Dr Sudip Kumar Ghosh ENT Surgeon

Dr Sudip Kumar Ghosh ENT Surgeon I am an ENT specialist . For consultation contact me at 7003790891 beforehand .

Good night .
08/09/2025

Good night .

The red moon eclipse . Good night .
07/09/2025

The red moon eclipse . Good night .

Good morning .
07/09/2025

Good morning .

Good morning .My painting .
03/09/2025

Good morning .My painting .

31/08/2025

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।

পর্ব -৮

ডলফিন শো দেখার জন্য আমরা সামনের দিকেই বসলাম । তবে চার পাঁচটা সারি বাদ দিয়ে । সামনের দিকে যে বাবা মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে বসেছে সকলেই প্লাস্টিকের শীট নিয়ে এসেছে । কারণ সহজেই অনুমেয় । ডলফিনের মত বৃহৎ সামুদ্রিক জীব যখন জলের ওপর আছড়ে পড়ে তখন আশেপাশে জল তো ছিটবেই । জল থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই প্লাস্টিক এর মোড়ক ।

শো যেখানে হচ্ছে তার এক পাশে গ্যালারির মত ধাপ উঠে গেছে । তবে চেয়ারে বসার ব্যবস্থা । মাঝামাঝি জায়গায় কিছু চেয়ার ফাঁকা দেখলাম । চেয়ারগুলো আলাদা করে সাদা রং করা । আস্তে আস্তে সব আসন ভর্তি হয়ে গেল । বেশী লোক হলে সব শেষে ওপরে দাঁড়িয়ে দেখার ব্যবস্থা । একেবারে শো শুরু হওয়ার আগে দেখলাম ওই সাদা চেয়ারগুলো কচিকাঁচা বাচ্চাতে ভরে গেল । পরে জানলাম ওরা কেউ অক্ষম , বিকলাঙ্গ , অশক্ত । তাই বিশেষ ব্যবস্থা । ওই যে বললাম , জাপানিদের সাথে আমাদের চিন্তাধারার অনেক ফারাক ।

শো শুরুর আগে ট্রেইনাররা ডলফিনগুলোকে একে একে খেলা দেখানোর জায়গায় ছেড়ে দিল । ওরা সাঁতার কাটতে থাকল । আর ট্রেইনার ডাকলে তার কাছে যেতে লাগল । শো এর প্রথমে সিন্দুঘটক নিয়ে একটি মেয়ে এল । জাপানি ভাষায় কি বলছিল জানি না । ওর কোথায় উঠছে , বসছে , পাখা নাড়িয়ে তালি দিচ্ছে । এমন কি ফ্লাইং কিস ও । কিন্ত এক একটি খেলা দেখানোর পর ওকে দু তিনটে করে মাছ খেতে দিতে হচ্ছে । উপঢৌকন আর কি । না হলে খেলা দেখাবে না । ট্রেইনারের দিক থেকে ওর চোখ সরছে না । দর্শকের সামনে এসেও খেলা দেখাচ্ছে । ডলফিনরাও ভাল খেলা দেখায় । খুব উঁচু লাফ দেয় । প্রচুর জল ছেটে । খুবই মজা লাগে দেখতে । একটা ভিডিও শেযার করলাম । খেলাগুলো কিন্ত্ত সবই সঙ্গীতের তালে তালে । সামুদ্রিক প্রাণী ও মানুষের এই যে মেলবন্ধন ta কিন্ত্ত আমাকে যথেষ্ট অবাক করল ।

পনেরো মিনিটের মতো শো । শেষ হতে বেরিয়ে পড়লাম মিউজিয়াম থেকে । সামনেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড । প্রবল হওয়া এখনও বইছে । একবার প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে তাকালাম । পাড়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে । আজ আর সে প্রশান্ত নয় । একটু অশান্তই । স্থানীয় লোকেরা যে যার মত গাড়ি নিয়ে এসেছে । স্ট্যান্ডে একটা ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে । ওয়ারাই স্টেশন এখান থেকে চার পাঁচ কিলোমিটার হবে । ট্যাক্সিতে উঠলাম । মিনিট পনেরোর মধ্যে স্টেশনে পৌঁছলাম । ভাড়া দুই হাজার ইয়েনের কাছাকাছি । ভারতীয় মুদ্রায় হাজার টাকার বেশী । ছোট স্টেশন । ফাঁকা এবং পরিষ্কার । যাত্রী আমরা ছাড়া তিন জন । লোকাল ট্রেনে মিতো যাব । এখন বাজে আড়াইটের মত । তিন কামরার ট্রেন । আস্তে কুড়ি মিনিট দেরী । এখানে স্টেশন মাস্টার নিজেই টিকিট দিলেন । এই দূরদূরান্তের স্টেশনেও ওয়াশরুম চকচকে । সব কিছুতে সেন্সর লাগানো ।

