31/05/2024
সারা শরীরে কোষে জিঙ্ক পাওয়া যায়। শরীরের প্রতিরক্ষামূলক (ইমিউন) সিস্টেম সুচারুভাবে কাজ করার জন্য এটি প্রয়োজন। এটি কোষ বিভাজন, কোষের বৃদ্ধি, ক্ষত নিরাময় এবং কার্বোহাইড্রেটের ভাঙ্গনে ভূমিকা পালন করে। গন্ধ ও স্বাদের জন্যও জিঙ্ক প্রয়োজন। জিঙ্কের ঘাটতি পুরুষ ও মহিলা উভয়ের বন্ধ্যাত্ব, বিষণ্ণতা, চুল পড়া, টাইপ 2 ডায়াবেটিস ইত্যাদির সাথে যুক্ত হতে পারে। টিয়েন্স জিঙ্ক প্লাস ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে এগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে। দস্তা অনেক এনজাইমের সহায়ক ভূমিকা পালন করে যা বিপাক, শ্বসন, প্রজনন, হজম, বৃদ্ধি এবং বিকাশের মতো বিস্তৃত ফাংশন দেয়।
কার্যকারিতা:-
দস্তা বৃদ্ধির জন্য একটি জীবন উপাদান।
এনজাইম নিঃসরণ এবং কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সঠিক বৃদ্ধি এবং ক্ষত নিরাময় পদ্ধতির জন্য সাহায্য করে।
জিঙ্ক চোখের জন্য অপরিহার্য খনিজ।
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, থাইরয়েড ফাংশন।
স্বাস্থ্যকর ত্বক, মাড়ি, পায়ের নখ এবং আঙুলের নখগুলিতে অবদান রাখে।
মস্তিষ্কের স্নায়ুর সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে।
ক্ষুধার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রস্তাবিত এবং জন্য উপযুক্ত:-
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং ঘন ঘন ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়।
বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য।
যাদের চোখ সম্পর্কিত সমস্যা রয়েছে যেমন রাতকানা এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা।
প্রজনন ব্যবস্থার দুর্বল বিকাশ সহ পুরুষ এবং মহিলা।
খারাপ মাড়ি এবং ত্বক যাদের ।
ধীর ক্ষত নিরাময় এবং চুল পড়ার সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা।
কোলাজেন উত্পাদিত হলে শরীর আরও দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে , যা জিঙ্ক পরিপূরক দ্বারা প্রচারিত হয়। জিঙ্ক প্রোটিন এবং কোলাজেন উত্পাদনের পাশাপাশি কোষের বিস্তারের জন্য প্রয়োজনীয়, যা ক্ষত মেরামত এবং নিরাময়ের জন্য প্রয়োজনীয়।
বার্ধক্য বিরোধী প্রভাব :-
একটি সমীক্ষা অনুসারে, জিঙ্ক সেবন অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা বার্ধক্য এবং বার্ধক্যজনিত রোগের সাথে যুক্ত। কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উত্পাদন জিঙ্কের উপস্থিতির সাথে ঘটে যা ত্বককে দৃঢ় করতে সাহায্য করে এবং বলির চেহারা হ্রাস করে।
উন্নত মানসিক স্বাস্থ্য :-
বিষণ্নতা এবং ADHD এর বর্ধিত হার জিঙ্কের অভাবের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ওষুধের সাথে একত্রে নেওয়া হলে, দস্তা সম্ভবত মানসিক সুস্থতা বাড়ায় ।
ব্রণ কমায় :-
জিঙ্ক ব্রণের জীবাণুকে বাড়তে বাধা দেয় এবং গ্রন্থির তেলের উৎপাদন কমায়, ফলে সামগ্রিকভাবে ত্বক ভালো হয়। জিঙ্ক গ্রহণ করা যেতে পারে বা টপিক্যালি ব্যবহার করা যেতে পারে।
উচ্চ জিঙ্ক রয়েছে এমন খাবারের মধ্যে রয়েছে
মংস
মাছ বা অন্য
সামুদ্রিক খাবার
জিঙ্কও থাকে বেশ কিছু খাবারে
দই সহ দুগ্ধজাত পণ্য
ডিম
রসুন
মাশরুম
পালং শাক
ব্রকলি
ছোলা
মসুর ডাল
কাজু
বাদাম
অ্যাভোকাডো
কুমড়ো বীজ ইত্যাদি।
জিঙ্ক বা দস্তা মানবদেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের প্রতি দিন আট মিলিগ্রাম ও পুরুষদের ১১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক খাওয়া প্রয়োজন। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রোটিন উৎপাদন ও দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সাহায্য করে ডিএনএ তৈরিতেও। পর্যাপ্ত জিঙ্কের অভাবে দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জানেন কি জিঙ্কের ঘাটতি চিনিয়ে দিতে পারে কোন কোন লক্ষণ?
১। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত: জিঙ্ক ত্বক ভাল রাখতে যেমন সহায়তা করে, তেমনই হাত পা কেটে গেলে সেই ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। সময় মতো রক্ত জমাট না বাঁধলে ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। কাজেই দেহে জিঙ্কের অভাব থাকলে ক্ষত নিরময়ে বিলম্ব হয়। গালের ব্রণ নিরাময়েও দেরি হয় জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে।
২। ওজন কমে যাওয়া: জিঙ্কের অভাবে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামান্দ্য। ক্ষুধামান্দ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাওয়াদাওয়াতে উৎসাহ কমে যায়। পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া না করলে দেহে পুষ্টির অভাব হয়, ফলে কমে যেতে পারে ওজন।
৩। চুল ও নখের সমস্যা: জিঙ্ক চুল, চুলের গোড়া ও মাথার ত্বক ভাল রাখতে সহায়তা করে। জিঙ্কের অভাবে চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ভেঙে যাওয়া কিংবা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। নখে দেখা যেতে পারে সাদা দাগ।
৪। ঘন ঘন সর্দি জ্বর: জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, ফলে জিঙ্কর অভাবে শরীরে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়, ফলে লেগেই থাকে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা। গবেষণা বলছে, প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের অভাবে সংক্রমণের ঝুকি বেড়ে যেতে পারে প্রায় ৬৬ শতাংশ।
৫। চোখের সমস্যা: চোখ ভাল রাখতেও জিঙ্ক অপরিহার্য। দেহে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে চোখের সমস্যা দেখা দেওয়াও অসম্ভব নয়। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, দৃষ্টি আবছা হয়ে আসা কিংবা চোখ তির্যক হয়ে আসা জিঙ্ক কম থাকার লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের যে কোনও সমস্যায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।