
21/04/2025
©️ copyright Protected
।। মহান ব্যবসায়ী বটকৃষ্ণ পাল ।।
লেখক - অমরনাথ নাগ Amarnath Nag
স্বর্গীয় বটকৃষ্ণ পালের বাড়ি তথা ব্যবসা সম্বন্ধে পূর্বে সংক্ষেপে জানিয়েছিলাম। সাধারণের আগ্রহে আরো বিশদে জানালাম। অবশ্য তাঁর মতো বড় মাপের মানুষের কর্মকান্ড স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা অসম্ভব। আভাসটুকু দেবার চেষ্টা করছি।
১৮৩৫ সালে শিবপুরে এক দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতার নাম লক্ষীনারায়ণ পাল ও মাতার নাম শ্যামাসুন্দরী দাসী। বাল্যকালে তাঁর পিতা-মাতা ইহলোক ত্যাগ করেন। তখন তাঁর বয়স ১২। তাঁকে নিয়ে এসে মানুষ করেন তাঁর মামা মামি। তাঁরা শোভাবাজারে বেনিয়াটোলা স্ট্রিটে থাকতেন। তাঁদের স্নেহ-মমতায় বড় হতে থাকেন তিনি। মামা রামকুমারের নতুন বাজারে একটি বড় মশলার দোকান ছিল। মামা ভাগ্নেকে ব্যবসায় শিক্ষার জন্য দোকানে নিয়ে যেতে থাকেন। কিছুদিন দোকানের কাজকর্ম শিখে বটকৃষ্ণ পাল নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন। তখন তাঁর বয়স ১৬। মামা ভাগ্নেকে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার অনুমতি দিলেও তাঁর প্রতি নজর রাখতেন। তিনি চিৎপুরে একটি ছোট ঘরে আফিমের ব্যবসা শুরু করেন। সে ব্যবসা ভালো না লাগায় পাটের ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীকালে বড় বাজারে খেংরাপটী স্ট্রিটে মশলার দোকান খোলেন। এই সময় তাঁর প্রাণ সংশয় দেখা দেয়। ওলাওঠা রোগে আক্রান্ত হন। দীর্ঘদিন রোগে ভোগেন। চিকিৎসায় সুস্থ হলেও মাথায় ঘুরতে থাকে কিভাবে উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা যায়।
সে সময় অ্যালোপ্যাথি ওষুধের তেমন প্রচলন ছিল না। তিনি তাঁর মশলার দোকানে দু-চারটি এলোপ্যাথিক ওষুধ রাখতে আরম্ভ করেন। ওষুধের কার্যকারিতা দেখে এজেন্সি নেওয়ার জন্য চিঠি লিখতে থাকলেন বিলেতের বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানিতে। তাঁর আগ্রহে সন্তুষ্ট হয়ে তারা বি কে পাল কোম্পানিতে ওষুধ পাঠাতে লাগলেন।
সাধারণের কাছে ন্যায্য দামে পৌঁছে গেল অ্যালোপ্যাথি ওষুধ। এই ওষুধের বিপুল চাহিদা দেখে তিনি বৃহৎ দোকানের প্রয়োজন অনুভব করলেন। বড়বাজারে বনফিল্ড লেনে জমি কিনে পাশাপাশি দুটি বৃহৎ চারতলা বাড়ি তৈরি করেন। একটির আয়তন ১৭ কাঠা। অন্যটির ১১ কাঠা। দোকানের পরিধি যেমন বাড়লো তেমনি কর্মীসংখ্যা ক্রমে ক্রমে বেড়ে হলো ৭০০ । এছাড়া ২০০ মুটে, বেয়ারা, দারোয়ানরা স্থায়ীভাবে নিযুক্ত ছিল। দোকানের কর্মচারীদের দোকানের চারতলায় আহারের ব্যবস্থা থাকতো। আহার প্রস্তুত করতে কয়েকজন পাচক নিযুক্ত ছিল। বাড়ির সব তলাতেই ছিল বিভিন্ন ধরনের দোকান।
অ্যালোপ্যাথি ওষুধের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি নিজে দমদমে ১১ বিঘে ৪ ছটাক জমি কিনে ওষুধ প্রস্তুত করতে বৃহৎ কারখানা গড়লেন। দক্ষ বিজ্ঞানী কেমিস্টদের নিযুক্ত করলেন সেখানে। প্রস্তুত হতে থাকলো উন্নত মানের অ্যালোপ্যাথি ওষুধ। গুণমানের জন্য বি কে পাল কোম্পানির নাম ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারত তথা পৃথিবীতে। কারখানার কর্মী সংখ্যা ছিল আড়াই হাজার।
“Indian medical record” ভারতবর্ষের চিকিৎসা সম্বন্ধীয় প্রধান পত্র। তাঁর ১৯০৯ সালের অক্টোবর সংখ্যায় বটকৃষ্ণ পালের প্রতিষ্ঠিত ঔষধালয় সম্বন্ধে মন্তব্য করা হয় -
“Calcutta at least boast one pharmacy organised and financed solely by Indian brain and capital which only through unstinted honesty purpose and dogged perseverance of its founder proprietor has own the confidence and esteem of even the Western world.”
তাঁর কোম্পানিতে প্রস্তুত বিশ্ববিখ্যাত “এডোয়ার্ড টনিক” যা ম্যালেরিয়া রোগের মহৌষধ। এই ওষুধ প্রতি রবিবারে শোভাবাজারের বাড়ি ও দমদমের বাগান থেকে বিনামূল্যে জনসাধারণকে দেওয়া হতো। ছেলেবেলায় দেখেছি এই ওষুধ সংগ্রহ করতে বাড়ির সামনে এতো মানুষের ভিড় হত যে সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যেত। গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো।
বটকৃষ্ণ পাল সাতখানি বৃহৎ বাড়িতে বিভিন্ন বিভাগ স্থাপন করেন।
১ আমদানি বিভাগ (বিদেশি ওষুধ, হরলিক্স, প্রভৃতি জাহাজে এলে সংরক্ষণের জন্য)
২ মুদ্রাযন্ত্র, মুদ্রণ বিভাগ
৩ দন্ত চিকিৎসা ও দাঁত বাঁধাই
৪ শল্যচিকিৎসার যন্ত্র
৫ এদেশীয় ওষুধ
৬ রিসার্চ ল্যাবরেটরি
৭ চক্ষু চিকিৎসা ও চশমা বিভাগ
৮ এরারুটের এর চাষ ও ভেষজ গাছের চাষ দমদমের বাগানে হত
৯ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিভাগ
১০ আয়ুর্বেদিক ঔষধালয় বিভাগ
১১ সুরা বিক্রয় বিভাগ
১২ শোভাবাজার শাখা ঔষধালয়
১৩ ফটোগ্রাফিক বিষয়
১৪ পশু চিকিৎসা বিভাগ
১৫ ঘড়ি বিভাগ
১৬ এছাড়া ১২১ নম্বর খেংরাপটী স্ট্রীট এবং ১২ নম্বর ও ১৩ নম্বর বনফিলড লেনের বৃহৎ বৃহৎ বাড়িতে মূল ঔষধালয় এবং কার্যালয় স্থাপিত।
তিনি যে ব্যবসাই করেছেন সোনা ফলেছে। প্রভূত অর্থ যেমন উপার্জন করেছেন তেমনি দান করেছেন অকাতরে। তাঁর কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ ফিরে যেত না। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বেঙ্গল কেমিক্যাল স্থাপনের জন্য সাহায্য চাইলে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ভূতনাথ পাল সাহায্য করেন। নিঃশর্তে দান করেন পাঁচ লক্ষ টাকা। বিনিময়ে কোন লভ্যাংশ নেননি। বেঙ্গল কেমিক্যাল এর প্রবেশদ্বারে আজও লেখা আছে FINANCED BY BHUTNATH PAUL. ভূতনাথ পাল ছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যাল এর ফাউন্ডার ডিরেক্টর। উল্লেখ্য বেঙ্গল পটারিরও ফাউন্ডার ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
তাঁর দ্বিতীয় পুত্র স্যার হরি শংকর পাল ১৯৩৬ সালে কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন। আজীবন ছিলেন শোভাবাজার অঞ্চলের কাউন্সিলর। তিনি এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ ভোটে দাঁড়াতো না। ১৯৩০ সালে তিনি স্যার উপাধি পান। ব্রিটেনে যান বিলিতি ওষুধ কোম্পানির ব্যবসা পরিচালন ব্যবস্থা দেখতে। ১৯২১ সালে তিনি বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
কলকাতায় প্লেগ মহামারী আকার নিলে বটকৃষ্ণ পাল শোভাবাজার অঞ্চলে নন্দরাম সেন স্ট্রিটে একটি বৃহৎ হাসপাতাল স্থাপন করেন। সেখানে রোগীদের বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা করা হতো। রোগীদের প্রয়োজনীয় শয্যা নানাবিধ সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করতেন।
রামকৃষ্ণ মিশন কাশীধাম হরিদ্বার আলমোড়া প্রভৃতি স্থানে সাধারণের উপকার সাধনে ঔষধালয় ও হাসপাতাল স্থাপন করে। বটকৃষ্ণ পাল সেইসব ঔষাধালয় ও হাসপাতালে বহু মূল্যের ওষুধ ও পথ্যাদি নিয়মিত রূপে সরবরাহ করতেন।
১৯১০ সালে শিবপুরে প্রতিষ্ঠা করেন বিকেপাল ইন্সটিটিউশন। যা আজও স্বমহিমায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। বেনিয়াটোলায় স্থাপন করেন প্রাথমিক স্কুল। একটি বালকদের অন্যটি বালিকাদের জন্য। দুটি স্কুল অবৈতনিক।
নিঃস্ব অবস্থা থেকে কোটিশ্বর হয়েছিলেন তিনি। কলকাতা শহরে একশোরও ওপর বাড়ি করেছেন। এছাড়া নানান জায়গায় আরো অনেক সম্পত্তি।
তাঁর প্রথম বসতবাড়ি নির্মাণ ৭৭ নম্বর বেনিয়াটোলা স্ট্রিটে। পরবর্তীকালে বাড়ির আয়তন বাড়তে বাড়তে শেষ হয় ৯২ নম্বর শোভাবাজার স্ট্রিটে। তবে তিনি আজীবন ৭৭ নম্বর বেনিয়াটোলা স্ট্রিটের বাড়িতেই থেকেছিলেন। এটি আমার মামার বাড়ি। আমার সৌভাগ্য এই বাড়িতে আমার জন্ম, বড় হয়ে ওঠা, বিবাহ, সপরিবারে বাস। পৃথিবীও ছাড়তে চাই এই বাড়ি থেকে।
বটকৃষ্ণ পাল দার্জিলিঙে করেছেন চারটি বাড়ি। এ বাড়িতে অনেক বিখ্যাত লোক গিয়ে থেকেছেন। দেওঘরে তিনবিঘা চার কাঠা জমিতে করেছেন ৬ টি বাড়ি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল দীপ নারায়ণ সিনহা এখানে গিয়ে থাকতেন। দেওঘরের বাড়িতে টেনিস কোর্ট ছিল। বেনারসে করেন পাঁচটি বাড়ি। এছাড়া বেশ কয়েকটি বাগানবাড়ি। এক নম্বর বিকেপাল লেনের দমদমের বাগান বিখ্যাত ছিল। বাগানের আয়তন ছিল ৩১ বিঘে ১০ কাঠা। এই সৌন্দর্যময় ফুলে-ফলে ভরা বাগানে বড় বড় কোম্পানির পিকনিক হত। বহু সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানে। বাগানে তিনটি টেনিস কোট ছিল। এছাড়া ছিল ফুটবল ক্রিকেট খেলার মতো বড় মাঠ। এই বাগানে এরারুট চাষ করার সঙ্গে সঙ্গে নানা বিধ ভেষজ গাছের চাষ করা হতো। বাগানের প্রধান বাড়িটি ছিল পরম রমণীয়। বাড়ির চারিদিকে কারুকার্য করা ঝুল বারান্দা। বাড়ির লাগোয়া বিরাট পুকুর। বাড়ি থেকেই সিঁড়ি নেবে কাছে পুকুরে। পুকুরের ঘাটে বসে আমরা, মানে ছোটরা, ছিপ ফেলে মাছ ধরতাম। বাড়ির ভেতর দিয়ে ছিল গাড়ি যাবার রাস্তা। অদূরে ছিল অর্কিড গাছের ঘর। সেই ঘরের লাগোয়া ঘাটে বসে বড়রা ছিপ ফেলতেন মাছের আশায়। প্রায় বাগানে মাছ ধরতে যেতেন সিনেমার নায়ক অসিত বরণ বিখ্যাত গায়ক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য প্রমুখেরা। রবিবারে বাড়ির সবার সঙ্গে বাগানে যেতাম।সঙ্গে যেতে বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনেরা। খেলাধুলো পুকুরে স্নান খাওয়া-দাওয়া গান বাজনা করে মহানন্দে কেটে যেত দিনটা। ৬ বিঘে ৪ কাঠা জমিতে লিলুয়ার বাগান ছিল মনমুগ্ধকর। এই বাগানে অনেকে পিকনিক করতে যেত।
বটকৃষ্ণ পাল প্রতিবছর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে তীর্থ ভ্রমণ করতেন। সঙ্গে নিয়ে যেতেন পাড়ার দুস্থ বিধবা ও সধবাদের। রেলের পুরো কামরা সংরক্ষণ করতেন। সবটাই নিজের খরচে।
বৃদ্ধ বয়সে কাশীর বিশ্বনাথকে দর্শন করতে তাঁর মন আকুল হয়।সহধর্মিনী পুত্র-কন্যা আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে যান কাশীধামে। কাশী বিশ্বনাথ কে দর্শন করেন। দেখতে দেখতে আসে ১৯১৪ সালের ১২ ই জুন। কাশীধামে নেন চিরবিদায়।
তাঁর প্রয়াণের পর প্রতিবছর তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হতো। ১৩২৫ সালের ১৬ই আষাঢ় শোভাবাজার রাজবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ বার্ষিক স্মরণ সভা। সভায় মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র নন্দী বলেন -
“আমি বটকৃষ্ণ পালের জীবনী সম্বন্ধে যতদূর জানতে পারিয়া ছিল তাহাতে আমিও নিঃশঙ্ক চিত্তে বলিতে পারি যে বটকৃষ্ণ পাল বাঙালি জাতির মধ্যে একজন মহাপুরুষ ছিলেন। তিনি বাঙালি জাতিকে যে শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন তাহাই তাহার মহাপুরুষতার পরিচায়ক।“
পঞ্চম বার্ষিক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে। ১৩১৯ সালের ১৬ ই জুলাই রবিবার। সেই স্মরণসভায় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেন -
“বটকৃষ্ণ পাল বঙ্গভূমির একজন সর্বাংশে উপযুক্ত পুত্র ছিলেন। তাহার আলোকসামান্য প্রতিভা এবং অসাধারণ পুরুষত্ব-সঞ্জাত কার্যাবলী বাঙালি জাতির স্মরণীয় ও অনুকরণীয়।“
ডাক্তার আর জি কর যার নামে আর জি কর হসপিটাল বটকৃষ্ণ পাল কোম্পানিকে লেখা তাঁর একটি শংসাপত্রের উল্লেখ করছি -
“Messrs. Botto Kristo Paul & Co. have been supplying the above Institution Medicines, Surgical instruments and appliances, bacteriological apparatus etc. for a long time. The articles supplied by them have given us uniform satisfaction always.
The firm is a highly respectable one.”
R.G.KAR.
কলকাতা শহরে বটকৃষ্ণ পালের নামে তিনটি রাস্তা। উত্তর কলকাতায় বি কে পাল এভিনিউ, বেনিয়াটোলা স্রীটে বটকৃষ্ণ লেন এবং দমদমে বি কে পাল লেন। বি কে পাল এভিনিউ এর ওপর আছে বি কে পাল পার্ক। তাঁর নামে দুটি বাজার। একটি বেলগাছিয়ায় অন্যটি সিঁথিতে। তাঁর মর্মর মূর্তি আছে হেদুয়ায়, বিকেপাল পার্কে এবং শিবপুরে তাঁর নামাঙ্কিত স্কুলে। তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ভূতনাথ পালের নামে দমদমে আছে ভূতনাথ পাল রোড।
একটি বিশেষ তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করছি। সুবল চন্দ্র মিত্র সংকলিত বাংলা অভিধানে বটকৃষ্ণ পালের সংক্ষিপ্ত জীবনী আছে। বাংলা অভিধানে জীবনীর উল্লেখ এক বিরল ঘটনা। অভিধানের প্রাসঙ্গিক তিনটি পাতার ছবি এখানে দিলাম।