যথাসময়ে ট্রেন এল । জাপানের গ্রাম দেখতে দেখতে আধ ঘন্টার মধ্যে মিতোতে পৌঁছলাম । চারটার মধ্যে মিতোর হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা । আমরা সকালেই চেক আউট করে নিয়েছিলাম । লাগেজ হোটেলের লবিতে রাখা ছিল । আজ বিকেলের ট্রেনে টোকিওর উদ্দেশ্যে যাত্রা করব । বাকিটা পরের পর্বে ।

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।                 পর্ব - ৭রাতে আর জাপানী রেস্তোরায় খেতে ইচ্ছে করছিল না । গুগলে মিতো শহরের ভারতীয়...
25/08/2025

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।

পর্ব - ৭

রাতে আর জাপানী রেস্তোরায় খেতে ইচ্ছে করছিল না । গুগলে মিতো শহরের ভারতীয় রেস্তোরার খোঁজ করা হল । ভারতীয় না হলেও একটা নেপালী রেস্তোরার খোঁজ পাওয়া গেল । এখানে রাত দশটার পর কোন রেস্তোরায় অর্ডার নিতে চায় না । যাইহোক নেপালী ভদ্রলোক রাজী হয়ে গেলেন । নান, স্যালাড, ফুলকপির তরকারী, আইসক্রীম। খাওয়াটা মন্দ হল না । হাঁটতে হাঁটতে মিতোতে আমাদের হোটেলে ফিরে এলাম । রাত এগারোটা হবে । খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম ।

পরেরদিন সকালে আমাদের গন্তব্যস্থল ওয়ারাই একুয়া টিক মিউজিয়াম । সকালে স্নান সেরে সাড়ে নয়টার মধ্যে প্রাতরাশ সেরে নিলাম । মিতো থেকে ওয়ারাইয়ের দুরত্ব বারো কিলোমিটার । ওয়ারায় একটা ছোট শহর । প্রশান্ত মহাসাগরের পারেই অবস্থিত । প্রধান আকর্ষণ এই মিউজিয়াম । আমরা যেহেতু চারজন তাই একটা ট্যাক্সি নিয়ে নিলাম । শহর থেকে বেরোতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেল । আধ ঘন্টায় আমরা ওয়ারাই মিউজিয়ামের সামনে চলে এলাম । ভাড়া লাগল সাড়ে পাঁচ হাজার ইয়েন । ভারতীয় মুদ্রায় তিন হাজার টাকার বেশী । বারো কিলোমিটারের জন্য । অনেক বেশী মনে হচ্ছে না । আসলে জাপানে ট্রেনের ও ট্যাক্সির ভাড়া একটু বেশীই । পরিষেবা ও অসাধারণ । কোন ট্যাক্সি কোন যাত্রীকে ফেরায় না । যাব না বলে না । জাপানে তুলনামূলক ভাবে খাওয়াদাওয়ায় খরচ কম ।

মিউজিয়াম প্রশান্ত মহাসাগরের পারে । ট্যাক্সি থেকে নামতেই এক অসম্ভব সামুদ্রিক হাওয়ার সম্মুখীন হলাম । সাথে অল্পসল্প বৃষ্টি । এই মাতাল হাওয়ায় ছাতা ধরে রাখা সম্ভব নয় । এই হাওয়ায় দাঁড়িয়ে থাকাও কিঞ্চিৎ বিড়ম্বনারও । যেন উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে । হাওয়ার গতিবেগ সত্তর থেকে আশি কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় । তার সাথে প্রশান্ত মহাসাগরের গর্জন । ঢেউগুলোকে যেন কেউ পাড়ে আছাড় মারছে । বাইরে থাকা একপ্রকার অসম্ভব । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকিট কেটে মিউজিয়ামে ঢুকে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ । আমরাও তাই করলাম ।

মিউজিয়াম পাঁচ ছয় তলা হবে । কত যে বিরল প্রজাতির মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী দেখলাম বলে বা লিখে বোঝাতে পারব না । কিছু ছবি দিলাম দেখার জন্য । শার্ক প্রজাতির নানা মাছ দেখলাম । স্টিং রে দেখলাম । জায়ান্ট ক্র্যাব দেখলাম । প্রচুর ছোট ছোট বাচ্চা এসেছে বাবা মায়ের সাথে । আমি আর কি সামুদ্রিক প্রাণী দেখব ? আমি তো বাচ্চাগুলোকে দেখে সময় কাটিয়ে দিলাম । ওরা সবাই হাত দিয়ে আলো ধরছে । মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে । লেসার রশ্মির আলোকমালায় সজ্জিত অন্ধকার জায়গায় বাচ্চাদের এই আলোকমালা ধরার খেলায় মেতে থাকলাম ।

মিউজিয়ামের মধ্যে রেস্তোরায় কফি অর্ডার দিয়ে বাইরের বারান্দায় বসতে গেলাম । কিন্ত সম্ভব হল না । মাতাল হাওয়ায় চেয়ার টেবিল সব উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে । তাই ভেতরেই বসলাম । পেঙ্গুইন , সিন্ধুঘটক যে যার স্থানে দাঁড়িয়ে বা বসে আছে । যেন সবাইকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে । এখানকার প্রধান আকর্ষণ ডলফিন শো । যা দেখার জন্য লম্বা লাইন । আমরাও আস্তে আস্তে ডলফিন শো দেখার জন্য চেয়ারে গিয়ে বসলাম । এই শো এর ব্যাপারে বলব পরের পর্বে ।

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।               পর্ব - ৬ অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম । কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে আমাকে ...
21/08/2025

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।

পর্ব - ৬

অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম । কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে আমাকে অসুস্থ করে তোলে । তাদের থেকে পরিত্রাণ পেয়ে আবার আমার লেখা শুরু । রাজাদার কাজ দুপুর দুটোর মধ্যে হয়ে যাওয়ায় আমরা ঠিক করলাম একটু বিশ্রাম নিয়ে চারটে নাগাদ উচিয়ারা যাব । উচিয়ারা মিতো থেকে মাত্র দুটো স্টেশন । আমরা যাব AEON মলে । এই মলটি উন্নত দেশে শহরের মধ্যে থাকে না । শহরের বাইরে একটু গ্রামের দিকেই থাকে । জাপানের গ্রাম অসম্ভব শান্তিপূর্ণ জায়গা । এখানকার গ্রাম ও শহরের মধ্যে বাছতে হলে আমি গ্রামকেই অগ্রাধিকার দেব ।

হোটেলের ঘরে ফিরে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা চারটে নাগাদ মিতো স্টেশনে চলে এলাম । আমরা উচিয়ারা যাব লোকাল ট্রেনে । এই ট্রেনগুলো ছোট , মাত্র তিন কামরার । কিন্তু সব ট্রেনই শীততাপনিয়ন্ত্রিত । লোকাল ট্রেনে আধ ঘন্টার মত সময় লাগল উচিয়ারা পৌঁছতে । স্টেশনে হাতে গোনা কয়েকজন নামলাম । ফাঁকা স্টেশন । স্টেশনের বাইরে বার হবার জন্য ওভারব্রিজের কাছে এলাম । হেঁটে ওঠা যাবে । লিফট ও আছে । মিনিট তিনেক হেঁটে স্টেশনের বাইরে এলাম । এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে । সন্ধ্যা হব হব । চমৎকার পরিবেশ । কোথাও কোন আওয়াজ নেই । কোন ময়লাও নেই । স্টেশনের পাশের রাস্তা দিয়ে আমরা মলের দিকে এগিয়ে চললাম । আমাদের পেছনে সাত আটজন লোক আসছে । সবার গন্তব্যস্থল AEON মল । মিনিট দশেক হেঁটে আমরা AEON মলের প্রবেশদ্বারের কাছে পৌঁছে গেলাম ।

শহরের বাইরে এতবড় মল ভাবতেই পারিনি । পাঁচতলা বিশাল জায়গা জুড়ে মল। । প্রবেশদ্বারের বাইরে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা । সাইকেল রাখার আলাদা জায়গা । যেটা চোখে লাগল তা হল সারমেয় ও অন্যান্য চারপেয়েদের বেঁধে রাখার জন্য আলাদা স্থান । যেখানে আপনি আপনার পোষ্যকে বেঁধে রেখে মলে যেতে পারেন । পোষ্যকে পর্যবেক্ষণের লোক অবশ্যই আছে । টোকিও বা মিতো শহরের লোকেরা একান্তে কিছু সময় কাটানোর জন্য এই AEON মল । অবশ্যই কেনাকাটা , খাওয়াদাওয়া তো আছেই ।

মলের ভিতরে ঢুকতেই একতলায় পেটস্ কাউন্টার । পোষ্যদের খাবার , যাবতীয় সাজসামগ্রী এখানে পাওয়া যায় । নানা রকমের কুকুরছানা এখানে বিক্রি হচ্ছে । দাম আড়াই লক্ষ ইয়েনের কাছাকাছি । ভারতীয় মুদ্রায় এক লক্ষ টাকার বেশী । একতলায় আরো অনেক জিনিস । বেশীর ভাগই ইলেকট্রনিক সামগ্রী ।

দোতলা তিনতলায় জামাকাপড় , খেলনা o সাজসামগ্রীর সম্ভার । ঘুরে দেখলাম । কিছু কেনাও হলো । দাম ভারতবর্ষের মতোই ও যুক্তিসঙ্গত । একদিকে KFC , McDONALD দেখলাম । যা আমার চোখ টানলো তা হল মলের একপাশে একটা বিশাল পাঠশালা । অসংখ্য বই । বইপ্রেমীরা বসে বই পড়তে পারেন । কিনতেও পারেন । আমি অবশ্য পড়ার চেষ্টা করিনি । কারণ সব বই জাপানী ভাষায় লেখা । আর আমি জাপানী ভাষা জানি না । অনুবাদক ও নেই ।

রাজাদা এর মধ্যে KFC থেকে কফি ও চিকেন ফ্রাই টাইপের কিছু একটা নিয়ে এসেছে। এক জায়গায় বসে আরাম করে কফিটা পান করা গেল । নিজেদের মধ্যে একটু গল্পগুজব করলাম । আমাদের সাউথ সিটি মল ভালো । কিন্ত বড্ড ভিড় । সবই আছে , কিন্ত্ত পাঠাগার নেই । এবার মিতোতে ফেরার পালা । মিতোতে যখন পৌঁছলাম তখন রাত নটা হবে । এরপর পরের পর্বে ।

01/08/2025

Happy medical representative day . It's today the first of August . Salute to all of you for the hard work , dedication , and the tireless effort you give to your profession . You people have always helped me with medicine for the poor and for camps . Thanks YOU ALL .

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।            পর্ব - ৫ এই দেশে ভোরের আলো স্থানীয় সময় সকাল চারটা নাগাদ ফোটে । আলো চোখে পড়তে ঘুম ভ...
20/07/2025

উদীয়মান সূর্যের দেশে ।

পর্ব - ৫

এই দেশে ভোরের আলো স্থানীয় সময় সকাল চারটা নাগাদ ফোটে । আলো চোখে পড়তে ঘুম ভেঙে গেল । প্রচণ্ড ক্লান্ত । তাই জানালার পর্দা টেনে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । হোটেলের ঘর এগারো তলায় । ঘর থেকে চারিদিকের দৃশ্য খুব সুন্দর দেখা যায় । সকাল আটটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠলাম । জানালার পর্দা সরাতে স্থানীয় লোকের ব্যস্ততা চোখে পড়ল । কেউ স্টেশনে যাচ্ছে । কেউ স্টেশন থেকে বেরিয়ে কাজের জায়গায় । এখানে স্কুল ও অফিস সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে শুরু হয়ে যায় । তিনটের মধ্যে বেশিরভাগ অফিসে ছুটি । অনেকে তার পরে কাজ করে কিছু বেশী রোজগারের আশায় । নীচে চোখ পড়তে আশ্চর্য হলাম । বাসে ওঠার জন্য সবাই সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । কেউ কাউকে ঠেলে উঠছে না ।

রাজাদা কাজের জায়গায় আটটার মধ্যে প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে গেছে । নয়টার মধ্যে প্রাতরাশ সারতে হবে । তাই হাত মুখ ধুয়ে একতলায় প্রাতরাশ কক্ষে প্রবেশ করলাম । বাফেট ব্রেকফাস্ট যাকে বলে । প্রচুর রকমের খাবার । আমি জুস। , ফল , জাপানী ওমলেট , ও ব্রেড দিয়ে প্রাতরাশ সারলাম । এখানে কিন্ত্ত এরা অনেকে প্রতরাশে ভাতও খায় । কেমন শুনতে লাগলো না । সম্ভবত ওই বিদেশিনী তাইওয়ান এর হবে । ছোট ছেলের সঙ্গে প্রাতরাশ সরছিলেন । বাচ্চা ছেলেটি পুরো রাইস খেতে না পারায় প্যাক করে নিয়ে চলে গেল । খাবার শেষে দার্জিলিং চা । জাপানী চা ও ছিলো । কফি ও প্রচুর । যার যেটা ইচ্ছা । ও , ইয়োগার্ট এর কথা তো ভুলে গেছি । অসাধারণ ।

প্রাতরাশ কক্ষ থেকে বেরিয়ে সামনে বিশাল বসার জায়গা । এক পাশে পিয়ানো আছে । কেউ চাইলে বাজাতে পারে । ডান দিকে একটি নামী কোম্পানির হীরের দোকান । হোটেলের ঘরে গিয়ে এবার স্নান করার পালা । এখানে সব হোটেলের ওয়াশরুমে বাথ টাব আছে । সবই অত্যাধুনিক । স্নান সেরে সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমরা মিতো শহরের আশপাশ ঘুরতে বেরোলাম । বেরোনোর সময় দেখি একজন জাপানী মহিলা পিয়ানোতে সুর তুলেছেন 'আমি চিনি গো চিনি ' । কেনো রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি বলা হয় বুঝতে পারলাম


মিতো শহরের মধ্য দিয়ে সাকুরা নদী বহমান । নদীর দুই পার বাঁধানো । স্টেশন থেকে তিনশ কি চারশো মিটার হবে । চারিদিক পরিষ্কার । রাস্তাঘাটে তেমন ভিড় নেই । ছবিতে মিতোর রাস্তাঘাট ও সাকুরা নদী দেখা যাচ্ছে । আবহাওয়া খুব সুন্দর । গরমকালে কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াস দিনের বেলায় । নদীর পাড় দিয়ে আমরা প্রায় চার কিলোমিটার হাঁটলাম । কোনো ক্লান্তি নেই । কোন ঘাম নেই । মাঝে মাঝে নদীর মধ্যে মাছ লাফিয়ে উঠছে । নদীটি খুব একটা চওড়া নয় । কিন্ত্ত অসাধারণ । হাঁটতে হাঁটতে আমরা এক বিশাল জলাশয়ে এসে পৌঁছলাম । অসম্ভব সুন্দর । দুই তিনটে কালো রাজহাঁস আমাদের স্বাগত জানালো । এটি সেনবা লেক ও কাইরাকুয়েন গার্ডেন । পুরো লেকটি গোলাকৃতি ভাবে ঘুরলে পাঁচ ছয় কিলোমিটার হবে । আমরা এক দিকে হাঁটলাম । লেকের পাশ দিয়ে সাকুরা নদী বয়ে যাচ্ছে । ফেরার সময় আমরা নদী পার হয়ে ছোট রাস্তা দিয়ে ফিরলাম । লেকের পাড়ে ওয়াশরুমে যাওয়া যেতে পারে । নিশ্চিন্তে । এত পরিষ্কার যা আমরা ভাবতে পারি না । সব সেন্সর লাগানো কল ও ইউরিনাল । জাপানের প্রত্যন্ত গ্রামে গেলেও এই সুব্যবস্থা আছে । আগেই বলেছি এরা স্বাস্থ্যের ওপর সবার আগে জোর দেয় । এক জায়গায় নদীর পাড়ে মিনিট পনেরো বসলাম । তখন প্রায় তিনটে বাজে । এবার কিছু পেটে দিতে হবে । বলতে ভুলে গেছি । ওই অদ্ভুত প্রজাতির সরমেয়র সাথে আলাপ হলো । এক ভদ্রমহিলা নিয়ে বেড়িয়েছেন । এই প্রজাতি আমি কোনো দিন দেখি নি । বাকি পরের পর্বে । ছবিগুলো কেমন লাগলো জানাবেন ।

Penguins welcoming you at Ueno zoo , Japan .
03/06/2025

Penguins welcoming you at Ueno zoo , Japan .

Address

Nandankanan Main Road
Kolkata
700075

Telephone

+917003790891

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Sudip Kumar Ghosh ENT Surgeon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Sudip Kumar Ghosh ENT Surgeon:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram