Affixea

Affixea Affixea - Your Health & Wellness Guide

Get expert tips on diseases, treatments, prevention, remedies, fitness, and nutrition.

Stay informed, stay healthy!

A physician, Health and Mind Trainer
Learn to keep yourself tense to optimum health.

বন্ধুদের মধ্যে প্লীহা (spleen) নিয়ে কথোপকথন:-ঋদ্ধি:  বন্ধু, তুমি কি জানো, প্রাচীন কালে এরকম মনে করা হতো—এই যে আমরা হাসি...
29/03/2025

বন্ধুদের মধ্যে প্লীহা (spleen) নিয়ে কথোপকথন:-

ঋদ্ধি: বন্ধু, তুমি কি জানো, প্রাচীন কালে এরকম মনে করা হতো—এই যে আমরা হাসি, কোনো মজার কথায় বা পছন্দের কাউকে দেখলে, এই হাসিটা নাকি আমাদের পেটের মধ্যের একটি অঙ্গ থেকে উঠে আসে। সেটা কোন অঙ্গ বলো তো? জানা আছে তোমার?

দ্বীপ্ত: বাহ্, বেশ মজাদার তো! না, আমার জানা নেই, তুমিই বলে দাও।

ঋদ্ধি: সেটা হলো প্লীহা, যেটাকে spleen বলে।

দ্বীপ্ত: আচ্ছা, প্লীহা জিনিসটা কী? এটা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ?

ঋদ্ধি: হ্যাঁ, প্লীহা আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। এটা পেটের বাঁ দিকে, পাঁজরের খাঁচার নিচে থাকে। দেখতে অনেকটা মুষ্টিবদ্ধ হাতের মতো।

দ্বীপ্ত: ওহ! দেখতে কেমন সেটা তো বুঝলাম, কিন্তু এর কাজটা কী?

ঋদ্ধি: এর কাজ অনেক। এটা আমাদের শরীরের রক্ত পরিস্রাবণ করে, মানে রক্ত থেকে খারাপ জিনিসগুলো সরিয়ে দেয়। আর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে, কারণ এটা শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে। এছাড়াও, এটা রক্তের একটা ছোট অংশ জমিয়ে রাখে, যা দরকার পড়লে কাজে লাগে।

দ্বীপ্ত: ওয়াও! এত কাজ করে! তাহলে এটা খারাপ হলে তো খুব সমস্যা হবে, তাই না?

ঋদ্ধি: একদম ঠিক বলেছো! প্লীহা খারাপ হলে অনেক সমস্যা হতে পারে। ক্লান্তি, সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, রক্তাল্পতা, পেটে ব্যথা—এরকম অনেক সমস্যা হতে পারে।

দ্বীপ্ত: খারাপ হওয়ার কারণগুলো কী?

ঋদ্ধি: অনেক কারণ আছে। ম্যালেরিয়া, মনোনিউক্লিওসিসের মতো সংক্রমণ, থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রক্তের রোগ, লিভারের রোগ আর পেটে আঘাত লাগলেও প্লীহা খারাপ হতে পারে।

দ্বীপ্ত: তাহলে প্লীহাকে সুস্থ রাখার উপায় কী?

ঋদ্ধি: প্লীহাকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে। যেমন—

সুষম খাবার খেতে হবে, ফল, শাকসবজি আর গোটা শস্য বেশি করে খেতে হবে।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা দরকার।

পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে।

মদ্যপান আর ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে।

আর অবশ্যই, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

ঋদ্ধি: তবে কী জানো, দ্বীপ্ত? গল ব্লাডারের মতো প্লীহাও একটি অঙ্গ যাকে ছাড়াও মানুষ অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারে।

দ্বীপ্ত: প্লীহা সম্পর্কে বেশ কিছু জানলাম! এবার থেকে হার্ট, কিডনি, লিভারের সাথে সাথে এর কথাও মাথায় রাখতে হবে।

ঋদ্ধি: হ্যাঁ, প্লীহা আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ, তাই এর যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।

দ্বীপ্ত: সবই বুঝলাম, কিন্তু ওই প্রথমে অদ্ভুত একটা কথা বললে যে আমাদের হাসি নাকি প্লীহা থেকে উঠে আসে, এরকমটা মনে করার কারণ কী?

