সঞ্চল ত্রোটয় ত্রোটয় ম্লীঁ স্বাহা।।
পাং পীং পূং পার্বতী পূর্ণা খাং খীং খূং খেচরী তথা।
ম্লাং ম্লীং ম্লূং মূলবিস্তীর্ণকুঞ্জিকায়ৈ নমো নমঃ।।
সাং সীং সপ্তশতী দেব্যা মন্ত্রসিদ্ধিং কুরুষ্ব মে।
ইদং তু কুঞ্জিকাস্তোত্রং মন্ত্রজাগৃতিহেতবে।
অভক্তে ন চ দাতব্যং গোপিতং রক্ষ পার্বতি।।
বিহীনাং কুঞ্জিকাদেব্যা যস্তু সপ্তশতীং পঠেৎ।
ন তস্য জায়তে সিদ্ধির্হ্যরণ্যে রোদিতং যথা।।
ইতি রুদ্রযামলে গৌরীতন্ত্রে শিবপার্বতীসংবাদে কুঞ্জিকাস্তোত্রং সমাপ্তম্।

17/01/2023
মারক( অশুভ ফল দায়ক) রাহু দেবের প্রতিকার।১।চা পাতা দান করুন।২।ধূপকাঠি দান করুন।৩। মুদ্রা দান করুন।৪।বিদ্যুতের তার জল প্রব...
24/12/2022

মারক( অশুভ ফল দায়ক) রাহু দেবের প্রতিকার।
১।চা পাতা দান করুন।
২।ধূপকাঠি দান করুন।
৩। মুদ্রা দান করুন।
৪।বিদ্যুতের তার জল প্রবাহিত করুন।
৫।গোমেদ জলের প্রবাহিত করুন।
৬।সতনাজা( Satnaja) পিঁপড়াদের বা পাখিদের খেতে দিন।( সাত প্রকার খাদ্যশস্য একসাথে মিশিয়ে)
৭। কালো ডাল( Black Dal) দান করুন।
৮।কালো এবং সাদা কম্বল দান করুন।
৯।প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করুন।
১০। জেল খানাতে কয়দিদের সাহায্য করুন।
১১। অন্ধ ব্যক্তিদের সেবা করুন।
১২। শনিবার শনিদেবের মন্দিরের বাইরে গরীবদেরকে চা পাতা (১০০ গ্রাম), ১ প্যাকেট ধূপকাঠি দান করুন এবং দেওয়ার সময় রাহু মন্ত্র "ওঁ রাং রাহভে নমঃ" জপ করুন।
১৩। আপনার এলাকায় যদি কোনো নতুন মন্দির তৈরি বা পুরানো মন্দিরের নির্মান হয় তাহলে ওখানে অর্থ দান ও শারিরীক ভাবে শ্রম প্রদান করুন( সামর্থ্য অনুযায়ী)।
১৪।প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে বা ঘুমানোর আগে রাহু দেব বৈদিক বীজমন্ত্রের জপ করুন।
রাহু দেব বৈদিক বীজমন্ত্র -

"ওঁ রাং রাহভে নমঃ"
"Om Ram Rahave namah"

দ্রষ্টব্য: রাহু দেব যে কোনও উপায়ে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে খুশি হয় ।

এই উপায় যে কোনো শনিবার করতে হবে। উপায় করার আগে কোনো জ্যোতিষীকে দিয়ে জন্ম কোষ্ঠী বিচার করিয়ে নিবেন। ১৩ নাম্বার উপায় উপায় টা যদি জীবনে এক বার করেন তা হলে রাহুদেবের অনেক শুভ ফল পাবেন। এই উপায় আমি নিজে দুই বার করেছি। খুব ভালো ফল পিয়েছি।

উপরের উল্লেখিত দান করার বস্তু কোনো গরিব ব্যক্তিকে, অনাথাশ্রম বা বৃদ্ধাশ্রমে দান করুন।

ধন্যবাদ সবাইকে
🙏🙏🙏🙏🙏🙏

জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি হল 'সিদ্ধ কুঞ্জিকা' সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্র একটি অত্যন্ত অলৌকিক এবং শক্তিশালী স্তোত্র। যারা সম্প...
16/12/2022

জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি হল 'সিদ্ধ কুঞ্জিকা'

সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্র একটি অত্যন্ত অলৌকিক এবং শক্তিশালী স্তোত্র। যারা সম্পূর্ণ দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করতে পারে না, তারা কেবল কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করবে, তাহলে তারাও সমগ্র দুর্গা সপ্তশতীর ফল লাভ করবে। সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্র, যা জীবনের যেকোনো ধরনের অভাব, রোগ, দুঃখ, দুঃখ, দারিদ্র এবং শত্রুদের নাশ করে, নবরাত্রিতে বা শুভ সময়ে বা নিত্য পাঠ করতে হবে। কিন্তু এই স্তোত্র পাঠে কিছু সতর্কতা আছে, যেগুলো খেয়াল রাখা দরকার।

* মূল স্তোত্র পাঠ করার পদ্ধতি *

কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ যেকোনো মাসে শুক্ল পক্ষে মঙ্গলবার দিনে করা গেলেও নবরাত্রিতে তা বেশি কার্যকর। কুঞ্জিকা স্তোত্র সাধনাও আছে, কিন্তু এখানে আমরা এর সর্বজনীন পদ্ধতি বর্ণনা করছি। এটি যে কোনো নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন পাঠ করা হয়। তাই সাধকের উচিৎ সূর্যোদয়ের পূর্বে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে, স্নান সেরে প্রাত্যহিক কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে নিজের উপাসনালয় পরিষ্কার করে লাল রঙের আসনে বসতে হবে। আপনার সামনে একটি কাঠের চৌকি বা সিংহআসন এর উপর একটি লাল কাপড় বিছিয়ে তার উপর দেবী দুর্গার একটি মূর্তি বা ছবি রাখুন। সাধারণ ইবাদত করুন।

আপনার সুবিধামত তেল বা ঘি এর প্রদীপ জ্বালান।

আপনার সুবিধামত তেল বা ঘি এর প্রদীপ জ্বালান এবং দেবীকে হালুয়া বা মিষ্টির নৈবেদ্য নিবেদন করুন। এর পরে, আপনার ডান হাতে অক্ষত, ফুল এবং এক টাকার মুদ্রা রেখে নয় দিনে কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করার ব্রত নিন। এই জল মাটিতে রেখে পাঠ শুরু করুন। এই সংকল্প প্রথম দিনেই নিতে হবে। এরপর প্রতিদিন একই সময়ে আবৃত্তি করুন।

*কুঞ্জিকা স্তোত্রের উপকারিতা*

অর্থের বৃদ্ধি: যাদের সবসময় অর্থের অভাব হয়। ক্রমাগত আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় কাজে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠে লাভবান হবেন। অর্থ উপার্জনের নতুন পথ খুলে যায়। অর্থ সেভিং বাড়ে।

শত্রু মুক্তি: এই স্তোত্র শত্রুদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং মামলায় জয়লাভ করতে একটি অলৌকিক কাজ করে। নবরাত্রির পরেও যদি এটি নিয়মিত পাঠ করা হয়, তবে শত্রু জীবনে কখনও বাধা দেয় না। আদালতের মামলায় জয় আছে।

*রোগ উপশম:*

দুর্গা সপ্তশতীর সম্পূর্ণ পাঠ জীবন থেকে রোগকে নাশ করে তেমনি কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করলে শুধু কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, রোগের খরচ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

*ঋণ মুক্তির অবকাশ:*

যদি একজন ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়। ছোটখাটো প্রয়োজন মেটানোর জন্য যদি ঋণ নিতে হয় তাহলে নিয়মিত কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করলে ঋণ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

*সুখী দাম্পত্য জীবন:*

দাম্পত্য জীবনে সুখ ও শান্তির জন্য নিয়মিত কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করা উচিত। এটি আকর্ষণ প্রভাব বাড়ানোর জন্যও পাঠ করা হয়।

*এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন*

দেবী দুর্গার পূজা, আধ্যাত্মিক সাধনা এবং সিদ্ধির জন্য দেহ ও মনের পবিত্রতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধনার সময় বা নবরাত্রিতে ইন্দ্রিয় সংযম রাখা প্রয়োজন। ভুলেও খারাপ কাজ, খারাপ কথা ব্যবহার করবেন না। এটি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।

কুঞ্জিকা স্তোত্র অশুভ কামনা, হত্যা, উচ্চবাচ্য এবং কারো ক্ষতি করার জন্য পাঠ করা উচিত নয়। এটি পাঠকের উপর নিজেই বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।

সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্রের মহিমা

ভগবান শঙ্কর বলেছেন যে যিনি সিদ্ধকুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করেন তার দেবী কবচ, অর্গল, কীলক, রহস্য, সূক্ত, ধ্যান, ন্যাস এমনকি অর্চনের প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র এটি পাঠ করলেই দুর্গাপাঠের ফল পাওয়া যায়।

*কেন এটা সিদ্ধ ও প্রমাণিত*

এর নিছক পাঠ করার মাধ্যমে মারান, মোহন, বশিকরণ, স্তম্ভন ও উৎচাটন ইত্যাদির উদ্দেশ্য একই সাথে পূর্ণ হয়। এতে বিজ মন্ত্র ও শক্তি সমাহিত রয়েছে।

এত পর্যন্ত জ্ঞান আপনাকে সকলেই দিয়ে দেবে এমন কি অনেক ইউটিউব চ্যানেল এই পাবেন এবার আসি কিছু রহস্য ভেদ করতে

ভিন্ন ভিন্ন তন্ত্রের ভেদে সিদ্ধ কুঞ্জিকা ও প্রায় 3 রকমের হয় এবং এতে মন্ত্র ও স্তোত্র এর কিছু অংশ পরবর্তীত হয়ে যায় এছাড়া এই কুঁজিকা এর প্রয়োগ বিধি ও কোথাও সঠিক ভাবে দেওয়া নেই , যদিও বা শিব বলেছেন যে মারণে মোহন ইত্যাদি তে এর প্রয়োগ এর কথা, তবে সব ক্ষেত্রে একে প্রয়োগ করতে অনেক সিদ্ধ সাধকেরা মানা করেন ।

এখন আমি সিদ্ধ কুঞ্জিকা এর প্রয়োগ সমন্ধে বলব -

*কিভাবে করবেন*

সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্র অত্যন্ত যত্ন সহকারে করা উচিত। প্রতিদিনের উপাসনায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে আপনি যদি এটি একটি সাধনা হিসাবে বা কোনও ইচ্ছার জন্য করছেন, তবে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

