DEY Financial Planer

DEY Financial Planer Mission to help people in right Financial planning

05/04/2025

আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে:
1. একটিভ ইনকাম
2. প্যাসিভ ইনকাম
3. পোর্টফোলিও ইনকাম

✍️১. একটিভ ইনকাম

একটিভ ইনকাম মানে হচ্ছে এমন আয় যা আপনি সরাসরি পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে উপার্জন করেন। যেমন: চাকরি, ব্যবসা, অথবা এমন কোনো কাজ যা আপনি যতটুকু সময় দেবেন, ততটুকু আয় করবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি দোকান চালান, তবে আপনি যতক্ষণ দোকান চালাবেন, ততক্ষণ আয় হবে; কিন্তু যদি আপনি দোকানে না যান, তবে আয় হবে না।

এই ধরনের আয় বেশিরভাগ মানুষের কাছে সহজ এবং দ্রুত মনে হয়। এটি সাধারণত সবার কাছে পরিচিত একটি মাধ্যম, এবং বেশিরভাগ মানুষ একটিভ ইনকামের দিকে ছুটে চলে। উদাহরণস্বরূপ, চাকরি পাওয়া, মাসে নির্দিষ্ট স্যালারি পাওয়া, কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করা। কিন্তু এই ধরনের আয় সীমিত, কারণ আপনি যতটুকু পরিশ্রম করবেন, ততটুকু আয় হবে। আর একজন মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে পারে, এর বেশি নয়।

যত বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অভিনেতা হোন না কেন, একটিভ ইনকামে আপনি সর্বোচ্চ কতটুকু আয় করতে পারেন? এর পরিমাণ নির্দিষ্ট, এবং এক সময় আপনি সেই সীমার মধ্যে আটকে পড়বেন। তাই, একটিভ ইনকাম দীর্ঘমেয়াদী ধন-সম্পদ গড়ার জন্য যথেষ্ট নয়।

✍️২. প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন আয় যা আপনি কাজ না করেও উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি ঘুমাচ্ছেন, বা অন্য কোনো কাজ করছেন, তবুও আপনার আয় চলতে থাকে। যারা প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করেন, তারা অনেক সময় ধনী হয়ে ওঠেন। কারণ, প্যাসিভ ইনকামের একটা বড় সুবিধা হলো, এটি সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় এবং কখনো থেমে যায় না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি বাড়ি ভাড়া দেন, তবে আপনি প্রতি মাসে ভাড়া পাবেন, আর আপনাকে বাড়ির দিকে কোনো বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে না। এছাড়া বই লেখা, ইউটিউব চ্যানেল চালানো, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা, ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ (Cost Per Action) এই সবই প্যাসিভ ইনকামের উদাহরণ।

প্যাসিভ ইনকাম শুরু করা সহজ নয়, কারণ এর জন্য প্রথমে কিছু সময় এবং পরিশ্রম দিতে হয়। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন, তবে প্রথম কয়েক মাস হয়তো আপনি আয় পাবেন না, কিন্তু একসময় যখন আপনার ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হবে, তখন আয় আসতে থাকবে। অনেক সময়, এই ধরনের ইনকাম শুরু করতে কিছু পুঁজি এবং পরিকল্পনা প্রয়োজন।

এ কারণে অধিকাংশ মানুষ প্যাসিভ ইনকাম এর প্রতি আগ্রহী নয়, এবং তারা একটিভ ইনকামে আটকে থাকে। তবে যাদের প্যাসিভ ইনকাম থাকে, তারা কখনো অর্থ কষ্টে পড়েন না, কারণ তাদের আয় কখনো বন্ধ হয় না। তাই, যদি আপনি জীবনে সফল হতে চান, তবে একটিভ ইনকাম থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে প্যাসিভ ইনকামের উৎস তৈরি করুন।

✍️৩. পোর্টফোলিও ইনকাম

পোর্টফোলিও ইনকাম হল সেই আয় যা মূলত ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে আসে। যারা টাকা আছে, তারা সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে আয় করেন। এই ধরনের ইনকামের জন্য তাদের কোনও কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি শেয়ার বাজারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া, আপনি যদি কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন, তবে সেই ব্যবসা থেকে আয় পাবেন, যদিও আপনার কোনও সরাসরি অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই।

ধনী মানুষ সাধারণত এই ধরনের ইনভেস্টমেন্টে অর্থ রাখেন। কারণ, ব্যাংকে টাকা রাখলে, আসল অর্থের মূল্য দিন দিন কমে যায়। অর্থাৎ, সময়ের সাথে সাথে আপনার টাকা ক্ষয় হতে থাকে। তবে, যদি আপনি সেই টাকা শেয়ার বাজারে, মিউচুয়াল ফান্ডে বা কোনো ভালো ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনার টাকা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি ধনী হতে পারবেন।

যারা পোর্টফোলিও ইনকামে আগ্রহী নয়, তারা হয়তো জানেন না যে বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে তারা তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করতে পারেন।

২০-৮০ সিস্টেম এবং আপনার ভবিষ্যৎ

আপনার যদি প্যাসিভ ইনকাম কিংবা পোর্টফোলিও ইনকামের প্রতি আগ্রহ না থাকে, তাহলে আপনি হয়তো ২০-৮০ সিস্টেমে আটকে যাবেন। এই সিস্টেম অনুযায়ী, ২০% মানুষ ধনী হয়, এবং ৮০% মানুষ গরিব থাকে। পৃথিবীর সম্পদের বড় একটা অংশ ২০% মানুষের কাছে থাকে।

এই কারণে, আপনি যে প্রফেশনে আছেন না কেন, চেষ্টা করুন প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে। আপনি যদি শুধুমাত্র একটিভ ইনকামে আটকে থাকেন, তবে আপনার আয় এক সময় সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। আর প্যাসিভ ইনকাম অথবা পোর্টফোলিও ইনকাম না থাকলে, আপনি সেই ৮০% মানুষের মধ্যে পড়ে যাবেন, যারা সারাজীবন অর্থ কষ্টে ভুগবে।

