20/11/2024
The Forgotten Cannibal
Karl Denke (11 February 1860 -22 December 1924)
একজন জার্মান সিরিয়াল কিলার এবং নরখাদক। যিনি 1903 থেকে 1924 সাল পর্যন্ত অজস্র গৃহহীন ও ভবঘুরে মানুষকে নিজের মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে, নিজের সাথে নিয়ে আসতেন এবং তাকে হত্যা করে তার মাংস খেতেন। পরবর্তী সময়ে তিনি Forgotten Cannibal নামে পরিচিত হন।
এই তথ্য আপনারা গুগল থেকেও পেয়ে যাবেন। আমি আপনাকে নরখাদকের সম্পর্কে জানতে লিখছি না। উনার ব্যাপারে একজন বাংলাদেশী বন্ধুর একটা পোস্ট পড়ে কয়েকটা বিষয় আমার মস্তিষ্কে উঁকি দিল।
👉সেগুলো এক এক করে বলি :
✅প্রথমতঃ একজন মানুষ নিজে মানুষ হয়েও কীভাবে অন্য মানুষের মাংস খেতে পারে?
✅দ্বিতীয়তঃ সেই মানুষের পরিবার, মাতা - পিতার ভূমিকা কোথায় সন্তান পালনে?
✅তৃতীয়তঃ কার্ল ডেনকের সাথে এমন কি ঘটেছিল ছোটোবেলায় যে তিনি এমন নরখাদক হয়ে উঠলেন।
👉এবার আসি মোদ্দা কথায়। অর্থাৎ কার্ল ডেনকের পরিবারের ব্যাপারে। উনার পরিবারের মধ্যে কারো সাথে কারো সম্পর্ক ভালো ছিল না। আরও সাংঘাতিক ব্যাপার উনি ভীষণ ভাবে নেগলেক্টেড চাইল্ড।এতটাই নেগলেক্টেড যে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং সেই সময় গোটা উত্তর ইউরোপ দূর্ভিক্ষের কবলে, উনি বাড়ি ফিরে আসেন কিন্তু পরিবারের কাছে আশ্রয় পান নি। ভালোবাসা, স্নেহ তো দূরের কথা।
👉ছোট বেলায় বাড়িতে প্রতিটা ভুলের জন্য শাস্তি পেয়েছেন। এমনকি স্কুলে পড়াশোনা না পারলেও সেই শাস্তিই বরাদ্দ ছিল। উনার নিজের স্বীকারোক্তি ছিল "যে কাজ আমি পারবো না, তার জন্য হাজার শাস্তি দিলেও সেই কাজ আমার দ্বারা হবে না"।
👉একটা শিশু এবং কিশোরের জন্য তার মাতা পিতা আর পরিবার সব হয়। কিন্তু এই নরখাদকের জন্য তেমনটা ছিল না। তিনি স্বভাবে ইন্ট্রোভার্ট ছিলেন।পরিবার সহ সবার কাছ থেকে অত্যাচার,তিরস্কার পেতে পেতে ভিতরে ভিতরে হয়ে উঠেছিলেন হিংস্র।এমনকি কারো উপর রাগ হলে নিজেই নিজের হাতের মাংস কামড়ে ছিঁড়ে খেয়েও ফেলতেন। আর তার কোনো হুঁশ থাকতো না। পরে খেয়াল হলে দেখতেন ক্ষত স্থান থেকে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। এই ভাবে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন Forgotten Cannibal.
👉এই বার আমার উনাকে নিয়ে লেখার উদ্দেশ্য বলি, অনেক গুলো Teenage Counseling করতে গিয়ে আমি দেখছি বাচ্চাদের তাদের পেরেন্ট দের নিয়ে অনেক অভিযোগ। মা অন্য বন্ধুদের সাথে তুলনা করছে। বাবা, একটু গেম খেলতে দেয়না। কোডিং করতে দেয়না। সায়েন্সের কোনো এক্সপেরিমেন্ট করতে দেয় না। কিংবা বাবা বা মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না। কারো হয়তো এক্সট্রা ম্যারিটাল রিলেশনশিপ আছে। একজন সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলার হয়ে বলছি, আপনারা যারা এই রকম পেরেন্টস্ বিশ্বাস করুন আপনাদের পেরেন্টিং পদ্ধতি ভুল।খতিয়ে দেখুন আপনারা নিজেরাই নিজেদের সন্তানের জীবনে এক একটা ভিলেন হয়ে বসে আছেন।
সন্তানদের সময় দিন।ওদের বুঝতে শিখুন। পড়াশোনা যেমন প্রয়োজন তেমনি খেলাধুলা, মোবাইল দেখা, আড্ডা দেওয়াও, হ্যাঁ তবে মাত্রাতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়।এমনকি শাসন ও নয়।
বিঃদ্রঃ : লেখা ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন তবে কপি পেস্ট করে অন্যের পরিশ্রমের ক্রেডিট নিজে কুড়োবেন না।