1. সংকল্প: সিদ্ধ কুঞ্জীকা পাঠ করার আগে, অক্ষত, ফুল এবং জল হাতে নিয়ে একটি সংকল্প করুন। আপনার মনের ইচ্ছাটা দেবী মাকে বলুন।

2. একবারে যতগুলি পাঠ আপনি পারেন (3, 5. 7. 11) সমাধান করুন। সাধনার সময় পাঠ সংখ্যা একই রাখুন। কখনো এক রাখো না কখনো দুই কখনো তিন না।

3. সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্রের সাধনার সময় মাটিতে ঘুমান। ব্রহ্মচর্য পালন করুন।

4. প্রতিদিন ডালিম প্রদান করুন। দেবী ভগবতীকে লাল ফুল নিবেদন করুন।

5. সিদ্ধ কুঞ্জিকা স্তোত্রে দশ মহাবিদ্যা আছে, নয়টি দেবীর স্বরূপের পূজা করা হয় এই স্তোত্র পাঠ করলে ।

কোন ইচ্ছার জন্য কত পাঠ করতে হবে

1. জ্ঞান অর্জনের জন্য....পাঁচ বার পাঠ ( এবং অক্ষত নিন এবং এটিকে মাথার উপরে তিনবার ঘুরিয়ে বইয়ে রাখুন)

2. খ্যাতি এবং জশের জন্য...নয় বার পাঠ করুন ও দেবী কে চরানো ফুল নিজের কাছে রাখুন

3. টাকা পেতে .... 9 বারপাঠ (আর সাদা তি দিয়ে হোম)

4. মোকদ্দমা থেকে পরিত্রাণ পেতে... সাত বার পাঠ (পাঠের পরে একটি লেবু কাটুন। মনে রাখবেন যে কেবল দুটি অংশ বিভক্ত করবেন , এগুলি বাইরে বিভিন্ন দিকে ফেলে দিন)

5. ঋণ থেকে মুক্তি পেতে .... সাতটি পাঠ (হোম এ 21টি আহুতি যবের দেওয়ার সময়। যে টাকা দিতে চায় বা নিতে চায় তার ধ্যান করুন)

6. ঘরের সুখ ও শান্তির জন্য...তিনটি পাঠ (দেবীকে মিষ্টি পান নিবেদন করুন)

7. স্বাস্থ্যের জন্য...তিনটি পাঠ (দেবীকে লেবু নিবেদন করুন এবং তারপর নিজে গ্রহন করুন)

8. শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য..., 3, 7 বা 11 পাঠ (নিত্য পাঠ করলে মুক্তি পাওয়া যাবে)

9. কর্মসংস্থানের জন্য...3, 5, 7 এবং 11 (ঐচ্ছিক) (একটি সুপারি দিন এবং এটি আপনার কাছে রাখুন)

10. সর্বাবধা শান্তি- তিনটি পাঠ (আগুনে তিন জোড়া লবঙ্গ নিবেদন করুন বা দেবীর সামনে তিন জোড়া লবঙ্গ রাখুন এবং তারপরে সেগুলো তুলে খাবার বা চায়ে ব্যবহার করুন।

যেহেতু সিদ্ধ কুঞ্জিকা খুবই গোপনীয় স্তোত্র তাই মূল স্তোত্র ত এখানে ব্যক্ত করলাম না আপনারা চাইলে খুঁজে নিতে পারেন বা আমার থেকে ফ্রী তে dm করে নিতে পারেন । এক্ষেত্রে বলা বাহুল্য সংসারী ব্যাক্তরা রুদ্রয়ামাল তন্ত্র তে বর্ণিত সিদ্ধ কুঁজীকা ই করবে , শুধুমাত্র দীক্ষিত ব্যাক্তি রাই করবেন ।

 #আশ্বিন_মাসের_শেষদিন_ও_কার্তিক_মাসের_প্রথম_দিন_ঘিরে_বৃহত্তর_চট্টগ্রাম_অঞ্চলে_প্রচলিত_আছে_এমন_পার্বনের, যার নাম জলবিষুব ...
19/10/2022

#আশ্বিন_মাসের_শেষদিন_ও_কার্তিক_মাসের_প্রথম_দিন_ঘিরে_বৃহত্তর_চট্টগ্রাম_অঞ্চলে_প্রচলিত_আছে_এমন_পার্বনের, যার নাম জলবিষুব সংক্রান্তি। এই পার্বন উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করেন অশ্বিনী কুমারের ব্রত। এই ব্রত ‘ব্রতের ভাতের পূজা’ নামেও পরিচিত।

#অশ্বিনী_কুমার_ব্রত_পূজো_চলিত_বাংলায়_যাকে_আমরা_বলে_থাকি_ব্রতের_ভাত”। আশ্বিন মাসের শেষ দিন আর কার্তিক মাসের প্রথম দিন, এই দুদিন মিলিয়ে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। আজ তাই বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি বহুল প্রচলিত এবং মজার একটি দিন।

যা আমাদের কাছে ব্রতের পুজায় ব্রতের ভাত খাওয়ার দিন তথা ‘অশ্বিনী কুমার ব্রত’ নামে পরিচিত। মূলত ঘরের মহিলারা এই পূজোটি করে থাকেন সন্তান, স্বামী ও পরিবারের বাকী সদস্যদের দীর্ঘায়ু, সুস্হজীবন ও মঙ্গল কামনায়। ব্রতের ভাত,কলা আর নারকেলের পুর দিয়ে অদ্ভুত এক কম্বিনেশন যা ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলেই পছন্দ করে থাকেন।

#নামকরন_অশ্বিনী (অশ্ব রূপিণী সূর্যপত্নী সংজ্ঞা) এবং তাঁর কুমার (পুত্র)। এই অর্থে অশ্বিনীকুমার।

#স্বর্গের_চিকিৎসক। এঁর পিতার নাম সূর্য ও মাতার নাম সংজ্ঞা। সংজ্ঞা সূর্যের অসহ্য তেজ সহ্য করতে না পেরে, সূর্যকে দেখলে চোখ নামিয়ে ফেলতেন। এই জন্য সূর্য ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেন যে, সংজ্ঞা তাঁর চক্ষু সংযমন করার জন্য প্রজাদের সংযমনকারী যম-কে প্রসব করবেন।

এরপর এই অভিশাপের সূত্র সংজ্ঞা মৃত্যু দেবতা যমকে প্রসব করেন। এরপর তিনি অত্যন্ত ভীতা হয়ে চপলভাবে সূর্যের দিকে দৃষ্টিপাত করতে লাগলেন। তাঁর এই চপল চক্ষু দেখে সূর্য বললেন যে, তিনি চঞ্চলস্বভাবা একটি নদী প্রসব করার অভিশাপ দেন। এই অভিশাপের সূত্রে সংজ্ঞা, যমী নামক কন্যার জন্ম দেন।

এই কন্যা যমুনা নামে প্রবাহিত হয়। এই কারণে যমী’কে অনেক সময় যমুনা বলা হয়। যম ও যমী (যমুনা) জন্মের পর, স্বামীর রূপ ও ক্রোধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, ইনি নিজের অনুরূপ ছায়া নামক এক নারীকে সৃষ্টি করেন। এরপর সূর্য ও নিজের পুত্র-কন্যার পরিচর্যার ভার ছায়ার উপর অর্পণ করে, পিতৃগৃহে যান। কিন্তু সংজ্ঞার পিতা বিশ্বকর্মা অসন্তুষ্ট হয়ে কন্যাকে সূর্যের কাছে ফিরে যেতে বলেন।

এরপর ইনি স্বামীর কাছে না গিয়ে উত্তর কুরুবর্ষে ঘোটকীর রূপ ধারণ করে ভ্রমণ করতে থাকেন। ছায়া নিজের সন্তানদের মত সংজ্ঞার সন্তানদের প্রতিপালন করতেন না। এতে যম একদিন ক্রুদ্ধ হয়ে ছায়াকে পদাঘাত করতে উদ্যত হয়েও পরমুহূর্তেই যম ছায়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু ছায়া ক্ষমা না করে যমকে অভিশাপ দিলেন যে, তাঁর পা খসে যাবে।

যম পিতার কাছে গিয়ে বিমাতার এই ব্যবহারের কথা বলেন। সুর্য নিজ পুত্র যমকে অভিশাপ থেকে মুক্ত না করে বলেন যে, তাঁর পায়ের মাংস নিয়ে কৃমিরা মাটিতে প্রবেশ করবে। এরপর যম, সংজ্ঞা যে তাঁর আপন মা নয়― সে কথা সূর্যকে জানালেন। সমস্ত বিবরণ গোপন রেখে ছলনা করবার জন্য সূর্য ছায়াকে অভিশাপ দিতে উদ্যত হলে, ছায়া সমস্ত কথা স্বীকার করে, সংজ্ঞার পিতৃগৃহে গমনের সমস্ত সংবাদ সূর্যকে বলে দেন।

এরপর সূর্য বিশ্বকর্মা’র কাছে গিয়ে, তাঁর স্ত্রীর (সংজ্ঞা) গৃহত্যাগের কারণ জানতে পারেন। এরপর সূর্য সমাধিস্থ হয়ে সংজ্ঞার অবস্থান এবং অশ্বীরূপ সম্পর্কে জানতে পারলেন। এরপর সূর্য বিশ্বকর্মা’র কাছে গিয়ে নিজের তেজ কমিয়ে অশ্বরূপ ধারণ করে ঘোটকীরূপিণী সংজ্ঞার সাথে মিলিত হলেন। এই মিলনের ফলে প্রথমে যুগল দেবতা অশ্বিনীকুমারদ্বয় ও পরে রেবন্তের জন্ম হয়। ―মার্কেণ্ডেয় পুরাণ, বৈবস্বত ও সাবর্ণির উপখ্যান।

এই মিলনের ফলে প্রথমে যুগল দেবতা অশ্বিনীকুমারদ্বয় ও পরে রেবন্তের জন্ম হয়। অশ্বিনী কুমারদ্বয় নামে খ্যাত পরবর্তী সময়ে এরা চিকিৎসাবিদ্যায় সুপণ্ডিত হয়ে উঠলে– স্বর্গবৈদ্য উপাধিতে ভূষিত হন। চিকিৎসা বিষয়ক এদের রচিত গ্রন্থের নাম হলো চিকিৎসা-সার-তত্ত্ব।

#অশ্বিনী_কুমারদ্বয় হলেন- নাসত‍্য ও দস্র। ঋগ্বেদ এবং সংস্কৃত সাহিত‍্যেও অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের নাম এসেছে। মহাভারতের আদিপর্বের পৌষ‍্যপর্বাধ‍্যায়ে উপমন‍্যোপাখ‍্যানে দেব-চিকিৎসক হিসাবে তাদের ভূমিকার কথা জানা যায়। আশ্বিন সংক্রান্তির রাতে সারারাত জেগে বিশেষ খাবার তৈরি করেন বাড়ির নারীরা। এর মধ্যে অন্যতম গুড়মিশ্রিত নারিকেল।

কার্তিকের সকালে সেই নারিকেল ও বাংলা কলা দিয়ে পূজায় নিবেদন করা পান্তা ভাত খাওয়া হয়। কার্তিক একসময় ছিল অভাবের মাস। সেই মাসের প্রথম দিনের সকালে সন্তানকে ভালোমন্দ খাইয়ে মায়েরা আশা করতেন- ‘পুরো বছরটা ভালো যাবে, সন্তান থাকবে দুধে ভাতে। ভক্তি সহকারে ব্রতের ভাত খাওয়ার ফলে রোগমুক্তি হয়।

এই পূজাতে বিভিন্ন অঞ্চলে এই সময়টাতে ১৩/২১ বেজোড় সংখ্যার চাল-ডাল, শাপলার ডগা, কাচা কলা, পেঁপে ও নানান সবজি মিলিয়ে রান্না করা হয়। মোমবাতি বা কুপির আলোকশিখার ওপর কলাপাতা রেখে দেওয়া হয়। সকালে কলাপাতায় জমে থাকা কালি ছোটদের কপালে টিপ আকারে লাগিয়ে দেওয়া হতো, যেন কারও খারাপ দৃষ্টি না পড়ে। কালক্রমে এসব সংস্কৃতি এখন বিলুপ্তির পথে।

ূল_কাহিনী_হল_যে_বর_চাই_সেই_বর_কেন_পাই_?

ঘোটকী রূপিণী সংজ্ঞার সাথে মিলনের পর উভয় পুনরায় আপন রুপে ফিরে আসে তখন গর্ভস্থায় ঘোটক রুপী মিলনের যে সন্তান তা অবশ্যই ঘোটক রুপে হবে , তাই শংকিত হয়ে দিকবেদিক ছুটছে সংজ্ঞা। অবশেষে বিশ্বকর্মা বলল এর এক মাত্র উপায় বলতে পারবেন মহাদেব । পুত্রী তুমি মহাদেবের নিকট গমন কর।

সংজ্ঞা মহাদেবের নিকট গিয়ে সমস্ত বিবরণ বললে , মহাদেব বলেন এর উপায় আমার জানা নেই কারন আমি পুরুষ , নারী সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য তুমি বরং তোমার মাতা পাবর্তীর নিকট যাও। সংজ্ঞা পাবর্তীর নিকট গিয়ে সবিষয়ে বললে পাবর্তী এক মুষ্টি চাউল প্রদান করে বলল এই অন্ন রন্ধন করবে আশ্বিন মাসের শেষ তারিখে পূর্ব রাত্রে শেষ দিবস রেখে ভক্তি পূর্বক মহাদেবের আচর্না করবে এবং কার্ত্তিক মাসের ১ম দিবসে মনে মনে তোমার চাওয়া সংকল্পক করে ভক্ষণ করবে। তাহলে তোমার মনস্কামনা পূর্ণ হবে। টিক তাই করল দেবী সংজ্ঞা এবং মহাদেব ও মাতা পার্বতীর আর্শিবাদে সূর্য্য ও সংজ্ঞা মানুষ আপন রুপী পুত্র দ্বয়ের পিতা মাতা হন।
্য_বলা_হয়_যে_বর_মাগে_সেই_বর_পাই।

গুরুওঁ অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শল...
13/07/2022

গুরু

ওঁ অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।

গুরু পূর্ণিমা ( गुरु पूर्णिमा ) :-

হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহ্য মতে পালিত একটি উৎসব, যাতে "গুরু পূজা" সম্পন্ন করা হয়। 'গুরু' শব্দটি 'গু' এবং 'রু' এই দুটি সংস্কৃত শব্দ দ্বারা গঠিত; 'গু' শব্দের অর্থ "অন্ধকার" / "অজ্ঞতা" এবং 'রু' শব্দের অর্থ "যা অন্ধকারকে দূলীভূত করে"। অর্থ্যাৎ, 'গুরু' শব্দটি দ্বারা এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয় যিনি অন্ধকার দূরীভূত করেন। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই দিন 'মহাভারত' রচয়িতা মহির্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন মুণি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে; ফলে এই দিনটিকে কখনো
কখনো 'ব্যাস পূর্ণিমা'-ও বলা হয় ।

অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে গুরু কে ?
গুরুকরণ করার প্রয়োজনীয়তাই বা কি ?
গুরু ছাড়া কি সেই উদ্দেশ্য সফল হয়না যা গুরু থাকলে হয় ? ইত্যাদি।

আমি এ বিষয় কিছু সহজ উদাহরন দিয়ে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। শুরুতেই বলে রাখি যারা আমার লেখা পরেছেন জানেন। কিন্তু যারা নতুন পরছেন
তাদের উদ্দেশ্যে বলি যে আমি বিরাট জ্ঞানী বা যোগী সাধকগনের জন্যে লিখিনা। কারন আমি নিজে তা নই। আর আমার তাদের ন্যায় অপার জ্ঞান ও নেই। আমি লিখি জনসাধারনের জন্যে। যারা সেই অর্থে আধ্যাত্মিক জগতের রসাস্বাদন করতে পারেননি। সাধক যোগী পন্ডিতগণতো সেই রস পেয়েইছেন। আমি আর তাদের কি জানাব। বরং আমারি জানা বাকি আছে। আমিও জ্ঞানের সন্ধানী। সত্যজ্ঞানসন্ধানী। কিন্তু আমি সাধারন মানুষদের কাছে সরল আলোচনার মাধ্যমে তাদেরও এই সুন্দর জগতটির প্রতি একটু আকর্ষন জন্মে তুলতে সহায়তা করতে চাই। কারন আমি নিজে জানি যে এই জগত সত্যের জগত। আর সত্যকে জানা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। তাই যারা আধ্যত্মীক বইগুলিকে ভাষা উদ্ধারের অসুবিধায় দূরে সরিয়ে রাখে, না বুঝে বলে এই জগত বয়স্কদের জন্যে তাদের বোঝাতে চাই তা সত্য নয়। সত্যটাকে দেখুন। কারন সত্যই শিব। আর শিবই সুন্দর। সত্যম শিবম সুন্দরম।

ছাত্রাবস্থায় আমাদের শিক্ষকের প্রয়োজন হয়।
শিক্ষক কে ?

জিনি সেই বিষয় আমার অধিক পড়াশোনা করেছেন এবং যাঁর অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে অধিক। আমি তখন ছাত্র। তিনি শিক্ষক। এই শিক্ষক সেক্ষেত্রে আমার গুরু।
শিক্ষাগুরু।

এই শিক্ষা কিসের ?
সেই বিষয়ের।

ধরি আমি অঙ্কের শিক্ষক রাখলাম। তিনি অঙ্কটা অন্তত আমার চেয়ে বেশি জানেন। তাই তিনি সেখাতে পারছেন আর আমি শিখতে যাচ্ছি তার কাছে। মানে এই গুরু বিশেষ কোন বিষয় শেখাচ্ছেন। ঠিক তেমনি যে শিক্ষক আমাদের আধ্যাত্ম জগতের শিক্ষা দেন, যিনি আমাদের চেয়ে সেই শিক্ষায় অনেক বেশি জ্ঞানী, তিনিই গুরু। বিষয় আধ্যাত্মীকতা।

তাহলে প্রশ্ন হল, সাধারন বিষয়গুলি যা স্কুলে পড়ান হয়েথাকে সেগুলির শিক্ষক যেমন প্রচুর আছে,
এই শিক্ষক অর্থাৎ গুরু সেই তুলনায় কম কেন ?
আর সেই শিক্ষা কি এইসব বিষয়গুলির থেকে বেশি কঠিন ?

উত্তর হল ধরি যেকোন একটি বিষয় যেমন ইংরাজী। এখন এই বিষয়টির ওপর যদি আপনাকে মাস্টার ডিগ্রি করতে হয় আপনাকে কত বছরের অধ্যাবসায় এর পেছনে খরচ করতে হবে ভেবে দেখুন তো ?
২ বছর ?
না।
৫ বছর ?
তাও না।
কারন আপনি শুধু স্নাতক এবং মাস্টার এই দুটির
হিসাব করলে হবেনা।কারন তার আগে আপনি যদি মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশটা না করতেন তাহলে এগুলি সম্ভব হত না।তার আগের ক্লাসগুলির ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই। তারমানে আপনি যদি ক্লাস ১ থেকে ধরেন তাহলে ১৭বছর লাগল আপনার এই ডিগ্রী পেতে। আর এই বছরগুলিতে যদি শুধু ইংরাজী শিক্ষকের কথাই ভাবেন তাহলে ভেবে বলুনতো কজন শিক্ষক শিখিয়েছে ইংরাজি আপনাকে ?
হয়েতো এখন গুনে সাথে সাথে বলতেও পারবেন না।

তাহলে ভেবে দেখুন যে একটি বিষয়,
যা একটি বিশেষ ভাষা এবং যা মানুষেরই সৃষ্টি তা শিখতেই যদি আপনাকে এতগুলো বছর দিতে
হয়, এতজন শিক্ষকের সম্মুখিন হতে হয় তাহলে সেই জ্ঞান, যা সয়ং পরমাত্মার জ্ঞান, যা সাধারন মানুষের ধারনারও বাইরে সেই জ্ঞান লাভ করে যিনি গুরু
হয়েছেন তিনি কতটা শিক্ষিত।

ভেবে দেখুন সেই জ্ঞান শিক্ষা পেতে কত বছর
লাগতে পারে ? হয়েত এক জীবনেও সেই জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। যে বিষয়টি এই বিশ্বব্রম্ভান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করছে তা জানতে কতবছর লাগতে পারে ?
ভেবে দেখুন।

আর এবিষয়টি নিয়ে যদি জানতে চান তাহলে কোন শিক্ষক ছাড়া শিখতে পারবেন তা কি সম্ভব ?

আরেকটি উদাহরন দিচ্ছি। ধরুন আপনাকে কোন একটি স্থানের কোন এক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে। ধরুন তার বাড়ি আপনার চেনা এলাকাতেই। তাহলে তাকে খুঁজে বের করতে আপনাকে বেশি বেগও পেতে হবেনা। হয়েতো পথে কাউকে জিজ্ঞাসানা করেই আপনি তাকে খুজে বের করতে সক্ষম হলেন। এবার ভেবে দেখুন সেই বাড়ি অন্য কোন লোকালয়। আপনাকে ট্রেনে বাসে সেই স্থানে পৌঁছে তাকে খুঁজতে হবে।

আপনি তখন ট্রেন বা বাস থেকে নেমে কাউকে সেই স্থানের ঠিকানা জানতে চাইলেন। মানে আপনি যখন একটু দূরে গেলেন যা আপনার পরিচিতির বাইরে তখন আপনি সেই স্থান সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের সল্পতার কারনে একজন স্থানীয়ের সাহায্য নিলেন। যার সাহায্য নিলেন সে সেই স্থান সম্পর্কে অবগত হলে আপনাকে সেই স্থানের নির্দেশ দেখিয়ে দিল। আপনিও পৌঁছোলেন।

এভাবে যদি আপনাকে দূর দেশে যেতে হলে তখন দেখবেন পথে পথে অনেকক্ষেত্রেই আপনার অজানার কারনে আপনাকে অনেকেরই সাহায্য নিতে হচ্ছে। কোথায় যাব, কোথা দিয়ে যাব, কোন বাস বা ট্রেন ধরব ইত্যাদি ইত্যাদি। জ্ঞানের মানের গন্ডী কমতে থাকলেই সাহায্যের প্রয়োজনও বেরে যায়।আবার উলটো দিকদিয়ে ভাবলে আপনি যার সাহায্যপ্রার্থী তাকেও কিন্তু সেই বিশয় অবগত থাকতে হবে।তবেই সে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। যাত্রার দুরত্ব যত বৃদ্ধি পাবে ততই এই সাহায্যের প্রয়োজন বারবে।

এবার ভাবুন, যে স্থানটি এই পৃথিবিরই মধ্যে রয়েছে আপনার থেকে কিছুটা দুরেই সেইখানে যেতেই যদি আপনার সাহায্য লাগে জানার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, তাহলে যে স্থান এসবের উর্দ্ধে, সেখানে যেতে আপনি কিভাবে ভাবছেন কারও সাহায্য ছাড়াই পৌঁছোতে পারবেন?

সেই পথের আপনি স্বরুপ বা অবস্থান কিছুই
যানেন না। কোথাদিয়ে কিভাবে যাবেন তাও ঠিক জানা নেই। তাহোলে ?

এই স্থলে আপনাকে সেই মানুষটিই সাহায্য করতে পারেন যিনি সেই রাস্তা সম্পর্কে অবগত। আর তা বুঝতেই পারছেন যেকোন মানুষেরই চেনার কথা নয়। কারন সাধারন জ্ঞানে তা জানার কথাও নয়, কারন তার জন্যে লাগে বিশেষ শিক্ষা, উচ্চস্তরের অধ্যাবশায় ও অনুশীলন। আর সেই শিক্ষা দিতে পারেন, আপনাকে সেই পথের সন্ধান যিনি বলতে পারেন, সেই স্থান সম্পর্কে যিনি অবগত তিনিই হলেন গুরু। আশা করি
গুরুর আবশ্যকতা সম্পর্কিত প্রশ্নটি কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারবে।

গুরু কে জান ?
ব্রম্মই গুরু।

তবে মানুষকে আমরা গুরু বলে মানি কেন ?

ধর পথ দিয়ে তুমি যাচ্ছ হঠাৎ গর্তে পড়ে গেলে, যাকেই দেখতে পাচ্ছ তাকেই বলছ তোমাকে তুলে দিতে , কেউ তোমাকে তুলছে না ।
এমন সময় একজন এসে বলল –
আমি তোমাকে তুলে দিব কিন্তু আমাকে বাপ্ ডাকতে হবে। তুমি বললে সে কি ?

আমার যে একজন বাপ্ আছে । এই পথের শেষটায় তার বাস , তিনি থাকতে তোমাকে বাপ্ ডাকব কেন ?

সেই লোক বললেন - ওসব মানি না ,
আগে বাপ্ ডাক পরে তুলব ।

অগত্যা তুমি বাপ ডাকলে । তখন লোকটি তোমকে তুলে দিলেন এবং পিতৃসম্মোধনে স্নেহমুগ্ধ হয়ে তোমার হাতে একটি লাঠি দিয়ে বললেন –অন্ধকারে চলতে এই
লাঠিখানা দিয়ে পথ ঠিক করে নিও , তাহলে আর গর্তে পড়বে না । তখন তুমি এই লাঠি নিয়ে পথ চলতে থাকলে । গুরু - শিষ্য ও এই রকম । পথে না উঠা পর্যন্ত
গুরু শিষ্যে সমন্ধ ,পথ পেলে যত সমন্ধ ঐ পরমগুরুর সঙ্গে ।।

নিঃশর্তে গুরু সেবার শর্তে গুরু ধারণ করতে হয়। তাই শিষ্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য - গুরু সেবা। অন্যান্য সকল দায়িত্ব ও কর্তব্যও গুরু সেবার অন্তর্ভুক্ত।

গুরু সেবা অর্থ গুরু আদর্শ ধারণ ও কর্মের মাধ্যমে
লালন-পালন। নিরাকারের সেবা করা যায় না। সেবা করা করা যায় আকার জীব বা জড় বস্তুর।

গুরু যখন আকারে বর্তমান নেই তখন সকল আকারই তাঁর। শিষ্যের কাছে গুরু কখনো নিরাকার নন।

গুরু সেবা পদ্ধতি অনেক। যে যেদিকে যোগ্যতা অর্জন করেছে সেদিকে অথবা গুরু কর্তৃক নির্বাচিত পথে ভক্তির সাথে বিরামহীন কর্ম চালিয়ে যাওয়া গুরু দায়।

এ কাজের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। শিষ্য সাঁতার শিখতে চায় গুরু শিষ্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নদীতে। শিষ্য হয় সে-ই যে সাঁতার শিখে নদী থেকে পাড়ে
ওঠে। সবাই শিষ্য হয় না।
কেউ কেউ এক/দুইবার পানিতে ঝাপটিয়ে ওঠে যায়, কেটেপড়ে গুরুর উপর দোষ চাপিয়ে।

আবার আসে, আবার যায় কিন্তু সাঁতার শেখার জন্য
যে চারিত্রিক বলিষ্ঠতা ও দৃঢ়তার প্রয়োজন তা অর্জন করতে পারে না।

বাহ্যদৃষ্টিতে গুরু খুবই নিষ্ঠুর। গুরুর কাছে শিষ্য জ্ঞান চায়, গুরু শিষ্যকে জটিল সমস্যা সমাধান করতে দেন।

শিষ্য হতচকিত হয়ে যায়,
‘এ কাজ আমি কি করে করবো?
আপনি জানেন না আমি করতে পারি?
এতোটা নির্দয় হলেন কী করে?’ -

এসব প্রশ্ন জাগে শিষ্যের মনে। কিন্তু একরৈখিকতায় সমস্যার সমাধান করতে করতে শিষ্য জ্ঞানী হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে গুরুর নিষ্ঠুরতা দেখে যে পালিয়ে যায় সে মূর্খতার অন্ধকারেই পতিত থাকে সারাজীবন।

ক্ষুধার্থ নেকড়ের পালে ভেড়ার যে অবস্থা হয় অনেক সময় জেনে-শুনে-বুঝেই গুরু শিষ্যকে সে অবস্থায় ফেলে দেন। কীভাবে নেকড়ের পাল থেকে নিজেকে রক্ষা করে
গুরু সেবায় এগিয়ে যাবার সাহসিকতা অর্জন করতে হয় তা নেকড়ের পালে না পরলে ভেড়া শিখতে পারে না।

এটা গুরুর নিষ্ঠুরতা নয় - করুণা। যারা খুব সহজে
গুরুর করুণাধারায় সিক্ত হতে চায় তারা বিভ্রান্তিতে পতিত। সহজে যা পাওয়া যায় তা অতি মূল্যবান হলেও কোন মূল্য থাকে না মানুষের কাছে। কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়া যদি আরামদায়ক কোন পথে গুরু শিষ্যকে চলতে দেন তবে শিষ্য অলস ও অথর্বে পরিণত হবে, তার জীবনীশক্তিগুলো বিকশিত তো হবেই না বরং ধীরে
ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাবে। বাহ্য দৃষ্টিতে শিষ্য গুরুর কাছে যা চায় তা পায় না।

গুরু শিষ্যের জন্য যা প্রয়োজন তা-ই দিয়ে থাকেন।
গুরু রাস্তায় পাথর রেখে ঝোপের আড়াল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেন তার কোন্‌ শিষ্য কি করে। কোন কোন শিষ্য পাথরকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়. কোন কোন শিষ্য
চিৎকার করে অকথ্য ভাষায় মা-বাপ তুলে গালি দেয় - ‘পথের মধ্যে কোন্‌ বেয়াকুফ এত বড় পাথর রাখলো’?

গুরু অপেক্ষা করতে থাকেন নিরুদ্বেগে। হঠাৎ এমন একজনের আবির্ভাব ঘটে যে পাথরটির কাছে দাঁড়িয়ে বলে ‘হে গুরু! এই ভারী পাথরটি সরানোর শক্তি দাও। তুমিইতো আমার শক্তিদাতা।’

গুরুর শক্তিতে শক্তিমান হয়ে শিষ্য চলার পথ থেকে পাথর সরিয়ে রাখে আর কৃতজ্ঞতায় সেজদায় লুটিয়ে পড়ে গুরুর চরণে। গুরু সেই শিষ্যকেই মনোনীত করেন তার প্রতিনিধি হিসেবে। শিষ্য গুরু-ত্ব পূর্ণ হয়ে ওঠে। দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনের পর অধিকার চাইতে হয় না, প্রাকৃতিক বিধানে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

সূফী সাধক আনোয়ারুল হক বলতেন, “আদবে আউলিয়া বিয়াদবে শয়তান”। সূফীতত্ত্বে গুরুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন সর্বোচ্চ আসনে। অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও যেন গুরুর প্রতি বিন্দুমাত্র অসম্মান প্রদর্শিত না হয়। গুরুর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান না থাকলে কোন শিক্ষাই গ্রহণ করা যায় না। গুরুর সান্নিধ্য প্রার্থীআদব প্রদর্শনে যত বেশি সজাগ থাকবে সে তত দ্রুত সফলকাম হবে।

গুরুর দিকে একনিষ্ঠ থাকা, গুরুর হুকুম অনুসারে তাঁর সম্মুখে কথা বলা বা খাওয়া, তাঁর সম্মুখে থাকাকালীন সময়ে তাঁর মুখনিঃসৃত বাণীগুলো স্মৃতিপটে ধরে রাখা,
সম্মতি দিলে নিজের প্রার্থনা সংক্ষেপে পেশ করা নচেৎ চুপ থাকা, তাঁর নির্দেশ মেনে চলা ও মতামত প্রকাশ থেকে বিরত থাকা, গুরুর দরবারে যে কাজইদেয়া হোক না কেন তা আন্তরিকতার সাথে সুচারুরূপে সম্পন্ন করা, যে কোন ব্যাপারে গুরুর সম্মুখে ওয়াদা করলে তা পালন করা এবং পালনে অক্ষম হলে ক্ষমা চাওয়া, তিনি যেদিকে বসেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন সেদিকে পিছন ফিরে না দাঁড়ানো ও না চলা, তাঁর সমীপে যে ফরিয়াদ বা আর্জি পেশ করা হয় তা অন্য কারো কাছে না বলা, গুরুর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা, তিনি বসা থেকে উঠে
দাঁড়ালে উঠে দাঁড়ানো এবং যতক্ষণ তিনি না বসেন ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, পারস্পরিক পার্থিব কোন কথাবার্তা না বলা, তাঁর সম্মুখে মাথা নত করে নিচু
স্বরে কথা বলা, তাঁর ব্যবহৃত কোন জিনিস ব্যবহার না করা, সর্বক্ষেত্রে আচার-আচরণে ভদ্রতা রক্ষা করা, গুরু কোন ব্যক্তির প্রতি রূঢ় ব্যবহার করলে সে দিকে দৃষ্টি না দেয়া ও মন্তব্য না করা, গুরুর কাছে অন্যের জন্য
সুপারিশ না করা, তাঁর হুকুমে দরবার ত্যাগ করার সময় যতুটুকু পারা যায় তাঁর দিকে দৃষ্টি রেখে পিছু হেঁটে দরবারের বাইরে আসা, ভ্রমণকালে তাঁর আগে গাড়িতে উঠা, বসা, খাওয়া বা ঘুমানো থেকে বিরত থাকা, তাঁর সম্মতি অনুসারে চলা - ইত্যাদি শিষ্যের আচরণগত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

শিষ্য যতক্ষণ গুরুর সামনে থাকে ততক্ষণ সকল শক্তিকে কেন্দ্রীভূত রাখতে হবে গুরুর প্রতি। গুরু বাণী মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা শিষ্যের কর্তব্য।

পৃথিবীতে যত ধর্মশাস্ত্র আছে তার সবই গুরু শিষ্যের সংলাপ। কোন কোন গ্রন্থে শিষ্যের প্রশ্নকে উহ্য রাখা হয়েছে, উহ্য রাখা হয়েছে প্রেক্ষিত।

আবার কোন কোন গ্রন্থে প্রশ্ন ও উত্তরের সন্নিবেশ ঘটেছে। যার গুরু আছে গুরু বাণীই তার কাছে শাস্ত্র। অন্য কোন শাস্ত্র পাঠের প্রয়োজনীয়তা তার নাই। তাই গুরুর কথার উপর কোন কথা বলতে নেই। কখনও গুরুর কথা কেটে দিতে নেই। গুরু নিজে উত্থাপন না করলে বহিঃজগতের কোন আলোচনা উত্থাপন করতে নেই। গুরুর কাছে কোন গুরু ভাই সম্পর্কে অভিযোগ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গুরুর একটি অতি সাধারণ কথাকেও শিষ্যকে গ্রহণ করতে হবে চূড়ান্ত বিধান হিসেবে।

গুরু উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন কথা বলেন না। শিষ্যের পক্ষে সবসময় তা অনুধাবন করা সম্ভব নাও হতে পারে। মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে পরবর্তীতে গুরু বাণী
নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে রহস্য উন্মোচিত হবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত শিষ্য নিজের ইচ্ছাকে গুরুর ইচ্ছায় পূর্ণ সমর্পন না করতেপারবে ততক্ষণ পর্যন্ত গুরু জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। গুরুর করুণা না থাকলে কেবল শিষ্য নিজে চেষ্টা করে গুরু জ্ঞান লাভ করতে পারবে না।

শিষ্য ততটুকুই জানে যতটুকু গুরু তাকে জানতে দেন। গুরুর করুণা ব্যতীত আত্মশুদ্ধিও সম্ভব নয়।

আত্মশুদ্ধির নিমিত্ত হচ্ছেন গুরু, গুরুর প্রয়োজনীয়তাও এজন্যই। মানুষ বড়ই অসহায় একা একা মানুষ কিছুই করতে পারে না। গুরু চিন্তা ব্যতীত চিন্তাজগত শুদ্ধতা লাভ করতে পারে না। কারণ চিন্তা নিজে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারে না, এজন্য প্রয়োজন গুরুর অবস্থান। কীভাবে চিন্তা নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে যখন সে কোন এক বিষয়ে ২ মিনিটও স্থির রাখতে পারে না! চিন্তা পরিশুদ্ধ না হলে কর্ম পরিশুদ্ধ হয় না। তাই চিন্তা জগতে গুরু স্থায়ী ও স্থির না হওয়া পর্যন্ত শিষ্য শুদ্ধ হয় না।

শিষ্য একক চেষ্টায় গুরুকে তার চিন্তার জগতে স্থির করতে পারে না যদি না গুরুর করুণা থাকে। গুরু জানেন কীভাবে অস্তিত্বের গভীর থেকে শিষ্যের চিন্তা জগতে পরিবর্তন আনতে হয়।

প্রেমময়ী মায়ের মতো গুরু

জানা অজানা , চেনা অচেনা ! - 38 | সকল বাঙালির স্মৃতির অন্তরালে রয়ে গিয়েছেন পি কে দে সরকার। রইল স্মৃতিচারণা - ব্যক্তিগত জী...
09/04/2022

জানা অজানা , চেনা অচেনা ! - 38 | সকল বাঙালির স্মৃতির অন্তরালে রয়ে গিয়েছেন পি কে দে সরকার। রইল স্মৃতিচারণা -

ব্যক্তিগত জীবন -
প্রফুল্লকুমার দে সরকার ১৯১১ সালে বাংলাদেশের (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের) রংপুরের নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি কলকাতার মার্টিন এবং বার্ন এ চাকরি করতেন । তৎকালীন ব্রিটিশদের একমাত্র নীতি অনুসারে তাদের লাইব্রেরিতে প্রবেশ অস্বীকার করে সরকার পদত্যাগ করে। তিনি বাংলাদেশের (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের) রাজশাহী ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক হয়েছিলেন। তাঁর ছাত্ররা তাকে "মাস্টার-মোশাই" নামে ডাকতেন, যার আক্ষরিক অর্থ শিক্ষক বা স্যার। সেখানে থাকার সময়ে, ১৯২৬ সালে, আ টেক্সট বুক অফ হায়ার ইংলিশ গ্রামার, কম্পোজিশান এ্যান্ড ট্রান্সলেশান প্রকাশিত হয়েছিল। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও দেশ বিভাগের অল্পকাল পরেই তিনি ১৯৪৮ সালে কলকাতায় পাড়ি জমান। ১৯৭৮ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর আয়ের প্রাথমিক উৎস ছিল বই বিক্রির রয়েলটি। তিনি মাঝে মধ্যে একটি প্রকাশনা সংস্থার জন্য কিছু কাজ হাতে নিয়েছিলেন, তবে পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি অর্থের পরিবর্তে ক্রিকেট ম্যাচগুলির জন্য কেবল টিকিট চেয়ে নিতেন। সরকারের দুই ছেলে রয়েছে, যারা প্রকৌশলী এবং দুই কন্যা যারা দুজনেই অণুজীব বিজ্ঞানী।

আ টেক্সট বুক অফ হায়ার ইংলিশ গ্রামার, কম্পোজিশান এ্যান্ড ট্রান্সলেশান -
ইংরেজি ব্যাকরণ নিয়ে তাঁর বীজগর্ভ বই "আ টেক্সট বুক অফ হায়ার ইংলিশ গ্রামার, কম্পোজিশান এ্যান্ড ট্রান্সলেশান" (উচ্চতর ইংরেজি ব্যাকরণ, রচনা ও অনুবাদের একটি পাঠ্য বই) এর জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সরস্বতী প্রেস দ্বারা, প্রকাশক ছিলেন পি ঘোষ অ্যান্ড কো। সেই সময়ে, সর্বাধিক জনপ্রিয় ইংরেজি ব্যাকরণের বইগুলি ছিল হেনরি ওয়াটসন ফোলার এবং জন নেসফিল্ডের। সরকারের বইটি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ব্যাকরণ শেখার শিক্ষাগত চাহিদাগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং খুব জনপ্রিয় হয়। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ব্যাকরণ শেখার জন্য ব্রিটিশদের বইয়ের চেয়ে এটি বেশি ব্যবহার করেছে। সরকার সারা জীবন বইটির উন্নতি অব্যাহত রাখে। ১৯৭৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে তাঁর বড় পুত্র পবিত্র চিত্র কুমার দে সরকার নতুন সংস্করণের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের পরিবারটি ইংরাজির আইএএস প্রশ্নগুলি সমাধান করতে এবং উত্তরগুলি সংযুক্ত করতে সহায়তা করে। ২০১৬ সালে বইটি ৫০তম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ও ২০,০০০ কপি বিক্রি হয়।

বইটি কপি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমি গ্রন্থগার ইত্যাদি সহ বেশ কয়েকটি কলেজের গ্রন্থাগারে রয়েছে।

একজন বীজগর্ভ লেখক হিসাবে খ্যাতি -
কে. সি নাগ এবং চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্তসহ, তিনি তাঁর শেষ বীজগর্ভ বই হ্যান্ডবুক অফ ডিগ্রি ফিজিক্স প্রকাশ করেন। প্রফুল্লকুমার দে সরকারকে বাংলা শিক্ষাদানের অন্যতম পবিত্র ত্রিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হত।

তথ্যসূত্র - Wikipedia

21/03/2022

গ্রহ পরিচিতি তৎসহ গ্রহের কারকতা ...........
***************************************

জগৎ মাতা চন্দ্র :-----

চন্দ্র কর্কট রশির অধিপতি।
২৮ দিনে একবার রাশিচক্র পরি ভ্রমন করে।
চন্দ্রের তুঙ্গী ঘর বৃষ রাশির ০ডিগ্রি-০৩ ডিগ্রি।
নীচ ঘর বৃশ্চিক রাশির ০ ডি-০৩ ডি।
মূল ত্রিকোন বৃষ রাশির ০৪ ডিগ্রি-৩০ ডিগ্রি। প্রতিক ঈদের চাদ।
মূল বৈশিষ্ট :----- ভাবাবেগ।
চন্দ্রের নির্দেশক :----- গৃহস্থালী জীবন ও সন্তান লালন পালন।
দেহভাব বিচারে চন্দ্র নিয়ন্ত্রিত অঙ্গ :----- বক্ষ , পাকস্থলি , জীবন দায়ি রসের ভারসাম্য , হজম শক্তি , গ্রন্থিরস , পুরুষের বাম চোখ , নারীর ডান চোখ।
চন্দ্র পৃথিবীর নিকটতম হওয়ায় এবং দ্রুত রাশিচক্র প্রদক্ষীন করে বলে প্রতিটি জন্ম ছকে চন্দ্রেও প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্র স্ত্রী জাতির এবং স্ত্রী লোকের স্বভাব নির্দেশক।চন্দ্র মাতা স্ত্রী ও কন্যানির্দেশ করে। এছাড়াও মানবের মনভাব , সহজাত প্রবৃতি , জোয়ার-ভাটা,চন্দ্র কলা , ধারন ক্ষমতা , দ্বিধা দ্বন্দ , অনুভুতি , অভ্যাশের ধরন , প্রতিফলন নির্দেশ করে।
চন্দ্র পরিবর্তনশীলতা ও দ্বিধাগ্রস্থতার কারক। ব্যাক্তিগত আগ্রহ , চাওয়া-পাওয়া , আকর্ষন
ক্ষমতা , ভূমি ও নারী গর্ভেও উর্বরতা ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্র্রন করে। মানুষের গ্রহন যোগ্যতা , সচেতনতার নির্দেশক চন্দ্র। তরল পদার্থ , পন্যদ্রব্য , নৌ যান , নৌসেনা , পানিয় , খাদ্যদ্রব্য , হাস-মুরগি-মৎস-গরু-ছাগল এর খামার , সেবা , শিশু খাদ্য , শিশু পন্য. সেবা , হোটেল মোটেল , রেষ্টুরেন্ট , ব্যাবসায়ী এবং সাধারন জনগন নির্দেশ করে।
জন্ম ছকের যে গৃহে চন্দ্র অবস্থান করে , সে গৃহ থেকে আমরা জাতক জাতিকার আবেগ-অনুভূতি , মস্তিস্কেও উত্থান পতন , ও তার মন-মানসিকতা সম্পর্কে ধারনা পেয়ে থাকি।

জগৎ পিতা রবি :-----

রবি সিংহ রাশির অধিপতি।
৩৬৫ দিনে একবার রাশিচক্র পরিভ্রমন করে।
রবির তুঙ্গী স্থান মেষ রাশির ০ডিগ্রি- ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
মূল ত্রিকোন সিংহ রাশির ০ ডিগ্রি- ২০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
নীচ স্থান তুলা রাশির ০ ডিগ্রি – ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
রবি একটি রাশি ৩০ দিনে অতিক্রম করে ।
গ্রহ প্রতিক :----- অসীম ক্ষমতার বৃত্তের মাঝে এক ব্যক্তি। বা যোদ্বার ঢাল।
মূল বৈশিষ্ট :----- অন্তদৃষ্টি ( আত্মা)
দেহভাব বিচারে রবির নিয়ন্ত্রিত অঙ্গ :----- হৃদযন্ত্র , পিঠ , প্লীহা , রক্তসঞ্চালন , শুক্রকীট , পুরুষের ডান চোখ , নারীর বাম চোখ।
রবির মূল ধর্মই হলো তার স্বতন্ত্র্যতা , তার নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা ও সাফল্য লাভ। রবি পৌরসত্ব , পিতা , কর্মকর্তা , গৃহকর্তা ও পুরুষ জাতির নির্দেশক।
রবি নিয়ন্ত্রন করে স্বাস্থ্য , আত্মা , জীবনি শক্তি , কর্তৃপক্ষ , কর্তাব্যক্তি , পদমর্যাদা , উপাধি , উচ্চ পদস্ত ব্যাক্তি , সাফল্য , সম্মান , কর্ম উদ্দম , নির্বাচনের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা।
রবি সুরক্ষা ও জীবনি শক্তির কারক।
জন্ম ছকের রবি স্থিত ঘর থেকে আমরা জাতক- জাতিকার সাফল্য বিচার করি।

মঙ্গল ( দেব সেনাপতি ) :-----

মঙ্গল মেষ ও বৃশ্চিক রাশির অধিপতি গ্রহ।
তুঙ্গী স্থান মকর রাশির ০ ডিগ্রি- ২৪ ডিগ্রি।
মূল ত্রিকোণ মেষ রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
নীচ স্থান কর্কট রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি। মঙ্গল একটি রাশি কমবেশী ৪৫ দিনে অতিক্রম করে ।
রশি চক্র পরিভ্রমনে সময় লাগে ১৮ মাস ( কমবেশী )।
গ্রহ প্রতিক :----- যোদ্ধার (রন দেবতার ) ঢাল ও বর্শা।
মঙ্গলের নির্দেশক :----- কাজ কর্ম , আক্রমনের আকাঙ্খা , কর্মক্ষমতা।
মূল মন্ত্র :----- কর্মশক্তি।
দেহ ভাব বিচারে :----- পেশি , জননেন্দ্রিয় , মুখ মণ্ডল , মস্তক , লোহিত কণিকা , নার্ভ , মূত্র গ্রন্থি।
মঙ্গল মানুষের পাশবিক প্রবিৃতির নির্দেশক , আমাদেও আশা আকাঙ্খা , যৌনক্ষমতা আমাদের উচ্চাকাঙ্খা , বলপ্রয়োগ , ক্ষমতা , সাংগঠনিক দক্ষতা , কর্মক্ষমতা , ঝগড়া , বিবাদ , প্রতিযোগিতামুলক প্রবিৃত্তি ও মৃত্যু নির্দেশ করে।
মঙ্গল নিয়ন্ত্রন করে অস্ত্রপাচার , অস্ত্রাঘাত , যুদ্ধাস্ত্র , রনাঙ্গন , দুর্ঘটনা , ক্ষত যন্ত্রনা , কেটে যাওয়া , পুড়েযাওয়া , ঝলসে যাওয়া , উগ্রতা , হিংসা , ধারালো যন্ত্রপাতি , লোহা , তামা।
মঙ্গলের কার্য প্রনালি হঠাৎ , দম্ভপূর্ণ , ধংমকারী। মঙ্গল কাজ করে সাহসিকতার সাথে। সম্পুর্ণ বল প্রয়োগ করে। রাগান্বিত ভাবে , ধংসাত্মক প্রকৃয়ায়।
জন্ম ছকের যে ঘরে মঙ্গল অবস্থান করে আমরা সে ঘর থেকে জাতকের প্রান শক্তির বা কর্ম শক্তির পরিচয় পাই।

বুধ ( বালক গ্রহ ) :-----

বুধ মিথুন ও কন্যা রাশির অধিপতি গ্রহ।
তুঙ্গী স্থান কন্যারাশির ০ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি ।
মূল ত্রিকোন কন্যার ১৬ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি।
নীচ স্থান মীন রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি।
বুধ সূর্যকে প্রদক্ষিন করতে সময় নেয় ৮৮ দিন। কিন্তু রাশি চক্র পরিভ্রমনে প্রায় ২১৬ দিনসময় নেয়।
রবি থেকে বুধ কখনোই ২৪ ডিগ্রির বেশী দূরে যেতে পারে না বলেই রাশি চক্র ভ্রমনে মোটামুটি রবির মতই সময় লাগে।
প্রতিক :----- দেবতা হার্মিসের ডানা যুক্ত টুপি।
দেহ ভাব বিচারে :----- বাক যন্ত্র , বাক শক্তি , জিহ্বা , মস্তিস্ক,দৃষ্টি শক্তি , শ্বাস প্রশ্বাস , বাহু ও হাত , সকল হরমোন , স্মায়ুতন্ত্র
বুধের নির্দেশক :----- মেধা ও প্রকাশ।
মূল বৈশিষ্ট :------ যুক্তি বিন্যাস।
বুধ ক্লিব গ্রহ।
বুধ নিয়ন্ত্রন কওে যুক্তি , যোগাযোগ মাধ্যম , মেধা , সচেতনতা , হাতের কৌশল , যুক্তিবাদ , প্রেরন , শব্দ , মতামত এবং বোধগম্য ইন্দ্রিয়াপলব্ধি।
বুধের কার্য প্রনালি দ্রুত,সন্দেহ জনক, পরিবর্তনশিল।
বুধ সংক্ষিপ্ত ভ্রমনের কারক।
ইহা ভাই বোন , বাচ্চা, সহকারী , লেখনী শক্তি , হিসাব নিরিক্ষন , সচিবিক বিদ্যা , প্রতিবেশী ,
চিঠি-পত্র , সকল প্রকার তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম , কারবার , পন্য ও সেবার লেনদেন , আবেগ প্রবনতা ও কৌশল নির্দেশ করে।
জন্ম ছকের বুধ স্থিত স্থান থেকে আমরা সকল প্রকার যোগাযোগ বুঝতে পারি।

বৃহস্পতি ( দেব গুরু ) :-----

বৃহস্পতি ধনু ও মীন রাশির অধিপতি গ্রহ।
তুঙ্গী স্থান কর্কট রাশির ০ডিগ্রি-৫ ডিগ্রি।
মূল ত্রিকোণ ধনু রাশির ০ ডিগ্রি – ১০ ডিগ্রি। নীচস্থান মকর রাশির ০ ডিগ্রি- ৫ ডিগ্রি।
রাশি চক্র পরিভ্রমনে সময় লাগে ১২ বৎসর।
প্রতীকঃ গ্রীক বর্ণেও দেবতা জিউস এর অদ্যাক্ষর।
দেহ ভাব বিচারে :----- শরীরের রক্তবাহিনালি। যকৃত , উরু , কোমড় , পায়ের পাতা , ডান কর্ণ , কপাল , অগ্নাশয়।
বৃহস্পতি নির্দেশ করে :----- উপকারি , সুরক্ষার প্রচেষ্টা।
বৃহস্পতির মূল বৈশিষ্ট :----- বিস্তার ।
বৃহস্পতি মানব জীবনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রন করে।
যেমন মানবের বিদ্যাশিক্ষা , ধন উপার্জন , বিবাহ ও সন্তান লাভ। এছাড়াও অবসর সময় , বৃহৎ কারবার , উচ্চ ধ্যান-ধারনা , আশাবাদ, উচ্চতা , জন্ম , ন্যায়পরায়নতা , উন্নতি , প্রশ্রয় দান , উচ্চশিক্ষা , ক্রিড়া , ভাগ্য , দুর ভ্রমন , শিকাড় বা পশু পালন।
বৃহস্পতি হচ্ছে বিচারক , আইন প্রনেতা , ও সাহায্য কারি। বৃহস্পতির কর্ম প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল। বৃহস্পতি স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করে। জন্ম ছকের বৃহস্পতি স্থিত গৃহ থেকে ভাগ্যউন্নতি ও অবসর সময় বিচার করা হয়।

শুক্র ( প্রেম ও কামের দেবী ) :-----

শুক্র বৃষ ও তুলা রাশির অধিপতি।
শুক্রের তুঙ্গী স্থান মীন রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।
মূল ত্রিকোণ তুলা রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত।
নীচ স্থান কন্যা রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত।
একটি রাশি পরিভ্রমণ করতে শুক্রের সময় লাগে ২৮ দিন ।
রাশি চক্র পরিভ্রমনে শুক্রেও সময় লাগে ৩৩৬ দিন প্রায়।
গ্রহ প্রতিক :----- দেবী ভেনাসের আয়না।
শুক্রর নির্দেশক :----- সামাজিকতা , অপরকে মূল্যায়ন।
শুক্রের মূল বৈশিষ্ট ঃ প্রেম-আবেগ।
দেহ ভাব বিচারে :----- কন্ঠনালী , থুতনী , গাল , স্বাদ , কিডনি , জরায়ু , দেহাভ্যন্তরিন প্রজননেন্দ্রিয় , স্পর্শ কাতর অঙ্গ সমূহ।
শুক্র কখোনই রবি থেকে ৪৮ ডিগ্রির বেশী দূরত্বে যেতে পারেনা । তাই রাশি চক্র পরিভ্রমনে ২২৪ দিন লাগলেও প্রায় রবির সাথেই একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে। শুক্র প্রেম ও ভালোবাসার গ্রহ। শুক্রের নিয়ন্ত্রনে শিল্প , সংস্কৃতি , সৌন্দর্য্য জ্ঞাণ , অধিকার , জীবন সঙ্গী , আকর্ষন , সু-স্বাদ , ভাবাবেগ , মিষ্টান্ন ও চিনি , বর্ণ বা রং , সুরেলা
ধ্বণি , কবিতা , চিত্র শিল্প , অলংকার , সঙ্গীত , নাটক , যন্ত্রসঙ্গীত।
শুক্রের কার্য প্রণালী শান্ত এবং সামঞ্জস্য পূর্ণ।
শুক্র নিয়ন্ত্রন কওে আবেগ তাড়িত সম্পর্ক , কেমলতা , নৈতিক চরিত্র , বিবাহিত জীবন , এবং সকল প্রকার ঐক্য। সামাজিকতা , স্বভাব , বিলাসীতা , আনন্দ , এবং উপলব্দি।
শুক্র প্রেম ভালোবাসার কারক তবে যৌনতার কারক নয়। জন্ম ছকের শুক্র স্থিত গৃহ থেকে আমরা জাতকের প্রেম ভালোবাসা আনন্দ নির্ণয় করি।

শনি ( ছায়া ও রবি পুত্র ) :-----

শনি মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি গ্রহ।
শনির তুঙ্গী স্থান তুলা রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি।
মূল ত্রিকোণ কুম্ভ রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি। নীচ স্থান মেষ রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি।
শনি একটি রাশি অতিক্রম করে ৩০ মাস কমবেশী ৯০০ দিন ।
রাশি চক্র পরিভ্রমনে শনির সময় লাগে ৩০ বৎসর।
গ্রহ প্রতিক :----- কালের দেবতা ক্রনাসের কাস্তে।
শনির নির্দেশক :----- নিরাপত্তা ও নির্বঘ্নতার আকাঙ্খা।
শনির মূল বৈশিষ্ট :----- শিক্ষক।
দেহ ভাব বিচারে শনি :----- চামড়া , হাড় , দন্ত , অস্তি বন্ধনী , হাটু, বাম কর্ণ , শ্রবনইন্দ্রিয় ও কান , পিত্ত থলি , দেহের আমিষ।
শনি নিয়ন্ত্রন করে কাঠামো নিয়মানুবর্তিতা ,
দায়-দায়িত্ব , প্রতিষ্ঠান , উচ্চাকাঙ্খা , কর্মের যোগ্যতা , সীমাবদ্ধতা , দুঃখ ও বিলম্ব।
শনি আরো নির্দেশ করে বিজ্ঞানের সুত্র ও তার ব্যাখ্যা , প্রবীন ব্যাক্তি , গভীরতা , ধৈর্য্য , ভয় , ঐতিহ্য , সামাজিকতা , গোড়ামী , এবং সময়ের সদ্বাবহার।
শনি সত্যতা , সংকোচন , কঠিন করন , জ্ঞান , বয়োবৃদ্ধ। শনির কাজ ধীর গতির তবে দীর্ঘস্থায়ী। শনি হলো জন্ম ছকের উল্লেখযোগ্য গ্রহ।
পূর্বে শনিকে চরম ক্ষতিকর গ্রহ হিসেবে ধরা হতো।

ইউরেনাস/ ইন্দ্র বা প্রজাপতি ( অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারক ) :-----

ইউরেনাসকে পাশ্চাত্য মতে কুম্ভ রাশির অধিপতি গ্রহ বলা হয়।
ইউরেনাস একটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে ৭ বৎসর ।
ইউরেনাস ৮৪ বৎসরে একবার রাশি চক্র পরিভ্রমন করে।তুঙ্গী স্থান বৃশ্চিক রাশি।
নীচ স্থান বৃষ রাশি।
গ্রহ প্রতিক ইংরেজী বড় হাতের এইচ ।
ইউরেনাসের নির্দেশক :----- স্বাধীনতা।
ইউরেনাসের মূল বৈশিষ্ট :----- গণ-জাগরন।
দেহ ভাব বিচাওে :----- নার্ভ সিষ্টেম , দেহের বিদুৎ প্রবাহ , পায়ের গোড়ালী।
ইউরেনাস নিয়ন্ত্রন করে আবিস্কার , নতুনত্ব , বিজ্ঞানম বিদ্যুৎ প্রবাহ , যাদুবিদ্যা , ভার্চুয়াল বিষয় , বৈদ্যুতিক বাতি , জ্যোতিষ শাস্ত্র , মনোবিজ্ঞান , রঞ্জন রশ্মি , বিমান , প্রাকৃতিক নিয়ম , ভবিষ্যৎ , মানবতা , বুদ্ধিমত্মা অদ্ভুত , সংস্কার মুক্ত , অহংবোধ এবং অবাস্তব বিষয়।
সৃজনশীল আকাঙ্খা , হঠাৎ পরিবর্তন , বিপ্লব , অভ্যূত্থান এবং স্বৈরাচারী আচরন। মৌলিকত্ব , উদ্ভাবনি দক্ষতা , রাষ্ট্রদ্রোহ এবং স্বায়ত্ব শাষন নির্দেশ করে।
ইউরেনাসের কার্য প্রণালী হঠাৎ , অনভিপ্রেত , এবং কখোনো কখনো ধংসাত্মক। ইউরেনাস প্রথা ভাঙ্গতে আগ্রহী।
এটি ক্লিব এবং ইন্দ্রিয়াশক্তি হীন।
ইউরেনাস অতিন্দ্রিয় বিষয়েও আলোক পাত করে। বর্তমানে ইউরেনাসকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন ভূমি-কম্প , অগ্নৎুপাত , সুনামীর কারক বলা হয়।

নেপচুন/বরুণ ( রহস্যময় ও জলজ বিষয় ) :-----

পাশ্চাত্য মতে নেপচুনকে মীন রাশির অধিপতি গ্রহ বলা হয়। একটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে ১৪ বৎসর ।
১৬৮ বৎসরে একবার রাশচক্র পরিভ্রমন করে।
গ্রহ প্রতীক :----- গ্রীক মিথলজির জল দেবতা পোসাইডনের রাজ দন্ড।
প্রাচ্য জ্যোতিষে নেপচুনকে জলদেবতা বরুন বলা হয়।
নির্দেশক :----- আধ্মাত্মীকতা ও বাস্তবকে এড়িয়ে যাওয়া।
বৈশিষ্ট :----- অনুভূতি লব্দ জ্ঞান।
দেহ ভাব বিচারে :---- মেরু দন্ডের হাড় , নার্ভ কোষ , পা এর পাতা , মস্তিস্কের গ্রন্থি , টেলি পেথিক বিষয় , রক্তের কণিকা।
নেপচুন সমূদ্র সংক্রান্ত বিষয়,তরল , শাস্ত্রীয় সঙ্গীত , চলচিত্র , মঞ্চ , টেলিভিশন , মোহনীয় বিষয় , স্বপ্নতত্ত , মায়াজাল ঐন্দ্রজালিক বিষয় , যাদু , প্রবঞ্চনা , আধ্যাত্মীক বিষয় , আদিভৌতিক বা কাল্পনিক বিষয় , এবং সে সব বিষয় যা আমরা বিনা প্রশ্নে মেনে নেই তা নির্দেশ করে। এছারাও কুয়াশা , পেট্রলিয়াম , রহস্যময় বিষয় , তোষামদ , সৌরভ , দিব্যদৃষ্টি , কাব্যপ্রেম , নৃত্যকলা , মাদক দ্রব্য , মাদকাসাক্ত , কোমল পানিয় , মদ , জুয়া , বিশাদ , নিশাচর , সমাধি ক্ষেত্র , সম্মোহোন বিদ্যা , অশরীরী ও অস্বাভাবিক বিষয় নির্দেশ করে।
নেপচুনের কার্য প্রনালী অতিসূক্ষ্ম , ক্রমান্বয়ে ছলনাময় ও কুচক্রীময়।

প্লুটো/যম বা রুদ্র ( ভূগর্ভস্ত বিষয় ) :-----

প্লুটোকে পাশ্চাত্য জ্যোতিষে বৃশ্চিক রাশির অধিপতি ধরা হয়।
সমগ্র রাশি চক্র পরিভ্রমনে প্লুটোর সময় লাগে ২৫২ বৎসর।
একটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে ২১ বৎসর ।
আবিস্কার হবার পরে প্লুটো এখোনো রাশি চক্র পুরোপুরি ঘুওে আসেনি বলে এখোনো এর তুঙ্গী ও নীচ স্থান নির্ধারন করা হয়নি।
গ্রীক মাইথোলজির পাতালের দেবতা প্লুটোর নামানুসারে এর নাম প্লুটো রাখা হয়েছে।
প্রাচ্য জ্যোতিষে প্লুটোকে রুদ্র নামে নামকরন করা হয়েছে।
প্লুটো নির্দেশ করে :----- নিশ্চিহ্ন করা , ধংস করা , ভয়ানক ক্ষতি দুঃখ-দূর্দশা , লুকিয়ে থাকা , গোপন রাখা , হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া , অস্থিরতা , দাম্ভিকতা,কতৃত্বপ্রিয়তা, মিলিত হওয়া।
প্লুটোর মূল বৈশিষ্ট :----- রুপান্তর ।
প্লটো নিয়ন্ত্রন করে গোপনিয় বিষয় যা দেখা যায় না। প্লুটো আরো নির্দেশ করে জড় পদার্থ , ধংস , বিনাশ , পারমানবিক শক্তি , অপরাধ ও অপরাধ জগৎ।
এটি আতঙ্ক , সংস্কার , ধীর বৃদ্ধি , রুপান্তর প্রক্রিয়া , শুরু ও শেষ , জন্ম ও মৃত্যু , বিচ্ছিন্ন করন , বল প্রয়োগ , অদৃশ্য বিষয় , অপহরন , বেনামী বস্তু , ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস , উৎপত্তি , পালন , লয়। অনাবিস্কৃত বিষয় , ভূ-আভ্যন্তরিন সম্পদ।
প্লুটোর কার্য প্রনালী ধীর গতির , অত্যন্ত গোপনিয় এবং অপরিহার্য।

রাহু ( কামসূচক ) :-----

পাশ্চাত্য জ্যোতিষীগন রাহু ও কেতুকে গ্রহ বলে স্বীকার করে না। তারা রাহু ও কেতুকে মঙ্গলের মাথা ও লেজ বলে থাকে।
তাদেও ভাষায় রাহু ও কেতু হলো উপগ্রহ। মহাকাশেও রাহু এবং কেতু নামে কোনো দৃশ্যমান গ্রহ নেই। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর যে কক্ষপথ রয়েছে এবং পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চন্দ্রের যে কক্ষপথ রয়েছে , এই দুই কক্ষপথের যে ছেদ বিন্দু রয়েছে তার উপরের অংশকে রাহু ও নিচের অংশকে কেতু বলে।
ভারতিয় পুরাণ অনুসারে সমুদ্র মন্থন কওে অমৃত উত্তলনের পর অমরত্ব লাভের উদ্দেশ্যে দেবতারা যখন অমৃত পান করছিলেন তখন অসুর স্বর্ভানুর ছদ্ববেশে দেবতাদের সাথে অমৃত পান কওে ফেলে এমন সময় চন্দ্রদেব ও সূর্য দেব স্বর্ভানুর কে চিনতে পারে এবং বিষ্ণুকে বলে দেয় , বিষ্ণু তখন তার চক্রবাণ দ্বারা অসুর স্বর্ভানুরকে শিরচ্ছেদ করে । যেহেতু স্বর্ভানুর অমৃত পান করে ফেলেছিল তাই তার খন্ডিত দেহের উপরের অংশ এবং নিচের অংশ অমরত্ব প্রাপ্ত হয়। উপরের মস্তকের অংশই রাহু। রাহু দুরাকাঙ্খা ও অদম্য লোভের প্রতিক। মহর্ষি পরাশর , বেদব্যস , জৈমিনী প্রভৃতি ঋষিগন রাহু ও কেতুকে গ্রহ হিসেবে ধরেছেন।
আর্য ঋষিগন কন্যা রাশিকে রাহুর স্বক্ষেত্র এবং কুম্ভ রাশিকে কেতুর স্বক্ষেত্র হিসেবে বিচার করেছেন।
মহর্ষি পরাশর বৃষ রাশিকে রাহুর তুঙ্গী স্থান হিসেবে বিচার করেছেন , অন্যান্য ঋষিগন মিথুন রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি স্থানকে রাহুর তুঙ্গী স্থান ও ধনু রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি স্থানকে নীচ স্থান ধরেছেন।
রাহুর মূল ত্রিকোণ শনির ন্যায় কুম্ভ রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
প্রাচ্য জ্যোতিষে এই জন্যই হয়তো রাহু শনির অনুরুপ ফল দেয় বলে মনে করা হয়।
রাহু সর্বদা বক্র পথে চলে।
এক রাশি অতিক্রম করতে সময় নেয় প্রায় ১৮ মাস।
রাশিচক্র অতিক্রম করে ১৮ বৎসরে।
কেতু সর্বদাই রাহুকে অনুসরন করে এবং রাহু থেকে ১৮০ ডিগ্রি বিপরিতে অবস্থান করে।
বৃষরাশি থেকে কন্যা রাশি পর্যন্ত রাহু শুভ ফল প্রদান করে।
রাহুর কারকতা :----- ইন্দ্রিয়াশক্তি , কামনা-বাসনা , প্রেম-প্রীতির ভেতরেও উদ্যমতার ভাব।
রাহু চন্ডাল। ভাষার চন্ডতা ও অমার্জিত আচরন তার কাম্য। রাহু নিদ্রা প্রিয়তা , বিদেশ যাত্রা , দৈহিক অবসাদ , মানসিক উত্তেজনা প্রভৃতি নির্দেশ করে।
রাহুর বৈশিষ্ট :----- ক্ষুধা , অদমনিয় আকাঙ্খা , অতৃপ্ততা , অধপতনের কারন , প্রবাস বাস।
দেহ ভাব বিচারে :----- ওষ্ঠ , দন্ত , ত্বক , মৃত শিড়া উপশিড়া।
রাহু নির্দেশ করে ভোগের আকাঙ্খা , রিপুর অধিনতা , ভোগ জনিত সুখ-দুঃখ , অতৃপ্ত বাসনা , আত্মসাৎ করার ইচ্ছা , স্বার্থপরতা , আত্মসর্বস্বতা , দানে কুন্ঠাবোধ , নির্লজ্জতা , স্থুলতা , অশ্লীলতা , কদর্যতা , নৃশংসতা , পৌত্তলিকতা , জড়বাদ , অশুচি , পৈশাচিকতা। হঠাৎ অপ্রত্যাশিত উপায়ে ধন প্রাপ্তি।

কেতু ( মোক্ষ কারক ) :-----

কেতুকে বলা হয় সর্প।
অসুর স্বর্ভানুর শরীরের নীচের অংশ কেতু নামে পরিচিত।
কেতু অসুর , নীচ জাতি , চর্ম রোগ , চক্ষুপীড়া , অন্ধত্য , নির্জীবতা , ক্ষুধা জনিত কষ্ট , রহস্যময় ঘটনা , রহস্যময় বিষয় , মোক্ষ প্রাপ্তি নির্দেশ করে। মহর্ষি পরাশরের মতে কেতুর তুঙ্গীস্থান বৃশ্চিক রাশি, নীচ স্থান বৃষ রাশি ।
অন্যান্য ঋষিদের মতে ধনু রাশি কেতুর তুঙ্গী স্থান ও মিথুন নীচস্থান।
কেতুর মূল ত্রিকোণ স্থান সিংহ রাশির ০ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
কেতু রাহুর নেয় সর্বদা বক্র গামী , ও ১৮ বৎসরে একবার রাশিচক্র পরিভ্রমন করে। কেতু একটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে ১৮ মাস ।
প্রচ্য জ্যোতিষে বলা হয় কেতু মঙ্গলের ফল প্রদান করে।
কেতুর কারকতা :------ ত্যাগ , তিতিক্ষা , তপস্যা , ব্রম্ম জ্ঞান , দর্শণ ও গণিত বিদ্যা , ( মহর্ষি জৈমিনি কেতুকে গণিতজ্ঞ বলেছেন।) ধৈর্য্য , অকৃতজ্ঞতা , হৃদয়হিনতা , বিশ্বাসঘাতকতা , গুন্ডা , নৃশংস , হত্যাকারি , ঐন্দ্রজাল চর্চাকারী।
দেহভাব বিচারে কেতু :----- মেরুদন্ড , উদর , অধর , কেশ , মোহাচ্ছন্য অবস্থা , জড়তা , আলস্য ,
অবসাদ , অনুভুতির অভাব , অহংকার ,আত্মজ্ঞান , নির্বুদ্ধিতা , অন্তর্নিহিত জ্ঞাষ , সমাধি , গুপ্ত বিষয় , রহস্যময় জীবাণুর বিস্তার।

গ্রহের দীপ্তাংশ ও দৃষ্টি সারনী :------
ক্রম গ্রহ সামনে ও পেছনে ডিগ্রি করে মোট ডিগ্রি দৃষ্টি (প্রাচ্য) ঘরে রাশিতে স্থিতি কাল বক্র কাল :----
১) রবি ,, ৭ ডিগ্রি ৩০ মিনিট /১৫ ডিগ্রি / ৭ মে / ৩০ দিন / বক্রী হয় না ।
২) চন্দ্র ,, ৬ ডিগ্রি / ১২ ডিগ্রি / ৭ মে / ২দিন ৬ঘন্টা / বিক্রী হয় না । ,
৩) মঙ্গল ,, ৪ ডিগ্রি / ৮ ডিগ্রি / ৪র্থে,৭মে,৮মে / ৪৫ দিন / ৭৬ দিন ।
৪) বুধ ,, ৩ ডিগ্রি ৩০ মিনিট /৭ ডিগ্রি / ৭মে / ১৮ দিন / ২১ দিন ।
৫) বৃহস্পতি ,, ৪ ডিগ্রি ৩০ মিনিট / ৯ ডিগ্রি / ৫মে,৭মে,৯মে / ১ বৎসর /১০০ দিন ।
৬) শুক্র ,, ৩ ডিগ্রি ৩০ মিনিট /৭ ডিগ্রি / ৭মে / ২৮ দিন / ১২ দিন ।
৭) শনি ,, ৪ ডিগ্রি ৩০ মিনিট / ৯ ডিগ্রি / ৩ য়,
৭ মে, ১০মে /৩০ মাস /১৮৪ দিন ।
৮) রাহু ,, নাই / ৫মে, ৭মে, ৯মে ও ১২শে /১৮ মাস / সব সময় বক্রী ।
৯) কেতু ----- রাহুর ন্যায় । তবে কেতু অন্ধ কোনো দৃষ্টি নাই ।
১০) ইউরেনাস ,, ,, ,, ২য় ও ১১শে / ৭ বৎসর /১৫২+
১১) নেপচুন ,, ,, ,, ৫ মে, ৭মে, ১২শে / ১৪ বৎসর / ১৬০+
১২) প্লুটো ,, ,, ,, ৩য় ও ৬ষ্ঠে / ২১ বৎসর / ১৬২+

Address

Kolkata
700126

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shastri Shri Hrishikesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Shastri Shri Hrishikesh:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram