I am here to hear

I am here to hear Friends never feel alone, I do care. And I am always here to hear from you.

Sharing someone’s pain can in fact lessen the intensity and I have experienced that in occasions remedies leap up from the injured soul just through talking and sharing.

19/11/2020

চাকরীটা এবারেও হোল না বিপাশার। কি যে হয় ওর? Interview দিতে গেলেই সবকিছু কিরকম যেন গুলিয়ে যায়। কিছুতেই সাবলীল হতে পারেনা। কথা আটকে যায় – যা বলতে চায় সেটা কিছুতেই ঠিকভাবে বলে উঠতে পারেনা। অথচ চমৎকার result ওর। বরাবরই first class – পড়ুয়া মেয়ে । কিন্তু কথাবার্তা একেবারেই সাবলীল নয়।
শুধু কি তাই ? প্রেমের সম্পর্কগুলোও পূর্ণতা পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়। Problem সেই একই – কিছুতেই সাবলীল হতে পারেনা। কথা বলতে গিয়ে আটকে যায় – কিছুতেই মেলে ধরতে পারেনা নিজেকে। সবসময় একটা ভয় , একটা হীনমন্যতায় ভোগে।
আমার পাশের বাড়ির মেয়ে বিপাশা। আমার থেকে অনেকটাই ছোট। চোখের সামনে বড় হতে দেখেছি। ডানাকাটা পরী বলা চলেনা বিপাশাকে। বেশ সুশ্রী চেহারা। তবু আয়নার সামনে দাঁড়ালেই মন খারাপ হয়ে যায় বিপাশার। মনে হয় সমস্ত খুঁতগুলো যেন ওরইমধ্যে আছে।
চোখের সামনে দেখতাম, বুঝতাম - প্রতিবার এই হেরে যাওয়াগুলো ওকে কুরেকুরে খাচ্ছে। বন্ধুবান্ধবও নেই সেরকম। আস্তে-আস্তে বাইরের জগত থেকে আরও গুটিয়ে নিচ্ছিল নিজেকে। একেবারে একা, নিঃসঙ্গ।
আচ্ছা সমস্যাটা কি শুধু বিপাশার? আমরা অনেকেই কি এই একইরকম যন্ত্রণা, মনখারাপের মধ্যে নেই? আমরা অনেকেই কি চাইনা - এই বিষাদ থেকে বেরিয়ে ঝলমলে একটা জীবন উপভোগ করতে? জীবনে সমস্যা যেমন আছে – সমস্ত সমস্যার সমাধানও কিন্তু এই জীবনেই রয়েছে। শুধু সমাধানটা খুঁজে বের করাটারই যা অপেক্ষা।
তোমাদের বুঝিয়ে বলি। খুব interesting ব্যাপারটা। আমাদের শরীরে প্রধানত সাতটি চক্র আছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তাদের অবস্থান।এদের রং ও আলাদা।
চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কথা তো তোমাদের বলেইছি। তোমরা তো জানোই যে নিশ্বাস নিতে নিতে ও ছাড়তে ছাড়তে শুধু concentrate করতে হয় নিজের শরীরের ওপরে। চক্র নিয়ে কাজ করা মানে সেরকম কিছুই নয়। তোমাকে এক একটা চক্রের ওপরে concentrate করতে হবে। Focus করতে হবে। করে দেখো অদ্ভুত একটা vibration feel করবে সেই জায়গায়। প্রথম দিনই হয়ত feel নাও করতে পারো – practice করতে করতে ক্রমশ অনুভব করতে পারবে। পারবেই।
সাতটি চক্রের নামগুলি হল – (1)Muladhara (Root Chakra), (2)Swadhisthana (Sacral Chakra), (3)Manipura (Solar Chakra), (4)Anahata (Heart Chakra), (5)Vishuddhi (Throat Chakra) , (6)Anja ( Brow Chakra), (7)Sahasrara (Crown Chakra).
আজ আমি যেই চক্রটির কথা বোলবো – তার নাম Muladhara বা Root Chakra. এটা মেরুদণ্ডের নিম্নভাগে অবস্থিত। এই চক্রের সাথে জড়িত কিছু অঙ্গ এবং প্রতঙ্গ হল Pelvic Plexus, শেষের তিনটি vertebrae, the a**s, large intestine, feet and legs.
Root Chakra বা Muladhara আমাদের ভারসাম্য (stability), নিরাপত্তা (security) আর জীবনের মৌলিক শর্তগুলোর (basic needs) ওপরে প্রভাব ফেলে। এই চক্রটি জীবনে স্থিতিশীলতা আনে। Basic needs বলতে আমরা বোঝাই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, নিরাপত্তা। এর সাথে কিছু emotional needs – এর ওপরেও চক্রটি কাজ করে – যেমন interconnection বা communicative power বাড়ায়। নির্ভীক করে তোলে। এই চক্রটির রঙ লাল।
তোমাদের আগেই বলেছি যে কোন একজনের আশীর্বাদে জীবন আমাকে এক অদ্ভুত সুন্দর জাদুকাঠির ছোঁয়া দিয়েছে। সেই জাদুকাঠিটি হোল MEDITATION. যার সান্নিধ্যে এসে আমি খুঁজে পেয়েছি এক নতুন আমিকে।
বিপাশাকে একদিন নিয়ে গেলাম আমার সেই জাদুকাঠির যাদুকরের কাছে। নিশ্চয়ই ভাবছ তোমরা সেই যাদুকরটি কে? কেমন? তাঁর কথাও একদিন বলবো তোমাদের। তবে আজ নয়। এতো অল্পে তাঁর কথা বলা যায়না। তাঁর কথা বলতে অনেক অনেকটা সময় দিতে হবে।
আজ আমার পাশের বাড়িটিতে যেই সুন্দরী যুবতীটি থাকে তাঁর নাম বিপাশা। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর , প্রাণোচ্ছাসে উজ্জ্বল সে। ভালো চাকরি করে। উজ্জ্বল, উচ্ছল, সাবলীল সেই মেয়েটিকে দেখলেই ভালবাসতে ইচ্ছে করবে তোমাদের।
প্রায় বছর খানেক হোল বিপাশা নিয়মিত Meditation করে। দেখা গেছে Muladhara বা Root Chakra’র সাথে ওর সমস্যার অনেকটাই জড়িত ছিল। যেটা আজ আর নেই।
তোমাদের সুবিধার জন্য আমি নিচে একটা diagram দিয়ে দিলাম।
আপাতত এই Muladhara বা Root Chakra টির ওপরে focus করে দেখো। আমায় জানিও কিন্তু কেমন লাগলো practice করে।
এখন তাহলে আসি? সকলে খুব ভালো থেকো।