ঋদ্ধি: মাফ করো, বন্ধু। সে উত্তর আমার জানা নেই।

তথ্য সূত্র: Dr. Bireswar Roy

তথ্য সূত্র: Dr. Bireswar Roy মানুষ বড়ো আশ্চর্য প্রাণী, তাই না? 🤔 আমরা এমন কত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকি, যা হয়তো তেমন জরুরি ন...
27/03/2025

তথ্য সূত্র: Dr. Bireswar Roy

মানুষ বড়ো আশ্চর্য প্রাণী, তাই না? 🤔 আমরা এমন কত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকি, যা হয়তো তেমন জরুরি নয়। অথচ যে জিনিসগুলো আমাদের জীবন চালিয়ে নেয়, তাদের কথা ভাবার সময় পাই না। এই যেমন কিডনি—আমাদের শরীরের এক অনিঃশেষ কর্মী, যে দিন-রাত চুপচাপ নিজের কাজ করে যাচ্ছে, বিনিময়ে কিছুই চায় না। 😌

শরীরের ভেতরে কোথায় কিডনি আছে, কেমন দেখতে, এসব নিয়ে কেউ খুব বেশি মাথা ঘামায় না। যতক্ষণ সব ঠিক আছে, কিডনির কথা মনে পড়েই না। কিন্তু যখন কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন বোঝা যায়, এই দুই ছোট্ট অঙ্গের মূল্য কতখানি! 😮

আজ আমরা সেই নীরব বন্ধুর কথা বলব—তার কাজ, তার কষ্ট, তার যত্নের প্রয়োজনীয়তা। কারণ কিডনি সুস্থ থাকলে তবেই তো জীবন সুন্দর থাকবে! 💕

---

কিডনি কোথায় থাকে, কেমন দেখতে?

🔹 কিডনি শরীরের পেছনে, মেরুদণ্ডের দুই পাশে, পিঠের ঠিক নিচের দিকে থাকে।
🔹 দেখতে ঠিক একটি বড়ো শিম বীজের মতো, কিন্তু কাজের দিক থেকে মহাসমুদ্রের মতো বিশাল! 🌊
🔹 প্রতিটি কিডনির ভেতর নেফ্রন নামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফিল্টার থাকে, যা প্রতিদিন লিটার লিটার রক্ত পরিশোধন করে। 🩸

---

কিডনির কাজ কী?

✔ রক্ত পরিশোধন – শরীরের প্রতিটি কোষ অক্সিজেন গ্রহণ করার পর বর্জ্য তৈরি করে, যা কিডনি ছেঁকে বের করে দেয়। 🩸🔄
✔ জল ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা – আমাদের শরীরে জল ও লবণের ভারসাম্য ঠিক রাখতে কিডনি প্রতিনিয়ত কাজ করে। 💧⚖
✔ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ – কিডনি রেনিন নামক এক বিশেষ হরমোন তৈরি করে, যা রক্তচাপ ঠিক রাখে। ❤️📉
✔ হাড় মজবুত রাখা – কিডনি ভিটামিন D সক্রিয় করে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। 🦴💪
✔ রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি – কিডনি এরিথ্রোপোয়েটিন হরমোন তৈরি করে, যা নতুন রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। 🩸🛠

---

কিডনি নষ্ট হয় কেন?

❌ পর্যাপ্ত জল না পান করলে – কিডনির কাজ সহজ হয়, যখন শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকে। কম জল খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। 💧🚫
❌ অতিরিক্ত লবণ খেলে – লবণ বেশি খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, যা কিডনির ওপর চাপ ফেলে। 🧂⚠
❌ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ – এগুলো কিডনির ক্ষতি করে দেয় ধীরে ধীরে। 🍬📈
❌ ধূমপান ও অ্যালকোহল – এগুলো কিডনির রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়, ফলে কিডনি তার স্বাভাবিক ক্ষমতা হারায়। 🚬🥃
❌ অতিরিক্ত ওষুধ খেলে – বিশেষ করে ব্যথার ওষুধ বেশি খেলেই কিডনির ওপর চাপ পড়ে। 💊⚠

---

কিডনি নিজে থেকে সুস্থ হতে পারে?

আমাদের কিডনি অনেকটা ফিনিক্স পাখির মতো 🦅, নিজে নিজে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে, যদি আমরা তাকে সেই সুযোগ দিই।

💧 পর্যাপ্ত জল পান করলে – কিডনি নিজের কাজ সহজে করতে পারে।
🥦 সঠিক খাবার খেলে – কম লবণ, কম চিনি এবং বেশি শাকসবজি খেলে কিডনি নিজেকে ঠিক রাখতে পারে।
🏃‍♂ নিয়মিত ব্যায়াম করলে – শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক থাকলে কিডনিও ভালো থাকে।

✔️🔴🔴কিন্তু কিডনিরও একটা সীমা আছে। ⚠ একবার যদি এটি ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তাহলে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা সম্ভব হয় না। তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায়।

---

কিডনিকে সুস্থ রাখার উপায়:

✔ পর্যাপ্ত জল পান করো – প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করাই ভালো। 💧
✔ অতিরিক্ত লবণ ও চিনি এড়িয়ে চলো – এগুলো কিডনির শত্রু। 🧂🍬🚫
✔ নিয়মিত ব্যায়াম করো – এটি কিডনির ওপর চাপ কমায়। 🏃‍♀💪
✔ ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকো – এগুলো কিডনিকে ধ্বংস করে। 🚭🥃❌
✔ কিডনি-বান্ধব খাবার খাও –
🥗 শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম কিডনির জন্য ভালো।
🚫 প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত প্রোটিন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

---

শেষ কথা

জীবনে কত কিছু নিয়েই তো আমরা ভাবি, কিন্তু আমাদের শরীরের অঙ্গগুলো নিয়ে খুব একটা ভাবি না। 😌 কিডনি যেন নীরবে তার কাজ করে যায়, ততক্ষণই আমরা নিশ্চিন্ত। কিন্তু যখন কিডনি আর আমাদের বোঝার ভার নিতে পারে না, তখন শুরু হয় বিপদ। 🚨

💡 তাই এখন থেকেই একটু সচেতন হও। সুস্থ জীবনই আসল সম্পদ! 💖

তুমি কি আজ থেকেই কিডনির যত্ন নিতে শুরু করবে? 🤔💬

#কিডনি #সুস্থজীবন 🌿 ান_করো 💧 #কিডনিরসুরক্ষা 🔬

তথ্য সূত্র: Dr. Bireswar Roy ফুসফুস: প্রতিটি শ্বাসের পিছনের নায়ককখনো কি গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ভেবেছো, এই অক্সিজেন তোমার ...
26/03/2025

তথ্য সূত্র: Dr. Bireswar Roy

ফুসফুস: প্রতিটি শ্বাসের পিছনের নায়ক

কখনো কি গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ভেবেছো, এই অক্সিজেন তোমার শরীরে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে? অথবা, কখনো কি এমন অনুভব করেছো যে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? এই ছোট্ট অনুভূতিগুলোই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়—ফুসফুস।

আমরা প্রতিদিন শ্বাস নিই, অথচ এই অঙ্গটির দিকে খুব কমই মনোযোগ দিই। অথচ, এক মুহূর্তের জন্যও যদি ফুসফুস তার কাজ বন্ধ করে দেয়, তখনই আমরা বুঝতে পারি এর গুরুত্ব কতটা অপরিসীম!

আজ আমরা জানব ফুসফুসের গঠন, এর কাজ, কীভাবে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং সুস্থ রাখার উপায়। কারণ, জীবন শুধুই শ্বাস নেওয়া নয়, বরং প্রতিটি শ্বাসকে অর্থবহ করা!

---

ফুসফুস কোথায় থাকে, কেমন দেখতে?

➤ ফুসফুস হলো শরীরের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর একটি, যা বুকের খাঁচার ভেতরে থাকে।

➤ মানুষের দুইটি ফুসফুস থাকে—ডানদিকের টি বড় (তিন টি লোব বিশিষ্ট) এবং বামদিকের টি একটু ছোট (দুইটি লোব বিশিষ্ট), কারণ হৃদপিণ্ড বামদিকে একটু বেশি জায়গা দখল করে রাখে।

➤ ফুসফুস দেখতে পিরামিডের মতো, নরম স্পঞ্জের মতো। শ্বাস নালি দুই দিকে ফুসফুসে প্রবেশ করে, পুরো ফুসফুস জুড়ে গাছের শাখা প্রশাখার মতো অসংখ্য সংখ্যায় বিস্তৃত হয়েছে, এবং এদের প্রান্তে ছোট ছোট বেলুনের ন্যায় বায়ুথলি (Alveoli) থাকে, যা অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে। দুটি ফুসফুসে প্রায় চারশো থেকে ছয়শো মিলিয়ন বায়ুথলি থাকে।

ফুসফুসের কাজ: কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?

➤ অক্সিজেন সরবরাহ: প্রতিবার শ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং তা রক্তের মাধ্যমে পুরো শরীরে পাঠায়। এই অক্সিজেন ছাড়া শরীরের কোনো কোষই বাঁচতে পারে না।

➤ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন: শরীরের কোষ থেকে উৎপন্ন অপ্রয়োজনীয় কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে আসার পর ফুসফুস তা বাইরে বের করে দেয়। যদি এটি শরীরে জমে থাকে, তবে শরীর বিষাক্ত হয়ে যাবে।

➤ সংক্রমণ প্রতিরোধ: ফুসফুসে মিউকাস (Mucus) এবং ছোট ছোট চুলের মতো গঠন (Cilia) থাকে, যা ধুলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে আটকে রেখে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, এবং পরে তা কফের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেয়।

➤ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ফুসফুস অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড এর আদান প্রদান এর মাধ্যমে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

---

কীভাবে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়?

➤ ধূমপান:
✔ ধূমপানে প্রায় ৭,০০০ ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা ফুসফুসের টিস্যু ধ্বংস করে।
✔ এটি ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD), ফুসফুসের ক্যান্সার ও অ্যাজমা সৃষ্টি করতে পারে।

➤ বায়ুদূষণ:
✔ ধুলাবালি, ধোঁয়া ও রাসায়নিক পদার্থ ফুসফুসের বায়ুথলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
✔ শহরের দূষিত বাতাস দীর্ঘদিন ধরে শ্বাস নিলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়।

➤ ইনফেকশন ও রোগ:
✔ নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা (TB), অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।
✔ যদি এসব রোগ দ্রুত চিকিৎসা না করা হয়, তবে ফুসফুস চিরতরে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

➤ শরীরচর্চার অভাব:
✔ নিয়মিত ব্যায়াম না করলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
✔ ব্যায়াম করলে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণ ও সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

---

ফুসফুসের স্বনিরাময় ক্ষমতা (Self-Healing Ability)

➤ কিভাবে ফুসফুস নিজেকে সুস্থ করতে পারে?
✔ ধূমপান বন্ধ করলে ফুসফুস নিজেকে পরিষ্কার করতে শুরু করে।
✔ পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ বাতাস পেলে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ কিছুটা পুনরুজ্জীবিত হয়।
✔ শরীরচর্চার মাধ্যমে ফুসফুস নতুন কোষ গঠন করতে পারে।
✔ জল বেশি পান করলে ফুসফুসের মিউকাস সহজে বেরিয়ে যায়।

➤ কিন্তু এরও সীমা আছে...
❌ যদি দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান বা দূষিত বাতাস গ্রহণ করা হয়, তাহলে ক্ষতি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।
❌ ফুসফুসের ক্যান্সার হলে এটি আর নিজেকে ঠিক করতে পারে না।
❌ যদি ফুসফুসের টিস্যু খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে এটি আর আগের মতো কাজ করতে পারে না।

---

ফুসফুসকে সুস্থ রাখার উপায়

➤ ✅ ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধ করো
✔ ধূমপান ফুসফুসের সবচেয়ে বড় শত্রু। যদি তুমি আজই এটি ছেড়ে দাও, তাহলে তোমার ফুসফুস ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

➤ ✅ বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করো
✔ যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত জায়গায় থাকার চেষ্টা করো।
✔ ঘরে বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ (যেমন: অ্যালোভেরা, স্পাইডার প্ল্যান্ট) রাখতে পারো।
✔ প্রয়োজনে মাস্ক পরো, বিশেষ করে দূষিত এলাকায় গেলে।

➤ ✅ নিয়মিত ব্যায়াম করো
✔ গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।
✔ হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, সাঁতার, যোগব্যায়াম ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।

➤ ✅ বেশি জল পান করো
✔ জল শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং ফুসফুসকে আর্দ্র রাখে।

➤ ✅ পুষ্টিকর খাবার খাও
✔ ভিটামিন C ও E সমৃদ্ধ খাবার (লেবু, কমলা, বাদাম) ফুসফুসের শ্বাস নালি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
✔ হলুদে থাকা কারকিউমিন, বা আদা, রসুনে থাকা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি যৌগ ফুসফুসে প্রদাহ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
✔ গ্রিন টি, পেঁয়াজে থাকা ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসকে ডিটক্সিফাই করতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।
✔ গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন, বিট রুটে থাকা নাইট্রেট, ফুসফুসের টিস্যুকে সুস্থ সবল রেখে কর্মক্ষমতা বজায় রাখে।

---

শেষ কথা: তুমি কি ফুসফুসের জন্য কিছু করবে?

প্রতিদিন তুমি ফুসফুসের ওপর নির্ভর করো, কিন্তু কি কখনো তার যত্ন নাও? এটি যদি একদিন তোমাকে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে জীবন থমকে যাবে।

তাই আজ থেকেই সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নাও। কারণ ফুসফুস সুস্থ থাকলেই জীবন প্রাণবন্ত থাকবে!

তুমি কি আজ থেকেই ফুসফুসের যত্ন নিতে শুরু করবে?

#ফুসফুস #শ্বাসনেওজীবন #স্বাস্থ্যকরজীবন #ধূমপান_বর্জন #বায়ুদূষণ_প্রতিরোধ #স্বাস্থ্যসচেতনতা #ব্রেথ_ইজি

✔️✔️যকৃৎ: এক নীরব সৈনিক, যে তোমার যত্নের অপেক্ষায়তুমি যখন কাজের চাপে ভুলে যাও খাবার খেতে, যখন রাত জাগার অভ্যাস করে ফেলো...
25/03/2025

✔️✔️যকৃৎ: এক নীরব সৈনিক, যে তোমার যত্নের অপেক্ষায়

তুমি যখন কাজের চাপে ভুলে যাও খাবার খেতে, যখন রাত জাগার অভ্যাস করে ফেলো, কিংবা যখন একটু আনন্দের নামে অস্বাস্থ্যকর খাবার কিংবা অ্যালকোহল গ্রহণ করো—তোমার শরীরের ভেতরে থাকা একটি নীরব সৈনিক চুপচাপ সেই সব ক্ষতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সৈনিকের নাম যকৃৎ।

তুমি হয়তো কখনো আলাদা করে অনুভব করো না, কিন্তু তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি শক্তির উৎস, আর শরীরের প্রতিটি কার্যক্রমই যকৃতের নিরলস পরিশ্রমের ফল। এটি ক্লান্ত হয় না, বিরক্ত হয় না, বরং প্রতিদিন তোমার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য লড়াই চালিয়ে যায়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছো, তুমি যদি তার প্রতি অবিচার করো, তাহলে সে কতদিন লড়তে পারবে?

আজ আমরা জানব এই নীরব রক্ষক সম্পর্কে, তার কাজ, তার অসীম ধৈর্য, তার স্বনিরাময় ক্ষমতা, আর তাকে ভালো রাখার উপায়।

---

✔️✔️যকৃৎ কোথায় থাকে, কেমন দেখতে?

যকৃৎ মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ এবং এটি তোমার পাঁজরের নিচে, শরীরের ডানদিকে অবস্থান করে। দেখতে এটি গাঢ় লালচে-বাদামি, মসৃণ ও নরম। এর ওজন প্রায় ১.৩ থেকে ১.৫ কেজি এবং এটি শরীরের মোট ওজনের প্রায় ২%।

তবে আকার বা ওজনের চেয়ে এর ক্ষমতা অনেক বেশি বিস্ময়কর। এটি প্রতি মিনিটে ১.৫ লিটার পর্যন্ত রক্ত পরিশোধন করতে পারে এবং প্রতিনিয়ত হাজারো জটিল কাজ করে চলেছে—যা তোমার শরীরকে সুস্থ রাখতে অপরিহার্য।

---

✔️✔️যকৃতের প্রধান কাজ: তোমার শরীরকে সুস্থ রাখার নিরলস প্রচেষ্টা

যকৃৎ একাধারে একটি রাসায়নিক কারখানা, একটি বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্র, একটি শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, এবং রোগ প্রতিরোধের প্রধান সৈনিক।

১. শক্তি উৎপাদন: তুমি ক্লান্ত হলে, যকৃৎ তোমার পাশে থাকে

যকৃৎ গ্লুকোজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে। যখন তুমি অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকো, তখন যকৃৎ সংরক্ষিত শক্তি (গ্লাইকোজেন) থেকে গ্লুকোজ তৈরি করে এবং রক্তে সরবরাহ করে, যাতে তুমি দুর্বল না হয়ে পড়ো।

২. হজমে সহায়তা: খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ নিশ্চিত করা

যকৃৎ পিত্তরস (Bile) তৈরি করে, যা চর্বি হজম করতে সাহায্য করে। এটি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি ভেঙে শরীরের কাজে লাগায় এবং অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেয়।

৩. বিষাক্ত পদার্থ পরিশোধন: তোমার প্রতিটি ভুলের বোঝা নিয়ে নেয়

তুমি যখন অ্যালকোহল পান করো, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করো, কিংবা দূষিত খাবার খাও, তখন এই বিষাক্ত পদার্থ শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যকৃৎ এগুলো পরিশোধন করে শরীর থেকে বের করে দেয়।

৪. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: তোমার নিরব সুরক্ষা

যকৃৎ এমন কিছু প্রোটিন ও এনজাইম তৈরি করে, যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংসে সহায়তা করে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

---

✔️✔️যকৃতের আশ্চর্যজনক স্ব-নিরাময় (Self-Healing) ক্ষমতা: তোমার দ্বিতীয় সুযোগ!

যকৃৎ মানুষের শরীরের একমাত্র অঙ্গ যা নিজেই নিজেকে পুনর্গঠন করতে পারে।

🛑যকৃৎ কিভাবে পুনরুজ্জীবিত হয়?

৭০% পর্যন্ত যকৃৎ নষ্ট হলেও এটি নতুন কোষ তৈরি করে সুস্থ হতে পারে!

এটি অন্য কোনো অঙ্গের চেয়ে বেশি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে।

যদি তুমি সুস্থ জীবনযাপন শুরু করো, তাহলে যকৃৎ নিজেই তার অনেক ক্ষতি পূরণ করতে পারবে।

সুস্থ খাবার ও পর্যাপ্ত জল গ্রহণ যকৃৎ পুনর্গঠনের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।

🛑কিন্তু এরও সীমা আছে...

🔴🔴যদি ক্ষতি অনেক বেশি হয়ে যায়, তাহলে আর পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।

🔴🔴সিরোসিস হলে যকৃৎ আর ঠিকমতো পুনর্গঠন করতে পারে না।

🔴🔴ধূমপান ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার স্বনিরাময় ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।

🔴🔴যকৃতের কোষ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুনরুজ্জীবনের গতি কমে যায়, একসময় এটি স্থায়ীভাবে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

এই ক্ষমতা যেন তোমার জন্য একটি দ্বিতীয় সুযোগ। তুমি যদি আজ থেকেই যকৃতের যত্ন নেওয়া শুরু করো, তাহলে এটি ধীরে ধীরে ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু যদি সময় বেশি চলে যায়, তখন কিছুই করার থাকবে না।

---

✔️✔️তোমার যকৃৎকে ভালোবাসার উপায়

১. স্বাস্থ্যকর খাবার খাও

শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খাও

কম চর্বিযুক্ত ও প্রাকৃতিক খাবার খাও

ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলো

২. বেশি জল পান করো

যত বেশি জল পান করবে, যকৃৎ তত সহজে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে পারবে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করো

ব্যায়াম করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে, ফলে যকৃৎ সুস্থ থাকে।

৪. অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকো

অ্যালকোহল ধীরে ধীরে যকৃৎ ধ্বংস করে।

৫. হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করো

হেপাটাইটিস বি ও সি-এর টিকা নাও

নিরাপদ ও বিশুদ্ধ জল পান করো

---

❤️✔️শেষ কথা: তোমার যকৃৎকে একটু ভালোবাসা দাও!

যকৃৎ কখনো অভিযোগ করে না। কিন্তু তুমি যদি তার যত্ন না নাও, তাহলে একদিন সে আর পারবে না। আর তখন তোমাকে তার অভাব অনুভব করতে হবে—একটা অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তাই আজ থেকেই নিজের যকৃৎকে ভালোবাসতে শুরু করো। কারণ, সে তোমার জন্য প্রতিদিন লড়ছে—অসংখ্য ক্ষতিকর বস্তু থেকে তোমাকে রক্ষা করছে।

তুমি কি তার জন্য কিছু করবে?



তথ্য সূত্র- Dr. Bireswar Roy

22/06/2022
22/06/2022

Address

Kolkata
700011

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Affixea posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Affixea:

Share