তাই, আজ থেকেই আপনার আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করুন এবং একটিভ ইনকাম থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে প্যাসিভ ইনকাম অথবা পোর্টফোলিও ইনকাম তৈরি করুন।

আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে এবং আপনি ধনী হতে পারবেন।

উদাহরণ আরও কিছু:
- বই লেখা: আপনি যদি একটি বই লিখে প্রকাশ করেন, তবে প্রতি বিক্রির সাথে আপনাকে কিছু পরিমাণ আয় হবে, যা অবিরাম চলতে থাকবে।
- ইনভেস্টমেন্ট: আপনি যদি স্টক মার্কেট, রিয়েল এস্টেট অথবা কিপট (Crypto) মার্কেটে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনি প্যাসিভ ইনকাম উপার্জন করতে পারবেন।
- অনলাইন কোর্স তৈরি করা: আপনি যদি কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে আপনি একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন, যা মানুষ কিনে নেবে এবং আপনাকে অবিরাম আয় এনে দিবে।

সুতরাং, জীবনে সফল হতে এবং ধনী হতে হলে, একটিভ ইনকাম ছাড়াও প্যাসিভ ইনকাম এবং পোর্টফোলিও ইনকামের প্রতি মনোযোগ দিন।
যোগাযোগ Mob : 8910392796

02/03/2025

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্ম বুঝতে হয়। এগুলো জানলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—

১.পিই (P/E) রেশিও

P/E রেশিও বা Price to Earnings Ratio বোঝায় একটি কোম্পানির বর্তমান শেয়ারপ্রাইস এবং তার প্রতি শেয়ারের আয়ের (EPS) অনুপাত।

P/E কম হলে বোঝায়, শেয়ার হয়ত সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে বা কোম্পানি ভালো ব্যবসা করছে না।

২. EPS (Earnings Per Share)

EPS মানে প্রতি শেয়ারের আয়, যা কোম্পানির মোট লাভকে মোট শেয়ারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে পাওয়া যায়।

৩. নমিনাল জিডিপি (Nominal GDP)

নমিনাল জিডিপি হলো একটি দেশের মোট উৎপাদিত পণ্য ও সেবার বাজারমূল্য, যা বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী গণনা করা হয়। এটি কোনো নির্দিষ্ট বছরের মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) প্রভাব ধরে রাখে।

নমিনাল জিডিপি = পরিমাণ × বর্তমান দাম

রিয়েল জিডিপি মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করে নির্ধারিত হয়।

৪. ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড (Dividend Yield)

ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড বোঝায়, কোনো শেয়ারের তুলনায় বিনিয়োগকারী কত শতাংশ লাভ পাবে।

৫. বুক ভ্যালু (Book Value)

একটি কোম্পানির শেয়ারের প্রকৃত মূল্য বুক ভ্যালু দ্বারা বোঝানো হয়।

৬. বিটা (Beta)

বিটা হলো একটি শেয়ারের বাজারের ওঠানামার প্রতি সংবেদনশীলতা পরিমাপের সূচক।

বিটা = ১: শেয়ার বাজারের মতোই ওঠানামা করবে।

বিটা > ১: শেয়ার বাজারের চেয়ে বেশি ভোলাটাইল।

বিটা < ১: শেয়ার বাজারের তুলনায় স্থিতিশীল।

৭. মার্কেট ক্যাপ (Market Capitalization)

একটি কোম্পানির মোট বাজারমূল্য বোঝাতে মার্কেট ক্যাপ ব্যবহার করা হয়।
ফর্মুলা:

লার্জ ক্যাপ: ₹২০,০০০ কোটি+

মিড ক্যাপ: ₹৫,০০০ - ২০,০০০ কোটি

স্মল ক্যাপ: ₹৫,০০০ কোটি-এর নিচে

এই টার্মগুলো বুঝতে পারলে শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত আরও ভালোভাবে নিতে পারবেন। যেকোনো জায়গায় প্রবেশ করার আগে সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জানা উচিত। এগুলো নেহাত ই কিছু প্রাথমিক কথা, আরো বিস্তারিত পড়াশুনা করলে অনেক জানা যাবে এবং শেয়ারবাজারে একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে সাফল্য লাভ করা যাবে। তবে সবসময়ই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারের লাভ আবার তুলনামূলক অনেক ঝুঁকিহীন ব্যবস্থার জন্য মিউচুয়াল ফান্ড শ্রেষ্ঠ বিকল্প।

22/02/2025

আজ আমরা পার্সোনাল এক্সিডেন্ট পলিসি (PA Policy) সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করব....

পার্সোনাল এক্সিডেন্ট পলিসি (PA Policy) হল এমন একটি বিমা পরিকল্পনা, যা দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু, স্থায়ী বা সাময়িক অক্ষমতা এবং চিকিৎসা ব্যয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে। এটি মূলত দুর্ঘটনার কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সহায়ক।

পি এ পলিসির প্রধান বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা:

১. দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কভারেজ

যদি বিমাকারীর দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু ঘটে, তাহলে মনোনীত ব্যক্তি (নমিনি) বিমার পরিমাণ সম্পূর্ণভাবে পেয়ে যাবেন।

২. স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা কভারেজ

যদি দুর্ঘটনার কারণে বিমাকারী স্থায়ীভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে পড়েন (যেমন হাত-পা হারানো বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারানো), তাহলে তিনি বিমার সম্পূর্ণ অর্থ পেয়ে যাবেন।

৩. স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা কভারেজ

যদি বিমাকারী দুর্ঘটনার কারণে আংশিক অক্ষম হয়ে পড়েন (যেমন একটি হাত বা একটি পা হারানো), তাহলে তিনি বিমার নির্দিষ্ট অংশ পাবেন।

৪. সাময়িক সম্পূর্ণ অক্ষমতা কভারেজ

যদি বিমাকারী কিছু সময়ের জন্য কাজ করতে অক্ষম হন, তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার জন্য সাপ্তাহিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।

৫. চিকিৎসা ব্যয় কভারেজ

দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার চিকিৎসার ব্যয়ও এই পলিসির মাধ্যমে কভার করা যায়।

৬. হাসপাতাল নগদ ভাতা

কিছু PA পলিসি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন দৈনিক ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করে।

৭. পরিবহন খরচ কভারেজ

দুর্ঘটনার কারণে বিমাকারীর মৃত্যু হলে, তার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার খরচও পলিসির আওতায় আসতে পারে।

৮. শিক্ষা বেনিফিট

বিমাকারীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর পর তার সন্তানদের পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়।

কেন অবশ্যই পার্সোনাল এক্সিডেন্ট পলিসি করা উচিত?

১. দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেকোনো সময় আসতে পারে

আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করি, রাস্তা পার হই, কর্মক্ষেত্রে কাজ করি—প্রত্যেকটি মুহূর্তেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। এই ঝুঁকি থেকে আর্থিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য PA পলিসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. পরিবারের জন্য আর্থিক সুরক্ষা

আপনার অনুপস্থিতিতে বা কর্মক্ষমতা হারালে আপনার পরিবারের উপার্জন বন্ধ হতে পারে। এই বিমা সেই শূন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করবে।

৩. জীবন বিমার বিকল্প নয়, কিন্তু অপরিহার্য সুরক্ষা

অনেকেই জীবন বিমা নিয়ে থাকেন, কিন্তু দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতা বা আয়ের ক্ষতির জন্য জীবন বিমা যথেষ্ট নয়। তাই PA পলিসি থাকা আবশ্যক।

৪. কম প্রিমিয়ামে উচ্চ কভারেজ

অন্যান্য বিমার তুলনায় পার্সোনাল এক্সিডেন্ট পলিসির প্রিমিয়াম অনেক কম এবং তুলনামূলকভাবে বেশি কভারেজ পাওয়া যায়।

৫. কর্মজীবীদের জন্য বিশেষ উপযোগী

যারা কর্মক্ষেত্রে ফিল্ড ওয়ার্ক করেন, যাতায়াত করেন, নির্মাণ বা শিল্পকারখানায় কাজ করেন—তাদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

৬. চিকিৎসা ব্যয়ের সুরক্ষা

দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত বেশি হতে পারে। এই বিমা সেই খরচ বহন করতে সাহায্য করবে।

৭. আত্মনির্ভরশীল থাকার সুযোগ

দুর্ঘটনার ফলে যদি কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, তবে এই বিমার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়ে নিজের চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করা সহজ হবে।

পরিশেষে এ কথা বলা যেতে পারে যে:::::

পার্সোনাল এক্সিডেন্ট পলিসি হল এমন একটি বিমা পরিকল্পনা, যা দুর্ঘটনার পরেও আপনার এবং আপনার পরিবারের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। এটি অত্যন্ত কম খরচে বড় ধরনের সুরক্ষা দেয়, যা প্রত্যেকেরই নেওয়া উচিত। আজকের অনিশ্চিত জীবনে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা পরিকল্পনা।
যোগাযোগ, বিশ্বনাথ দে,
Mob: 8910392796, 8820550290

16/02/2025

ভারতে শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন: বেয়ার মার্কেট স্বাভাবিক, বিনিয়োগকারীদের শান্ত থাকার কারণ
********************************************

শেয়ার বাজারের উত্থান-পতনের ইতিহাস
-----------------------------------------------------------------------
ভারতের শেয়ার বাজার তার জন্মলগ্ন থেকে নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী। ১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতা কাণ্ড, ২০০০ সালে ডট কম বাবল, ২০০৮ সালে গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ প্যানডেমিক—এইসব ঘটনার পরেও বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের সেনসেক্স ১৯৮০-৯০ দশকে যেখানে ১,০০০ পয়েন্টের নিচে ছিল, আজ তা ৭০,০০০-এরও বেশি ছুঁয়ে ফেলেছে।

@বেয়ার মার্কেট: কেন এটি খুব স্বাভাবিক?

বেয়ার মার্কেট (Bear Market) হল সেই সময় যখন শেয়ার বাজার ২০% বা তার বেশি পড়ে যায়। তবে এটি শেয়ার বাজারেরই একটি চক্রীয় চরিত্র।

ইতিহাস বলে, প্রতি ৭-১০ বছরে একবার বড় বাজার সংশোধন হয়।

স্বল্পমেয়াদে বাজারের ওঠানামা থাকবেই, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে বাজার বৃদ্ধি পায়।

মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার, বৈশ্বিক ঘটনাবলী এসব বেয়ার মার্কেটের কারণ হতে পারে, কিন্তু এগুলি সাময়িক।

এই সময় বিনিয়োগকারীদের প্যানিক করা উচিত নয়

যখন বাজার পড়ে, অনেক ইনভেস্টর ভয় পেয়ে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি করে দেন। কিন্তু বাস্তবে এই সময়ই সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়।

@ইতিহাস বলে, যারা বেয়ার মার্কেটে ধৈর্য ধরে থাকে, তারা পরবর্তী বুল মার্কেটে (Bull Market) বড় লাভ পায়।

বাজারের পতনের পরে সাধারণত V-Shape Recovery হয়, যেখানে দ্রুত বাজার পুনরুদ্ধার করে।

২০০৮-০৯ সালে বাজার ৫০% পড়ে গিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী ৫ বছরে ২০০% বেড়েছিল।

@মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের কেন স্বাভাবিক থাকা উচিত?

SIP (Systematic Investment Plan) বিনিয়োগকারীদের বেয়ার মার্কেটে সস্তায় ইউনিট কেনার সুযোগ দেয়।

বাজার পড়লে NAV কমে যায়, ফলে SIP বিনিয়োগে বেশি ইউনিট কেনা যায়—এরফলে দীর্ঘমেয়াদে গড় খরচ কমে যায় এবং রিটার্ন বাড়ে।

বেয়ার মার্কেটে প্যানিক বিক্রি করলে লস স্থায়ী হয়ে যায়, কিন্তু ধরে রাখলে রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।

@লং টার্ম বিনিয়োগ কিভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে হারায়?

মুদ্রাস্ফীতি হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে টাকার মূল্য কমতে থাকে।

ধরা যাক, মুদ্রাস্ফীতির হার ৬% এবং আপনার ফিক্সড ডিপোজিটে রিটার্ন ৫%, তাহলে প্রকৃত অর্থে আপনি লস করছেন।

কিন্তু শেয়ার বাজারের দীর্ঘমেয়াদী CAGR (Compounded Annual Growth Rate) ১২-১৫% থাকে, যা মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বেশি।

দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির আয়, মুনাফা ও সম্পদমূল্য বাড়তে থাকে, ফলে শেয়ার বাজার মুদ্রাস্ফীতিকে হারিয়ে দেয়।

শেষ কথা
************

বেয়ার মার্কেট আতঙ্কিত হওয়ার সময় নয়, বরং এটি বিনিয়োগ বাড়ানোর সেরা সুযোগ। SIP চালিয়ে যাওয়া, ভালো স্টকের শেয়ারে ধৈর্য ধরা, এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ ধরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী, এবং ইতিহাস বলে—যারা বিনিয়োগ ধরে রাখে, তারাই জেতে।

06/02/2025

সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য মেডিক্লেম কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সিনিয়র সিটিজেনদের মেডিক্লেম থাকা অত্যন্ত জরুরি, কারণ:

1. উচ্চ চিকিৎসার খরচ – বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়।

2. প্রি-এক্সিস্টিং ডিজিজ কভারেজ – বয়স বৃদ্ধির সাথে অনেকের ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা থাকে, যা কভার করা দরকার।

3. ক্যাশলেস সুবিধা – ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে ক্যাশলেস হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায়।

4. ট্যাক্স বেনিফিট – 80D ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়।

5. লাইফটাইম রিনিউয়াল অপশন – বেশিরভাগ ভাল পলিসির আজীবন রিনিউয়াল অপশন থাকে।

⏩ সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বেস্ট মেডিক্লেম পলিসি নির্বাচন করার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

এন্ট্রি এজ (সর্বোচ্চ বয়সসীমা)

প্রি-এক্সিস্টিং ডিজিজ কভারেজ

ওয়েটিং পিরিয়ড

কাস্টমার রিভিউ ও ক্লেম সেটলমেন্ট রেশিও

---

ভারতের সেরা মেডিক্লেম পলিসি (২০২৫)

সেরা মেডিক্লেম বাছাই করতে হলে ক্লেম সেটলমেন্ট রেশিও, কভারেজ, ক্যাশলেস হাসপাতাল সংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত ই চূড়ান্ত।

মনে রাখতে হবে যে
*********************
✔ সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য মেডিক্লেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✔ বেছে নেওয়ার সময় প্রিমিয়াম, ক্লেম সেটলমেন্ট রেশিও, প্রি-এক্সিস্টিং ডিজিজ কভারেজ ইত্যাদি ভালোভাবে যাচাই করা দরকার।

আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য সঠিক হেলথ পলিসি নির্বাচন করতে চাইলে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন।

বিশ্বনাথ দে।।।
Dey ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস
8910392796,8820550290

05/02/2025

লাইফে টাকার গুরত্ব তখন বুঝতে পারবেন যখন দেখবেন মার্কেটে আপনার আদরের সন্তান একটা খেলনা পছন্দ করেছে কিন্তু আপনি কিনে দিতে পারছেন না।

যখন দেখবেন স্ত্রী সহ বিয়েতে গিয়েছেন, আপনার স্ত্রীকে একদম ফিকে লাগছে।

শশুরবাড়িতে গিয়েছেন, আপনি এবং অন্য জামাই দুজনের প্রতি দুই রকমের ব্যবহার এবং সমাদর।

বউয়ের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে না পারলে বুঝবেন টাকা কেনো প্রয়োজন।

সন্তান বায়না ধরে বসলো একটা সাইকেল লাগবে, বাবা হিসেবে তখন বুঝবেন টাকা কত প্রয়োজন।

পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বুঝবেন টাকা কেনো প্রয়োজন।

আপনার বউ যখন দেখবে, আপনার কাছে টাকা নেই বলে কেউ আপনাকে পাত্তা দেয় না, তখন বুঝবেন টাকা কেনো দরকার!

টাকার গুরুত্ব তখন বুঝবেন যখন দেখবেন, আপনার কাছে টাকা নেই বলে আপনার সন্তানকে কেউ ওভাবে আদর করে না। আপনার আত্মীয়স্বজন তেমন একটা যোগাযোগ রাখে না। তখন বুঝবেন টাকা কেনো এতো দরকার!

বিপদে পড়ে দেখুন; টাকার কী দরকার। যার টাকা নেই, তার বিপদে কেউ পাশে থাকে না, এমন কি টাকা দিয়েও তেমন একটা সহযোগিতা করে না। তখন বুঝবেন টাকার কেনো এতো দরকার।

আপনার কাছে টাকা না থাকলে টাকার গুরুত্ব বুঝবেন।

তাই প্রচুর পরিমাণে টাকা কামাতে হবে, এমন মনে হয় টাকা থাকলে জীবনের 90 পার্সেন্ট প্রবলেম সলভ হয়ে যায়।

এই জীবনে টাকা দিয়েই টাকা কে বাড়াতে হয়, মানে টাকা ইনভেস্টমেন্ট করেই টাকাকে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।
তাই ইনভেস্টমেন্ট করুন।
ইচ্ছা থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন।
Biswanath Dey
Mob: 8910392799,8820550290

01/02/2025

ইউলিপ (ULIP) বা ইউনিট লিংকড ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান-এর খুঁটিনাটি....
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

ULIP (Unit Linked Insurance Plan) হল এমন একটি আর্থিক পণ্য যা জীবন বীমা ও বিনিয়োগকে একসঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি মূলত জীবন বীমার সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগের সুযোগও প্রদান করে, যেখানে প্রিমিয়ামের একটি অংশ বীমার জন্য বরাদ্দ থাকে এবং বাকি অংশ মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বাজারে বিনিয়োগ করা হয়।

ULIP-এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:

১. জীবন বীমা ও বিনিয়োগের মিশ্রণ:

ULIP একটি ডুয়াল-বেনিফিট পরিকল্পনা, যা জীবন বীমা সুরক্ষা ও বাজার-সংযুক্ত বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করে।

২. ফান্ড অপশন:

ULIP-এ আপনি বিভিন্ন ধরনের ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন—

ইকুইটি ফান্ড: উচ্চ ঝুঁকি, তবে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা।

ডেট ফান্ড: কম ঝুঁকি, তবে তুলনামূলক কম রিটার্ন।

ব্যালান্সড ফান্ড: ইকুইটি ও ডেটের সংমিশ্রণ, যা মাঝারি ঝুঁকি ও রিটার্ন দেয়।

৩. ফান্ড সুইচিং-এর সুবিধা:

বিনিয়োগকারীরা মার্কেটের অবস্থান বুঝে ULIP-এ বিনিয়োগ করা ফান্ড পরিবর্তন করতে পারেন, যা সাধারণ মিউচুয়াল ফান্ডে সম্ভব নয়।

৪. ট্যাক্স সুবিধা:

ULIP-এর অধীনে দেওয়া প্রিমিয়াম 80C ধারা অনুযায়ী কর ছাড় পায় এবং ম্যাচিওরিটি অ্যামাউন্ট 10(10D) ধারা অনুযায়ী করমুক্ত হতে পারে (নতুন ট্যাক্স নিয়ম অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে)।

৫. দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য আদর্শ:

ULIP সাধারণত ৫-২০ বছরের জন্য নেওয়া হয়, যা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য যেমন সন্তানের শিক্ষা, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং ইত্যাদির জন্য উপযুক্ত।

৬. লক-ইন পিরিয়ড:

ULIP-এ ৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড থাকে, যার আগে টাকা তোলা সম্ভব নয়।

ULIP নেওয়ার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:

1. খরচ ও চার্জ: ULIP-এর ক্ষেত্রে ফান্ড ম্যানেজমেন্ট চার্জ, পলিসি অ্যাডমিন চার্জ, প্রিমিয়াম এলোকেশন চার্জ ইত্যাদি থাকে, যা পলিসির প্রথম কয়েক বছরে বেশি হতে পারে।

2. ঝুঁকি: ULIP-এর রিটার্ন বাজার-নির্ভর, তাই ইকুইটিতে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি বেশি থাকবে।

3. দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি: এটি মূলত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা, তাই কমপক্ষে ১০-১৫ বছর রাখার মানসিকতা থাকা উচিত।

ULIP কারা কিনবেন?

যারা বীমা ও বিনিয়োগ একসঙ্গে চান

যারা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য যেমন রিটায়ারমেন্ট বা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে চান

যারা ট্যাক্স বাঁচাতে চান

যারা বাজার-নির্ভর বিনিয়োগের মাধ্যমে উচ্চ রিটার্ন পেতে চান

31/01/2025

সংসারের বাজেট তৈরি করা এবং তা মেনে চলা শুধু বর্তমান আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্যও অপরিহার্য। সঠিক বাজেটিং শুধু খরচের নিয়ন্ত্রণ রাখে না, বরং সঞ্চয় বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, শিশুদের অর্থ সংক্রান্ত শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই শুরু করা হলে তারা ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল ও অর্থনৈতিকভাবে সুস্থ জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।

সংসারের বাজেট কীভাবে তৈরি করবেন?

১. আয় ও ব্যয়ের হিসাব রাখা
পরিবারের মোট মাসিক আয়ের একটি স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। পাশাপাশি, প্রতিদিন ও মাসের নির্দিষ্ট সময়ে কোন কোন খাতে খরচ হচ্ছে, তা নোট করে রাখতে হবে। এতে বুঝতে সহজ হবে কোন খাতে বেশি ব্যয় হচ্ছে এবং কোথায় খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানো সম্ভব।

2. প্রয়োজন ও চাহিদার পার্থক্য বোঝা
সংসারের বাজেট তৈরি করতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে কোন খরচ একেবারে অপরিহার্য (যেমন- খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা) এবং কোন খরচ শুধুমাত্র চাহিদা পূরণের জন্য (যেমন- অবকাশ যাপন, বিলাসবহুল পণ্য)। চাহিদার খরচ নিয়ন্ত্রণ করলেই সঞ্চয় বাড়বে।

3. আগে সঞ্চয় পরে খরচ এই নিয়ম মেনে চলা
মাসের প্রথমেই সংসার খরচ শুরু করার আগেই সঞ্চয় করে ফেলা তার পর বাকি খরচ। এতে ভবিষ্যৎ দ্রুত সুরক্ষিত হয়।

4. জরুরি তহবিল গঠন করা
হঠাৎ কোনো জরুরি পরিস্থিতি, যেমন- অসুস্থতা, চাকরি হারানো বা অন্য আর্থিক চাপে পড়লে যাতে কোনো বড় সমস্যা না হয়, সেজন্য অন্তত ছয় মাসের ব্যয়ের সমপরিমাণ অর্থ সঞ্চয় রাখা উচিত।

ডোমেস্টিক সেভিংস বা পারিবারিক সঞ্চয় কীভাবে বাড়ানো যায়?

১. অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো

মাসের শুরুতেই বাজেট তৈরি করে ফেলা উচিত। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয় বাড়ানো সম্ভব।

ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট বা কুপন ব্যবহার করে সাশ্রয় করা যায়।

বাইরে খাওয়ার বদলে বাড়িতে রান্না করে খেলে খাবারের খরচ কমে যাবে।

2. বিনিয়োগ করা
শুধু সঞ্চয় করলেই হবে না, সেটাকে বৃদ্ধি করাও দরকার। এজন্য ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় এমন বিনিয়োগ করতে হবে। যেমন-

মিউচুয়াল ফান্ড

পিপিএফ বা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার মতো সরকারি স্কিম

3. ঋণ নেওয়ার আগে চিন্তাভাবনা করা
অহেতুক ঋণ না নেওয়া উচিত এবং যত দ্রুত সম্ভব আগের ঋণ শোধ করা উচিত। উচ্চ সুদের ব্যক্তিগত ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ না করলে তা ভবিষ্যতে আর্থিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

4. পাশাপাশি আয়ের সুযোগ খোঁজা
যদি সম্ভব হয়, পরিবারের একাধিক সদস্য বিভিন্নভাবে উপার্জন করলে সঞ্চয় বাড়ানো সহজ হয়। পার্ট-টাইম কাজ, ফ্রিল্যান্সিং বা ক্ষুদ্র ব্যবসা চালু করেও বাড়তি আয় করা যায়।

আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিজের জন্য সঠিক জীবন বীমা গ্রহন করা এবং পরিবারের সকলের জন্য স্বাস্থ্য বীমা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা। এই দুটি না থাকলে কিন্তু সবই বৃথা।

আরেকটা বিষয় এখানে বিশেষ উল্লেখ্য তা হল শিশুদের শিক্ষা অর্থনৈতিক শিক্ষা।

শিশুকাল থেকেই অর্থ সংক্রান্ত শিক্ষা কেন জরুরি?

শিশুরা যদি ছোট থেকেই অর্থের মূল্য বুঝতে শেখে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল হবে এবং সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে। এজন্য:

1. পিগি ব্যাংক বা সঞ্চয় বাক্স দেওয়া
ছোটদের যদি একটি ছোট সঞ্চয় বাক্স বা পিগি ব্যাংক দেওয়া হয়, তাহলে তারা টাকা জমাতে শিখবে এবং ছোটখাটো প্রয়োজনের জন্য নিজের জমানো অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।

2. কেনাকাটার সময় বাজেট বোঝানো
শিশুরা যেন বুঝতে পারে কোন জিনিস কেনা প্রয়োজন এবং কোনটি না কিনলেও চলে। ছোট ছোট বাজেট দিয়ে তাদের পরিচালনা করতে শেখানো উচিত, যেমন – মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা।

3. সঞ্চয়ের উপকারিতা শেখানো
শিশুদের বোঝানো দরকার যে ছোটবেলা থেকেই কিছু টাকা জমিয়ে রাখলে ভবিষ্যতে তা বড় কোনো প্রয়োজন মেটাতে কাজে আসবে।

4. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অভ্যাস করানো
এখন অনেক ব্যাংকেই শিশুদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দেয়। তাদের ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার অভ্যাস করালে আর্থিক সচেতনতা আরও বাড়বে।

মনে রাখতেই হবে

সংসারের বাজেট তৈরি ও সঞ্চয়ের অভ্যাস শুধুমাত্র ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য যেখানে সম্ভব খরচ কমাতে হবে এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের পথ প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি, শিশুদের অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখানো হলে তারা ভবিষ্যতে সুপরিকল্পিত জীবনযাপনের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। আর্থিক সুশৃঙ্খলতা শুধু পরিবারকেই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজকেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

29/01/2025

১. নিজের চিন্তাধারা পরিবর্তন করুন

সুখ আসে ভেতর থেকে। বাহ্যিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর না করে নিজের মানসিকতা বদলান।

প্রতিদিন ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং জীবনকে উপভোগ করার নতুন উপায় খুঁজুন।

২. আপনার কাজকে ভালোবাসুন

কাজকে কেবল দায়িত্ব হিসেবে দেখবেন না, এটি আপনার সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ।

কাজের মধ্যে নতুনত্ব ও অর্থ খুঁজে বের করুন।

নিজের দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে কাজকে উপভোগ্য করুন।

৩. অতীত ভুলে যান, বর্তমানকে উপভোগ করুন

অতীতের ভুল বা ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা নিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।

"আজকের দিন" নিয়ে বাঁচুন এবং এর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।

৪. মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন

মানুষকে গুরুত্ব দিন এবং তাদের ভালো দিকগুলো দেখার চেষ্টা করুন।

নিজের স্বার্থ ছাড়াও অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। এটি আত্মতৃপ্তি আনবে।

আন্তরিক হাসি এবং সদ্ভাব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করুন।

৫. সমস্যাকে ইতিবাচকভাবে নিন

সমস্যা সমাধানের জন্য ধৈর্য এবং যুক্তি ব্যবহার করুন।

সমস্যাকে ভয় না পেয়ে এটি থেকে শেখার সুযোগ হিসেবে নিন।

প্রতিটি সমস্যা মোকাবিলার পর আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

৬. কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ এড়ান

কাজের সময় সঠিক পরিকল্পনা করুন।

অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা এবং অহেতুক ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।

সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা গড়ে তুলুন।

৭. জীবনের ছোট ছোট বিষয় উপভোগ করুন

জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলোকে গুরুত্ব দিন, যেমন প্রকৃতি দেখা, প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানো।

নিজের শখ ও পছন্দসই কাজে সময় দিন।

৮. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

জীবনে যা পেয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন।

প্রতিদিন নিজের আশেপাশের ভালো জিনিসগুলো খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।

27/01/2025

ভারতের সংবিধান ও প্রজাতন্ত্র দিবস
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

ভারতের সংবিধান আধুনিক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং বিস্তৃত একটি সংবিধান। এটি কেবলমাত্র একটি আইনগত দলিল নয়, বরং একটি দেশের স্বপ্ন ও লক্ষ্যগুলির প্রতিফলন। এই সংবিধান গঠনের কাহিনি হল স্বাধীন ভারতের গঠনপ্রক্রিয়ার একটি অনন্য অধ্যায়।

সংবিধান প্রণয়নের সূচনা
---------------------------------------

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, নতুন জাতির জন্য একটি সুসংহত এবং আধুনিক সংবিধান প্রণয়ন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেই সময় সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি সংবিধান সভা গঠিত হয়।

সংবিধান সভার গঠন
--------------------------------------

গঠনের প্রক্রিয়া: সংবিধান সভা গঠনের জন্য ১৯৪৬ সালে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বিভিন্ন প্রদেশ এবং দেশীয় রাজ্যগুলি থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হয়।

প্রধান সদস্যরা: এই সভায় বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে ড. বি. আর. আম্বেদকর, জওহরলাল নেহরু, সরদার প্যাটেল, মৌলানা আজাদ এবং রাজেন্দ্র প্রসাদ ছিলেন।

সভাপতি: সংবিধান সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।

সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়া
----------------------------------------------

খসড়া প্রস্তুতি: ড. বি. আর. আম্বেদকরকে খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

পর্যালোচনা ও আলোচনা: ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিন ধরে সংবিধান সভায় ১১৪টি সভায় এই খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।

ভোটগ্রহণ: সভায় পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা ও সংশোধনের পর সংবিধানের উপর ভোটগ্রহণ করা হয়।

সংবিধানের গঠন ও বৈশিষ্ট্য
---------------------------------------------------
বৃহৎ ও বিস্তৃত: ভারতের সংবিধান বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান। এতে ৪৪৮টি অনুচ্ছেদ এবং ১২টি তফসিল অন্তর্ভুক্ত।

ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্য: এই সংবিধানের মূল আদর্শ হল ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা।

ফেডারেল এবং ইউনিটারি বৈশিষ্ট্য: এটি একটি ফেডারেল সরকার কাঠামো প্রদান করে।

খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
------------------------------------

মৌলিক অধিকার: সংবিধানে নাগরিকদের জন্য ৬টি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ দিন
---------------------------------------

সংবিধান গ্রহণ: ২৬ নভেম্বর, ১৯৪৯

প্রয়োগ: ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০

প্রতিবছর ২৬ শে জানুয়ারি ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।

ভারতের সংবিধানের দৃষ্টিভঙ্গি
---------------------------------------------------

ভারতের সংবিধান কেবল একটি আইনের দলিল নয়, এটি একটি গণতান্ত্রিক, সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠনের জন্য একটি মাইলফলক। এর প্রতিটি ধারা স্বাধীন ভারতের চেতনা এবং প্রত্যাশার প্রতিফলন।

এই সংবিধান ভারতবাসীকে একটি অভিন্ন দেশ ভাবনার ছত্রছায়ায় নিয়ে এসেছে, যেখানে বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
তাই ভারতের সংবিধান অনন্য। সংবিধান ভারতের অন্তরাত্মা। উন্নত ভারত গড়ার লক্ষে তাই যেকোন মুল্যে সংবিধান কে রক্ষা করতে হবে।

14/01/2025

বেয়ার মার্কেটের সময় শেয়ারের দাম সাধারণত অনেক কমে যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ২০২০ সালের কোভিড মহামারীর সময় টাটা মোটরসের শেয়ারের দাম মাত্র ৬৫ টাকায় নেমে গিয়েছিল। অথচ এখন তা ৬০০ টাকার ওপরে। যারা তখন টাটা মোটরস কিনেছিলেন, তারা আজ ১০ গুণের বেশি লাভ করেছেন।

তেমনই, HDFC ব্যাঙ্কের শেয়ারের দামও তখন ৮০০ টাকায় নেমে এসেছিল, যা এখন ১৭০০ টাকার কাছাকাছি। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের সময়ও এমন পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার তখন ১২০০ টাকা থেকে কমে ৫০০ টাকায় এসেছিল। কিন্তু যারা ধৈর্য ধরে সেই সময় শেয়ার কিনেছিলেন, তারা কয়েক বছরের মধ্যেই অনেকগুণ লাভ করেন।

বেয়ার মার্কেটে SIP চালিয়ে যাওয়ারও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ধরা যাক, আপনি ২০২০ সালে প্রতি মাসে ₹১০,০০০ SIP করতেন। সেই সময় বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV (Net Asset Value) কমে গিয়েছিল, যার ফলে আপনি বেশি ইউনিট কিনতে পেরেছিলেন। আজ বাজার পুনরুদ্ধারের ফলে সেই ইউনিটগুলোর দাম বেড়ে গেছে এবং আপনি বড় মুনাফার মুখ দেখছেন।

তাই বেয়ার মার্কেটকে ভয়ের জায়গা না ভেবে, এটি বিনিয়োগের সেরা সুযোগ হিসেবে দেখুন। বাজারে পতন হলেই ভালো মানের শেয়ার কম দামে কেনা যায়। যেমন, TCS, Infosys, বা ICICI Bank-এর মতো বড় কোম্পানির শেয়ার এই সময়ে তুলনামূলক সস্তায় কেনা সম্ভব হয়। ইতিহাস বলে, বাজার সর্বদা পুনরুদ্ধার করে এবং যারা এই সময়ে বিনিয়োগ করেন, তারাই দীর্ঘমেয়াদে সফল হন।

উত্থান ও পতন শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একে সম্পূর্ণরূপে এড়ানো সম্ভব নয়, কারণ বাজার বিভিন্ন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং বৈশ্বিক কারণে প্রভাবিত হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ প্রায় সবসময়ই লাভজনক।

যদি ইতিহাস দেখি, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের সময় সেনসেক্স ২১,০০০ পয়েন্ট থেকে ৮,০০০ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। অনেক বিনিয়োগকারী তখন বাজার থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যারা ধৈর্য ধরে থাকলেন এবং তাদের বিনিয়োগ ধরে রাখলেন, তারা ২০২১ সালের মধ্যে সেনসেক্সকে ৬০,০০০ পয়েন্টে পৌঁছাতে দেখেছেন। অর্থাৎ, দীর্ঘমেয়াদে তাদের বিনিয়োগের মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদাহরণ ধরা যাক। ২০০৮ সালে এর শেয়ারের দাম ৫০০ টাকায় নেমে এসেছিল। যারা সেই সময় বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা আজ ২,৫০০ টাকার বেশি দাম পাচ্ছেন। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) বা ইনফোসিসের মতো কোম্পানিও দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ রিটার্ন দিয়েছে।

মিউচুয়াল ফান্ডেও একই ছবি দেখা যায়। ২০২০ সালের মহামারীর সময় মিউচুয়াল ফান্ডের NAV উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। কিন্তু যারা SIP চালিয়ে গেছেন, তারা আজ বড় মুনাফা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ICICI Prudential Bluechip Fund বা SBI Small Cap Fund দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য রিটার্ন দিয়েছে।

তাই মনে রাখা দরকার, বাজারের উত্থান-পতন সাময়িক। সঠিক স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে মুনাফা প্রায় অবশ্যম্ভাবী। ধৈর্য এবং নিয়মিত বিনিয়োগই সফলতার চাবিকাঠি।
highlights

02/01/2025

নতুন বছর ২০২৫:
-------------------------------------
এস আই পি এর মাধ্যমে
সঞ্চয়ের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য:::::::::::
********************************************

নতুন বছর নতুন আশার আলো নিয়ে আসে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু স্বপ্ন থাকে, কিছু লক্ষ্য থাকে, যা আমরা পূরণ করতে চাই। কিন্তু লক্ষ্য পূরণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। এই ২০২৫ সালে, এস আই পি (SIP - Systematic Investment Plan) হতে পারে আপনার জীবনের লক্ষ্য পূরণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।

অনেকেই জানেন তবু একবার আলোচনা করেভ নেওওয়া যাক এস আই পি কি ?

বস্তুত এস আই পি হল এমন একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে আপনি নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মিউচুয়াল ফান্ডে জমা করতে পারেন। এটি একটি সুশৃঙ্খল এবং দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি, যা ধীরে ধীরে আপনার ছোট সঞ্চয়কে বড় সঞ্চয়ে রূপান্তরিত করতে পারে।

কেন এস আই পি আপনার রেজুলেশনের অংশ হওয়া উচিত?
©©©©©©©©©©©©©©©

১. ছোট থেকে বড় সঞ্চয়ের সুযোগ: এস আই পি-এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে সামান্য অর্থ জমা করে ভবিষ্যতে বড় মূলধন তৈরি করতে পারবেন।

২. ডিসিপ্লিনড ইনভেস্টমেন্ট: নিয়মিত বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলবেন, যা আপনার আর্থিক ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।

৩. রিটার্নের সম্ভাবনা: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে কম্পাউন্ডিংয়ের ফলে আপনার রিটার্ন অনেক গুণ বেড়ে যেতে পারে।

৪. ঝুঁকি হ্রাস: এস আই পি আপনাকে বাজারের ওঠানামা থেকে রক্ষা করে এবং আপনাকে একটি গড় খরচে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়।

কিভাবে এস আই পি আপনার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে?

নতুন বছরে আপনার জীবনের লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করুন। এটি হতে পারে:

আপনার সন্তানের উচ্চশিক্ষা।

একটি নতুন বাড়ি বা গাড়ি।

এবং অবশ্যই

অবসর জীবনের আর্থিক সুরক্ষা।
===================================
এস আই পি-এর মাধ্যমে আপনি প্রতিটি লক্ষ্য পূরণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার পাঁচ বছরের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দরকার হয়, তাহলে সঠিক ফান্ড এবং মাসিক বিনিয়োগের পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে।

এস আই পি শুরু করার সহজ ধাপ:

১. আপনার বিনিয়োগ পরামর্শ দাতার সাহায্যে একটি সঠিক মিউচুয়াল ফান্ড নির্বাচন করুন।
২. আপনার মাসিক বিনিয়োগের পরিমাণ ঠিক করুন।
৩. নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
৪. দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে বিশ্বাস রাখুন এবং ধৈর্য ধরুন।

নতুন বছরের প্রতিজ্ঞা হোক আর্থিক সুরক্ষা এবং লক্ষ্য পূরণের। এস আই পি-এর মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা করুন এবং নিয়মিত বিনিয়োগ করে আপনার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যান।
২০২৫ সাল হোক সঞ্চয়ের নতুন সূচনা, যেখানে আপনার ছোট সঞ্চয় বড় ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।

"আজকের সঞ্চয়ই ভবিষ্যতের ভরসা। এস আই পি শুরু করুন, ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করুন।" নতুন বছরে শুরু করুন
Resolution SIP.
****************
Biswanath Dey
Financial Advisor
8910392796/8820550290

Address

Kolkata Belgharia Nimta
Kolkata
700049

Telephone

+918910392796

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DEY Financial Planer posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to DEY Financial Planer:

Share