26/07/2020

আমার মতন তোমরাও কি খুব চিন্তা করো ? আচ্ছা সত্যি বলতো চিন্তা কি কেউ করে ? চিন্তা তো হয়। এটা আমি কিছুতেই বোঝাতে পারি না যে চিন্তা আমি করি না – চিন্তা আমার হয়।
দুশ্চিন্তা, Tension – এগুলো এসে সব সময় মাথার ভেতর ভিড় করে –শরীরে ,মনে তার ছাপ ফেলে যায়। বুক ধড়ফড় করে – মন খারাপ লাগে । ঘুম আসতে চায় না। সব মিলিয়ে জীবনটা just অসহ্য লাগে । আচ্ছা তোমাদের ও কি এরকম হয় ?
আজ থেকে আড়াই বছর আগে আমার আবস্থাটা ঠিক এরকম ছিল। তারপর আমার জীবনে এল এক যাদুকাঠি। তার সান্নিধ্যে, তার ছোঁয়ায় একটু একটু করে সেই আমি হয়ে উঠলাম এই আমি। আবসাদ কেটে গিয়ে মন ভরে উঠল আনন্দে, শান্তিতে। বুঝতে পারলাম নিজের ভেতরেই আছে এক শান্তির খনি। তাকে খুঁড়ে বের করতে হয়। তার জন্য নিজের মনের মধ্যে ঢুকে যেতে হয়।
হ্যাঁ, আমার খুঁজে পাওয়া যাদুকাঠিটি হল MEDITATION। তোমরা কেউ কেউ হ্য়ত ভাবছো Meditate করাটা একটা বিশাল ব্যাপার। আমারও সে রকমই ধারণা ছিল। কিন্তু করতে গিয়ে দেখলাম সে রকম শক্ত কিছু নয়।
ধর, আমরা যে নিঃশ্বাস নিই – সেই নিঃশ্বাস নেওয়া আর ছাড়ার উপরে যদি আমরা মনসংযোগ করি। চোখ বন্ধ করে, মন দিয়ে, শুধু নিঃশ্বাস নিই আর ছাড়ি। নিঃশ্বাস নেওয়া আর ছাড়া – দেখবে এটা করতে করতে তোমার মনের ভেতরটা কেমন শান্ত হয়ে আসবে। এভাবে নিঃশ্বাস নেওয়া আর ছাড়াটা যে মনের ভেতরে এরকম প্রশান্তি এনে দেয় – মনকে এত শান্ত করে তোলে – বিশ্বাস কর এটা প্রথম জানলাম। অথচ এই নিঃশ্বাস নেওয়া আর ছাড়া – এটা আমরা জন্ম থেকে করে চলেছি – সম্পূর্ণ অখেয়ালে। নিজের ভেতরে ঢুকে, চোখ বন্ধ করে, একমনে নিঃশ্বাস নেওয়া আর ছাড়া – এই যাদুকাঠিটি তোমরাও ছুঁয়ে দেখো না। এর স্পর্শে মন ভরে যাবে – আনন্দে, শান্তিতে।

07/05/2020

আচ্ছা, domestic violence –এর খাঁটি বাংলা প্রতিশব্দ হয় কি? ভেবে দেখলাম আক্ষরিক ভাবে বললে বোঝায় গার্হস্থ সংঘাত । কিন্তু এটাকে অনেক সময় পারিবারিক অশান্তি বলে থাকি। ঠিক কি বোঝায় বলতো? বিয়ের পর পণের জন্য অত্যাচার? নাকি বউ-কে পুড়িয়ে মারা? স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ অথবা নিত্যদিনের গঞ্জনা? কিংবা মাতাল, দুশ্চরিত্র স্বামী আথবা দজ্জাল শাশুড়ি? আবার অনেক সময় বাড়ীর বউটিও কম যায় না -- অবহেলা, ঔদাসিন্য, মানসিক আবার কখনও কখনও শারীরিক নির্যাতনে বাড়ীর অথর্ব নির্ভরশীল মানুষগুলির শেষ জীবনটা তারা বীভৎস করে তুলতে পারে। ছেলেমেয়েরা – তারা তো এর এককাঠি উপরে, একটা দামী মুঠো ফোন বা মোটর সাইকেলের জন্য তার মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত বাবা মার জীবন বিষময় করে তুলতে দ্বিধা করে না – আবার খবরের কাগজটা খুললেই দেখতে পাবে কোন উপযুক্ত সন্তান তার অসহায় মাকে রেলস্টেশানে ছেড়ে চলে আসছে, কখনো জোর করে সব নিজের নামে লিখিয়ে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে।
এসব কিছুকেই বোধহয় domestic violence বলে, আর চাইলে হয়ত এসব কিছুরই আইনগত সমাধান পাওয়া যায়। কিন্তু যখন একটা শিশুর ঘুম ভাঙা ভয়ার্ত চোখ শিউরে উঠে দেখে তার বাবা মায়ের তুলকালাম অশান্তি – যখন দিনের পর দিন কাউকে তার নিজের বাড়ীতে সহ্য করতে হয় বিদ্রূপ কাছের লোকের অবহেলা আর সমালোচনা – মনোবল যখন এইভাবে তলানিতে ঠেকে যায় – তখন সে পারে কি আইনের ছাতার তলায় দাঁড়াতে? সমাজ কি মনে করে—সেই মানুষটিও শিকার domestic violence-এর?
তারচেয়ে বরং একটা গল্প বলি তোমাদের। অবশ্য ঠিক গল্প নয় – আমার নিজের চোখে দেখা – আমার মেয়েবেলার কিছু স্মৃতি।
ধরে নাও, মেয়েটির নাম মায়া। আমাদের থেকে কিছুটা বড়ই – নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। কি যেন একটা সাদামাটা চাকরি করত। বিয়ে হল, সম্বন্ধ করে আর সেই সঙ্গে ছাড়তে হল চাকরিটা। স্বামী উপার্জনশীল আর বাড়ীর বউ চাকরী করবে! এটাই বা কেমন কথা? শুরু হল তার সংসার জীবন, ঘরকন্না – রান্নাঘরে। রান্নাঘরেই সময় কেটে যেত তার – সকাল সকাল উঠে চা জলখবার থেকে শুরু করে ঘড়ি ধরে অফিসের ভাত ..... এক্কেবারে রাতের রুটি পর্যন্ত। আর না করেই বা উপায় কি – বাড়ীতে শ্বশুর শ্বাশুড়ি, দু’জন খুড়শ্বশুর আর ছিল অবিবাহিতা বড় ননদ। এছাড়াও ছিল অতিথি অভ্যাগত – লেগেই থাকত – নিয়মমত পূজাপার্বণ – জমজমাট বাড়ী – গমগম করত। এদিক থেকে দেখলে বেশ ভালই ছিল মায়া।
আলুথালু থাকলে সেটা শাশুড়ির নজর এড়াতো না, বড় ননদ বলতো একটা ভাল শাড়ি পরতে। চুল খোলা থাকলে শাশুড়ি এসে চুলও বেঁধে দিতো। আর শ্বশুরেরা, তারা ভারী নির্বিবাদী মানুষ। স্বামী মানুষটিকেও মোটের উপর ভালোই বলা চলে। অন্ততঃ মাতাল হয়ে বাড়ী ফিরে অশান্তি করেছেন বা মহিলা ঘটিত কোন ব্যাপার ছিল – এরকম তো কেউ কোনদিন শোনেনি। পণের জন্য মায়াকে কেউ কোনদিন কথা শোনায়নি আর মাঝেমাঝে তাকে বাপের বাড়ীতেও যেতে দেওয়া হত। সেখানে লোক-লৌকিকতা, দেওয়া-থোয়া – এসব ব্যাপারে ছিল তার শ্বাশুড়ির কড়া নজর।
ঠিক এখন না হলেও – কয়েক বছর আগেও মেয়েদের জীবনটা এমনই হতো—মানে মধ্যবিত্ত বাড়ীর গড় মাপের মেয়েদের আরকি। তাহলে মায়া কি সুখী ছিল? আমার যেন মনে হতো মায়া খুব একটা ভালো নেই। মানিয়ে নিয়েছিল ঠিকই – কিন্তু...।
মায়ার আর একজন ননদ ছিল – বয়স টা মায়ার মতই হবে – বাবা মায়ের আদুরে ছোট মেয়ে। বিবাহিত, থাকত মায়াদের খুব কাছেই। স্বামী স্ত্রী দুজনে শুধু – কপোত-কপোতীর সংসার – প্রচুর অবকাশ তায় অবসর। সেজেগুজে প্রায় রোজই চলে আসতো মায়ের কাছে। মায়ার সাথে বেশ ভাব ছিল তার – ননদকে চা করে দিতে দিতে মায়া শুনত কলকাতার নৈশজীবনের গল্প, রাতের পার্কস্ট্রীট – রেস্তোরাঁর মায়াবী আলোয় প্রিয় মানুষটার সাথে আর উছলে পড়া ফেনিল পানীয় – এসব তো মায়া কোন দিনই দেখে নি।
মায়ার বিয়ের পরপরই একবার ননদটি আগ বাড়ীয়ে চারটে সিনেমার টিকিট কেটে এনেছিল, কথা ছিল তারা দুজন যাবে সাথে নন্দাই। আর মায়ার স্বামী অফিস ফেরত পৌঁছে যাবে সোজা হল-এ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনজনে মিলেই সিনেমাটা দেখা হয় – বিশেষ কিছু নয় – মায়ার স্বামী ব্যাপারটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। সেই প্রথম আর সেই শেষ – তার আর স্বামীর সাথে সিনেমা দেখা হয়নি। তবে সিনেমা কি দেখত না, সে দেখেছে কিছু কিছু ছোট ননদের সাথে- অনেকটা দায়ে পরেই।
রান্নাঘরে দিনের অনেকটা সময় কাটিয়ে দিলেও রান্না জিনিস্টা মায়া খুব একটা কব্জা করতে পারেনি। নুন চিনির আন্দাজ, কম মসলা বেশী মসলা এসব কেন জানি না তার আয়ত্তে আসতে চাইতো না। বেশ ভয়ে ভয়েই থাকত দেখতাম। এই বুঝি স্বামী অফিস যাবার সময় ডালের বাটিটা ঠেলে দিয়ে বলবে অখাদ্য আর শক্ত হয়ে উঠবে শাশুড়ির মুখটা।
সময়ের সাথে সাথে সংসারে স্বাচ্ছল্য এল – মায়ার স্বামী একটা গাড়ীও কিনল। মায়ার নন্দাইও ঠিক তার গায়ে গায়েই একটা গাড়ী কেনে আর মায়ার ননদও ব্যস্ত হয়ে পড়ে চালানো শিখতে। শিখেও নিল। বাচ্চারা ইস্কুলে ভর্তি হয় – এমনকি মায়ার ননদ মাঝে মাঝে তাদের ইস্কুলে পৌঁছেও দিতো। সুন্দরী সুসজ্জিতা আধুনিক পিসির সাথে গিয়ে গাড়ী থেকে নামতে মায়ার মেয়ে বেশ গর্বই বোধ করত। তেলতেলে মুখ, হলুদ মাখা আঙ্গুল আর অগোছালো শাড়িপরা মা যেন তার সেই ছোট্ট জীবনে এক বিষম লজ্জা – এটা লুকিয়ে রাখাতেই সে বেজায় স্বচ্ছন্দ্য। এরপর শুরু হল তার আব্দার –স্কুলে parents teacher meeting –এ মায়ার বদলে তার পিসীকেই যেতে হবে। না পারে মায়া ভালো ইংরাজি বলতে না পারে ঠিক মতো সাজতে – আর হাতের লেখা সে তো পড়ারই অযোগ্য। এতে বোধহয় বাড়ীর সকলের একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থনও ছিল – আর সেই কারণে মেয়ের আব্দারটাই মেনে নিল সবাই।
খুব খুঁত ধরত মেয়েটা- মায়ার রান্নাটা তার ঠাকুমার মত নয় – হাতের লেখাটাও পিসির মত নয় আরো কত কি। তাল মিলিয়ে সুযোগ পেলেই মায়ের সমালোচনা করা তার কেমন একটা অভ্যাসেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। মায়ার মনে হতো যেন তার মেয়ে তক্কে তক্কে থাকে – সুযোগ পেলেই ঠাকুমার কাছে নালিশ ঠুকবে। আদরের নাতনি, ঠাকুমাও মায়াকে দু এক কথা বলতে ছাড়তো না। কিন্তু এই সব নিয়ে যে মেয়েকে কিছু বলা বা শাসন করা – না , সেসব মায়া ভাবতেও পারতো না।
মায়ার স্বামী মানুষটির বিরুদ্ধে ঠিক সেভাবে কোন অভিযোগ করা যায় না। মায়ের বাধ্য ছেলে, বাড়ীর গুরুজনদের প্রতি যথেষ্ট ভক্তি শ্রদ্ধাও ছিল। সন্তানের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য কোন কিছুতেই তার ত্রুটি কেউ দেখেছে -- এরকম তো শুনিনি। জামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়ীর প্রতিও অবহেলা কোনদিন দেখিনি। পালাপার্বণে হাজিরও হতেন – তবে শুনেছি সেখানে কোনদিন রাত্রিবাস করেন নি। মায়ার বিয়েটাও খুব অদ্ভুত, কথাবার্তা একটু এগতে – তার হবু স্বামী তাকে দেখতে এসেছিল –আর দেখে নাকি পছন্দ করে নি। ঠারে ঠারে সেটা বোঝালেও বাড়ীর কেউ সেটা বুঝতেই পারেনি আর তাই এই বিয়েটা ছিল অনেকটা ঢেকি গেলার মত।
জানি না এই ব্যাপারগুলো মায়া পরে জানতে পেরে ছিল কিনা, তবে এটুকু জানি স্বামীর মনের কাছাকাছি মায়া কোনদিন আসতে পারেনি। আর হয়ত তার স্বামীও ঠিক সেইভাবে মায়ার নিজের মানুষ হয়ে ওঠে নি।
দিনের পর দিন মায়াকে আমি দেখেছি – নিজের মত করে বোঝার চেষ্টা করেছি। কষ্টও পেয়েছি মানুষটির জন্য। কাউকেই কিছু বলতে পারেনি মায়া। আর তোমরাই বলো – নালিশই বা কি করবে? পারিবারিক নির্যাতন বা পীড়ন ঠিক একে বলা যায় কি ? অর্থাৎ ওই domestic violence আরকি। তবুও -- কষ্টটা তো থেকেই যায়।
না বলার কষ্ট, কাছের লোকের না বোঝার কষ্ট। – সন্তানের অবহেলা অসম্মানের কষ্ট –তাই নয় কি?

Few Words
27/04/2020

Few Words

A few words............

27/04/2020

A few words............

25/04/2020

Address

Kolkata
700010

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when I am here to hear posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to I am here to hear:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram