
14/08/2025
কালসর্প যোগ কতটা ভয়াবহ ❓
জ্যোতিষ শাস্ত্রে কাল সর্বযোগ বলে একটা কথা আছে। সাধারণত রাহু এবং কেতু মহারাজের মাঝখানে যদি সমস্ত গ্রহ গুলো চলে আসে তখন তাকে কালসর্প যোগ বলা হয়। কিছু মতে অবশ্য বলা হয় এটাও যে, পরপর চারটি ঘর বা হাউস যদি ফাঁকা থাকে তাহলেও এই দোষ ধরা হয়।
মোট ১২ রকমের কালসর্প যোগ হয় । এখন দেখে নেওয়া যাক এর থেকে প্রতিকারের কি উপায়?
এবং এই দোষ বা যোগ যদি মানুষের চার্ট এ থাকে, তবে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।প্রতিটি মানুষের তখন তার জীবনে বিভিন্ন বাধা বিঘ্নের সম্মুখীন হন এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায় খোঁজ করেন। অন্যান্য নৈসর্গিক পাপ গ্রহর অবস্থান বা দৃষ্টির কথা আলাদা করে না ধরেই বলছি।মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম সমস্যা এবং তার থেকে বৃদ্ধি পায় মনের মধ্যে আতঙ্ক এবং ভয়াবহতা।
এই কালসর্প জোগ থেকে মুক্তির কোন উপায় কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্রে কোথাও সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। এবং কোন দেবতারও কিন্তু পুজো করার নিয়ম কোথাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া নেই।যোগ সাধনা বা ধ্যানের মাধ্যমে সর্প বা সাপকে দেবতা মনে করে পুজো করা হয়। এক্ষেত্রে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ এবং শিবের আরাধনাই শ্রেষ্ঠ উপায়।
এবং এই যোগ থাকলে মন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে প্রতিদিন পুজো করা যেতে পারে ওম নাগেশ্বরায় নমঃ, ওম মহাকালায় নমঃ, জপ করা প্রয়োজন। যদি কেউ প্রমাণ সহকারে প্রতিভা প্রতিকার চান সেক্ষেত্রে সিদ্ধ গুরু দ্বারা কালসর্পসিদ্ধ যন্ত্রম ধারণে অবশ্যই শুভ ফলপ্রাপ্ত হয়।
যদি সম্ভব হয় তাহলে কাল সর্প যোগীদের সূর্য বা চন্দ্র গ্রহনের দিন বা সময় রুদ্রাভিষেক করানো প্রয়োজন এতে কাল সর্প যোগের শান্তি হবে এবং জীবনে আসা নানা বাধা দূর হয়। সমস্যা অনেকটা কমবে। রুদ্রাভিষেকের সময় অন্যান্য পুজোর জিনিসপত্র ছাড়াও একটির রুপোর নাগ এবং একটি নাগিন অভিষেকের সময় ভগবান শিব এর সামনে রাখতে হবে। অভিষেক এর আগে ওই রুপর নাগ, নাগিনীকে আগে থেকেই তামার পাত্রে মধু ভরে তাতে রেখে দিতে হবে এবং অভিষেক সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ওই তামার পাত্র সমেত নাগ নাগিনীকে ওই পুরোহিত কে দান করে দিতে হবে।কাল সর্প যোগ শান্তির এটাও একটা পদ্ধতি।
এই যোগের প্রতিকার সাধারণত ত্রম্বোকেশ্বর মন্দির এ করা হয়ে থাকে।নাসিক থেকে কিছুটা দূরে এই মন্দির।
🕉️🕉️🕉️
শ্রী রাজীব শাস্ত্রী
🙏🏻🙏🏻🙏🏻
8777432199:9830118636