08/09/2025
🏆✅️ সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই ইন্ডিয়ার National Nutrition Month হিসেবে পালন করা হয়.. সঠিক খাদ্য নির্বাচন এবং পরিমাণ অনুযায়ী খাবার খাওয়া ছোটবেলা থেকে অভ্যেস শুরু করার দরকার আছে... বাচ্চাদের অবশ্যই দিন ব্যালেন্সড ডায়েট..
🔻 আজ বলব দুই থেকে আট বছর বয়সের বাচ্চাদের খাবার নিয়ে কিছু জরুরী কথা. ...
🎯 রামধনুর মত সাজিয়ে দিন বাচ্চাদের খাবারের প্লেট.. বাচ্চারা ভীষণ পছন্দ করে রঙিন জিনিস...কিন্তু কখনোই কৃত্রিম রঙ নয়.. প্রাকৃতিক রঙ,
যা আসবে নানা প্রকার সব্জি ও ফল থেকে..
🎯 শুধুমাত্র রঙ অর্থাৎ pigment হিসেবে নয়.. প্রতিটি রঙ থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন nutrients..তৈরি হয় Nutritional Diversity.. প্রত্যেক রঙ থেকে পাওয়া যায়, ভিটামিনস, মিনারলস, bioactive compounds,এবং antioxidants..
🎯 সবুজ মানেই আছে ক্লোরোফিল.. তার থেকে পাওয়া যায় #ম্যাগনেসিয়াম..👉 হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে..হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণ করে.. 🏆✅️খাবারে থাকুক পালং শাক .. আয়রনও পাওয়া যায় যেকোনো শাকে..হিমোগ্লোবিনের অভাব ঘটে না. ..
🎯 কমলা ও হলুদ রং আসে #বিটাক্যারোটিন থেকে.. এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট .. যার থেকে তৈরি হয় #ভিটামিনA.. 👉 চোখ ভালো রাখে, শরীরের গঠন ও বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা আছে ..
🏆✅️ খাবারে থাকুক গাজর, কুমড়ো, কমলা লেবু
🎯 টমেটোর লাল রঙের কারণ #লাইকোপিন.. এটি একধরণের carotenoid..যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্ম আছে...👉 Oxidative damage অর্থাৎ কোষের ক্ষতি হওয়া রোধ করে.. ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক কম করে..🏆✅️ খাবারে রোজ থাকুক টমেটো..
🎯 নীল, purple- black রঙের 👉 ব্লুবেরি, কালো আঙুরে থাকে #অ্যান্থোসায়ানিন নামের এক ধরণের flavonoid.. যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে..
🎯 এছাড়াও সাদা রঙের জন্য কারন #অ্যান্থোক্সানথিন নামের flavonoid.. যেটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
👉✅️ কলা, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি তে থাকে
🎯 বাচ্চার diet plan হতে হবে সুষম আহার.. যাতে থাকবে ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের উপযুক্ত ভারসাম্য আর থাকবে ফাইবার..
🎯 ছোটো থেকে সঠিক খাবারের অভ্যেস গড়ে উঠলে .. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়.. প্রাপ্ত বয়সে পৌঁছে, ওষুধ নির্ভর জীবন কাটানোর প্রয়োজন পড়বে না.. সুস্থ ও দীর্ঘায়ু হবে আগামী প্রজন্ম..
🎯 মনে রাখতে হবে, বাচ্চা আপনার কথা শুনবে না..কিন্তু আপনাকে দেখে শিখবে.. কারণ সব বাচ্চা তাদের মা বাবাকে অনুসরণ করে.. আপনি সঠিক জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত হলে বাচ্চাও তাই হবে.. প্যাকেট জাত, প্রক্রিয়া জাত খাবার বাচ্চাকে না দেওয়াই ভালো.. কারণ এই সব খাবারের কোনো ভালো গুণ নেই.. আছে শুধুমাত্র অতিরিক্ত নুন, চিনি আর ট্রান্সফ্যাট.. যার জন্য ইন্টারনাল অরগ্যানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়..
🎯 তাড়াতাড়ি খাওয়ানোর জন্য বাচ্চার হাতে কখনও দেবেন না আপনার মোবাইল ফোন.. একটু দূরত্ব বজায় রেখে টিভিতে ছড়ার গান ইত্যাদি চালিয়ে দিতে পারেন. . কার্টুন দেখেও বাচ্চারা ভুল জিনিস শেখে.. সচেতন থাকবেন. .
ভালো থাকুন সকলে 💕
🖋ডঃ সুদেষ্ণা